নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিথি এবং আমার পশ্চিমের জানালা

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

তিথি নামটা কেন তার মা রেখেছিল তা সে জানে না । শুধু জানে ভূমিষ্ঠ হবার পর প্রথম যখন তাকে তার মা কোলে নিয়েছিল তখনই তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল তার নাম হবে তিথি । তার মা কেন চট করে তার নাম তিথি রেখেছিল সেই নিয়ে পরে তিথি অনেক প্রশ্ন করেছিল কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি । পরে তিথি বুঝে নিয়েছিল , তিথি নামটা একদম উদ্দেশ্যহীনভাবে চট করে তার সাথে জুড়ে গিয়েছিল । আর এই উদ্দেশ্যহীন জুড়ে যাবার জন্যই হয়তো আর কেউ তাকে এই নামে ডাকেই না !



তিথি’র পৃথিবীটা নেহাত বড় নয় । সোজাসাপ্টা বললে আর দশটা ঘরকন্যার যেমন ঘরোয়া এক পৃথিবী থাকে তিথিরও তাই । সব কিছুকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবার এক অনিন্দ্য প্রয়াস নিয়ে সে বেঁচে থাকে । জীবনের সবকিছুকে মায়ায় বাঁধতে চাওয়ার একটা নেশা তার আছে । আর এই নেশার বিপরীতে সে তার আশেপাশের সবাইকে নিয়ে এক কল্পনার জগত ফেঁদে বসে । সেই জগতে সে তার আশেপাশের বাস্তব চরিত্রগুলোকে বুনে চলে নিজের মত করে । আর ভাবে সে যতটা মায়া তার আশেপাশের মানুষদের ছড়িয়ে দিচ্ছে তাতে করে আর কিছু না হোক অন্তত একটু প্রশংসাও যদি বা তাঁদের চোখ মুখে সে দেখতে পায় !


কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তার মায়া কেউ বুঝতে পারেনি । দৈনন্দিন ব্যস্ততা আর নিজের প্রতি আবিষ্ট থাকা মানুষগুলো তার মায়াকেও মনে করে খুব নিছক কিছু কিংবা ব্যস্ততার তুলনায় পাত্তা দেবার মত কিছু নয় ! কল্পনায় চিত্রিত মানুষগুলোকে যেমন ভেবেছিল বাস্তবে যখন তেমন দেখতে পায় না তখন এক নিকষ বিষাদ তাকে পেয়ে বসে । বিষাদে বিষন্ন হয়ে সে ভাবে , দোষটা কার তার নিজের নাকি তার মায়ার ? নাকি এইসব ব্যস্ত মানুষদের যারা নিজেকে নিয়ে এতটাই ডুবে থাকে যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আবেগকে দলিত মথিত করে চলে । ভাবনারা গন্তব্যে পৌঁছায় না আর তিথিও বিষাদ সাগরে কুল পায় না ।


আমার রুমের পশ্চিমের জানালায় তিথিদের বারান্দা , একটা সরু রাস্তা, রাস্তার পাশে এক কোণে তিথিদের বাসা থেকে কিছুটা দুরে একটা জাম গাছ সহ ছোটখাটো একটা দৃশ্য সব সময় এঁটে থাকতো । কী গ্রীষ্ম কী বর্ষা অথবা হেমন্ত-পৌষ সময়ের সাথে দৃশ্যের রং বদলালেও দৃশ্যের রূপের কোন পরিবর্তন হত না , আর পরিবর্তন দেখা যেত না বারান্দায় দাঁড়ানো তিথির মুখের বিষাদের ছাপটি !


বিকেলে যখন আমি জানালার ধারে এসে নিজেকে ভুলবার চেষ্টা করতাম । তখন চোখে পড়ত তিথি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে । বিকেলে বারান্দার গরাদ ধরে শূণ্য দৃষ্টিতে দূরের দালানগুলোর গায়ে রোদের খেলা দেখা ছিল তার এক মাত্র কাজ । কখনও কখনও যদি খুব বেশি ঠাওরালে দেখতে পেতাম তার কপোল বেয়ে ক্ষীণ জলধারা বেয়ে পড়ছে ! বুঝতাম অভিমান আর বিষাদে মেয়েটি হয়তো কোনদিন বিমূঢ় হয়ে যাবে । অথবা প্রাচীন ক্ষয়া মূর্তির মত ধীরে ধীরে ঝড়ে যাবে এই ধরা থেকে ।


