নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধু সাবধান! দেশে অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে পলাতক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি!

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:০৬

সাধু সাবধান! দেশে অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে পলাতক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি!

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচির মিছিল, প্রথম আলো অনলাইন থেকে সংগৃহিত।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, লুটপাট, ভাংচুর এবং বিভিন্ন ধরণের সহিংস অপরাধ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে বিপন্ন, ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থা হারাচ্ছে জনগণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এসব অপরাধের পেছনে কারা দায়ী? গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এসব অপরাধের সিংহভাগই সংঘটিত হচ্ছে পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের দ্বারা, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

অপরাধের পেছনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি চক্র বারবার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। হরতাল, অবরোধ, সরকারি সম্পদ ধ্বংস, নিরীহ মানুষের ওপর হামলা—এসব তাদের পুরনো কৌশল। এখন তারা নতুন কৌশল হিসেবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে হাতিয়ার বানিয়েছে।

লুটপাট ও ভাংচুরের মদদদাতা:

সম্প্রতি কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের আউটলেটে হামলা, দোকান লুটপাট এবং সরকারি-বেসরকারি সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় জড়িতদের তদন্তে দেখা গেছে, এদের অনেকেই পলাতক স্বৈরাচারের সমর্থক। তারা ইসলামী লেবাস পোষাক ধারণ করে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে এদেশের ইসলামপন্থীদের দোষী সাব্যস্ত করার হীন উদ্দেশ্যে। এই জন্যই তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করে জনমনে ভয় ও ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়।

অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেট:

এই গোষ্ঠী শুধু সশস্ত্র অপরাধেই নয়, অর্থ পাচার, মাদক ব্যবসা এবং অবৈধ অস্ত্র কারবার এদের পুরাতন জাতিগত ব্যবসা। এরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারের সাথে জড়িত। তাদের লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেওয়া, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের প্রতি অসন্তোষ তৈরি হয়।

ইসলামের শিক্ষা vs. তাদের অপকর্ম

ইসলাম কখনওই অরাজকতা, লুটপাট বা নিরীহ মানুষের ক্ষতি করার অনুমতি দেয় না। হজরত ওমর (রা.)-এর সময়ে অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। অথচ আজ পলাতক ফ্যাসিবাদের দোসর কিছু লোক ধর্মের নামে সহিংসতা চালাচ্ছে, যা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত।

প্রতিবেশীর হক:

রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হতে, তাদের বিপদে পাশে দাঁড়াতে। অথচ এই অপরাধীরা প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়, বিদেশি বিনিয়োগকে ভীত করে তোলে।

ধর্মীয় সম্প্রীতির বিরোধিতা:

ইসলামে অমুসলিমদের উপাসনালয় রক্ষার নির্দেশ আছে। অথচ এই গোষ্ঠী ধর্মের নামে বিদেশি প্রতিষ্ঠান, সাধারণ মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যকে টার্গেট করে, যা কোনোভাবেই ইসলামসম্মত নয়।

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি: আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড

এই গোষ্ঠীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নতুন কিছু নয়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়:

সচিবালয় হামলা: আনসার বাহিনীর ছদ্মবেশে সচিবালয়ে হামলা চালিয়ে সরকারি কাজকর্ম ব্যাহত করা।
অটোচালক সেজে অবরোধ: রাজধানীজুড়ে অটোরিকশাচালকের ভূমিকায় অবরোধ সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো।
ফিলিস্তিন ইস্যুর অপব্যবহার: গতকাল ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মিছিলের নামে বিভিন্ন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাংচুর করা।

এসব ঘটনা প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা কোনো ইস্যুকেই সামনে এনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দ্বিধা করে না।

এই অপশক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো:

সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা: উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করে জনমনে হতাশা ছড়ানো।
বিদেশি ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়া: আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে অস্থির দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে বিদেশি বিনিয়োগ ঠেকানো।
সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা: গণতান্ত্রিক পথে ব্যর্থ হয়ে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা।

আমাদের করণীয়

সচেতনতা বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে, এই অপরাধগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে।
আইনের শাসন জোরদার: আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে, যেন অপরাধীরা বিচার এড়াতে না পারে।
সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা: স্থানীয় পর্যায়ে সচেতন নাগরিকদের নেটওয়ার্ক তৈরি করে অপরাধ প্রতিরোধ করতে হবে।

উপসংহার

দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। পলাতক ফ্যাসিবাদী অপশক্তি ও তাদের দোসররা যেভাবে অপরাধের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা হলো শান্তি, সম্প্রীতি ও ন্যায়বিচার—অরাজকতা নয়। তাই আসুন, আমরা সকলেই সচেতন হই, ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করি এবং দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখি।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১০

অগ্নিবাবা বলেছেন: ইহুদী নাসারারা কি দোষ করিল? তাহাদের নাম কোথায় গেলো? ইহুদী নাসারা ছাড়া ষড়যন্ত্র হয় কিভাবে?

