নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

উহুদের যুদ্ধের সময় ওমর রাঃ এবং আবু বকর রাঃ পলায়ন করেছিলেন?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

উহুদের যুদ্ধের সময় ওমর রাঃ এবং আবু বকর রাঃ পলায়ন করেছিলেন?

উহুদ পাহাড়ের ছবিটি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

ইদানিং কিছু মানুষের জ্ঞান বিপজ্জনক পর্যায়ে বেড়ে গেছে। কিছু লোক তো নিজেদের মহাজ্ঞানীরও উপরের ধাপের লোক ভেবে বসে আছেন। বিগত প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছরে খোদ মিথ্যাবাদী ইবলিশ শয়তানও যেসব কাজ করতে পারেনি, কিছু লোক তেমন অপকর্মও এখন করে দেখানোর দুঃসাহস দেখিয়ে থাকে কালেভদ্রে। তেমনই একটি অপকর্ম উহুদ যুদ্ধের ময়দান থেকে ‘আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু এবং হযরত উমর রাদিআল্লাহু আনহু'র পলায়ন করার আজগুবি ঘটনার অবতারনা। উহুদের যুদ্ধে যারা স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন, তারা যা দেখলেন না, যে ঘটনা সেখানে আদৌ ঘটেইনি, পরবর্তীতে হাজার বছরেও কেউ যা শোনেনওনি - সেই ঘটনাই এখনকার উচ্ছন্নে যাওয়া মিথ্যাবাদী অপরাধীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে দিয়ে বিকৃত আনন্দ খোঁজার অপচেষ্টা করছে।

তাদের প্রশ্নের ধরণটাই অন্যরকম। তারা এমনভাবে কৌশল অবলম্বন করে প্রশ্নটা উত্থাপন করে থাকে যাতে প্রশ্নের ভেতরেই প্রমান করা যায় যে ঘটনা সত্য। তারা প্রশ্নটা করে এইভাবে- ‘আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু এবং হযরত উমর রাদিআল্লাহু আনহু উহুদ যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করলেন কেন?’

এখানে প্রশ্নের "কেন?" -এর উত্তর দিতে গেলে তো উক্ত দুই সাহাবির পলায়নের ঘটনাটিকে মেনে নিয়েই উত্তরটা দিতে হয়। তো দেখুন, কত বড় ইতর হলে সম্পূর্ণ মিথ্যার উপরে ভর করে এমন প্রশ্ন করতে পারে! প্রকৃতপক্ষে সঠিক ব্যাপার হচ্ছে, হযরত আবু বকর রাঃ এবং উমর রাঃ উহুদ প্রান্তর থেকে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রেখে পলায়ন করেননি। যারা বলে পলায়ন করেছেন এরা পরিস্কার মিথ্যাবাদী।

উহুদের যুদ্ধে বিশৃংখল পরিস্থিতিতে উহুদ প্রান্তরে ১৪ জন সাহাবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সর্বক্ষণ ছিলেন। এর মাঝে ৭ জন মুহাজির এবং ৭ জন আনসার সাহাবী।

মুহাজির সেই সাতজন সাহাবী হলেন, হযরত আবু বকর রাঃ, হযরত উমর রাঃ, হযরত আলী রাঃ, হযরত তালহা বি উবায়দুল্লাহ রাঃ, হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ রাঃ, হযরত যুবায়ের রাঃ, হযরত সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রাঃ। -তাফসীরে খাজেন-১/৪৩৭, সীরাতে মুস্তাফা-২/১৯৯, তাকবাতে ইবনে সা’দ-১/২৭৯

ولم يبق مع النبى صلى الله عليه وسلم الا ثلاثه أو اربعة عشر رجلا من المهاجرين ومن الأنصار سبعة، فمن المهاجرين ابو بكر وعمر وعلى وطلحة بن عبيد الله وعبد الرحمن بن عوف والزبير وسعد بن ابى وقاص رضى الله عنهم (تفسير خازن-1437)

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আবু বকর রাঃ ও উমর রাঃ এর থাকার পরিস্কার প্রমাণ বুখারীর নিম্নোক্ত হাদীসেও বিদ্যমান:

عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَقِيْنَا الْمُشْرِكِيْنَ يَوْمَئِذٍ وَأَجْلَسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا مِنْ الرُّمَاةِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللهِ وَقَالَ لَا تَبْرَحُوْا إِنْ رَأَيْتُمُوْنَا ظَهَرْنَا عَلَيْهِمْ فَلَا تَبْرَحُوْا وَإِنْ رَأَيْتُمُوْهُمْ ظَهَرُوْا عَلَيْنَا فَلَا تُعِيْنُوْنَا فَلَمَّا لَقِيْنَا هَرَبُوْا حَتَّى رَأَيْتُ النِّسَاءَ يَشْتَدِدْنَ فِي الْجَبَلِ رَفَعْنَ عَنْ سُوْقِهِنَّ قَدْ بَدَتْ خَلَاخِلُهُنَّ فَأَخَذُوْا يَقُوْلُوْنَ الْغَنِيْمَةَ الْغَنِيْمَةَ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ عَهِدَ إِلَيَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لَا تَبْرَحُوْا فَأَبَوْا فَلَمَّا أَبَوْا صُرِفَ وُجُوْهُهُمْ فَأُصِيْبَ سَبْعُوْنَ قَتِيْلًا وَأَشْرَفَ أَبُوْ سُفْيَانَ فَقَالَ أَفِي الْقَوْمِ مُحَمَّدٌ فَقَالَ لَا تُجِيْبُوْهُ فَقَالَ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ أَبِيْ قُحَافَةَ قَالَ لَا تُجِيْبُوْهُ فَقَالَ أَفِي الْقَوْمِ ابْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ قُتِلُوْا فَلَوْ كَانُوْا أَحْيَاءً لَأَجَابُوْا فَلَمْ يَمْلِكْ عُمَرُ نَفْسَهُ فَقَالَ كَذَبْتَ يَا عَدُوَّ اللهِ أَبْقَى اللهُ عَلَيْكَ مَا يُخْزِيْكَ قَالَ أَبُوْ سُفْيَانَ اعْلُ هُبَلُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجِيْبُوْهُ قَالُوْا مَا نَقُوْلُ قَالَ قُوْلُوا اللهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ قَالَ أَبُوْ سُفْيَانَ لَنَا الْعُزَّى وَلَا عُزَّى لَكُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجِيْبُوْهُ قَالُوْا مَا نَقُوْلُ قَالَ قُوْلُوا اللهُ مَوْلَانَا وَلَا مَوْلَى لَكُمْ قَالَ أَبُوْ سُفْيَانَ يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ وَالْحَرْبُ سِجَالٌ وَتَجِدُوْنَ مُثْلَةً لَمْ آمُرْ بِهَا وَلَمْ تَسُؤْنِي

বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহূদ যুদ্ধের দিন আমরা মুখোমুখী অবতীর্ণ হলে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আবদুল্লাহ [ইবনু যুবায়র (রাঃ)] -কে তীরন্দাজ বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করে তাদেরকে (নির্দিষ্ট একটি স্থানে) মোতায়েন করলেন এবং বললেন, যদি তোমরা আমাদেরকে দেখ যে, আমরা তাদের উপর বিজয় লাভ করেছি, তাহলেও তোমরা এখান থেকে নড়বে না। আর যদি তোমরা তাদেরকে দেখ যে, তারা আমাদের উপর বিজয় লাভ করেছে, তবুও তোমরা এই স্থান ত্যাগ করে আমাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে না। এরপর আমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করলে তারা পালাতে আরম্ভ করল। এমনকি, আমরা দেখতে পেলাম যে, মহিলারা দ্রুত দৌঁড়ে পর্বতে আশ্রয় নিচ্ছে। তারা পায়ের গোছা থেকে কাপড় টেনে তুলেছে, ফলে পায়ের অলঙ্কারগুলো পর্যন্ত বেরিয়ে পড়ছে। এ সময় তারা (তীরন্দাজরা) বলতে লাগলেন, গানীমাত-গানীমাত! তখন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, তোমরা যাতে এ স্থান ত্যাগ না কর এ ব্যাপারে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারা অগ্রাহ্য করল। যখন তারা অগ্রাহ্য করল, তখন তাদের মুখ ফিরিয়ে দেয়া হলো এবং তাদের সত্তর জন শাহীদ হলেন। আবূ সুফিয়ান একটি উঁচু স্থানে উঠে বললো, কাওমের মধ্যে মুহাম্মাদ জীবিত আছে কি? নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার কোন উত্তর দিও না। সে আবার বললো, কাওমের মধ্যে ইবনু আবূ কুহাফা জীবিত আছে কি? নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার কোন জবাব দিও না। সে আবার বললো, কাওমের মধ্যে ইবনুল খাত্তাব বেঁচে আছে কি? তারপর সে বললো, এরা সকলেই নিহত হয়েছে। বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই জবাব দিত। এ সময় "উমার (রাঃ) নিজেকে সামলাতে না পেরে বললেন, হে আল্লাহর দুশমন, তুমি মিথ্যা কথা বলছো। যে জিনিসে তোমাকে অপমানিত করবে আল্লাহ তা বাকী রেখেছেন।" আবূ সুফিয়ান বললো, হুবালের জয়। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহাবীগণকে বললেন, তোমরা তার উত্তর দাও। তারা বললেন, আমরা কী বলবো? তিনি বললেন, তোমরা বল, আল্লাহ সমুন্নত ও মহান। আবূ সুফিয়ান বললো, আমাদের উয্যা আছে, তোমাদের উয্যা নেই। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার জবাব দাও। তারা বললেন, আমরা কী জবাব দেব? তিনি বললেন, বল- আল্লাহ আমাদের অভিভাবক, তোমাদের তো কোন অভিভাবক নেই। শেষে আবূ সুফিয়ান বললো, আজ বদর যুদ্ধের বিনিময়ের দিন। যুদ্ধ কূপ থেকে পানি উঠানোর পাত্রের মতো (অর্থাৎ একবার এ হাতে আরেকবার ও হাতে) তোমরা নাক-কান কাটা কিছু লাশ দেখতে পাবে। আমি এরূপ করতে নির্দেশ দেইনি। অবশ্য তাতে আমি নাখোশও নই। -সহিহ বুখারী, হাদীস নং-৪০৪৩

