নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। আসলে কিছু কথা আছে যেগুলো ইউনিভার্সাল ট্রুথ বা চিরন্তন সত্য। এমন কথার আবেদন কখনও হারায় না। যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে এসব কথার বাস্তবতা সামান্য পরিমান ক্ষীণ হয়েও যায় না। লাইন দুইটা হচ্ছে-

অতি বড় হয়ো না, ঝড়ে ভেঙ্গে যাবে
অতি ছোট হয়ো না, ছাগলে মুড়ে খাবে।

মানুষ অতি বড় কখন হয়? এর উত্তর হচ্ছে- যখন সে নিজেকে অনেক বেশি জ্ঞানী ভাবে। অনেক বড় মনে করে। অন্যদের চেয়ে আলাদা এবং বিশেষ একজন হিসেবে কল্পনা করে। জ্ঞানে, সম্মানে, ধনে, গুণে, ঐশ্বর্য্যে, মর্যাদায়, জনপ্রিয়তায়, লোকবল, বংশ পরিচয়, দৈহিক সৌন্দর্য্য - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে যখন নিজেকে সেরা মনে করে, শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করে এবং অন্যদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখা শুরু করে, হেয় জ্ঞান করে অন্যদের অথর্ব এবং অপদার্থ ভাবতে শুরু করে - মূলতঃ তখন থেকেই তার অতি বড় হয়ে ওঠার কিচ্ছাটা শুরু হয়। আর এর প্রকাশ ঘটাতে শুরু করে দাম্ভিকতাপূর্ণ কথাবার্তা এবং অহঙ্কারমূলক কাজকর্মের মাধ্যমে।

অহংকারের অর্থ হচ্ছে নিজেকে অন্যের চেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ এবং অন্যকে নিজের তুলনায় হেয় ও ঘৃণ্য মনে করা। হাদীসে এর জন্যে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্ তাআলা ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন যে, নম্রতা অবলম্বন কর। কেউ যেন অন্যের উপর গর্ব ও অহংকারের পথ অবলম্বন না করে এবং কেউ যেন কারও উপর যুলুম না করে।” -মুসলিম ২৮৬৫

অন্য হাদীসে এসেছে, তোমাদের পূর্বেকার জাতিদের মধ্যে কোনো এক লোক দুখানি চাদর নিয়ে গর্বভরে চলছিল। এমতাবস্থায় যমীন তাকে নিয়ে ধ্বসে গেল, সে এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত এর মধ্যে ঢুকতে থাকবে। -বুখারী ৫৭৮৯, মুসলিম ২০৮৮

কুরআনুল কারিমের একটি আয়াতের উধ্বৃতি দিয়ে সমাপ্তি টানতে চাই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ইরশাদ করেন-

وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّكَ لَن تَخْرِقَ الْأَرْضَ وَلَن تَبْلُغَ الْجِبَالَ طُولًا

পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয় তুমি তো ভূ পৃষ্ঠকে কখনই বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না। -সূরা আল ইসরা, আয়াত ৩৭

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কত চমকপ্রদ কথামালা আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন! কুরআনুল কারিমের ভাষার এমন অবাক করা সৌন্দর্য্য অবলোকন করে, সত্যিকারার্থে আশ্চর্য্য না হয়ে উপায় থাকে না। আলোচ্য আয়াতটিতে শব্দচয়নের দিকে যদি একটু লক্ষ্য করি, হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে যায়। আহ! কতটা অসাধারণ মহাজ্ঞানী আল্লাহ জাল্লা শানুহুর ঐশীবানীর অনুপম ভাষাশৈলী! পড়লেই আবেগতাড়িত হতে হয়। অন্তর ছুঁয়ে যায়। হৃদয়ের গহীনে স্পর্শ করে। বুকের ভেতরটা নড়েচড়ে ওঠে। নিজের অজান্তে অকপটেই মন বলে দেয় - এত সুন্দর বাণী মহান স্রষ্টা ব্যতিত আর কার হতে পারে! এমন অদ্ভূত সুন্দর দৃষ্টান্ত আর কার দ্বারা দেয়া আদৗ কি সম্ভব! সুবহানাল্লাহ। সুবহানাল্লাহি বিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযিম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

এম ডি মুসা বলেছেন: অহংকার বড় খারাপ জিনিস ‌ । আসলেই নিজে কে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। বড় হইলে সমস্যা বাতাসে ভেঙ্গে যাবে ছোট হলে ছাগলে খাইবে এটাই স্বাভাবিক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।

০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন। সুন্দর বলেছেন। মন্তব্যে আপনাকে দেখে খুবই ভালো লাগছে।

শুভকামনাসহ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

এম ডি মুসা বলেছেন: ইবাদাত নিয়ে শয়তানও কিন্তু অহংকার করছিল এটা জানতে হইব। তাই অহংকার করা ভালো না।

০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অহংকারের সীমা অতিক্রম করার ফলে একটা সময়ে অহংকারী ব্যক্তির ছন্দপতন ঘটে। কারও কারও অবশ্য পরে ঘটবে। অর্থাৎ, পরকালে। তবে ঘটবে যে তাতে সন্দেহ নেই। ঘটবেই। কারণ, এটা অবশ্যম্ভাবী। না ঘটার কারণ নেই। উপায়ও নেই। আমাদের আশপাশের চেনাজানা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা কালেভদ্রে দেখাও যায় বৈকি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, যে কারোরই নেতিবাচক এমন পরিণতি তাদের নিজেদের জন্য যেমন কষ্টের, আমাদের কাছেও পীড়াদায়ক। এই জন্য অহংকার থেকে বেঁচে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

৩| ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

আরোগ্য বলেছেন: সুন্দর পোস্ট নকিব ভাই।

অতিমাত্রায় সম্মান প্রদর্শন ও প্রশংসা জ্ঞাপনও মানুষের মাঝে অহংকার এনে দেয়। হাদিস মোতাবেক তাই সামনাসামনি কারো প্রশংসা করতে নেই এবং সম্মান প্রদর্শনে বাড়াবাড়িও নিষেধ আছে। সুরা লোকমান এ বর্ণিত লোকমান হাকিম তার ছেলেকে যে উপদেশগুলো দেন, কতই না চমৎকার যার দরুণ আল্লাহ সেগুলো কোরআনে লিপিবদ্ধ করেছেন।

০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



বহু দিন পরেই সম্ভবতঃ আমার কোনো পোস্টে আপনার উপস্থিতি দেখে খুবই ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক শুকরিয়া। আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা জানবেন। বিনীতভাবে দোআপ্রার্থী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.