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



ইহা গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট বটে! ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫

রাসেল বলেছেন: সুযোগবাদীরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, তাদের জন্য সব দলই সমান।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ঠিক বলেছেন, সুযোগসন্ধানীরা সবসময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। এদের দল বলতে কিছু থাকে না। বিবেক বলতেও কিছু থাকে না। দীর্ঘ ১৬ বছরে এইরকম একটি খাই খাই গোষ্ঠী তৈরি করে গেছে বিগত পলাতক ফ্যাসিবাদী অপশক্তি। তারাই আজ এইসব অপকর্মে লিপ্ত।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কেবল আওয়ামী লীগের দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। ছাত্রলীগ দুইদিন আগে মিছিল করেছে। সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



নিষিদ্ধ সংগঠন মিছিল করার সাহস পায় কীভাবে, সেটাই প্রশ্ন। তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা উচিত। প্রশাসনে নিষ্কৃয়দের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সব অপকর্মের মূলে আম্লিগ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩

লুধুয়া বলেছেন: একচুয়ালি ক্ষমতা আসাই তালিবানি পন্থী জামাতি দের আসল রূপ বেড়িয়ে আসছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দেশের বিশৃঙ্খলার পেছনে দায়ী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন:
কুত্তালীগের শত শত এজেন্ট একটিভলি কাজ করতেছে, এর সাথে প্রায় ৪০হাজার গোপালী পুলিশ কয়েক হাজার আমলা এদের সহযোগিতা করতেছে। ধৃত দুষ্কৃতিকারীদের কঠিন ডিম থেরাপি দিয়ে পিছনের কলকাঠি নাড়া লোকদের সনাক্ত করে নির্মূল করতে হবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন বলেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ফ্যাসিবাদের দোসর হাজার হাজার এখনও দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে একটিভ। প্রশাসন, পুলিশ থেকে শুরু করে এরা ঘাপটি মেরে আছে সর্বত্র। কোনো একটি ইস্যু পেলেই এরা সুযোগ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এদের সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত দেশে শান্তি কল্পনা করা বোকামি।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: :D

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



:)

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: Bata is Canadian. KFC is American. American পণ্য বর্জন করলে ওরা যদি বাংলাদেশী গার্মেন্টস বর্জন করে, তাহলে তো দেশে দুর্ভিক্ষ লাগবে! এসব আওয়ামীদের কাজ --বলেছেন অনলাইন সেলিব্রিটি তাজ হাসমি


০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



তাজ হাসমি ঠিকই বলেছেন। পলাতক ফ্যাসিবাদী অপশক্তি বাংলাদেশকে যে কোনো মূল্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর। তাদেরকে সর্বশক্তি প্রয়োগে প্রতিহত করতে হবে।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: জুলাই বিপ্লবের পর প্রতিটি অপকর্মের পেছনে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা, যেমনটি গত পনেরো ষোলো বছর করেছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



একদম সঠিক বলেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করতে পারলে ওদের মনের ক্ষোভ কিছুটা হলেও মিটতো। পলাতক খুনী হাসিনা তো সেটাই চেয়েছিল পলায়নের প্রাক্কালে। ইনডিয়ার সেনাদের দিয়ে। কিন্তু তার কালো হাত এদেশের ছাত্র জনতা ভেঙ্গে দিয়েছে। এই দুষ্ট খুনীচক্রের হাত থেকে দেশমাতৃকাকে রক্ষায় হাজারও ছাত্র জনতা প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে বীরের বেশে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।

দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে যে কোনো মূল্যে এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী গুন্ডাদের প্রতিহত করতেই হবে।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

নতুন বলেছেন: আমাদের হুজুগে বাঙ্গালীরা যেই সব পন্য বয়কট করতে বলেছে তাদের বেশির ভাগেরই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক নাই।

