নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুমির বর্ণিত তিনটি গল্প !

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১১



রুমি তার লিখাতে কখনও হাস্যরসাত্মকভাবে আবার কখনওবা কাব্যিক কিছু এলোমেলো কথার মধ্য দিয়ে কিছু না কিছু ভাবুক কথা বলতে চেয়েছেন । সেসব ভাবুক হলেও এটা বলা যায় না যে সেসব অর্থহীন , একটু মনোনিবেশ করলেই এর দর্শনগত অর্থ প্রতিভাত হয় । রুমি যা কিছু বলতে চেয়েছে সবই ছন্দবদ্ধভাবেই বলেছে । প্রাচীনকালে কোন উপাখ্যানকে যেমন মহাকাব্যের মধ্যে দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে রুমিও তাই করেছেন । সুখপাঠ্যের স্বার্থে সেই কাব্যিক ধারাকে উপেক্ষা করে তিনটি গল্প এখানে উপস্থাপন করলাম । সেসব কতটা রসবোধক আর কতটা ভাবোদ্দীপক তা আমি নিশ্চিত করে বলছি না । তা না হয় আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম, আশা করি ভালো লাগবে সবার !!




ঘটনা ১:


আরবের এক মনোহরি দোকানীর কাছে ছিল এক তোতা পাখি । যেন তেন তোতা পাথি নয় , কথা বলা তোতা পাখি । তবে নির্দিষ্ট কিছু বাক্য নয় একেবারে কথা খৈ ফুটতে দেখা যেত এই তোতার মুখে । তোতাটা দেখতেও সুন্দর ছিল । চটকদার কথা বলবার জন্য সকলের কাছে সে প্রিয় ছিল । বলতে গেলে দোকানীর দোকানে জন সমাগম লেগেই থাকতো এই তোতার জন্য ।



তো একদিন দোকানী তোতাকে দোকানে রেখে বাহিরে গেলেন । তোতাকেই দিয়ে গেলেন দোকান দেখভাল করবার দায়িত্ব । তোতাও নিবিড় মনে দোকানের ওপর চোখ রেখে চলেছে । আচমকা কোত্থেকে এক বিড়াল লাফ দিয়ে এসে ঢুকলো দোকানের ভেতরে । যতই চটকদার কথা বলুক না কেন সে তো আর বাজ নয় যে একদম দ্বন্দ্বমনোভাবাপন্ন হবে সে । তার প্রকৃতিস্বরূপ সে দিল ডানা ঝাঁপটে লাফ । ফলত, তার ডানার ধাক্কায় ভেঙে গেল দামী বাদামের তেলের বোতলটা ।


তেলে চটচটে হয়ে গেল আশেপাশের সব পণ্য । তোতাও ভয় পেয়ে এক কোণে জুবুথুবু হয়ে বসে রইল ।


একটু পরে এল দোকানী, এসে দেখে দোকানের অবস্থা তেলে তেলসিক্ত হয়ে গেছে । দোকানের কোণে তোতাকে ওভাবে বসে থাকতে দেখে দোকানী ভেবে নিল এই তোতাই ইচ্ছে করে এমনটা করেছে । তাই রাগে অন্ধ হয়ে একটা চ্যালাকাঠ দিয়ে দিল তোতার মাথাতে বেমাক্কা এক বাড়ি । আঘাতটা এতটাই জোড়াল ছিল যে আঘাতের চোটে তোতার মাথার সমস্ত পর ঝড়ে গেল ।



এরপর থেকে আগের সেই কথার খৈ ফুটে না তোতার মুখে । চটকদার কথা বলে আর মানুষকে আমোদ দিতো না সে । একদম চুপচাপ হয়ে গেল সে । খাবার দাবারও খেত না নিয়মিত । আবার তোতার এমন নিস্পৃহ আচরণ দেখে মানুষের আগমনও কমে গেল দোকানে । দোকানীর তো দুঃখে প্রাণ যায় যায় অবস্থা । নিজের দোষে নিজেই নির্বাক করে দিয়েছে প্রিয় পাখিটিকে । এখন কী উপায় ? কীভাবে আবার আগের মত প্রাণচঞ্চল করে তোলা যায় এই পাখিকে ।


একদিন দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন একজন সুফী যার মাথা পুরো কামানো ছিল । পাখিটি সেই ন্যাড়া সুফীকে দেখে এতদিন পর মুখ খুলল । গলায় দুঃখের সুর নিয়ে বলল, “ আহারে ভাই , তোমার আবার কোন অনাকাঙ্খিত অর্কমের জন্য এমন ন্যাড়া হতে হলো ? তোমাকেও কী দামী তেলের জন্য পিটিয়ে ন্যাড়া করে দিয়েছে ভাই আমার !”


