নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

Deism বা দেইবাদ : ১৭ শতকে গড়ে ওঠা এক যুক্তিবাদী ধর্মতত্ত্ব যা কেবল ধর্মতেই সীমাবদ্ধ ছিল না !

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৪




সময়টা ১৭ শতকের , ইংল্যান্ডে তখন একই সাথে নবজাগরণ ও জ্ঞানালোকে ভাস্বর করবার এক বিপ্লব চলছে । সেই সময়ে প্রাচীন দর্শন মতের অবসান ঘটিয়ে আধুনিক দর্শনের যাত্রা সূচিত হয় । তাত্ত্বিক বিজ্ঞান , সমাজ , রাষ্ট্র , অর্থনীতি ইত্যাদির পাশাপাশি নতুনভাবে ধর্মকেও প্রশ্নবিদ্ধ ও আলাদাভাবে ধর্মকে নিয়ে ভাববার এক প্রয়াস দেখতে পাওয়া যায় । সেই সময় চার্চকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ধর্মকে চার্চের কর্তৃত্বায়ন থেকে মুক্ত অথবা চার্চের প্রচারিত ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ও যৌক্তিকতার মানদণ্ডে বিচার করে ধর্মকে ত্যাগ করবার ও অস্বীকৃতি দেবার এক অনুশীলন শুরু হয় ।


ইংল্যান্ডের নবজাগরণ প্রথমত শুরু হয়েছিল ধর্মে বিজ্ঞান ও দর্শনের প্রয়োগ এবং সে সময় চার্চ কর্তৃক গৃহীত ও বিশুদ্ধ বাইবেল বল প্রচারিত “ভালগেটের বাইবেল” থেকে অধিক নির্ভুল বাইবেল তৈরী করবার উদ্দেশ্যকে সারথি করে । যদিও সেটা ফলপ্রসূ না হলেও ক্রমেই এই নবজাগরণের যাত্রা জ্ঞানের জগতে এক যুগান্তরকারী বিপ্লব এনেছিল । নিরীশ্বরবাদী জ্ঞানযাত্রার পাশাপাশি ধর্মতত্ত্বে নতুন এক শ্রেণীর উদ্ভব দেখা দেয় এই নবজাগরণের সময়ে , যাদের মূলভাষ্য ছিল ধর্ম মানেই হলো যুক্তি নাজেলকৃত কিতাব নয় এবং ইশ্বরের ওপর বিশ্বাস আনয়ন হবে যুক্তির মধ্য দিয়ে সরল বিশ্বাস দিয়ে নয় ! এই দলটির প্রচারিত মতবাদ সর্বত দেইজম (Deism ) বা দেইবাদ বলে পরিচিত !




দেইবাদীরা প্রথম থেকে কোন সংঘবদ্ধ সংস্থা বা দার্শনিক শ্রেণী ছিল না । সেইসময় দেইবাদীরা প্রত্যেকে স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের মত প্রচার করতেন ও লিখতেন । তাই তখনও পর্যন্ত তাঁদের দেইবাদী বলে আখ্যায়িত ছিলেন না । তাদের লেখ্যভাষায় আখ্যায়িত করা হত নাস্তিক বা নিরীশ্বরবাদী বলে । নাস্তিকতা বলতে এখন আমরা যা জানি তখন তা সেভাবে ব্যবহৃত হত না । সেই সময়ে যারা চার্চ বিমূখ হয়ে এবং যুক্তিকে আশ্রয় করে ধর্মকে বিবেচনা করত তারাও গণহারে নাস্তিক বলে পরিচিত হত চার্চের কর্তৃত্বায়নে । তখন নাস্তিক বলতে এটাই সংজ্ঞায়িত হত যে যে বা যারা প্রচলিত ধর্মাচরণ ও অনুশীলনের বিপক্ষে ( ধর্মের বিপক্ষে নয় ) তাঁরাই নাস্তিক , সঙ্গে যুক্তিবাদী হলে তো কথাই নেই । প্রকৃত অর্থে চার্চের যুক্তির অনুসারী না হলেই পাইকারি সম্বোধন হল , নাস্তিক । দেইবাদীদেরও অন্য কোন সম্বোধন না করে এদের নাস্তিক বা অবিশ্বাসী বলে সম্বোধন করতেন চার্চের পোপগণ ।


এই স্বতন্ত্র যুক্তিবাদী ধর্মতাত্ত্বিকদের প্রথম দেইবাদী বলে উল্লেখ পাওয়া যায় জন কালভিনের শিষ্য বিখ্যাত সুইস প্রটেস্ট্যান্ট ধর্মতাত্ত্বিক পিয়ের্রে ভিরেতের রচনা Christian Instruction in the Doctrine of the Law and the Gospel এ। ভিরেত তার রচনায় দেইবাদীদের এই বলে পরিচয় করিয়ে দেন যে এরা আসলে নাস্তিকতার বিরোধিতা করতে চায় ( যুক্তির মধ্য দিয়ে ) । এরপর থেকে দেইবাদীদের সংজ্ঞায়িত করা হয়ে মানবতাবাদ অনুসারী হিসেবে যারা ইশ্বরের বিশ্বাসকে অন্যভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকে ।


দেইবাদীদের বাদ:


যেহেতু দেইবাদীরা মূলত ছিলেন যুক্তিবাদী , তাই যুক্তির প্রতি তাঁদের প্রবণতা ছিল সবচেয়ে বেশি । প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসে ( খ্রিস্টান ধর্মে ) ইশ্বরকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে দেইবাদীরা তা অনুসরণ করেননি । যুক্তির আশ্রয়ে তারা সবকিছু বিচার করেছিল বলে খ্রিস্টান ধর্মের ত্রিতত্ববাদকে তারা অস্বীকার করে এবং পূর্ণ একেশ্বরবাদের প্রতি তারা আস্থা পোষণ করে । তারা যুক্তির মাধ্যমে এই গ্রহণ করে নেন যে পৃথিবী ও প্রাণ সৃষ্টির পেছনে অবশ্যই একমাত্র কর্তা হলেন ইশ্বর এবং তিনি হলেও শ্রেষ্ঠ সত্ত্বা (Supreme Being) । তারা এও স্বীকার করে নেন যে কর্তৃত্ব এবং প্রকৃতির দিক থেকে তিনি এক ও অদ্বিতীয় । তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞানী । তবে এখানে একেক দেইবাদীদের একেক মত রয়েছে । ইশ্বর ও তার একত্ব নিয়ে সবাই একমত হলেও ইশ্বর ও জগতের ওপর তাঁর প্রভাব নিয়ে একেকজন একেক মত প্রকাশ করেন ।

