নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।\n\nপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষকের কঠোর শাস্তির বিধান করতে সমস্যাটা কোথায়?

১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

ধর্ষকের কঠোর শাস্তির বিধান করতে সমস্যাটা কোথায়?

ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ, যা শুধু ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে না, সমাজের নৈতিক ভিত্তিকেও নষ্ট করে। বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে, কিন্তু এর প্রতিকার ও প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেন এক অসম্ভব কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্ষন ও ধর্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান চাইলে সমস্যাটা কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের জটিলতা ও দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হই।

সুশীল সমাজের ধর্ষণের কঠোর শাস্তি বিরোধী অবস্থানঃ

সুশীল সমাজ বলতে আমরা সাধারণত শিক্ষিত, সচেতন ও প্রগতিশীল মানুষদের বুঝি, যারা সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল ইস্যুতে অনেক সময় তাদের অবস্থান অস্পষ্ট বা দ্বিধাগ্রস্ত বলে মনে হয়। প্রশ্ন উঠেছে, কেন সুশীল সমাজের একটি অংশ ধর্ষণের কঠোর শাস্তির পক্ষে সোচ্চার নন?

১. আইনের দুর্বলতা ও প্রয়োগের অভাব: বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি সম্পর্কে আইন আছে, কিন্তু তার প্রয়োগে ঘাটতি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় বা রাজনৈতিক প্রভাবে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। সুশীল সমাজের একটি অংশ মনে করেন, শুধু কঠোর শাস্তির বিধান করলেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

২. সামাজিক কুসংস্কার ও লজ্জার সংস্কৃতি: সমাজে এখনও ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুকে দোষারোপ করার মানসিকতা বিদ্যমান। অনেক সময় সুশীল সমাজের মানুষরাও এই লজ্জার সংস্কৃতির শিকার হন। তারা মনে করেন, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার জন্য বিষয়টি চেপে যাওয়াই ভালো। এই মানসিকতা ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।

৩. ধর্ষণের সংজ্ঞা ও প্রমাণের জটিলতা: আইনগতভাবে ধর্ষণের সংজ্ঞা ও প্রমাণ সংগ্রহ একটি জটিল প্রক্রিয়া। অনেক সময় সুশীল সমাজের মানুষরা এই জটিলতাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণের শাস্তির বিষয়ে দ্বিধান্বিত হন। তারা মনে করেন, ভুল অভিযোগের কারণে নিরপরাধ ব্যক্তির জীবন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ধর্ষণের পরিসংখ্যান ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটঃ

বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর হাজার হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে অনেক ঘটনাই মিডিয়ায় আসে না, কারণ সমাজের চাপ ও ভয়ে পরিবারগুলো নীরব থাকে।

১. শিশু ধর্ষণ: শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা পরিবারের সদস্য বা পরিচিত ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। এই ধরনের ঘটনাগুলো প্রমাণ করা কঠিন, কারণ শিশুরা অনেক সময় ঘটনা বুঝতে পারে না বা ভয়ে কথা বলতে চায় না।

২. নারী নির্যাতন: নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা শুধু ধর্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যৌন হয়রানি, শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক অত্যাচারও এর অন্তর্ভুক্ত। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির শিকার হন, কিন্তু ভয় ও লজ্জায় তারা প্রতিবাদ করতে পারেন না।

ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয়ঃ

ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে শুধু কঠোর শাস্তির বিধানই যথেষ্ট নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও জরুরি।

১. আইনের সঠিক প্রয়োগ: ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষক যেই হোক না কেন, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।

২. সামাজিক সচেতনতা: ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। নারী ও শিশুদের অধিকার সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করতে হবে। লজ্জার সংস্কৃতিকে ভেঙে ফেলে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিকে সাহায্য করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।

৩. শিক্ষা ও নৈতিকতা: শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের নারী ও শিশুদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা শেখানো উচিত।