এখানেই গল্পটা শেষ হয়ে যায় আর রুমী এই গল্পের শেষে বলেছেন আমরা নিজের সাথে যা ঘটেছে তাই দিয়ে অন্যকে বিচার করতে যাই । কী পাঠক তাই কী ??



ঘটনা ২:


এবারের ঘটনাটা কিঞ্চিৎ ১৮+ । তাই সাবধানে পড়বেন !


জনৈকা স্ত্রী তার স্বামীকে স্বামীর অধিনস্ত দামীর সাথে প্রেম করতে কোনভাবেই সুযোগ দেয় না । সবসময় চোখে চোখে রাখেন এমনকি দুজনকে কখনওই একা ছেড়ে দেন না দুদণ্ড সময়ের জন্য । নিজের সাথে সাথেই রাখেন তিনি দাসীকে । তো এভাবে কয়েক বছর কেটে যায় । একদিন তিনি শহরের হাম্মামখানায় গোসলের সময় খেয়াল করলেন একটা পাত্র আনতে তিনি ভুলে গেছেন । তাই দাসীকে বললেন, “ যাও তো নিয়ে এসো তো পাত্র খানা ।”


দাসী তো এই কথা শুনে দিল ভোঁ দৌড় । যাক এতদিনে অভিসারে যাবার একটা সুযোগ পেল সে । তাই প্রায় যেন উড়ে এসে পৌঁছালো ঘরে , আর পৌঁছেই শুরু হলো প্রেম-মিলন । দুজনে এতটাই মগ্ন হলো যে দরজায় ছিটকিনি দিতে গেল ভুলে ।


ওদিকে স্ত্রীর হঠাৎ মনে পড়লো সর্বনেশে কাণ্ড নিজ হাতেই তিনি ঘটতে দিলেন । নিজে যেঁচেই কাঠে আগুন ধরিয়ে দিলেন । তাই ভেজা চুল না মুছেই ছুট লাগালেন বাড়ির দিকে । পড়ি কী মরি করে বাড়ি এসে লাথি মেরে খুললেন দরজা । আকস্মিক পায়ের দ্রুত আওয়াজ পেয়ে দুজনে আগেই প্রেম আলিঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল । স্ত্রী এসে দেখল দাসীটি পান পাত্র থেকে পানি ঢালছে । আর তার স্বামী জায়নামাজে গেলেন দাঁড়িয়ে ।


স্ত্রী খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলেন দুজনকে । দাসীর উরু বেয়ে যোনীরস পড়তে দেখলেন তিনি । পোশাক আলুথালু হয়ে আছে, চুলের বিন্যাস দেখে বোঝাই যাচ্ছে এই চুলে পুরুষের হাত পড়েছে । ওদিকে স্বামীর জোব্বার অবস্থা এমন যে তার জননাঙ্গের কিঞ্চিৎ দৃশ্যমান । স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে দাসীর যোনীরসে সিক্ত হয়ে আছে তার জননাঙ্গ ।



এইসব দেখে স্ত্রী প্রথমেই নামাজরত স্বামী ঘাড় বরাবর এক শাহী চড় । দিয়ে বললেন , “ ব্যাটা মোনাফেক , এইভাবে কেউ নামাজ পড়ে ? এইরকম নাপাক শরীরে নিয়ে কেউ নামাজে দাঁড়ায় ? নাকি অভিসারে গিয়ে সেটাও ভুলে গেছিস ।”


বরাবরের মত গল্প এখানেই শেষ হয়ে যায় আর রুমি শেষে এসে লিখেন , “ আসলে সরাসরি বাসনা মেটাতে না পারলে মানুষ মোনাফেক হয়ে যায় । তখন সে গোপনে বাসনা মেটায় !”



