নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলাবদ্ধতাকে কী ঐতিহ্য বলে ঘোষণা দেয়া যেতে পারে না ??

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬




বাঙালির কাছে বোধহয় বৃষ্টিটা খুব পছন্দের । কবি থেকে লেখক , কথক থেকে পাঠক , প্রেমিক কিংবা খাদক সবার কাছে বৃষ্টি মানেই এক স্বর্গীয় আবহাওয়া । আর অলসদের কাছে তো এটা স্বর্গাতীত কিছু । বৃষ্টি একটি প্রেমময় আবহাওয়া হলেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে আর তা নগর জীবনে বেশি দৃশ্যমান হয় । তেমন একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো জলাবদ্ধতা । বৃষ্টি সে হোক ইলশেগুঁড়ি কী ঝমঝমা ঝম রাস্তায় পানি জমে যে নিদেন পক্ষে ছোটখাটো হাওড় বাওড় তৈরী হবে না এমনটা কখনওই দেখতে পাওয়া যায় না । বলা যায় বৃষ্টির সাথে বঙ্গনগরীগুলোতে জলাবদ্ধতার এক অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক নিহিত আছে ।



এই দেশে সেই শিশুকাল থেকে এই পৌরুষকাল পর্যন্ত দেখে এসেছি যে বৃষ্টি হলেই কমসে কম হাঁটুজল থাকবেই পুরো রাস্তা জুড়ে । রাস্তার সাথে সাথে বাড়িঘরও ডুবে যায় নিমিষেই । গাড়ি চলবে না চললেও ভাড়া হাঁকবে চড়া, স্কুল হয়ে যাবে বন্ধ, তবে অফিস আদালত হবে না বন্ধ ফলে বিশাল মাপের মানুষ পানি কেটে যাবে কর্মস্থলে । নোংরা পানিতে কাপড় চোপড় ভিজিয়ে অফিস করবে । পানিবাহিত রোগে কুপোকাত হয়ে হাসপাতালে যে যাবে সেই উপায়ও নেই ! মানে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা !!


তো এই জলাবদ্ধতার নিরসনের কোন পদক্ষেপ নিতে আজ পর্যন্ত নিতে দেখা যাচ্ছে না পৌরকর্তৃপক্ষকে । প্রতিবার শহর ডুবে গেলে কর্তৃপক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়া যায় কিন্তু পরের বর্ষায় আবার যখন তা তা থৈ থৈ নেত্য চলে পুরো শহর জুড়ে তখন আর কিছুতেই বিশ্বাস থাকে না । যেহেতু এই বিপর্যয়ের কোন সুরাহা হচ্ছে না তখন এই বিপর্যয়কে সাদরে বরণ করে নেয়াই উচিত । কারণ , “ কী আর করা খাইছি যখন ধরা !”


আবহমান নগর জীবনে জলাবদ্ধতা যখন একটি স্বাভাবিক ঘটনা তখন একে আরও বর্ণিলভাবে স্বাভাবিক করে নিলে আপত্তি থাকবে কেন ? আমি বলতে চাইছি যে এখন থেকে এই জলাবদ্ধতাকে ঐতিহ্য বলে ঘোষণা করা হোক । এতে করে আমরা মামা নেই বলে কানা বগাকে মামা বানিয়ে মামার উপযোগ পেতে পারবো । একবার ঐতিহ্য বলে গণ্য করলে আমাদের এখানে ভোগান্তি কমবে না তা নয় বরং এই ভোগাস্তিকে আমরা আনন্দের জন্য সাময়িক কষ্ট বলে চালিয়ে দিতে পারবো ।



ঐতিহ্য বলে ঘোষণা করা হলে এই ঐতিহ্য পালনে এগিয়ে আসবেন সাংস্কৃতিক জগতের মানুষজন । নাচে গানে বরণ করা হবে বর্ষার নাগরিক জলাবদ্ধতাকে । এইদিনে উদীচি থেকে শুরুকরে ছায়ানট বজরায় চড়ে নগরের দূর্গন্ধময় সাময়িক নদীতে ভাসতে ভাসতে গাইবে জলাবদ্ধতা নিয়ে দারুণ কোন গান । রবীবাবুর জলাবদ্ধতা নিয়ে কোন গান আছে কিনা জানা নেই । তবে মাকসুদ সাহেব যখন আছেন তিনি “মেলায় যাইরে” এর মত একটা ফাটাফাটি গান বানিয়ে ফেলতে পারবেন । পুরো শহর এই গান গাইতে গাইতে নাচবে । মন্দ হবে না !



