![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
জিও নিউজের বিশ্লেষণ
পাক-ভারত পাল্টাপাল্টি আকাশসীমা বন্ধ: কার ক্ষতি বেশি? ছবি কৃতিত্ব এআই।
পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে, পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতও। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারতই। পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় শত শত ভারতীয় ফ্লাইটকে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। দিল্লি, মুম্বাই, অমৃতসর, আহমেদাবাদ থেকে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকাগামী ফ্লাইটগুলো এখন বাড়তি সময় ও জ্বালানি খরচের মুখে পড়ছে। কিছু ফ্লাইটকে মাঝপথে থেমে জ্বালানি নিতে হচ্ছে, যেমন এয়ার ইন্ডিয়ার টরন্টো-দিল্লি ফ্লাইটকে কোপেনহেগেনে এবং প্যারিস-লন্ডন ফ্লাইটগুলোকে আবু ধাবিতে থামতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভারতের আকাশসীমা বন্ধের ফলে পাকিস্তানের খুব সামান্যই ক্ষতি হবে। বিকল্প হিসেবে তারা সহজেই চীনের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, ভারতের বিমান সংস্থাগুলো লাখ লাখ ডলারের ক্ষতির মুখে পড়বে। অবশ্য এ ধরনের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত নতুন নয়। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ ও ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পরও একই অবস্থা হয়েছিল এবং প্রতিবারই ভারতের ক্ষতি বেশি হয়েছে।
পেহেলগামের হামলার জন্য ভারত ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। পাকিস্তান জোরালোভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরই মধ্যে উভয় দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা, ভিসা বাতিল এবং বাণিজ্য স্থগিতসহ একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সর্বশেষ উত্তেজনায় দেখা যাচ্ছে, আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের অর্থনীতি ও এয়ারলাইনস খাত বেশি চাপে পড়েছে। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।
©somewhere in net ltd.