সেদিন ছিল বর্ষাকাল, ঝুম বৃষ্টি নেমেছে পুরো শহর জুড়ে । টানা বৃষ্টির কারণে এ গলি ও গলিকে মনে হচ্ছে ছোট খাটো কোন খাল । সেদিন তেমনই এক খালের মধ্য দিয়ে পানি কেটে মাথায় ছাতা নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম আমার আস্তানার পানে । গলির রাস্তাতে পানি হাঁটু ছাড়িয়ে একেবারে কোমর ছুঁবে বলে মনে হচ্ছে । খুব দ্রুত আস্তানায় না ফিরলে আপদের হাত থেকে রেহাই মিলবে না । তাই যতটা সম্ভব নিজের পাদুটোকে দ্রুত চালালাম ।


পানি কেটে কেটে যখন তিথিদের বাসার সামনে এসে পৌঁছালাম দেখলাম রোগা ত্যালঢ্যাঙা চেহারার, লম্বা, কোঁকড়া চুলের এক যুবক তিথিদের চারতলা দালানের নিচে দাঁড়িয়ে আছে । গেটের ওপরে যে কার্নিশ থাকে তার নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সে । কিন্তু চেষ্টায় কোনভাবে সফল হতে পারছে না সে । এদিকে ঠান্ডা বৃষ্টির কারণে কেঁপে কেঁপে উঠছে তার শরীর । যুবককে আমি চিনি , কামাল নামেই চিনি । এলাকাতেই থাকে । পরিবার বলতে তার কিচ্ছু নেই । এতিমখানাতেই মানুষ হয়েছে । এলাকার একটি বাসার চিলেকোঠাতে সে থাকে একটা ছাপোষা চাকরি আর কোনমতে তদবির করে চালিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা নিয়েই সে বেঁচে আছে । খুব একটা মানুষের সাথে কথা বলে না । মানুষও তাকে খুব একটা পাত্তা দেয় না । তাকেও বলা চলে অবহেলিত ।


তার এমন অবস্থা দেখে ভাবলাম আমার ছাতার নিচে তাকে জায়গা দিই বেচারা কতক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজবে , বৃষ্টি তো ক্রমেই চরমপন্থি হয়ে উঠছে ।


তাই আরও দ্রুত পা চালাতে যাচ্ছিলাম দেখলাম গেট খুলে তিখি বেরিয়ে এসেছে । হাতে তার একটি তোয়ালে , তার নীল রঙের চাদর আর একটি ছাতা । আমি থমকে গেলাম তিথিকে দেখে । এইসময় এই বেহাল পরিবেশে সে কেন বেরিয়ে এল ? তিথি তো এমন সময় খুব একটা বেরোয় না । ব্যাপারটা বোঝার জন্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থেকে আমি লক্ষ্য রাখছিলাম ।


দেখি ছাতা মেলে তিথি কামালের কাছে এগিয়ে গেল । তাকে ছাতার নিচে রেখে হেসে বলল , “ এভাবে কেউ বৃষ্টিতে ভেজে ? নিউমোনিয়া হয়ে যাবে না ! আপনি দেখছি ঠান্ডায় খুব কাঁপছেন । নিন তোয়ালে দিয়ে আগে মাথাটা মুছে নিন তো । এরপর এই চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিন ।”


কামাল অপলক দৃষ্টিতে তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে । জন্মের পর থেকে এতিম খানায় মানুষ হওয়া কামালের সাথে এভাবে বোধহয় তিথিই প্রথম কথা বলল । এতটা মায়া আর এতটা আন্তরিকতা নিয়ে তিথির এই ব্যবহারে কামাল স্তব্ধ হয়ে যায় । কোন কথা তার মুখ দিয়ে বেরোয় না কোন প্রতিক্রিয়ার ছাপ তার চেহারায় দেখা যায় না কেবল ড্যাবড্যাবে চোখে তাকিয়ে থাকে তিথির দিকে ।


তিথি তাগাদা দেয় , “কই নিন মাথাটা মুছে নিন তাড়াতাড়ি । বৃষ্টি তো আরও বাড়বে এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজবেন ?”


