নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৃজা: ১২ই মে উপলক্ষ্যে ...................................

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৯


ঘুম ভেঙ্গে গেছে দৃজার,
আবার স্বপ্নে হানা দিয়েছে অতীত । যে অতীতকে সে মনেপ্রানে চেয়েছে ভুলে থাকতে , সেই অতীত প্রতি রাতে এসে হানা দিয়ে যায় ঘুমের রাজ্যে । দৃজা পারেনি ভুলে থাকতে সেই বিগত দিনগুলোকে , সেই বিগত মালাকে!

শোয়া থেকে উঠে বসল দৃজা । পাশের সাইড টেবিলে রাখা গ্লাসটা তুলে নিল সে , কয়েক ঢোকে খালি করে ফেলল গ্লাসটা । পানিটুকু পান করে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকল গ্লাসটির দিকে । এরপর যেখান থেকে গ্লাসটি পেল সেখানে রাখতে গিয়ে দেখতে পেল খামটি । গতকাল সন্ধ্যায় তার PS বলল একটা লোক নাকি তাকে এই খামটি দিতে বলেছে এবং বলেছে এটা যেন একমাত্র দৃজাই খুলে দেখে , আর কেউ যেন না খুলে । এখানে নাকি ভীষণ জরুরি কিছু আছে এমনটাই নাকি বলেছিল লোকটা । গতকাল ব্যস্ততার জন্যে আর দেখা হয়নি । এখন আর ঘুম আসছে না ভাবছে এখন একবার পড়ে দেখবে কিনা । গ্লাসটি রেখে দৃজা খামটি তুলে নিল । মাথার দিকটা ছিঁড়ে উপুর করতেই একটা চিঠি তার কোরের ওপর এসে পড়ল । চিঠিটা খুলে সে বেড ল্যাম্পের আলোয় পড়তে শুরু করল ।


দৃজা,
কেমন আছো ? আরেহ কি বোকা আমি , তোমাকে জিজ্ঞেস করছি কেমন আছো !তুমি কেমন থাকবে তা তো এখন সবার জানা ।তোমার জীবনাচরণ তো এখন অনেক মেয়ের কাছে অনুসরনীয় ।বাংলার অনেক মেয়ে এখন তোমার অবস্থানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে , এ এমন এক অবস্থান যেখানে নিজেকে ভীষণভাবে উপভোগ করা যায় । নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলা যায় ,“ তাকিয়ে দেখ সবাই আমি কতটা ভিন্ন তোমাদের থেকে । তাকিয়ে দেখ আমার শরীরে তোমাদের শরীরে লেপ্টে থাকা দৈন্যতাটুকু নেই । আছে শুধু তোমাদের স্বপ্নের সেই অপ্রাপ্তিব্য সীলমোহর ।”
নাহ তুমি ভালোই আছো ।

ভালো থাকবেই বা না কেন ? এখন তোমার গায়ে চড়েছে সবচেয়ে দামি পোশাক । তোমার গলার ঐ হিরে বসানো নেকলেসটা অনেক নারীর হিংসের কারণ । তোমার হাসি আর ঢেউ খেলানো শরীর অনেক যুবকের হোঁচট খাওয়ার কারণ ।তোমার চারপাশে তোমাকে ঘিরে থাকা বিখ্যাত মানুষগুলো কেবল তোমার মোহেই সারাদিন গুঞ্জন তোলে ।বাংলার বিখ্যাত বিলিওনিয়ার তোমাকে রোলস রয়েস গাড়ি উপহার দেয় ।প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও তোমার ডাক পড়ে । এটাকে হয়তো সুখ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় , কিন্তু তবুও তুমি সুখী নও ! সারাদিনের এই জৌলুসের ছটা তোমার রাত্রিবেলার শয্যায় বিলীন হয়ে যায় তাই না ? অতীতগুলো তোমাকে দুঃস্বপ্ন হয়ে হানা দেয় তাই না ? বারাবর তোমাকে মনে করিয়ে দেয় কী ছিলে তুমি , কেমন ছিল তোমার অতীতের দিনগুলি ।আচ্ছা তোমার সেই অতীত কী মনে করিয়ে দেয় , আজকের এই দৃজাকে কোন এক নিম্নবিত্ত পরিবারে নাদিম নামের ছেলেটি ভীষণ ভালোবাসত । হ্যাঁ ভালোবাসত , তবে আজকের এই দৃজাকে না সেই পুরনো মালাকে । যার চোখে হয়তো বাঁচার স্বপ্ন ছিল কিন্তু ছিল না বাঁচতে গিয়ে নিজেকে বিকিয়ে দেয়ার বাসনা । দৃজা আজ এইযে জৌলুস দেখছ তা থকবে না , এই জৌলুসটুকু ফিকে হলেই দেখতে পাবে হারিয়ে গেছে তোমার চারপাশে গুঞ্জন তোলা মানুষগুলো । দেখবে দৃজা নামটি মুছে গেছে পুরো পৃথিবী তখন নতুন দৃজার মোহে মেতে আছে , পুরনো দৃজার কোন অস্তিত্ব থাকবে না । তাহলে আজ যে কৃত্রিম ভালোবাসা দেখছ তার জন্য বাঁচবে নাকি নিজের সত্যটুকু খুঁজে নেবে ? আমি জানি প্রতি রাতে তোমার অতীত তোমাকে বিরক্ত করে । কেন তা কি বুঝতে পারছ না নাকি এই জীবন নিয়ে বাঁচতে চাও ? যদি বাঁচতে চাও তবে বাঁচো তবে মনে রেখ সময় ভীষণ চঞ্চল ! সে কখনও থেমে থাকে না ।

