নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !
ছবিসূত্র: আর কী , গুগল !!
মানব জীবনে জীবন যাত্রার যে আবর্তন তাতে অধিকাংশ কাল আমরা পাড় করি অন্য মানবদের সাথে কোন না কোনভাবে কাল ক্ষেপন করে । সেটা সামাজিকতার কারণেই হোক কিংবা নিজের প্রয়োজনে অথবা পার্থিব দায়িত্বের দায়ে , অস্বীকার করার উপায় নেই মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় মানুষের সাথেই ! আর নগর জীবনে তো এর মাত্রা অনেক বেশিই বলা যায় । আমরা না চাইলেও আমাদের মধ্যেই ঘুরপাক খাই নাগরিক নগর বিলাসে ! সামাজিক জীবনে আমাদের সমলিঙ্গের সাথে সম্পর্ক গড়াটা বেশ স্বাভাবিক তেমনি এই আধুনিক নগর জীবনে বিপরীত লিঙ্গের সাথে সাময়িক কিংবা দীর্ঘকালীন প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক সব রকমের সম্পর্ক গড়াটাও বেশ স্বাভাবিক । সম্পর্ক যে কেবল জৈবিক হবে এমন না , আবার খুব যে সামাজিক হবে এমনও না । বেশ অদ্ভুত কিছু সম্পর্ক গড়েই যায় জীবনের প্রবাহমানতায় !মানবকুলের এক নগন্য মানব হয়ে আমিও এর বাইরে নই । আমারও এই মানব জীবনে হুট করে এক তরুণীর সাথে একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল , আর তা যে অদ্ভুত ছিল তা আমি নির্বিবাদে স্বীকার করব অন্তত আমার ক্ষেত্র থেকে !!
আমার স্নাতক শিক্ষা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ বাদে আর কোন কাজেই আমি অংশগ্রহণ করতাম না । সবার কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখবার এক অদম্য প্রয়াস আমাকে তাড়িত করতো কোন না কোন ভাবে নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে রাখবার ও স্ব-রুদ্ধ থাকবার জন্য । তাই সকলের কাছে আমি যেমন বিরক্তিকর ছিলাম তেমনি আবার ছিলাম ব্রাত্যও । এতে অবশ্য আমার খুব একটা খারাপ লাগতো না বরঞ্চ ঝামেলাহীন এক জীবন যাপন করে বেশ ভালোই দিন কাটিয়েছি আমি শুধুমাত্র আমার স্থবির সময়গুলো বাদে । ঠিক সেই সময় আমার মত এক বিদঘুটে ব্যক্তিত্বের যুবার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল এক নারীবাদী তরুণীর সাথে , নাম তার নূপুর ।
ক্লাসে তার মত মেজাজি আর কোন মেয়ে ছিল বলে মনে হয় না । একদম উন্নাসিক আর আগাগোড়া অহমিকার আলোয়ান গায়ে চরিয়ে চলা ফেরা ছিল তার পরিচয়ের সবচেয়ে স্পষ্ট দিক । তার রুক্ষ আর নির্লিপ্ত আচরণের কারণে ছেলেরা তার কাছ খুব একটা ঘেঁষতো না তার ওপর আবার নারীবাদী । উনিশ থেকে সাড়ে উনিশ হলে কখন আবার কী না কী বলে বসে বা করে বসে এই ভয়ে সব ছেলেরাই তার থেকে দশহাত দূরে অবস্থান করতো । তবে মেয়েদের মাঝে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল সে । এমন একটা মেয়ের সাথে আমার সখ্যতার প্রথম দিকটা খুব স্বাভাবিক ছিল , সাধারণ সহপাঠীদের মধ্যে যেমন কথা হয় তেমন ভাবেই । প্রথম দিক থেকেই আমি তাকে আপনি সম্বোধন করেই কথা বলতাম এবং শেষ পর্যন্ত সেভাবেই আমি তার সাথে আলাপ করে গেছি !
