নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজদাক ; এক সমাজতান্ত্রিক নবী !

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭


মাজদাক


সমাজজতন্ত্র নিয়ে আলোচনা বেশি হয়েছে ঊনিশ থেকে বিংশ শতাব্দির মধ্যে । আর মার্কসের মধ্য দিয়ে এই আলোচনা বেশি প্রগাঢ় হয়েছে নিঃসন্দেহে । শেষমেশ মার্ক্স ও এঙ্গেলসের মাধ্যমে “ সমাজতন্ত্র ” একটি রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে রূপ নেয় । তবে সমাজতন্ত্রের আলোচনায় পণ্ডিতবর্গের কাছে একটি বিষয় স্বীকৃত আছে যে ৫ম শতকের শেষ থেকে ৬ষ্ঠ শতকের প্রথমভাগে একজন ব্যক্তি সমাজতন্ত্রের প্রচার করেছিলেন । ইনি হলেন জরথ্রুষ্টবাদের অন্যতম মাবোদান-মোবাদ বা প্রধান যাজক , মাজদাক ! তার অনুসারিদের মতে তিনি ছিলেন আহুরা মাজদার নবী ! আর তাই পণ্ডিতবর্গ তাকে সমাজতান্ত্রিক নবী বলে অভিহিত করে থাকেন !


পারস্যের সাসানিড সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় স্বর্ণযুগ সময়ের সম্রাট প্রথম কোবাদের সময়ে আবির্ভাব ঘটে এই জরথ্রুষ্টিয় যাজকের (ফেরদৌসের শাহনাম ও অন্যান্য আরব লেখকের বর্ণণা থেকে জানা যায় । যদিও এর কোন দালিলিক প্রমাণ নেই )। তার ধর্মমত জরথ্রুষ্টিয় হলেও তার আচার জরথ্রুষ্টের বিখ্যাত যাজক ও ধর্মপ্রচারক মাগির প্রচলনকৃত ধর্মমত থেকে আলাদা ছিল । যদিও অনেকের মতে তার ধর্মমত মানির থেকে কিছুটা অনুপ্রাণিত বা উৎসাহিত ছিল । এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার যে দশম শতকের ইবনে আল নাদিম কর্তৃক রচিত আল ফিহরিস্ত-এর বর্ণনা অনুযায়ী আসলে দুজন মাজদাকের নাম জানা যায় যার মধ্যে প্রথম মাজদাক মাজদাকীয় জরথ্রুষ্টবাদ প্রচার করেছেন আর দ্বিতীয় মাজদাক কোবাদের সময় এক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তবে ইতিহাসে এই দুই মাজদাককে এক করেই দেখা হয় ।


ফেরদৌসি কর্তৃক রচিত “শাহনাম”-য় মাজদাককে নিয়ে দুটি কবিতা বর্ণিত আছে । আর তা থেকে জানা যায় মাজদাক কোবাদের পরামর্শক ও খাদ্যভাণ্ডার ও অস্ত্রভাণ্ডারের তত্ত্বাবধায়কও ছিলেন । যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে তিনি ছিলেন একজন মাবোদান-মোবাদ , এর মানে হল তিনি ছিলেন একজন মহাযাজক কিংবা অন্যান্য যাজকদের গুরু । তবে তিনি যে কোবাদের সুদৃষ্টি লাভ করেছিলেন সে বিষয়ে সবাই একমত ।


তার সমাজতন্ত্র মতবাদ

মাজদাক মনে করতেন যে মানুষ সৃষ্টিগতভাবে স্বাধীন । সমাজের যত নিয়মকানুন যা শ্রেণী-বৈষম্য তৈরী করে তা স্রষ্টার নয় এসব মানুষের তৈরী । আর তাই মানুষ স্বাধীন হয়েও অন্য মানুষের অধীন । জানা যায় মাজদাক কোবাদকে প্ররোচিত করে এই আইন বহাল করিয়েছিল যে সম্পদ ও নারীর ওপর সবার কর্তৃত্ব থাকবে সমান । সবাই সমানভাবে নারী ও সম্পদ ভোগ করবে । এতে করে অনেকে চিত্রিত করেন যে মাজদাক আসলে নারীকে পণ্য এবং নারীর মতামত থাকুক বা না থাকুক সে সবার কাছে ভোগ্যবস্তু এই বলে উপস্থিত করেন । কিন্তু এখানে অনেকে ভিন্নমত পোষণ করে , কেননা এর প্রমাণ পাওয়া যায় না । এহসান ইয়ারশায়ের মতে মাজদাকের দীক্ষা অনুযায়ী মাজদাকের আন্দোলনে এই দাবী ছিল যে কেউ একের অধিক স্ত্রী রাখতে পারবে না এবং কোন প্রকার হারেম রাখতে পারবে না যাতে করে যাদের স্ত্রী নেই তারা যেন স্ত্রী পায় ।


