নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঝুম আখতার

সময় এর মুল্যায়ন করা সবার জন্য জরুরী।শুধুমাত্র পশুদের পক্ষেই আত্মতৃপ্ত জীবনযাপন সম্ভব। মানুষের কাজ লড়াই করে বাঁচা.....................।

নিঝুম আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস কি ?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫২

ইতিহাস শব্দটির অম্বয় হলো- ইতি-হ-আস। অর্থাৎ যা কিছু এইরূপই ছিল, তাই-ই ইতিহাস। দূর-অতীত বা অনতি-অতীতের দেশ-কাল-ব্যক্তির অবিকৃত ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রূপই ইতিহাস।ইতিহাস শুধু প্রমাণনির্ভরই নয়, সর্বক্ষেত্রেই নির্মোহ, নির্মম, অপ্রিয় এবং নগ্ন সত্য। ফলে ইতিহাস প্রায়শই আমাদের অসহিষ্ণুতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মনের পরিসর আমাদের এমনিতেই কম এবং সীমিত।বৃটিশ লেখক-গবেষক লেসলি হার্টলির একটি কথা, যা আজকাল ইতিহাসবিদদের আপ্তবাক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে:‘Past is a foreign country. They do things differently there.’



পর্তুগালের একমাত্র নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক হোসে সারামাগো বাইবেলের হাবিল-কাবিলের (এবেল এবং কেন) ঐতিহাসিকতাকে পুনর্নির্মাণের প্রয়াস পেয়েছেন ‘কেন’ নামক উপন্যাসে। ইতিহাসকে নিয়ে তার কাজ প্রসঙ্গে তিনি ‘দ্য প্যারিস রিভিউ’ পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন:‘History must not be presented as a definitive lesson. No one can say, there is so because I say it happened this way. It is necessary to confront official history with a `no’, which obliges us to look for another ‘yes’. This has to do with our lives, with the life of fiction, with the life of ideologies.’ দুঃখের বিষয়, আমরা আমাদের জীবন ও বিশ্বাসের আলোকে ইতিহাসকে স্বচ্ছ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখি না; আমরা ইতিহাসকে দেখি রূপকথার চোখে, কল্পনার পাখনায়, মহাকাব্যের রোমান্টিকতায়, দল-গোষ্ঠী-পক্ষের সেঁটে দেয়া চশমায়।ইতিহাসের বিচার বলে আসলে যে প্রক্রিয়া সেটা তো মানুষের কর্তৃত্বের অতীত; ধরা-ছোঁয়ার বাইরের বিষয়। এজন্য ঐতিহাসিকভাবেই অপেক্ষা করতে হয়। আমরা চাই বা না-চাই, প্রকৃতির নিয়মেই মানব সভ্যতার অংশ হিসেবে ইতিহাসের বিচারের ঐতিহাসিক-অপেক্ষায় থাকি। এবং অতি-অলক্ষ্যে সেই বিচার এসে মানবসমাজে অকস্মাৎ উপস্থিত হয়।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৫৩

শিপন মোল্লা বলেছেন: ভাই আজ কেমন যেন কঠিন লাগলো নাকি আমার মাধায় ধরল না। বিস্তারিত আরেকটু লিখতেন।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫৮

রাইসুল সাগর বলেছেন: বেপক কঠিন ব্যাপার, আমার মত গাধার মাথায় কিছুই ডুকলো না।

তাই কমেন্ট করতে পারলাম না লিখার ব্যাপারে।

শুভকামনা জানিয়ে গেলাম।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নিঝুম আখতার বলেছেন: ভাই শিপন লেখাটা আসলেই একটু গবেষনাধর্মী তাই হয়তো কঠিন লেগেছে। আরো বিস্তারিত আলোচনা করলে কঠিন লাগবে না। সহজ ভাবে বুঝতে পারবে।

ধন্যবাদ উপলদ্বিটুকু শেযার করার জন্য।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

নিঝুম আখতার বলেছেন: সাগর ভাই একটু ভেবে পড়লে অবশ্যই মাথায় ঢুকবে। আরো বিস্তারিত লিখলেই বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২০

নিঝুম আখতার বলেছেন: ইতিহাস মানুষের অতীত ঘটনা ও কার্যাবলীর অধ্যয়ন। বৃহৎ একটি বিষয় হওয়া সত্ত্বেও এটি কখনও মানবিক বিজ্ঞান এবং কখনওবা সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে আলোচিত হয়েছে। অনেকেই ইতিহাসকে মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে দেখেন। কারণ ইতিহাসে এই উভয়বিধ শাস্ত্র থেকেই পদ্ধতিগত সাহায্য ও বিভিন্ন উপাদান নেয়া হয়। একটি শাস্ত্র হিসেবে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেকগুলো উপবিভাগের নাম চলে আসে: দিনপঞ্জি, ইতিহাস-লিখন, কুলজি শাস্ত্র, পালিওগ্রাফি এবং ক্লায়োমেট্রিক্‌স। স্বাভাবিক প্রথা অনুসারে ইতিহাসবেত্তাগণ ইতিহাসের লিখিত উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্ত দেয়ার চেষ্টা করেন, যদিও কেবল লিখিত উপাদান হতে ইতিহাসে সকল তত্ত্ব উদ্ধার করা সম্ভব নয়। ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে যে উৎসগুলো বিবেচনা করা হয়, সেগুলোকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: লিখিত, মৌখিক এবং শারীরিক বা প্রত্যক্ষ করণ। ইতিহাসবেত্তারা সাধারণত তিনটি উৎসই পরখ করে দেখেন। তবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে লিখিত উপাদান সর্বজন স্বীকৃত। এই উৎসটির সাথে লিখন পদ্ধতির ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: তথ্যগুলো কাজে দিবে, ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.