নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !
আয়নাবিবি আপা কেমন আছো ?
এই প্রশ্নটা করতে গিয়ে কিছুক্ষণ থমকে ছিলাম আমি , এই যে তুমি যাকে আমি আয়নাবিবি আপা বলে ডাকি তার অস্তিত্বটুকু কী কেবল ভার্চুয়ালি ? নাকি ভার্চুয়াল দুরত্ব ছাপিয়েও তুমি আসলে অস্তিত্ববান আমার কাছে ? হয়তো তাই , না হলে তোমাকে লিখবো কেন ? যদিও আমার এই লিখাটাও বায়বীয় কিন্তু তাতে কী তুমিও নাহয় আমার মত ভেবে নেবে যে এই চিঠি পূর্ণ বাস্তব যেমন তুমি ভার্চুয়াল দুরত্ব ছাপিয়েও আমার কাছে খুব বাস্তব কেউ !!
সে যাক , আশা করি ভালো আছো তুমি । কেন যেন মনে হচ্ছে তুমি আসলে বাংলাদেশে এসেছো । আমার ধারণা দেশে এলেই তুমি সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করো তুমি । নিজেকে লুকিয়ে রাখবার ও সব কিছু থেকে দূরে থাকবার একটা অদ্ভুত আচরণ তোমার আছে বলে আমার মনে হয় । এই বদঅভ্যাস আমারও আছে । নিজেকে গুটিয়ে রাখবার মত অভিমান কী করে তোমার জন্মালো আমি জানি না । তবে এইটুকু আমি জানি এই অভিমানকে এড়ানো যায় না । কেন যায় না তা আমি বুঝি কিন্তু বোঝাতে পারবো না । কারণ ঐ যে মনোজগতে এমন কিছু থাকে যা গাঠনিক ভাষাতে বোঝানো যায় না সেটা বুঝে নিতে হয় মনোজগতের অলিন্দে যতটুকু অনুভবের রোদ পড়ে তার আলোতে ।
কিছুদিন আমার মাথায় একটা বিষয় মাথায় ঘুরছে । সেটা তোমাকে জিজ্ঞেস করতে যতবার ব্লগে ঢুঁ মারলাম দেখলাম তুমি নেই । প্রশ্নটা আমার ভেতরে ছটফট করেছে আর আমি ছটফট করেছি তোমাকে সেই প্রশ্নটা না করতে পেরে । তবে একদিক থেকে ভালো হয়েছে , আমার চেনা চিরাচরিত অস্বস্তিকে এক পাশে রেখে আমি আপন করে নিয়েছি নতুন অস্বস্তি । আর ধীরে ধীরে আমার প্রশ্নটা নিবিড়ে নিজের ডালপালা ছড়িয়ে যাচ্ছিল নির্বিঘ্নে ।
প্রশ্নটা হলো , “ একজন বোবা মায়ের কী কখনও নিজের সন্তানকে ঘুম পাড়ানি গান না শোনাতে পারবার বেদনা তাড়া করে ? তার মধ্যে একটা হাহাকার একটা যন্ত্রণা , একটা না পাওয়া নিদেন পক্ষে একটা শূণ্যতা কাজ করে কী ? নাকি তার এসবে কিচ্ছু যায় আসে না । সন্তানের প্রতি অপ্রতিম স্নেহ তাকে এইসব ভাবতে দেয় না । ভালোবাসা কী তার অপূর্ণতাকে মিলিয়ে দেয় ?”
প্রশ্নটা হয়তো ছেলে সুলভ কিংবা অমূলক । কিন্তু গভীরে ভাবলে , হুদয় দিয়ে ভাবলে এই প্রশ্নটাকে মনে হবে গুরুত্বপূর্ণ । আমার মনে হয় না তোমার কাছে এই প্রশ্নকে অমূলক মনে হচ্ছে । আমি জানি না তুমি এই চিঠি পড়বার পর ক্রমে ক্রমে প্রশ্নটি তোমার ভেতর বড় হতে থাকবে কিনা যেমনটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে বারংবার । জানো আপা, উত্তরের খোঁজ করতে গেলে দেখেছি প্রশ্নটার বৃদ্ধি আরও বেড়ে যায় ! দ্বিগুণ থেকে বহুগুণ হয়ে যায় এর ব্যপ্তি !