আমাদের মধ্যে সখ্যতা বেশ গাঢ় হয় বাতিঘরে এক মজার ঘটনার মধ্য দিয়ে । সেই থেকে আমি লক্ষ্য করতাম আমার সাথে কথা বলতে গেলে সে তেমন আচরণ করতো না যেমনটা ক্লাসের অন্য ছেলেদের সাথে করতো । আমার সাথে কথা বলবার সময় মনে হতো কোথাও কোন ভুল হচ্ছে যতটা রুক্ষ বলে মনে হয় অতটা রুক্ষও নয় এই মেয়েটি । নিজের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো এমনভাবে বলতো যেন আমি তার খুব আপন কোন বন্ধু , এমনকি তার প্রিয় মানুষের সাথে সাম্প্রতিক বিচ্ছেদ নিয়েও খোলামেলা আলাপ করেছিল সে ( এবং এও স্বীকার করেছিল এভাবে আর কাউকে সে খুলে সব বলেনি ) । আমার সামান্য কথাতেই সে হাসতো , আমার যন্ত্রণায় রেগে আগুন হলেও আবার ক্ষ্যাপতে গেলে ঠিকই সহ্য করতো কখনও এমনও হয়েছে শেষমেশ বলে বসত , “ সাহিদ অনেক হয়েছে এবার তো আপনি ক্ষান্ত দিতে পারেন , তাই না ! ’’ তার কথায় সায় দিয়ে আমি ক্ষান্ত দিতাম বটে তবে তা মাত্র কিছু সময়ের জন্য এরপর আবার যেই কে সেই , আবার রেগে আগুন হওয়া আবার সহ্য করা , পুনরাবৃত্তি হতেই থাকতো !!
করোনাকালীন সময়ে তার সাথে আমার আলাপ হত বেশি । আমাদের কথাবার্তা অধিকাংশ সময় এই প্রশ্নতেই ঘুরপাক খেত যে কবে পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হবে ? মুক্তভাবে শ্বাস নিতে পারবো আবার আর কখনইবা আমরা নিরাপদে উল্লাস করে বাঁচবো , নিভৃতে বাঁচা মরার দ্বন্দ্বে নয় !! একের পর এক লাশের খবর , মানুষ থেকে মানুষের বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা , নিজর প্রিয়জন থেকেই দূরে থাকা , জীবিকার স্তব্ধতা সব ছাড়িয়ে সব উদ্বিগ্নতা মাড়িয়ে আমাদের কথা চলত । আর একটু একটু করে বাড়তে লাগল আমার খুঁটিনাটি খুনসুঁটি আর তার কপট রাগ , আর এক নিগূঢ় সখ্যতা কিংবা নিকটত্ব !!
আমার ভবঘুরে নিরস জীবন যাত্রার প্রতি তার বেশ আগ্রহ ছিল । প্রায়ই জিজ্ঞেস করতো “ আপনি কী সত্যিই এভাবেই আজীবন থাকবেন ? ” তার প্রশ্নে আমার উত্তরটা সব সময়ই একই থাকতো , “ হ্যাঁ ” । অনেক সময় খেয়াল করেছি সে আমার উত্তরের পর একদম নিশ্চুপ হয়ে যেত । তার নীরবতা থেকে আমার মনে একটা ভয় জন্ম নিত । সে কী আমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে ? আমার যে জীবন যাত্রা তাতে এমন ঘটনা ঘটা মানেই হলো মহাপ্রলয় !! তাই বেশ কিছুদিন তার থেকে পালিয়ে পালিয়ে থেকেছি । একটা সময় সে হয়তো বুঝে গিয়েছিল , তাই একদিন তার নারীবাদী সুলভ ঝগড়া করে আমার সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিল । একদিক থেকে আমার ভেতর স্বস্তি জন্মালো এই ভেবে যে যাক বাঁচা গেল আবার অন্যদিক থেকে একটা অস্বস্তি জন্মালো । কেন যেন এর পর থেকে আমার মনটা খারাপ থাকতো , ভেতরে একটা চাপ অনুভব করতাম , বারবার মনে হত এভাবে এড়িয়ে যাওয়াটা কী ঠিক হয়েছে ? যদি এড়িয়ে না যেতাম তবে কী ঠিক হত ? দ্বিধা-দ্বন্দ্বে সময় কাটাতাম । বেশি অস্বস্তি লাগলে আমি লিখতে বসতাম । লিখতামও , কখনও কিছু একটা দাঁড়াত কখনও আবার কিছুই দাঁড়াতো না তবুও নিজেকে শান্ত রাখতে লিখেই যেতাম ।