ইংরেজ দার্শনিক স্যামুয়েল ক্লার্কে দেইবাদীদের মূলত চার শ্রেণীতে বিভক্ত করেন । প্রথম শ্রেণী হলো যারা এই মত ও বিশ্বাস পোষণ করে যে একজন শাশ্বত , অসীম , স্বাধীন ও জ্ঞানী সত্ত্বা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তৈরী করেছেন । তবে জগত ও মানব নিয়ে তাঁর কোন মাথাব্যথা নেই । ইশ্বরের প্রভাব বাদে জগত চলতে পারবে নির্বিঘ্নে । অর্থাৎ , ইশ্বর সৃষ্টি করেছেন বটে তবে তিনি নিয়ন্ত্রণ করছে না কেবল সৃষ্টি করে তিনি নিশ্চুপ হয়ে আছেন এবং জগত সংসার সম্পূর্ণ স্বাধীন ।

দ্বিতীয় শ্রেণীর মতে ইশ্বর জগতের কর্মে প্রভাব রাখতে পারেন তবে বস্তুত তিনি এই জগতের প্রতি তিনি নীতিগত দিক থেকে উদাসীন । এই মতটি প্রথম মতের সাথে মিলে গেলেও আসলে এখানে একটি পার্থক্য আছে । প্রথম শ্রেণীর মতে ইশ্বর আসলে সরাসরি জগতের কর্মকাণ্ডে কোন প্রভাব রাখে না বা রাখতে পারেন না দ্বিতীয় মতে ইশ্বরের সেই ক্ষমতা আছে । আর এই দ্বিতীয় শ্রেণীর মতে মানুষই হলো সমস্ত নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সৃষ্টিকারী মানে মানুষই নৈতিকতার কর্তা ইশ্বর নন ।

তৃতীয় শ্রেণীর মতে তারা ইশ্বরকে বিশ্বাসের সাথে সাথে তার নৈতিক গুণ আছে বলে বিশ্বাস করে মানে তাকেই নৈতিকতার কর্তা বলে মেনে নেন তবে পরকাল বলে কিছু আছে , এটা বিশ্বাস করে না । তারা ইশ্বরকে নৈতিকতার কর্তা ও তার সমস্ত গুণকে মেনে নিলেও এই নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা পিছপা হয় না ।

চতুর্থ শ্রেণীটি খ্রিস্ট ধর্মের প্রচলিত ইশ্বরের ধারণাকে মেনে নেয় তবে ধর্ম ও নৈতিকতার সমস্ত কিছুকে তারা নাজিলকৃত কিতাব বা ঐশ্বরিক বাণীর পরিবর্তে যুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করে ও মেনে নেয় । এবং এই শ্রেণীটি সেই সময় ইংরেজ সমাজে বেশি প্রভাব বিস্তার করে । যদিও এদের প্রভাব ছিল নবজাগরণের প্রথম পর্যায়ে !
জন লক



চারটি শ্রেণীর মধ্যে সামান্য পার্থক্য থাকলেও তাদের ইশ্বরের প্রতি ধারণা প্রায় কাছাকাছি । দেইবাদীরা স্কলাস্টিক বা পণ্ডিতি দর্শনের অন্যতম এক দার্শনিক জন লকের প্রস্তাবিত ইশ্বর ও ধর্মকে গ্রহণ করবার পেছনে যুক্তির প্রাধান্যতা দেবার দর্শনকে গ্রহণ করে ও তার ভিত্তিতে তাঁদের মত ও বিশ্বাসকে উপস্থাপন করে যদিও জন লক নিজে দেইবাদী ছিলেন না । এছাড়াও দেইবাদীরা ছিলেন স্পিনোজারের দর্শনে অনুপ্রাণিত । লাইবনিজকে পছন্দ না করলেও ( যদিও তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর দেইবাদী ) লাইবনিজের মত উদ্দেশ্যবাদ বা Teleology কে সারথি করে তারা তাদের বাদ প্রচার করতো । আর তাই চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত হলেও তারা ইশ্বর নিয়ে এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিল ( ও আছে ) যে ইশ্বর আছেন , তিনি সৃষ্টি করেছেন সব কিছু । তিনি সর্বশক্তিমান , সর্বজ্ঞানী ,স্বাধীন । তিনি এই ব্রহ্মাণ্ড তৈরীর পর প্রাকৃতিক নিয়ম তৈরী করে দিয়েছেন । আর সেই প্রাকৃতিক নিয়মেই চলছে ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কর্ম , আর এই যে প্রাকৃতিক নিয়মের স্বয়ংক্রিয় কর্মকাণ্ড এতে ইশ্বরের আর কোন হস্তক্ষেপ থাকে না । তিনি আর কোন প্রভাব রাখেন না এবং না নতুন কিছু যোজন করে বা বিয়োজন করে । ব্যাপারটা এমন যে তিনি স্বাধীন সর্বশক্তিমান কিন্তু তিনি সৃষ্টির পর পরিচালনা করতে পারেন না বা সৃষ্ট বিষয়ের ওপর তার কোন প্রভাব থাকে না । অর্থাৎ ইশ্বর সর্বকর্তা হয়েও নিষ্ক্রিয় এক সত্ত্বা মাত্র । তারা ইশ্বরকে মেনে নেবার পরও বিশ্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নিয়ম বা প্রকৃতি বলে একটি টার্মকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করে যার সৃষ্টিকর্তা ইশ্বর হলেও তার নিয়ন্ত্রণ কর্তা ইশ্বর নন । অর্থাৎ ইশ্বরকে মেনে নিয়েও ইশ্বরের কর্তৃত্ব তারা সর্বাত্মক দিক থেকে মেনে নেননি ।