সীরাতের বিখ্যাত এবং নির্ভরযোগ্য কিতাব "আর রাহিকুল মাখতূম" এর উহুদ যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট অধ্যায় থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিলে বিষয়টি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট হতে পারবো আমরা।

রাসূল (সাঃ)-এর জীবনে কঠিন সময় (أَحْرَجُ سَاعَةٍ فِيْ حَيَاةِ الرَّسُوْلِ ﷺ‏):

উমারাহ (রাঃ) পতিত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে মাত্র দু’ জন কুরাইশী সাহাবী রয়ে গিয়েছিলেন। যেমন সহীহুল বুখারী ও সহীহুল মুসলিমে আবূ উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, যে যুগে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুদ্ধ করেছেন ঐ যুদ্ধগুলোর কোন একটিতে তাঁর সাথে ত্বালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাঃ) এবং সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) ছাড়া আর কেউই ছিল না। -সহীহুল বুখারী ১ম খন্ড ৫১৭ পৃ: এবং ২য় খন্ড ৫৮১ পৃ।

আর এ মুহূর্তটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্যে অত্যন্ত ভয়ংকর ছিল এবং মুশরিকদের জন্যে ছিল সুবর্ণ সুযোগের মুহূর্ত। প্রকৃত ব্যাপার হল, মুশরিকরা এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করে নি। তারা একাদিক্রমে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপর আক্রমণ চালিয়েছিল এবং তাঁকে দুনিয়ার বুক হতে চিরতরে বিদায় করতে চেয়েছিল। এ আক্রমণেই ‘উতবাহ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস তাঁকে পাথর মেরেছিল যার ফলে তিনি পার্শ্বদেশের ভরে পড়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর ডানদিকের রুবাঈ দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল। (মুখের সম্পূর্ণ মধ্যে নীচের দুটি ও উপরের দুটি দাঁতকে সুনায়ী বলা হয় এবং ওর ডান দিকের ও বাম দিকের উপর দুটি ও নীচের দুটি দাঁতকে রুবাঈ দাঁত বলা হয়। কুচলী দাঁতের পূর্বে অবস্থিত।)

আর তাঁর নীচের ঠোঁটটি আহত হয়েছিল। আব্দুল্লাহ ইবনু শিহাব যুহরী অগ্রসর হয়ে তাঁর ললাট আহত করে। আব্দুল্লাহ ইবনু ক্বায়িমাহ নামক আর একজন দুর্ধর্ষ ঘোড়সওয়ার লাফিয়ে গিয়ে তাঁর কাঁধের উপর এতো জোরে তরবারীর আঘাত করে যে, তিনি এক মাসেরও বেশী সময় পর্যন্ত ওর ব্যথা ও কষ্ট অনুভব করতে থাকেন। তবে তাঁর লৌহবর্ম কাটতে পারে নি। এরপর সে আর একবার তাঁকে তরবারীর আঘাত করে, যা তাঁর চক্ষুর নীচের হাড়ের উপর লাগে এবং এর কারণে শিরস্ত্রাণের দুটি কড়া চেহারার মধ্যে ঢুকে যায়। সাথে সাথে সে বলে ওঠো, ‘এটা লও! আমি ক্বামিয়া’র (টুকরোকারীর) পুত্র।’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চেহারা হতে রক্ত মুছতে মুছতে বলেন, ‘আল্লাহ তোকে টুকরো টুকরো করে ফেলুন।’ -(আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এ দু’আ কবুল করে নেন। ইবনু কাময়াহ যুদ্ধ হতে বাড়ী ফিরে যাবার পর তার বকরী খুঁজতে বের হয়। তার বকরীগুলো সে পর্বত চূড়ায় দেখতে পায়। সে সেখানে উঠলে এক পাহাড়ী বকরী তার উপর আক্রমণ চালায় এবং শিং দ্বারা গুতো মারতে মারতে তাকে পাহাড়ের উপর হতে নীচে ফেলে দেয় (ফাতহুল বারী, ৭ম খন্ড ৩৭৩ পৃ.) আর তাবারানীর বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা পাহাড়ী বকরীকে তার উপর নির্দিষ্ট করেন যে তাকে শিং মেরে মেরে টুকরো টুকরো করে দেয়। (ফাতহুল বারী ৭ম খন্ড ৩৬৬ পৃ.)

