নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রিল্যান্সারদের রক্ত-ঘামে অর্জিত অর্থ আটকে রাখার ষড়যন্ত্র: পেপ্যাল চালু না করার পেছনে কাদের হাত?

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭

ফ্রিল্যান্সারদের রক্ত-ঘামে অর্জিত অর্থ আটকে রাখার ষড়যন্ত্র: পেপ্যাল চালু না করার পেছনে কাদের হাত?

পেপ্যাল লোগোটি বিবিসি ওয়েব পেইজ থেকে সংগৃহিত।

ভূমিকা

বিশ্বের প্রযুক্তিনির্ভর শ্রমবাজারে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা এখন এক অনস্বীকার্য শক্তি। আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, টোসল, গুরু ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে তারা প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা করে অর্জন করছে কোটি কোটি ডলারের কাজ। কিন্তু সেই পরিশ্রমের মূল্য নিজ দেশে পৌঁছাতে গিয়ে তাদের প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে এক অনাবশ্যক জটিলতার মুখে। এ জটিলতার কেন্দ্রবিন্দু—PayPal-এর অনুপস্থিতি

পৃথিবীর ২০০টিরও বেশি দেশে যেখানে PayPal কার্যকরভাবে সেবা দিচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ তার বাইরে। কেন? শুধু কি প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা? না কি এর পেছনে রয়েছে কোনো গভীর রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ষড়যন্ত্র?

পেপ্যাল কী এবং কেন এটি অত্যাবশ্যক?

PayPal একটি বিশ্ববিখ্যাত অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, যা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে নিরাপদ ও দ্রুত লেনদেন নিশ্চিত করে। বিশ্বব্যাপী শত শত অনলাইন মার্কেটপ্লেস, ক্লায়েন্ট, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান—সবাই PayPal-এর উপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হলে:

ফ্রিল্যান্সাররা সরাসরি ডলার গ্রহণ করতে পারতেন,

লেনদেন হতো মাত্র ১–২ ঘণ্টায়,

এবং ৪০% পর্যন্ত বেশি আন্তর্জাতিক কাজ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতো

তাবেদার ফ্যাসিবাদী শাসনের গোপন বাধা

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে PayPal চালু না হওয়ার মূল কারণ প্রযুক্তিগত দুর্বলতা নয়, বরং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ

১. ভারতীয় প্রেসক্রিপশন ও প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ

বিগত তাবেদার সরকার দীর্ঘ সময় ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি-সেবা বাধাগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারতে Paytm, RazorPay, PhonePe-এর মতো সার্ভিসের বাজারে আধিপত্য ধরে রাখতে বাংলাদেশে PayPal-এর প্রবেশ ঠেকানো হয়। এতে উপকৃত হয় ভারতের ফিনটেক ইকোসিস্টেম, ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা।

২. ব্যাংকিং লবির ষড়যন্ত্র

PayPal সরাসরি ডলার লেনদেনের সুযোগ দেয়, যা অনেক স্থানীয় ব্যাংক ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠানের কমিশননির্ভর ব্যবসায় বাধা তৈরি করে। এই মহল চায় না এমন কোন ব্যবস্থা আসুক, যাতে তাদের মাধ্যম ছাড়া ফ্রিল্যান্সাররা অর্থ আনতে পারেন।

৩. নিয়ন্ত্রণের ভয়

সরকার চায় বৈদেশিক লেনদেন পুরোপুরি ব্যাংকিং চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণে থাকুক। অথচ ফ্রিল্যান্সিং কোনো রেমিট্যান্স নয়, এটি রপ্তানি আয়ের অংশ। এখানে নিয়ন্ত্রণ নয়, স্বাধীনতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বর্তমান বাস্তবতা: ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে, কিন্তু বাধা কাটেনি

বর্তমানে দেশের নেতৃত্বে আছেন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। নতুন সরকারের কাছে প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণরা আশা করেছিলেন—অবশেষে পেপ্যাল চালু হবে। কিন্তু সেই আশায় এখনও জল ঢালা হয়নি।

এর পেছনে কারণ:

