নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জটিল ভাউয়ের জটিল একদিন !!

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৪

( কেবলমাত্র হাস্যরসের কথা চিন্তা করে এই লিখাটা লিখা হয়েছে কাউকে হয়রানি বা ছোট করতে নয় । তাই কেউ মর্মাহত হলে তার জন্য আমি ও জটিল ভাউ এবং ব্লগ দায়ী নয় দায়ী হবেন যে বা যারা মর্মাহত হবেন )


একদা শ্রীমান জটিল ভাউ তার গিন্নির সহিত কিঞ্চিত দাম্পত্য কলহে জড়াইয়া পড়িলেন । শ্রীমান জটিল ভাউ কলহে জড়াইলেও কোন প্রকার বড়সড় বাক্য প্রসব করিলেন না পাছে তাঁহার প্রিয়পত্নীর মনঃক্ষুন্ন হয় এই মর্মে । কিন্তু কলহে তাহার পত্নী এতটাই যান-পরান মগ্ন ছিলেন যে এক সময় বলিয়া বসিলেন , “ আপনাকে বিবাহ করিবার পর আমার জীবন খানা হুতাবিয়ার মতন হুতাশনময় হইয়া গিয়াছে ! আমার পিতা যে কোন দুঃখে আপনার সহিত আমার বিয়ে দিতে গেলেন ! কী পাপ করিয়াছিলাম যে আপনার মত একজন খিটমিটে স্বামী আমার কপালে জুটিল !!(দাম্পত্যিক গোপনীয়তার স্বার্থে বাকীটুকু আর বলা গেল না, এইজন্য জটিল ভাউ বিশেষ ভাবে দুঃখিত !)”



জটিল ভাউ প্রচণ্ড আঘাত পাইলেন । যেই পত্নীর লাগিয়া তিনি সকাল সন্ধ্যা বদন বহিতে সুনামের সুনামি বহিয়া দেন । যে পত্নীর চিন্তায় তিনি দিন গুজার করেন । যেই পত্নীকে গুণমানসম্পন্ন সময় (Quality TIme) দেবার লক্ষ্যে ব্লগীয় আবেদনকে তিনি দলিত মথিত করিয়া চলেন সেই পত্নী কিনা বলিল তাঁকে নিকাহ করিবার পর বেগমের জীবন হুতাবিয়ার হুতাশনময় হইয়া গিয়াছে ! তাও না হয় মানা যাইতো কিন্তু তাঁহার মত স্বামী জুটিয়াছে বলিয়া পত্নী নিজের ভাগ্যের দোষ দিয়া তাঁহাকে দুর্ভাগ্যের ও পাপের ফল বলিবে ? ইহা কী মানিয়া লওয়া যায় ? দুঃখে তো জটিল ভাউয়ের নিজের জীবনখানা পত্নীর নয়নজলে ডুবাইয়া বিসর্জন দিতে মন চাইতেছে । নেহাত আত্মপ্রাণদান মহাপাপ না হইলে এক্ষুণি একটা এসপার ওসপার করিয়া ছাড়িতেন !



কিন্তু মনের মধ্যে যে অসহ্য যন্ত্রণা চলিতেছে তা থেকে তো মুক্তির কোন উপায় পাইতেছেন না । তাই দুঃখের আতিশয্যে তিনি গৃহশয্যা ত্যাগ করিয়া দুই নয়ন যেই দিকে দৃকপাত করে সেই দিকে যাইবার অভিপ্রায় তিনি হাঁটিয়া চলিলেন ।