আমার খুব প্রিয় একটি চলচ্চিত্র হলো “ কিছু সংলাপ কিছু প্রলাপ ” ( এই চলচ্চিত্রেই ব্যবহৃত হয় ধাঁধাঁর থেকেও জটিল তুমি গানটি ) । এই চলচ্চিত্রের তিনটি চরিত্র মূখ্য ছিল অরূপ , অনন্যা ও নিউটন । নূপুরকে আমি প্রায়ই বলতাম আমার অরূপ হতে ইচ্ছে হয় আবার নিউটনের মত ভাবুক আটপৌরে হতে ইচ্ছে হয় শুধু অনন্যার মত কেউ নেই আমি সত্য না মিথ্যে তা তালাশ করবার মত । আমি জানি না নূপুর নিজেই অনন্যা হয়ে আমাকে খুঁজেছিল কিনা কিংবা আমাকে বুঝতে চেয়েছিল কিনা । তবে তার কারণে আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমি আসলে একই সাথে অরূপের মত রহস্যময় আবার নিউটনের মত ভবঘুরে । তার এক বান্ধবীর মারফতে জেনেছিলাম আমার প্রতি তার আগ্রহটা নিছক নয় যা সন্দেহ করেছি তাই । তবুও আমি একে কোনভাবেই গ্রহণ করতে চাইনি । আমার কাছে মনে হয়েছে ব্যাপারটা সত্য নয় হয়তো যতটা গাঢ় বলে মনে হচ্ছে , হয়তো এটা নিছক অজানাকে জানবার তীব্র কৌতুহল ! আবার এও হতে পারে আমার অরূপ আর নিউটন হবার ইচ্ছাই আমাকে তার আগ্রহকে স্বীকৃতি দিতে চাইছে না !!
প্রায় এক বছর পর তার সাথে আবার আমার কথা শুরু হয় তারই প্রচেষ্টায় । যদিও সেই আগের মত সখ্যতা আমাদের আর ছিল না । এখনও এমন আছে । দেখা হলে খুব একটা কথা হয় না । তবে চোখাচোখি হলে খেয়াল হয় সে আমার দিকে খুব অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে যেন আমার এই ভবঘুরে আর নির্লিপ্ত জীবনকে সে বিদ্রুপ করছে কোন এক দুঃখ আর ঘৃণা নিয়ে । এই দিকটা আমার খারাপ লাগে , অস্বস্তি হয় । মাঝে মাঝে নিজেকে বেশ বিরাট মাপের অতিপ্রাকৃত বলে মনে হয় , পুরুষ হয়েও এক তরুণীর পাণিপ্রার্থনার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে দিয়ে আমি কী আমার সীমাবদ্ধতাকে জয় করিনি ? আবার মনে হয় আমি কী অন্যদের থেকে আসলেই আলাদা ? আমিও কী আর দশটা মানুষের মত নই ? তবে আমার এই কাজটা কী ঠিক হলো ?
এই দোলাচল নিয়ে আমি চলতে থাকি , আসলে ঐ যে আমি অরূপ ও নিউটন দুটোই হতে চেয়েছি হয়তো সেই কারণে আমার ভেতরে দ্বৈতসত্তার এক আদিম যুদ্ধ চলতেই থাকে । এখন অবশ্য আমি এই বিষয়টাকে বেশ উপভোগ করি , ধাঁধাঁর থেকেও জটিল আমি আমার আমিকে জয় করেছি আবার আমার আমিতেই পরাজিত হয়েছি । দারুণ না ? প্রথমে বলেছি না যে তার আর আমার সম্পর্কটাকে অদ্ভুত বলে মনে হয় ! এর কারণটা হলো তার আর আমার মাঝের সম্পর্কটা ঠিক জৈবিক নয় আবার সামাজিক নয় আবার নিছক বন্ধুত্ব নয় । হয় এই তিনটির সংমিশ্রণ অথবা অন্য কিছু ! তবে যাইহোক না কেন আমি বলব যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে । এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে সব কেন সাধারণ হতে হবে ? কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে নূপুর হওয়া আর কাউকে না কাউকে অরূপ ও নিউটনকে ধারণ করে চলাটা ভালো নয় কি ? না হলে জীবন আর বৈচিত্র্যময় হবে কী করে বলুন !!!
