নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীলকান্ত নীল

নীলকান্ত দা

কবিতার ঘ্রাণ আসে, আসে এক বুক গোলাপের নির্যাস

নীলকান্ত দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধ ও বিজ্ঞানের মৌলিক স্মৃতি

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯



উদয়ঃ
এক মহাবিষ্ফোরণ - বিগব্যাঙ। সূর্য হতে অসংখ্য ছিটকে পড়া বিগলিত লাভা খণ্ড যার যার অবস্থানে স্থির হয়ে আছে মাধ্যাকর্ষণ-শুণ্য মহাবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে। সহস্র আলোকবর্ষের পরিক্রমায় অগ্নিকুণ্ডগুলো ঠান্ডা হতে থাকে। তাদেরই এক খণ্ডানুর নাম - পৃথিবী। উত্তপ্ত এই অগ্নিকুণ্ড হতে অনবরত নির্গত হতে থাকা বাস্প মাহাশুণ্যের কোনে সৃষ্টি করছে মেঘ। ঝরে এসেছে মেঘ আবারো পৃথিবীতে, নানান খাদে জমেছে জল। সম্পূর্ণ প্রাণশূন্য এক মরভূমি, চারদিকে কলজে হু হু করা নিরবতায় শুনশান। এভাবে হঠাত একদিন কি এক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটে। জলে পরমাণুজাত হয়ে সৃষ্টি হয় পৃথিবীর এক নতুন আগন্তুক এককোষী সদস্য। আধুনিক বিজ্ঞান সে আদিজীবের নাম দেয় - এমিবা। হাহাহা....! কি অবাক করা কাণ্ড হে! এই প্রথম পৃথিবী নামক গ্রহে জীবন্ত সদস্য এসেছে মহাবিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে অবাক করে দিয়ে। সে ক্ষুদে ক্ষুদে নড়েচড়ে। এই আণুবীক্ষণিক আদিজীবই পৃথিবী সর্বপ্রথম জীব। হ্যা, সে এসেছিলো বলেই আজকে আমরা এসেছি। নাহয় এই মহাজগতই প্রাণহীন থেকে যেতো। ক্রমে সে অণুজীব বৃদ্ধি পায়, অবয়ব পরিবর্তন হয়। লক্ষ বছরের আবর্তনে হয় বিবর্তন। জলজ হতে বিবর্তন হয় স্থলে। কী অদ্ভুত তার লীলা। সে এককোষী হতে আসে প্রাগৈতিহাসিক ডায়নোসর যুগের বিকটকায় জীব। আধুনিক যুগে যার ফসিল উদ্ধার হচ্ছে। এমন যে আরো কতো জীব ছিলো জানা নেই। সেসব প্রাণীগুলোর বিবর্তন হতে হতে আজকের এই আধুনিক মানুষ। মানুষ তো আর শুণ্য হতে আসে নি। সেই কোটি বছর পূর্বের আদিজীব এমিবা, সে ই তো আমাদের আজকের জীবসত্ত্বার দাতা। এবং সেই লক্ষ-কোটি বছর পূর্বের ন্যায়, আগামী লক্ষ-কোটি বছর পর এই পৃথিবী নামক গ্রহটি যদি থাকে, এই দেহাবয়ব বিশিষ্ট মানবের বিবর্তিত রূপ কী যে হতে পারে তা ভাবতেই আশ্চর্য হচ্ছি। জীবের কিভাবে যে কত বিবর্তনে পরিবর্তন হয় তা বিজ্ঞান না থাকলে হয়তো জানতামই না আমরা।

