![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে হয় আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে সন্ত্রাস দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা চলছে বোধ হয় অনেকদিন আগে থেকেই যা সব সরকারের আমলেই ।
হয়তো কম / বেশী হতে পারে । কিন্তু কেনও হয় সন্ত্রাস এর কারন কি ? তা আমাদের সকলেরই ভাবা দরকার বলে মনে হয় । ধরুন আমি / আমরা সন্ত্রাসীকে প্রচ্ছয় দেবো না বা তাদের ধরিয়ে দেবো এই কাজ ছাড়া আমাদের জনগনের আর কি দায়িত্ব থাকতে পারে । এই কাজটি আমি / আপনি করলাম তারপর কাদের দায়িত্ব তা নিচ্চয় প্রশাসন বা রাজনৈতিক দলের নেতেদের উপর বর্তায় । তাছাড়া এই ধরিয়ে দেওয়া বা প্রচ্ছয় না দেওয়া কাজটিও আমাদের বেশীরভাগ জনগন বা আমি করতে নারাজ কারন আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে আমি যাকে সন্ত্রাসী বলে শায়েস্তা করতে চাচ্ছি অথচ কিছু নাম করা প্রভাবশালী বা নামী / দামী বা ধর্ম প্রান বা উচ্চ শিক্ষিত ব্যাক্তি তার সাথে ভাব করছে তাহলে অবস্থা কি দাঁড়ালো বলে মনে করেন । আবার প্রবাদেও আছে নিজের খেয়ে বনের মহিষ না তাড়ানোই ভালো । আবার দেখছি একজন মেয়েদের সকুল গেটে বা মেয়েদের চলার পথে তাকে উত্যক্ত করছে তা আমি / আমরা দেখছি কিন্তু কোনও প্রতিবাদ করছিনা তখন হয়তো মনে করছি পরের ঝামেলা আমি বা আমাদের কাঁধে নেবো কেনও কিন্তু আমরা কি জানিনা যে যারা মেয়েদের রাস্তা ঘাঁটে উত্তক্ত করে তারা শুধু মেয়েদের গঠন চেনে তারা সুযোগ পেলে আমাদের মেয়েদের যে ছাড় দেবে তার তো কোনও মানে নেই । তাই প্রবাদেও আছে মারুক খরা বা বন্যা আমার কি যায় আসে কারন আমার তো মাঠে ফসল নেই বা আমার কাঁটা / মলা শেষ । আবার দেখবেন আমি বা আমরা সন্ত্রাসীকে ধরে পুলিশে বা বিজ্ঞ আদালতে দিলাম তখন হয় পুলিশ কোনও উপর মহলের বা নেতার চাপে বা নিজ লাভে বা ইচ্ছায় তাকে কোনও কোনও সময় ছেড়ে দিচ্ছে বা প্রচ্ছয় দিচ্ছে আবার বিজ্ঞ আদালতও কোনও কোনও সময় অল্প দিনেই বা তাৎক্ষনিক ভাবে জামিন দিয়ে দিচ্ছে । তাই আমি মনে করি যে সন্ত্রাসীদের প্রচ্ছয় দেওয়ার জন্য শুধু রাজনীতিবিদরাই বা জনগণই দায়ি নয় প্রশাসনও দায়ী । আবার দেখবেন আমরা যারা প্রভাবশালী বা অর্থবান ব্যাক্তি তারা হয়তো সুউচ্চ দেয়াল ঘেরা বাড়ীর মধ্যে বসবাস করে কিংবা সবসময় গাড়ীতে চড়ে বা নিরাপত্তা বলয়ে থাকে তারা হয়তো মনে করতে পারে আমরা সন্ত্রস মুক্ত কিংবা সন্ত্রাস আমাদের ছুতে পারবেনা ।কিন্তু কোনও কোনও সময় দেখবেন তারাও নিজ বাড়ীর গেঁটের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় পড়ে থাকে আবার দেখবেন অফিস / আদালতে ফাইল আঁটকে রাখা হচ্ছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাতে আপত্তি করলে বলছে সরকারী কাজে বাঁধা এটাও সন্ত্রাস বলে মনে করি । আমি বুঝিনা যে আমাদের কতো টাকা বা সম্পদের প্রয়োজন যে আমাদের চাহিদা মিটছে না