তখনও এই মুল্লুক হইতে করোনা নামক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রসম জীব পলায়ন করে নাই । জটিল ভাউ আবার আর যাইহউক ভীষন মাপের স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন । শরীরের কোন ছিদ্র দিয়া যাতে কোন প্রকারে ছলে বা বলে এই জীব শরীরে প্রবেশ করিতে না পারে সেই নিমিত্তে তিনি অতিরিক্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করিয়া থাকেন । যেহেতু তাহার বদনখানি শ্মশ্রুমন্ডিত এবং মাস্ক নামক একপট্টি পাতলা বস্ত্রে তাঁহার নাক ঠোঁট ঢাকিলেও বদনকেশকে ঢাকা যায় না । তাই তিনি একখানা বড় মাপের গামছা লইয়া নিজের পুরো বদন ঢাকিয়া চলেন । গৃহত্যাগ করিলেও তিনি তার এই গামছা ত্যাগ করেন নাই । করোনার আবির্ভাবের পর এমন কোন দিন ছিল না যেদিন তিনি এই গামছাকে নিজের আপন করেন নাই । কত মানুষের কত কথা শুনিয়াছেন তবুও তিনি এই গামছা ছাড়েন নাই সেটাও পত্নীর লাগিয়া , যদি তার হইতে ঘোর বজ্জাত এই করোনা তার পত্নীকে আছড় করে তো , এই ভয়ে তিনি সব সময় সতর্ক থাকিতেন । আর এই পত্নী কিনা তাকে এমনতর কথা বলিল ?? দুঃখে তার চোখ ভিজিয়া যায় , চোখের সাথে ভিজিয়া যায় তাহার কপোল সেই সাথে তার গামছা ।




অন্যদিকে রাস্তার মাঝখানে পুলিশের কিছু লোক দাঁড়াইয়া , গাড়ি থামাইয়া ইহাকে উহাক গাত্রানুসন্ধান করিতেছে এবং জিজ্ঞাসা করিতেছে , গোপন সূত্রে তারা জানিয়াছে এখানে নাশকতার একটি সম্ভাবনা রহিয়াছে । পুলিশের সদস্যদের মধ্যে একজন নারী পুলিশ ছিলেন তিনি বেশ তৎপর । চারদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখিতেছেন । কোথাও কোন ফাঁক ফোঁকর দিয়া কোন সন্দেহভাজন পলায়ন করিতেছে কিনা কিংবা পলায়নের ইচ্ছা পোষণ করিতেছে কিনা । নিজের দায়িত্বের প্রতি তিনি চরমপন্থি !


হঠাৎ তার দৃষ্টি গেল দূরে , দেখিতে পাইলেন জোব্বা পরা এক ব্যক্তি গামছা দিয়া পুরা মুখ ঢাকিয়া হেলকি-দুলকি চালে তাহাদের দিকেই আসিতেছেন । ব্যক্তিকে দেখিয়ায় তাঁর চোখ দুটো সরু হইল । স্নায়ু আরও সজাগ হইয়া উঠিল । ভেতরে ভেতরে একটা সন্দেহকে প্রশ্রয় দিতে লাগিলেন তিনি । তীক্ষ্ণ নজর রাখিলেন ব্যক্তিটির ওপর । চলেন উনিশ কি বিশ দেখিলেই তিনি হাঁক ছাড়িয়া তার পেছনে ছুটিবেন !

ওদিকে জটিল ভাউ উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটিতেছেন । মনে যখন সুখে থাকে না তখন মন হইয়া যায় বাতাসের মতন গন্তব্যহীন । চাইলেও কোনভাবে আর তাকে বশে আনা যায় না । সে এক পানে ছুটতে চায় ও ছুটিয়া যায় । জটিল ভাউ বুঝতে পারছেন না কোথায় যাবেন কী করিবেন ! যদি এখনি আজরাইল আসিয়া তাকে আহ্বান জানাইতো তবে খুশিমনে তাহার সহিত ঊর্ধ্বলোকে চলিয়া যাইতেন । কিন্তু দুঃসময়ে তাহার দেখা পাওয়া যায় না । সুসময়েই তাগার সাক্ষাৎ মিলে । জটিল ভাউ লক্ষ্য করিলেন । সামনেই কিছু পুলিশ আর মানুষের জটলা দেখিতে পাইলেন । দেখিয়াই হাঁটা থামাইলেন , ওখানে কী কোন সমস্যা হইয়াছে ? কোন করোনার রুগী কী দেহত্যাগ করিয়াছেন ? কিংবা ওখানে কী নতুন করোনা রুগী আবিষ্কৃত হইয়াছে ? একবার ভাবিলেন না ঐদিকে যাবেন না , স্বাস্থ্য সচেতনার লাগিয়া । কিন্তু যার জন্য এত সাবধানী প্রচেষ্টা সেই তো হৃদয় হইতে দূরে সরিয়া গেছেন মনেতে যাতনা দিয়া । মনের যাতনার কাছে দুনিয়ার যাতনাই প্রাধান্য পায় না , দুনিয়ার অন্ধকার দিকের তাৎপর্য এই যাতনার কাছে তুচ্ছ । তাই নির্বিকার হইয়া জটিল ভাউ আগাইলেন । যে প্রিয়া হতে হারায়ে যায় তার আর হারাবার কী আছে ??