৪. মিডিয়ার ভূমিকা: মিডিয়াকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। ধর্ষণের ঘটনাগুলোকে উপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করতে হবে এবং সমাজে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

শেষের কথাঃ

ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা শুধু আইন দিয়ে দূর করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা, নৈতিক শিক্ষা ও আইনের সঠিক প্রয়োগ। সুশীল সমাজকে এই ইস্যুতে আরও সোচ্চার হতে হবে এবং ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে পরিবর্তন আনতে হবে। শুধু তখনই আমরা একটি নিরাপদ ও ন্যায়বান সমাজ গড়ে তুলতে পারব।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: গত বিশ বছর ধরে এরকম কথাই শুনে আসছি।
তাতে ধর্ষন বন্ধ হয় নাই। বরং দিন দিন ধর্ষন বেড়েই চলেছে। এখন ভালো কথায় কাজ হবে না। যারা ধর্ষন করবে সাথে সাথে তাদের গ্রেফতার করে মেরে ফেলতে হবে। তাদের কোনো আইন আদালত দরকার নাই।

কথা ক্লিয়ার?

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ষণ বন্ধ করতে কঠোর আইন ও দ্রুত বিচার প্রয়োজন। শুধু ভালো কথায় সমস্যার সমাধান হবে না, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

রাসেল বলেছেন: অপরাধের শাস্তি না দেবার উদ্দেশ্য হলো অপরাধীকে উৎসাহী করা। যদি বিচারিক প্রক্রিয়ার (বিচার ব্যবস্থায় গলদ, আইনের অপপ্রয়োগ) মাধ্যমে অপরাধীকে অপরাধ করতে উৎসাহিত করা হয়, তাহলে বিচার ব্যবস্থার সাথে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত। আপনি ধার্মিক লোক, আশাকরি আপনিও জানেন শেষ বিচারে বিচারকদের শাস্তির ধরন কি হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতার নূন্যতম শিক্ষা নাই। সবশেষে বলি, যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, সে দেশের অবস্থা আমাদের প্রানের (!) বর্তমান বাংলাদেশের মতোই হবে। আমাদের দেশের দেশপ্রেমিক মহাজ্ঞানী মহাজনরা ইহা ভালো করেই জানে এর প্রতিকার আরো ভালো জানে এবং কেন এই জানার প্রয়োগ করে না তাও জানে।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



অপরাধীকে শাস্তি না দেওয়া আসলে তাকে উৎসাহ দেওয়ার শামিল। বিচার ব্যবস্থায় গলদ ও আইনের অপপ্রয়োগ অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়, যা সংশোধন জরুরি। শিক্ষা ও নৈতিকতার অভাব এবং বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। দেশপ্রেমিকদের উচিত সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হওয়া, না হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে কোনও কিছু করতে গেলে স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্কিংয়ের মূল বিষয় হয় সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী আর স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা। আপনি যেসব বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন এগুলো বড় আলাপ আর এগুলোই সুশীলদের আলাপ; দীর্ঘমেয়াদী আর মধ্যমেয়াদী চিন্তাধারা.........যার বাস্তবায়ন কখনও হয় না অথবা এই সুশীলরাই তা চায় না। কারন তারা, আর তাদের ভাই-বেরাদার, পরিচিতজনরাই ধর্ষণ-বান্ধব আর ধর্ষকদের প্রোটেক্টকারী। এরাই ধর্ষককে ফোনকলের মাধ্যমে ছাড়ায়ে নিয়ে আসে কিংবা ছেড়ে দেয়ার জন্য তদবির করে।

সাধারন জনগন চায় স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ, যা সমাজে তাৎক্ষণিক ইমপ্যাক্ট তৈরী করে। ধর্ষককে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিচার করে দোষী প্রমাণীত হলে এলাকার স্টেডিয়ামে বা প্রধান মাঠে নিয়ে ঝুলায়ে দিতে হবে। তাহলেই এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই স্বল্পমেয়াদে একমাত্র সমাধান। তা না হলে কিছুদিন পর পরই একেকটা আলোচিত ধর্ষণ কান্ড হবে আর সুশীলরা সংবাদ সম্মেলন করে বড় বড় কথা বলবে। সাধারন জনগন রিয়েলি সিক অফ ইট!!!!