ইসরাইলের সাথে আমাদের সম্পর্ক নাই। সরাসরি কোন পন্য বা সাভিস আমরা কিনে আনি না।

দেশি কম্পানী গুলি বিদেশী ব্রেন্ডের নামে প্রচারনা ছড়াচ্ছে যাতে তারা সুবিধা পায়।

Bata is Canadian. KFC is American এই কম্পানি গুলি দেশী ফ্রান্চাইজি থেকে একটা ফি পায়। বেশির ভাগ পন্যই উতপাদন, বিক্রি, সেবা সকল কিছুই বাংলাদেশীরা জড়িত, হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হচছে।

ধর্মের আফিমে বুদ হয়ে মানুষ যৌক্তিক ভাবে ভাবেনা। জজবায় গতকাল বাটার জুতা লুট করলো।


যদি বয়কট করতে হয় তবে হজ্জ, ওমরা বয়কট করুন। তখন সৌদি আরবের রাজপরিবার আমেরিকার তাবেদারী বন্ধ করে আলোচনায় বসবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



হুজুগে বয়কটের নামে যা ঘটছে, তা আসলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির একটি প্রয়াস। হামলা, ভাংচূর, লুটপাটের ঘটনায় হেফাজত কিংবা ইসলামী দল কিংবা তৌহিদী জনতার ব্যানারে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী অপশক্তি সক্রিয়। বেশিরভাগ পণ্য যেগুলো বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ইসরাইলের সাথে কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশে এগুলোর উৎপাদন, বিপণন ও সেবা প্রদানে লাখো বাংলাদেশী জড়িত। এই বয়কটের ফলে দেশীয় শিল্প ও কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অথচ প্রকৃত উদ্দেশ্য হারিয়ে যাচ্ছে।

যারা জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট ও সহিংসতায় মত্ত, তারা আসলে জনগণের শান্তি ও উন্নয়নের শত্রু। এরা রাজনৈতিক স্বার্থে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যদি সত্যিকার অর্থে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে হয়, তাহলে কূটনৈতিক চাপ ও অর্থনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে হবে, অন্ধ বয়কট নয়।

আপনাকে মূল্যবান মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০

এ পথের পথিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাই ।
আম্লিক কখনই চায়নি বাংলাদেশ শান্তিতে থাকুক

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আম্লিক কখনই চায়নি বাংলাদেশ শান্তিতে থাকুক

-এটাই কথা। বাংলাদেশে শান্তি দেখে ওদের গায়ে আগুন ধরে গেছে। পলাতক ফ্যাসিবাদী অপশক্তি বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না। তাই যে কোনো মূল্যে এদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এসব অপকর্ম করছে। এবার এরা ধর্মের লেবাসে নেমেছে। এদেরকে নির্মূল করতে হবে।

আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানবেন।

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হুজুগে বাঙালী পেটে লাথি না পড়া পর্যন্ত নিজের ক্ষতিই ডেকে আনবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



"হুজুগে বাঙালী পেটে লাথি না খেলে শিক্ষা পায় না"—এই কথাটি এখন আক্ষরিক অর্থে সত্যি হচ্ছে। বিদেশী ব্র্যান্ডের নামে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বয়কট করে আসলে আমরা নিজেদেরই ক্ষতি করছি। এতে বিদেশী কোম্পানির কিছুই যায়-আসে না, কিন্তু দেশের হাজারো শ্রমিক, দোকানদার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বে।

যারা লুটপাট, ভাঙচুরে মত্ত, তারা ফিলিস্তিনের দুঃখে কাঁদছে না, বরং অরাজকতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়। এরা পলাতক ফ্যাসিবাদী অপশক্তির দোসর। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর সঠিক উপায় হলো সরকারি ও আন্তর্জাতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি, সাধারণ মানুষের রোজগারের ওপর আঘাত করা নয়। অন্ধ বয়কটের এই আগুনে পুড়বে শুধু বাংলাদেশই, ইসরাইল বা আমেরিকা নয়।

আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, ইফতেখার ভূইয়া ভাই।

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৬

আরোগ্য বলেছেন: না ভাই শুধু আওয়ামী লীগ বললে ভুল হবে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। এ দলটাই এখন অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি করছে। সরকারকে বিতর্কিত করতে পারলে এখন এদের সবচে বেশি লাভ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিকই বলেছেন। বিএনপিও বসে নেই। এই দলটির অনেক নেতাকর্মীও পলাতক খুনী ফ্যাসিবাদী অপশক্তির সাথে মিলেমিশে একাকার। এদের ভাবনায়ও হয়তো ঢুকে গেছে- লুটপাটের আদর্শ সময় এখনই। এগুলোকেও প্রতিহত করতে হবে। দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সকল বাধা সরিয়ে তবেই যেতে হবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্য।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৩

রোবোট বলেছেন: যা কিছু হারায় গিন্নী বলেন কেষ্টা বেটাই চোর।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



"যা কিছু হারায় গিন্নী বলেন কেষ্টা বেটাই চোর" – এই প্রবাদের মতোই আজকে বাংলাদেশে প্রতিটি অরাজকতা, ভাঙচুর আর লুটপাটের পেছনে আওয়ামী লীগের দোসরদের দায়ী করা খুবই স্বাভাবিক!

