নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বজ্রপাতের সময় করণীয়: সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৩০

বজ্রপাতের সময় করণীয়: সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা

ছবি কৃতজ্ঞতা এআই।

বজ্রপাতের সময় ঘরে থাকুন, খোলা জায়গা এড়িয়ে চলুন।
উঁচু গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে থাকুন।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না, জানালা বন্ধ রাখুন।
আহত হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করুন।
নফল নামাজ, তাওবা, দান-সদকা করুন, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।

বৈজ্ঞানিক সতর্কতা

বজ্রপাতের সময় ঘরে থাকা সবচেয়ে নিরাপদ। খোলা মাঠ, উঁচু স্থান এড়িয়ে চলুন, এবং রবারের জুতা পরে বাইরে বের হলে সতর্ক থাকুন। উঁচু গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব বস্তু থেকে দূরে থাকুন। গাড়িতে থাকলে ধাতব অংশ স্পর্শ করবেন না। বাড়িতে থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন এবং মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না। আহত হলে বৈদ্যুতিক শকের মতো চিকিৎসা দিন এবং দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন।

আধ্যাত্মিক আমল

বজ্রপাতের সময় নফল নামাজ পড়ুন, ধৈর্য ধারণ করুন, এবং আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তেগফার করুন। দান-সদকা দিন, যা আল্লাহর অসন্তুষ্টি দূর করতে পারে। ঝড়-বাতাস শুরু হলে এই দোয়া পড়ুন: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি। বজ্রপাতের সময় আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা; ওয়া আ-ফিনা-ক্বাবলা জা-লিকা পড়ুন। বজ্রের আওয়াজ শুনে সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রা‘দু বিহামদিহি বা সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি বলুন।

বিস্তারিত বিবরণ: বজ্রপাতের সময় সতর্কতা ও আধ্যাত্মিক আমল

বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। চলতি মৌসুমে এর প্রভাব আরও বেশি, তাই সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। নিচে বৈজ্ঞানিক সতর্কতা এবং ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী আমলগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।

বৈজ্ঞানিক সতর্কতা: বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকার উপায়

বজ্রপাতের সময় নিরাপদ থাকতে কিছু বৈজ্ঞানিক সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। এটি জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

ঘরে অবস্থান করুন: বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরের ভেতরে থাকুন। অতি জরুরি প্রয়োজনে রবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন, কারণ রবার বিদ্যুৎ পরিবহন রোধ করে।

খোলা জায়গা এড়িয়ে চলুন: খোলা মাঠ, উঁচু স্থান বা খোলা জায়গায় থাকবেন না। খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে, কানে আঙুল দিয়ে এবং মাথা নিচু করে বসে থাকুন, যা বিদ্যুৎ স্রোতের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

নিরাপদ আশ্রয় নিন: যত দ্রুত সম্ভব কংক্রিটের ছাউনি বা দালানের নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালার নিচে থাকা এড়িয়ে চলুন, কারণ টিন বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে দূরে থাকুন: উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন, কারণ এগুলো বজ্রপাত আকর্ষণ করতে পারে।

দলবদ্ধভাবে না থাকা: খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকলে বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০-১০০ ফুট দূরে সরে যান, যা একাধিক ব্যক্তির আঘাতের ঝুঁকি কমায়।

গাড়িতে থাকলে সতর্কতা: গাড়ির ভেতর থাকলে ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে গাড়িটি কংক্রিটের ছাউনির নিচে নিয়ে যান।

বাড়িতে থাকলে সতর্কতা: জানালার কাছে বা বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম (যেমন, টিভি, ফ্রিজ) থেকে দূরে থাকুন।

বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ: বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না, কারণ বিদ্যুৎ স্রোত এগুলোর মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে।

আহত ব্যক্তির চিকিৎসা: বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকের মতো চিকিৎসা প্রদান করুন। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বা হাসপাতালে নিয়ে যান।

আধ্যাত্মিক আমল: ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী করণীয়

বজ্রপাতের সময় ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী কিছু আমল রয়েছে, যা মুমিনদের জন্য সুন্নত এবং আল্লাহর রহমত প্রাপ্তির উপায়। নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

নফল নামাজ ও ধৈর্যধারণ: যেকোনো দুর্যোগে মুমিনদের করণীয় হলো আল্লাহকে স্মরণ করা, ধৈর্য ধারণ এবং নফল নামাজে মনোনিবেশ করা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, "হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" -সুরা বাকারা: ১৫৩