ঐতিহ্য পালনের জন্য সমস্ত অফিস আদালত সেদিন বন্ধ থাকবে সুতরাং পানি কেটে আর অফিসে যেতে হবে না । ভার্সিটির পরীক্ষা সেদিন থাকবে না । স্কুল তো বন্ধ থাকবেই । নায়ক নায়িকারা সেদিন নোংরা পানিতে দাপাদাপি করবে ( এই দৃশ্যটাকে কী ভালো বলা যায় ?) । টিকটকাররা কুলসন সেমাই মার্কা চুল নেড়ে ভিডিও বানাবে । প্রেমিক প্রেমিকারা নৌকা নিয়ে প্রেমলীলা করবে তা দেখে মুরব্বিরা নাক সিঁটকাবে । নৌকায় চড়া হিজাবি রমনীদের দেখে রাস্তার দুপাড়ে দাঁড়ানো যুবকেরা ভারতভূষণের মত মোহাম্মদ রফির বিখ্যাত গান “ তু গঙ্গা কী মঁজ ম্যায় ” গানটি গাইবে । বলা যায় না সিনেমার মত নৌকা তাঁদের কাছে ভিরলে ভিরতেও পারে, নৌকার ওপর আস্থা এখানে প্রযোজ্য !


এই দিনে ব্যবসায় বাণিজ্যও ভালো হবে । পহেলা বৈশাখে যেমন পান্তা ইলিশের রমরমা বাণিজ্য চলে তেমনি এইদিন চলবে মুড়ি-মুড়কির বাণিজ্য । হরেক রকমের শুকনো খাবার এইদিনে ঐতিহ্যের স্বাদ নিয়ে ভক্ষণ করা হবে । এক বাটি মুড়ির দাম হবে আকাশচুম্বি । এইদিনে সব যানবাহন বন্ধ থাকবে কেবল জলভাসিত যান ছাড়া । স্পীড বোটের আলাদা কদর থাকবে ভোঁ করে গিয়ে সবাইকে ভিজিয়ে দেবার জন্য ।




শেষমেশ টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকগণ “ অ্যাঁ অ্যাঁ ” করতে করতে এক কথা ছত্রিশবার বলে সরাসরি সম্প্রচার করবে এই ঐতিহ্য পালন । কর্তৃপক্ষও এইদিনে থাকবে খোশমেজাজে , গর্ব করবে তারাও এই ঐতিহ্যে সামিল হতে পারবে বলে ।



কেমন হবে ? খারাপ হবে না মোটেই । এতে করে কর্তৃপক্ষের আর কোন চাপ থাকবে না । বিরাট বিরাট প্রকল্পের আশ্বাস দেখিয়ে দূর্নীতি হবে না । জলাবদ্ধতা নিয়ে টিভিতে ক্যাচাল টকশো হবে না । ফেসবুকে জ্বালাময়ী পোস্ট আসবে না । আহা কী সুন্দর সময় । ভাবা যায় ?


আমার মনে হয় এই করে আমরা এই সমস্যার সুন্দর সমাধান করতে পারবো । সমাধান বললে অনেকে মান করবেন জানি কিন্তু সমস্যাকে আপন করে নিলে সেটা আর সমস্যা থাকে না , তো এটাকে সমাধান বলা যায় না ?


আসুন আর দেরী নয় অতি শীঘ্রই আমরা গড়ে তুলি আমাদের নতুন ঐতিহ্যকে । আর বিশ্বকে দেখিয়ে দিই আমরা কী !!