এদিকে ঐ মহিলা পুলিশ লক্ষ্য করিলেন যে ঐ গামছা বেষ্টিত ব্যক্তি তাঁদের লক্ষ্য করিয়া একবার থমকাইয়া দাঁড়াইলেন । কিছুক্ষণ কী যেন চিন্তা করিলেন এরপর আবার আগের মত হেলকি দুলকি চালে আগাইতেছেন । তাহার সজাগ মন বলিতেছে এই ব্যক্তি নির্ঘাৎ জটিল কেউ হবে । নাহলে অমনভাবে চেহারা ঢাকিয়া রাখিবেন কিসের জন্য । আর তাহাদের দেখিয়া ওভাবে থামিল কেন । নিশ্চয়ই ভরকায়া গিয়াছেন পুলিশ দেখিয়া , আর চোরের মনেই যে পুলিশের বাস এবং তাহাতে যে প্রেম নয় সাপে নেউলের সম্পর্ক তা কে না জানে ! তা তৎক্ষনাৎ তাহার উপরস্থ পুলিশ অফিসারকে বিষয়টি অবগত করিলেন ।


জটিল ভাউ পুলিশের কাছাকাছি আসিতেই মহিলা পুলিশ হুংকার ছাড়িলেন , “ এই যে দাঁড়ান !”

জটিল ভাউ দাঁড়াইয়া গেলেন । কী হইল তিনি বুঝিতে পারিলেন না । তবুও নির্বিকার ভঙ্গিতে দাঁড়াইয়া রহিলেন ।


মহিলা পুলিশ তাহাকে ইঙ্গিত করিয়া বলিলেন , “ সার আমি নিশ্চিত এই লোকটা জটিল !”


জটিল ভাউ এই কথা শুনিয়া তো হতবাক , বলে কী ! উনি এতকাল জানিতেন সামুর বাইরে আর কেহ তাকে চেনে না জানে না । তিনি তো তাহার বদন কখনও দেখান নাই কী করিয়া এই নারী তাহাকে চিনিতে পারিল ? তার মানে তিনি কী নিজের অলক্ষ্যেই সবার কাছে পরিচিত এক ব্লগার ! এতটাই পরিচিত যে একজন কর্মনেশাতুর পুলিশও তাকে চেনেন !! আহা কত বিখ্যাত এক ব্লগার যে তার স্বামী এটা যদি তাহার স্ত্রী বুঝিত তবে কী আজ এমনতর কথা শুনিতে হয় !!


জটিল ভাউ প্রফুল্লিত স্বরে বলিলেন , “ হ্যাঁ হ্যাঁ আমিই জটিল ভাউ । কী আশ্চর্য আপনি আমাকে চিনলেন কী করে ?”


জটিল ভাউয়ের কথা শুনিয়া পুলিশ দুজন নিজেদের মধ্যে দৃষ্টি বিনিময় করিলেন । জটিল ভাউয়ের জটিল কথা শুনিয়া তারা আরও বেশি সন্দেহবাতিক হইয়া পড়িলেন । মহিলা পুলিশ আবার হুংকার ছাড়িলেন , “ এই আপনার গামছা খুলুন ! ”


জটিল ভাউ ভাবিলেন যাচ্চলে , এই নারী দেখি তাহার বদনও দেখিতে চায় । কিন্তু তা তো হবে না । তার পত্নী তাকে গণ্য না করিলেও তিনি তো তার পত্নীর কাছে দায়বদ্ধ । যতই কোন বেগানা নারী তার বদন দেখিতে চাক না কেন তিনি তা হইতে দেবেন না , একেবারেই না । তাই তিনি বলিলেন , “ দুঃখিত আমি আপনাকে আমার চেহারা দেখাতে পারবো না ! সে আপনি আমার যত বড়ই ভক্ত হোন না কেন !”