ঘটনা ৩:


আরবের বাজারে ,
এক লোক , বেশভূষায় বোঝাই যায় যে সে একজন দরবেশ । ভরদুপুরে হাতে একটি প্রদীপ নিয়ে বাজারের ভিতর ইতস্তত কী যেন খুঁজছিলেন । একে তো মরুর গনগনে গরম আর অন্যদিকে ভর দুপুর । এইসময় এই ধরনের সংয়ের কীর্তি দেখতে কার ভালো লাগে ? তাই এক দোকানী তাকে ডেকে বলল , “ কী রে ভাই , এ কোন ধরনের মশকরা ? এই ভরদুপুরে অমন প্রদীপ হাতে কী খুঁজছো বল দেখি!”


দরবেশ বললেন , “ এমন কিছু যার ভেতরে ঐশ্বরিক “হু” নিশ্বাস আছে !”

দোকানী তার ব্যবসায়ি মনোভাব নিয়ে বললেন, “ অ, তো এখানে অনেক কিছু আছে তার মধ্য থেকে তোমার পছন্দের জিনিস বেছে নাও !”

দরবেশ হেসে বলল, “ না না এসব নয় । আমি এমন মানুষ খুঁজছি যার ভেতর রাগ আর কামনা আছে একই সাথে সে সত্য মনুষ্যত্বের ধ্বজাধারী !”


গল্পটা এখানেই শেষ । রুমি এখানে কী বুঝিয়েছে আমি আর বলছি না ।


এখানে কী বুঝিয়েছে তা আমি ব্লগারদের ওপর ছেড়ে দিলাম । আপনারাই ভেবে বলুন তো কী বলা হলো !!



রচনাকারী: নিবর্হণ নির্ঘোষ

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



মসনবী শরীফের অংশ না?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ !

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: পড়ব কালকে আজকে লাইক দিয়ে গেলাম। আপনার লেখা ভাল হবে সেটা জানা কথাই :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন , আর হ্যাঁ এসে পড়বেন !!

আর কী যে বলেন !! আমি আসলেই লজ্জা পাচ্ছি । আমি আর ভালো লিখা এক সাথে যায় ??

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময় নিয়ে পরে আবার আসবো।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ !

নিজের যত্ন নিন !!

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: তিনটা গল্পই চমৎকার।
রুমি আসলে একজন নাস্তিক। সে ধর্ম নিয়ে দারুন সব রসিকতা করে গেছেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই ।

রুমি নাস্তিক নন । তিনি পুরোদমে আস্তিক ছিলেন । আপনি তার লিখা পড়েননি বলে এইসব বলছেন পড়লে বলতেন না । আর ধর্ম নিয়ে তিনি রসিকতা করেননি তিনি বরং ধর্মের প্রতি মানুষের ভুল চিন্তাকে দেখিয়েছেন । আপনার মন্তব্যের উত্তর হলো প্রথম গল্পটা । আপনিও সেই তোতার মত নিজের পীরকে নিয়ে সবাইকে গন্য করেন । ভালো থাকবেন ভাইজান !!!

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম দুটি বেশি ভালো লেগেছে।++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ বড় ভাই ।

কিন্তু শেষেরটাতে কী বলা হয়েছে সেটা কী ধরতে পেরেছেন ??

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:



কিঞ্চিৎ ১৮+

এটা কিঞ্চিৎ?


১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তিনমিনিটে তুমি এত পড়ে ফেললে ??

বিস্তারিত অনেক কিছুই লিখিনি । এটা এইটুকুই , যা ছিল লিখা লজ্জায় পড়তেই পারি নাই । অনেক কষ্টে এইটুকু লিখলাম !!

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



এটা মোটেও কিঞ্চিৎ না।
অনেক 'র'।
থ্যাংকস গড আর বিস্তারিত লিখে নাই!






১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কিন্তু বেশ ভাবোদ্দীপক ।

আমি প্রথম পড়ে ভেবেছিলাম এটা কী সত্যিই রুমি লিখেছে ? তবে এইসব এড়িয়ে যখন এগোলাম তখন এর মানে বুঝতে পারলাম কী বোঝাতে রুমি এতদূর এলো । সে যাক আপা !! অন্যদুটি গল্প কেমন লাগলো ? শেষ গল্পের মানে বুঝেছো ??

