নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ: গণতন্ত্র ও আইনের আলোকে বিশ্লেষণ

২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ: গণতন্ত্র ও আইনের আলোকে বিশ্লেষণ

অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগ বিশেষ ভূমিকা পালনকারী দল। দলটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধী মত দমন এবং অর্থ পাচারের মতো অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু মহল দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা কি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সাথে সংগতিপূর্ণ?

প্রথমত, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ নাগরিকদের রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার নিশ্চিত করে। এদেশের আইনে সকল রাজনৈতিক দলকে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার অর্থ হলো গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিকে ক্ষুণ্ন করা।

দ্বিতীয়ত, কোনো দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করলে তা আইনের শাসনকে দুর্বল করবে।

তৃতীয়ত, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো জনগণের মতপ্রকাশ ও নির্বাচনের অধিকার। কোনো রাজনৈতিক দল কতটা জনপ্রিয় বা অজনপ্রিয়, তা নির্ধারণের দায়িত্ব জনগণের। জনগণ যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট হয়, তবে সেটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। দল নিষিদ্ধ করা হলে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নজির হতে পারে এবং গণতান্ত্রিক চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাধা দেওয়া মানে জনগণের মতামত প্রকাশের অধিকার খর্ব করা।

চতুর্থত, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বা সংশ্লিষ্ট যেসব ব্যক্তি দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, দল নিষিদ্ধ না করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে পুরো দলকে নিষিদ্ধ করলে এটি আইনের শাসনের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিশোধপরায়ণতা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

পঞ্চমত, বাংলাদেশ একটি বৈশ্বিক অর্থনীতির অংশ। একটি বড় রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হলে তা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলে বিনিয়োগ, অর্থনীতি ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

অতএব, আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন কোন দল বা নীতি দেশের জন্য কল্যাণকর। এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত চেতনা।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫১

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: যুক্তি সংগত কথা বলেছেন ভাই। আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ! যুক্তিসঙ্গত চিন্তা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধই সর্বোত্তম পথ।

২| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অন্তত দুই টার্ম আম্লিক কে নির্বাচন থেকে বাহিরে রাখা উচিত। কিন্তু ভোটের রাজনীতি তে তা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে প্রতীক ব্যান করে দিলে কেমন হয়? :>

২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রতীক নিষিদ্ধ করা আসলে দলের নাম পরিবর্তনের সুযোগ করে দেবে, কিন্তু মূল সমস্যা সমাধান হবে না। পরিবর্তনের জন্য গণতান্ত্রিক ও আইনগত প্রক্রিয়াই সবচেয়ে কার্যকর পথ। জনগণের রায়ই এখানে মূল সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। :)

ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। তারা ক্ষমতায় এলে দেশ বারবার দূর্নীতিতে চাম্পিয়ন হবে।
জামাত তো বেঈমান। আর সময়ক/ বৈষম্যবিরোধীরা তো ভাড়াতে দল।
কাজেই আওয়ামীলীগ ভালো। মন্দের ভালো হলেও আওয়ামীলীগ ভালো।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



কোনো দলই এককভাবে "ভালো" বা "খারাপ" নয়; বরং তাদের কর্মকাণ্ডই তা নির্ধারণ করে। অতীতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি—সব সরকারই উন্নয়ন করেছে, আবার সমালোচিতও হয়েছে। একদলীয় চিন্তাভাবনা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার থাকা উচিত, যাতে তারা সুশাসনের ভিত্তিতে সঠিক দলকে নির্বাচিত করতে পারে। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে কাজ করাই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।

ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধরেন সরকার থেকেই মার্কা দিয়ে দিলো? জুতা, ঝাড়ু বা বদনা? মানুষ ভোট দিবে? :D

২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সরকার যদি জুতা, ঝাড়ু বা বদনা মার্কা দিয়েই ভোটের প্রতীক বানায়, তাহলে তো ভোটকেন্দ্রগুলো দেখতে হবে একেবারে ঘরোয়া শপিং মলের মতো! ভোটাররা গিয়ে বলবেন, 'এইবার ঝাড়ু মার্কায় ভোট দিলাম, আগামী পাঁচ বছর দেশটা ঝকঝকে পরিষ্কার থাকুক!' আর জুতা মার্কা পেলে হয়তো বলবেন, 'এইবার পায়ে দম আছে, তীব্র গতিতে চলবে দেশ!'