সহীহুল বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রুবাঈ দাঁত ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং মাথা আহত করা হয়। ঐ সময় তিনি মুখমণ্ডল হতে রক্ত মুছে ফেলছিলেন এবং মুখে উচ্চারণ করছিলেন,

‏‏(‏كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ شَجُّوْا وَجْهَ نَبِيِّهِمْ، وَكَسَرُوْا رُبَاعِيَتِهِ، وَهُوَ يَدْعُوْهُمْ إِلَى اللهِ‏)‏

‘ঐ কওম কিরূপে কৃতকার্য হতে পারে যারা তাদের নাবী (ﷺ)-এর মুখমণ্ডল আহত করেছে এবং তাঁর দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে, অথচ তিনি তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহবান করছিলেন?’

ঐ সময় আল্লাহ তা‘আলা নিম্নের আয়াত অবতীর্ণ করেন,

‏(‏لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوْبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذَّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُوْنَ‏)‏ ‏[‏آل عمران‏:‏128‏]

‘আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন- এ ব্যাপারে তোমার কিছু করার নেই। কেননা তারা হচ্ছে যালিম।’। -সহীহুল বুখারী, ২য় খন্ড ৫৮২ পৃঃ।, সহীহুল মুসলিম ২য় খন্ড ১০৮ পৃঃ।

ত্বাবারানীর বর্ণনায় রয়েছে যে, ঐ দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, ‏‏(‏اِشْتَدَّ غَضَبُ اللهِ عَلٰى قَوْمٍ دَمُّوْا وَجْهَ رَسُوْلِهِ‏) ‘ঐ কওমের উপর আল্লাহর কঠিন শাস্তি হোক যারা তাদের নাবী (ﷺ)-এর চেহারাকে রক্তাক্ত করেছে। তারপর কিছুক্ষণ থেমে বললেন, ‏(‏اللهم اغْفِرْ لِقَوْمِيْ فَإِنَّهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ‏)‏ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমার কওমকে ক্ষমা করুন, তারা জানে না।’ -ফাতহুলবারী, ৭ম খন্ড ৩৭৩ পৃঃ।

সহীহুল মুসলিমের হাদীসেও এটাই আছে যে, তিনি বার বার বলছিলেন,

(‏رَبِّ اغْفِرْ لِقَوْمِيْ فَإِنَّهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ‏)‏

অর্থাৎ ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার কওমকে ক্ষমা করে দিন, তারা জানে না।’ -সহীহুল মুসলিম, ২য় খন্ড, বাবু গাযওয়াতে উহুদ ১০৮ পৃঃ।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট সাহাবায়ে কিরামের একত্রিত হওয়ার সূচনা (بِدَايَةُ تَجَمُّعِ الصَّحَابَةِ حَوْلَ الرَّسُوْلِ ﷺ):

এ সব ঘটনা কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই একেবারে অকস্মাৎ এবং অত্যন্ত ত্বড়িৎ গতিতে সংঘটিত হয়ে যায়। অন্যথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাছাইকৃত সাহাবায়ে কেরাম, যারা যুদ্ধ চলাকালে প্রথম সারিতে ছিলেন, যুদ্ধের পট পরিবর্তন হওয়া মাত্রই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট দ্রুতগতিতে আসেন যাতে তাঁর কোন অঘটন ঘটে না যায়। কিন্তু তাঁরা প্রথম সারিতে থাকার কারণে এ সব খবর জানতে পারেন নি। অতঃপর যখন তাঁদের কানে এ খবর পৌঁছল তখন তাঁরা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট দৌঁড়িয়ে আসলেন। কিন্তু যখন তাঁরা তাঁর নিকট পৌঁছলেন তখন তিনি আহত হয়েই গেছেন। ৬ জন আনসারী শহীদ হয়েছেন এবং সপ্তম জন আহত হয়ে পড়ে আছেন। আর সা‘দ (রাঃ) এবং ত্বালহাহ (রাঃ) প্রাণপণে যুদ্ধ করে শত্রুদেরকে প্রতিহত করছেন। তাঁরা পৌঁছা মাত্রই নিজেদের দেহ ও অস্ত্র দ্বারা নাবী (ﷺ)-এর চতুর্দিকে বেড়া তৈরি করে দেন এবং শত্রুদের ভীষণ আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য অত্যন্ত বীরত্বের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দেন। যুদ্ধের সারি হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট যাঁরা ফিরে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে সর্ব প্রথম ছিলেন তাঁর গুহার বন্ধু আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)।