ইশ্বরের প্রতি এমন ধারণা থেকে তাদের বিশ্বাসে আরও কিছু দিক প্রতিভাত হয় । তারা নাজিলকৃত বাণীকে বিশ্বাস করত না , কারণ তারা যেহেতু বিশ্বাস করতো না যে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে ইশ্বরের কোন প্রভাব আছে বা ইশ্বরের প্রভাব রাখবার ইচ্ছা আছে তাই তাদের মত হলো ইশ্বরের আর কোন প্রয়োজন পড়ে না মানুষকে সত্য জানানোর এবং যোগাযোগ করবার জন্য । তাই নাজিলকৃত বাণী বা আসমানি কিতাব থাকবার কোন যুক্তিই থাকে না । তাই তারা সমস্ত নাজিলকৃত কিতাবকে অস্বীকার করে । সেই সাথে অস্বীকার করে সমস্ত নবীদের , কারণ যেহেতু নাজিলকৃত কিতাব স্বীকৃত নয় সেহেতু নবী বলে কাউকে মানার প্রশ্নই উঠে না কারণ ইশ্বর মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে উদাসীন অথবা যোগাযোগ করবার কোন প্রয়োজন পড়ে না ।


সেই সাথে তারা কোন ধর্ম মানতো না । মানে তারা ইশ্বরে বিশ্বাস করলেও ধর্মাচারণে কোন বিশ্বাস রাখতো না এর পেছনের কারণও সেই ইশ্বরের কোন কিছুতে প্রভাব না রাখবার ইচ্ছা । যেহেতু ইশ্বরের কোন প্রয়োজন নেই মানুষকে কোন নিয়মে বাঁধবার তাই এখানে ধর্ম বলে কোন কিছু নেই বা থাকতে পারেই না । একই সাথে তারা কোনভাবেই এই বিশ্বাস করতো না যে পৃথিবীতে অলৌকিক বলে কিছু ঘটে বা ঘটতে পারে । এই বিশ্বাসের পেছনের যুক্তি হলো ইশ্বর যেহেতু সব কিছু পূর্ণাঙ্গভাবে সৃষ্টি করেছেন তবে তো আর অলৌকিক কিছু ঘটবার প্রয়োজন নেই , আর যদি ইশ্বর কোন অলৌকিক কিছু ঘটিয়ে থাকেন তবে এই দাঁড়াবে যে ইশ্বর তার স্বরূপের দিক থেকে পূর্ণাঙ্গ নন । এই যুক্তির প্রবক্তা হলেন দার্শনিক স্পিনোজা । যদিও তিনি দেইবাদী ছিলেন না তবুও তার এই যুক্তিকে মেনে চলতেন সব দেইবাদীরা ।


দেইবাদীরা পরকালেও বিশ্বাস করত না । কারণ ইশ্বরকে তারা যেহেতু নিষ্ক্রিয় মনে করত তাই তার পরকাল কেন্দ্রিক কর্তৃত্বকে মেনে নিতেন না । ফলে মানবাত্মার চিরন্তনতাকেও তারা স্বীকার করত না । তাই “মানব ও জগত সৃষ্টির কারণ কী ?” এই প্রশ্নের উত্তরে তাদের থেকে একটাই কথা পাওয়া যায় সেটা হলো যুক্তির প্রতিষ্ঠা । কিন্তু যুক্তি প্রতিষ্ঠা করবার ইশ্বরের উদ্দেশ্য কী ? তিনি তো জগত সৃষ্টি করেই উদাসীন হয়ে গেলেন ! দূর্ভাগ্যবশত এর উত্তর পাওয়া যায় না । তবে তাঁদের প্রচ্ছন্ন(!) ইশ্বরতত্ত্বের ভিত্তিতে তাদের অন্তর্নিহিত বিশ্বাসকে অনুমান করা যায় যে তারা বলতে চায় ইশ্বর আসলে উদাসীনভাবে সব করেছেন এর পেছনে কোন পোক্ত কারণ নেই , কিন্তু সর্বজ্ঞানীর কী অহেতুক কর্ম মানায় ? এই প্রশ্ন নিয়ে সম্ভবত দেইবাদীরা ভাবেননি যার কারণে অনেকের কাছেই দেইবাদীরা গ্রহণযোগ্য নয় !



রাজনৈতিক প্রভাব
দেইবাদীরা জন লকের থেকে কেবল বিশ্বাসের জন্য তার দর্শনের অনুসারী হয়নি । জন লকের রাজনৈতিক দর্শন থেকেও তারা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত ছিল । জন লকের মতে আদিতে আমরা ছিলাম স্বাধীন । তখন আমরা শাসন্তান্ত্রিক সমাজের অধীনে ছিলাম না বলে আমরা ছিলাম স্বাধীন । আর লকের মতে এই স্বাধীনতা হলো “প্রাকৃতিক স্বাধীনতা” । এই প্রাকৃতিক স্বাধীন থাকবার সময়ে না ছিল কোন কর্তৃত্ব , শাসন কিংবা অধীনতা । তাই বিচার ও ক্ষমতার প্রয়োগ ছিল সকল মানুষের মধ্যে সমান , কারও অধিকার অন্যের চেয়ে বেশি ছিল না । আমরা আদিতে যখন এমন স্বাধীন ছিলাম তো শাসনতান্ত্রিক আচরণ মানুষের মৌলিক বা সহজাত কোন আচরণ নয় । কোন মানুষই কারও অধোস্তন কিংবা উর্ধ্বতন হয়ে জন্মায় না , তাই মানুষের স্বাধীনতা সহজাত ।