তিথির তাগাদাতে কামালের হাত সচল হয় সুবোধ বালকের মত তোয়ালে নিয়ে মাথাটা মুছে নেয় । মোছা শেষে তোয়ালেটা এগিয়ে দেয় সে । তিথি হাসিমুখে চাদরটা বাড়িয়ে দেয় । কামাল সেটাও সুবোধ বালকের মত গায়ে জড়িয়ে নেয় । কোন কথা বলে না । চাদর জড়িয়ে নিলে তিথি এবার ছাতাটা বাড়িয়ে দিয়ে বলে , “ নিন ছাতাটা নিয়ে বাড়ি যান । সংকোচ করবেন না আপনি তো এই এলাকাতেই থাকেন , আপনাকে আমি চিনি জানি না হয়তো তাতে কী ! আপনি সময় করে নাহয় এসব ফেরত দিয়ে যাবেন ! ”


কামাল ছাতাটা হাত বাড়িয়ে নেয় । ছাতা অর্পন শেষে তিথি তার স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে ঘুরে গেট গলিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় দৃশ্যপট থেকে । আর হতভম্ব করে দিয়ে যায় কামালকে আর আমাকে দিয়ে যায় একটা প্রশান্তি , যাক মেয়েটার মায়াটা আজও বেঁচে আছে তবে !!



সেদিন আমি আর কামাল গলির পানি কেটে যে যার আবাসে ফিরে যাই !


তার কিছুদিন পরের ঘটনা । সেই একই রাস্তা দিয়ে আমি ফিরছি । সেদিন আকাশে মেঘ ছিল না , বৃষ্টিও ছিল না আর গলিটাও কোন ছোটখাটো খাল ছিল না । শুকনো ধুলো ভরা গলির পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমি যখন তিথির বাসার সামনে আসলাম , ঠিক সেই জাম গাছটার নিচে আমি কামালকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম । বিকেলের কিছুটা সহ্যশীল কিন্তু তপ্ত আবহাওয়াতেও সে তিথির দেয়া চাদর গায়ে জড়িয়ে আছে । কি হলো তার ? চাদরটা খুলতে মন চাইছে না নাকি সে অসুস্থ ! হাঁটতে হাঁটতে না থেমে যখন তাকে অতিক্রম করতে যাচ্ছিলাম , এক ঝলক তার দিকে তাকালাম । দেখলাম জ্বরের কারণে তার চোখ লাল হয়ে আছে । দেখে মনে হচ্ছে জ্বর ভালোই আছে তবুও এই জাম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে কেন সে ? জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হলেও আমি জিজ্ঞেস করিনি । সোজা হেঁটে চলে আসলাম । নাগরিক জীবনে সবকিছুতে মাথা ঘামাতে নেই, বলা কওয়া নেই এমন মানুষের ক্ষেত্রে তো মাথাটাই তাক করতে নেই । এলাকার আর দশটা নির্লিপ্ত মানুষের মত আমি হেঁটে চলে আসলাম !


এর কিছুদিন পর আমি আমার নিত্তনৈমিত্তিক বৈকালিক নিজেকে খুঁজবার প্রয়াসে জানালার সামনে দাঁড়ালাম । বিকেলটা স্নিগ্ধ হলেও , চারপাশে মানুষের উচ্ছাস আড্ডার কলরব থাকলেও , রোদের বর্ণিল কারুকাজ থাকলেও একদম বিবর্ণ আর একঘেয়েঁ দৃশ্যপট ঝুলে থাকে তিথিদের বারান্দায় । কিন্তু সেদিন দেখলাম শুধু তিথিদের বারান্দা নয় । তিথিদের বাসা থেকে কিছুটা সামনে যে জাম গাছ তার নিচের দৃশ্যটাও অনেকটা তিথির মত নিয়মিত একটা দৃশ্য জন্ম নিচ্ছে ।


গাছের নিচে সেদিনও কামালকে দেখলাম তিথির চাদর গায়ে দাঁড়িয়ে আছে । আর সেদিনও সে তাকিয়ে আছে তিথিদের বারান্দার দিকে !