বিঃদ্রঃ লেখাটা সত্যি হলেও গল্প কিংবা হয়তো প্রলাপ হাহাহাহাহাহা!
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা !!
আমি বানান শুধরে নিয়েছি !!
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনার ভবঘুরে বিত্ত ও নূপুরের নারীবাদীত্ব একটা জায়গায় একটু কানেকশন পেয়েছিলো, তবে টিকে থাকার মত নয়।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সেটা মনে হয় আমার কারণেই !!
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪২
মিরোরডডল বলেছেন:
এর কারণটা হলো তার আর আমার মাঝের সম্পর্কটা ঠিক জৈবিক নয় আবার সামাজিক নয় আবার নিছক বন্ধুত্ব নয় । হয় এই তিনটির সংমিশ্রণ অথবা অন্য কিছু !
এ সম্পর্কের নাম কাছের মানুষ। প্রিয় মানুষ যাকে চাই আবার চাই না।
যার উপস্থিতি ভালোলাগার, আনন্দময় আবার তাকে একান্তভাবে চাই না।
কাছের, আবার কিছুটা দুরের, এর মাঝে অন্যরকম এক ভালোলাগা।
থাকে কিছু সম্পর্ক এরকম।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কাছের মানুষকে নিয়ে সম্পর্ক এত অদ্ভুত হয় ? ভালোলাগা মন্দ লাগা , স্বস্তি অস্বস্তি মিলিয়ে এত সরল-ঘোরাল হয় ?
অত্যাশ্চর্য এই জগতে সম্পর্কেও অতিশয় আশ্চর্য কিছু মিশে থাকে তাই না আপা !!
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: সম্পর্ক চিরস্থায়ী করতে চাওয়াই একটা বিড়ম্বনা।যতদিন ভালো লাগবে ততদিন একসাথে থাকবো।সেটা এক দিনও হতে পারে,এক বছরও হতে পারে আবার এক যোগ্ও হতে পারে।আমরা ৫০ বছর এক সাথে আছি।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যাক আপনি অন্তত বিড়ম্বনাহীন জীবন পাড় করেছেন । শুভ কামনা ও অভিনন্দন সাংসারিক পুরুষ হয়ে এতকাল থাকবার জন্য !!
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: সংলাপ কিম্বা প্রলাপ- যা ই হোক, ভাবার অবকাশ আছে।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরে বাহ্ ! কেমন ?
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি
খিদের থেকেও স্পষ্ট।
কাজের মধ্যে অকাজ খালি
মনের মধ্যে কষ্ট।
স্বপ্ন হয়ে যখন তখন আঁকড়ে আমায় ধর
তাইতো বলি আমায় বরং
ঘেন্না কর ঘেন্না কর।
মহীনের ঘোড়াগুলি গানটা কি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ?
১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ এই চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে । আমি সেই ২০১১ সালে চলচ্চিত্রে এই গানটা শুনি আর তখন থেকেই এর প্রেমে পড়ে যাই । মজার ব্যাপার হলো গানটা মহীনের ঘোড়াগুলির না এটা গড়ের মাঠ নামের একটি ব্যান্ডের । যদিও এই গড়ের মাঠের সদস্যরাই মহীনের ঘোড়াগুলি তৈরী করেছিল ! এই গানটা দুই ভাবে গাওয়া হয়েছে ( স্কেল ঠিক থাকলেও টেম্পোতে একটু পরিবর্তন করে গাওয়া হয়েছে ), তবে চলচ্চিত্রে যেটা শোনা যায় সেটা কিন্তু গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের না সম্ভবত সেটা সুব্রত ঘোষের !
তবে যাইহোক এই গানটার মানে আপনার মত মানুষরাই বুঝতে পারবে , খুব স্বাপ্নিক না হলে এই গানের অর্থ পাওয়া মুশকিল । এই যেমন আমি স্বাপ্নিক তাই এই গানটাকে বুঝি !!
৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
মজার ব্যাপার হলো গানটা মহীনের ঘোড়াগুলির না এটা গড়ের মাঠ নামের একটি ব্যান্ডের । যদিও এই গড়ের মাঠের সদস্যরাই মহীনের ঘোড়াগুলি তৈরী করেছিল !