আমলাতান্ত্রিক গোঁড়ামি ও জ্ঞানের ঘাটতি

স্থানীয় মুনাফাখোর লবির চাপ

বিদেশি চাপে গঠিত পুরনো চুক্তির দাসত্ব


ফ্রিল্যান্সারদের আর্থিক ক্ষতি: প্রতি বছর ৫০০ মিলিয়ন ডলার লোকসান

বিকল্প মাধ্যমে (পেওনিয়ার, ওয়াইজ, স্ক্রিল) টাকা আনতে হয় ৩-১০% বেশি ফি দিয়ে

সময় লাগে ৫-৭ দিন, যার কারণে অনেক ক্লায়েন্টের আস্থা হারায়

অনেক ক্লায়েন্ট একমাত্র PayPal পেমেন্ট গ্রহণ করে, ফলে তারা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের এড়িয়ে চলে

করণীয়: পেপ্যাল চালুর বাস্তব পদক্ষেপ

বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন: PayPal কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ও বাস্তবধর্মী চুক্তি
ডিজিটাল পেমেন্ট নীতিমালার সংস্কার: বিদেশি পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারে আর্থিক স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রগতিশীল রেগুলেশন
জাতীয় স্বার্থে লবি প্রতিরোধ: দেশীয় স্বার্থবিরোধী লবির বিরুদ্ধে আইনি ও নীতিগত অবস্থান
ফ্রিল্যান্সিং রেমিট্যান্স স্বীকৃতি: জাতীয় বাজেট ও নীতিমালায় ফ্রিল্যান্স আয়ের জন্য আলাদা সুবিধা ও সংরক্ষিত প্রণোদনা

উপসংহার

বাংলাদেশের তরুণ সমাজ রাত জেগে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিশ্ববাজারে দেশের পতাকা তুলে ধরছে। অথচ রাষ্ট্র এখনো তাদের পাশে নেই।

PayPal চালু না করা শুধু প্রযুক্তি-বান্ধবতার অভাব নয়—এটি এক গভীর রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।

দেশের ফ্রিল্যান্সিং অর্থনীতি বাঁচাতে হলে পেপ্যাল চালু করতে হবে এখনই।
আর নয় দেরি, আর নয় গড়িমসি—এবার প্রয়োজন স্পষ্ট সিদ্ধান্ত, স্বচ্ছ নীতি ও সময়োপযোগী বাস্তবায়ন

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮

নকল কাক বলেছেন: অতি দ্রুত পেপাল চালু করা হোক।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। আর কোনো কথা নয়, আর কোনো অযুহাত নয়, অতি দ্রুত দেশে পেপ্যাল সচল করা হোক।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করায়।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে পেপাল চালু হলে ভারতের Paytm বা PhonePe এর অধিপত্য ঠিক কিভাবে বাধা গ্রস্থ হবে? আমাদের দেশে আমরা Paytm বা PhonePe ব্যবহার করি? মানে কিছু একটা মনে চাইলো আর বলে দিলাম?

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। মনে চাইলো আর বলে দিলাম, বিষয়টা এমন কিছু নয়। আসলে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কটা তাবেদারির কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছিল সেটা মাথায় রাখলেই পেপ্যালের বিষয়টা বুঝতে কিছুটা সুবিধা হবে। প্রভূ আর ভৃত্যের সেই অধঃপতিত সম্পর্কের ভেতরে যদিও এমন কোনো প্রমাণিত বা আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই যা নিশ্চিতভাবে বলে যে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু না করার পেছনে ভারতের সরাসরি হাত ছিল। তবে, এই বিষয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা এবং বিশ্লেষণ দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রেমী মহল এবং ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে রয়েছে।

তাহলে জল্পনা-কল্পনা এবং বিশ্লেষণগুলো কেন ছড়িয়েছে?
এটা মূলত কিছু যুক্তির ওপর ভিত্তি করে ছড়িয়েছে:

১. আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ও নিয়ন্ত্রণের মনোভাব:
অনেকে মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে পেপ্যালের মতো স্বাধীন পেমেন্ট গেটওয়ে না আসা সুবিধাজনক। কারণ, এতে ভারতীয় ফিনটেক প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্য অটুট থাকে।

