![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হবে না যে কারণে ছবি কৃতিত্ব এআই।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র—ভারত ও পাকিস্তান—দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা, সীমান্ত সংঘর্ষ এবং অবিশ্বাসের মধ্যে রয়েছে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতা এবং কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ এখন আর আগের মতো সহজলভ্য কিংবা সম্ভাব্য নয়। আজকের বিশ্বে যুদ্ধ কেবল অস্ত্রের নয়, বরং অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জনমত এবং কৌশলগত স্বার্থের একটি জটিল সমীকরণ।
বিপুল এই বিশ্বে ভারতের ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্র একমাত্র ইসরায়েল, তবে এই মিত্রতা মূলত সামরিক ও প্রযুক্তি নির্ভর এবং এর আন্তর্জাতিক প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যে সীমিত। রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব থাকলেও, রাশিয়া ইরানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। যেহেতু ইরান পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তাই রাশিয়ার পক্ষপাত ভারতকে সামগ্রিক সমর্থন দেওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিত্র চীন—যার সঙ্গে অর্থনৈতিক (CPEC) এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অত্যন্ত দৃঢ়। যুদ্ধের সময় চীন সরাসরি না এলেও, পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় সহায়তা দেওয়া একপ্রকার নিশ্চিত।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারসাম্য রক্ষা করতে চায়। ভারত তার অন্যতম বাণিজ্যিক ও কৌশলগত অংশীদার হলেও, পাকিস্তান আফগানিস্তান সংক্রান্ত ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বরং নিরপেক্ষ অবস্থানেই থাকবে। এই নিরপেক্ষতা যুদ্ধের সম্ভাবনা হ্রাস করে। অন্যদিকে, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপ—ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপে বিরক্ত। ফলে যুদ্ধের সময় তারা ভারতের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেবে—বিষয়টি অনিশ্চিত। এ অবস্থান ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে দুর্বল করে।
উভয় দেশই অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। যুদ্ধ মানে বিশাল ব্যয়, অবকাঠামো ধ্বংস এবং জনজীবনে চরম দুর্ভোগ। এছাড়া, দুই দেশের জনগণও যুদ্ধ নয়, বরং শান্তি ও উন্নয়ন চায়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও যুদ্ধ বিরোধী, বিশেষত পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনায় বিশ্বব্যাপী চাপ তৈরি হবে, যা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রবল বাধা। অন্যদিকে, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই পরমাণু শক্তিধর দেশ। কোনো ধরনের সামরিক সংঘাত দ্রুতই বিশাল মাত্রায় বিস্তৃত হয়ে যেতে পারে। এই ভয়াবহতা উভয় পক্ষকেই কূটনৈতিক সমঝোতার পথে বাধ্য করে। যুদ্ধ মানেই আন্তর্জাতিক উদ্বেগ, মানবিক বিপর্যয় এবং অর্থনৈতিক ধস—যা কেউই চায় না।
সবদিক বিবেচনায় ভারত-পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। ঐতিহাসিক বৈরিতা ও রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও আন্তর্জাতিক মিত্রতা, অর্থনৈতিক বাস্তবতা, কৌশলগত ভারসাম্য ও জনমতের কারণে দুই দেশই যুদ্ধ এড়িয়ে চলবে। কূটনৈতিক আলোচনা, সমস্যা সমাধানে আন্তরিকতা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাই হতে পারে শান্তির পথ। দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই শান্তি ও সমঝোতার উপর—যেখানে যুদ্ধ নয়, পারস্পরিক উন্নয়নই হবে মূলমন্ত্র।
২| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:০১
কামাল১৮ বলেছেন: ভারত এবং ইসরাইলের সীমানা সম্প্রসারিত হবে ২০২৬ সালের মধ্যে।বিশ্বের মানচিত্রে পরিবর্তন হতে শুরু করেছে গত দশ বছর ধরে।
৩| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১২:৪০
আরোগ্য বলেছেন: জিওপলিটিক্যাল গবেষণা করে দেখিয়েছেন যুদ্ধ হবে না তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কেমন সন্দেহ থেকে যায়। বলা যায় না কি হয়, অনেকটা ২০/২০ ম্যাচের মত। তবে ভারত শীঘ্রই তার কুকর্মের ফল ভোগ করবে ইনশাআল্লাহ।
৪| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৮
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: যামিনী সুধা বলেছেন: কোন দোয়া আছে যা বাংগালীরা পড়লে মোদীর মনে যেন শান্তির সুবাতাস বহে?
- মোদির দোআ বা প্রার্থনার কোনো দরকার নাই গাজীভাই। সে নিজে বলেছে সে ভগবানের অবতার ! সে বিশেষ কাজে পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছে ! ইউটিউবে রয়েছে সেই ভিডিও দেখে নিতে পারেন
৫| ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের নবীজি যুদ্ধ পছন্দ করতেন।
কিন্তু এই আধুনিক যুগের মানুষজন যুদ্ধ পছন্দ করে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
আপনি দোয়া করাতে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেছে; কোন দোয়া আছে যা বাংগালীরা পড়লে মোদীর মনে যেন শান্তির সুবাতাস বহে?