তিনি এও চেয়েছিলেন যে বিয়ের খরচ যেন কমে যায় মানে কাবিন যেন কম হয় এতে করে যারা বিবাহিত নন বা যাদের কাবিন দেবার মত সম্পদ নেই তারা যেন বিয়ে করতে পারে । মা্জদাকের মৃত্যুর পর তার অন্যান্য অনুসারিরা যারা ইসলামের প্রারম্ভের সময় ছিলেন তাঁদের মধ্যে অভিযুক্ত কোন অনাচার দৃষ্ট হয়নি বলে অনেকেই এই অভিযোগ বাতিল করেছেন ।


মাজদাক চেয়েছিলেন সম্পদের ব্যবহারে যাতে শ্রেণীভিত্তিক না হয় । সবাই সমানভাবে সমান পরিমাণে যেন সম্পদ ভোগ করতে পারে । তার এমন মতবাদের পেছনে শাহনামায় বর্ণিত আছে যে এক দূর্ভিক্ষের সময় যখন সারা সাসানিদ সাম্রাজ্যে দূর্ভিক্ষ দেখা দিল তখন মাজদাক কোবাদকে যুক্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত করেন যে , দূর্ভিক্ষে যদি এরা মারা যায় তবে অভিজাতরা এদের খুনি বলে অভিহিত হবেন । কোবাদ তাকে সমর্থন দিলে তিনি জনসাধারণকে বলেন যে যেখানেই গম পাবে তা সংগ্রহ করে নাও । এর বিপরীতে যদি গম সংরক্ষণকারী বিনিময় চায় তবে তা প্রদান করো । ( বাংলা অনুবাদে যানা যায় যে তারা যেন বিনিময় চাইলে মানে দাম চাইলে দিয়ে দেয় । কিন্তু পল লুটিনজারের মতে শাহনামায় বলা আছে যে বিনিময় চাইলে গ্রামগুলো যেন ধ্বংস করে দেয় )


জনসাধারণ তার কথামত সারা পারস্যে লুটপাট শুরু করে দেয় ।

পেত্রিসিয়া কর্নের মতে তার উদ্দেশ্য ছিল গরীব কৃষকদের ঘিরে । সব সময়ের মত তারাই অভিজাত লোকদের বিলাসিতার কলুর বলদ হচ্ছিল । মাজদাক চেয়েছিল এখানে যেন এই গরীব কৃষক ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় । তারা সম্পদ ভোগে যে সবার পিছিয়ে ছিল তারা যেন ঠিক অভিজাতদের সমান ভোগ করার অধিকার পায় এই ছিল তার চাওয়া । আর এই চাওয়ার মধ্যে দিয়ে সে চেয়েছিল এরাও যেন নারীদের ক্ষেত্রে সমান অধিকার পায় ।


মাজদাক নিয়ে বিতর্ক


অনেকের মতে মাজদাক বলে কেউ ছিলেন না । এইচ গবের মতে মাজদাক বলে কেউ ছিলেন না আর থাকলেও তিনি মোটেও এমনটা ছিলেন না আর তিনি কোন আন্দোলন করেননি , যা করার করেছেন কোবাদ । তিনিই সম্পদধারীদের বিরুদ্ধে জনসমাধারণের জন্য সাম্যবাদের বাণী প্রচার করেছেন । এর পেছনে কারণও আছে । সমসাময়িক যতগুলো বর্ণনা পাওয়া যায় সেগুলোর কোনটাতেই মাজদাকের নাম পাওয়া যায় না আর এতে করে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন । তবে ক্লিমার মতে কোবাদের ছেলে খসরু মাজদাকের কোন চিহ্ন রাখেননি আর তাই মাজদাককে পাওয়া যায় না কোন সমসাময়িক বর্ণনায় পাওয়া যায় আরবদের লিখাতে । তবে পেট্রিসিয়া কর্ন গবের মতের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন । একজন রাজা অভিজাত শ্রেণীদের রাগিয়ে দিয়ে কীভাবে তার রাজ্যকে টিকিয়ে রাখবে ? তার বক্তব্য অমূলক নয় ।


আরবদের মধ্যে তাবারি ও আল বিরুনীর লিখাতেও মাজদাকের স্থান হয়েছে । আল বিরুনীর মতে মাজদাক ছিলেন কোবাদের প্রধান কাজী । মাজদাক সম্পর্কে দার বইতে সামান্যটুকুই পাওয়া যায় অদ্ভুতভাবে মাজদাক সম্পর্কে তার লিখা খুঁজে পাওয়া যায়নি ।