গড়ের মাঠের অনেক গানই মহীনের ঘোড়াগুলি হিসেবে ভুল ভাবা হয়।
ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ , আসলে এই এক ব্যান্ড একেক সময় একেক নাম নিয়েছে তাই এত ঝামেলা এদিকে আবার সদস্যরা ছিল নকশালের সদস্য তাই বিচ্ছিন্নতা এদের সঙ্গী ছিল সবসময় !! তবে একটা ব্যাপার কী জানেন এখন এই গানগুলোকে এত বিচ্ছিরিভাবে গাওয়া হয় যে ভয় হয় কখন না আবার এই আবেগটাই হারিয়ে যায় !!
যাকগে , ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য !!
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৯
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: নিজের সত্তাকে আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন, মানুষ দ্বৈত সত্তায় নয় একক সত্তায় বাঁচে! অরূপ ও নিউটনের সত্তাকে আপনি পছন্দ করেন তাই বলে আপনি এমন এটা বলা যায় না! কেননা মানুষের সত্ত্বার পরিচয় মিলে তার নিজের অন্তর থেকে। আরও সহজ করে বলতে গেলে মানুষ নিজেই জানে না সে কেমন, মানে সময় তাকে বলে দেয় সে কেমন। মানুষ তার জীবনের অধিকাংশ কাজ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেমনটা আপনি করেছেন নুপুর এর ক্ষেত্রে, নিজেকে তার থেকে দুরে সরিয়ে রেখে পরে আবার তাকে ভুলতে লিখালিখি করার মাধ্যমে। সবকিছুই লিখে রাখেন উপর ওয়ালা। আপনি আমি তাই জানিই না আমরা কোন সত্ত্বার অধিকারি। কারণ আজ যে ভালো মানুষ কাল পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে সে খারাপ হয়ে যেতে কতক্ষণ? পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে আমরা কিছু মানুষ থেকে পালিয়ে বেড়াই আসলে আমরা তাদের থেকে নয় নিজের মনের একান্ত ইচ্ছে থেকে পালিয়ে বেড়াই। কারণ আমরা জানি সেই ইচ্ছে আমাদের সাধ্যের মধ্যেই নেই।
আপনার গল্প পড়ে আমার এইরুপ মন্তব্য আপনার বিরক্তির কারণও হতে পারে। সেইজন্যে ক্ষমা চাইছি। কিন্তু আপনার লিখাটা পড়ে কথাগুলো না লিখে পারলাম না। আশা করি কথাগুলোকে ইতিবাচক ভাবেই নিবেন। আর একটা কথা গল্পটা বেশ কয়েকবার ই পড়তে চাইছিলাম কিন্তু এত লম্বা লিখা পড়ার ধৈর্য্য কাজ করছিল না।
- দেয়ালিকা বিপাশা
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা খাসা হয়েছে ! নাহ্ আপনার মন্তব্যটা আমাকে রাগায়নি । তবে আপনার মন্তব্য এমনিতেই ইতিবাচক তাই নিশ্চিন্তে থাকুন ! এবং হ্যাঁ আপনার মন্তব্যের শেষ কথাটা যে প্রতিশোধ সেটা আমি বুঝেছি !
মানুষের ভেতর দ্বৈততার বসবাস সেই সৃষ্টির সময় থেকে । তাই মানুষ যেকোন কিছুকে গ্রহণ করতে দ্বান্দ্বিক হয়ে যায় । আমাদের ভেতরেই বাস করে একই সাথে ভালো ও খারাপ মানুষ । কখনও আমাদের ভেতরে ভালো জিতে যায় কখনও বা খারাপ । কে জিতবে সেটা মানুষের একান্ত ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে ।
তাই আমার আমিত্ব যখন দ্বান্দ্বিক তখন আসলে দ্বৈততা অসম্ভব কিছু নয় । আবার বলি আপনি বললেন না মানুষের সত্ত্বার পরিচয় মেলে তার অন্তর থেকে , এটা সত্য । আমার অন্তর যখন দ্বান্দ্বিক তখন তো বলাই যায় আমি দ্বৈততার সারথি !
এটা ঠিক মানুষ নিজেই জানে না সে কেমন , তাই তো পুরো জীবন জুড়ে মানুষ নিজেকে খুঁজে যায় !