ভলতেয়ার


লকের এই চিন্তা দেইবাদীদের মধ্যে ছিল আর তাই দেইবাদীরা সর্বদাই মানুষের স্বাধীনতা নিয়ে সচেতন ছিল । দেইবাদীদের চিন্তা যেমন ছিল মানুষ ইশ্বরের সরাসরি প্রভাব ( যেমন- নিয়তি ) থেকে মুক্ত তাই মানুষ পূর্ণ স্বাধীন ফলে অন্য কোন মানুষের অধীনতা যৌক্তিক হতে পারে না । এর মানে এই না দেইবাদীরা লিবারিজম বা উদারবাদী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিল । তারা সরাসরি সেই আন্দোলনে জড়িত না হলেও উদারবাদী দর্শনের সমর্থক ছিল । তাদের এই সমর্থনের কারণে উদারবাদীতা ভালোভাবেই প্রচার পায় । আর এর ফলে রাজনীতিতে এদের প্রভাব ভালোভাবে
পরিলক্ষিত হয় । তাদের রাজনৈতিক প্রভাব এতটাই বিস্তৃত ছিল যে ফরাসী বিপ্লবে তাদের অবদানকে অস্বীকার করা যায় না । ফরাসি বিপ্লবের প্রধান উদ্দেশ্য চার্চ কেন্দ্রিক শাসন থেকে মুক্তি এবং সমতা ও স্বাধীনতার যে ধারণা তা এসেছে এই দেইবাদীদের হাত ধরে । ফরসী বিপ্লবে অন্যতম বুদ্ধিজীবি রুশো , ভলতেয়ার এবং মন্টেস্কো ছিলেন দেইবাদী । তারা তাদের বাদকে ব্যবহার করে সূচনা করেন ফরাসি বিপ্লবের চালিকাদর্শনের । আর এদের দর্শনের কারণে সারা পৃথিবীকে নাড়া দেবার মত এক বিপ্লবের জন্ম হয়েছিল তা তো সবার জানা ! আবার ফরাসি বিপ্লবোত্তর চার্চের প্রভাব মুক্ত হয়ে রবেস্পিয়ার যে Supreme Being ধারণা এনে নতুন ধর্ম কেন্দ্রিক রাজনীতির অবতারণা করেছিলেন তা কিন্তু এই দেইবাদীদের দর্শন থেকেই নেয়া । এমনকি আমেরিকা তৈরীতেও দেইবাদীদের যে অবদান ছিল তাও এখন প্রমাণিত , সেসময়ে আমেরিকার ভিত্তিপিতাগণের মধ্যে অনেকেই ছিলেন দেইবাদী । আমেরিকার স্বাধীনতা বিপ্লব ও আমেরিকার সংবিধান তৈরীর পেছনে যে দেইবাদের অনুপ্রেরণা ছিল তাও স্পষ্ট , তাই বোঝাই যাচ্ছে দেইবাদীদের রাজনৈতিক প্রভাব এড়িয়ে যাবার মত কোন ইতিহাসের অংশ নয় !!



নবজাগরণে তাঁদের প্রভাব
ব্রিটিশ নবজাগরণে (রেঁনেসা) দেইবাদীদের অবদান কম ছিল না । প্রতিষ্ঠিত ও ধ্রুপদী যত দেইবাদীরা ছিলেন তারা সকলেই ছিলেন অভিজাত শ্রেণীর মানুষ । যারা ছিলেন শাসনতন্ত্র ও আইনকর্তাদের সাথে সরাসরি জড়িত । নবজাগরণে যে পণ্ডিতি বিপ্লব ঘটেছিল তা ঘটেছিল এই অভিজাত শ্রেণীর দেইবাদীদের কারণে । তাঁদের আগে অনেক দার্শনিকের কারণে নবজাগরণ ঘটবার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু তা হয়নি কারণ সেই সময়ে যতজন অভিজাতশ্রেণীর দার্শনিক ছিলেন তারা প্রায় সকলেই অর্থোডক্স মতবাদের অনুসারী ছিলেন তাই চার্চের খড়গ সব সময় জ্ঞান জগতের ঘাড়ের ওপর তাক করা ছিল । ফলে সেই সব দার্শনিকগণ যারা অভিজাতশ্রেণী ছিলেন না তারা তাঁদের দর্শনকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেননি , তাই কোন নবজাগরণের উদ্ভব সেই সময়ে হয়নি ।


অন্যদিকে দেইবাদী সকল অভিজাতশ্রেণীর দার্শনিকদের কারণে নবজাগরণের সারদর্শন জনমানুষের কাছে পৌঁছে যায় । কারণ ছিল তাদের প্রভাব । অভিজাতশ্রেণী হবার কারণে শাসতন্ত্রের অধীনে থেকেও চার্চের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে ক্ষমতার বলে বাদ বা মতবাদ বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কোন সমস্যা হবার কথা নয় । এবং তা হয়ওনি । ফলে ইতালির নবজাগরণের পর ব্রিটিশ নবজাগরণের উত্থান ঘটে তবে ইতালির নবজাগরণের মত অতটাও নৈরাজ্যকর ছিল না এই নবজাগরণ । আরেকটি ব্যাপার হলো দেইবাদীদের হাত ধরে নবজাগরণের পরবর্তী যে জ্ঞানগত বৈচিত্যতার উন্মেষ ঘটেছিল আর এখানেও অভিজাত দেইবাদীদের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় । আপনি যদি ব্রিটিশ নবজাগরণের সমস্ত বুদ্ধিজীবিদের নাম নেন তবে দেখতে পাবেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন অভিজাত এবং অনেকেই ছিলেন দেইবাদী । তাই আন্দাজ করতে ক্ষতি নেই দেইবাদ নবজাগরণ এনেছিল ব্রিটিশ সালতানাতে !!


প্রাচীন দেইবাদী
দেইবাদ আধুনিক সময়ের বলে পরিচিত হলেও পূর্বেও এর প্রচার ছিল তবে তখন তা দেইবাদ বলে পরিচিত ও প্রচারিত ছিল না । প্রাচীন গ্রীস ও রোমে দুজন ব্যক্তির নাম পাওয়া যায় যারা দেইবাদী ছিলেন । দুজনের মধ্যে একজন হলেন অ্যানাক্সাগোরাস , যিনি সক্রেটিসেরও পূর্বেকার দার্শনিক আর দ্বিতীয়জন হলেন অ্যাপলোনিঅস অব টায়ানা যিনি প্যাগান যিশু নামে সমধিক পরিচিত ।

অ্যাপলোনিঅস


যদিও অ্যাপলোনিঅস একেশ্বরবাদী ছিলেন বলে অনেকেই মনে করেন কিন্তু ফিলোস্ত্রতাস কর্তৃক রচিত তার একমাত্র জীবনি ও প্রামাণ্য দলিল থেকে জানা যায় তিনি বহুইশ্বরবাদী ছিলেন । বহুইশ্বরবাদী হলেও ফিলোস্ত্রাসের রচিত বই থেকে জানা যায় যে তার মতবাদে দেইবাদের অবয়ব স্পষ্ট ছিল । তাই তাকে প্রাচীন দেইবাদী বলে মনে করা হয় !!

