নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিসংঘের প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগের সামনে কী অপেক্ষা করছে?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫৯

জাতিসংঘের প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগের সামনে কী অপেক্ষা করছে?

ছবিঃ বিবিসি বাংলা ওয়েব থেকে সংগৃহিত।

United Nations Human Rights Office Fact-Finding Report জাতিসংঘের রিপোর্ট দেখতে পারেন এই লিঙ্ক থেকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) সম্প্রতি বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকা নিয়ে একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ১১৪ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, আটক ও নির্যাতনের মতো অপরাধের স্পষ্ট বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব পরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করেছিল, যার ফলে সহিংস দমন-পীড়ন চালানো হয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ওই সময়ে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ১২ থেকে ১৩ শতাংশই শিশু।

ওএইচসিএইচআর-এর মতে, এটি ছিল সরকারের পূর্বপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড, যা ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারি বাহিনীগুলো স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের ওপর গুলি চালায় এবং আন্দোলনের নেতাদের গুম করার কৌশল অবলম্বন করে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, "আমরা যে সাক্ষ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছি তা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এবং যা আন্তর্জাতিক অপরাধও গঠন করতে পারে।"

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য পদক্ষেপ

প্রতিবেদনের প্রকাশের পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই প্রতিবেদনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ হিসেবে দেখছে এবং অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক দেশগুলো এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

ভারতের জন্য সংকট?

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা বর্তমানে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। তবে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের পর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে পারে তাদের প্রত্যর্পণের জন্য। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ফলে ভারতও কূটনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে পারে। কারণ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের রক্ষা করাকে সমর্থন করে না।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের মতে, "বাংলাদেশ সরকার যদি এটিকে আন্তর্জাতিকভাবে মোবিলাইজ করে সেক্ষেত্রে ভারতের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।" বর্তমানে ভারত এমনিতেই মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন, বিশেষ করে কানাডার শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের কারণে। এই অবস্থায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় দেওয়া ভারতের জন্য একটি কৌশলগত ভুল প্রমাণিত হতে পারে।

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?

জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এর ফলে দলটির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে এবং তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়বে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এখনো বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না এবং তারা অস্বীকারের নীতি গ্রহণ করেছেন। তারা মনে করছেন শেখ হাসিনা আবারও ফিরে আসবেন, যা বাস্তবে অসম্ভব। আন্তর্জাতিক মহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে পারে, এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদন সেই দাবি আরও জোরালো করতে পারে।

বাংলাদেশ সরকার যদি জাতিসংঘের সুপারিশকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য একটি বড় অগ্রগতি হবে। একই সঙ্গে, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার হলে এটি ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

হাসিনা ও আওয়ামী লীগ উভয়ই জয়বাংলার পথে

সার্বিকভাবে, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এর ফলে দলটির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাবে এবং তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা বাড়বে। এছাড়া, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে ভারতও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক মহল যদি এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে, শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের বিচার হওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক উভয়ই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।

এই বিষয়ে আরও জানতে বিবিসি বাংলার নিচের প্রতিবেদন দু'টি দেখা যেতে পারে-

জাতিসংঘ প্রতিবেদনের ভালোমন্দ ও জটিলতা, সামনে কী?

জুলাই আন্দোলন দমনে 'সমন্বয়ের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী': জাতিসংঘ রিপোর্ট

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

নতুন বলেছেন: জাতিসংঘের এই রিপোট দিয়ে ড: ইউনুসের ট্রাম্প কার্ড খেলে দিয়েছেন। ;)

এখন ভারত সহ অন্য বড় কেউই আর আয়ামীলীগ বা হাসিনাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করবেনা।

আশা করি অল্প কিছুদিনের মাঝেই ভারত আমাদের সাথে সম্পর্ক ভালো করার উদ্দোগ নেবে। এবং বিএনপি র সাথে যোগাযোগ শুরু করবে। ;)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



জাতিসংঘের এই রিপোট দিয়ে ড: ইউনুসের ট্রাম্প কার্ড খেলে দিয়েছেন। ;)

-একদম ঠিক বলেছেন।

এখন ভারত সহ অন্য বড় কেউই আর আয়ামীলীগ বা হাসিনাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করবেনা।

-আমার মনে হচ্ছে, ভারতও এখন হাসিনা প্রশ্নে প্রতিটি পদক্ষেপের আগে অন্ততঃ কয়েকবার করে ভাববে।

আশা করি অল্প কিছুদিনের মাঝেই ভারত আমাদের সাথে সম্পর্ক ভালো করার উদ্দোগ নেবে। এবং বিএনপি র সাথে যোগাযোগ শুরু করবে। ;)