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



দীর্ঘমেয়াদী ও মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে তা অর্থহীন। সাধারণ মানুষ স্বল্পমেয়াদী, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ চায়—যেমন দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি, যেমন প্রকাশ্যে ফাঁসি, সমাজে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলবে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। সুশীল সমাজের বড় বক্তব্যে মানুষ ক্লান্ত, তারা কার্যকর সমাধান চায়। গঠনমূলক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২১

অগ্নিবাবা বলেছেন: সবই বুঝলাম, তবে ইসলামী আইনে ধর্ষন প্রমান করবেন কিভাবে? মেয়েদেরকে কি সর্বক্ষন চারজন পুরুষকে সাক্ষীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে?

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



টেনশন নিয়েন না, ইসলামী আইনে ধর্ষণের প্রমাণ শুধু সাক্ষ্যের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং ফরেনসিক প্রমাণ, চিকিৎসা রিপোর্ট এবং অন্যান্য প্রমাণও গ্রহণযোগ্য। আধুনিক প্রযুক্তি ও আইনি পদ্ধতির সংমিশ্রণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব। বাস্তবিকতার প্রেক্ষিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলামী আইন নমনীয় এবং প্রয়োজনে সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণও হতে পারে। ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭

নতুন বলেছেন: ধষিতা নারী সমাজের চোখে খুবই খারাপ মানুষ হয়ে যায়।

তাই বেশির ভাগ নারীই যদি শারিরিক ভাবে আহত না হয়, বা কেউ যেনে না ফেলে তবে সেই ধর্ষনের ঘটনা প্রকাশ করেনা। :|

আমার মনে হয় মোট ধর্ষনের ৯৫% ই রিপোট হয় না।

সমাজের দৃস্টি ভঙ্গি না বদলালে ধর্ষকেরা এই সুযোগ নেবেই। তারা জানে নারীরা মুখ খুলবেনা, অথবা দূবল পরিবারের মানুষ তার বিচার করতে পারবেনা।

এখনো সমাজে ধর্ষককে বাচাতে বাবা, মা , পরিবার, বন্ধুবান্ধব, ক্ষমতাশিল নেতারা, উকিল মক্কেলেরা সদা ততপর।

সেক্সঅফেন্ডারদের সহ অপরাধীরদের একটা ডাটাবেইজ করা উচিত, সেটা সবার একসেস থাকবে এবং চাকুরি বা ব্যাংক লোন বা বড় সরকারী বা বেসরকারী সুবিধা নিতে হলে তাদের স্কোর দেখা হবে এমনটা করা হলেও কিছু মানুষ বুঝতে পারবে একবার এই রকমের অপরাধ করে ফেললে সারা জীবন তার ঘানী টেনে বেড়াতে হবে। এখনতো সবাই সব লুকিয়ে ফেলতে পারে সহজেই।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ষণের ঘটনা লুকানো হয় সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, যা অপরাধীকে উৎসাহ দেয়। সমাজের মানসিকতা বদলানো জরুরি। খুব ভালো প্রস্তাব দিয়েছেন, সেক্স অফেন্ডারদের ডাটাবেস তৈরি করে তাদের সুযোগ-সুবিধা সীমিত করলে অপরাধ কমতে পারে। অপরাধীরা যেন বুঝতে পারে, তাদের কাজের পরিণতি সারাজীবন বহন করতে হবে। ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধর্ষনের শিকাড় নারীরা যখন আদালতে বিচারের আশায় যায় তখন তাদের দ্বিতীয়বার অপমানীত হতে হয়। আমাদের বিচার ব্যবস্থার রিফর্ম প্রয়োজন।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বিচার ব্যবস্থায় ধর্ষিত নারীদের পুনরায় অপমানিত হওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। বিচার প্রক্রিয়াকে সংবেদনশীল ও ন্যায়সংগত করতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন, যাতে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পায় এবং অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮

কাঁউটাল বলেছেন: ইসলামি আইনে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে হবে। এছাড়া এই রোগ সারবে না।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলামি আইনে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, যা অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর। তবে শাস্তি বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমাজের মানসিকতা ও নৈতিকতার উন্নয়নও জরুরি। শুধু কঠোর শাস্তিই যথেষ্ট নয়, অপরাধের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে হবে।

আবার ইসলামী আইনের কথা বললেই এক শ্রেণির লোক হা রে রে বলে চিৎকার করে উঠবে। স্বভাবসুলভভাবেই তারা বলবে, শরিয়া আইন এই যুগে অচল। এরাই সেইসব সুশীল যারা সমাজ থেকে ধর্ষন বন্ধ হোক তা চান না। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

কৃষ্ণের মুরলী বলেছেন: ধর্ষকদের নুনু ২৫% থেকে ৫০% কেটে দেয়া উচিত।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি জরুরি, তবে শাস্তি মানবিক ও আইনের মধ্যে থাকা উচিত। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি সমাজে ন্যায়বিচার ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু শারীরিক শাস্তি নয়, অপরাধের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে হবে। ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

নতুন বলেছেন: কাঁউটাল বলেছেন: ইসলামি আইনে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে হবে। এছাড়া এই রোগ সারবে না

লেখক বলেছেন::- আবার ইসলামী আইনের কথা বললেই এক শ্রেণির লোক হা রে রে বলে চিৎকার করে উঠবে। স্বভাবসুলভভাবেই তারা বলবে, শরিয়া আইন এই যুগে অচল। এরাই সেইসব সুশীল যারা সমাজ থেকে ধর্ষন বন্ধ হোক তা চান না। ধন্যবাদ আপনাকে।



যারা ধর্ষকের প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ড দিতে চায় তারা শরিয়া আইন সম্পর্কে জানে কিন্তু বোঝে না।

পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ড দিতে হলে ৪ জন সাক্ষ দেওয়ার যোগ্য পুরুষ ধর্ষন হতে দেখেছে বলে আদালতে সাক্ষ দিতে হবে!

বাস্তবতার ভিক্তিকে কয়টা ধর্ষনের সময়ে ৪ জন সাক্ষ দেওয়ার যোগ্য পুরুষ উপুস্থিত থাকবে বলে মনে হয়?

সেটা না হলে সাধারন সাজাই দেবে আদালত, জেল, জরিমানা।

১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ইসলামী আইন বা শরীয়াহ আইন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এর গভীরতা ও বিস্তারিত দিকগুলো বুঝতে হবে। ইসলামী আইনে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সতর্ক ও ন্যায়সংগত। আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক:

১. চারজন সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা:

ইসলামী আইনে যিনা (ব্যভিচার) প্রমাণের জন্য চারজন সাক্ষীর প্রয়োজন হয়। এটি অত্যন্ত কঠিন শর্ত, যা এই অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ ও অপব্যবহার রোধ করতে সাহায্য করে। তবে এটি শুধুমাত্র যিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অন্য সব ধরনের যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে নয়।

২. অন্যান্য প্রমাণ:

ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যই একমাত্র প্রমাণ নয়। ইসলামী আইনে অন্যান্য প্রমাণও গ্রহণযোগ্য, যেমন:

ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট: ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির মেডিকেল রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি শারীরিক আঘাত, ডিএনএ প্রমাণ ইত্যাদি সরবরাহ করতে পারে।

ধর্ষকের স্বীকৃতি: যদি ধর্ষক তার অপরাধ স্বীকার করে, তবে তা প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

অন্যান্য আলামত: ধর্ষণের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য আলামত, যেমন ভিডিও ফুটেজ, ফোরেনসিক প্রমাণ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইত্যাদিও প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. ইসলামী আইনের ন্যায়বিচার:

ইসলামী আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা। ধর্ষণের মতো অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠোর ও ন্যায়সংগত হওয়া উচিত, যাতে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয় এবং সমাজে এর প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়।

৪. শরীয়াহ আইনের প্রয়োগ:

শরীয়াহ আইন কঠোর হলেও এটি অত্যন্ত ন্যায়সংগত ও মানবিক। এটি অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ ও অপব্যবহার রোধ করতেও সাহায্য করে। ইসলামী আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হলে এর গভীর জ্ঞান ও বোঝাপড়া প্রয়োজন।

উপসংহার:

ইসলামী আইনে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সতর্ক ও ন্যায়সংগত। চারজন সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা শুধুমাত্র যিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অন্য সব ধরনের যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে নয়। ধর্ষণের ক্ষেত্রে মেডিকেল রিপোর্ট, ধর্ষকের স্বীকৃতি এবং অন্যান্য আলামতও প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য। ইসলামী আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দিন এবং সমাজ থেকে সকল ধরনের অপরাধ দূর করার শক্তি দিন। আমীন।

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



অখন্ড অবসর। ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩

নতুন বলেছেন: ১. চারজন সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা:

ইসলামী আইনে যিনা (ব্যভিচার) প্রমাণের জন্য চারজন সাক্ষীর প্রয়োজন হয়। এটি অত্যন্ত কঠিন শর্ত, যা এই অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ ও অপব্যবহার রোধ করতে সাহায্য করে। তবে এটি শুধুমাত্র যিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অন্য সব ধরনের যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে নয়।


কোরানে , শরিয়া আইনে ধর্ষনের কি সাজা আছে? ধর্ষনের কথা উল্লেখ আছে?

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কোরআন ও শরিয়া আইনে ধর্ষণের বিষয়টি সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসের মাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। তবে, কোরআনে "ধর্ষণ" (rape) শব্দটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও, যৌন অপরাধ, জিনা (ব্যভিচার বা অবৈধ যৌন সম্পর্ক), এবং অন্যায়ভাবে কারো সম্ভ্রম নষ্ট করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। শরিয়া আইন এই বিষয়ে কোরআন, হাদিস, এবং ইসলামী ফিকহের (আইনশাস্ত্র) ভিত্তিতে বিধান প্রণয়ন করেছে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

কোরআনে ধর্ষণ সম্পর্কিত উল্লেখ

কোরআনে ধর্ষণ শব্দটি সরাসরি না থাকলেও, অবৈধ যৌন সম্পর্ক (জিনা) এবং অন্যায়ভাবে কারো উপর জুলুম করার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:

জিনার শাস্তি:

সূরা আন-নূর (২৪:২) এ বলা হয়েছে:

"ব্যভিচারী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ’ বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে তোমরা তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করো না, যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখো। আর তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করুক মুমিনদের একটি দল।"

এই আয়াতে জিনার শাস্তি হিসেবে অবিবাহিতদের জন্য ১০০ বেত্রাঘাতের কথা বলা হয়েছে। তবে, এটি স্বেচ্ছায় অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ধর্ষণের ক্ষেত্রে, যেহেতু এটি জোরপূর্বক ও অসম্মতিসূচক, এর শাস্তি ভিন্নভাবে বিবেচিত হয়।

জুলুম ও অন্যায়ের নিন্দা:

কোরআন জুলুম (অন্যায়) ও কারো সম্ভ্রম নষ্ট করার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সূরা আন-নিসা (৪:১৯) এ নারীদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবং অন্যায়ভাবে কাউকে কষ্ট দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সূরা আল-মায়িদা (৫:৩২) এ বলা হয়েছে, একজন নিরীহ মানুষের ক্ষতি করা পুরো মানবজাতির ক্ষতির সমান। ধর্ষণের মতো অপরাধ এই বিধানের আওতায় পড়ে।