দেইবাদে মুসলিম দার্শনিকদের প্রভাব

দেইবাদের জন্মের ক্ষেত্রে মুসলিম দার্শনিকদের প্রভাব আছে । এই প্রভাবকে আমরা প্রত্যক্ষ প্রভাব বলতে পারি না । আমাদের বলতেই হবে প্রভাবটা ছিল পরোক্ষ । তবে এই পরোক্ষ প্রভাবের পরিধি কিন্তু সামান্য নয় বরং বেশ বিস্তৃত । মুসলিম দার্শনিকদের মধ্যে দর্শনগত অনেক বৈচিত্রতা দেখা যায় । মুতাজিলা দার্শনিক গোষ্ঠী ,ইখওয়ান আল সাফা কিংবা আশ’আরি দার্শনিক গোষ্ঠী এরা সবাই যুক্তির মধ্য দিয়ে ধর্ম ও ইশ্বরকে দেখতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দর্শনের উত্থান ঘটিয়েছেন । তাদের দর্শনের বই সমূহ ইউরোপীয় ভাষায় অনুবাদ শুরু হয় সেই ১২ শতক থেকে । ইউরোপীয় জগতে চার্চের কারণে টলেমি ও অ্যারিস্টটলীয় দর্শনের প্রভাব সেই সময় ছিল তুঙ্গে ( যতটুকু তাদের অনুকূলে ছিল ততটুকু ) এরবাদে নব্য দর্শনের কোন প্রভাব চার্চের কারণে সরাসরি প্রচার পায়নি । কিন্তু ইবনে সিনা , ইবনে রুশদ , ইবনে বাজাদের দর্শন তখন ইউরোপে অনেক পরিচিতি পায় । এমনকি তাদের দর্শনকে কেন্দ্র করে কিছু দার্শনিক দল গড়ে উঠে ( যেমন ইবনে রুশদের দর্শন অনুসরণ করে গড়ে উঠে Averroist শ্রেণী ) । তাঁদের ওপর চার্চের বদ নজর থাকবার পরও তারা সে সময় নিজেদের টিকিয়ে রাখে । চার্চ কর্তৃক প্রচারিত দর্শনের পাশাপাশি এইসব দর্শন সেই সময় থেকে প্রচারিত না হলে চার্চের দর্শনই চিরঞ্জীব হত । কিন্তু তা হয়নি ।


ইবনে সিনা ও ইবনে রুশদের অধাত্ম্যবাদের প্রভাব সেই সময় ইতিহাসে কতটা জনপ্রিয় ছিল তা হয়তো দ্বিতীয়বার বলার প্রয়োজন পড়ে না । এমনকি ইবনে বাজা বাদেও ইবনে তোফায়েলের দার্শনিক উপন্যাস হাই ইবনে ইয়াকযান এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে সেই উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রবিনসন ক্রুশো লিখা হয়েছে বলে অনেকেই অনুমান করেন । এমনকি ইবনে তোফায়েলের দর্শন সম্পর্কে লাইবনিজ বেশ উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন । কান্টের যে বিচারবাদ তা ইবনে হায়সামের জ্ঞানতত্বে প্রথম পরিলক্ষিত হয় । দেইবাদীদেরও যে দর্শন তার মধ্যে আল কিন্দি , ফারাবি থেকে শুরু করে রুশদের দর্শনও পাওয়া যায় ।

ফ্রান্সিস বেকনের যে ইশ্বরের অস্তিত্বে যুক্তির অবতারণা করেন এই যুক্তি অনেক আগে থেকেই Averroist দের দ্বারা প্রচারিত হয়ে এসেছে । এমনকি ভলতেয়ারের মত এমন বিখ্যাত দেইবাদী নিজেও ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ শিক্ষা কর্তৃক ভীষণভাবে প্রভাবিত ছিলেন যার কারণে তার রচনায় ইসলামের অনেক বিষয়কে উঠে আসতে দেখা গেছে । দেইবাদীরা যে উদ্দেশ্যবাদ যুক্তির মধ্য দিয়ে তাদের ইশ্বর বিশ্বাসকে উপস্থাপন করেছে সেই উদ্দেশ্যবাদ নিয়ে এর আগেই বিস্তৃত আলোচনা করেছিলেন ফখর আল দীন রাজী এবং তা যে ইউরোপ পর্যন্ত পৌঁছেছিল তা অনুমান করতে বেগ পেতে হয় না ।

এখন আমরা যদি জের টানি কী দেখতে পাবো ? আপনার আশেপাশে থাকা কোন প্রভাবক যদি থাকে এবং আপনার কর্মের মধ্যে যদি সেই প্রভাবকের নিদর্শন থাকে তবে এটা কী অনুমান করা অপরাধ হবে যে আপনি সেই প্রভাবক থেকে অনুপ্রাণিত ! এবার আপনার জায়গায় দেইবাদ এবং প্রভাবকের জায়গায় মুসলিম দর্শনকে রেখে বিবেচনা করুন । উত্তরটা আপনি পেয়ে যাবেন !

