নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কোরানের আলোকে বিজ্ঞান। (পর্ব:৩) পিঁপড়ার অত্যাশ্চর্য জীবন পদ্ধতি ও পবিত্র কোরানের ব্যাখ্যা।

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২৯

আল্লাহ কুরআন
করীমে বলেনঃ
ﻭَﺣُﺸِﺮَ ﻟِﺴُﻠَﻴْﻤَﺎﻥَ ﺟُﻨُﻮﺩُﻩُ ﻣِﻦَ
ﺍﻟْﺠِﻦِّ ﻭَﺍﻹﻧْﺲِ ﻭَﺍﻟﻄَّﻴْﺮِ ﻓَﻬُﻢْ
ﻳُﻮﺯَﻋُﻮﻥَ
ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺗَﻮْﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻭَﺍﺩِ ﺍﻟﻨَّﻤْﻞِ
ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻧَﻤْﻠَﺔٌ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﻤْﻞُ
ﺍﺩْﺧُﻠُﻮﺍ ﻣَﺴَﺎﻛِﻨَﻜُﻢْ ﻻ ﻳَﺤْﻄِﻤَﻨَّﻜُﻢْ
ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥُ ﻭَﺟُﻨُﻮﺩُﻩُ ﻭَﻫُﻢْ ﻻ
ﻳَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ
“সোলায়মানের সামনে
তার সেনাবাহিনীকে
জড় করা হল।
জ্বিন,মানুষ ও
পাখীকূলকে, অতঃপর
তাদেরকে বিভিন্ন
ব্যুহে বিভক্ত করা
হল।যখন তারা
পিপীলিকা অধ্যুষিত
উপত্যকায়
পৌছল,তখন এক
পিপীলিকা বলল,হে
পিপীলিকার দল,
তোমরা তোমাদের ঘরে
প্রবেশ কর।
অন্যথায়,সোলায়মান
ও তাঁর বাহিনী
অজ্ঞাতসারে
তোমাদেরকে পিষ্ট
করে ফেলবে।” সূরা
আন নামল-১৭-১৮
পূর্বে কেউ হয়তো
কুরআনের প্রতি এই
বলে বিদ্রুপ করে
থাকতে পারে
যে,কোরআন পৌরানিক
কাহিনীর গল্প-বই,
যাতে পিঁপড়ার
নিজেদের মধ্যের
কথোপোকতন এবং
উন্নত বার্তা
বিনিময়ের বিষয়
বর্ননা আছে। অতি-
সম্প্রতি,গবেষণার
মাধ্যমে পিঁপড়ার
জীবনপদ্ধতি
সম্পর্কে এমন সব
প্রকৃত ও
বাস্তবসম্মত তথ্য
উদঘাটিত হয়েছে, যা
আগে মানুষ অবগত
ছিল না। গবেষণায়
বলা হয়েছে,
মানুষের জীবন সাথে
যে সকল প্রাণী ও
কীট-পতঙ্গের
অধিকতর সাদৃশ্য
আছে, সেটা হল,
পিঁপড়া। Bert Holldobler
and Edward O. Wilson, The
Ants (Cambridge: Harvard
University Press: 1990)
,227. নিম্নের
তথ্যগুলোর আলোকে
পিঁপড়া সম্পর্কে
উপরোক্ত সত্যতা
যাচাই করা যায়ঃ
১।পিঁপড়া মানুষের মত
মৃতদেহ দাফন করে।