মৃত্যু

মাজদাককে নিয়ে একেকজনের একেক মত পাওয়া যায় । তবে এটুকুতে সবাই একমত যে তিনি সাম্যবাদী ছিলেন আর যা কোবাদের পুত্র খসরুর পছন্দ ছিল না তাই সে মাজদাক ও তার অনুসারিদের হত্যা করে তাদের সমস্ত চিহ্ন মুছে দেন । বিশেষজ্ঞদের মতে ৫২৪ থেকে ৫২৮ সালের মধ্যে তাকে হত্যা করা হয় । তার মৃত্যু নিয়ে শাহনামায় বর্ণিত আছে যে মাজদাক বুঝে গিয়েছিল খসরু তার ধর্মমত মানে না । তাই এই বিষয়ে তিনি কোবাদকে অবগত করলে কোবাদ খসরুকে এই নিয়ে প্রশ্ন করে , খসরু বলে যে সে মনে করে মাজদাকের এই ধর্মমত একেবারেই মিথ্যা ও পথভ্রষ্টকারি এক ধর্মমত এবং সে কোবাদ থেকে ৬ মাস সময় চেয়ে নেয় তার মত প্রমাণের জন্য ।


এই ৬ মাসের মধ্যে কোবাদ বিভিন্ন স্থান থেকে জ্ঞানীদের এনে জমায়েত করে মাজদাক যে মিথ্যা ধর্মমত প্রচার করছে তা প্রমাণের জন্য চেষ্টা করে । ৬ মাস পর এক জ্ঞানী কোবাদের দরবারে গিয়ে এই বলেন যে যদি মাজদাকের বাদ মানে নারী ও সম্পদকে সর্বসাধারণের জন্য সমান ভোগ্য করে দেয়া হয় তবে পুত্র কী করে পিতাকে চিনবে আর পিতা কী করে পুত্রকে ? এবং সবাই যদি সমান হয় তবে কে কাকে শাসন করবে আর কে শাসিত হবে ?


কোবাদ সেই জ্ঞানীর কথা শুনে বুঝে নেয় যে মাজদাক ভুল পখে সবাইকে ধাবিত করেছে । সবাই মিলে মত দেয় যে মাজদাককে যেন বের করে দেয়া হয় রাজসভা থেকে । কোবাদ মাজদাকের ওপর এতটাই রুষ্ট হয় যে খসরুর হাতে তাকে ন্যস্ত করে এই বলেন যে “তুমি তাকে নিয়ে যা ইচ্ছা করতে পারো । আর তার ব্যাপারে যেন আমি আর কিছু না শুনি।”


খসরু মাজদাকের তিন হাজার অনুসারীদের তার এক উপবনে নিয়ে গিয়ে এমন ভাবে মাটিতে পুঁতে দেবার নির্দেশ দেন যাতে করে তাদের শরীরের উর্ধ্বাংশ থাকে মাটির নিচে আর নিম্নাঙ্গ থাকে মাটির ওপরে । সবাইকে এভাবে পুঁতে দেয়া হয় । এরপর মাজদাককে সেই উপবনে নিয়ে আসা হয় আর তার অনুসারিদের এমন অবস্থা দেখে তিনি মূর্ছা যান । জ্ঞান ফিরবার পর তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তির মেরে হত্যা করা হয় । শাহনামায় ফেরদৌস মাজদাকের পরিণতি ব্যক্ত করবার পর এই উপদেশ দেন যে কেউ যেন মাজদাকের এই মতবাদ অনুসরণ না করেন !!



শাহনামায় বর্ণিত ও চিত্রিত মাজহাকের মৃত্যদণ্ড ও তার অনুসারিদের জীবিত কবর দেবার ঘটনা



পরিশিষ্ট

মাজদাক ইতিহাসে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে তার কর্মের জন্য । তিনি সমাজতন্ত্র প্রচার করলেও ধর্মের বাইরে গিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে চায়নি । আবার তার এমন সমাজতন্ত্র অভিজাতরা মেনে নিতে পারেনি । পারেনি বলে মাজদাককে মরতে হয়েছিল । মাজদাক মারা গেলেও তার অন্যান্য অনুসারিদের কারণে তিনি ইতিহাসে জায়গা করে নেন । সমসাময়িক বর্ণনায় তাকে পাওয়া না গেলেও তার অনুসারিদের প্রচারিত কিংবদন্তির কারণে আরবদের লেখায় জায়গা পায় মাজদাক আর পুরো পৃথিবী জানতে পারে এক সমাজতান্ত্রিক নেতার কাহিনী , যিনি শ্রেণী বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিল , আর চেয়েছিল দুর্বলরাও যেন প্রতিষ্ঠা পায় তেমনই যেমন সবলরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে ।

রচনাকারী: নিবর্হন নির্ঘোষ ।

#মাজদাক



তথ্য সহায়ক
*Mazdak – Paul Luttinger.
* The Cambridge History Of Iran , Vol 2- Ehsan Yarshater,
* Iranian Reception Of Islam – Patricia Corne .
*Ancient Nations – Al Biruni .
*শাহনামা – বাংলা অনুবাদ
* Click This Link

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:




সমাজতন্ত্র বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারবে?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বাংলাদেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা চালু আছে তা পূর্ণভাবে অনুসরণ করলে এই ব্যবস্ঞা সাহায্য করতে পারবে বলে আমি মনে করি ।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



শেখ সাহেব "৬ দফা ও বাকশাল" কেন করেছিলেন?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সে সম্পর্কে আপনাকেই জেনে নিতে হবে । আমার এই ক্ষেত্রে অজ্ঞাত !