২. তথাকথিত ‘বন্ধুত্বের কূটনীতি’ ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব:
বিগত সরকারগুলোর সময় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ‘অসাধারণ’ বলেই প্রচার হয়েছে। সমালোচকরা দাবি করেন, সেই সম্পর্কের কারণে ভারতের কিছু সুপারিশ বা প্রভাব আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হতো।ভারতের সরাসরি হাত আছে—এমন দাবির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। কিন্তু আঞ্চলিক ভূরাজনীতি এবং প্রযুক্তি অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে কিছু কৌশলগত উদ্বেগ বা প্রভাব যে একেবারে নেই, তা-ও জোর দিয়ে বলা যায় না।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ড. ইউনুস ক্ষমতায় থাকলে আস্তে আস্তে সব সমস্যারই সমাধান হবে।

ঘরের ভিতরের সমস্যাঃ সরকারের প্রশাসনে থাকা বর্তমান ফ্যাসিস্ট আবর্জনা আর বিএনপি'র অসহযোগিতার জন্য অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না।

ঘরের বাইরের সমস্যাঃ ভারত সরকারকে তাদের এদেশীয় দালালদের মাধ্যমে ব্যতিব্যস্ত করে রাখছে।

এই দুই সমস্যার কারনে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে যথাযথ সময় আর শ্রম ব্যয় করতে পারছে না। ড. ইউনুস আরো পাচ বছর থাকতে পারলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ!!! :)

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ড. মুহাম্মদ ইউনুস একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন, শান্তিতে নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব। তার প্রশাসনিক দক্ষতা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা তাকে অন্য সব নেতার চেয়ে আলাদা করে তোলে।

আপনি যেভাবে বিষয়গুলো আলাদা করেছেন—
# ঘরের ভেতরের সমস্যা (অদক্ষ বা দুর্নীতিপরায়ণ আমলা, রাজনৈতিক অসহযোগিতা),
# ঘরের বাইরের সমস্যা (আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রতিবেশী দেশের প্রভাব)—
তা নিঃসন্দেহে একটি বাস্তব চিত্র। এই প্রতিবন্ধকতা অস্বীকার করার উপায় নেই।

তবে আশার জায়গা হলো:
ড. ইউনুসের মতো নেতৃত্ব ঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা পেলে—
✔ প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান জোরদার হতে পারে
✔ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে জাতিগত ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব
✔ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশ একটি সম্মানজনক অবস্থানে যেতে পারে
✔ এবং, প্রযুক্তি-অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘমেয়াদী রূপান্তর ঘটতে পারে।

মূলকথা, ড. ইউনুস আরও পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকলে অনেক কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব— তবে সে পথ হবে সহজ না, দরকার হবে রাজনৈতিক ঐক্য, জনসম্পৃক্ততা আর নীতিগত দৃঢ়তা। আপনি যে আশার কথা বলেছেন—“ইনশাআল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে”—তা যেন শুধু প্রত্যাশায় সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং সঠিক নেতৃত্ব, জনসম্পৃক্ত সিদ্ধান্ত আর দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের মাধ্যমে বাস্তবে পরিণত হয়—এই আমাদের সকলের কামনা। :)

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮

নতুন বলেছেন: আসুন গ্রোক কি বলে। :-

বাংলাদেশে পেপ্যাল কেন বন্ধ আছে?
বাংলাদেশে পেপ্যাল বর্তমানে অনুপলব্ধ হওয়ার পেছনে বেশ কিছু বাস্তব কারণ রয়েছে:
নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা (Regulatory Hurdles):
বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ নীতি পেপ্যালের মতো প্ল্যাটফর্মের জন্য বড় বাধা। পেপ্যালকে কার্যকর করতে হলে ব্যবহারকারীদের অর্থ সরাসরি গ্রহণ ও প্রেরণের সুবিধা দিতে হবে, যা বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক প্রবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (MFS) জন্য নির্দেশ করে যে, এ ধরনের সেবার ৫১% মালিকানা কোনো ব্যাংকের হতে হবে এবং ডেটা স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। পেপ্যাল এই শর্ত মানতে রাজি নয়।

বাজারের আকার ও লাভজনকতা:
পেপ্যালের মতো কোম্পানি বড় বাজার ও উচ্চ লেনদেনের পরিমাণ দেখে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়লেও (৬,৫০,০০০+), সামগ্রিকভাবে লেনদেনের পরিমাণ পেপ্যালের জন্য যথেষ্ট লাভজনক নাও হতে পারে। এছাড়া, দেশের অধিকাংশ আর্থিক লেনদেন এখনও অফলাইন ও নগদ-নির্ভর, যা পেপ্যালের ব্যবসায়িক মডেলের সঙ্গে মানানসই নয়।