২।তাদের মধ্যে
উন্নতমানের শ্রম
বিভক্তি আছে।
তাদের মধ্যে
রয়েছে,পরিচালক
‘তত্বাবধায়ক ও
শ্রমিক’ ইত্যাদি।
৩।তারা গল্পের জন্য
কোন কোন সময় এক
সাথে বসে।
৪।নিজেদের মধ্যে
যোগাযোগের জন্য
তাদের রয়েছে
অগ্রিম যোগাযোগ
পদ্ধতি।
৫।দ্রব্য বিনিময়ের
জন্য তাদের বাজার
বসে।
৬।তারা শীতকাল
দীর্ঘ সময়ের জন্য
খাদ্য দ্রব্য গুদামজাত
করে।খাদ্য শস্যের
মুকুল বের হলে,এবং
মুকুলিত অবস্থায়
রেখে দিলে যদি
শষ্যটি পঁচে যাওয়ার
সম্ভাবনা
থাকে,তখনই তারা
মুকুলটির গোড়া কেটে
দেয়।তাদের
গুদামজাতকৃত
শস্যদানা যদি বৃষ্টির
কারণে ভিজে
যায়,তখন তারা
এটাকে রোদে নিয়ে
শুকায় এবং শুকানোর
পর পুনরায় ভেতরে
নিয়ে আসে।মনে হয়
তারা এটা জানে
যে,আর্দ্যতার কারণে
শষ্যদানায় মুকুল বের
হতে পারে।ফলে শষ্য
দানাটি পঁচে যেতে
পারে।কুরআনের আয়াতগুলো
ভাষাতত্ত্ববিদদের
জন্য তথ্যের খনি।
আল্লাহ খুব সাধারণ
দেখতে কিছু আয়াতে,
সাধারণ কিছু গল্প বা
কথোপকথনের মধ্য
দিয়েই অসাধারণ সব
তথ্য প্রকাশ করেন।
যেমন, নিচের
আয়াতটি দেখুন
যেখানে আল্লাহ
আমাদেরকে একটি
স্ত্রী পিঁপড়ার একটি
মাত্র কথার মধ্য
দিয়ে পিঁপড়াদের
সম্পর্কে কত ধরণের
তত্থ্য দিয়েছেনঃ
আর যখন তারা
পিঁপড়াদের উপত্যকায়
পৌছিয়েছিল, একটি
পিঁপড়া(স্ত্রী)
বলেছিল, “হে
পিঁপড়ারা, তোমাদের
ঘরগুলোতে প্রবেশ
কর, যাতে করে
সুলায়মান এবং তার
বাহিনী তোমাদেরকে
না বুঝে পিষে না
ফেলে”। (২৭:১৮)
আপনার কাছে মনে
হবে, এতো ছোটদের
কোন গল্পের বইয়ের
লাইন মনে হচ্ছে।
পিঁপড়া আবার কথা
বলে নাকি? এখানে
পিঁপড়াদের সম্পর্কে
আল্লাহ নতুন কিই
বা জানালেন
আমাদেরকে যেটা
আমরা জানি না?
লক্ষ্য করুন, এই
আয়াতে আল্লাহ
আমাদেরকে
পিঁপড়াদের সম্পর্কে
কতগুলো তথ্য
দিয়েছেনঃ
“একটি পিঁপড়া(স্ত্রী)
বলেছিল” – পিঁপড়া
এখানে স্ত্রী লিঙ্গ,
পুরুষ লিঙ্গ নয়।
বাসার বাইরে স্ত্রী
পিঁপড়া থাকে, পুরুষ
পিঁপড়া নয়। আমরা
এখন জানি স্ত্রী
পিঁপড়ারা কর্মী
পিঁপড়া, পুরুষরা শুধুই
প্রজনন কাজের জন্য
বেঁচে থাকে। National
Geographic 165, no. 6, 777.