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



সামন্তরাজ কোবাদের সময় পারস্যে বিয়ের প্রচলন ছিলো কিনা? থাকলে 'নারীকে ভোগ' করার মতো টার্ম আপনি কেন ব্যবহার করেছেন?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পরিবারতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটিয়ে প্লেটোর সেই বিখ্যাত নারী পুরুষের যৌথ বসবাসের প্রস্তাব ও তার বাস্তবায়ন মাজডাক রাখতে ও করতে চেয়েছিলেন । সেসময় বিয়ে প্রথা ছিল তবে তা কেমন আমার জানা নেই । তবে নারীকে পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে নিজের একান্ত সম্পদ বলে গণ্য করা হত । নারী যেহেতু সম্পদতূল্য মাজডাক চেয়েছিলেন নারীর ক্ষেত্রেও সম্পদের মত সবার সমান অধিকার থাকে । যদিও এই নিয়ে বিতর্ক আছে ।

আর আমি "নারীকে ভোগ" টার্ম ব্যবহার করেছি কারণ তখন তাই করবার ঘটনা উঠে এসেছে অন্তত যতটুকু আমি পড়েছি ততটুকুতে । সেসময় নারীকে একদম জড় বলে মনে করা হয়েছে । হ্যাঁ কোবাদের সময় হয়তো এর রূপ আলাদা ছিল কিন্তু অন্তঃসার একই ছিল হয়তো কিন্তু মাজডাক যে মতবাদ চালু করতে চেয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন তাতে তো নারীর কোন স্বাধীনতা ছিল না তো এখান কী ব্যবহার করব ?

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি লিখেছেন, "... সেসময় নারীকে একদম জড় বলে মনে করা হয়েছে । হ্যাঁ কোবাদের সময় হয়তো এর রূপ আলাদা ছিল কিন্তু অন্তঃসার একই ছিল হয়তো কিন্তু মাজডাক যে মতবাদ চালু করতে চেয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন তাতে তো নারীর কোন স্বাধীনতা ছিল না তো এখান কী ব্যবহার করব ..। ? "

-পারস্য সাম্রাজ্য ততকালীন সময়ের জন্য উন্নত সমাজ ছিলো; তখনকার মানুষ সমাজে মায়ের ভুমিকা বুঝতো; আমার ধারণা, আপনি সেটার উপর আলোকপাত করেননি।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি কেবল মাজডাককে নিয়ে আলোকপাত করেছি । পারস্য সাম্রাজ্য নিয়ে করিনি । সাসানিদ সাম্রাজ্য নিয়েও আমি আলোচনা করিনি তাহলে কোবাদ ও খসরুকে নিয়েও গভীর আলোচনা করতাম ।

মায়ের ভূমিকা বুঝত বলে আপনি আসলে কী বলতে চাইছেন তা খোলাসা করে বললে ভালো হয় !

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সূখ পাঠ্য।

এক জীবন জানার জন্য কত ছোট!! ভাবলেও অবাক হতে হয়।
আহুরা মাজদাহ বিষয়টা জানা থাকলেও এত ডিটেইলস জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

শুভ আর অশুভ, ভাল আর মন্দের দ্বন্ধ চিরকালের...

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সূখ পাঠ্য।[/sb

যাক , আমার লিখা যে কারও কাছে সুখ পাঠ্য বলে বিবেচিত হয়েছে এটা জেনে বেশ আপ্লুত হচ্ছি । ধন্যবাদ আপনাকে ।

আমরা কিন্তু এভাবেই একজন থেকে আরেকজন জেনে থাকি আর এভাবেই আমরা পরিচিত হই আমাদের সাথে ।

আর হ্যাঁ ভালো মন্দের দ্বন্দ্ব টিকে আছে বলেই হয়তো আমরা ভালো বলে কিছু আছে তা জানছি !!

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "মায়ের ভূমিকা বুঝত বলে আপনি আসলে কী বলতে চাইছেন তা খোলাসা করে বললে ভালো হয় ! "

-যেকোন সভ্যতায় নারীই মা ছিলো, সংসারে মায়ের ভুমিকা ছিলো, উহা নিয়ে কি আমাকে গরুর রচনা লিখতে হবে?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মায়ের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত হওয়ার সাথে মাজডাকের এই রচনার কী সম্পর্ক তাই আমি বুঝতে পারছি না । আপনি দয়া করে সঠিকভাবে বললে বলুন না হলে কিছুই করার নেই ।

আর আপনি যদি মায়ের ভূমিকা এনে সেই সমাজে নারীর অনেক সম্মান ছিল এটা যদি বলতে চান তবে সেটাও হাস্যকর হয়ে দাঁড়াবে আপনাদের যুক্তিতে । কারণ ইসলামে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান এই মায়ের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে বলা হলেও আপনারা তা মানেন না । তো এখানে কেন মানছেন বা এসব তুলছেন ?