আর হয়তো তোমার জন্য আমি অপেক্ষায় থাকব , সেই নোনা ধরা একতলা দালানের মাঝে যদি সময় বেরহম না হয় তো । একদিন তুমি বুঝতে পারবে তোমার সবটুকু । ভয় পেয়ো না আমি বদলাব না নিজেকে বিকিয়ে না দিলে বদলে যাবার সুযোগ আসে না দৃজা ।

ইতি
নাদিম


থমকে গেছে দৃজা আর দৃজার পৃথিবী , না ভুল বলেনি সে । তার চারপাশে আজ যে আলো দেখছে তা ভীষণ কৃত্রিম তা সে বুঝতে পারে । আর পারে বলেই প্রতি রাতে এমন যন্ত্রনাদায়ক স্বপ্ন এসে ধরা দেয় । আর নিতে পারছে না দৃজা , এমন যন্ত্রনা সহনীয় নয় । কিন্তু চাইলেই কী এর থেকে পরিত্রান পাওয়া যায় ? এক সময় এমন একটা জীবনের স্বপ্ন দেখত আর আজ এর থেকে মুক্তি পেতে চাইছে । কী আদ্ভূত এই জীবন , কী অদ্ভূত এই দৃজা ওরফে মালা ! আর কী সহজ নাদিমদের ভালোবাসা মালাদের জন্য !


{অঞ্জন দত্তের মালা গানটির অবলম্বনে লিখা}


সবাইকে মালা দিবসের শুভেচ্ছা !!!!!!



পরিশিষ্ট:

এই লিখাটি ২০১৯ সালে লিখেছিলাম । কাঁচা হাতের লিখা , চোখের সামনে এক নাদিম আর আরেক দৃষ্টরজা ওরফে দৃজাকে দেখে এই গল্পটি লিখেছিলাম । দৃজা এখন বেশ ভালোই আছে । বেশ বিখ্যাত মানুষের দয়িতা হয়ে আর নাদিম ? তার খবর আমি পাই না প্রায় ৩ বছর হলো ! একদিন যে হারিয়ে গেল আর তার খোঁজ পাওয়া গেল না ! মাঝে মাঝে নাদিমের কথা ভেবে খুব খারাপ অস্বস্তি বোধ হয় । তার সাথে আমার যতবার আলাপ হয়েছে ততবার ম্যারি ক্লেয়র আর মালাকে নিয়ে আলাপ হয়েছে । কিন্তু সে যে অঞ্জন হয়ে হারিয়ে যাবে এটা আমি বুঝতে পারিনি !


“ ভালো খেকো নাদিম , দৃজারা এমনই হয় ! কারণ সভ্যতা তাদের এমনই গড়ে দেয় ! ”

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১:২২

শায়মা বলেছেন:

মালা দিবস আছে নাকি??

দৃজা, টৃজা কাউকেই চিনিনা শুধু আমার এক ডিমভাইয়া ছিলো। তার কথা মনে পড়ছে, :)

১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ সেটা অঞ্জন দত্তের কারণে তৈরী হয়ে গেছে !

দৃজাকে তুমি চিনবে কী করে ? আবার এদিকে তোমার ডিম ভাইয়াকেও চিনি না আমি , তাকে নিয়ে একবার লিখো !!

আর ধন্যবাদ একমাত্র কমেন্টের জন্য !!

২| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি পড়ছি আর ভাবছি, মালার গল্পই তো এটা। তবে দৃজা আর নাদিম সত্যিই ছিল ভাবিনি।

* এটা যদি কাঁচা হাতের লিখা হয় তবে পাকা হাতের লিখা কেমন হবে!! :||

১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ মালার গল্পাবলম্বনে লিখা এটি ।

এই পৃথিবীতে যে কত রকমের চরিত্র আছে , আর তারা যে সাহিত্য থেকেও কত বিচিত্র ও সত্য তা নিয়ে যদি লেখা যেত তবে সম্ভবত মানুষের কল্পনা আরও দৃঢ় হত !

** সেই সময়টাতে কাঁচা হাতের লিখা বলেই জানতাম , সেই নিয়ে সবসময় ভর্ৎসনার ভয়ে থাকতাম । এখনও মনে হয় তেমন কাঁচাই লিখি ।

আপনাকে ধন্যবাদ তপন ভাই , গল্পটা পড়বার ও কাঁধ চাপড়ানোর জন্য !!

৩| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:




১২ই মে নীলাকাশ নীল জলরাশি পাথরের মাঝে সমুদ্রের ঢেউয়ের উন্মত্ততা থেকে একটি ভালোবাসার জন্ম।
১২ই মে জ্যোৎস্না রাতে ফুলের বনে চাঁদের আলোর প্লাবনে একটি মৃত্যু।

১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ১২ ই মে শত উপমার মধ্য থেকে একটি গানের জন্ম একটি নিয়মের জন্ম যেই নিয়মে প্রেম মরে গিয়ে বাস্তবতা নামের একটি নিষ্ঠুরতার জন্ম হয় !!

৪| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:



তবে মনে রেখ সময় ভীষণ চঞ্চল !

এই উপমাটা ভালো লেগেছে।
সময়তো তাই, অদম্য ইউনিক।

সময়ের সাথে কোনকিছুর তুলনা হয়না, ঠিক সাগরের ঢেউয়ের মতো।
প্রতিটা মুহূর্ত নতুন এক মুহূর্তের জন্ম দেয়, ঠিক যেমন একটি ঢেউ থেকে আরেকটি ঢেউ। দুটোই অস্থির, আনস্টপেবল!

নির্বর লেখা বরাবরের মতোই সাবলীল এবং ভালোলাগার।

১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি আমার উপমাগুলো ভালোভাবে ধরতে পারেন এরজন্য ধন্যবাদ আপনাকে !


জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় হলো সময় , এর স্বরূপ আমরা নির্ণয় করতে পারিনি আজও !

ধন্যবাদ আপা পড়বার জন্য ও এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য !

৫| ১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ,




বোকা পুরুষেরা চিরকাল এমন করেই নারীদের চিঠি লিখে গেছে!

কাঁচা হাতের লেখা বললেও লেখা মোটেও কাঁচা মনে হয়নি। তবে যার গানের সূত্র ধরেই লিখুন না কেন , গল্পের কাহিনী গতানুগতিক । সেই বাল্যকালের প্রেম এবং বিচ্ছেদ এবং তার জাবর কাটা।

১২ই মে'র ব্যাপারটি ঠিক বোঝা গেলোনা।

১২ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বোকা পুরুষেরা চিরকাল এমন করেই নারীদের চিঠি লিখে গেছে!

এটা ঠিক তবে আপনি যেমন লিখেন তার সাথে আপনার এই মন্তব্য ঠিক যায় না । কেন যেন অন্যরকম মনে হলো ! তবে এটা সত্য , পুরুষ অনেক সময় নিজের প্রেমের প্রতি ভাববাদী থেকে বোকা রয়ে যায় । আবার পুরুষ যখন তার প্রেম থেকে সরে এসে বাস্তববাদী হয়ে যায় তখন সে হয়ে পড়ে কামুক ! কী অদ্ভুত এক নিয়ম ! নারী কিন্তু একই থেকে যায় কেউ তাকে কামুক বলছে না বলছে স্বার্থপর ও বুদ্ধিমতি !

কাঁচা হাতের লেখা বললেও লেখা মোটেও কাঁচা মনে হয়নি। তবে যার গানের সূত্র ধরেই লিখুন না কেন , গল্পের কাহিনী গতানুগতিক । সেই বাল্যকালের প্রেম এবং বিচ্ছেদ এবং তার জাবর কাটা।


হ্যাঁ গল্পটা গতানুগতিক হয়ে গেছে । কারণ গানটাই অমন । আর এটা বাল্য প্রেম নিয়ে না , পূর্ণাঙ্গ বয়সি দুজনকে নিয়ে লেখা । দৃজা মানে হলো দৃষ্টরজা !


