![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটার দিন শুরু হয় একটা গোল্ডলিফ মুখে নিয়ে। ঘুমুতে যাবার আগেও হাত মুখ ধুয়ে আবার সেই গোল্ডলিফ এর সাথে দেখা করতেই হয়। ভালো লাগে না ক্লাশ করতে, ভালো লাগে না বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। জীবন যেন অনেকটা বাঁধা-ধরা হয়ে গেছে ছেলেটার। ছেলেটার নাম মুহীন। পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির মত লম্বা, গায়ের রঙ্গ শ্যামলা গোলগাল মুখ। খোঁচা খোঁচা দাড়ি থাকে তাঁর মুখে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স করেছে, ঢাকা কলেজ থেকে। । ভর্তি যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক সে। একসময় স্বপ্ন দেখত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন একটা ভালো সাবজেক্টে অনার্স করবে। তিন বছর আগেও মুহীনের জীবন যাত্রা এমন ছিলো না। উচ্ছল-প্রানবন্ত একটি ছেলে ছিলো মুহীন। ডিপার্টমেন্টে ভালো রেজাল্ট করত, বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিত। টঙের দোকানে মাঝেমধ্যে সে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সিগারেটে টান দিয়ে কাশতে কাশতে চোখ লাল করে ধোঁয়া ছাড়ার চেষ্টা করত। এরকম করতে করতে সিগারেট টা আয়ত্ত করে ফেললেও সিগারেটের নেশা কখনো হয়নি তার।
তিন বছর আগে ফিরে দেখা : সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে পেরে মুহীন খুব হতাশ হয়ে পড়ে। তার স্বপ্ন পূরণে সে ব্যর্থ। একথা ভাবতেই তার দুনিয়া উলটা পালটা হয়ে যায়। চোখের সামনে যেন অন্ধকার নেমে আসে তার। সারাদিন খুব উদাস হয়ে মন খারাপ করে থাকে। সবে মাত্র ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছে সে, দু একটা ক্লাস করছে, নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবী হচ্ছে। বান্ধবী বলা টা আসলে ঠিক হবে না। ছোট বেলা থেকেই অনেকটা মেয়ে বিদ্বেষী ছিলো মুহীন। স্কুল বা কলেজ জীবনে তার বান্ধবী বলতে তেমন কেও ছিলো না। মেয়ে সহপাঠীদের সাথে তার সম্পর্ক কখনোই এতটা ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেনি। কেন যে হয়ে ওঠেনি তা সে নিজেও জানে না। মেয়েদের সাথে কথা বলতে তার খুব ই লজ্জা লাগে। একদিন হটাত তার সেলফোনে একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল আসে।
মুহীন : হ্যালো কে বলছেন ?
অপরপ্রান্তে শান্ত আর মিষ্টি কণ্ঠে এক মেয়ে উত্তর দিলো আমি নীলা। আপনি কে ?
মুহীন : আমার নাম মুহীন। আপনি কাকে চাচ্ছেন?
নীলা : আমি কাওকে ই চাচ্ছিনা। আমি শুধু জানতে চাই আপনি আমার মোবাইলে এ এম এস দিয়েছেন। কে আপনি ? আর কেন ই বা এস এম এস দিয়েছেন?
মুহীন অনেকটা আকাশ থেকে পড়ল। হকচকিয়ে গিয়ে বলল "আমি কেন আপনাকে এস এম এস দেব? ” আমি তো আপনাকে চিনিই না।
নীলা : দেখেন এসব আমার জানা আছে মুহীন সাহেব। মেয়েদের নাম্বার পেলেই এরকম করতে ইচ্ছা করে আপনাদের। বখাটে ছেলে। যত্তসব।
বলেই ফোন রেখে দিলো নীলা।
মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে বোকার মত বসে রইল মুহীন। কোনদিন এভাবে কোন মেয়ে তার সাথে কথা বলেনি। আর মেয়েটি যে এস এম এস এর কথা বলছিল সে এই ব্যাপারে কিছুই জানেনা, কারন সে জানে যে সে কাওকে এস এম এস দেয়নি। তারপর ও মেয়েটি যখন অভিযোগ করল তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ তার মোবাইলের এস এম এস চেক করল। কিন্তু না পাঠানো এস এম এস লিস্টের ভেতর মেয়েটির নাম্বার নেই। কি হল ব্যাপারটা ?? সে কি ভুল করে কখনো এস এম এস পাঠিয়েছিল ? কোনভাবে হয়ত মেয়েটির নাম্বার ঐ লিস্ট থেকে মুছে গেছে। নাকি মেয়েটি ভুল করে তাকে কল করে ঝাড়ি মারল ? এমন ও হতে পারে অন্য কেও তার মোবাইলটি নিয়ে ঐ মেয়েকে এস এম এস দিয়েছিল মুহীন সেটা বুঝতে পারিনি আর সে বুদ্ধি করে মেয়েটির নাম্বার ঐ লিস্ট থেকে মুছে দিয়েছে। হতেও পারে এমন টা। কিন্তু এমনটা তো হবার কথা নয়, মুহীনের কোন বন্ধু এমন কোন কাজ করবে না। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে মুহীন ঐ মেয়েটির নাম্বার সেভ করে রাখল। আর যাই হোক অকারনে এমন বকা মেনে নেওয়া যায় না। কোন একদিন সময় করে মেয়েটিকে কড়া স্বরে বুঝিয়ে দিতে হবে সে এরকম ছেলে নয়।
বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেছে। এই ঘটনা মুহীন ভুলেই গেছে প্রায়। রাতে ঘুমতে যাবার আগে সে খেয়াল করল তার মোবাইলে সেই নীলা নামের মেয়েটি কল দিয়েছে। মুহীন চিন্তা করল খুব কড়া স্বরে মেয়েটিকে ঝাড়ি মারতে হবে আজ।
ফোন রিসিভ করে মুহীন কথা বলার আগেই ওপাশ থেকে নীলা গতদিনের চেয়েও ঠাণ্ডা গলায় বলল কেমন আছেন মুহীন সাহেব ? গতদিন ওভাবে বলার জন্য আমি খুব লজ্জিত।
মুহীন কি বলবে বুঝতে পারছে না। ভেবেছিল মেয়েটিকে আজ খুব কথা শোনাবে কিন্তু কি হচ্ছে এসব? মুহীন যেন কিছু বলতেই পারছে না। নীলার কণ্ঠ যেন অতিমাত্রায় মিষ্টি লাগছে আজ। সৃষ্টিকর্তা যেন সকল মেয়েকেই এমন ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। খুব অল্পতেই আর তেমন কিছু না করেই যেন তারা ছেলেদের মন গলিয়ে দিতে পারে। অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে মুহীন বলল বলুন কেন কল করেছেন ? আজ তো আমি এস এম এস পাঠাইনি।
নীলা : না । না। সেটা নয়, আমি আসলে ঐদিনের ব্যবহারের জন্য খুবই লজ্জিত।
সরি।
অল্পকিছুক্ষন কথা বলেই ওরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হয়ে গেল। (পরিচয় বলতে নাম, পরিবার আর পড়াশোনা)
অল্পকিছুদিনের মধ্যেই ওদের কথা বলার মাত্রা একটু বেড়ে গেল। একজন আরেকজন কে নিয়ম করেই দু এক দিন পর পর ই কল করত, ভালো-মন্দ জানতে চাইত একে অন্যের। মুহীনের এই ব্যাপারটা বেশ ভালোই লাগত। আগে কখনো কোন মেয়ের সাথে এভাবে কথা বলেনি সে, তাই মেয়ে সঙ্গ খুব অল্পতেই ভালো লাগতে শুরু করে তার। আর সব চেয়ে বড় ব্যাপার হল নীলা মেয়েটি তাকে মানসিক শক্তি যোগাতে খুব বেশী সাহায্য করত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও জীবনে ভালো কিছু করা যায় এরম কথাবার্তা বলত প্রায়ই। কথা গুলো মুহীনের খুব ভালো লাগত।
নীলা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
(পাঠকদের বলে রাখি, নীলা মেয়েটির সাথে আপনাদের খুব বেশী পরিচিত করাব না)
কিছুদিন এরকম চলার পর মুহীন নীলার প্রতি দূর্বলতা অনুভব করতে থাকে। দিনের অধিকাংশ সময় নীলার কথা মনে পড়ে। নীলার কথা ভাবতে ভালো লাগে। হয়ত নীলার ও তার মত এক ই রকম হচ্ছে। কিন্তু নীলার প্রতি তার যে অনুভূতি সেটা কখনো তাকে জানানো হয়নি। মার্চ মাসের কোন একদিন মুহীন নীলা কে লাজুক লাজুক কণ্ঠে বলল "নীলা আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি”
নীলা অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে বলল মুহীন আমি এরকম কিছু ভাবিনি তোমাকে নিয়ে। তুমি আমাকে একটু সময় দাও প্লিজ। মুহীন খুব মর্মাহত হল, খুব কষ্ট পেল। কিন্তু মুহীন এটা বোঝে যে কাওকে জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না তাই নীলা কে এই ব্যাপারে জোর করা ঠিক হবে না। জীবনে প্রথম কাওকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সে এক প্রকার উপেক্ষিত হল। ঘটনার পর হয়ত তাদের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটল। আচমকা একদিন নীলা মুহীন কে কল দিয়ে বলল মুহীন তোমার সাথে আমার ঐ ব্যাপারে কিছু কথা আছে। মুহীন কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নীলা একাই বলে চলল, দেখ কলেজে পড়াকালীন আমার একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল তার নাম রোহান। কিছুদিন হল তার সাথে আমার সম্পর্ক টা ভালো