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বইমেলায় এই ঐতিহ্য নিয়ে বই বের করা এবং কোমলমতিদের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভালো বুদ্ধি । কী শিরোনাম দেয়া যায় ?

" এসো জলকেলি করি !"

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

শেরজা তপন বলেছেন: দারুণ স্যাটায়ার। চমৎকার প্রস্তাব- আপাতত কি শুধু চাঁটগা বাসীরা মজা করবে?? আমাদের ঢাকাবাসীর কি হবে?
সব ড্রেন আর নালার মুখ বন্ধ করা ছাড়া উপায় দেখছি না।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ঢাকায় জবরদস্ত বারিবর্ষণ একবার হতে দিন এরপর দেখুন কী হয় , জলাবদ্ধতায় শীর্ষে তো এই দুই নগরী । পানির ঢল নামলে আপনারাও শুরু করবেন আনন্দ আয়োজন । আমরা ইউটিউব কিংবা টিভির সাংবাদিকদের অ্যাঁ অ্যাঁ মার্কা লাইভ শো দেখবো ।

ধন্যবাদ ভাইজান পোস্টটা পড়বার ও বুঝবার জন্য !!

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


নাম একটা দিয়ে দেন ' আপনি চট্রগ্রাম কোথায় থাকেন? যোগাযোগের মাধ্যম কি ব্লগ ছাড়া।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি চট্টগ্রামের কোথায় থাকি ইহা আমি ব্লগে বলিব না । তবে বদনগ্রন্থতে আমাকে পাইবেন এই নামেই !!

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

জুন বলেছেন: হোমো এরশাদ না এই পানিতে হেটে হেটে কি একটা গান রচনা করেছিলেন ভুলে গেছেন !!
তোমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেষ্টা আমার তারপরের লাইন গুলো মনে পরছে না -- লোকটার এলেম ছিল #:-S
জয় জলাবদ্ধতা দিবস +

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপা আপনি নিশ্চিত গানটা উনিই লিখেছিলেন ? তার সমস্ত কবিতাই তো আল মাহমুদ অথবা শামসুর রহমানের । বলা তো যায় না হয়তো গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন ।

আর মনে থাকবে কী আপা উনার সাথে বিদিশার বিয়ে হবার ৩ বছর আগে আমার জন্ম ।

উনি এলেমদার মানুষ তবে প্রেমে অন্যকিছুতে না !!

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: কেমন বোধ করছেন?? =p~ =p~

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন করলেন , ঐতিহ্য বলে ঘোষিত হলে মনে হয় কিছু একটা বোধ করবো , এর আগ পর্যন্ত নিজেই তিমিরে আছি ও থাকবো । ধন্যবাদ ঝিঁঝিঁ !!

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




অতি দুঃখে হাসির মতো হয়েছে। আমরা এতো বেহায়া নির্লজ্জ আর আদেখলা জাতি যে, এ সময় ঐতিহ্য পালন করলে যেখানে জলাশয় হয়নি বা হয়না, সেখানেও খানাখন্দ বানিয়ে যেমন নিজের বাড়ির বাগানেও খনন করে পানিতে ডুবে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবে। কাজের কাজ না হলেও, অকাজের সব কাজ সম্ভব আমাদের দেশে।


০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরেহ তাই তো এটা তো ভেবে দেখিনি ।

তবে আপা এই জলাবদ্ধতা তো কৃত্রিমভাবে তৈরী করতে হলে শেরজা ভাইয়ের পথ অবলম্বন করতে হবে । ডোবা খনন করে তো হবে না । তবে আমরা যে জাতি অভিনব একটা উপায় বের করবই করব ।

আমার এক বন্ধুর কোন খবর পাচ্ছি না বন্যায় তার পরিবার কেমন আছে এই নিয়ে আমরা এখন শঙ্কিত !!

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শায়মা বলেছেন: বর্ষামঙ্গল নামে এক ঐতিহ্য পালন টাইপ উৎসব আছে। তোমার হবে জলাবদ্ধতাবরণ নামে আরেক ঐতিহ্যের উৎসব।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপা কোন ধরনের নাচ এই উৎসবে নাচা যায় বল তো ? তোমার পরামর্শ এইক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য !!

