![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকেই বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাণীর তকমাটা দিয়ে থাকেন বুটলেস অয়ার্ম নামক কেঁচো জাতীয় এক প্রাণীকে। রিবন ওয়ার্ম নামেও এটি পরিচিত। যার বৈজ্ঞানিক নাম লিলাস লনগিসিমাস। এ প্রাণীটি লম্বায় ১৪০ পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। যা একটা বয়স্ক নীল তিমির চেয়েও বহুগুনে বেশি। আইসল্যান্ড সহ ইউরোপের উত্তর সাগর এবং অ্যাটলান্টিকের উপকূলে বালুর মধ্যে এদের বিচরণ দেখা যায়। বুটলেস ওয়ার্মের গাঁয়ের রঙ বিভিন্ন রকম হতে পারে। সাধারণত এরা উপকূলে বালুর মধ্যে পাথরের নিচে থাকতে পছন্দ করে।
বুটলেস ওয়ার্ম তার পেশীর মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন করে থাকে কারন রক্ত পাম্প করার মত তার হার্ট নেই। শিকারি থেকে আত্বরক্ষার জন্য এদের রয়েছে নিউরোটক্সিন সমৃদ্ধ শক্তিশালী মিউকাস বা শ্লেষ্মা।
বুটলেস ওয়ার্মের শরীরে লম্বা নাল রয়েছে যা শিকার ধরার জন্য ব্যাবহার করা হয়। শীকার ধরার সময় শরীর থেকে নালটি বের করে শিকার আঁকড়ে ধরে এবং শিকার শেষ হলে তা শরীরের খাপে লুকিয়ে রাখে। শিকার ছাড়াও এই নল আত্বরক্ষার্থে এবং গর্ত খোঁড়ায় ব্যাবহার করা হয়।
সাধারণত এরা রাত্রে বিচরণ করে এবং দিনের বেলা বালুর নিচে লুকিয়ে থাকে।
বিষ্ময়কর বিষয় হল, বছরের তৃতীয় ঝৃতুতে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর-অক্টোম্বর-নভেম্বর মাসে বিপুল সংখ্যক বুটলেস ওয়ার্ম একসাথে মিলিত হয়। যার যথাযথ কারন এখনো জানা যায়নি।
বুটলেস ওয়ার্মে মাংসাশী; অমেরুদণ্ডী প্রাণী এবং খুব সরল নির্মিতির জলজ উদ্ভিদ যেমন শৈবাল, শেওলাসহ ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে।
বুটলেস ওয়ার্ম নিজেরা এককভাবে বংশবিস্তার করতে সক্ষম, যেকারনে এদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকে না। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফোঁটায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাণীটিকে পাঠকদের কাছে পরিচিত করার জন্য । খুব সুন্দরভাবে প্রাঞ্জল বাংলায় এর জীরনাচারের বিবরণ দিয়েছেন । এটাকে বাংলা ভাষায় তুলে ধরতে হলে বিশেষ দখলের প্রয়োজন । একাজটি করেছেন সুন্দরভাবে । এর দৈর্ঘটা পোস্টের লিখায় উঠে এসেছে শুধু ১৪০ হিসাবে খুব সম্ভবত এটা ১৪০ ফুট হবে । কোন কোন জায়গায় দেখেছি ১০০০ প্রজাতীর মধ্যে একটি রিবন ওয়ার্মের দৈর্ঘ ১৫৫ফুট পর্যন্ত হতে পারে । চলার সময় লম্বা হয়ে চলে অন্য সময় কি সুন্দর পেচানো গুছানো থাকে । একটি রিবন ওয়ার্মের ছবি এ সাথে দেয়া হল জোড়ে ।

অভিনন্দন রইল এরকম জীব বৈচিত্র নিয়ে লিখার জন্য ।