বর্তমানে দেইবাদ
দেইবাদের প্রভাব অনেকের মতে ১৮ শতকের মাঝামাঝি এসে ম্রিয়মান হয়ে পড়ে । কিন্তু তবুও দেখা যায় আমেরিকা তৈরী থেকে শুরু করে ফরাসি বিপ্লব ও বিপ্লবোত্তর রাজনৈতিক অবস্থা ও সেই সময়ের জ্ঞানীদের রচনা থেকে অনেকটাই প্রতিভাত হয় যে দেইবাদ সেই সময় থেকে ম্রিয়মান হয়ে যায়নি । তবে এটা ঠিক ফরাসি বিপ্লবোত্তর সময়ে রবেস্পিয়ারের হত্যার পর থেকে দেইবাদের প্রভাব অনেকাংশেই কমে যায় ফরাসি অঞ্চলে । জ্ঞান জগতে নিরীশ্বরবাদী আন্দোলনের জোয়ার এলে দেইবাদীদের প্রভাব কমতে শুরু করে । তবে নিঃশেষ হয়ে যায়নি । দেইবাদের মেঠেপথ ধরে নিরীশ্বরবাদী জ্ঞানান্দোলনের অবতারণা হলেও নিরীশ্বরবাদী জ্ঞানান্দোলন দেইবাদের প্রভাব কমানোর জন্য প্রধানত দায়ী বলে গণ্য করা যায় । কিন্তু তবুও এখনও দেইবাদীদের প্রভাব আছে । এমনকি আজকাল তাঁদের বাদ প্রচাররের জন্য আলাদা ওয়েবসাইট আছে ওয়েবসাইটি হলো DEISM । এছাড়াও তাঁদের আলাদা একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন আছে যা World Union of Deist নামে পরিচিত । তাঁদের সংখ্যা বর্তমানে কম হলেও বাংলাদেশে ধীরে ধীরে বাহাইদের সাথে সাথে এদের সংখ্যাও বাড়ছে । তবে এর কোন পরিসংখ্যান নেই বলে পোক্ত কোন কিছু বলতে পারছি না তবে হতেও পারে একদিন এই দেশেও দেইবাদীদের দৌরাত্ম চলতে পারে ।



পরিশেষে , দর্শন জগতে অনেক দল উপদল আছে যাদের জন্যে অনেক বড় ধরনের বিপ্লব হয়েছে , অনেক পরিবর্তন হয়েছে , অনেক নব্য চিন্তায় মানুষ ভাবিত হয়েছে তবে তাঁদের মধ্যে সম্ভবত দেইবাদীরা সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও সমালোচিত । কারণ তাদের সাথে জড়িয়ে আছে নবজাগরণ , আমেরিকা , ফরাসি বিপ্লব এবং অবশ্যই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রিয় মানুষের কাছে সমধিক পরিচিত ইলুমিনাতি সংগঠন ! আমরা না জেনেই অনেকেই দেইবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ও দর্শনানুসারী তাই বলাই যায় দেইবাদ এই বাংলায় অপরিচিত কোন বিষয় নয় আপনার আমার আশেপাশে অনেক দেইবাদী আছে যদিও তারা নিজেরাই জানে না তারা দেইবাদী !!!


রচনাকারী: নিবর্হণ নির্ঘোষ ।


তথ্য সহায়িকা:
*পাশ্চাত্যের দর্শনের ইতিহাস-বার্ট্রান্ড রাসেল।
*মুসলিম দর্শনের চেতনা ও প্রবাহ ।
*Islamic Philosophy between Theism and Deism-SAYED HASSAN HUSSAINI.
*Deism: Belief in a Perfect God Who Does Not Intervene
*দেইবাদ
*দেইবাদ ২














মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমরা না জেনেই অনেকে দেইবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ও দর্শনানুসারী। তাই বলা যায় এই বাংলায় দেইবাদ অপরিচিত কোন বিষয় নয়, আশেপাশে অনেক দেইবাদী আছে যদিও তারা তা নিজেরাই জানে না।

এটা আবার কেমন কথা? বিষয়টা এমন হয়ে গেলো না- "সব মানুষই খ্রিস্টান হয়ে জন্মগ্রহণ করে, পরে বড় হয়ে নিজের অজান্তেই ভুল পথে চলে যায়"?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: না জেনেও যখন আমরা অনেকেই এই দর্শনে বিশ্বাসী ও অনুসারী তো বলাই যায় দর্শনটা আমাদের কাছে পরিচিত কারণ আমরা তো অনুসরণ করছি । আবার যেহেতু আমাদের অনেকেই না জেনে বিশ্বাস করে তো তারা জানেই না যে তারা দেইবাদী । এখানে সমস্যাটা কোথায় ? আর কীভাবে আপনার উল্লেখিত বাক্যের সাথে আমার শেষোক্ত কথাগুলো মিলে ?

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেইবাদ যুক্তি দিয়ে শুরু করে বিভিন্ন দার্শনিকের কিছু ভাবনা গ্রহণ করেছে,কিছু ত্যাগ করেছে,বিভিন্ন বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে সবই ঠিক আছে। তবে ডুবে যাওয়া সূর্য উঠবে বলে মনে হয়?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তবে ডুবে যাওয়া সূর্য উঠবে বলে মনে হয়?

সূর্য তো এক অঞ্চলে ডুবলে আরেক অঞ্চলে উদয় হয় । তবে এই উপমা দিয়ে আসলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে দেইবাদের আবার আগমন ঘটবে তবে পৃথিবীর কিছুই তো নয় পূর্বের সামান্য পরিমার্জন মাত্র । তাই আশংকা আছে কিছুটা দেইবাদের আরেক বেশে আগমন ঘটতেই পারে !!

ধন্যবাদ পড়বার ও মন্তব্যের জন্য !

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেইবাদ বর্তমানে কি কন্সপিরেসি থিউরীর খোলসে আটকে আছে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরে না সরাসরি না , তবে তাদের ওয়েবসাইটে গেলেই দেখতে পাবেন ও বুঝতে পারবেন কেন ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে টেনেছি । তবে তাদের মতবাদ কিছুটা হলেও ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের অভিযোগের সাথে মিলে !!

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দেইবাদ সম্পর্কে একটি সুন্দর উপস্থাপনা ।
দেইবাদের অনেক আসারতা আছে,
সে অনেক লম্বা আলোচনা । তবে দেইবাদের বিপক্ষে
অনেক যুক্তি তর্ক ইন্টারনেট জগতে আছে যা যে কোন
আগ্রহী ব্লগার পাঠক নীজেই পাঠ করে নিতে পারেন ।

কোরানের বাণী আল্লার কালাম,যেখানে বলা হয়েছে-

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ্‌ জীবিত,তিনি সবকিছুর ধারক। তাকে নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না
এবং তন্দ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই কিছুর মালিক তিনি ।


কে আছো এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে
সে সবই কিছুই আল্লাহ্‌ জানেন।


তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করেন।
তাঁর সিংহাসন সমস্ত নভোমন্ডল ভূমন্ডল পরিবেষ্টিত করে আছে।


আর এইগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। আল্লাহই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
( সূরা আল বাকারাহ- ২৫৫ তম আয়াত)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এটাই মনে হয় আমার লিখাতে আপনার প্রথম মন্তব্য , মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !

দেইবাদের অনেক অসাড়তা আছে - এর সাথে আমি একদম একমত । তাঁদের অসাড়তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে , হয়েছে হবেও হয়তো । এদের আরেকটি সাংঘর্ষিক মত হলো মানুষই সকল নৈতিকতার ধারক ও বাহক । নৈতিকতার মৌলিক ধারক ও বাহক কিন্তু মানুষ নয় ধর্ম সেটা সাইকো এনালিসিসে অনেক আগেই আলোচিত হয়েছে ।

কোরানের যে আয়াত তুলে ধরেছেন সেটা সহ আরও বেশ কয়েকটি আয়াতকে আমি মনে করি ইশ্বরতত্ত্বের অমূল্য সম্পদ । আমাদের পূর্ববর্তী অনেক দার্শনিক এই নিয়ে আলোচনা করেছেন । আমাদেরও উচিত এই কাজে রত হওয়া !!

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: যুক্তিবাদী ধর্মতত্ত্ব।কথাটা কাঁঠালের আকসত্ত্বের মতো শুনাচ্ছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার ও সোনাগাজীর একটা সমস্যা হল আপনারা দুজনই যুক্তি যুক্তি বলে আর্তনাদ করন কিন্তু যুক্তি সম্পর্কে আপনারা একদম নিম্নমানের জ্ঞান প্রকাশ করেন । পৃথিবীর অনেক দার্শনিক বিশ্ববাদ , উদ্দেশ্যবাদ , তত্ত্ববাদ নিয়ে ইশ্বর সম্পর্কে যুক্তি দিয়েছেন আমার মনে হয় না আপনি ও সোনাগাজী জীবনেও এসব পড়ে দেখেছেন । একটু পড়ে নেবেন তবে বুঝতে পারবেন যে হ্যাঁ এখানেও যুক্তি আছে তবে এই নয় যে এই যুক্তি নিরেট এমনকি নাস্তিক্যবাদের যুক্তিও নিরেট নয় । আর নিরেট নয় বলে অনেক আলোচনা হচ্ছে নতুন তত্ত্ব আবিষ্কৃত হচ্ছে । জ্ঞানের জগতটা গতিশীল আছে ।

আমি নিশ্চিত আপনি পুরোটা পড়েননি । পড়লে বুঝতে পারতেন ওরা কেমন যুক্তি দিয়েছে । ওদের যুক্তি এবং আমার লিখা নিয়ে আপনি উন্মুক্ত আলোচনা করুন তাতে আমার সাদর আমন্ত্রণ থাকবে কিন্তু এমন অহেতুক কথা গুলোর কোন গুরুত্ব নেই ।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

কাঁউটাল বলেছেন: মুতাজিলিদের বস্তাপঁচা মতবাদ থেকে দেইবাদের জন্ম, সেখান থেকে নাস্তিক্যবাদের জন্ম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মুতাজিলিদের বস্তাপঁচা মতবাদ থেকে দেইবাদের জন্ম, সেখান থেকে নাস্তিক্যবাদের জন্ম।

আপনার বলা প্রথম কথাটির সাথে একমত হতে পারছি না কারণ মুতা'জিলারা ধর্ম মেনেছে , পরকাল মেনেছে , শেষ বিচার মেনেছে যা দেইবাদীরা মেনে নেয়নি । তবে মুতা'জিলাদের তত্ত্ব থেকে দেইবাদীরা অনেকটা অনুপ্রাণিত সেটা যদি বুঝিয়ে থাকেন তবে আমি বলব আমার মতে সঠিক বলছেন ( অন্তত যতটুকু জানি ) ।

আর শেষ কথঅটি সাথে আমি একমত !

ধন্যবাদ পড়বার ও মন্তব্য করবার জন্য !

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এদের বিষয়ে আগে জানা ছিলোনা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অনলাইনে এদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা থাকলেও এদের প্রচার তেমন একটা নেই বললেই চলে তাই আমাদের জানবার ধারে কাছেও থাকে না এসব । আমি নিজেও অন্য একটি বিষয় নিয়ে জানতে গিয়ে এদের বিষয়ে জানতে পাই আর তাই লিখেও ফেলি । অনলাইনে বাংলায় মনে হয় দেইবাদ নিয়ে তেমন কিছু লিখা নেই !!

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার ও সোনাগাজীর একটা সমস্যা হল আপনারা দুজনই যুক্তি যুক্তি বলে আর্তনাদ করন কিন্তু যুক্তি সম্পর্কে আপনারা একদম নিম্নমানের জ্ঞান প্রকাশ করেন ।

আপনার এই কথাটা সঠিক নয়।
সামুতে এই দুইজনই বিচক্ষন ব্লগার। অভিজ্ঞ। আধুনিক। মানবিক। রুচিশীল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার কাছে সঠিক মনে নাও হতে পারে , এবং এটা স্বাভাবিক ।

তবে অন্তত সোনাগাজীকে আমার বিচক্ষণ মনে হয় না যতটুকু পড়ে তাকে বুঝেছি । বিচক্ষণ হলে কেউ সোনাগাজীর মত এমন গোঁড়া হয় না এবং অযৌক্তিক আলাপ পাড়ে না । ওনাকে রুচিশীল বলা যায় কিনা তা আমি জানি না তবে তিনি যে আধুনিকতার চাদরে প্রাগৈতিহাসিক অন্ধ যুগের মানুষ তা বোঝা যায় উনি তর্কে না পারলে পরে ব্যক্তিআক্রমণে নিজেকে বড় করতে চান ।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: দেইবাদ সম্পর্কে গুছানো সুন্দর লেখা। নতুন অনেক কিছু জানার জগতে যোগ হইলো। ব্লগ পাঠকের মনের খোরাক দেবার জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাতিজার বাপ =p~

ব্লগ পাঠকের মনের খোরাক দেবার জন্য ধন্যবাদ।

আহা এই কথাটা হৃদয় জুড়াল !