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি এমন মানুষ খুঁজছি যার ভেতর রাগ আর কামনা আছে একই সাথে সে সত্য মনুষ্যত্বের ধ্বজাধারী !”

Three in one, which is rare to find.

মানুষ মাত্রই রাগ এবং কামনা থাকবে কিন্তু সত্যিকারের মানবতা সবার মাঝে থাকে না।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হলো না ।

আসলে এখানে সকল মানুষকেই বুঝিয়েছে । আসলে এখানে মানুষকেই সম্মান দেয়া আছে । আমরা সবাই কিন্তু সত্যকে ধারণ করেই আছি !! এই যে আমরা অস্তিত্ববান এটা কী সত্য নয় ??

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:

সব মানুষই যদি হবে, তাহলে এই খোঁজা কেনো?



১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এটা একটা রূপক কাজ ।

সুফীদের এই ধরনের কাজ বেশি হয়ে থাকে । এজন্য ওদের রহস্যবাদীও বলে থাকে অনেকে । এই খোঁজের কারণ হলো ঐ দোকানির বোধদ্বয় ঘটানো । তোমার ও আমার বোধোদয়ের জন্য এই রূপকতা । যাতে আমাদের মধ্যে নিজেকে বুঝবার বাসনা জন্মায় !!

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:

নির্ব নিজেকে কতটুকু বুঝতে পারে?



১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একবার বলেছিলাম যে আমি নিজেই নিজের কাছে ধাঁধাঁর থেকেও জটিল !

আমি এখনও তাই বলবো । যে মানুষটাকে ঘৃণা করছি তার প্রতি মায়া জন্মে যায় , আচমকা আবিষ্কার করি আমি কতটা নিষ্প্রভ আবার দেখি আমি নিজেই কতটা প্রাণবন্ত ।

নিজেকে পুরোপুরি জেনে গেলে হয়তো বেঁচে থাকবার আর ইচ্ছে থাকবে না । আমি আসলে বুঝতে পারি অনেকটাই তবে নিজেকে প্রশ্ন করলে ঘোলাটে উত্তর পাই সবসময় ।

তুমি বুঝতে পারো নিজেকে ? আমার মনে হয় তোমারও আমার মত অবস্থা !!

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১

শায়মা বলেছেন: দরবেশ আরেক দরবেশনী খুঁজছে! :)









:P

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সুফীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা কম । ইতিহাসে দুজনের নাম পাওয়া যায় কেবল , এক/ রাবেয়া বসরি ও দুই/ ইয়াসমিন । দ্বিতীয়জন আবার ইবনুল আরাবির স্ত্রী !!


তাই তোমার কথা ঠিক হলো না আপা !! তুমি ফেল !!

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রুমির গল্প জীবনকে আধ্যাত্মিকতার আবরণে বস্তুনিষ্ঠভাবে ভাবতে শেখায়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বাহ্ দারুণ বললেন তো !!

হ্যাঁ রুমি এমনটা শিখিয়েছে । আরও মজার ব্যাপার হলো সাঁত্রে যা বলেছে তা ইবনুল আরাবি অনেক আগেই তুলে ধরেছিলেন । আসলে সুফীদের সাহিত্য আর তাদের নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তির মাঝে বিস্তর ফারাক আছে ভাই !!

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আমার মনে হয় রুমি মানুষের ভেতরে থাকা কামনা রাগ অভিমান মানবিকতা সব একজনের মধ্যে দেখতে চেয়েছেন। যা সাধারণত খুব একটা দেখা যায় না।

কারণ মানুষ কোথাও না কোথাও একটু হলেও খুতধারী। কেউ পারফেক্ট নয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এর আগে আমি একজনের মন্তব্যে বলেছি একটা ব্যাখ্যা ।

আবার আরেকটি আছে । আসলে মানবিক মানুষও খুঁতের বাইরে নয় । আপনি যে লাস্ট কথা বলেছেন রুমি সেটাও বলতে পারে । তবে আমার কাছে প্রথম যা বলেছিলাম আয়নাবিবির মন্তব্যে , তাই যথার্থ বলে মনে হয় ।

ধন্যবাদ পড়বার ও মন্তব্য করবার জন্য এটাই মনে হয় আপনার প্রথম মন্তব্য আমার পোস্টে । ভালো থাকবেন সব সময়