২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



তবে হ্যাঁ, মানুষ তো ভোট দিবেই! কারণ, শেষ পর্যন্ত প্রতীক যাই হোক, ভোটের মূল উদ্দেশ্য হলো ভালো নেতৃত্ব নির্বাচন করা।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইঁচড়েপাকা পোলাপান মনে করছে যা খুশি বলে দিলাম। একটা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা এত সহজ নয়, বড়জোর অপরাধীদের বিচার করতে পারে। জামায়াত একাত্তরে দল হিসেবে সরাসরি পাকিস্তানি মিলিটারিকে সহায়তা করেছে, তারা রাজনীতি করতে পারবে আর আওয়ামী লীগ করতে পারবে না? ছেলেখেলা মনে করছে এরা।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সহজ নয়, এটা আইনের বিষয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যে অবশ্যই সঠিক বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাজটি করতে হয়। তবে ২৪ এর জুলাই আগস্টে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়ে যে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছে সে জন্য তাদের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। তারপরেই তাদের রাজনীতির মাঠে নামা সঙ্গত মনে করি।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে আইন কানুন বলেছেন সেগুলি রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আওয়ামীলীগ কোন রাজনৈতিক দল না। এটা একটা মাফিয়া সংগঠন। পাকিস্তান আমলে হয়তো এরা রাজনৈতিক দল ছিল। এদের ব্যাপারে মাফিয়া সংক্রান্ত আইন প্রয়োগ করতে হবে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বেশ স্পষ্ট এবং দৃঢ়। তবে, বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, এবং দেশের মূলধারার রাজনীতির অন্যতম প্রধান শক্তি। আপনি যেমন তাদের কার্যক্রম বা নীতির কঠোর সমালোচক, আমরাও একইরকম, আর এটাই গণতন্ত্রে স্বাভাবিক। তবে কোনো দলকে "মাফিয়া সংগঠন" হিসেবে আখ্যায়িত করলে তার পক্ষে যথাযথ আইনি প্রমাণ থাকা দরকার। অবশ্যই বৈধ আদালত কর্তৃক ঘোষিত এবং সাব্যস্ত হতে হবে।

যদি কেউ মনে করে যে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাহলে তার জন্য দেশে প্রচলিত আইন ও বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়াই সঠিক পথ। আইনগত কাঠামোর বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটাই বরং স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে।

রাজনীতি নিয়ে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, তবে আলোচনার ক্ষেত্রটা যত যুক্তিনির্ভর হবে, ততই তা সমাজের জন্য ভালো।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:২১

সোহানী বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ ভালো। মন্দের ভালো হলেও আওয়ামীলীগ ভালো। =p~=p~=p~=p~=p~=p~=p~=p~=p~

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



উহার কথা ধরে লাভ নেই। উহা কখন কী বলেন তার ঠিক নেই।

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

Sulaiman hossain বলেছেন: আওয়ামী লীগ কে ভোট ডাকাতি করার সুযোগ না দেওয়া উচিত।আওয়ামী লীগ প্রতিবারই ভোট ডাকাতি করে বিজয়ী হয়েছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া উচিত—এটা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আওয়ামী লীগ যে বারবার ভোট ডাকাতি করে ১৬ বছর ক্ষমতা আকড়ে থেকেছে তার দিনের আলোর মত পরিষ্কার। এর বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া একান্তভাবেই উচিত।

আওয়ামী লীগ বারবার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জয়ী হয়ে এসেছে—এই সত্যকে এখন আদালতের মাধ্যমে প্রমাণ করা প্রয়োজন। একইসাথে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, এবং সর্বোপরি জনগণের দায়িত্ব। জনগণ যদি তাদের ভোটাধিকার রক্ষা করতে সচেতন হয়, তবে কোনো দলই অনিয়মের মাধ্যমে টিকে থাকতে পারবে না।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১

নতুন বলেছেন: আয়ামীলীগ যেই কাজ করেছে তার জন্য তাদের নিষিদ্ধ করা উচিত।

কিন্তু বাস্তবতা একটু আলাদা।

আয়ামীলীগের কতভাগ সমর্থকরা এই হত্যা, গুম, সন্ত্রাসের সাথে জড়িত?