এরপর থেকে প্রতিদিন আমার জানালার ওধারে দৃশ্যের বর্ণের ও প্রায় সবটুকু চিত্রের পরিবর্তন থাকলেও এই দুটি দৃশ্যের কোন পরিবর্তন আমি দেখতাম না । এভাবে এক সপ্তাহ চলল । একদিন বিকেলে আমি এই নিয়ে ভাবনায় পড়লাম । কেন কামাল প্রতিদিন তিথিদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে ? আমার তো চোখে পড়েছে তিথির পড়েনি ? অবশ্য ওর মত মূর্তমান স্থবির মেয়ের পক্ষে চারদিকে নজর দেয়াটা তেমন সম্ভবের না বটে । তবুও একদিনও কী চোখে পড়েনি তার ? নাকি বিষাদের কারণে বিষিয়ে যাওয়া মন আর কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ করে না !


তিথিরটা না হয় বাদ দিলাম , কামালের ব্যাপারটা কী ? ও কী তিথির প্রতি দুর্বল ?
হওয়াটা অস্বাভাবিক না , হতেই পারে ।
তাই কী সে দাঁড়িয়ে থাকে এমন পাথরের মত নিরেট ধৈর্য নিয়ে ?
হতেও পারে ।
কিন্তু তার এই প্রেমে পড়ার কারণ কী ? তিথির মায়া ?
এটাও হতে পারে !
মায়ার প্রতি প্রেম কার না থাকে তাই বলে প্রতিদিন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে ? আচ্ছা সে কী আবার মায়া পেতে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে ?
এটাও হতে পারে ।
তবে কী সে তিথির মায়াতে আসক্ত হয়ে গেছে ?
হতেও পারে !
আচ্ছা , এটাকে কী মায়ার বিপরীতে সাড়া দেয়া বলা যায় না ?


এটাকে হতে পারে বলা যায় না এটা হবেই হবে বলা যায় । হ্যাঁ তাই ! কামাল তিথির মায়াতে সাড়া দিয়েছে , সব ফেলে সে তিথির মায়াকে স্বীকৃতি দিতেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে ।


ভাবনাটা মাথায় আসতেই আমার অস্থিরতা বেড়ে গেল । নাহ্ , এই মেয়েটি শেষমেশ তার মায়ার স্বীকৃতি পেয়েছে । আর তাকে বিষাদে ডুবে থাকতে হবে না । আর তাকে ভাবতে হবে না দোষটা কার! হ্যাঁ এটা ঠিক যে তার কল্পনায় চিত্রিত মানুষগুলোর মত কামাল নয় ! কিন্তু তাতে কী, মায়ার বিপরীতে মায়ার প্রতি প্রশংসা তো সে পাচ্ছে । সেই প্রশংসার রং যেমনই হোক এর গন্ধ তো আলাদা নয় ! বরঞ্চ এর গন্ধ অন্যান্য প্রশংসার গন্ধের মত । একই আবদেন মিশে আছে এই প্রশংসায় !




আমার ইচ্ছে করছে চিৎকার করে বলতে যে তিথির খুব কাছেই আছে তার কাঙ্খিত বিষয়টি । কিন্তু বলতে পারছি না কেন যেন । কোথায় যেন আটকে আছি আমি । তাই অনুরোধ করছি আপনাকে , একবার চিৎকার করে বলবেন তাকে ! বলবেন ? যে “ তিথি একবার ঘাড় কাত করে নিচের দিকে তাকাও দেখতে পাবে তোমার কাঙ্খিত বস্তু স্থির হয়ে আছে এক যুবকের অবহেলিত চোখে ! ”


বলুন না দয়া করে । তাতে বিকেলকে অন্তত একটি মেয়ের কান্না আর বিষাদ মুখ দেখতে হবে না ! কী ? বলবেন তো ?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কামালের উচিত আবারও বৃষ্টির দিনে তিথির বাসার সামনে গিয়ে ভিজা কাকের মত বৃষ্টিতে দাড়িয়ে থাকা। তখন তিথি আবার লুঙ্গি, গামছা নিয়ে নীচে আসবে। আর বলবে 'ভেজা কাকের মত ভিজলে চলবে? তাড়াতাড়ি গামছা দিয়ে মাথা মুছে লুঙ্গিটা পড়ে নিন। কামালের দোয়া করা উচিত প্রতিদিন যেন বৃষ্টি হয়। এটাই তিথিকে পাওয়ার একমাত্র রাস্তা।