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: বাংলাদেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা চালু আছে তা পূর্ণভাবে অনুসরণ করলে এই ব্যবস্ঞা সাহায্য করতে পারবে বলে আমি মনে করি ।

-মিশ্র অর্থনীতি আছে সেই রকম ৪/৫টি দেশের নাম বলুন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: Click This Link

এখান থেকে জেনে নিতে পারেন ভাই ।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি লিংক থেকে জানতে বলেছেন, আমি সেগুলো জানি; আমি আপনার মুখ থেকে জানতে চেয়েছি।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি নিজে লিংকের পেইজে বিবৃত নামগুলোই বলতাম তাই সরাসরি লিংক দিয়েছি । তো আপনার যা বলবার বলুন !!

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৩

আরইউ বলেছেন:




ব্লগে খেটেখুটে ফিচার পোস্ট এখন খুব একটা কেউ লেখেনা। আপনার লেখা আমার ভালো লেগেছে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । চেষ্টা করব এমন লিখা আরও লিখতে !!

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাজদাক তাহলে কি পারসিক ধর্মের (জরথ্রুশ্তবাদ) অনুসারী ছিলেন? এই ধর্মের সাথে আব্রাহামিক ধর্মগুলির অনেক মিল আছে এবং
এটা আব্রাহামিক ধর্মগুলির চেয়েও পুরনো ধর্ম সম্ভবত। পারসিকদের ধর্ম গ্রন্থ জিন্দাবেস্তায় হজরত মুহাম্মাদের (সা) আগমন সংক্রান্ত কিছু ইঙ্গিত আছে। জরথ্রুশ্ত হয়তো আল্লাহর কোন নবী ছিলেন।

মাজদাকের সাম্যবাদ অভিজাত শ্রেণীর লোকদের ভালো লাগেনি। এটাই স্বাভাবিক। এই কারণেই হয়তো তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। খসরু কি পারস্যের সম্রাট ছিলেন? এটা কি নাম না উপাধি। আমাদের রসুলের (সা) জমানাতেও সম্ভবত খসরু বলা হতো।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ তিনি জরথ্রুষ্টবাদের অনুসারি ছিলেন শুধু তাই নয় তিনি জরথ্রুষ্টের একটি স্কুলের প্রচারক ছিলেন । এর সাথে তিনি মোবাদ ছিলেন । আর এই ধর্ম মনোথিস্ট একটা ধর্ম বলে জানি । ড. আল্লামা ইকবালের মতে এই ধর্মের যাত্রা সে সময়ে যখন বৈদিক স্তোত্রবাক্য রচিত হচ্ছিল । তাই পুরনো এই ধর্ম কিন্তু আব্রাহামিক ধর্মের চাইতে পুরনো বলা যায় না । জেন্দাবেস্তায় পয়গম্বর (সাঃ) আগমনের সম্পর্কে কিছু বলা আছে কিনা আমি জানি না । তবে আপনার থেকে জেনে আগ্রহী হলাম !


খসরু তার নাম । খসরু সম্রাট ছিলেন , তিনি প্রথম কোবাদের পর সিংহাসন আহরণ করেন । ৫৩১ থেকে ৫৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি বহাল ছিলেন ।

ধন্যবাদ পড়বার জন্য !

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৬৩৩ খ্রিষ্টাব্দে হজরত মুহাম্মাদ (সা) পারস্যের সম্রাট খসরু বরাবর এই চিঠি লিখেছিলেন। এই খসরু আর আপনার পোস্টের খসরু এক কিনা জানি না। এক না হলে বলা যায় যে খসরু ঐ সময়ের পারস্যের সম্রাটের উপাধি ছিল হয়তো।

The Prophet addressed this letter to the king of Persia: “In the name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful. “From the Prophet Muhammad, to Chosroes, ruler of Persia.” “Blessed are those who follow Guidance and put faith in Allah and His Messenger. I bear witness that none is worthy of worship except Allah. He is One and has no partner, and Muhammad is His servant and Messenger. I call you to Allah, as I am a Prophet sent to all mankind to warn those alive and to establish the truth in the eyes of the unbelievers. Accept Islam and you will be secure. In case you reject it, you shall bear the sin of all the Magi.”