বিলয়ঃ
আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত প্রকৃতির একটি সত্য হল "পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে যে পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত ছিল তার কাছে, এখনও তা একই পরিমাণেই স্থিত আছে, শুধু তার রূপ পরিবর্তীত হচ্ছে"। পদার্থবিজ্ঞান যাকে "নিত্যতার সুত্র" বলে। অর্থাৎ, প্রতি নিয়তই সকল সৃষ্টির পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে, যার মান প্রাকৃতিকভাবেই অপরিবর্তনীয় রয়েছে। অতএব সৃষ্টিলগ্ন থেকে আজ অবধি এই শক্তির শুধু রূপ পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু শক্তির মান ০ (শুণ্য)ই থেকে গেছে। শুণ্য থেকে কমছে না বা মাইনাস হচ্ছে না, একইভাবে তা বড়ছে না বা প্লাসও হচ্ছে না। শক্তির মান ধ্রুব ০ (শুণ্য)ই স্থিত। যাকে মধ্যমস্থিতি বা মধ্যম অবস্থান বললে কিঞ্চিত অর্থের পার্থক্য ঘটে না। মহাবিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এই "স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটি বা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটি বা মধ্যম নিত্যতা"কে ২৫০০ বছর পূর্বের আদিজ্ঞানী বুদ্ধ "মধ্যম পন্থা" বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু তখন কোনও বিজ্ঞানী ছিল না আজকের মত, ছিল না কোনও গবেষণাগার। বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো এই ভবঘুরে কিন্তু ঠিকই এ মহাসত্যকে আবিষ্কার ও অনুভব করেছেন। এবং তিনি বুঝতে পেরেছেন যে এই মধ্যম মহাসত্যকে মানুষ অনুভব ও ব্যবহারিক জীবনে চর্চা করলে তাদের মাঝে শান্তি ফিরে আসে, মানুষ আর চরমপন্থায় উদ্যত থাকে না, প্রকৃতির সন্তানকে প্রকৃতির সাথে এভাবেই পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বুদ্ধ। মহাপ্রকৃতির এ পরিবর্তন ধর্মকে তিনি "প্রতিত্য-সমুৎপাদ বা ক্ষনিকবাদ" তত্ত্বে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন। এই ক্ষণ-পরিবর্তনশীল জগতের কোনোকিছুই আগের মত থাকে না। বুদ্ধ ও বিজ্ঞানের ভাষায় এই "ধ্বংস-সৃষ্টি বা উদয়-বিলয়" চলমান মহাপ্রকৃতির মহাসত্য হল সে "অনিত্য"। যেখানে এসে বুদ্ধ ও বিজ্ঞান একাত্ম-একাকার হয়ে যায়, যা মানব ইতিহাসের অবিস্মরণীয় স্মৃতি হিসেবে তোলা থাকবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: প্রমানিত নয় যে জিবনের প্রথম অঙ্কুর পৃথিবীর দান! ধর্মীয় কাহীনির সঙ্গে বিজ্ঞানকে একমত করানো হলে ধর্মের সাবলীলতাই বৃদ্ধি পায়। কেউ বলেনা, ***বুদ্ধ বলেছিলেন বলে বিজ্ঞানের এই তত্বটি ঠিক***। উপরন্তু এটা বলা হয়, *** বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত বলেই এই ধর্মের বাক্যটি সঠিক ***।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান আমার মাথায় ঢুকে না।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

এভো বলেছেন: মুসলমানরা দাবি করে কোরান বিজ্ঞানময়
হিন্দুরা দাবি করে গীতা বিজ্ঞানময়
খৃষ্ঠানরা দাবি করে বাইবেল বিজ্ঞানময়
ইহুদিরা দাবি করে তোরা বিজ্ঞানময়
বুদ্ধরা দাবি করে ত্রিপীটক বিজ্ঞানময়
-----

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২২

নীলকান্ত দা বলেছেন: মন্তব্য করেছেন যারা অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা বেশিরভাগ মানুষ প্রথমত গণস্রোতী। সংস্কার আমাদের দূর থেকে ভ্রান্তিত করে, কিন্তু নির্ভুলতার জন্য উচিত নিকটে গিয়ে স্বচক্ষে নিরিক্ষা করা। বুদ্ধের যে বিষয়টি এখানে আলোচনা করা হয়েছে তা মোটেও বুদ্ধপ্রিতি বা মোহ থেকে লিখিত ভেবে থাকলে সুপ্রিয় পাঠকগণ বোধ করি ভুলই করে থাকবেন। "বুদ্ধ শব্দটি ব্যবহৃত মানেই এখানে ত্রিপিটক শাস্ত্রের ওকালতি করা হচ্ছে" এমন একপ্রকার বিশ্বাস বা পরম্পরাগত সংস্কার আমাদের শিশুসুলভ ভাবেই কিন্তু প্রভাবিত করে, যা অবশ্য স্বীকার্য। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় শেকল হচ্ছে কোনও কিছু খোজার পূর্বেই সমর্পিত করে দেই সেই পূর্ব ধারণকৃত ধারণার তলে। তাই এসব থেকে মুক্ত নির্মোহ মানষিক অবস্থান থেকে পাঠ করতে না পারলে পাঠোদ্ধারও সবসময় হয়ে ওঠে না। যেখান থেকে বেরিয়ে আসে সাধারণ মানুষের মতোই সাম্প্রদায়িক মৌলগন্ধ।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.