গল্প হোক আর সত্যি হোক ভালো লেগেছে। আপনি তো অবশ্য মাঝে মাঝে গল্পকে সত্যি ঘটনা আর সত্যি ঘটনাকে গল্প বলে চালিয়ে দেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হা হা হা হা ।

ভালো বলেছেন তো ! এই সাজেশনটা কামালকে বলতে হবে । আর এখানে আসলে চরিত্র সত্য আর গল্পটাও মনে হয় সত্যি হলেও হতে পারে । আপনি মনে হয় এখণও সেই নূপুরের ব্যাপারটা নিয়ে আছেন দাঁড়ান সত্যটা আপনাকে জানাচ্ছি !


নূপুর ও একান্ত ধাঁধাঁর থেকেও জটিল আমি !!

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




একটি মায়া থেকে আরেকটি মায়ার জন্ম।
ভালো লেগেছে গল্পটা।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে আজকের লেখাটি পড়ার জন্য বাংলা ডিকশনারি দরকার হয়নি :)

তিথি নামটা সুন্দর, এ নামের মেয়েরা মনে হয় এরকম কোমলমতি হয়।



২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একটি মায়া থেকে আরেকটি মায়ার জন্ম।
একদম দারুণ বলেছেন আপা । ঠিক তাই আপা , মায়ার প্রতিদান হয় মায়া দিয়ে ।


আপা তিথি এই ব্লগেই আছে । একবার কী বলা যায় যে এই পৃথিবীতে আসলে মায়ার স্বীকৃতি দিতে আরেকটি মায়া বসে থাকে নিশ্চুপে কেবল ঘাড় ফেরালেই বোঝা যাবে দেখা যাবে ।

বলবেন আপা ? না হলে এই কোমলমতি মেয়েটা ধীরে ধীরে শুকনো পাতা হয়ে যাবে !!

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা ভালো লিখেছেন।

আমি গল্পে এ জিনিসটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম যে কামালের উপস্থিতির কারণে কথকের মনে একটা হারানোর বেদনাবোধের জন্ম হবে, যেটা হয়ে উঠবে গল্পের মূল বিষয়। কোনো প্রেমিকই তার প্রতিদ্বন্দ্বীর উপস্থিতি সহ্য করতে পারে না, এটা বোঝাতে চাইছিলাম।

তিথির নীল তোয়ালে- এ নামটা মনে উঠে এসেছিল :)

শুভেচ্ছা রইল কবি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হা হা হা , না এমন কিছু নিয়ে এই গল্প লিখিনি । এমন গল্প তো অনেক আছে । এটা একদম ভিন্ন একটা গল্প মজার ব্যাপার হলো আমি বাস্তব জীবনেও এমন আমার পশ্চিমের জানালা দিয়ে কত্ত মানুষের প্রেম বিরহ দেখলাম । কিন্তু নিজে নন্দিতার সেই বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে ফিরে তাকাতে সাহস হয় না । যদি ছাদে তাকে দেখি যদি চোখাচোখি হয়ে যায় । যদি এই কৃচ্ছ্রসাধনে ব্যাঘাত ঘটে ।

যাকগে , ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ! তিথির প্রতি কিছু বলার থাকলে বলে দিন ! তিথি কিন্তু এই ব্লগেই আছেন !!

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আমি সাজিদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। কথক কি কখনও তিথির মায়াকে বর্ণনার বাইরে স্বীকৃতি দিতে চায় নি?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রথমত আপনার প্রশ্নের ধরনটা আমার ভালো লেগেছে ! খুব সুন্দর করে প্রশ্নটা করেছেন !

কথকের আসলে মায়ার স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছে হয়নি এবং দেবেও না কারণ সে মায়া পায়নি । তবে এখানে একটা ক্ষীণ বিষয় অনেকের চোখে পড়বে না তা হলো কথকের মায়াই সব থেকে বেশি । এবং তার মায়া আসলে নৈর্ব্যক্তিক । তাই সে চায় তিথির মায়া স্বীকৃতি পাক বলতে পারেন এটাকে স্নেহ বা অমন কিছু !!