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১০

শায়মা বলেছেন: তা তা থই থই তা তা থই থই

:) :) :)

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এইটা কোন ঢংয়ের নাচ ? কত্থক না কি ??

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:





ঢাকা চট্টগ্রাম সব জায়গাতেই বর্ষার পানি জমে মানুষের যে কষ্ট হয়, এটাতো একটা প্রতি বছরের অনগোয়িং ইস্যু।
আমার ভাবতে অবাক লাগে, এ যাবৎ কত সরকার এলো গেলো কিন্তু কেউ সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেনো???
একদম করেনি তা হয়তো না, কিন্তু প্রয়োজন আর চাহিদার তুলনায় সেটা হয়তো এতই সামান্য যে মেনশন করার না।
জনজীবনের মান উন্নয়নে এগুলো প্রায়োরিটি। যারা এসব কাজের দায়িত্বে আছেন, তারা করেটা কি??
কোনো দায়বদ্ধতা জবাবদিহিতা নেই!!!!


০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বৃষ্টি হলেই এখন ভয় লাগে । আরেকটা কথা বলি আপা , কিছুদিন আগে যখন বন্যা প্রথম শুরু হলো সেদিন একজন মেয়ে মারা গেছে , ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা ছিল সেদিন । ড্রেনে পড়ে সে মারা যায় । প্রতিবার এমন জলাবদ্ধতায় মানুষ মরে । ভাবতে পারবে না আপা চট্টগ্রামের সবচেয়ে ব্যস্ত ও অভিজাত এলাকা এখন পানির নিচে । খাতুনগঞ্জে এত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয় যে পানি নামবার পর দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায় ।

এই জলাবদ্ধতা আমাদের চারদিক থেকে মারে তবুও কোন উপায় দেখি না এর থেকে মুক্তি পাবার । কেউ এগিয়ে আসে না !!

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




আমার এক বন্ধুর কোন খবর পাচ্ছি না বন্যায় তার পরিবার কেমন আছে এই নিয়ে আমরা এখন শঙ্কিত !!

ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া অথবা মিউচ্যুয়াল ফ্রেন্ডস কারো মাধ্যমেই কন্টাক্ট করা যাচ্ছে না?

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপা বন্যার কারণে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা আছে যার কারণে আমরা কোন খবর পাচ্ছি না । এবারের জলাবদ্ধতা এতটাই খারাপ যে চট্টগ্রামের উঁচু অঞ্চলও এখন ডুবে আছে !!

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

জুন বলেছেন: যেই লিখুক অভিনয়টা তো উনিই করেছেন গামবুট পায়ে পানির মধ্যে হেটে হেটে #:-S

আপনার বন্ধুর খবর পেলে জানিয়েন

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তা ঠিক , ছোটবেলায় টিভিতে দেখেছিলাম । এরপর মনে হয় উনি পলীবন্ধু খেতাব পান !!

ইনশাআল্লাহ আপা দোয়া করবেন ওদের জন্য !!

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




উন্নত বিশ্বেও কিছু এলাকায় প্রতিবছর এরকম হয় কিন্তু সেগুলো কোস্টাল এরিয়াতে।
তারজন্য সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়, প্রিকশন থাকে।

কিন্তু আমাদের দেশে সাধারন এলাকায়ও যেসব জলাবদ্ধতা হয় বর্ষায়, সেগুলো সল্ভড করা সম্ভব।
সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বহীনতার জন্য সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।

তরুণ প্রানের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর আর কিছু বলার নেই।
স্পিচলেস!!!

বিপর্যস্ত সবার জন্য শুভকামনা রইলো যেন তাড়াতাড়ি এ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়।


০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপা আমরা এখনও অনেক খবর জানছি না কারণ ঐ যে যোগাযোগ বন্ধ , দেখা যাক এই কয়েকদিনের মধ্যে পানি কমে কিনা । তাহলে জানতে পারবো সব !