ইবনু হিববান (রঃ) তার ‘সহীহ’ গ্রন্থে ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আবূ বাকর (রাঃ) বলেছেন, ‘উহুদ যুদ্ধের দিন সমস্ত লোক নাবী কারীম (ﷺ)-এর নিকট হতে চলে গিয়েছিলেন (অর্থাৎ রক্ষকগণ ছাড়া সমস্ত সাহাবী তাঁকে তাঁর অবস্থানস্থলে রেখে যুদ্ধের জন্যে আগের সারিতে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর কাফিরদের দ্বারা মুসলিমগণ পরিবেষ্টিত হওয়ার পর) [sb]আমি সর্বপ্রথম তাঁর নিকট ফিরে আসি। দেখি যে, তাঁর সামনে একজন মাত্র লোক রয়েছেন যিনি তাঁর পক্ষ হতে যুদ্ধ করছেন এবং তাঁকে রক্ষা করছেন। আমি (মনে মনে) বললাম, ‘তুমি ত্বালহাহ (রাঃ)-ই হবে। তোমার উপর আমার পিতামাতা উৎসর্গিত হোক! ইতোমধ্যে আবূ উবাইদাহ ইবনু জাররাহ (রাঃ) আমার নিকট এসে পড়েন। তিনি এমনভাবে দৌড়াচ্ছিলেন যেন পাখী (উড়ছে), শেষ পর্যন্ত তিনি আমার সাথে মিলিত হয়ে যান। এখন আমরা দুজন নাবী (রাঃ)-এর দিকে দৌঁড় দেই। তাঁর সামনে ত্বালহাহ (রাঃ) অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়ে রয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে বললেন,

‏(‏دُوْنَكُمْ أَخَـاكُمْ فَقَـدْ أَوْجَبَ‏)‏

‘তোমাদের ভাই ত্বালহাহ (রাঃ)-এর শুশ্রূষা কর। সে জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছে।’

আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) বলেন, আমরা দেখি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা মুবারক আহত হয়েছে এবং শিরস্ত্রাণের দুটি কড়া চক্ষুর নীচে গন্ডদেশে ঢুকে আছে। আমি কড়া দুটি বের করতে চাইলে আবূ উবাইদাহ (রাঃ) বললেন, ‘আমি আল্লাহর নাম নিয়ে বলছি যে, এ দু'টি আমাকেই বের করতে দিন।’ এ কথা বলে তিনি দাঁত দিয়ে একটি কড়া ধরলেন এবং ধীরে ধীরে বের করতে শুরু করলেন, যেন তিনি কষ্ট না পান। শেষ পর্যন্ত তিনি কড়াটি টেনে বের করলেন বটে, কিন্তু তাঁর নীচের একটি দাঁত ভেঙ্গে পড়ে গেল। এখন দ্বিতীয় কড়াটি আমিই বের করতে চাইলাম। কিন্তু এবারও তিনি বললেন, ‘আবূ বাকর (রাঃ) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আপনাকে আমি বলছি যে, এটাও আমাকেই বের করতে দিন।’ এরপর দ্বিতীয়টিও তিনি আস্তে আস্তে টেনে বের করলেন। কিন্তু তাঁর নীচের আর একটি দাঁত ভেঙ্গে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- বললেন,

‏(‏دُوْنَكُمْ أَخَـاكُمْ فَقَـدْ أَوْجَبَ‏)‏

‘তোমাদের ভাই ত্বালহাহ (রাঃ)-এর শুশ্রুষা কর, সে জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছে।’

আবূ বাকর (রাঃ) বললেন এখন আমরা ত্বালহাহ (রাঃ)-এর দিনে মনোযোগ দিলাম এবং তাঁকে সামলিয়ে নিলাম। তাঁর দেহে দশটিরও বেশী যখম হয়েছিল। ত্বালহাহ (রাঃ) ঐ দিন প্রতিরোধ ও যুদ্ধে কত বীরত্বের সাথে কাজ করেছিলেন এর দ্বারা তা সহজেই অনুমান করা যায়। -যা’দুল মাআ’দ, ২য় খন্ড ৯৫ পৃঃ।

