নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা



ইদানিং নারীনীতি নিয়ে দেশে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে। আলেম-ওলামা এবং ইসলামপন্থীরা যখন পাশ্চাত্যঘেঁষা নারীনীতির সুপারিশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখনই মূলত এই আলোচনার বিস্তার ঘটে। অথচ এই সুযোগে কিছু তথাকথিত চুশীল বুদ্ধিজীবী এমনসব বক্তব্য দিচ্ছেন ও লেখালেখি করছেন, যা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, বরং কখনো কখনো ইসলামের মৌলিক আদর্শের বিরুদ্ধেও চলে যাচ্ছে।

এদের অনেকে নিজেদেরকে মুসলিম দাবী করলেও তাদের বক্তব্যে কুরআন-সুন্নাহর প্রতি সম্মান প্রকাশ পায় না। তারা ইসলামপন্থী বা শরিয়াহপন্থী মানুষদের 'মৌলবাদী', 'বর্বর', 'নারীঘাতক', এমনকি 'গণতন্ত্রবিরোধী' বলতেও পিছপা হন না। অথচ তারা যে যুক্তি ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেন, তা পশ্চিমা সেক্যুলার ও নারীবাদী চিন্তাধারার অনুরণন ছাড়া কিছুই নয়। দুঃখজনকভাবে বলতে হচ্ছে, নারী অধিকারের নামে পশ্চিমা সমাজে মূলতঃ নারীকে ভোগ্যপণ্যে পরিণত করা হয়। যেখানে নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার বলতে কিছুই থাকে না।

আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই: মুসলিম দাবিদার হলেই কি প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায়? কেউ যদি কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশাবলিকে অস্বীকার করে, শরিয়াহর বিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে—তাহলে কি তার ঈমানের দাবির যথার্থতা থাকে?

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
“হে মুমিনগণ! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সামনে এগিয়ে যেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু শ্রবণকারী, সব কিছু জ্ঞাত।” — সূরা আল-হুজুরাত: ১

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

"لا يؤمن أحدكم حتى يكون هواه تبعاً لما جئت به"
“তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা আমার আনা দীন অনুযায়ী না হয়।” — শরহুস-সুন্নাহ, ইমাম আল-আজুরি

এছাড়া কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে:

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ...
“না, আপনার প্রতিপালকের শপথ! তারা কখনোই ঈমানদার হবে না যতক্ষণ না তারা আপনাকে নিজেদের মধ্যকার বিবাদের মীমাংসাকারী না মানে, এবং আপনি যে ফয়সালা করেন তাতে তারা মনে কোনো কষ্ট অনুভব না করে ও তা পূর্ণরূপে মেনে না নেয়।” — সূরা আন-নিসা: ৬৫

সুতরাং যারা কুরআন-হাদীসকে পাশ কাটিয়ে স্রেফ পশ্চিমা চিন্তা অনুসরণ করে নারী অধিকার ব্যাখ্যা করতে চান এবং ইসলামী বিধানকে 'বর্বরতা' বলে অপবাদ দেন, তারা নিজেরাই ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। ইসলাম নারীকে অধিকার দিয়েছে, মর্যাদার আসনে বসিয়েছে, নিরাপত্তা ও মর্যাদার মাঝে জীবনযাপন নিশ্চিত করেছে।

وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ
“নারীদের জন্য রয়েছে অধিকার, যেমন তাদের উপর দায়িত্ব রয়েছে—উত্তমভাবে।” — সূরা আল-বাকারা: ২২৮

এছাড়া হাদীসে এসেছে:

"النساء شقائق الرجال"
“নারীরা পুরুষদের সহধর্মিনী বা অংশ।” — আবু দাউদ: ২৩৬

তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়, যারা কুরআনের সুস্পষ্ট বিধান অস্বীকার করে, যারা আল্লাহ ও রাসূলের হুকুমকে পাশ কাটিয়ে তথাকথিত পাশ্চাত্যনীতি ও নাস্তিক্যবাদীদের তত্ত্ব আঁকড়ে ধরে, তারা কি আদৌ মুসলিম দাবির যোগ্য?