যেমন হবে হোক প্রশ্নটা জানালাম উত্তরটা পারলে জানিয়ো !
তুমি অনেকটা সময় জুড়ে ব্লগে নেই । আমি জানি না আগেও এমনটা হয়েছে কিনা হলেও কতটা সময় ধরে ছিলে না তা জানি না । যদিও আগে বলেছি যে মনে হচ্ছে তুমি ভালো আছো কিন্তু আবার এই আশংকা হচ্ছে তুমি অসুস্থ নও তো !! জানি না , মাঝে মাঝে এই না জেনে থাকবার ব্যাপারটা যন্ত্রণা বাড়ায় । এইজন্য নয় যে আমি জানছি না তাই , এই জন্য যে ঠিক তখন মনে হয় একটা মায়া আষ্টেপৃষ্টে বেড়ে উঠছে ! তোমার হয়েছে এমনটা ? মায়ার মায়াজালে হাঁসফাঁস করবার ব্যাপারটা ? কেমন করে সামাল দাও ? আমাকে জানিয়ো , আমি পরের বার থেকে সেভাবে সামাল দেব !!
আজ একটা পরীক্ষা ছিল । পরীক্ষা দেবার আগে করিডরে দাঁড়িয়েছিলাম , ঝুম বুষ্টি নামলো । আমি গাইতে শুরু করলাম কবির সুমনের “ সাড়া দাও ” গানটা । এতটাই মগ্ন হয়ে গাইছিলাম যে আমার পাশ থেকে কেউ আমাকে ডাকছে এটাই আমি শুনতে পাইনি । আমার খুব কাছে এসে একজন বলল , “ তোর খুব মন খারাপ কী ? ” তার উত্তরও দিতে পারিনি । এতটাই নিবিড় মনে গাইছিলাম । এখন মনে হচ্ছে আমি কাকে সাড়া দিতে বললাম ? কিংবা সুমন কাকে সাড়া দিতে বলল ? তোমাকে ? হাহাহাহা , হয়তো !! তুমি তো লাপাত্তা , তোমাকে উদ্দেশ্য করে এমন আবেদনময়ী গান গাওয়াই যায় তাই না !
এই অযথা চিঠিটা এখানেই শেষ করছি । আচম্বিত এই চিঠি লিখবার প্রয়োজন হলো বলে এক ভার্চুয়াল আপাকে লিখলাম এক বায়বীয় চিঠি । জানি না এর পেছনে কী অনুঘটক কাজ করছে । হয়তো কিছু একটা হবে । শেষ মেশ বলতে চাই আপা ,
“ ফড়িংয়ের ডানাতেও এ জীবন দেয় ডাক
বেঁচে থাক সব্বাই , হাতে হাত রাখা থাক!
সাড়া দাও
সাড়া দাও সাড়া দাও
উদাসী থেকো না সাড়া দাও । ”
কী আপা , সাড়া দেবে, সামুর ডাকেতে ? যত তাড়াতাড়ি পারো সাড়া দাও, উদাসীন থেকো না সাড়া দাও !!
ইতি
এক প্রব্রজ্যা
নিবর্হণ নির্ঘোষ !!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভালো থাকুক তিনি । হয়তো শোক নয় কারণ উনি শোককে কাটিয়ে চলতে ব্যস্ত রাখেন নিজেকে । তবে হ্যাঁ এই শোক নিছক নয় এটা সত্যিই বেদনাদায়ক । আশাকরি উনি একদিন এই শোক কাটিয়ে উঠে আবার সামুর মাঝে আসবেন !!