“হে পিঁপড়ারা” –
বহুবচন যার অর্থ
একটি স্ত্রী পিঁপড়া
এক সাথে অন্য
একাধিক
পিঁপড়াদেরকে নির্দেশ
দিতে পারে। পিঁপড়া
ফেরোমোন নামক
একটি রাসায়নিক পদার্থের
প্রতি সংবেদনশীল
এবং এর দ্বারা তারা
একে অন্যের সাথে
যোগাযোগ করে।
এছাড়াও কিছু
প্রজাতির পিঁপড়ারা
নিয়ার-ফিল্ড শব্দ
তৈরি করে
আশেপাশের
পিঁপড়াদের সাথে
যোগাযোগ করে। এভাবে
একটি পিঁপড়া একই
সাথে একাধিক
পিঁপড়াকে সংকেত
দিতে পারে। এই
আয়াতে আল্লাহ
“বলেছিল” ব্যবহার
করেছেন, একই শব্দ
মানুষের কথা বলার
বেলায়ও ব্যবহার করা
হয়। যার অর্থ মানুষ
যেমন শব্দ দিয়ে কথা
বলে, সে রকম
পিঁপড়াও শব্দ ব্যবহার
করে যোগাযোগ করে,
যা বিজ্ঞানীরা
মাত্র কয়েক বছর
আগে আবিস্কার
করেছেন। কয়েক
বছর আগেও
বিজ্ঞানীরা মনে
করতেন পিঁপড়া কোন
শব্দ করতে পারেন না
এবং তাদের শব্দ
শোনার ক্ষমতা নেই।
“তোমাদের ঘরগুলোতে
প্রবেশ কর” –
পিঁপড়াদের একাধিক
ঘর রয়েছে। একটি
পিঁপড়ার বাসা
অনেকগুলো সংযুক্ত
ঘর এবং নির্দিষ্ট
পিঁপড়া নির্দিষ্ট ঘরে
থাকে। স্ত্রী পিঁপড়া
জানে পিঁপড়ারা যদি
বাসায় ঢুকে পড়ে,
তাহলে তাদের কোন
ক্ষতি হবে না।
পিঁপড়ার বাসা
আর্কিটেক্টের জন্য
এক বিস্ময় এবং
সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং-এর
অসাধারণ নিদর্শন।
“যাতে করে
সুলায়মান” – স্ত্রী
পিঁপড়াটি নবী
সুলায়মানকে চিনতে
পেরেছিল। যার অর্থ
স্ত্রী পিঁপড়া অনেক
মানুষের মধ্যে কোন
একজনকে চিনতে
পারে। মানুষের গা
থেকেও ফেরোমোন বের
হয়। ধারণা করা হয়
স্ত্রী পিঁপড়া হয়ত
নবী সুলায়মানের গা
থেকে বের হওয়া
ফেরোমোন সিগনেচার
দিয়ে তাকে চিনতে
পেরেছিল, যেভাবে
কুকুর প্রতিটি
মানুষকে চিনতে পারে।
এছাড়াও এখানে
লক্ষণীয় যে স্ত্রী
পিঁপড়া আগাম বিপদ
অনুধাবন করে
সংকেত দিতে পারে।
অর্থাৎ তাদের এতটুকু
বুদ্ধিমত্তা আছে যে
তারা বিপদ আগে
থেকেই আঁচ করতে
পারে।
“এবং তার বাহিনী” –
পিঁপড়া বুঝতে
পেরেছিল যে একটি
বাহিনী আসছে।
পিঁপড়ারা তাদের পা
দিয়ে মাটিতে কম্পন
অনুভব করতে পারে।
একারণে তারা দূরে
থেকেই বুঝতে পারে
কেউ তাদের দিকে
আসছে কিনা। একটি
বাহিনী মাটিতে
ব্যাপক কম্পন তৈরি
করবে।
“তোমাদেরকে না বুঝে
পিষে না ফেলে” –
স্ত্রী পিঁপড়া আগে
থেকেই বুঝতে
পেরেছিল যে নবী
সুলায়মান এবং তার
বাহিনী না বুঝে
পিঁপড়াদেরকে পিষে
ফেলবে। সুতরাং
স্ত্রী পিঁপড়া তার
আশেপাশের অবস্থা
পর্যালোচনা করে
বিপদের প্রকৃতি
সম্পর্কে আগে
থেকেই বুঝতে পারে।
বিজ্ঞানীদের জন্য
এই আয়াতে আল্লাহ
অনেকগুলো ইংগিত
দিয়ে রেখেছেন।
প্রথমত, বাসার
বাইরে যে পিঁপড়ারা
থাকে
তারা সবাই স্ত্রী
পিঁপড়া। পুরুষ পিঁপড়া
সবসময় বাসার
ভিতরে থাকে। সমস্ত
কর্মী পিঁপড়া স্ত্রী।
(Al-Quran & Modern
science by Dr.Zakir Naik)
দ্বিতীয়ত, কিভাবে
একটি পিঁপড়া হাজার
হাজার পিঁপড়ার সাথে
যোগাযোগ করে
রাসায়নিক পদার্থ
এবং গন্ধ দিয়ে, যা
একটি অত্যন্ত সফল
মাধ্যম নির্ভরযোগ্য
ভাবে তথ্য সম্প্রচার
করার জন্য।
তৃতীয়ত, কিভাবে
