একদিন হয়ত....

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫০

কিছু মানুষ খুব সুন্দর গল্প লিখতে পারেন কারন তার গল্পের নায়ক নায়িকারা তাদের অনুপ্রেরণা দেয়।তাদের আগে যাওয়ার সিঁড়িটা দেখিয়ে দেয়।শুধু আমি পারি না কারন আমার গল্পের নায়ক আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় না কারন সে কখনো আমার গল্প পড়তেই পায় না তারপরো আমি সামনে আগাই এই আশায় যে সে হয়ত একদিন পড়বে আমার লেখা গল্পটা।কিছু মানুষ খুব আবেগ দিয়ে কবিতা লিখতে পারেন কারন তার ভালোবাসার মানুষগুলোই হয় তাদের ছন্দ।কিন্তু আমি কবিতা লেখতে পারি না কারন আমার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে আমি আবেগের ছন্দটি আর খুঁজে পাই না।তারপরেও আমি আমাত মাথায় কবিতার একের পর এক ছন্দ সাজাতে থাকি এই আশায় যে আমার ভালোবাসার মানুষটা একদিন হয়ত আমার জীবনের সব কবিতার ছন্দ হবে।অনেক মানুষ খুব সুন্দর গান গাইতে পারে কারন তাদের গলার সুর আসে ভালোবাসার মানুষ গুলোর কথা ভেবে।আমি পারি না গান গেতে শুধু এই ভেবে যে আমার গান আমার ভালোবাসার মানুষের কাছে কখনো পৌছাবে না তারপরেও আমি চেষ্টা করে যাই গানের সুর তুলতে এই আশায় যে আমার ভালোবাসার মানুষের কাছে এই সুর একদিন না একদিন পৌছাবে।অনেক মানুষ সুন্দর স্বপ্ন দেখতে পারে কারন তার ভালোবাসার মানুষ তাকে স্বপ্ন দেখার প্রেরণা দেয়।আমি পারি না কারন আমার ভালোবাসার মানুষ আমার স্বপ্ন গুলো বালির বাঁধের মত ভেঙ্গে দেয় তারপরেও আমি স্বপ্ন দেখি আর আশায় বুক বাঁধি নিশ্চয় আমার এই স্বপ্নগুলোকে সে একদিন নিজের করে নিবে।কিছু মানুষ অনেক জন্ম জন্ম ধরে বেঁচে থাকতে চায় কারন তাদের বেঁচে থাকার জন্য তাদের পাশে থাকে তাদের ভালোবাসার মানুষ।আমি চাই না কারন আমার ভালোবাসার মানুষ আমাকে বেঁচে থাকার নয় মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয় তারপরেও আমি বেঁচে আছি এই আশায় যে একদিন সে আমার অর্ধমৃত জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে দিবে।


এভাবে সবাই শুধু অন্যের টা দেখে আশায় বুক বাঁধে।সেই একদিনের আশায় থাকে।দিন যায় মাস যায় বছর যায় সেই একদিন আর আসে না।মনের ডায়রীতে লেখা পাতাগুলো মলিন হয়ে ধূলি ধূসরিত হয়ে যায় কিন্তু মুখের সেই না বলা আশা,স্বপ্ন অনুভূতি গুলো অব্যাক্তই থেকে যায়......

(সন্ধ্যার নীলারোণ্য)

২ টি +০/-০