আর এ সংকটময় মুহূর্তেই প্রাণ নিয়ে খেলাকারী সাহাবাদের (রাঃ) একটি দলও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চতুর্দিকে এসে পড়েন। তাঁরা হলেন, আবূ দুজানা (রাঃ), আবূ মুসআব ইবনু উমায়ের (রাঃ), মালিক ইবনু ত্বালিব (রাঃ), সাহল ইবনু হুনায়েফ (রাঃ), মালিক ইবনু সিনান (রাঃ), আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর পিতা, উম্মু আম্মারা রাহনুসাইবাহ বিনতু কাব মায়িনিয়্যাহ (রাঃ), কাতাদাহ ইবনু নু’মান (রাঃ), উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ), হা’তিব ইবনু আবী বলতাআহ (রাঃ) এবং আবূ ত্বালহাহ (রাঃ)।

যে সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন প্রিয় নবীজী (ﷺ) কে, সেই সাহাবিদের মধ্যেও যে দু'জন ছিলেন রাসূলে কারিম (ﷺ) -এর সবচেয়ে বেশি আপন, সবচেয়ে বেশি কাছের, এমন সাহাবাদের বিষয়ে রাসূলে কারিম (ﷺ) কে অরক্ষিত অবস্থায় রেখে যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়নের অপবাদের চেয়ে জঘন্য মিথ্যাচার আর কী হতে পারে? এই ধরণের অপতথ্য ইতিহাস, হাদিস কিংবা বিশ্বস্ত কোনো সূত্রেই পাওয়া যায় না। সুতরাং বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট যে, মহান সাহাবায়ে কেরামের নামে এমন বানোয়াট কথা বলা তাদের প্রতি জঘন্য অপবাদ আরোপ করা ছাড়া কিছু নয়। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সত্যের পথ অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মিথ্যাবাদী ও মিথ্যা রটনাকারী সবাইকে আল্লাহ হেদায়েত দান করুন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এ বিষয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য্।

আমি উনাকে অনুরোধ করেছিলাম - ইসলামের বিষয়ে বিশদ পড়াশোনা করে লিখতে উনি নিজেকে মহাজ্ঞানী মনে করেন। এবং অন্যের সঠিক মতামতকেও গুরুত্ব দেন না। আমার কাছে ইদানিং উনাকে পেইড রাইটার মনে হয়।

মহান রাব্বুল আলামীন এইসকল অপপ্রচারকারীদের হেদায়েত দান করুন, সঠিক রাস্তায় চলার তৌফিক দিন, আমীন্।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে এ বিষয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য্।

-জাজাকুমুল্লাহ।

আমি উনাকে অনুরোধ করেছিলাম - ইসলামের বিষয়ে বিশদ পড়াশোনা করে লিখতে উনি নিজেকে মহাজ্ঞানী মনে করেন। এবং অন্যের সঠিক মতামতকেও গুরুত্ব দেন না। আমার কাছে ইদানিং উনাকে পেইড রাইটার মনে হয়।

-আপনার পরামর্শ মূল্যবান। তার একান্তভাবেই উচিত নিজেকে সংশোধন করা।

মহান রাব্বুল আলামীন এইসকল অপপ্রচারকারীদের হেদায়েত দান করুন, সঠিক রাস্তায় চলার তৌফিক দিন, আমীন্।

-আমিন।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৯

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: রাজীব নুর পুরাই একটা বিকৃত মস্তিকের লোক। সে না জেনেই ইসলাম নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ম নিয়ে না জেনে উল্টাপাল্টা কথা বলা কোনোক্রমেই উচিত নয়। আমরা আল্লাহর কাছে তার সুপথপ্রাপ্তি কামনা করছি।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: রাজীব নুর সাহেব কে আল্লাহতায়ালা হেদায়েত দিক।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

রাসেল বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে আমি যতদূর জানি, নবী করীম (সঃ) মুনাফিকদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে বলেছেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, মুনাফিকরা খুবই ভয়ঙ্কর। এরা সমাজে বিভেদ ছড়ায়। অপরকে বিপদে ফেলে, নিজেও বিপদে পড়ে।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
রাজীব নূর Quora বাংলায় বিচরণ করেন।ওখানে তিনি এইসব প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রশ্নকারী রাজীব নূরের উত্তর পছন্দ হয়েছে এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রশ্নকারী এক জায়গাতে কোরআনের রেফারেন্স দিয়েছেন -