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

না এমন কিছু নিয়ে এই গল্প লিখিনি । এমন গল্প তো অনেক আছে । :) না, আমি যেমনটা আশা করেছিলাম, ওরকম গল্প নেই, অন্তত আমার পড়া হয় নি। এজন্য আমি ভেবেছিলাম, আপনার দ্বারা অমন গল্প লেখা সম্ভব। আমরা গতানুগতিক ধারার যে গল্প দেখি, সেটা হলো এক মেয়ের প্রতি দুই বা ততোধিক প্রেমিকের অনুরাগ, আমি তেমন কিছু মিন করি নি।

যাই হোক, আমি যা বলেছি সেই গল্প আমার ঝাঁপিতে আছে, সময়মতো ভবিষ্যতে আসবে :)

তিথির জন্য আপাতত বলার যা আছে তা হলো, সে যেন জামতলায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রেমার্থী যুবকের দিকে একবার হলেও তাকায়। একটু মাথা নীচু করে তাকাও না তিথিমণু :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যেভাবেই হোক এমন একটা গল্প লিখতেই হবে । ভালো একটা প্লটের ভাবনা দিলেন । লিখব ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে !

আর তিথির জন্য যা বলেছেন তা যেন তিথির কর্ণকুঠরে কেবল নয় মনকুটিরেও যেন জায়গা পায় !!

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২

মিরোরডডল বলেছেন:




ওই লাইনটা পড়ার সময় আমারও হুমায়ুন আহমেদের তিথির নীল তোয়ালের কথা মনে হয়েছে, যদিও এই গল্পের তিথি নীল চাদর নিয়ে এসেছে।

মায়া একটা আশ্চর্য অনুভূতি!
কখন যে কার জন্য কার বুকে মায়ার জন্ম হয় সে কেউ জানেনা। বিষয়টা মনের অজান্তেই হয়ে যায়।

সকল মায়াই বিনিময় প্রত্যাশা করেনা।
আর মায়া বোঝার জন্য কোনরকম প্রচেষ্টারও দরকার হয়না।
প্রয়োজন একটি মায়াময় অথবা মায়াবতী মন।
সেটা থাকলে একে অপরের মায়াকে ঠিকই অনুভব করতে পারে।

না হলে এই কোমলমতি মেয়েটা ধীরে ধীরে শুকনো পাতা হয়ে যাবে !!

সময়ের সাথে শীতের শুকনো পাতা ঝরে গিয়ে আবার বসন্তে নতুন পাতা জন্মায়।
মানুষের জীবনও তার ব্যতিক্রম নয়।



২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার ভেতর একটা মায়াবতী বাস করে আপা !

মাঝে মাঝে আপনাকে আমার প্রতিচ্ছবি বলে মনে হয় । কেন হয় সেটা এই যে মন্তব্যটা করলেন তাতেই বোঝা যায় । আপনি খুব সহজে কিছু বলতে চান না । আবার যা বলছেন তাতে মন পাতলেই বোঝা যায় আপনি কত্ত সহজে সহজ কিছু বলে দিলেন !!


ভালো থাকবেন আপা !! আমার এই আটপৌরে শহরের সন্ধ্যার শুভেচ্ছা জানবেন !!

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আহা বড্ড মায়ায় মোড়ানো গল্প! এই মায়াজাল কামাল ছিন্ন করতে পারবে না কোনদিন। আমার সাথে দেখা হলে আমি বলব নিশ্চিত

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই ব্লগেই আছে বলে দিন ! কামাল হয় তো নেই তবে তিথি আছে !!

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: কামাল ও আছেন তবে তাঁর এই চ্যাংড়া প্রেমের বয়স চলে গেছে :)
তিথিটা কে শুনি?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হা হা হা । ঠিক বলেছেন লিখার সময় ওনার কথা মাথায় এসেছিল !

উঁহু বলা যাবে না এখন । তবে এটুকু বলা যায় ওনার সাথে সাচুর একটা সম্পর্ক আছে :-P

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এমনো যে হয়। তিথি, তাকে বুঝতে পারলাম না। গল্প অনেক ভালো লেগেছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

তিথিরা আসলে নিজেকে ভুলে যায় । লুকিয়ে রাখে , যৌক্তিকতার আবহে না বুঝে একদম অনুভূতি দিয়ে তালাশ করলে বুঝতে পারবেন ।

আমার ব্লগাস্তানায় আপনাকে স্বাগতম !!