আর ১২ই মে এর ব্যাপারে জানতে চাইলে আমার পূর্বের পোস্টটা পড়তে হবে যে , দিলাম এই পোস্টা মালা অথবা ম্যারি ক্লেয়র !!


ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য !

৬| ১২ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। জানিয়ে গেলাম।

১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জানলাম
মানলাম
ধন্যবাদ জানিয়ে দিলাম !!

B-)

৭| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

অধীতি বলেছেন: প্রেমিক পুরুষ রহিম মিঞা রুব্বানে নাচে কোমর ঢুলাইয়্যা। কাঁচা হাতের কচি প্রেমের গল্প দারুণ হয়েছে।

১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হাহাহা , আপনার মধ্যে ব্রাত্য রাইসুর খাসলত কিছুটা প্রকাশ পাচ্ছে বন্ধুবর সাবধান হয়ে যান এক্ষুণি !!

ধন্যবাদ পড়বার ও মন্তব্যের জন্য !!

৮| ১৩ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:১০

শায়মা বলেছেন: ডিমভাইয়াকে আমি চিনি। :)


তোমাকে চিনিয়ে দেবো একদিন পিচ্চু!

১৪ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম আপা !! B-)

৯| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অঞ্জন দত্তের মালা গানটা শুনতে হবে।

ভালো লেগেছে লেখাটা।

১৪ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ !

গানটা শুনবেন , অনেক জনপ্রিয় ও জীবনমুখী একটা গান ।

১০| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

জটিল ভাই বলেছেন:
ধীরে ধীরে নয়, বরং জোরেশোরেই গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ট্রেন। এ যাত্রা অব্যহত থাকুক।

১৪ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ইয়ে মানে , গন্তব্যটা যেন কী !!

১১| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:১১

মিরোরডডল বলেছেন:



গান লিখবে, সেটাতো আনন্দের কথা, রাগ করার কি আছে?
নির্ব গাইবে নাহ, তাহলে কে গাইবে?

লাস্ট কিছুদিন এই গানটা খুব শোনা হচ্ছে, সেকেন্ড অন্তরার শুরুতে নন্দিতার কণ্ঠে অংশটা দারুণ!
নজরুলের লিরিক অসাধারণ!

বুকে তোমায় রাখতে প্রিয়
চোখে আমার বারি ঝরে
চোখে যদি রাখতে চাই
বুকে উঠে ব্যথা ভ'রে
যত দেখি তত হায়
পিপাসা বাড়িয়া যায়
কে তুমি যাদুকরী
স্বপন-মরু-চারিণী





১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: দেখা যাক গানের জন্য রাগেন কিনা !

নজরুলের গান কম শুনি আমি । যদিও দ্রোহমূলক গানে আমার অরুচি নেই ! তবে প্রেমের ক্ষেত্রে নজরুল সেরা ‍‍‍‍‍! উপমহাদেশে আধুনিক গানের যে গীতিধারা তার অবদান নজরুলের অনেক !

এই প্যারোডি গানটা আপনার জন্য !!

১২| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



হা হা হা ...... গানটা মজার, আগে শুনিনি। থ্যাংক ইউ।

রবীন্দ্রসঙ্গীত অনেক প্রিয়। রবি ঠাকুরের কবিতা, নাটক, ছোটগল্প গান সব ভালো লাগে।

কিন্তু নজরুল ছিলো আন-প্রিভিলেইজড। তার জীবন ছিলো অনেক কষ্টের।
সেই ভলনারেবল অবস্থায় থেকেও তার যে ক্রিয়েশন গান কবিতা, সেগুলোর লিরিক এতো সমৃদ্ধ এটা আমাকে মুগ্ধ করে।
তার সবকিছু অনেক বেশি রিয়েল মনে হয়, অনেক আবেগ আছে। কোথাও দুঃখ বিলাস নেই, পুরোটাই জেনুইন।
নজরুলের প্রতি আমার একটা সফট কর্নার আছে।

১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আবেগি মানুষ ছিল এটা ঠিক । মূলত দ্রোহ আর প্রেমের এক আস্ত মূর্তি ছিলেন তিনি ।

প্রেমের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন দ্রোহীর মত স্পষ্ট এবং দ্রোহীর মত অকপট । নজরুলকে আমার মনে হয় একটি শিশুর মত !!