যাচ্ছে না। আমাদের সম্পর্ক টা আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এবার তুমি ভেবে দেখ তুমি এগোতে চাও কিনা !! পারবে তুমি আমার সব কিছু জেনে আমাকে নিয়ে সুখী হতে ? মুহীন কিছু না ভেবেই উত্তর দিলো আমি তোমাকে চাই। আমি তোমাকে নিয়ে ভালো থাকতে পারব। যেহেতু রোহানের সাথে তোমার সাথে সম্পর্ক নেই বা থাকবে না তাই আমার সে ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু এটাই আমার প্রথম প্রেম, প্রথম কাওকে ভালো লাগা, প্রথম কাওকে ভালোবাসা। আশা করি তুমি আমার ভালোবাসার মর্যাদা রাখবে।
(গল্পটি এই তিন জন মানুষকে নিয়ে হলেও আমি রোহান সম্পর্ক বেশী কিছু বলব না। এতটুকু বলি রোহান কোন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে এবং অন্য দুই চরিত্র থেকে বয়সে কিছুটা বড়)
তো এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক শুরু হয়ে গেল। হয়ত দুজনের দিনগুলোই খুব ভালো কাটছিল। (হয়ত বলছি কারন আমার লেখাটা সম্পুর্নি মুহীনের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা)
মুহীনের মনে কিছুটা হলেও খারাপ লাগা ছিল। সে কখনো ভাবেনি কারো সাথে এভাবে তার সম্পর্ক হবে কোনদিন, আর যখন সম্পর্ক হল তখন ও মেয়েটার কাছে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিত্ব। এটা ভেবে মাঝে মাঝে সে নিজের কাছে ছোট হলেও নীলার সাথে কথা বললে তার হাসি শুনলে সে সব কিছু ভুলে যেত। একটা সময়ে তারা দুজন দেখা করল। সময়ের সাথে সাথে তাদের সম্পর্ক্য গভীর হয়ে গেল। (পাঠকের হয়ত একঘেয়েমি লাগতে আমি কিছু ঘটনা স্কিপ করে গেলাম। জানিনা আপনারা কেমন এজিউম করবেন। তবে নীলার প্রতি মুহীনের ডেডিকেশান ছিল শতভাগ)
বছর দুই ঘুরতে ঘুরতে দেখা যায় নীলা-মুহীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করেছে। একটা সময় ছিল যখন দুইজন খাবার টেবিলে বসে থাকত কখন অপর প্রান্ত থেকে বলবে আমি খাচ্ছি তুমি খাও। একটু ভুল বোঝাবোঝি হলে যেন পাল্লা লেগে যেত সরি বলার জন্য, কে আগে সরি বলতে পারে। একটা সময় ছিল সামান্য ঝগড়া করার কারনে দুটি মানুষ দুই প্রাণতে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দিয়েছে।
সেই মানুষ গুলো এভাবে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে ! নীলার দিক থেকে যেন মুহীন আগের মত সাড়া পাচ্ছে না। সেই চেনা নীলা যেন দিন দিন অচেনা হয়ে যাচ্ছে। এই তো সেদিন ও নীলা কে তার আগের সম্পর্ক ভেঙে যাবার কষ্টের দিনে মুহীনকেই তাকে সান্তনা দিতে হয়েছে। নিজের সকল হতাশা কাটিয়ে উঠছিল যাকে ধরে সেই তাকেই কিনা সান্তনা দিতে হত মুহিন কে।
মুহীন এটা ও বুঝতে পারত নীলা ইদানীং তার সাথে মিথ্যা বলা শুরু করেছে। বুঝতে পেরেও তাকে লজ্জা দিত না। এমন অনেক দিন হয়েছে নীলার ফোন ওয়েটিং পেয়ে মুহীন সারা রাত বুক ভাসিয়েছে। এরকম কেন হচ্ছে ? কোন উত্তর খুঁজে পায় না মুহীন।
মুহীন-নীলা যথারীতি মোবাইলে কথা বলছিল। হটাত নীলার মোবাইলে একটা কল আসে এটা মুহীন বুঝতে পেরে নীলা কে বলে কে কল দিচ্ছে ? কথা বল নাও তার সাথে তারপর আমরা কথা বলব। নীলা এমন করে না কখনো। কে যেন ঐদিন নীলা কে একটু অন্য রকম লাগছিল মুহীনের, কথার ভেতর ও কেমন যেন জড়তা কাজ করছে নীলার। মুহীন একপর্যায়ে নীলা কে জিজ্ঞেস করে কে কল দিচ্ছিল ? নীলা বলে কে কল দিচ্ছে আমি জানি না, অপরিচিত নাম্বার। কেন যেন নীলার কথা বিশ্বাস হতে চায় না মুহীনের। সে খুব জোর করে নীলা কে সত্যি কথা বল প্লিজ কে কল দিচ্ছে? নীলা তখন কেঁদে কেঁদে বলে "টোনার দোহাই লাগে মুহীন তুমি শুনতে চেয়োনা, তুমি সহ্য করতে পারবে না”
মুহীন যেন তখন বদ্ধপরিকর, বলে আমাকে জানতেই হবে। অনেক পীড়াপীড়ির পর নীলা বলল "রোহান কল দিচ্ছে"।
মুহীন যেন আকাশ থেকে পড়ল। তুমি না বলেছিলে তোমাদের ভেতর আর কোন সম্পর্ক নেই আর যোগাযোগ নেই!!