এই দ্বিচারিতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতারণা রুখে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। ইসলাম নারীকে অধিকার দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে, গাইডলাইন দিয়েছে। তাই ইসলামের নামে অপপ্রচার চালানো এবং শরিয়াহর বিরুদ্ধাচরণকে "চিন্তার স্বাধীনতা" বলার মানে হলো নিজের ঈমানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

শেষ কথা:
আমরা ইসলামবিরোধী নই, নারীবিরোধীও নই। বরং যারা ইসলামের নাম নিয়ে নারীর অপমান করে, যারা সত্যিকারের ইসলামী মূল্যবোধকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে, নিজেদেরকে ভেকধারী চুশীল সাজাতে চায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধেই কথা বলি। আমরা চাই নারী সম্মান পাক, নারী মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করুক—কিন্তু সেটা যেন ইসলামের শাশ্বত মূল্যবোধ অনুসরণ করেই হয়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪

Sulaiman hossain বলেছেন: বুদ্ধিজীবীরা সব কুলাঙ্গার এবং জারজ বলে আমার মনে হয়,ওদেরকে বুদ্ধিজীবী না বলে গাধাজীবী অথবা কুত্তাজীবী বললে মানানসই হবে

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এরা আত্মবিক্রিত। নিজেদেরকে মুসলিমও দাবি করে আবার কুরআন হাদিস এবং ইসলামী শরীয়াহর বিরুদ্ধে বিষোদগারও করে। আসলে এরা অতিশয় লোভী। খুব সামান্য কিছু প্রাপ্তির আশায় নিজেদের ঈমান, আখিরাত সবকিছু বিক্রি করতে দ্বিধা করে না। এদের জন্য দুঃখ হয়। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সঠিক পথ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

Sulaiman hossain বলেছেন: বাংলাদেশ একটি ইসলামি সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ।এখানে ইসলাম বিরোধী কোনো আইন মেনে নেওয়া মানে দেশ ও জাতির ৈঐতিয্যকে ক্ষতি সাধন করা।ইসলামি আইন কখনো দুনিয়ার উন্নতি তে বাধা বা অন্তরায় নয়।অনেক ইসলামি রাষ্ট্র দুনিয়াবি উন্নতিতে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার বক্তব্যে ইসলাম ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা স্পষ্ট। নিঃসন্দেহে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং ইসলাম আমাদের জাতীয় পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি বিষয় আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, একটি রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা যখন গঠিত হয়, তখন সেটি সকল নাগরিক—ধর্ম, জাতি, মত নির্বিশেষে—সবার কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য হওয়া উচিত।

মূল্যবান মতামত প্রদান করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৭

লুধুয়া বলেছেন: আপনাদের মতামত নিলে বাংলাদেশ কে ১৪০০ বছর আগে ফিরে যেতে হবে।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যে ইসলাম সম্পর্কে অবজ্ঞার সুর লক্ষ্য করা যায়, যা দুঃখজনক। ১৪০০ বছর আগে নাজিল হওয়া ইসলাম কোনো পশ্চাদপদতার নাম নয়—বরং ন্যায়, শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও সভ্যতার আলো নিয়ে এসেছে। সেই যুগেই মুসলিম সভ্যতা চিকিৎসা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত ও দর্শনে অগ্রগামী ছিল, যখন ইউরোপ অন্ধকার যুগে ডুবে ছিল। অতএব, ইসলামকে পিছিয়ে পড়া ভাবা অজ্ঞতার পরিচয়। ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ না করে, সহনশীল আলোচনার মধ্য দিয়ে মত প্রকাশ করুন—তাতেই সমাজ ও জাতির কল্যাণ নিহিত।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




'১৪০০ বছর আগে' আর '১৪০০ বছর ধরে' কথাটার মাঝে পার্থক্য আছে।

আমরা ১৪০০ বছর ধরে ইসলাম প্রচার, প্রসার এবং পালন করি।

ইনফ্যাক্ট, ইসলামের জন্ম আদম নবী পৃথিবীতে আসার আগেই। এর মানে বুঝেন? আমরা যারা ইসলাম পালন করি, তাঁদের সভ্যতা কয়েক লক্ষ কোটি বছরের। যা আজও চলমান।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


উপরের কমেন্টটি ব্লগার লুধুয়াকে করা হয়েছে।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কোন ধর্ম যদি নারীদেরকে চাষের জমি মনে করে তাহলে বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখবেন?