ফিলিস্তিনের নামে বয়কটের ঢাক পেটালেও, আসল লক্ষ্য কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করা। যারা দোকানে আগুন দেয়, পণ্য লুট করে – তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের সমর্থক গুণ্ডা বাহিনী, যারা সুযোগ পেলেই অস্থিরতা সৃষ্টি করে।

কেন এই সন্দেহ যুক্তিসঙ্গত? কারণ, ইতিহাস বলে: আগের যেকোনো সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা গোষ্ঠীরাই মূল হোতা ছিল। ভাংচূর, লুটপাটের প্রতিটি ঘটনায় পলাতক আওয়ামীলীগের দোসরগণই জড়িত। তাে, মানুষ তো তাদেরকে সন্দেহ করতেই পারে।

১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: এখন আপনাদের ভালো সুযোগ।
সব রকম অপকর্ম করবেন। নাম দিবেন আওয়ামীলীগ করছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ইতিপূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আপনি বাজে কমেন্ট করেছেন, যার প্রমান এই ব্লগে এখনও আছে। এই যে, আপনি নিজেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী খুনী অপশক্তির দোসর হিসেবে বারবার প্রমান করছেন, এতে কি আপনার গর্ব হয়?

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




রাজীব নুর বলেছেন: এখন আপনাদের ভালো সুযোগ।
সব রকম অপকর্ম করবেন। নাম দিবেন আওয়ামীলীগ করছে।


সঠিক।
ভালো কোন কাজ পারে না।
খারাপ কিছু্ হলেই আলীগ করেছে।
আলীগ তো দেশেই নাই।
দেশে আসলে কৈ যাইবা?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



আলীগ তো দেশেই নাই।

-দেশ থেকে পলায়ন তো করেছে অল্পকিছু সংখ্যক। বাদবাকি সবই তো ঘাপটি মেরে আছে। সুযোগ পেলেই হামলে পড়ে। অরাজকতা সৃষ্টি করে। আপনি এসব দেখতে পাবেন না। কারণ, আপনার চোখে ফ্যাসিবাদের চশমা লাগিয়ে রেখেছেন।

১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ফ্যাসিস্টের পালিত কুত্তারা ঘেউ ঘেউ করে করে অলিগলিতে দাংগা হাঙ্গামা বাঁধায়। চুরি বাটপারি থেকে শুরু করে কোন অপকর্মে নাই বলেন। এখানেও ঘেউ ঘেউ করতাছে দুই একজন, দলকানা আফসোস, সুবিধাবাদী, রক্তে মিশে আছে দুর্নীতি এদের। খুনীর অপকর্ম কখনো স্বীকার করবে না। হারাম হালাল বুঝবে না। ঈদের নামাজ পড়ে, ইফতার খায়, আবার ইসলামের বদনাম কয়। দুমুখো সাপগুলোকে আল্লাহ হিদায়াত দান করুন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ। এদেরকে বলে লাভ নেই। এরা সুবিধাবাদী। ফ্যাসিবাদের উচ্ছিষ্টভোগী।

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইতিপূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আপনি বাজে কমেন্ট করেছেন, যার প্রমান এই ব্লগে এখনও আছে। এই যে, আপনি নিজেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী খুনী অপশক্তির দোসর হিসেবে বারবার প্রমান করছেন, এতে কি আপনার গর্ব হয়?

আপনি ভালো করেই জানেন, আমি রাজনীতি করি না।
আমি কোনো দল করি না। যেটা সত্য, আমি তাই বলি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি ভালো করেই জানেন, আমি রাজনীতি করি না।
আমি কোনো দল করি না। যেটা সত্য, আমি তাই বলি।


-আপনি দল করেন না, বেশ ভালো কথা, তো ফ্যাসিবাদের দালালি কেন করেন? আপনার অধিকাংশ কমেন্টেই তো হাসিনার গুণকীর্তন করে থাকেন। এর কারণ কী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.