This letter was sent through Abdullah bin Hudhayfah Sahmi to the ruler of Bahrain, who was to deliver it to Chosroes. When the letter was read out to Chosroes, he ripped it up saying, “A wretched slave among my subjects dares write his name before mine!” When the Prophet heard how Chosroes had torn up his epistle, he said, “Even so shall Allah destroy his kingdom.” His words rang true, for shortly thereafter the Persian forces tasted ignominious defeat at the hands of the Romans. Following this, Chosroes’ son, Shervah, rose up in revolt, assassinated him and seized the throne. Persia was racked by dissention and conflict until the Muslim conquest during the Caliphate of Umar bin Khattab।

হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) জন্ম অনুমান করা হয় যে খৃষ্টপূর্বাব্দ ১৮১২ থেকে ১৬৩৭। কিন্তু জরথ্রুশ্তের জন্ম খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ২০০০ এর আগে। তাই আব্রাহামিক ধর্ম জরাথ্রুষ্টিয়ানদের পরে এসেছে অনুমান করা যায়।

জরাথ্রুষ্টিয়ানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ "দসাতির (Dasatir)" এর সাসান-১ এর পত্রের ১৪ নাম্বার বাণীতে জরাথ্রুষ্ট ভবিষ্যৎবাণী করেছেন;

“যখন পারস্যবাসীরা নিজেদের ধর্ম ভুলে যেয়ে নৈতিক অধঃপতনের চরম সীমায় উপনীত হবে, তখন আরবদেশে একজন মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করবেন। যার শিষ্যরা পারস্যদেশ এবং দুর্ধর্ষ পারসিক জাতিকে পরাজিত করবে। নিজেদের মন্দিরে অগ্নিপূজা করবে না।তারা সেই ঘরের (ইব্রাহিম আঃ এর নির্মিত মসজিদ কাবাঘরের) দিকে মুখ করে প্রার্থনা করবে।সেই ঘর মূর্তিহীন হয়ে যাবে।সেই মহা পুরুষের শিষ্যরা সমগ্র পারস্য,তুস,বলখ এবং অন্য বৃহৎ অঞ্চলসমূহ জয় করিবে।”

এই ভবিষ্যৎ বাণী আমাদের রসুলের (সা) আগমন নির্দেশ করে বলে প্রতীয়মান হয়। এছাড়াও জিন্দাবেস্তার কয়েক জায়গাতে পারসিক ভাষায় একজন মহাপুরুষের নাম বলা হয়েছে যেটার অর্থ দাড়ায় 'প্রশংসিত', 'প্রশংসাকারী' এবং 'রাহমাতুল্লিল আল আমিন'। এই শব্দগুলি আমাদের নবীজির (সা) সাথে মিলে যায়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি যে খসরুর কথা বলছেন তিনি ২য় খসরু এবং ইনি প্রথম খসরুর নাতি । তবে তিনি তো ৬২৮ এ মারা যান ।

জরথ্রুষ্টের সময়কাল নির্ধারণ নির্ণয় করা কঠিন । তার সময়কাল নিয়ে মতভেদ আছে মানুষের । আর ইব্রাহিম আঃ এর সময়কাল যা অনুমান করা হয় তা বাইবেল অনুযায়ী তাই এক্ষেত্রে আমার বরাবর সন্দেহ থাকে ।

আর বাকী তথ্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ !

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৮

জাদিদ বলেছেন: অনেকদিন পর একটি ভালো ফিচার পড়লাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

একটি পরামর্শ দিচ্ছি সহ ব্লগার হিসাবে। যদি কেউ কোন পোস্টে এসে অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে বার বার মন্তব্য করে, অনুগ্রহ করে উক্ত মন্তব্য মুছে দিয়ে তাকে ব্লক করে দিন। কারন এই ধরনের চমৎকার পোষ্টে পাঠক হিসাবে আমরা যৌক্তিক হাজারো মন্তব্য প্রত্যাশা করি। যে কোন অযৌক্তিক আলাপই বিরক্তিকর।

শুভ কামনা জানবেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

পরামর্শটা ভালো লেগেছে । হ্যাঁ আমিও যৌক্তিক প্রশ্ন ও আলাপ আশা করেছিলাম । তবুও চাইছি না আক্রমনাত্মক কিছু করতে । আমি মনে করি ব্লগিং জগতে আমাদের এভাবে আচরণ করাটা ঠিক না কিন্তু কিছু অবস্থায় বেশ বিব্রত হয়ে পড়ি তখন আপনার এই পরামর্শ আমার কাজে লাগবে আশা করি । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জাদিদ ভাই !!!

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই চিঠি লেখার সাল সম্ভবত ৬২৮ খ্রিস্টাব্দের কিছু আগে হবে। সালটা আমি ভুল লিখেছি। এই চিঠি লেখার কিছু দিন পরেই ওনাকে হত্যা করা হয়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তবে সব ঠিক আছে । যাক নিশ্চিন্ত হলাম !!