জীবনে এই প্রথম প্রার্থনা করছি যাতে আর বৃষ্টি না হয় ! বোঝ এবার কেমন দূরাবস্থায় মানুষ বৃষ্টিকে ভয় পায় !!

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আহা আপনি যে কি উন্নয়ন জিনিষটা চোখেই পড়ে না! বর্ষা এলেই দেশটা ইতালির ভেনিস হয়ে যায়। এমন উন্নয়ন আর কয়টা দেশে দেখতে পাবেন বলেন!

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এটাও ঠিক বলেছেন । তাইতো আবদার করলাম ভেনিস হবার ব্যাপারটাকে আনন্দে উদযাপন করা হোক । আচ্ছা , আর কীভাবে এই উৎসবকে বেশি আনন্দময় করা যায় ??

১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: জলাবদ্ধতা তো আর সারা বছর থাকে না।
বছরে ৪/৫ দিন খুব বৃষ্টি হলে সামান্য রাস্তায় পানি জমে। সে পানি ২/৩ ঘন্টা পর নেমে যায়। এটা সিরিয়াস কিছু নয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই আপনাদের মত বেরসিক মানুষদের জন্য ঐতিহ্য বলে ঘোষিত হয় না এই জলাবদ্ধতা । আপনি বর্ষায় একবার আগ্রাবাদ আসবেন আপনাকে নিয়ে আমি ভ্রমণে বের হবো । নালার নোংরা পানিতে আপনি কিছুক্ষণ দাপাদাপি করবেন এবং তিনদিন সেখানেই অবস্থান করবেন , পানি কমে কিনা দেখবেন !!

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবুও চট্রগ্রাম ঢাকার চেয়ে অনেক সুন্দর শহর।

বৃষ্টির মৌসুমে জলবদ্ধতা আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলা, এই দুই মিলিয়ে হচ্ছে ঢাকা।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমাদের এখানে ধুলো কম । তবে হ্যাঁ সমুদ্রাগত বাতাস মন ভরিয়ে দেয় !!

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




আপনি বর্ষায় একবার আগ্রাবাদ আসবেন আপনাকে নিয়ে আমি ভ্রমণে বের হবো । নালার নোংরা পানিতে আপনি কিছুক্ষণ দাপাদাপি করবেন এবং তিনদিন সেখানেই অবস্থান করবেন , পানি কমে কিনা দেখবেন !!


ওয়েল সেইড =p~ =p~ =p~


০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: উনি এখনও দেখেননি কী অবস্থা দাঁড়ায় বর্ষার দিনে । ওনাকে দেখানো উচিত ।

ভালো কথা আপা এইমাত্র বন্ধুটি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে । অনেক বাচ্চা মারা গেছে !!

১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




বন্ধুর সাথে কন্টাক্ট হয়েছে ভালো খবর, কিন্তু বাচ্চারা মারা গেছে শুনে খারাপ লাগছে।
আহা! একেকটা প্রান কত অমূল্য!
যারা প্রিয়জন হারাচ্ছে তারাই সেটা জানে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ আপা কিছুটা ভালো লাগছে তবে আপা হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে কারণ এটাই সরণকালের সেরা বন্যা এই চট্টগ্রামে । এর আগে হয়তো ১৯৯১তে হয়েছিল তবে তা ১২ ঘন্টার বেশি স্থায়ী ছিল না আর এটার কথা নাইবা বলি । আপা আমার এক বন্ধু বান্দবান থেকে বলেছে যে রুমা উপজেলা পুরো ডুবে গেছে । তার মতে সেখানকার খবর কিছুই জানা যায়নি এখনও !!

প্রার্থনা করো আপা তাদের জন্য !!

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:




চট্টগ্রামে আমি কয়েকবার গিয়েছি। কক্স-বাজার, হিমছড়ি, ইনানি, বান্দরবান, রুমা, সাঙ্গু নদী।
চট্টগ্রামের অনেক জায়গায়, হোটেল আগ্রাবাদ, ফয়েজ লেক, পতেঙ্গা, আরো আছে সব নাম মনে নেই।
পরিচ্ছন্ন আর রূপবতী একটা অঞ্চল অনেক সুন্দর।

প্রার্থনা করো আপা তাদের জন্য !!