শরিয়া আইনে ধর্ষণের শাস্তি

শরিয়া আইনে ধর্ষণকে (যাকে আরবিতে "ইঘতিসাব" বলা হয়) জিনা থেকে পৃথকভাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি জোরপূর্বক ও অসম্মতিসূচক অপরাধ। শরিয়া আইনের বিভিন্ন মাযহাব (ফিকহের বিদ্যালয়) এই বিষয়ে কিছুটা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেও, সাধারণ নীতিগুলো নিম্নরূপ:

ধর্ষণের শাস্তি:

হদ শাস্তি: যদি ধর্ষক বিবাহিত হয় এবং ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে হানাফি, মালিকি, শাফিঈ, এবং হাম্বলি মাযহাব অনুযায়ী শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড (পাথর ছুঁড়ে মৃত্যু, যদিও এটি বিরল)। এটি জিনার হদ শাস্তির সমতুল্য, কারণ ধর্ষণকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

তাযির শাস্তি: যদি হদ শাস্তির শর্ত (যেমন, চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য) পূরণ না হয়, তবে বিচারকের বিবেচনার ভিত্তিতে তাযির শাস্তি (কারাদণ্ড, জরিমানা, বা অন্যান্য শাস্তি) দেওয়া যেতে পারে।

ক্ষতিপূরণ: কিছু মাযহাবে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে, যা শিকারের সম্মান ও ক্ষতির জন্য দেওয়া হয়।

প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা:

শরিয়া আইনে জিনা বা ধর্ষণের মতো অপরাধ প্রমাণের জন্য চারজন নির্ভরযোগ্য পুরুষ সাক্ষীর প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য প্রয়োজন, যা ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রায়শই পাওয়া কঠিন। তবে, আধুনিক সময়ে অনেক ইসলামী আইনবিদ ডিএনএ প্রমাণ, মেডিকেল রিপোর্ট, এবং পরোক্ষ প্রমাণ গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন।

ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির সাক্ষ্যও গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় না, কারণ ধর্ষণ জোরপূর্বক ঘটে।

ধর্ষণের শিকারের অবস্থান:

শরিয়া আইনে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তারা নির্দোষ এবং তাদের সম্মান রক্ষার জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হয়।

হাদিসের উল্লেখ

হাদিসে ধর্ষণের বিষয়ে সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও, জোরপূর্বক কাউকে কষ্ট দেওয়া বা সম্ভ্রম নষ্ট করার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের সম্মান বা সম্পদের ক্ষতি করে, আল্লাহ তার উপর ক্রুদ্ধ হন।" (সহিহ মুসলিম)

আধুনিক প্রেক্ষাপট

আধুনিক ইসলামী আইনবিদদের মধ্যে ধর্ষণের শাস্তি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন, শরিয়ার হদ শাস্তির কঠোর শর্ত পূরণ না হলে তাযির শাস্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা উচিত। কিছু ইসলামী দেশে (যেমন, পাকিস্তান, সৌদি আরব) ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড, মৃত্যুদণ্ড, বা অন্যান্য শাস্তি প্রয়োগ করা হয়, তবে এটি দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে।

সারসংক্ষেপ

কোরআনে ধর্ষণ: সরাসরি "ধর্ষণ" শব্দটি নেই, তবে জিনা, জুলুম, এবং সম্ভ্রম নষ্টের বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
শরিয়া আইনে শাস্তি: ধর্ষণের জন্য হদ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড, বিবাহিত ধর্ষকের ক্ষেত্রে) বা তাযির শাস্তি (বিচারকের বিবেচনায়) প্রয়োগ হতে পারে। শিকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
প্রমাণ: চারজন সাক্ষী বা আধুনিক প্রমাণ (যেমন, ডিএনএ) বিবেচনা করা হয়।
ভুক্তভোগীর অবস্থান: ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি নির্দোষ এবং তাদের সম্মান রক্ষা করা হয়।

১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২১

নতুন বলেছেন: কোরআনে ধর্ষণ সম্পর্কিত উল্লেখ

কোরআনে ধর্ষণ শব্দটি সরাসরি না থাকলেও, অবৈধ যৌন সম্পর্ক (জিনা) এবং অন্যায়ভাবে কারো উপর জুলুম করার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।