-ভারতের নিজেদের স্বার্থেই এটা করা উচিত।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: আওয়ামীলীগের কথা জানি না তবে শেখ হাসিনার দিন এবার সত্যিই শেষ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ক্রেডিবেটিলি একেবারে ধ্বংস হয়েছে । একটা ব্যাপার হয়তো ভাল করেই খেয়াল করে দেখবেন যে ভারতও কিন্তু সেই আগের অবস্থানে নেই শেখ হাসিনার ব্যাপারে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



এত খুন খারাবির পরে একটা মানুষ সুস্থ থাকে কীভাবে - সেটাই হলো প্রশ্ন। একমাত্র বিকৃত মস্তিষ্ক ছাড়া এটা সম্ভব বলে মনে করি না।

ঠিকই বলেছেন, তার দিন যে এবার পুরোপুরি শেষ তা দিনের আলোর মতই স্পষ্ট। তিনি নিজেকে নিজে ধ্বংস করেছেন। আওয়ামী লীগকেও ধ্বংস করেছেন। লক্ষ লক্ষ কর্মী সমর্থক অনুসারীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে রেখে নিজে পালিয়ে গিয়ে লজ্জাষ্কর নজির তৈরি করেছেন।

ভারত আশা করেছিল, ট্রাম্প তাদের কথা শুনবেন কিন্তু উল্টো এখন আমেরিকার হাতে নাকানি চুবানি খেয়ে ভারতের তথৈবচ অবস্থা। মোদির অনেক ভুল নীতির মত বাংলাদেশ বিষয়ে তার চরম খামখেয়ালিপনা আর ভুল নীতির খেসারত দিবে পুরো ভারতবাসী।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১৪

নতুন বলেছেন: এ টিমের লাইভ দেখছিলাম একটু।

তারা গবেষনা করছে এই রিপোট নিয়ে। এটা একটা অবসারভেসন, এটা কোন অনুসন্ধান না, এটা ড: ইউনুসের অনুরোধে করেছে।

এরাই শেখ হাসিনার পতনের পেছনে আছে। এরাই শেখ হাসিনাকে অনুধাবন করতে দিচ্ছেনা তিনি কি ভুল করেছেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



আওয়ামী লীগ অনুসন্ধান না বলে এটাকে ড: ইউনুসের অনুরোধের করা অবজারভেশন বলতেই পারে। তারা জাতিসংঘকেও নাকচ করে দিতে পারে। হাসিনা একসময় দম্ভ প্রকাশ করে বলেছিল না যে, ২০ হাজার কি.মি. পাড়ি দিয়ে আটলান্টিকের ওপাড়ে না গেলে কী হবে? আবার কিছু দিন পরেই তো বাইডেনের দেশে গিয়ে তার সাথে ছবি তুলে সেই ছবি নিয়ে ব্যাপক রাজনীতি করেছিল।

এই দলটিই আসলে একটি স্বৈরতান্ত্রিক দল। শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে স্বৈরাচারের সূচনা করেছিল। আর হাসিনা ১৬ বছরের শাসনের সময়টাতে সেই স্বৈরতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে দলটাকেই শেষ করে দিয়েছে। হাসিনা এখনও মনে করেন, তার কোনো ভুল নেই। যার ভুলই নেই সে স্বীকার করবে কী? নির্বিচার খুন, গুম আর দেশ ধ্বংসের সীমাহীন পাপের প্রায়শ্চিত্য তাকে করতে হবে বলেই হয়তো তিনি নিজের ভুল দেখতে পান না।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৩

কু-ক-রা বলেছেন:

উহাদের লইয়া ইহা লিখিলাম



১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনার মূল্যায়ন যথার্থ।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস সাহেবের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার দরকার ছিলো। অথচ উনি আওয়ামীলীগের নিন্দে করে বেড়াচ্ছেন। এটা দুঃখজনক।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দুঃখ পাওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ, আপনি সত্যকে সত্য বলে এখনও মেনে নিতে পারেননি। স্বৈরাচারের পদলেহীরা সত্যকে ভয় পাবে, সত্য কথায় দুঃখ পাবে - এটাই নিয়ম।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২

নতুন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস সাহেবের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার দরকার ছিলো। অথচ উনি আওয়ামীলীগের নিন্দে করে বেড়াচ্ছেন। এটা দুঃখজনক।

আপনি প্রতিবেদনটা পড়ে তারপরে নিরপেক্ষ ভুমিকায় নিয়ে বলবেন। যে ১৪০০ মানুষ মারার ঘটনা ভুল ছিলো। জাতিসংঘ্য জামাত শিবিরের পরামর্শে ভুয়া রিপোট দিসে। B-)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দলকানা লোকদের কিছু বলে তেমন লাভ হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.