নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শুধুই আমি,শুরু দেখেনি হয়ত শেষও দেখা হবে না

নাঈম আশফাক

Facebook: Nayeem Ashfaq

নাঈম আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও সরকারের আতশবাজি

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৫


প্রথমত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এটাই বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট নয়। এর আগে বাংলাদেশের বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এমনি একটি ন্যানো স্যাটেলাইট বানিয়ে ইতিমধ্যেই তা কক্ষপথে পাঠিয়েছে।বর্তমানে অন্য দেশকে স্যাটেলাইট বাবত ভাড়াদিতে হয় বছরে ৮০ কোটি টাকা। এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারনে আমাদের বছরে ৮০কোটি টাকা বেঁচে যাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আয়ু ১৫ বছর। তাহলে ১৫ বছরে বাঁচবে ১২ শ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পিছনে খরচ হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকা। তাহলেবাকি ১৮শ কোটি টাকা? বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ক্ষমতা ৪০ ট্রান্সপন্ডার,আমাদের চাহিদা ২০ ট্রান্সপন্ডার। সরকার বলছে উৎক্ষেপিত কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ২০ ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়াদিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে।আমাদের স্যাটেলাইটটি বহন করে নিয়ে যাবেএকটি রকেট। অপর দিকে কিছু দিন আগে ভারত একরকেট দিয়ে একসাথে ১০৪টি স্যাটেলাইট মহাশূন্যে স্থাপন করেছে। ফলে আমাদের ট্রান্সপন্ডারের চেয়ে ভারতের ট্রান্সপন্ডারের ভাড়া হবে অনেক কম। তাহলে বেশি ভাড়ায় আমাদের ট্রান্সপন্ডার কে ভাড়া নিবে? দ্বিতীয়ত সরকার বলছে,এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে বাংলাদেশের সম্মান অনেক উচ্চতায় চলে যাবে। উল্যাখ্য যে, পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশ ইথিওপিয়াও নিজেরা স্যাটেলাইট স্থাপন করে অনেক আগে ‘এই উচ্চতায়’ চলে গেছে। বর্তমান সময়ে প্রায় ১৭০০ স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট এখানে শুধু একটা সংখ্যা শুনুন বাংলাদেশের এই স্যাটেলাইটের জন্য কোনো নিজস্ব অরবিট বরাদ্দ নাই। এর আগে আইটিইউ বাংলাদেশকে নিরক্ষ রেখার ১০২ ডিগ্রিস্লট বরাদ্দ দেয়। কিন্তু প্রভাবশালী দেশের বাধার মুখে তা বাতিল হয়। বিকল্প হিসেবে ৬৯ ডিগ্রিতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তাব দেওয়া হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু তাতেও আপত্তি তোলে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন। পরে রাশিয়ান কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের নিজস্ব ১১৯.১ডিগ্রির স্লট প্রায় ২৮ মিলিয়ন ডলারে ১৫ বছরের জন্য ভাড়া নেয় বাংলাদেশ।চিন্তা করুন আমরা যখন স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্যএতো ফাল পারতেছি সেই একই যুগে অন্যকেউ আমাদের কাছে মহাকাশ বিক্রি করছে !! তারা মহাকাশের মালিক হলো আর আমরা হলাম ক্রেতা তাইদেশ ব্যাপী ১৬ কোটি+ টাকার আতশবাজি ফুটানোর ব্যবস্থা করা হইতেছে...এছাড়াও,বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.