তাওবা-ইস্তেগফার: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তাওবা করা, নিরাপত্তার দোয়া করা, আল্লাহকে স্মরণ করা, এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "দ্রুততার সঙ্গে মহান আল্লাহর জিকির করো, তাঁর নিকট তাওবা করো।" (বুখারি: ২/৩০; মুসলিম: ২/৬২৮)।

দান-সদকা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে দান-সদকা করা উত্তম। হাদিসে এসেছে, "সদকা আল্লাহর অসন্তুষ্টিকে নিভিয়ে দেয় এবং অপমৃত্যু রোধ করে।" -সুনানে তিরমিজি: ৬০০)।

বিশেষ দোয়া: বজ্রপাত ও দুর্যোগের সময়

রাসুলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন দুর্যোগের সময় নির্দিষ্ট দোয়া পড়তেন, যা আমরা অনুসরণ করতে পারি। নিচে তা তালিকাভুক্ত করা হলো:

ঝড়-বাতাস শুরু হলে اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই ঝড়ের কল্যাণ, এর মধ্যস্থিত কল্যাণ, এর সঙ্গে প্রেরিত কল্যাণ প্রার্থনা করি। আমি আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। -বুখারি: ৩২০৬; মুসলিম: ৮৯৯; তিরমিজি: ৩৪৪৯

প্রবল বৃষ্টিপাত হলে اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ

আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা, ওয়ালা আলাইনা, আল্লাহুম্মা আলাল আকাম ওয়াজ জিরাব ওয়া বুতুনিল আওদিয়া, ওয়া মানাবিতিস শাজার

হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের ওপর নয়। হে আল্লাহ! পাহাড়-টিলা, খাল-নালা, গাছ-উদ্ভিদ গজানোর স্থানগুলোতে বৃষ্টি দিন। -বুখারি: ১০১৪

বজ্রপাতের সময় اللَّهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ، وَلَا تُهْলِكْنَا بِعَذَابِكَ، وَعَافِنَا قَبْلَ ذٰلِকَ

আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আফিনা কাবলা জালিকা

হে আল্লাহ! আপনার গজব দিয়ে আমাদের হত্যা করবেন না, আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করবেন না, এর আগেই আমাদের ক্ষমা করুন। -তিরমিজি: ৩৪৫০; নাসায়ি: ৯২৭

বজ্রের আওয়াজ শুনে سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ

সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রা‘দু বিহামদিহি

পবিত্র তিনি, যাঁর প্রশংসায় বজ্র ধ্বনি করে। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২৯২১৩

বজ্রের আওয়াজ শুনে (অন্য) سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَমْدِهِ

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর প্রশংসা। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২৯২১৩

আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা رَبَّنَا اکْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ

রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা, ইন্না মুমিনুন

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাসী। -সুরা দুখান: ১২

বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে বৈজ্ঞানিক সতর্কতার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক আমল পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে থাকা, ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এড়ানো, এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে প্রাণহানি কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে, আল্লাহর কাছে দোয়া, তাওবা, এবং দান-সদকার মাধ্যমে তাঁর রহমত কামনা করা মুমিনের দায়িত্ব। এই সতর্কতা ও আমলগুলো মেনে চললে বজ্রপাতের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮

মুনতাসির বলেছেন: গতকাল মনে হয় ১৫ জন মারা গেছেন। গুরুত্বপূর্ন পোস্ট।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বজ্রপাতে হতাহতের সংখ্যা ইদানিং ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২১

যামিনী সুধা বলেছেন:



আপনি কি আসলে আফ্রিকার পিএইচডি!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি কোথাকার? পাবনার?

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বজ্রপাত নিয়ে ইসলাম ধর্মে যা বলা হয়েছে, সেটা অতন্ত দুঃখজনক।

০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলাম বজ্রপাতকে আল্লাহর কুদরত ও মহিমার নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেটা সূরা রা'দ-এ স্পষ্টভাবে বলা আছে। এটি কোনো কল্পকাহিনি নয়—আজকের বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে যে বজ্রপাত প্রকৃতির একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ধর্মীয় ব্যাখ্যাকে 'দুঃখজনক' বলা অজ্ঞতা ও অহংকারের পরিচয়। আপনি যদি কিছু না বোঝেন, তাহলে ব্যঙ্গ নয়—জানার চেষ্টা করুন। প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায়, অপমান করলে শুধু নিজের অসভ্যতা প্রমাণ হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.