কল রিসিভ করে কনফারেন্স মুডে দাও। আমি তার সাথে কথা বলতে চাই। নীলা মুহীনকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছিল কল দিচ্ছে দিক, আমি কথা বলব না আর ওর সাথে তোমার ও কথা বলার দরকার নেই। মুহীন জিদ করেছে আজ সে এর শেষ দেখে নেবে। সে নাছোড়বান্দা আজ।
নীলা রোহানের কল রিসিভ করে কনফারেন্স মুডে দিল। কনফারেন্স মুডেই তাদের তিন জনের অনেকক্ষণ কথা হল। ঠিক কতক্ষণ কথা হয়েছে মুহীন জানে না … … … .. .. .
কনফারেন্স মুডে যা কথা হয়েছে তার সারমর্ম দাঁড়ায় এমন যে, নীলার সাথে আজো রোহানের সম্পর্ক আছে। রোহান কে কেঁদে কেঁদে নীলা বলে আমি এই ছেলেকে (মুহীন) চিনি না এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
বর্তমান : গল্প উপন্যাসে এরকম কাহিনী অনেক শোনা যায়, কিন্তু এরকম ঘটনা তার নিজের জীবনের সাথে ঘটে যাবে কখনো চিন্তা ও করতে পারেনি মুহীন। সারাদিন মুহীনের মাথায় একটাই প্রশ্ন কেন?
কি দোষ ছিল তার ? নীলাকে অন্ধ বিশ্বাসে ভালবেসেছিল এটাই তার দোষ ?
যত টা না রাগ নীলার উপর তার চেয়ে বেশী অভিমান যেন সৃস্টিকর্তার প্রতি। তাকে নিয়ে কেন কেমন নিষ্ঠুর খেলা খেললেন তিনি ?
পরিশিষ্ট : ঐ রাতে ওদের তিন জনের কথা বলার পর নীলা-রোহান এর সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে (হয়ত)। রোহানের গ্রাজ্যুয়েশন শেষ। সে এখন নিউজিল্যান্ড চলে গেছে। নীলা এখন মনে প্রাণে চায় মুহীন তার জীবনে ফিরে আসুক। এরপর নীলা-মুহীনের আর কথা হয়নি। প্রতিটা কথা ই নীলা মুহীনকে এস এম এস এর মাধ্যমে জানায়।
বি: দ্র: গল্পের প্রতিটি চরিত্র ই কাল্পনিক। কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে তা একান্তই অনুদ্দেশ্যপ্রণীত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: সুযোগ পেলেই আমরা সৃষ্টিকর্তার প্রতি অভিমান করে বসি। উনি তো এর চেয়ে করুণ ভাবে শেষ করতে পারতেন। মুহিনের উচিত আরেক বার ভুল করা। সৃষ্টিকর্তা কে পরীক্ষা করা। আর কত খেলবেন উনি। এর শেষ দেখে নেওয়া। যদি ভালো কিছু হয় তাইলে ভালো। না হয় সৃষ্টিকর্তার প্রতি অভিমানের পরিমাণ বাড়িয়ে তার সৃষ্টির জীবকে ক্ষমা করে, তার প্রতি অভিমানের ক্ষোভ প্রকাশ করা। এই ছাড়া কি বা করার আছে।