"উভয় বাহিনীর পারস্পরিক সংঘর্ষের দিন তোমাদের মধ্য হতে যারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল, প্রকৃতপক্ষে শয়তান তাদেরকে তাদের কিছু কৃতকর্মের কারণে পদস্খলনে লিপ্ত করেছিল। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম সহিষ্ণু। [সূরা আলে ইমরান-১৫৫]"

এবং জানিয়েছেন হযরত ওমর এবং হযরত আবু বকর পলায়ন করেছিলেন।


২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



Quora বাংলায় তিনি বিচরণ করলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে, মিথ্যা এবং অপতথ্য ছড়ানো। এটা নিঃসন্দেহে গর্হিত অন্যায়। মারাত্মক পর্যায়ের অপরাধ। কোনো বিষয়ে না জেনে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে মারা একজন দায়িত্ব এবং জ্ঞানবান মানুষের কাজ হতে পারে না।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯

কু-ক-রা বলেছেন: উহা (রাজীব নুর) একটা পার্ভার্ট, এবং উহা (সৈয়দ কুতুব) রাজীব নূরের উক্ত লেখায় লাইক দিয়াও এইখানে আসিয়া সাধু সাজিতেছে। উহা (সৈয়দ কুতুব) উহার (পাঁদগাজির) মাল্টি নিক হইতে পারে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্লগার সৈয়দ কুতুবকে আমার জ্ঞানী ব্যক্তি বলে মনে হয়। যা হোক, ভুলের উর্ধ্বে মানুষ হিসেবে আমরা কেউই নই। তারও ছোটখাট ভুল হতেই পারে। আমি তার কল্যান কামনা করি।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০২

অগ্নিবাবা বলেছেন: নবীজী সারা জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন, দাঁতভাঙ্গা বাড়ী খেয়েছেন, তারপর এক জালিম ইহুদী মহিলা তাকে বিষপান করিয়েছেন, সেই বিষেই নবীজী কোতরাতে কোতরাতে কষ্ট পেয়ে মরেছেন। আজ আমরা ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি আমার ব্লগে আর কখনও এসে এই জাতীয় খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি দেন তাহলে ব্লগীয় নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কু-ক-রা@শুকরিয়া আপনাকে ! পাদগাজীর সাথে ট্যাগ করতে গিয়ে আপনি আমার উপকার করেছেন। আগের চেয়ে ভিউ বেড়েছে লেখার ! :-P

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া।

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ভালো লিখেছেন।

আশা করি রাজীব নূর ভাই তাঁর ভুল বুঝতে পারবেন।

তিনি আসলে ব্লগার কামাল সাহেবের মাধ্যমে প্রতারিত এবং প্রভাবিত।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



রাষ্ট্রীয় আইনে আমরা দেখি, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কেউ যদি কোনো অন্যায়-অপরাধে লিপ্ত হন তাহলেও কিন্তু তাকে শাস্তি পেতেই হয়। তার উচিত চিন্তা ভাবনা করেই কোনো কিছু লেখা।

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এটা পড়ে কেমন যেন অনুভূতি। আহারে আমাদের নবীজি (সাঃ) তার উম্মতের জন্য, ইসলামের জন্য কত কষ্ট করেছেন। কত আঘাত সয়েছেন। আর এখন এরা কী মিথ্যে গুজব ছড়াচ্ছে । আল্লাহ েএদের হেদায়েদ দান করুন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নকীব ভাইয়া

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #সৈয়দ কুতুব মিথ্যাবাদীদের পোস্টে লাইক দেয়া হতে বিরত থাকুন। লাইক দেয়ার মত অনেক পোস্ট আছে। লাইক দিলে এরা মিথ্যা গুজব ছড়াতে আরও অনুপ্রাণিত হয়।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আশা করছি, তিনি আপনার পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: রাজিব নূর যখন যা ভালো লাগে লিখে ফেলেন। কেননা ওনি আবার ফিডম প্রিয় মানুষ। আবার দেখবেন আপনার পোস্টের কিছু তার ভাল লাগলে এখান থেকে নিয়ে আরো অন্য কোথাও নুতন পোষ্টের অবতারনা করবেন। ওনি জানেনই না মিথ্যা কত বড় ফিতনা! দ্বীনের ব্যাপারে ফিতনা কারিদের কি শাস্তি।
আপনার পোষ্টটি আমাদের জন্য অনেক উপকারী পোষ্ট। আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি যখনই ধর্ম নিয়ে ভুলভাল লিখিব, আপনি তারপর সঠিকটা লিখিবেন। তাহলে ভারসাম্য ঠিক থাকিবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! আমার নিজের খেয়ে পড়ে এমন দায় পড়েনি যে, আপনার আগাছা আর জঙ্গল পরিষ্কারের পেছনে মূল্যবান সময় ব্যয় করতে হবে। আপনাকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র এবং এই সামহোয়্যারইনব্লগ এমন কোনো অধিকার অবশ্যই দেয়নি যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে আপনি ইসলাম ধর্মের বিবিধ বিষয়ে একের পর এক বিদ্বেষ ছড়াতেই থাকবেন।