০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,

আপনার মন্তব্যে ইসলাম সম্পর্কে চরম ভুল ব্যাখ্যা ও বিদ্বেষ প্রকাশ পেয়েছে। কুরআনের "তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্রস্বরূপ" (সূরা আল-বাকারা, ২:২২৩) আয়াতটি নারীদের অবমাননার জন্য নয়, বরং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা ও দায়িত্বের সৌন্দর্য প্রকাশে বলা হয়েছে—যেখানে পারস্পরিক সম্মান, স্নেহ ও দায়িত্ববোধের গুরুত্ব রয়েছে।

ইসলাম নারীদের চাষের জমি নয়, বরং মায়ের আসনে বসিয়েছে, জান্নাতকে তাদের পায়ের নিচে ঘোষণা করেছে। তাই কুরআনের বক্তব্যকে বিকৃত করে ধর্ম বিদ্বেষ ছড়ানো জ্ঞানের নয়, বিদ্বেষের পরিচয়।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:১৭

মামুinসামু বলেছেন:
ভূমিহীন কৃষকের গান

- হেলাল হাফিজ

দুই ইঞ্চি জায়গা হবে?
বহুদিন চাষাবাদ করিনা সুখের।

মাত্র ইঞ্চি দুই জমি চাই
এর বেশী কখনো চাবো না,
যুক্তিসঙ্গত এই জৈবনিক দাবি খুব বিজ্ঞানসম্মত
তবু ওটুকু পাবো না
এমন কী অপরাধ কখন করেছি!

ততোটা উর্বর আর সুমসৃণ না হলেও ক্ষতি নেই
ক্ষোভ নেই লাবন্যের পুষ্টিহীনতায়,
যাবতীয় সার ও সোহাগ দিয়ে
একনিষ্ঠ পরিচর্যা দিয়ে
যোগ্য করে নেবো তাকে কর্মিষ্ঠ কৃষকের মত।

একদিন দিন চলে যাবে মৌসুম ফুরাবে,
জরা আর খরায় পীড়িত খাঁ খাঁ
অকর্ষিত ওলো জমি
কেঁদে-কেটে কৃষক পাবে না।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ২:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সংক্ষেপে বললে কবি হেলাল হাফিজের "ভূমিহীন কৃষকের গান" কবিতাটি ভূমিহীন কৃষকের জীবনসংগ্রাম, সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ন্যূনতম জীবিকার অধিকারের জন্য এক হৃদয়স্পর্শী আকুতি প্রকাশ করে।

আপনি কবিতাটি এখানে উল্লেখ করে কী বুঝাতে চেয়েছেন, একটু বললে বুঝতে সহজ হতো। ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:২২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি প্রশ্ন করেছেন - "তারা কি মুসলিম দাবীর যোগ্য?"

ভালো প্রশ্ন। কিন্তু, ব্যাখ্যার দাবী রাখে।

আমরা কোন মুসলমানকে ততক্ষণ পর্যন্ত 'মুরতাদ' বলতে পারবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে এক খোদাকে মেনে নেয়।

আপনি কি নারী নীতি ঘোষণাকারীদের মুরতাদ ঘোষণা করছেন? আপনি কি একজন মুফতি? আপনার পরিচয় জানার আগ্রহ থাকলো।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রশ্ন ও ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। আমি কাউকে 'মুরতাদ' ঘোষণা করিনি। এমনকি, আমার পোস্টের কোথাও "মুরতাদ" শব্দটির উল্লেখও করিনি। কারণ এটি করার জন্য প্রয়োজনীয় ধর্মীয় কর্তৃত্ব বা যোগ্যতা কোনোটিই আমার নেই। আমি মুফতিও নই, শুধু একজন সাধারণ ব্যক্তি, যিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। আমার প্রশ্নটি ছিল শুধুমাত্রই কৌতূহল নিবারণ ও বোঝার উদ্দেশ্যে, কোনো রায় দেওয়ার জন্য নয়। আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা আর ফায়সালা দেওয়া কখনোই এক হতে পারে না।

ইসলামে 'মুরতাদ' ঘোষণা একটি গুরুতর বিষয়, যা শুধুমাত্র যোগ্য আলেম বা মুফতি, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও শরিয়াহর নীতি অনুসরণ করে করতে পারেন। আপনার বক্তব্যটি ভালো লাগলো যেখানে আপনি বলেছেন, আমরা কোন মুসলমানকে ততক্ষণ পর্যন্ত 'মুরতাদ' বলতে পারবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে এক খোদাকে মেনে নেয়।

আর আমার পরিচয়? আমি একজন সাধারণ মুসলিম। জীবন জগতের বর্ণিল জ্ঞানের বিষয় জানতে এবং জানাতে পছন্দ করি। বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয়ে আমি তথ্য ও যুক্তি দিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করি। আপনার মতামত ও ব্যাখ্যা শুনতে আগ্রহী!