১৩| ১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২১

মিরোরডডল বলেছেন:




এই গান শুনলে নির্ব নির্ঘাত ঘুমিয়ে পড়বে কিন্তু এটা আমার অনেক ভালোলাগার।
বিশেষ করে গানের প্রথম দু' লাইন যেনো মনের কথা।

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব
তবু আমারে দেবো না ভুলিতে





১৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি জগন্ময় মিত্রের গান শুনি আর এইসব কোন ব্যাপারই না !!

১৪| ১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:

লিংকটা যায়নি, তাই আবার দিলাম

১৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: শুনছি আয়নাবিবি ।

তোমাকেও একটা গান দিলাম । খুব মন দিয়ে শোনো , হয়তো তুমি হারিয়ে যাবে

কেন তুমি বলছি ? সেটা ঝুলন্ত পাশার এক মন্তব্যে জানবে !

১৫| ১৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




বাবার অনেক প্রিয় শিল্পীদের গান আমি রেগুলার শুনি হেমন্ত, মান্না দে এরকম অনেকের কিন্তু
জগন্ময় মিত্রের গান বাবা শুনলেও আমার কখনও শোনা হয়নি।

আজ পাথরের বুকে মৃদু স্পন্দন খুঁজি আমি তোমার শহুরে রাস্তায়
যদি খুঁজে পেয়ে যাই তবে গান গেয়ে জমা জড় আবরণ ভেঙ্গে দিতে চাই…
যা গেছে তা গেছে, তবে যা আছে এখনও বেঁচে তাকে তুমি বুকে টেনে হাসিতে জড়াও … তাকে হাসিতে জড়াও।


অসাধারণ লিরিক!
কাকতালের চমৎকার এই গানটি শেয়ার করার জন্য অনেক থ্যাংকস।
হারিয়ে যাবার মতোই একটি গান।


১৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: দেখলে তোমার ভালো লাগার গান কিন্তু আমি বুঝি !!

নাও নাও বল এবার আমার মত এমন ব্লগার এই সামু তল্লাটে নেই !!

১৬| ১৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



ওহ তাহলে এই কাহিনী!
তাতো বলতে পারছি না, কারণ গানের লিরিক অনেক পছন্দ হলেও, সুরে আরও মেলোডি চাই :)

১৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যেভাবেই হোক আপা তোমার মুখ দিয়ে আমি এই কথা বের করাবই করাব !

যাকগে এই গানটা শুনো !

সাইকেডেলিক চলবে ? এটা না হলে আরও আছে !!

আর হ্যাঁ এই পোস্ট দেখো !!

গানটা শুনো ..................

১৭| ২০ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:




গানটা শুনেছি। মিউজিকটা সুন্দর।
সুমনের জীবনমুখী গানগুলোতে অন্যরকম ভালোলাগা।
এতো সুন্দর কি করে গায়!!!




২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সুমনের খোদার কসম জান গানটা আমার বেশ লাগে । সেই কলেজ জীবন থেকে ।

ইয়ে মানে আপা , আপনার সেই গিটারিস্ট পাশের বিল্ডিংয়ের ছেলেটা কী এই গান শুনিয়েছিল ? আর পুরো স্মৃতিটা যদি বলতেন । মানে কৌতুহলে তো চুপসে যাচ্ছি আপা !!

১৮| ২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




নির্বংশ কি জানে না যে আমি খুব লাজুক :)





২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি লাজুক ?

সত্যি ? হাহাহাহাহা । প্লিজ তারপরও দিন না , কিছু স্মৃতি জানা যাক সবাই জানছে তো আমিও তো দিলাম কত স্মৃতি আপনিও জানান না হয় !!

১৯| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:



সবাইকে দিয়ে কি সব হয়!!!
তারচেয়ে বরং একটা সুন্দর কবিতা শুনি।

পূর্ণিমাতে পূর্ণ হলো
তোমার মনের সাধ
তুমি অথৈ জলে খুঁজেছিলে
পূর্নিমারই চাঁদ
তুমি বাসতে ভাল জলের খেলা
ভয়াল নদী সাঁঝের বেলা
সেই জলের মাঝে খুঁজতে তুমি
দুর গগনের সাঁঝের তারা মেঘের ছায়া
নীল সাগরে ভাসিয়ে দিতে
আমার অপরাধ
তুমি অথৈ জলে খুঁজেছিলে পূর্নিমারই চাঁদ






২০ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হাহাহাহাহা !

কী দারুণ এড়িয়ে যাওয়া আচ্ছা যাও আয়নাবিবি আপা তোমাকে বলতে হবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.