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মওলানা রুমি যে একজন ভ্যাজাল যুক্ত সুফি সেটা আপনার ১৮ প্লাস গল্প থেকেই বোঝা যায়। কোন প্রকৃত বুজুর্গ ব্যক্তি এই ধরণের অশ্লীল কোন উদাহরণ দেবেন না।

অন্য দুইটা গল্প নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই। তবে এই প্রাপ্ত বয়স্ক গল্পের সারাংশ হোল বজ্র আঁটুনি ফসকা গেঁড়ো। ঐ ব্যক্তির স্ত্রী এতো বেশী শাসন তার জামাইয়ের উপরে করে যে বেচারা ভয়ে রাতের বেলা বউয়ের কাছে যায় না যদি বিছানাতেই দু ঘা লাগিয়ে দেয় তাহলে কি দশা হবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভ্যাজালযুক্ত সুফি এটা মানতে পারলাম না । কারণ আরবি সাহিত্যে এমন অনেক বর্ণনাই আছে । কোলেমন বার্কসের অনুবাদ থেকে এটা নিয়েছি । ব্যাপারটা হলো তখন তো দাসীচর্চা ছিল এটা তো সত্য । এখন সত্যিই কোন প্রেম হলো কিনা এটা কী করে বুঝবে একজন মানুষ ? সেটা তুলে আনাটা অহেতুক নয় । তাছাড়া পুরো গল্পটা তুলে আনতে পারিনি এটা আমার ব্যর্থতা । কোলেমন বার্কসের ওখানে যতটুকু পেয়েছি ততটাই এখানে তুলে ধরলাম । এটা আমার সীমাবদ্ধতা বটে কারণ আমি পুরো মসনবী পড়িনি পড়লে অনেকটাই জানা যেত ।


এখন এই নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক কথা চলে আসবে । কারণ আমাদের অনেক আলেম এমন সব কথা বলেছেন যা একজন আলেমের মুখে শোভাই পায় না সেগুলোর জন্য কিন্তু সেইসব আলেমদের আমরা দোষারোপ করতে পারি না কারণ একাডেমিক আলোচনাতে অনেক কিছূই উঠে আসে আর তার জন্য সেরকম মানসিকতাও থাকতে হয় । রুমির মূল বক্তব্য কিন্তু দাসীকে ঘিরে নয় মূল বক্তব্য হলো মানুষের অভিলাষকে ঘিরে । এখন কাম যখন এক বড় অভিলাষ তার ক্ষেত্রে রাখঢাক বর্ণনা শ্রেয় বটে তবে অন্তত বোঝার জন্য যথেষ্ট নয় !!


এবার আসি শাসনের ব্যাপারটা কেন মনে হলো ? স্ত্রীর শাসন তো কেবল দাসীর ক্ষেত্রে । বউয়ের কাছে ভয়ে যায় না এটাও বলা যায় না সাচু ভাই । কারণ যে মহিলা স্বামীকে মারতে পারে সে যে প্রয়োজনের সময় তাকে কাছে না পেলে চামড়া তুলে ফেলবে এটা আর বলার বাকী থাকে না হাহাহাহাহাহা । বুঝলেন । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বড় ভাই !!

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ার ভেতর “হু” আছে।

আল্লাহু জিকিরের কথা। অর্থাৎ রাগ আছে কামনা আছে এবং স্রষ্টার প্রতিও তার মনোযোগ আছে।
---- এমনটাই নাকি? বইল্যা দেন!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বাহ্ যাক অন্তত আপনি হু শব্দটার তাৎপর্য বুঝলেন । মূলত সুফি ধারণার ব্যাখ্যাকারীরা এই ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকে আপনি যা বললেন । মানুষের যেমন সীমাবদ্ধতা আছে তেমনি মানুষের আছে আবার এই সীমার ভেতরে অসীমকে ধারণ করবার ক্ষমতা । আর তাই মানুষ নেতিবাচক দিক নিয়েও সম্মানিত । রুমি মূলত ঐটাই বুঝিয়েছে, মানুষ সম্মানিত । এটাই আমার ব্যাখ্যা ।

আপনার মন্তব্যটা দারুণ হয়েছে অগ্রজ । অনেক অনেক ধন্যবাদ এই মন্তব্যের জন্য !!

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: :| :|

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কী হলো সোনালি ভাই ? :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.