৯| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

মামুinসামু বলেছেন: কবিতায় metaphorically ভিন্ন অর্থও প্রকাশ করতে পারে। যেমন কৃষকই কবি, কবিই প্রেমিক... ইত্যাদি।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। সেটারও সম্ভাবনা আছে। হতে পারে। আমি স্বাভাবিক ভাবার্থ বলার চেষ্টা করেছিলাম।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

যামিনী সুধা বলেছেন:




১৯৭১ সালে সব মোল্লা পাকিদের হয়ে কাজ করেছে: কিছু রাজকার হয়েছিলো, বাকীরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকী সেনাবাহিনীকে সাহা্য্য করেছিলো।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্টে নারীনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে এখানে বিতর্ক হচ্ছে না। মাথায় মগজ, না গোবর?

১১| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

যামিনী সুধা বলেছেন:




১৯৭১ সালে ইসলামিক স্কলারেরা রাজাকারে নাম লেখায়ে মানুষ মেরেছে ও ডাকাতী করেছে।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি জানলেন কীভাবে? তাদের সাথে আপনিও ছিলেন?

১২| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:১১

নতুন বলেছেন: দেশে ধর্মের নামে ধান্দাবাজি চলে। দেশের মানুষ দূনিতিবাজ, ভন্ড তাই তাদের ধর্মের ভয় দেখালে কাজে লাগে।

মামুনুল ৫০১ -
আজহারী - জামাতী প্রোডাক্ট
মাওলানা তারেখ মানোয়ার- চাপাবাজ মিথ্যাবাদী
কাজী ইব্রাহিম- এন্টারকোটিক, করনোরা হজুর
গিয়াসউদ্দীন তাহেরী
আমীর হামজা
আরো কয়েকজের নাম মনে পড়ছেনা।

সবগুলি পীর ফকির, মাজার টাকা পয়শার জন্য খোলা ব্যবসা।

শায়খ আহমাদুল্লাহ উনার কাজ এবং কথা ভালো।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্মকে ঘিরে প্রতারণা বা ব্যবসার অভিযোগ নতুন নয়, তবে সেটা পুরো ধর্ম বা সব ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে এক কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর মতো নয়। কিছু ব্যক্তি ধর্মের অপব্যবহার করে ব্যবসা বানিজ্য করে থাকেন এবং এটা তো পরিষ্কার চিত্র। এর বিপরীতে অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষ আছেন যারা সত্যিকারের নীতি ও ন্যায়ের পথে চলেন। যেমনটা আপনিও উল্লেখ করেছেন যে, শায়খ আহমাদুল্লাহ একজন জনপ্রিয় বক্তা যিনি ভারসাম্যপূর্ণ এবং মানবিক বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন ধরণের মানবিক কাজের সাথেও যুক্ত থাকেন, তবে সব মতামতের সঙ্গে একমত হওয়া সবার জন্য বাধ্যতামূলক নয়।

এর বাইরে আপনি অন্যান্য যাদের নামোল্লেখ করেছেন তাদের সকলকে এক পাল্লায় পরিমাপ করা যৌক্তিক মনে করি না। মোট কথা, দোষে গুণে মানুষ, সেই হিসেবে প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু ভুল ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। আলেম ওলামাগণকে একেবারেই ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে মনে করা নির্বুদ্ধিতা।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

আমি নই বলেছেন: যে দেশের ৯০% অধিবাসী একটি ধর্মের অনুসারী সেই দেশে উক্ত ধর্মের একটা বড় প্রভাব থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। যারা সংষ্কারের সাথে যুক্ত আছেন তাদের উচিৎ ৯০% অধিবাসীদের বিশ্বাসকে সম্মান জানানো।

@নতুন ভাই, বর্তমান সময়ে কেউই ১০০% পার্ফেক্ট নয়। আমার মনে আছে কয়েক বছর আগে একজন নারী অধিকার নেত্রী তার নারী গৃহকর্মিকে নিয়মিত নির্যাতনের দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন অথচ তিনি ছিলেন নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করেছেন—একটি হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসকে সম্মান জানানো এবং অপরটি হলো ব্যক্তির আচরণ ও তাঁর বক্তব্য বা পরিচয়ের মধ্যকার ফারাক। সংখ্যাগরিষ্ঠের বিশ্বাসকে সম্মান জানানো অবশ্যই একটি সামাজিক সৌজন্য ও সহাবস্থানের অংশ এবং এটি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

নারী অধিকার নেত্রীর প্রসঙ্গে আপনি যে দ্বৈত আচরণের কথা বলেছেন, সেটিও বাস্তবতা। ব্যক্তি মাত্রই ভুল ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক এবং কোনো ভালো আদর্শের প্রতিনিধি হওয়া মানেই এই নয় যে ব্যক্তি নিজেও সর্বদা তা মেনে চলেন।

আবারও ধন্যবাদ আপনার পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.