মানি লন্ডারিং ও নিরাপত্তার উদ্বেগ:
সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আশঙ্কা, পেপ্যালের মতো সেবা অবৈধ অর্থ পাচারের পথ খুলে দিতে পারে। এটি একটি বৈধ উদ্বেগ, তবে ফ্রিল্যান্সিং আয়কে রপ্তানি হিসেবে বিবেচনা করে স্বচ্ছ নীতি তৈরি করা সম্ভব।

অবকাঠামোগত দুর্বলতা:
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও ডিজিটাল অবকাঠামো এখনও পেপ্যালের মতো একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মকে পুরোপুরি সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত নয়। উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড পাওয়া এখানে কঠিন, যা পেপ্যালের জন্য একটি পূর্বশর্ত।

পেপ্যাল বাংলাদেশে কীভাবে আসতে পারে?
পেপ্যাল চালু করতে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
নীতিগত সংস্কার:
বাংলাদেশ ব্যাংককে ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য আধুনিক ও প্রগতিশীল নীতিমালা তৈরি করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং আয়কে রেমিট্যান্সের পরিবর্তে রপ্তানি আয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এর জন্য আলাদা নিয়ম করা যেতে পারে।

পেপ্যালের সঙ্গে আলোচনা:
সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পেপ্যালের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করতে পারে। পেপ্যাল অনেক দেশে স্থানীয় নিয়মের সঙ্গে সমঝোতা করে কাজ করে, তাই বাংলাদেশের জন্যও একটি কাস্টমাইজড সমাধান সম্ভব।

প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়ন:
ব্যাংকিং সেক্টরে ডিজিটাল লেনদেনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। স্থানীয় ব্যাংক বা এমএফএস প্রতিষ্ঠান (যেমন বিকাশ) পেপ্যালের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধিত্ব:
ফ্রিল্যান্সার সম্প্রদায়কে সংগঠিত করে তাদের চাহিদা সরকারের কাছে তুলে ধরা যেতে পারে। এটি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।

পরীক্ষামূলক চালু:
শুরুতে সীমিত পরিসরে (যেমন শুধু ফ্রিল্যান্সারদের জন্য) পেপ্যাল চালু করে এর ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতি (১০ এপ্রিল, ২০২৫)
আজকের দিন পর্যন্ত পেপ্যাল আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে চালু হয়নি। নতুন সরকারের (ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে) প্রযুক্তি ও অর্থনীতি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও পুরনো নীতির ধারাবাহিকতা এখনও বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে চাপ বাড়লে এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এটি সম্ভব।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার তথ্যসমৃদ্ধ ও বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপনার জন্য।

পেপ্যাল বাংলাদেশে চালু না হওয়ার পেছনে যে নিয়ন্ত্রণমূলক জটিলতা, বাজার বিশ্লেষণ, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে—তা অত্যন্ত বাস্তব ও যৌক্তিকভাবে গ্রোক এর সহায়তায় ব্যাখ্যা করেছেন। তবে আশার বিষয় হলো, নতুন সরকারের নেতৃত্বে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির অগ্রগতি ও নীতিগত সংস্কারের সম্ভাবনা রয়েছে।

যদি সরকার আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নেয় এবং ফ্রিল্যান্সার সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে পেপ্যাল বাংলাদেশে চালু হওয়াটা শুধু সময়ের ব্যাপার—ইনশাআল্লাহ।

আবারও ধন্যবাদ, আপনার বিশ্লেষণ পাঠককে অনেক কিছু ভাবতে ও বুঝতে সাহায্য করবে।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বর্তমান পরিস্থিতি (১০ এপ্রিল, ২০২৫)
আজকের দিন পর্যন্ত পেপ্যাল আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে চালু হয়নি। নতুন সরকারের (ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে) প্রযুক্তি ও অর্থনীতি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও পুরনো নীতির ধারাবাহিকতা এখনও বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে চাপ বাড়লে এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এটি সম্ভব।