মহিলা পুলিশ জটিল ভাউয়ের কথা শুনিয়া তব্দা খাইয়া গেলেন । পুলিশের ধমকে এই লোক কুপোকাত তো হইতেছেই না আবার নিজেকে জটিল ভাউ বলিয়া এবং কীসব উল্টোপাল্টা বকিয়া মজা লুটিতেছে । রাগে ঐ মহিলা পুলিশ আবার হুংকার ছাড়লেন , “ কীহ্ ! চেহারা দেখাতে পারবেন না , কেন দেখাতে পারবেন না , আর কে আপনার ভক্ত , কী বলতে চান ? ”


জটিল ভাউ বুক চিতাইয়া বলিলেন , “ দেখুন, আমি একজন পর্দানসীন পুরুষ । নিজ স্ত্রী ব্যতিত অন্য কোন নারীকে আমি আমার বদন দেখাই না ।তাছাড়া আমি অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এভাবে খোলা ময়দানে গামছা খুলে গাদা গাদা করোনার বীজ নাক মুখ দিয়ে ঢুকুক তা আমি চাই না ! আর আপনি যে আমার ভক্ত তা আমি বুঝতে পেরেছি সে আপনি যতই লুকান না কেন আমি জানি ব্লগের শায়মাকে দেখে দেখে আপনিও দুষ্টুমি শিখে গেছেন !”



এবার ঐ মহিলা পুলিশের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙিয়া গেল । বেশ উচ্চ স্বরে তার পার্শ্বস্থ উপরস্থ অফিসারকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেন , “ স্যার দেখেছেন ? এইলোকটা খালি জটিল না আস্ত এক বদমায়েশ । পুলিশের সাথে ফাজলামি করে । একে একটা উচিত শিক্ষা না দিলে তো স্যার চলে না । ”


তাহার উপরস্থ অফিসার মাথা নাড়িয়া তাহার কথাতে সায় দিলেন । আর কথা না বাড়াইয়া জটিল ভাউকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেন , “ বুঝেছি তোমার অনেক চর্বি হয়েছে । চর্বি ঝাড়াইতে হবে । সেই ব্যবস্থাই করছি ! থানার একটা থ্যারাপি গতরে পড়লেই এসব ফাজলামি শরীরের সব ফুটা দিয়া বেরিয়ে যাবে । ” কথা শেষ করিয়া দুজন কনস্টেবলকে আদেশ করিলেন জটিল ভাউয়ের গামছা জোর করিয়া খুলিয়া নিতে এবং টানিয়া গাড়িতে তুলিতে । কনস্টেবলদ্বয় ধর তক্তা মার পেরেক বিশ্বাসে বলিয়ান হইয়া এক টানে জটিল ভাউয়ের মুখ থেকে গামছা খুলিয়া নিলেন । জটিল ভাউ বাঁধা দেবারও সুযোগ পাইলেন না । পুলিশদিগকের এহেন কর্মে উনি বজ্রাহত বগা হইয়া গেলেন । ওরা কী তবে ওনার ভক্ত নন ? বিশেষ করিয়া ঐ মহিলা পুলিশ । তবে কী এতক্ষণ যা যা বকিলেন তাই তার কাল হইয়া দাঁড়াইল ?



জটিল ভাউ এবার বুঝিলেন নাহ বিরাট ভুল হয়ে গিয়েছে এবার তাকে এর থেকে রেহাই পেতেই হবে যে করিয়া হউক । তার দোষে তাকে থানার থ্যারাপি নিতে হবে এই ভাবিয়া তিনি ইতমধ্যেই আর্ধেক মরিয়া যাইতেছেন ।



কনস্টেবলদ্বয় তাকে দুইবাহু ধরিয়া টানিতে টানিতে গাড়ির দিকে লইয়া গেল । জটিল ভাউ উচ্চস্বরে নিনাদ করিয়া বলিতেছেন “আমি জটিল এইটা ঠিক আমি কুটিল না ভাই । এই জীবনে এমন কিছু করি নাই যে আমাকে থানায় যেতে হবে । জ্ঞাততে আমি কোন অপরাধ করি নাই । যদি ভুল হয়ে থাকে তো মাফ করে দিন !”