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপন ভাই বা বোন মারা গেলে সেই শোক সহ্য করা নিশ্চয়ই অনেক কঠিন একটা ব্যাপার। আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা নাই এই ব্যাপারে। যদিও আমার জন্মের আগে আমার একটা বড় ভাই ১ বছর বয়সে মারা যান। যেহেতু আমি সেই সময় পৃথিবীতে ছিলাম না তাই এই ঘটনা আমাকে কষ্ট দেয় না তবে আমি মাঝে মাঝে ভাবি ইশ আমার সেই ভাইটা যদি এখন বেচে থাকতো তাহলে সে কতভাবে আমাকে সাহায্য করতো।
মিরোরডডলের জন্য এই সময়টা সত্যিই শোকের একটা সময়। আশা করি সে শোক কাটিয়ে উঠতে পারবে অল্প সময়েই। ব্লগকে মাতিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তার অনেক ভুমিকা আছে। তাই তার অনুপস্থিতি সবাই অনুভব করছে। আপনার চিঠি আশা করি মিরর ডল পড়বে এবং এখন না হলেও সময় সুযোগ মত সাড়া দেবে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার বোন জন্মের সময় মারা যায় তখন আমার বয়স মাত্র সাত । হয়তো তাই বুঝতে পারছি না যে আপা এখন কেমন আছেন । তাই হয়তো চিঠিটা কাটখোট্টা হয়ে গেছে । সে যাক আমি অপেক্ষায় আছি কখন তিনি সামুর ডাকে সাড়া দেবেন !! আমার মনে হয় তার অনুপস্থিতি পুরো সামু অনুভব করছে । আশা করি তিনি সাড়া দেবেন ইনশাআল্লাহ !!
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব খুব মিস করছি আপুকে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমিও ।
দেখি সাড়া দেন কী না । অপেক্ষা কতদিন করতে হয় এই নিয়ে ভাবনা আমার !!
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর সামু তে এসে এমন একটা সংবাদ !
অনেক অনেক ভালোবাসা ডল এর জন্যে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বাহ্ । ধন্যবাদ জানবেন !!
আমার জন্য কোন ভালোবাসা থাকবে না আপা ??
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো চিঠি লিখেছেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যাক আপনার মনের দোয়ারে আমার চিঠি কড়া নাড়ল । ভালো থাকবেন ভাইজান !!
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৮
শায়মা বলেছেন: মিররমনির জন্য আমিও ওয়েট করে আছি। ভেবেছিলাম সে না আসলে আমার কক্সেস বাজার পোস্টটাই দেবোনা।
এখন একটা পরীক্ষা চালাতে হবে।
পোস্টটা দিয়ে দেখতে হবে আসে নাকি মিররমনি।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: দেখ আপা , চালাও একটা পরীক্ষা । দেখা যাক আয়নাবিবি পাশ করে কি না !!
হয়তো তোমার পোস্টের গন্ধে সে আসলেও আসতে পারে !!
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: মিররডডলের ভাই মারা গেছেন সম্ভবত জুনের ২১/২২ তারিখে, চারা গাছের ২৫ শে জুনের পোস্টে এটা মিররডডল উল্লেখ করেছে। সে শোকগ্রস্ত ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে শোক কাটিয়েও উঠছিল। নিয়মিতভাবে মন্তব্য প্রতিমন্ত্রব্য করছিল ১২ই জুলাই পর্যন্ত। তারপর থেকেই সে একেবারে উধাও...
জানিনা কি হয়েছে। কিন্ত খুব করে চাই, মিররডডল আবার আগের মত ব্লগে ফিরে আসুক।
পোস্ট দেবার জন্য ধন্যবাদ নির্বহন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমারও তাই ধারণা । উনি শোক প্রায়ই কাটিয়ে উঠেছিলেন । ১২ তারিখের পর থেকে আর আসেননি । আমি আর দেখিনি। প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে উনি নেই ব্লগে । হয়তো ব্যস্ত খুব ।
যাইহোক , সামুর ডাকে সাড়া দিক তিনি এই কামনা রৈল !!
আপনাকেও ধন্যবাদ আপা পড়বার ও মন্তব্য করবার জন্য !!
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চিঠিটা সত্যি আবেগঘন। মিরাডল বোনটা তার ভাইয়ের শোক কাটিয়ে উঠুক। আমরা শত ভাই রয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমরা শত ভাই রয়েছি !!
এই বিষন্ন রাতে এত প্রেমময় একটা বাক্য সত্যিই আমাকে আনন্দিত করে তুলল । সুন্দর তো । আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর কথা বলবার জন্য !! ভালোবাসা জানবেন !!
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি ভালো আছি। নির্ব কেমন আছে?
চিঠি পড়ে কিছুটা বিস্মিত, আবার ভালোও লেগেছে।
virtual friendship is a connection between souls only.
অজানা মানুষের প্রতি একটা ট্রাষ্ট নির্ভরতা কিছুটা আন্ডারস্টেন্ডিং, বিষয়টা মন্দ না।
বাস্তবের সাথে ডিফারেন্স হচ্ছে নিজের মনের মতো কল্পনা করে নেওয়া যায়।
you're absolutely right.