নূপুরের ক্ষেত্রে আমি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেছি বলাটা সঠিক নয় । বলতে গেলে আমার একটা সত্ত্বার ইচ্ছাতেই করেছি তবে হ্যাঁ লিখতাম কারণ আমি আমার সাথেই দ্বন্দ্বে লিপ্ত । এই থেকে বের হবার রাস্তা ছিল সেটি । এমনটা না যে আমি নূপুরের প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট ছিলাম । আবার অস্বীকারও করা যায় না তবে সেটাকে প্রেম বলা যায় না কারণ ঐ যে বললাম কোন জৈবিক সম্পর্ক আমাদের ছিল না ।
পরিস্থিতির কারণে মানুষ আসলে কেন খারাপ হয় জানেন ? এই নিয়ে ড. সলিমুল্লাহ খানের একটা উক্তি আছে , " মানুষের ভেতরে আরেকটা খারাপ মানুষ আছে বলেই তাকে বলা হয়েছে চুরি করো না ! " মানে এই যে ধর্ম আমাদের বলছে পাপ না করতে এর কারণ হলো আমাদের ভেতরে আরেকজনের বসবাস বলে । আমাদের ভেতর যদি অন্য মানুষ না থাকতো তবে পরিস্থিতি আমাদের কিছুই করতে পারতো না !!
সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ তো আল্লাহর হাতে আবার বলা যায় তিনিই আমাকে দ্বৈত মননের মানুষ করে তৈরী করেছেন ।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
She's cute!
পিচ্চুর বান্ধবী?
ভালোতো।
এই কি সেই?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তোমার সাথে মিলেছে কিছুটা ? প্লিজ বলো ?? প্লিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইজ ।
না সে ও না । যার কথা বলছো সে দেখতে ঠিক ডেমি মুরের মত । একদম আশির দশকে যেমন ছিল ঠিক তেমন । ওর ছবি নেই আমার নেই ।
তুমি প্লিজ বলো যে ছবির সাথে তোমার মিল আছে কিনা !
ছবিটা ডিলিট করছি !!
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
নাহ খেলবো না, কল্লা কাঁটা ছবি দিলে হবে না
স্কুলবয়ের পুরোটা দিতে হবে
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এএএএএএএএএএএএএহ নিজের ছবি দেখাবে না তবে অন্যের ছবি ঠিকই দেখবে । কেন ? তা কেন হবে ?
তোমার ছবি দিলে আমারও দেব !
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
আহা পাগল, আমিতো বললাম আমি ছবি তুলি না।
আর এটাতো রেডি ছবি, চেস্ট দেখতে পেলাম, ফেইস দেখলে সমস্যা কি?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তুমি ছবি তোল না । আর আমি মুখ দেখাই না পর্দানশীন পুরুষ বলে , হাহাহাহাহা ।
তুমি কিন্তু বলনি তোমার সাথে ছবিটা মিলেছে কিনা । প্লিজ আপা পায়ে পড়ি । প্লিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইজ আপা বলো !!
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
তুমি প্লিজ বলো যে ছবির সাথে তোমার মিল আছে কিনা !
পিচ্চু মন খারাপ করবে!
Not really, ছবির সাথে মিল পেলাম না।
মেয়েটা কিউট, পিচ্চুর চেয়ে বড় মনে হলো, এটাও কি কোন বড়পা
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মোটেও মন খারাপ হয়নি । কেন হবে ?
আমার চেয়ে কিছুটা বড় ।
নাহ আমার সহপাঠী সে !! আমার চাইতে বড় লাগছে বলে বিপাশা সহ শায়মা আপাকে বলেছি আয়নাবিবির ৪-৫ বছর আগের ছবি । ঢাকায় এসেছিল সেসময় !
সবাই বিশ্বাস করেছিল !! হাহাহাহাহা
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
এতে অবশ্য আমার খুব একটা খারাপ লাগতো বরঞ্চ ঝামেলাহীন এক জীবন যাপন করে বেশ ভালোই দিন কাটিয়েছি আমি শুধুমাত্র আমার স্থবির সময়গুলো বাদে ।
এখানে মনে হয় কথাটা খারাপ লাগতো না হবে।
(এই চলচ্চিত্রেই ব্যবহৃত হয় ধাঁধাঁর থেকেও জটি তুমি গানটি )
এখানে শব্দটা হবে জটিল।