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:৩৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: নতুন একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ মাজদাক বিষয়ে লিখবার জন্য।

সম্পদের বন্টন বিষয়ে তার এই দর্শন সে সময়ের প্রেক্ষিতে খুবই বৈপ্লবিক সন্দেহ নেই আর তার পরিনতি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক।

আমার বিশ্বাস এই যে, আজ সতেরশ বছর পরে আমাদের সময় এসেছে, আবারো এই প্রশ্ন নতুন করে করার - কেন বহু শিশু, বহু মানুষ না এই একবিংশ শতকেও না খেয়ে থাকবে? শিক্ষা, চিকিৎসার মত মৌলিক প্রয়োজন গুলো থেকে বঞ্চিত হবে?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মাজদাকের আগেও জরথ্রুষ্টও এমন সমাজতান্ত্রিক মতবাদ রেখেছেন বলে কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন । তবে মাজদাক ইতিহাসে বেশি ফুটে উঠেছে ।


আপনার শেষোক্ত কথাগুলোর সাথে আমি একমত । বিবেকবান মানুষ মাত্রই এমন কথাতে সায় দিবে বলে আমি মনে করি । তবে এখানেও সম্ভবত বাধা হয়ে দাঁড়াবে প্রাগৈতিহাসিক অভিজাত শ্রেণীর প্রেতাত্মারা । যারা চায় নিজের অখের গোছাতে আর হাজার মানুষের করোটি পদদলিত করতে !!

ধন্যবাদ আপনাকে !!

১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ সুখপাঠ্য! ইতিহাস আর বিজ্ঞান আমার বরাবর আকর্ষন করে।
আপনাকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা ফিচার দেবার জন্য।
ভয়ঙ্কর এক হত্যাকান্ড! তবে তাঁর নীতি ভুল ছিল।


এক জায়গায় মনে হয় একটু ভুল আছে; আর কোবাদ বলে যে সে মনে করে মাজদাকের এই ধর্মমত একেবারেই মিথ্যা ও পথভ্রষ্টকারি এক ধর্মমত এবং সে কোবাদ থেকে ৬ মাস সময় চেয়ে নেয় তার মত প্রমাণের জন্য ।
~ এখানে মনে হয় খসরু হবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম । যাক পেলাম অবশেষে ।

কৃতজ্ঞতা জানবেন শেরজা ভাই , আমার ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য !

তার নীতি যে ভুল ছিল তা নিয়ে অনেকেই মতামত দিয়েছেন । তবে আপনার ভুল বলার পেছনে কী নিরাশা কাজ করছে শেরজা ভাই । নাকি আসলেই কোন অসংগতি আপনার গোচরাভূত হয়েছে । হলে প্লিজ জানাবেন !


ধন্যযোগ পড়বার জন্য !!

১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জেনে ভালো লাগল । চাইলে সংকোচ ছাড়াই এই বিষয় নিয়ে আলাপ পাড়তে পারেন । এতে আমার কোন বাধা নেই !!

১৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হয় ' সমাজতন্ত্র' একটা ভুল দর্শন।
কার্ল মার্ক্স থিউরিটিক্যালি যেভাবে বলেছেন সেটা বলতে বা ভাবতে ভাল লাগে- কিন্তু কোন রাষ্ট্রে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা আপাত দৃষ্টিতে কঠিনই নয় অসম্ভব।
সমাজতন্ত্র গরিবদের জন্য বেশ লোভনীয় একটা ব্যাপার! কিন্তু যেখানে শাসক ও প্রজা দু-পক্ষ মুখোমুখি হয় তখন গোল বাঁধে। দেশ পরিচালনা করতে হলে প্রচুর নিয়ম নীতির বেড়াজালে জনগনকে বেঁধে ফেলতে হয়। একজন প্রান্তিক মানুষ যখন সমান সুবিধাভোগী হয় তখন প্রাথমিক চমৎকার একটা ব্যাপার মনে হয়( যেমন রাশিয়ায় শুরুতে ছিল)। কিন্তু ধীরে ধীরে কিছু জিনিসের অভাব প্রকট হয়ে পড়ে তখন মোহমুক্তি হয়। সমাজে শাসক, শ্রমিক, বণিক ব্যবসায়ী সবার প্রয়োজন আছে।
ধরুন হাতের কাজে আপনি ভীষণ দক্ষ- দারুন একটা চারু বা কারুর কাজ করলেন। এটার প্রচার প্রসার করবে কে- কে আপনার প্রতিভার সঠিক মুল্যায়ন করবে?
গঁগ্যা,ভ্যানগগ,ভিঞ্চি,এঞ্জেলা যাদের কথাই বলেন ধণী,বণিক শ্রেণীর জন্য তাদের এত নাম ডাক। শুধু শিল্প বোদ্ধা হলেই হয় না। শিল্পের মুল্য দিতে হয়।
আপনাকে যদি ওই রুটি বানাতে হয় কিংবা হাল চাষ করতে হয় সারাজীবন তাহলে দেশ এগুবে না -এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে।