আপনার উচিত নিজেকে সঠিক পথে নিয়ে আসা। ধর্ম আপনার ভালো না লাগলে আপনি তা পালন করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। কেউ তো আপনাকে বাধ্য করছে না। কিন্তু কেন রে ভাই, আপনি অন্যের অনুভূতি, আবেগ আর বিশ্বাসে বারবার আঘাত করে যাচ্ছেন?

আপনার কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে লিখুন। মন খুলে লিখুন। আপনার লেখার হাত ভালো। আপনার পাঠকের সংখ্যাও কম নয়। দয়া করে ধর্মীয় (ইসলামী) বিষয়ে মিথ্যা অপতথ্য দিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। সমাজে ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টি হয় এমন কাজ থেকে সতর্ক থাকুন।

আপনার কল্যান কামনা করছি।

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

জটিল ভাই ২.০ বলেছেন:
মাশাল্লাহ্ ♥
আল্লাহ্ সবাইকে হিদায়াত করুন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১৪

আরোগ্য বলেছেন: রাজীব নুর এর সেই পোস্ট দেখে আমিও অবাক হয়েছিলাম কিন্তু যেহেতু আমার সীরাত কোন বারই সম্পূর্ণ পড়া হয় নি তাই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছিলাম না। আপনি খুব ভালো একটা কাজ করেছেন। প্রয়োজনীয় তথ্য সহ পোস্ট খন্ডন করেছেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
রাজীব নুর হয়তো অসুস্থ, কেমন ভীমরতি ধরেছে মনে হয়। আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দিক।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মিথ্যাচারে পূর্ণ তার সেই পোস্ট পড়ে রীতিমত অবাক হয়েছিলাম। কারণ, ইসলাম ধর্মের অনেক বিষয়ে তাদের মিথ্যাচার আর অপপ্রচার ইতিপূর্বে চোখে পড়লেও এই বিষয়টা এর আগে কখনও দেখিনি। সেই বিচারে এই গুজবটা সম্ভবতঃ এদের নতুন আবিষ্কার। খুবই আশ্চর্য্য হওয়ার বিষয় হচ্ছে, এমন ডাহা মিথ্যা, এমন আজগুবি তথ্য এরা কোত্থেকে পায়? কীভাবে এরকম বিভৎস গুজব বানানো সম্ভব?

বস্তুতঃ ধর্মীয় বিষয়ে বিদ্বেষপূর্ণ এই ধরণের মিথ্যাচার আর গুজব মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। এগুলো পরিহার করা একান্তভাবেই উচিত। আপনার সাথে আমরাও দোআ করছি, আল্লাহ তাআ'লা তাকে সুস্থতা দান করুন। আমিন।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

আহরণ বলেছেন: উহূদের যুদ্ধে এক কাফের যুবক প্রচন্ড ঘুষি মেরে আপনার নবীর চাপার দাঁত ফেলে দিয়েছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জগতের শ্রেষ্ঠ মহামানবকে নিয়ে আপনার চরম গর্হিত, হিংসাত্মক এবং চূড়ান্ত বেআদবি মূলক মন্তব্যটি সম্মানিত ব্লগারবৃন্দকে দেখানোর উদ্দেশ্যে এবং মডারেশন টিম যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন সেজন্যই রেখে দেওয়া হলো, অন্যথায় ডিলিট করাই যৌক্তিক ছিল।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:১২

ধুলো মেঘ বলেছেন: উল্লেখিত ৭ জন মুহাজির সাহাবীর পাশাপাশি হযরত ফাতিমা (রা)ও রাসূলের সাথে পুরো যুদ্ধের সময়টা ছিলেন। পরবর্তীতে হযরত আয়েশা (রা)ও এসে যোগ দেন। রাসূল (স) গুরুতর আহত হলে আয়েশা (রা) তার ক্ষতস্থানে পানি ঢেলে দেন এবং ফাতিমা (রা) ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে পট্টি বেঁধে দেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?

২০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগে ধর্মীয় ফিতনা সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে কোন দিক নির্দেশনা নাই মনে হয়। নইলে একশন হতো।

২১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২২

করুণাধারা বলেছেন: যারাই পশ্চিমা দেশে যেতে চায়, তারা সহজতম উপায় হিসেবে ইসলামকে আক্রমণ করা পোস্ট দেয়। এদের বয়কট করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.