আমি আমার মন্তব্যে যা বললাম, গ্রোক, বাঘের বাচ্চা সেটাই তুলে ধরেছে। এই সরকার যদি ঠিকমতো কাজ করতে পারে, তাহলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই জন্য সময় দরকার। সরকারের হাতে সিন্দবাদের জ্বীন নাই যে, ৮ মাসেই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবে।

গ্রোক এবং নতুন........দুইজনকেই ধন্যবাদ!!! :)

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি আমার মন্তব্যে যা বললাম, গ্রোক, বাঘের বাচ্চা সেটাই তুলে ধরেছে।

-তার মানে, প্রমান হয়ে গেল, আপনি গ্রোকের চেয়ে মোটেই কম নন। ;)

এই সরকার যদি ঠিকমতো কাজ করতে পারে, তাহলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই জন্য সময় দরকার। সরকারের হাতে সিন্দবাদের জ্বীন নাই যে, ৮ মাসেই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবে।

-ইনশাআল্লাহ।

গ্রোক এবং নতুন........দুইজনকেই ধন্যবাদ!!! :)

-আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্যে এসে মতামত ব্যক্ত করায়।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পেপাল চালু হলে ফ্রিলান্সার দের উপকার হবে আর স্টারলিংক আসলে রাজনৈতিক স্টান্টবাজিতে সুবিধা হয় ।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

পেপ্যাল চালু হলে ফ্রিল্যান্সাররা সরাসরি ও সহজে বৈদেশিক আয় দেশে আনতে পারবেন, যা ডিজিটাল অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে। অন্যদিকে, স্টারলিংক আনা যদি বাস্তব প্রয়োগে না গিয়ে শুধু রাজনৈতিক স্টান্টে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে তা জনগণের তেমন উপকারে আসবে না।

সচেতন মতামতের জন্য আবারও ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রাথমিকভাবে মনে হয়, উচ্চ মূল্য ছাড়া স্টারলিংক ইউজার ফ্রেন্ডলী হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার পর্যবেক্ষণের জন্য।

প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক হয়তো উচ্চমূল্যের কারণে সবার নাগালে না-ও থাকতে পারে, তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। ভবিষ্যতে দাম কমলে এর ব্যবহার বাড়বে বলেই আশা।

আন্তরিক ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: পেপ্যাল প্রথমেই ২১ শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় জনমনে নেতিবাচক ধারণা জন্মেছে।

(দু:খিত, আগের মন্তব্যটা অন্য একটা পোস্টের জন্য করতে যেয়ে ভুলবশত আপনার এই পোস্টে করে ফেলেছি)

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

পেপ্যাল নিয়ে আর্থিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার প্রশ্নে কিছু মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে—বিশেষ করে প্রাথমিক অর্থসংক্রান্ত বিতর্কের কারণে। তবে সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালার মাধ্যমে এই ধারণা কাটানো সম্ভব।

আন্তরিক ধন্যবাদ।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নতুন বলেছেন: ফ্রীল্যান্সেরা ড;ইউসুনের সাথে দেখা করুক অথবা রাস্তা বন্ধ করুক। যেই ভাষা সরকার বুঝতে চায় সেই ভাষায় বললেই হলো।

পেপ্যালের জন্য একদিনের রাস্তা ব্লক খারাপ না। B-))

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ফ্রিল্যান্সারদের ন্যায্য দাবি জোরালোভাবে উপস্থাপন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা যেন শান্তিপূর্ণ, গঠনমূলক ও আইনসম্মত হয়—এটাই সর্বোত্তম পথ।

আন্তরিক ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৪৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: নিয়ন্ত্রণমূলক বাধা (Regulatory Hurdles):
বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ নীতি পেপ্যালের মতো প্ল্যাটফর্মের জন্য বড় বাধা। পেপ্যালকে কার্যকর করতে হলে ব্যবহারকারীদের অর্থ সরাসরি গ্রহণ ও প্রেরণের সুবিধা দিতে হবে, যা বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক প্রবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি নীতিই পেপ্যাল চালুর পথে বড় বাধা হয়ে আছে। সময়োপযোগী সংস্কারই হতে পারে এর একমাত্র সমাধান।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৩০