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: বুঝতে চেষ্টা করুণ মানুষটাকে।
মানুষটা নীতিবান এবং সৎ। অবশ্যই মেধাবী।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তাকে আমি প্রথম দিক থেকে শ্রদ্ধাই করতাম তবে ওনার অযৌক্তিক আলাপ পাড়া দেখবার পর আর সেই শ্রদ্ধা আমার নেই । আর তিনি নীতিবান বা সততার পথিক কীনা তা দিয়ে আমার ব্লগে কোন কাজ নেই । তার সাথে আমি ব্যবসায় বা আত্মীয়তা করতে যাচ্ছি না !

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার লিখেছেন। এই বিষয়ে আমার যতসামান্য পড়াশোনা ছিলো- তবে আপনার পোস্ট পড়ে আরও বেশী ধারণা পেয়েছি। এমন ধারার লেখা আরও লিখবেন আশা করি। শুভ কামনা। +

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যাক আপনার মন্তব্য পাওয়া গেল ! ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য !

আর এমন বিষয় নিয়ে লিখবার জন্যই ব্লগে আসা !! আমি চেষ্টা করে যাবো !!

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরা ঈশ্বরকে নিষ্ক্রিয় মনে করে, ধর্ম মানে না, পরকাল মানে না। তার মানে এরা মনে করে একজন ঈশ্বর বা সুপার পাওয়ার আছেন কিন্তু তিনি কোন দিক নির্দেশনা মানুষের জন্য দেননি এবং পৃথিবীতে মানুষের কর্মকাণ্ডে তার কোন ভুমিকা নেই। এই কথাটা অযৌক্তিক। কারণ সৃষ্টিকর্তা থাকলে তিনি নিশ্চয়ই কোন গাইডলাইন মানুষের জন্য দিবেন এবং তিনি উদ্দেশ্যবিহীনভাবে মানুষ এবং অন্য সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। অযৌক্তিক হওয়ার কারণে এদের মতবাদকে অনেকেই গুরুত্ব দিবে না।

ইসলাম ধর্মে বলে ধর্ম বিশ্বাসের শুরু হল অদৃশ্যে বিশ্বাস দিয়ে। সূরা বাকারার ২ এবং ৩ নং আয়াতে আছে;

(১) এটা ঐ (মহান) কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য পথ নির্দেশ। (২) যারা অদৃশ্য বিষয়গুলিতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে উপজীবিকা প্রদান করেছি তা হতে দান করে থাকে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ওদের এই নিষ্ক্রিয় ইশ্বর নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে । ড. ইকবাল তো উদ্দেশ্যবাদ যুক্তিকেই বর্জন করেছেন । এছাড়াও খ্রিস্টান জগতে এদের নিয়ে কম বিতর্ক নেই । এদের মতে ইশ্বরের কোন প্রয়োজন নেই মানুষকে নিয়ে এত ভাববার জগতকে নিয়ে ভাববার তাই তাদের মতে ইশ্বরের প্রয়োজন নেই ধর্ম ও কিতাব পাঠানোর কোন ব্যবস্থা রাখবার ।

তবে এরা কিন্তু বিজ্ঞান চর্চাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে । আবার এদের পরপরই ভাববাদের জন্ম , ইতিহাসে এদের অবদান কম নয় আবার এদের কারণে চিন্তা জগতে নতুন ভাবনাও এসেছে !!

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: আরও একটা চমৎকার পোস্ট । পড়েছি সেই প্রথমদিনেই কিন্তু এতো দিন মন্তব্য করি নি কাজের কারণে । দেইবাদ কেন জানি আমার কাছে সব সময়ই বেশ আকর্ষীয় মনে হয়েছে । কারণ এরাই এমন একটা গ্রুপ যারা যুক্তির সাথে উপরওয়ালাকে বিশ্বাস করে নিয়েছে ।

পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নেই । দুই তিনটা প্লাস দেওয়া গেলে ভাল হত ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পড়বার জন্য এবং ব্যস্ততা এড়িয়ে মন্তব্য করবার ধন্যবাদ !

দেইবাদ আমারও নজর কেড়েছে ওদের এই যুক্তি কেন্দ্রিক ইশ্বর বিশ্বাস , তবে এই বিশ্বাসের পরপর যা যা গ্রহণ করেছে তা মানার মত নয় । কিন্তু এটা ঠিক আধুনিক জগতে যুক্তি দিয়ে ইশ্বর বিশ্বাসের এই অনুশীলন ওরাই জারি রেখেছিল । বাদবাকী নাহয় যুক্তির থেকে অনেক দূরে ছিল আর নাহয় যুক্তির নিকটে থেকে ইশ্বর থেকে দূরে ছিল ।

পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নেই । দুই তিনটা প্লাস দেওয়া গেলে ভাল হত ।

আসলে একাধিক প্লাস পেলে আমারও ভালো লাগত B-)


১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ ,
ঈশ্বর , সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেকেই নিজের ভাবনাকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। যারা ভাবতে পারে কিংবা ভাবতে চায় সবাই জ্ঞানী। সেটা নিয়ে সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে নিজের সেই ধারণা সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া।
দেইবাদ কে ঠিক তেমনি মনে হয়।

দুর্দান্ত আর্টিকেল। ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথমদিকে এরা সর্বস্তরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবার কোন প্রচার ছিল না । এখন এরা করছে কিছুটা । ধর্মহীন হয়ে ইশ্বরবিশ্বাসের ব্যাপারটা নতুন না হলেও দর্শনের নিরীখে সেটা নতুনই ছিল তখন এখন অবশ্য নাস্তিকতার কারণে এদের প্রভাব কম । তবুও এরা হার মানছে না ।

ধন্যবাদ পড়বার জন্য ! বহুদিন ছিলেন না , আশাকরি ভালো আছেন !!

১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বহুদিন নয় আসলে। এই তো ১০১২ দিন।
যাইহোক আমাকে মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মনে হয়েছিল এক দেড় মাস আসেননি !! যাকগে , নিয়মিত লিখবেন , এই ব্যস্ত নরকের নিরয়বাসী আপনি ও আমি । আমাদর অস্থিরতা তো সেই শব্দেই শান্ত হয় !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.