তার মানে হইলো কোরানে ধর্ষনের সাজার কথা নেই।

কোরআনে ধর্ষণ শব্দটি সরাসরি না থাকলেও, অবৈধ যৌন সম্পর্ক (জিনা) এবং অন্যায়ভাবে কারো উপর জুলুম করার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

আপনি যদি কোন নারীর গায়ে হাত দেন সেটাও তার প্রতি জুলুম করার পর্যায়ে পড়বে।

তাই শরিয়া আইনে ধর্ষনের সাজার বিষয়টা কোরান থেকে না বরং সেটা মাজহাব ভিক্তিক স্কলার থেকে এসেছে?

৩০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



তার মানে হইলো কোরানে ধর্ষনের সাজার কথা নেই। আপনি যদি কোন নারীর গায়ে হাত দেন সেটাও তার প্রতি জুলুম করার পর্যায়ে পড়বে। তাই শরিয়া আইনে ধর্ষনের সাজার বিষয়টা কোরান থেকে না বরং সেটা মাজহাব ভিক্তিক স্কলার থেকে এসেছে?

-আপনার প্রশ্নটা আসলে ইসলামকে ছোট করার মানসিকতা থেকে এসেছে। কুরআনে প্রত্যেক প্রকার জুলুম ও অশ্লীলতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন:

“ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই এটি অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ।” -সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:৩২

ধর্ষণ ব্যভিচারের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ। তাই শরীয়াহত এটাকে জিনা + জুলুম + হারাবাহ (সশস্ত্র অপরাধ) সবগুলো ধারা মিলে শাস্তিযোগ্য করেছে। কুরআন (সূরা মায়েদাহ ৫:৩৩) অনুযায়ী, যারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে, হত্যা-ধর্ষণ-ডাকাতি করে, তাদের জন্য সাজা হলো: হত্যা করা, শূলে চড়ানো, হাত-পা কেটে দেওয়া, অথবা দেশ থেকে নির্বাসন।

অর্থাৎ ধর্ষণ শুধু “নারীর প্রতি জুলুম” নয়—বরং আল্লাহর দৃষ্টিতে এটি পৃথিবীর উপর ফিতনা ও হারাবাহ।

হাদীসে এসেছে: রাসূল ﷺ বলেছেন,

“যে ব্যক্তি জোরপূর্বক কারো ইজ্জত হরণ করবে, সে পাথর নিক্ষেপে (রাজম) শাস্তিযোগ্য।” -আবু দাউদ, হাদীস ৪৪১৩

তাই ধর্ষণের শাস্তি শরীয়াতে স্পষ্ট আছে—মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। মাজহাব বা আলেমরা শুধু এই কুরআন-হাদীস থেকে ব্যাখ্যা করেছেন, নিজেরা বানাননি।

যারা ইসলামবিদ্বেষী হয়ে “ধর্ষণের শাস্তি নাকি কুরআনে নাই” বলে প্রচার করে, তারা আসলে মিথ্যা রটনা করে ইসলামকে দুর্বল প্রমাণ করতে চায়। অথচ বাস্তবে ইসলামী শরীয়াহই ধর্ষণের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি নির্ধারণ করেছে—যা পশ্চিমা আইনেও নেই।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২১

নতুন বলেছেন: -আপনার প্রশ্নটা আসলে ইসলামকে ছোট করার মানসিকতা থেকে এসেছে। কুরআনে প্রত্যেক প্রকার জুলুম ও অশ্লীলতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

যারা ইসলামবিদ্বেষী হয়ে “ধর্ষণের শাস্তি নাকি কুরআনে নাই” বলে প্রচার করে, তারা আসলে মিথ্যা রটনা করে ইসলামকে দুর্বল প্রমাণ করতে চায়। অথচ বাস্তবে ইসলামী শরীয়াহই ধর্ষণের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি নির্ধারণ করেছে—যা পশ্চিমা আইনেও নেই।