শুধু তাদের জন্য না, সবার জন্যই প্রার্থনা।
সবাই ভালো থাকুক।
আমাদের নির্বও যেনো পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকে, সেইফ থাকে।


০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার কিছু প্রিয় অঞ্চল আছে এই চট্টগ্রামে সেসব অঞ্চলে আমি গাড়িতে চড়ি না কেবল হাঁটি । হাঁটতে হাঁটতে আমি এইসব রাস্তার প্রেমে পড়ে গেছি । কেবল জামালখান থেকে কাজীর দেউড়ি অব্দি যে রাস্তা সেসবে আমার কত্ত স্মৃতি । আর আগ্রাবাদ আমার নানার বাড়ি ।

চট্টগ্রাম আমার কাছে তিলোত্তমা সর্বদা ।

ধন্যবাদ আপা , তুমিও ভালো থেকো সব সময় তোমার পরিবারও ভালো থাকুক সর্বদা !!

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের দেশের প্রশাসন বা প্ল্যান মেকাররা বিন্দু মাত্র দায়ীত্ববোধ সম্পুন্ন না। তারা জানে কেবল খেতে। তাদের খাই খাই স্বভাবের কারনে দেশ যে আধ খাওয়া এক রুটির টুকরা হয়ে যাচ্ছে তা এরা দুই চোখ দিয়ে দেখে না। যে দেশ জলাশয়ের জন্য বিখ্যাত তারা সেই জলাশয় গুলো মেরে ফেলে রাস্তা নামক উন্নয়নে ব্যাস্ত।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: প্রয়াত ড. আকবর আলী খানের একটা প্রবন্ধে পড়েছিলাম আমলাতন্ত্রের ক্ষেত্রে দূর্নীতি দূর্দমনীয় না হলে দূর্নাশকৃত একটি বিষয় । প্রশ্ন হলো এরা কী এই দেখছে না এইযে দূর্নীতি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এত বেশি খারাপ প্রভাব দেখতে পাই যে আমরা পিছিয়ে যাই অবিরত । কিন্তু লাগাম টানার যেন কেউ নেই । চট্টগ্রামের অনেক খালের জমি দখল হতে হতে এখন নালা হয়ে গেছে সেসব । এসবের দিকে তাকানোর যেন কেউই নেই । কী যে দূরাবস্থা এই নগরগুলোতে !!

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই আপনাদের মত বেরসিক মানুষদের জন্য ঐতিহ্য বলে ঘোষিত হয় না এই জলাবদ্ধতা । আপনি বর্ষায় একবার আগ্রাবাদ আসবেন আপনাকে নিয়ে আমি ভ্রমণে বের হবো । নালার নোংরা পানিতে আপনি কিছুক্ষণ দাপাদাপি করবেন এবং তিনদিন সেখানেই অবস্থান করবেন , পানি কমে কিনা দেখবেন !!

আমি ঢাকার কথা বলেছি। আপনাদের চিটাগাং এর কথা বলি নাই।
আমাদের ঢাকায় খুব বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। ২/৩ ঘন্টা পর আর জলাবদ্ধতা থাকে না।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ও আচ্ছা , এখন ঢাকায় জলাবদ্ধতা কয়েক ঘন্টা পর যদি নেমে যায় তো কেন জলাবদ্ধতা নিয়ে এত অভিযোগ ঢাকাবাসীর ?

২১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক মানুষের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। এটাকে ঐতিহ্য বলা যেত যদি মানুষের ক্ষতি না হত। সিটি কর্পোরেশন একটা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ২/৩ বছর পরে সব ঠিক হয়ে যাবে আশা করা যায়।

১১ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাইজান প্রতিবছর মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে এই জলাবদ্ধতার জন্য । কোন পদক্ষেপের লেশমাত্রও দেখা যাচ্ছে না , কবে যে এই ২/৩ বছর শেষ হবে আল্লাহ জানেন !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.