কিন্তু কন্স্টেবলদ্বয় তো হুকুমের দাস তারা কেবল হুকুম পালন করে মাত্র তাই তার কথায় কান না দিয়া তাকে টানিয়া হেঁচড়িয়া গাড়িতে তুলিল !! জটিল ভাউ তবুও সমানে চেঁচাইয়া নিজেকে নির্দোষ প্রমানে বাক্য ব্যয় করিতেছেন , তাহার এমন চিৎকার শুনিয়া এক দারোগা আগাইয়া আসিলেন তাকে ধমক দিয়া থামাইবার জন্য । কিন্তু গাড়ির নিকটে আসিয়া ও জটিল ভাউকে দেখিয়া তিনি তো থমকাইয়া গেলেন । মুখ ফসকে বলেও ফেললেন , “ আরে জটিল ভাউ আপনি ! ”


কথা দুটো কানে যেতেই জটিল ভাউ ঘাড় ফিরাইয়া চাইলেন । দেখিতে পাইলেন গাড়ির নিকটে দাঁড়াইয়া আছে যে দারোগাটি সে তার অতি পরিচিত এক লোক । তাকে দেখিয়াই জটিল ভাউ যেন দেহে জান কুঁড়াইয়া পাইলেন ! কাঁদো কাঁদো গলায় বলিলেন, “ ভাই আমাকে বাঁচান ! এরা আমাকে ভুল বুঝে থানায় নিয়ে যাচ্ছে । আমাকে বাঁচান ! ”



দারোগা সাহেব তার হইতে সব জানিয়া লইলেন সব জানিবার পর ছুটিয়া গেলেন তার উপরস্থ অফিসারের নিকটে । বেশ কিছুক্ষণ তদবির করইবার পর জটিল ভাউ নিস্তার পাইলেন ।দারোগা সাহেবটি সবাইকে বলিলেন যে ইনি কোন লস্কর তস্কর নন ইনি একজন ব্লগার , নাম তার জটিল ভাউ ! এই নামেই তিনিই ব্লগে লিখিয়া থাকেন । মহিলা পুলিশটিও এরপর বুঝিতে পারিলেন কেন জটিল ভাউ জটিল ধরনের কথা বলিতেছিলেন !



সব মিটমাট হইলে জটিল ভাউ আর বিলম্ব না করিয়া বাটীর পানে ফিরিয়া যাইতে আরম্ভ করিলেন । বৈরাগী হইবার যে আকাঙ্খা তার ছিল তা এই ঘটনার পর বেমালুম হাওয়া হইয়া গেল । জটিল ভাউ বুঝিতে পারিলেন ঘরের নারীর হইতে পর নারী অতি ভয়ানক , যদি তাদের ভক্ত ভাবিয়া বসেন তো !!




মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা......... =p~
একটু পর আবার আসিতেছি কে কি বলিলো তা দেখিতে :P

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আসিয়া লাভ নাই ভাউ , মনে হয় না কেহ আর মন্তব্য করিবে ;)

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৬

শায়মা বলেছেন: জটিল ভাউর জটিল গল্প না লিখে জটিলভাউর সরল গল্প লিখলে ভাউর উপরকার হত মনে হয় । হা হা

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: না না । এভাবে লিখেছি বলেই দারুণ হয়েছে । গল্পে কিন্তু তুমিও আছো । মনে হয় না পড়ে দেখেছো !!

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২৩

শায়মা বলেছেন: পুরাটাই তো পড়লাম। কিন্তু আমাকে পেলাম নাতো!

আচ্ছা আবার পড়ছি।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এহরে !! পড় পড় ভালো করে পড় !!

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩০

জিকোব্লগ বলেছেন:



জটিল ভাই বড়ই জটিল। গল্প পড়ে এটা আরো স্পষ্ট হল। আর এই জন্যেই বহুদিন একজন অপব্লগারও
জটিল ভাই জটিল ভাই বলে জপ করেছিল। ইহার মানে কী এই নয় যে জটিল ভাই একজন অপব্লগারেরও
ঘুম হারাম করে দিতে পারেন। কী সাংঘাতিক ! ঐ অপব্লগার এই গল্পে লাইকও দিয়েছে।বোঝাই যাচ্ছে উহা
এখনো মনে মনে জটিল ভাইয়ের নামে জপ করে।

অতীতের ইতিহাস অনুসারে আসন্ন ঈদে অপব্লগার অন্যের বাড়িতে তান্ডব করার জন্য মুক্তি পেয়ে আবার
হয়তো নতুন উদ্যমে তান্ডব শুরু করবে, আর জটিল ভাইয়ের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতিতে জটিল ভাই জটিল
ভাই জপ করবে। জটিল ভাউ সত্যিই জটিল !!!