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: তিথির নীল তোয়ালে আমি পড়িনি কিন্তু গল্পের নামটা জানি।

তুমিও কি জানো?

যাইহোক মায়াবতী মানুষেরা নীল তোয়ালে নিয়ে যায় ছন্নছাড়া ভবঘুরে যুবকদের জন্য।

বুড়াবুড়িদের জন্যও বটে, এমনকি বাচ্চাদের জন্যও বটে।

তবে আরেকটা মেয়ের জন্য নিয়ে যায় নাকি আমি জানিনা। :)


যাইহোক অনেক সুন্দর গল্প হয়েছে। :)

তবে এত তিথি তিথি করো না আবার এই ব্লগে আছে এটাও বলো না। তিথির হাসব্যান্ড শুনলে তোমার অবস্থা হয়ে যাবে জনি ব্রাভোর মত! :P

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তবে আরেকটা মেয়ের জন্য নিয়ে যায় নাকি আমি জানিনা। :)


দারুণ বলেছো তো আপা । তবে এর উত্তর আছে শুধু একটু উল্টে দেখলেই চলবে , আর তুমি সেটা পারবে আমি জানি । নীল তোয়ালে আসলে একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে বলা যদিও আমি নিজেও হু. আহমেদের ঐ উপন্যাস পড়িনি ।

আর তিথি বলতে তুমি কাকে বুঝিয়েছো আমি জানি । তবে সে না , এই তিথি অন্যজন ! ওর স্বামী নেই , হেহেহেহেহে সে জন্য এই রিস্ক নিলাম । তাছাড়া আমি কথক নায়ক নই সেফ জোনে আছি না !!

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০

জটিল ভাই বলেছেন:
আচ্ছা বলে দিচ্ছি যে তিথির মায়ায় একজন গাছ তলায়, আরেকজন জানালাতলায় অপেক্ষা করছে :)
দিন তিথির এ্যাড্রেস আর মোবাইল নাম্বার দিন =p~

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হাহাহাহাহ

হয়রে সবাই উল্টোটা বুঝতেছে । আসলে অমনটা না !

জানালার ওপাশের জন্য কেবল সাক্ষী আর কিছুই না ! বলতে পারেন গাছের মত !

তিথির ঠিকানা আমিও জানি না জেনে কী লাভ ‍

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। পড়ে আরাম পেয়েছি। কিছু কিছু মেয়েরা মায়াবতী হয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ । এটাই মনে হয় প্রথম আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য ! সেজন্য স্বাগতম জানাই !

পৃথিবীর অনেক মেয়ে এবং অনেক যুবক ভীষণ মায়াবতী ও মায়াবান হয় তবে সমস্যা হলো সমাজ আর পরিবেশ এটাকে অপনোদন করে চলে হরদম তাই আর মায়াটা টিকে না !!

১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: তিথি চরিত্রটা সুন্দর এঁকেছেন।
তিথি, কামাল এরা মূলত এখন আবেগে ভাসছে। বাস্তব দুনিয়া আবেগ থেকে অনেক দূরে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই !

আপনার এই কথাটার প্রতিও আমার কোন দ্বিমত নেই । তবে হ্যাঁ বাস্তব দুনিয়া আমাদের এই কৈশর আর শিশুটাকে অনবরত পিষে চলে হরদম !! তাই আমরা বদলে যাই !

১৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




পোষ্টে না থাকলেও কমেন্টে ঠিকই এমন শব্দ ব্যবহার হয়েছে যেটা জানতে ডিকশনারি মাস্ট।
জীবনে প্রথম শুনলাম এই শব্দ অপনোদন

একটা গান দিয়ে যাই।

ভোরের পাখি হয়ে গান শোনাবো তোমায় .......




২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হা হা হা ।

এটা কিন্তু অপ্রচলিত কোন শব্দ নয় ! প্রায়ই ব্যবহৃত হয়

যাকগে গানের জন্য ধন্যবাদ আপনার জন্যও একটা গান রইল খুব ছোট থেকে এই গানটা আমার প্রিয় !!

কুহেলি জানে কী আজও কবিতায় তাকে রেখেছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.