হাজার হাজার পিঁপড়া
সংকেত পেয়ে
মুহূর্তের মধ্যে বাসায়
ঢুকে পড়ে খুবই অল্প
সংঘর্ষ করে, যা কিনা
বিজ্ঞানিদেরকে
যানবাহনের ট্রাফিক
ব্যবস্থা উন্নততর
করার জন্য আইডিয়া
দিয়েছে।
চতুর্থত, এককভাবে
প্রতিটি পিঁপড়ার
বুদ্ধি অল্প, কিন্তু
হাজার হাজার পিঁপড়া
সম্মিলিত ভাবে
উচ্চতর বুদ্ধিমত্তার
পরিচয় দেয় যাকে
“সোয়ার্ম
ইন্টেলিজেন্স” বলে।
পঞ্চমত, পিঁপড়ার
কোন সামাজিক
শ্রেণী বিন্যাস নেই।
তাদের কোন দলনেতা
নেই। কিভাবে হাজার
হাজার পিঁপড়া কোন
দলনেতা, রাজা বা
রাণী পিঁপড়ার
নিয়ন্ত্রন ছাড়া
প্রত্যেকে নিজের
নিজের কাজ
সুশৃঙ্খলভাবে করে
যায়, তা এখনও একটি
বিরাট বিস্ময় এবং
এনিয়ে গত বিশ বছর
ধরে গবেষণা চলছে।
মানুষ যদি এরকম
উন্নততর যান্ত্রিক
ব্যবস্থা তৈরি করতে
পারে যার কোন
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ
ব্যবস্থার প্রয়োজন
নেই এবং একটি
বিশাল যন্ত্রের
প্রতিটি অংশ নিজে
থেকেই সবসময়
সঠিক কাজ করে
যাবে, তাহলে
ইঞ্জিনিয়ারিং
অনেক সমস্যার
সমাধান করা যাবে।
সম্ভবত এই কারনেই
আল্লাহ বলেছেনঃ
ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺣْﺴَﻦَ ﻛُﻞَّ ﺷَﻲْﺀٍ ﺧَﻠَﻘَﻪُ
ﻭَﺑَﺪَﺃَ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻹﻧْﺴَﺎﻥِ ﻣِﻦْ ﻃِﻴﻦٍ
032.007 He Who has made
everything which He has
created most good: He
began the creation of man
with (nothing more than)
clay,
যিনি তাঁর
প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে
সুন্দর [নিখুঁত]
করেছেন … (৩২:৭)
যখনই কুরআনের
কোন আয়াতে কোন
কথোপকথন আসে,
তখনই দেখবেন
আল্লাহ আমাদেরকে
কথোপকথনের শব্দ,
বাক্যগুলোর মধ্যে
দিয়ে কমপক্ষে এই
তথ্যগুলো দেনঃ
বক্তার সংখ্যা,
প্রকৃতি, জ্ঞান,
মানসিকতা।
শ্রোতার সংখ্যা,
প্রকৃতি, জ্ঞান,
মানসিকতা।
বক্তা এবং শ্রোতার
মধ্যে সম্পর্ক।
কথোপকথনের আগে
কি ঘটে গেছে এবং
অনেক সময় তার পরে
কি ঘটবে।
আশেপাশের অবস্থা,
প্রেক্ষাপট। আশে
পাশে যারা আছে
তাদের ভুমিকা।
এখন কুরআন নিয়ে
বসুন। কিছু আয়াত
পড়ে দেখুন যেখানে
আল্লাহ কিছু
কথোপকথন বলেছেন।
আয়াতগুলো সম্পর্কে
আপনার ধারণা পুরো
পাল্টে যাবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

রাঘব বোয়াল বলেছেন: পোস্টে +

২| ২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

েরজাউল বারী বলেছেন: ভাই ঠিক আছে কিন্তু লেখাগুলো সত্য কথা । কলাম লম্বা করে লিখে আপনি কি সুবিধা দিলেন আমাদের?

৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: অসাধারণ এরকম গবেষনাধর্মী আরো লেখা আসা করছি।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধন্যবাদ, ইনশাআল্লাহ এরকম পোষ্ট আরো করবো।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: কলাম লম্বা বলতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন? জনাব, @রেজাউল বারী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.