আপনার শহরেই অনেক আয়ামীলীগের পুরানো এবং ভালো নেতারা ক্ষমতার সাথে ছিলোনা, বরং হাইব্রিডরা ক্ষমতা দখল করে কোটি পতি হয়েছে। সন্ত্রাস করেছে।

ভোটারদের বিরাট অংশই আয়ামীলীগের ১৯৭১ এর ভুমিকার জন্য ভোট দেয়। তাদের সংখ্যা ১৫-২৫% ।

চাইলেই এই বিরাট একটা সংখ্যার মানুষগুলিকে নিষিদ্ধদল ঘোষনা করা যায় না। তাহলে আয়ামীলীগের ভোটারদের উপরে আক্রমন শুরু হতে পারে, সমাজে সকল ক্ষত্রেই সমস্যা শুরু হবে।

তবে আগামী ২ নির্বাচনে আয়ামীলীগকে নিষেধ করতে হবে।

আর খুনি, সন্ত্রাসী সকল নেতাদের সাজা দিতে হবে। তখন আপা বলতে পারবেন না আমার কি দোষ।

যখন আয়ামীলীগের ভোটাররা দেখবে যে তাদের সন্ত্রাসীদের বিচার হয়েছে । তখন ভালো নেত্রিতে আবার দলের কাজ শুরু করুক তখন একটা ভরসাম্য আসবে।

নতুবা জামাতের আমির ১৯৭১ এ জামাতে ইসলাম দেশ স্বাধীন করেছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেটা ছিন্তাই করেছে এমন কথা শুনতে হবে। B-))

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজনৈতিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনেক মানুষের কাছে বিশেষভাবে মূল্যবান। তবে, দলের কিছু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

আওয়ামী লীগের সমর্থকদের একটি বড় অংশ দলের অতীত গৌরব এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তাদের প্রতি আস্থা রাখে। তবে, দলের অভ্যন্তরে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এতে করে দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে কিছুটা হলেও কাজ হতে পারে এবং এতে জনগণের আস্থা অর্জন করা কিছুটা সহজ হতে পারে।

আপনার পরামর্শ অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সাথে জড়িত নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রাখা যেতে পারে। তাদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এতে করে দলের ভেতরে ও বাইরে ভারসাম্য ফিরে আসবে এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

সবশেষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:০৫

নতুন বলেছেন: মানুষ আয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে বলছে ২০২৪ এর হত্যা, নির্যাতনের কারনে।

আর মানুষ ১৯৭১ এর হত্যা, নির্যাতনের কাহিনি ভুলে গেছে। তাই তো মানুষ জামাত, শিবিরের পক্ষে এতো মানুষ কথা বলছে। :|

যদিও শেখ হাসিনার সাজা দেওয়া যাবেনা শেষ পযন্ত। কারন রাজনিতিতে শেষ কথা বলে কিছু নাই। :(

কস্ট লাগে এখনো আয়ামীলীগের আপা এখনো বোঝেনাই তাদের কি দোষ? আর এখনো কোন আয়ামীলীগের নেতার কোন অনুসুচনা নাই। তাই হত্যা, সন্ত্রাসের বিচার না করলে আয়ামীলীগ পাল্টাবেনা।

আবার আয়ামীলীগ মাঠা না থাকলে জামাতের আমির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের দায়ীত্বও পাইতে পারে। =p~

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে, যা অনেক মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের ভূমিকা ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়। তবে, সময়ের সাথে সাথে মানুষের স্মৃতি থেকে অনেক কিছু ম্লান হয়ে যায়, এবং বর্তমানের সমস্যাগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এবং সমর্থকদের উচিত দলের অভ্যন্তরে সংস্কার আনা এবং হত্যা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা। এতে করে দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে এবং জনগণের আস্থা ফিরে পাওয়া যাবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কাজের স্বীকৃতি থাকলেও, দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদিহিতার অভাব দলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

শেষ পর্যন্ত, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই, এবং সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। তবে, দেশের স্বার্থে এবং জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগকে সংস্কারমুখী হতে হবে এবং হত্যা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটাই হবে দেশ ও দলের জন্য মঙ্গলজনক পথ।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অখন্ড অবসর আপনার। একেবারে রাজপুত কপাল যাকে বলে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.