তা আমরা কতদিনে ভোগ করবো বা সে সময় পাবো কিনা আসলে সন্ত্রাস উৎপত্তির জন্য আমাদের অসম বণ্টন ও নীতিও দায়ী বলে মনে করি তাই কেউ হয়েছে অভ্যাসে , কেউ হয়েছে অভাবের কারনে , কেউ হয়েছে চরিত্রের কারনে কেউ হয়েছে সঙ্গদোষে বা কেউ ব্যাবহারের ফসল হিসাবে এসেছে , কেউ এসেছে প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ নিতে আবার কেউ এসেছে প্রতিবাদ করতে এসে সন্ত্রাসী হয়ে পড়েছে এবং কখনো কখনো একটি সন্ত্রাস থেকে আর একটি সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে । আমার মনে হয় অবহেলা থেকে প্রতিহিংসা তা থেকে ঘৃণা পরে সংঘাত আর সংঘাত থেকে সন্ত্রাস এর সৃষ্টি । তাই শুধু ছাত্রলীগকে দুষলে হবে না , দুষতে হবে ছাত্রদল, ছাত্র শিবির সহ ছাত্র সমাজ কেউ নতুবা তারাও ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে একই ঘটনার প্রতিফলন ঘটাবে । তাই প্রবাদেও আছে চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনী আবার দেখবেন সমাজে কোনও ছেলে যদি লেখাপড়া শিখে বা না শিখে বেকার থাকে তখন সমাজ তাকে অনেক সময় অপদার্থ বলে আবার একজন সন্ত্রাসী যদি ডাকাতি / সন্ত্রাস বা ছিনতাই করে সমাজের বিভিন্ন কাজে বা প্রথিষঠানে বেশী বেশী দান করে তাহলে সমাজ তাকে কখনো কখনো বাহবা দিয়ে থাকে । এই অবস্থায় আমরা কি কেউই সন্ত্রাস মুক্ত বলে বলতে পারি । তাই আমি মনে করি আমরা সবাই সন্ত্রাসের কবলে নতুবা দুচ্চিন্তায় থাকি যে কখন কি হয় বা কখন আমার ভাই / বোন / আত্মীয়স্বজন বা পাড়া প্রতিবেশীরা সন্ত্রাসের কবলে পড়ে । তাই আমাদের ছেলে / মেয়েরা বা অন্য কেউ স্কুল/ কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কর্মস্থলে বা রাস্তা / ঘাঁটে নিরাপদ আছে কিনা তা ভাবতে হয় বোধ হয় । এই সাথে আমি একটি কথা বলতে চাই যে খেয়াল করে দেখবেন আগের আমলের মানুষরা লেখাপড়া কম জানতো বা সুযোগ ছিলোনা কিন্তু তারা পরিবার বা সমাজ চালাতে গিয়ে মুখে বলে গেছে অনেক প্রবাদ যা সবই সত্যি এবং মূল্যবান বলে মনে করি । শেষ কথা আমার চিন্তায় বলছি যে এখন আর অতি সহজে সমাজ থেকে সন্ত্রাস মুক্ত করা যাবে বলে বিশ্বাস হয় না শক্তি দিয়ে সন্ত্রাস নির্মূল করা যায়না তাতে পাথরে পাথরে সংঘর্ষের মতো আগুণ আরও ধরে যাবে কিংবা প্রতিহিংসা আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে বোধ হয় তাছাড়া আমরা এখন কেউ কাকে মানতেও নারাজ এবং ভালো কথা ভালো উপদেশ এমনকি বাপ / মায়ের কথা পযন্ত না তাই আমি মনে করি সন্ত্রাস আরও বৃদ্ধি পাওয়ার দরকার যত্র / তত্র তাতে তখন আমরা সকলে মিলে এর প্রতীকারে মাঠে নামবো নতুবা একজন কবি যে লিখে গেছেন জন্মই আমার আজন্ম পাপ তাই মনে করতে হবে । আমাদের সন্মানিত পাঠক ভাইদের মধ্যে অনেকেই হয়তো সমাজবিদ বা অপরাধ বিশেষজ্ঞ আছেন সুতারাং তাদের মতামত সহ সকল পাঠক ভাইদের বিকল্প ভাবনা থাকলে দয়া করে জানাবেন ।
©somewhere in net ltd.