বাকি কথা পরে হবে। ভাল থাকবেন।
* আগের মন্তব্যটা মুছে দিবেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সমাজতন্ত্র প্রথমেই আলোচিত ছিল বঞ্চিতদের স্বার্থে । কেবল সম্পদের জোরে একটি মানুষ আরেকটি মানুষ থেকে আলাদা হয়ে যাবার যে নীতি তার বিরুদ্ধেই প্রথম সমাজতন্ত্র কথা বলতে শুরু করে । মার্ক্স যেমন শুরুতেই আদিকালে শ্রমের মূল্য কেমন ছিল , কীভাবে শ্রমিকরা উদ্বৃত্ত শ্রম বিনিয়োগ করলে তার উদ্বৃত্ত প্রাপ্তিটা তার নিজেরই থাকে বলা শুরু করেছিল তেমনটাই সমাজতন্ত্রবাদ প্রথমেই আলোকপাত করে । এটা সত্যিই ভাববার বিষয় । শ্রমিক উদ্বৃত্ত শ্রমের মূল্য পাচ্ছে না ঠিকভাবে ।

সমাজতন্ত্রের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা সত্যিই অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করে । সবাইকে সমান গণ্য করার কারণে মেধার সঠিক মূল্যায়ন ঘটে না এবং এখানেও শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন ঘটে না । এটা ঠিক এটা সমাজতন্ত্রের এক বড় অসুবিধা যা পুঁজিতন্ত্রের মূল দিকের সাথে মিলে যায় । আবার সমাজতন্ত্রে নতুন বিনিয়োগ ঘটে না , বলতে গেলে বিনিয়োগ ক্রমেই কমতে থাকে । এটাও একটি অসুবিধা !

আপনার তুলে ধরা ব্যাপারটা যৌক্তিক কিন্তু অবহেলিতের কী হবে ? পুঁজিতন্ত্রের ক্ষেত্রেও মুনাফা সর্বাধিকরণের কারণে মেধার কোন মূল্যায়ন হয়ই না । এখানেও শিল্পীর মূল্যায়ন হয় তখনই যখন এর চাহিদা তুঙ্গে থাকবে । কোন শিল্পী কী পুঁজিতন্ত্রে কোন মূল্য পেয়েছে যতক্ষণ তার চাহিদা না বাড়ছে ? সমাজতন্ত্র শেষ কথা , এটা আমি মানি না । কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় যে কোন অবস্থায় অবহেলিতরা বঞ্চিত হবে না এবং নতুন অবহেলিতদের জন্ম হবে না !

ইনশাআল্লাহ সামনে হয়তো আরও কথা হবে । ধন্যবাদ আপনার মতামত জানাবার জন্য !!

১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ একদম নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবার জন্য। আজকাল ব্লগ বড্ড পানসে লাগছে নতুন কিছু পাচ্ছি না বলে।

একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করেছেন? গসপেল, তোরাহ, যরথ্রুস্টিয়ান, পুরাণ সব জায়গাতেই হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর ব্যাপারে ভবিষ্যতবাণী আছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন !

হ্যাঁ সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের কারণে আমিও জানলাম ! ব্যাপারটা চমকপ্রদ , আমার এই নিয়ে জানবার আগ্রহ জন্মেছে । আমি অবশ্য সেই কিশোরকালে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে পয়গম্বর সাঃ এর আগমনের কথা লিখা আছে । তবে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থকে যেহেতু কোরাণ তেমন একটা স্বীকৃতি দেয় না তাই আমার কিছু সন্দেহ আছে ! ইনশাআল্লাহ হয়তো সামনেই সত্য জানব !

ধন্যবাদ ভাই !!

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সম্পূর্ণ একটা অজানা বিষয় সম্পর্কে জেনে সমৃদ্ধ হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ আপনার এই অসামান্য প্রয়াসের জন্য।
বেশ কিছু মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য থেকেও অজানা অনেক কিছু জানলাম। বিশেষ করে সাড়ে চুয়াত্তর এবং শেরজা তপন এর মন্তব্যগুলো থেকে এবং তদুত্তরে আপনার প্রতিমন্তব্য থেকে।
নিজের জ্ঞান সীমিত বলে বিষয়ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কোন প্রসঙ্গে মন্তব্য করা থেকে বিরত র'লাম। শুধু পোস্ট ভাললাগার কথাটা জানাবার জন্যই এ মন্তব্য।
আরও লিখতে থাকুন। শুভকামনা---

০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন !

আমার জ্ঞানও সামান্য , তবে জানবার ইচ্ছা আছে অনেক । আর জানবার ইচ্ছে থাকার কারণে জানাবার ইচ্ছেটাও জন্মে যায় তাই এই প্রয়াস ।

চাইলে আপনি মন্তব্য করতে পারেন । কারণ আপনার মন্তব্য থেকে এমনও হতে পারে আপনি নিজেও আবিষ্কার করতে পারবেন নতুন আপনাকে ।

ধন্যবাদ আপনাকে আমি চেষ্টা করব আরও লিখতে !!

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ব্যতিক্রমধর্মী দারুণ একটা লেখা! অনেক ভালো লাগলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ সাধু ভাই !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.