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৫৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নাহ্ ভাই , রোজা রমজান মাসে এমন কামেল মানুষকে অপমান করিয়েন না !

যা করবেন ইদের পর ;)

আর আমার মনে হয় উনি মনে মনে এই জপেন , " ও জটিল ও কুটিল , ও জটিল ও কুটিল ! "

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৫২

জটিল ভাই বলেছেন:
কে কি কমেন্ট করলো দেখতে আসলাম =p~

@GB(কত জিবি জানিনা)
আপনি বলিয়াছেন, এই জন্যেই বহুদিন একজন অপব্লগারও জটিল ভাই জটিল ভাই বলে জপ করেছিল। ইহার মানে কী এই নয় যে জটিল ভাই একজন অপব্লগারেরও ঘুম হারাম করে দিতে পারেন। কী সাংঘাতিক ! ঐ অপব্লগার এই গল্পে লাইকও দিয়েছে।বোঝাই যাচ্ছে উহা এখনো মনে মনে জটিল ভাইয়ের নামে জপ করে।

আমিতো জানি জটিল ভাইকে অপব্লগার আর ক্রিমিনাল বলে! তা এটাই বুঝি কলিকালের লক্ষণ =p~

ইতিহাস অনুসারে আসন্ন ঈদে অপব্লগার অন্যের বাড়িতে তান্ডব করার জন্য মুক্তি পেয়ে আবার হয়তো নতুন উদ্যমে তান্ডব শুরু করবে, আর জটিল ভাইয়ের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতিতে জটিল ভাই জটিল ভাই জপ করবে।

ঈদেতো দেখতাম সিনেমা মুক্তি পেতো। এ আবার কি মুক্তির কথা শুনাইলেন! =p~

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:০৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি মনে হয় খুব উত্তেজিত !!

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৫৩

জটিল ভাই বলেছেন:
বাই দা ওয়ে, আবার আসিবো ফিরে,
কে কি কমেন্ট করিলো দেখিবো নয়ন ভরে =p~

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:০৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আইচ্ছা !

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৮

অধীতি বলেছেন: গল্পটা বড়ই জটিল। ঘরের মহিলা যদি জানত বাহিরের মহিলার হাতে বেইজ্জতি হইয়া আসছে। আহা সাধু সাধু!!

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সে তো এই গল্পে উঠিয়া আসে নাই । তবে মনে হয় মান ভাঙিয়া উভয়ে সুখে শান্তিতে আছে !!

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪

জিকোব্লগ বলেছেন:



পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।

ঈদ মানে হাসি ঈদ মানে আনন্দ।
ঈদ বয়ে আনুক আপনাদের সবার
জীবনে অসীম সুখ ও আনন্দ।

সব ব্লগারকে জানাই ঈদ মোবারক।

২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা !

আপনার ও আপনার পরিবারের সময় আনন্দে কাটুক !!

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

জটিল ভাই বলেছেন:
আবার আসলাম কে কি কমেন্ট করলো দেখতে =p~

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: স্বাগতম ! লাভ না ই আর আইসা ! সবাই আপনারে পছন্দ করে , আপনারে কেউ কষ্ট দিতে চায় না হাইসা !!

১০| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আহারে! জটিল ভাই এর জটিল জীবন।

২১ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ আপা !

উনি বুঝে গেছেন বাসাতেই কেবল জটিলতা কম বাহিরে জটিলতা তার ভাবনার চাইতেও বেশি !

ধন্যবাদ আপা আমার লিখা পড়বার ও মন্তব্য করবার জন্য । আমার ব্লগাস্তানায় স্বাগতম , আমার গান শোনবার আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম !!

১১| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: আপনার গান শুনবার অপেক্ষায় রইলাম।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই যে আপা এখানে একটা গান !

সাড়ে চুয়াত্তরের জন্য গান ও শেহরিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.