রবিন_২০২০ বলেছেন: pay pal এর নিজস্ব বিজনেস পলিসি আছে। বাংলাদেশ সরকারকে এটার সাথে এডজাস্ট করতেই হবে।
বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে জাওয়াদ করিমের সাথে যোগাযোগ করা। সে Elon Mask এর সো কলড Pay Pal মাফিয়ার সাথে যুক্ত ছিল। এখনো যথেষ্ট influence রাখে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।
পেপ্যালের নিজস্ব বিজনেস পলিসি ও বাংলাদেশের আর্থিক নীতির মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। জাওয়াদ করিমের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হলে এটি একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: সব আওয়ামীলীগের দোষ।
আপনি এখন যে কোনো কিছুর জন্য সরাসরি আওয়ামীলীগকে দায়ী করতে পারেন। এবং জনসমর্থন পাবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকেই ফ্যাসিবাদী এবং ভিনদেশী তাবেদার অপশক্তি হিসেবে তাদেরকে দায়ী করে মতপ্রকাশ করছেন—যদিও জনমত কখনো একপাক্ষিক হয় না, তবে গণতন্ত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি আমার সোজা কথার এতো প্যাচানো উত্তে কেন দিচ্ছেন? আপনি লিখেছেন ভারতের Paytm বা PhonePe এর আধিপত্য বজায় রাখতে পেপাপকে আসতে দেওয়া হয় নি।
কথাটা কী পরিমান ভোগাস শোানাচ্ছে আপনি কি ভেবে দেখেছেন?

আপনার যুক্তিটা তখন খাটতো যদি Paytm বা PhonePe আমাদের দেশে চালু থাকতো এবং আমাদের দেশের মানুষ এটা ব্যবহার করতো। Paytm বা PhonePe আমাদের দেশে চালু নেই। ইন্ডিয়াতে এটা আভ্যন্তরিন পেমেন্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে। এখন আপনি আমাকে বলেন দেখি যে সার্ভিস আমাদের দেশের মানুষ ব্যবহার করে না, যেটা আমাদের এখানে চালু নেই, এমন কি সেটা বিকল্পও না এমন একটা সার্ভিস আমাদের এখানে চালু হলে ওদের কী সমস্যায় পড়বে যে ওরা বাধা দিবে?
ইন্ডিয়াতেও কিন্তু পেপাল রয়েছে । ওরা পেপাল ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক পেমেন্টদের জন্য।

আপনি ভারত আর আওয়ামীলীগ সিম্ড্রোমে ভুগছেন। সব কিছুতেই আপনার ভারত আর আওয়ামীলীগের দোষ চোখ পড়ছে। এমতাবস্তায় আপনার পক্ষে সঠিক ভাবে কোন কিছু বিশ্লেষণ করা সম্ভব না। আমাদের ব্লগে আরো কয়েকজন এই রোগে আক্রান্ত। কেউ কেউ সব কিছুতেই জামাত শিবির পাকিস্তানের যড়যন্ত্র দেখে, কেউ সব কিছুতেই আমেরিকার ষড়যন্ত্র দেখে। আবার কেউ সব কিছুতেই আওয়ামী আর ভারতের ষড়যন্ত্র দেখে। এরা আলাদা আলাদা পক্ষ হলেও মূলত সবার রোগই একই।

দ্রুত সুস্থ হোউন এই দোয়া করি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ পুনরায় আপনার বিশ্লেষণের জন্য।

আপনি ঠিকই বলেছেন—Paytm বা PhonePe বাংলাদেশে চালু নেই। আমার বক্তব্যটা ছিল বৃহত্তর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে। যেমন—পেপালের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম এলে দেশের উদ্যোক্তারা আরও স্বাধীনভাবে লেনদেন করতে পারত, যা কিছু আঞ্চলিক শক্তির স্বার্থের বিরোধী হতে পারে।

ভারত বা আওয়ামী লীগকে সব কিছুর কেন্দ্রে দেখাটা নিশ্চয়ই সঠিক নয়, কিন্তু প্রভাব-প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ—তা একেবারে অস্বীকারও করা যায় না।

আপনার মতের প্রতি সম্মান রেখে বলছি—মতভিন্নতা মানেই অসুস্থতা নয়। আলোচনা হোক যুক্তির, বিদ্বেষের নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.