আমার কমেন্টের জবাবে এই ছোট করার মানুষিকতার কথা টেনে এনেছেন আপনার ইনসিকিউরিটি থেকে।

কোরানে জিনা এবং ব্যভিচারের কথা আছে যেটা দুটাই ঘটে নারী পুরুষের সম্মতিতে। তাই ঐ শব্দগুলিকে ধর্ষনের সাথে মেলানো যাবেনা।

কোরানে আছে

কুরআন (সূরা মায়েদাহ ৫:৩৩) অনুযায়ী, যারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে, হত্যা-ধর্ষণ-ডাকাতি করে, তাদের জন্য সাজা হলো: হত্যা করা, শূলে চড়ানো, হাত-পা কেটে দেওয়া, অথবা দেশ থেকে নির্বাসন।
এই আয়াতের তরজমাতে আপনি কোথায় হত্যা-ধর্ষণ-ডাকাতি পাইলেন একটু জানাবেন কি???

এই ভাবে সুক্ষ কারচুপি করে সত্য লুকানোর কি দরকার?

আয়াতে বলা হয়েছে যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়। সেটা চাদাবাজীও একটা ফাসাদ, ইভটিজিং, চুরি.... এমন অনেক কাজ আছে যেটাকে ফাসাদ বলা যায়।

তরজমা: - যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়, তাদের আযাব কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে কিংবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এটি তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহাআযাব।
:-আল-বায়ান

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আর যমীনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে বেড়ায় তাদের শাস্তি হল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে, অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এ হল তাদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে মহাশাস্তি।
:- তাইসিরুল

যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, আর ভূ-পৃষ্ঠে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এটাই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শুলে চড়ান হবে, অথবা এক দিকের হাত ও অপর দিকের পা কেটে ফেলা হবে, অথবা তাদের দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে; এটাতো দুনিয়ায় তাদের জন্য ভীষণ অপমান, আর আখিরাতেও তাদের জন্য ভীষণ শাস্তি রয়েছে। :- মুজিবুর রহমান

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩৩

নতুন বলেছেন: https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=61781

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=36519

হাদীসে এসেছে: রাসূল ﷺ বলেছেন,
“যে ব্যক্তি জোরপূর্বক কারো ইজ্জত হরণ করবে, সে পাথর নিক্ষেপে (রাজম) শাস্তিযোগ্য।” -আবু দাউদ, হাদীস ৪৪১৩


২৩. রজম সম্পর্কে

৪৪১৩। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর বাণীঃ ’’তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যারা অশ্লীল কাজ করে, তবে তোমাদের মধ্য থেকে চার ব্যক্তিকে তাদের উপর সাক্ষী দাঁড় করাও। অতঃপর তারা সাক্ষ্য দিলে তাদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখো, যতক্ষণ না মৃত্যু তাদের অবসান ঘটায় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোনো পথ বের করেন’’ (সূরা আন-নিসাঃ ১৫)।

মেয়েদের সম্পর্কে একথা বলে পুরুষদের সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, অতঃপর উভয়ের সম্পর্কে একত্রে আলোচনা করেছেনঃ ’’আর তোমাদের মধ্যে দু’ জন নারী-পুরুষ যদি এ অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদের শাসন করো। অনন্তর তারা যদি তওবা করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়, তবে তাদেরকে ছেড়ে দাও।’’ (সূরা আন-নিসাঃ ১৬)। উপরোক্ত আয়াতের নির্দেশ ’বেত্রাঘাত’ সংক্রান্ত আয়াত দ্বারা রহিত হয়েছে। অতএব আল্লাহর বাণীঃ ’’ব্যভিচারিনী এবং ব্যভিচারী, তাদের প্রত্যেককে একশো বেত্রাঘাত করো।’’ (সূরা আন-নূরঃ ২)।[1]

সনদ হাসান।

আপনার উপরের হাদিসের ব্যক্ষাও অন্য রকম পাইলাম। সেখানেও জেনার কথা বলেছে। ধর্ষনের কথা না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.