আমি ঢাকা গিয়েছিলাম ভাইকে শ্রদ্ধা জানাতে। মাত্র ফিরলাম।
মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় এতটা ব্যস্ত ছিলাম মাকে নিয়ে, যে কারণে ব্লগে আসা বা ব্লগ দেখার মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম না।
তাই একটা গ্যাপ হয়েছে।
মনোজগতে এমন কিছু থাকে যা গাঠনিক ভাষাতে বোঝানো যায় না সেটা বুঝে নিতে হয় মনোজগতের অলিন্দে যতটুকু অনুভবের রোদ পড়ে তার আলোতে।
So true, I agree.
প্রশ্নটার উত্তর আমার কাছে এরকম; বোবা মায়ের অনুভূতি আর সকল মায়ের মতো।
তার গান অনুচ্চারিত হলেও সন্তান সেটা অনুভব করে।
Love is a feeling & it is unconditional.
Love is all about giving.
When feelings really intense, this touches other soul.
That's how other person can feel, even though unuttered.
শুধু মা সন্তান না, আমার মনে হয় যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে।
মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমত্ববোধ জীবনে বেঁচে থাকার আকর্ষণ, জীবনকে সুন্দর, পরিপূর্ণ করে তোলে।
আবার এই মায়ার বাঁধন কষ্টের কারণ হয়। যে চলে যায়, সেও কষ্ট পায়, আবার যাকে ছেড়ে যায় তারও কষ্ট।
কি এক জ্বালা !!! তারপরও মায়া এক মরীচিকা। একজীবনে চাইলেই যার দেখা পাওয়া যায়না।
আবার দেখা মিললেও ধরে রাখা যায় না।
নির্বর কণ্ঠে সাড়া দাও গানটা আমরা কখন শুনবো?
আবারও এতো সুন্দর আবেগ মাখানো একটি চিঠির জন্য অনেক শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা।
পোষ্টে যারা মন্তব্য করেছে তাদের সবার জন্যও আমার কৃতজ্ঞতা আর আন্তরিক শুভেচ্ছা।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি কেমন আছি তা ঠিক করে বলতে হয়তো পারবো না তবে এই বলতে পারি যে তোমার প্রত্যুত্তর পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত ! চিঠি লিখবার দুদিনেই প্রত্যুত্তর সত্যিই আমাকে বিস্মিত । এর আগেও স্বপ্নবাজকে নিয়ে লিখেছিলাম এর দুয়েকদিনের মধ্যেই তিনি সাড়া দিলেন আর আজ তুমি । আমার এখন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে যে হয় চিঠির কোন এক আবেদন আছে অথবা মায়া বা টান বলে কিছু একটা নিশ্চিত আছে ! এখন ভাবতে ভালো লাগছে যে পৃথিবীটা খুব সুন্দর !!
তুমি কী জানো তুমি ছিলে না বলে শায়মা আপা তার কক্সেসবাজার বেরানোর ভিডিও ও বিস্তারিত কিছুই ব্লগে দেয়নি , তিনি তো মন খারাপ করে ছিলেন ! অবশ্য সবারই মন খারাপ ছিল । শেরজা ভাই তোমার জন্য একটা পোস্ট লিখেছে । তুমি ছিলে না আলাপ জমেনি সেই পোস্টে ।
অজানা মানুষের প্রতি একটা ট্রাষ্ট নির্ভরতা কিছুটা আন্ডারস্টেন্ডিং, বিষয়টা মন্দ না।
বাস্তবের সাথে ডিফারেন্স হচ্ছে নিজের মনের মতো কল্পনা করে নেওয়া যায়।
নিঃসন্দেহে । এই কল্পনাই আসলে স্বস্তি দেয় , বাস্তবতা তো ফাঁস দিয়ে চেপে ধরে ।
তুমি যে বাংলাদেশে এসেছো এই নিয়ে আমি ও শায়মা আপা একদম নিশ্চিত ছিলাম । যাক আমি যে মনে মনে নিশ্চিত ছিলাম এই আমি জানলাম ঠিক ঠিক ।
প্রশ্নের ক্ষেত্রে তোমার জবাবটা বেশ ভালো । কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিল মায়ের বেদনা নিয়ে ভালোবাসা তো বোঝাই যায় । জানো আপা মানুষ একদম নিরর্থকভাবেও ভালোবাসা বুঝতে পারে । কারণ মানুষের মনেই এই আবেগের জন্ম কিনা । কিন্তু আপা ,
শুধু মা সন্তান না, আমার মনে হয় যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে।
এই যে বললে কথাটুকু এটা তুমি নিশ্চিত ? সব সম্পর্কের বেলায় হয় এমনকি এই ভার্চুয়াল সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ??
মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমত্ববোধ জীবনে বেঁচে থাকার আকর্ষণ, জীবনকে সুন্দর, পরিপূর্ণ করে তোলে।
আবার এই মায়ার বাঁধন কষ্টের কারণ হয়। যে চলে যায়, সেও কষ্ট পায়, আবার যাকে ছেড়ে যায় তারও কষ্ট।
কি এক জ্বালা !!! তারপরও মায়া এক মরীচিকা। একজীবনে চাইলেই যার দেখা পাওয়া যায়না।
আবার দেখা মিললেও ধরে রাখা যায় না।
আমার এই ২৫ বছরের জীবনে আমি এই কথাগুলো হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছি । তাই একটা তীক্ষ্ণ অভিমান জন্মে গেছে এই জীবন নিয়ে , ঠিকভাবে বললে এই মানবজীবন নিয়ে !!
গানটা আমি আজ তুলেছিলাম । দেব আপা । তবে ভালো হয়নি কারণ আমার গলায় সুমনের গান যায় না বলে ।
তোমাকে দুই বোনের কণ্ঠে গানটি দিলাম !!
০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কাকতাল:ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জন্ম নেয়া এক ব্যান্ড !
এই পোস্টটা পড়ো সময় পেলে !!
১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি কেমন আছি তা ঠিক করে বলতে হয়তো পারবো না
কেনো কি হয়েছে? Are you okay?
হুম, এটাকে বলে টেলিপ্যাথি। তাই ঠিক এসময়েই বাংলাদেশ থেকে রিটার্ন করেছি
কিছুই না, জাস্ট কো-ইন্সিডেন্স।
তাইতো দেখলাম, বেশ কয়েকটি পোষ্ট। ব্লগারদের ভালোবাসা আমাকে ঋণী করে দিলো।
এই একটা ঋণ যা পরিশোধ করাতে আনন্দ নেই, ঋণী হওয়াতেই ভালোলাগা।
হ্যাঁ মায়ের বেদনা কিছুটা থাকবেই।
আবারও বলবো শুধু মায়ের না, যে কারো ভালোবাসা প্রকাশে যখন প্রতিবন্ধকতা থাকে,
ইমোশন প্রকাশে বাধাপ্রাপ্ত হয়, or for some reason can't express,
এর একটা পেইন থেকেই যায়।
সব সম্পর্কের বেলায় হয় এমনকি এই ভার্চুয়াল সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ??
obviously! It may not always 100% but most of the time yes, even virtual.
জীবনের প্রতি অভিমান সেতো আমারও আছে, কি যেনো হয়তো অনেকেরই এমন হয়!
দুই বোনের গানটা ভালো লেগেছে। প্রাণবন্ত!
ভালো হয়েছে কিনা সেটা বলবো আমরা, নির্ব শুধু তার গানটা শেয়ার করবে।
কাকতাল পোষ্ট কাল পড়বো, যদি কোন কাল আসে।
life is so unpredictable, don't feel to think about next.
আজ যেতে হবে, ভালো থাকবে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৫৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: না না তেমন কিছু নয় , আমি আসলে এমনই , ভালো খুব একটা থাকি না সদা !!
বেশ আমি দেব আমার গান , যদি আল্লাহ চান তো । তবে সমস্যা হলো গিটারের তার ছিঁড়ে গেছে , এখন কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে । পুরো শহর এখন কোমর সমান পানির নিচে !!
যদি কাল আসে তো কথা হবে । তুমিও ভালো থেকো !!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: আশাকরি তিনি ভালো আছেন । যখন ভাই মারা যায় বোনদের পৃথীবির বড় একটা অংশ হারিয়ে যায় । তিনি শোক কাটিয়ে উঠুন এটাই কামনা করি ।