নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু

i am a very hopeful man.. i lead a normal life like others. i like work..basically i want to live in my work

নিলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি স্কুল

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

দেশের বেশীর ভাগ স্কুলই সৃষ্টি হয়েছে ব্যাক্তি উদ্যোগে এবং শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিরাই এর জন্য বেশী ভুমিকা রেখে থাকেন । একটি স্কুল যখন তৈরি হয় তখন ভাঙ্গা / চোরা টিনের ঘরে । পরে ধীরে ধীরে অবকাঠামো উন্নয়ন হয় । এই উন্নয়নে সরকার যেমন ভুমিকা রাখে তেমনি ব্যাক্তি উদ্যোগেও হয়ে থাকে । সুতারাং একটি স্কুলের সৃষ্টিতে ব্যাক্তি উদ্যোগী বেশী এবং মুল অংশীজন হিসাবে কাজ করে থাকে । এমনকি আগে একটি স্কুলের শিক্ষক হতো এলাকার প্রবীণ শিক্ষিত মানুষ কিংবা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগন । তারা মাস্টারই করতেন বিনা বেতনে / বিনা পারিশ্রমিকে । এক কথায় ব্যাগার দিতো । এলাকার মানুষকে শিক্ষিত করতে । সেই মাস্টাররাই যে শিক্ষা দিতো তা থেকেই অনেকে শিক্ষিত হয়েছে এবং সমাজে নানা পদেও অধিষ্ঠিত হয়েছে । দিনে দিনে সরকার এগিয়ে এসেছে স্কুলগুলির উন্নয়নে । এখন স্কুল সৃষ্টি হয় তিন ভাবে । এক , এলাকার সার্বিক জনগণের আর্থিক সহায়তায় বা শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তির বা দানবিরের আর্থিক সহয়তায় । দুই , এলাকার ব্যাক্তি নামে , তাদের বাপ / দাদার বা নিজেদের কারো নাম সৃতি হিসাবে যুগে যুগে ধরে রাখার জন্য নামকরণের জন্য স্কুল সৃষ্টি হয় । তিন ,এলাকার কিছু বেকার শিক্ষিত ছেলে / মেয়েরা মিলে একটি স্কুল তৈরি করে নিজেদের বেকারত্ব দূর করতে চেষ্টা করে এবং তা হয় নিজেদের অর্থায়নে । তবে এটার ঝোঁক বেড়েছে ইদানিংকালে । যে পদ্ধতিতেই স্কুল হউক না কেনও তা নিচ্ছয় ভালো উদ্যোগ বলে মনে করা যায় । একটি নুতন স্কুলের জন্য দরকার জমি , শ্রেণী কক্ষ , বেঞ্ছ , শিক্ষকমণ্ডলী , পরিচালনা কমিটি এবং ছাত্র / ছাত্রী । নুতন স্কুল করলে কবে বেতন/ ভাতাদি পাবেন তার নিচ্চয়তা নেই ।তাই নুতন স্কুল করার সময় অনেকেই শিক্ষকতা করতে আসতে চায় না । আগে নুতন স্কুলে এলাকার মানুষজন প্রায় সবাই কিছু কিছু করে আর্থিক সহয়তা নিয়মিত করতো কিন্তু এখন আর তা করতে চায় তেমন একটা । সুতারাং নুতন স্কুল যারা চালান তারা বিনাবেতনেই দীর্ঘকাল যাবতই চালাচ্ছেন । সবচাইতে বড় বিষয় গ্রামীন পর্যায়ে কোন কোন স্কুল হয়েছে বলেই স্থানীয় লোকজনের ছেলেমেয়েরা অতি সহজেই লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে বা পাচ্ছে । বিশেষ করে নারী শিক্ষার জন্য তারপরও মেয়েদের বাল্য বিবাহ হচ্ছে । তাই গ্রামীন পর্যায়ে ছাত্রীদের ড্রপ আউট এর সংখ্যা বেশী । এর মাঝেও অনেক নুতন স্কুলে ভালো শিক্ষাই হচ্ছে এমনকি জিপি পাচ্ছে অনেকে ছাত্র/ ছাত্রীরাই ।বর্তমানে স্কুল শিক্ষক এবং পরিচালনার জন্য স্কুল নিয়ন্ত্রন করতিপক্ষ নানা সময়ে নানাভাবে সার্কুলার জারী করছেন । তারপরও ৫০০ গজের মধ্যেই ২ টি হাই স্কুল সৃষ্টি হয়েছে । সরকারের বেশ কিছু প্রকল্প আছে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কিন্তু তার বেশীর ভাগই অনর্থক বলে মনে হয় কারন ঐ সকল প্রকল্পের মধ্যে অনেক প্রকল্পেরই কোন উপকারিতা নেই শিক্ষার উন্নয়নে । হচ্ছে শত শত কোটি টাকার অপচয় বলে মনে হয় । তবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আরও জোরদার করা উচিত । সেইসাথে স্কুলগুলির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য গনের প্রশিক্ষণ করানো দরকার । শিক্ষার মান নিয়ে অনেক সময় কথা উঠে । শিক্ষার মানের ব্যাখ্যা কি ? বেশী পাশ করলেই কি মান কমে যায় , না বেশী ফেল করলেই কি মান বেড়ে যায় ? বেশী পাশ করলে শিক্ষার হার বাড়ে আর বেশী ফেল করলে শিক্ষার হার কমে যায় । সেই সাথে শিক্ষা প্রথিস্থানের ব্যর্থতার পরিচয় হয় । তাছাড়া কোন অভিভাবকই চায় না তার সন্তান ফেল করুক । সুতারাং কোন এক সময় শত ভাগ পাশ হতে পারে । এটাই আমাদের লক্ষ্য হয়া উচিত । আর শিক্ষার মান বলতে আমি বুঝি একজন মানুষ, যিনি মানুষের মতো মানুষ । যার মধ্যে রয়েছে সর্ব গুন । যাকে দিয়ে সমাজের কল্যাণই হয় । খেয়াল করে দেখবেন একজন বিএ / এম এ পাশ ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটু ভাব এসে যায় যা তাকে বিজ্ঞ বা শিক্ষিত বলে প্রমান করতে চায়। এবং ভদ্রতারও পরিচয় দিয়ে থাকে কখনো কখনো । । তাই আমার মনে হয় স্কুলকে নিয়ন্ত্রন বেশী করে আভ কি ? স্কুল তৈরিতে সহযোগিতা করাই ভালো । আমাদের একটি মাত্র সর্ত থাকা দরকার । তাহলো ছাত্র / ছাত্রী থাকতে হবে এবং রেজাল্ট ভালো হতে হবে । এই দুই সর্ত পালন হলেই যথেষ্ট বলে মনে করি । সুতারাং স্কুল গুলির ব্যাপারে সরকারের যা করা উচিত বলে মনে করি তাহলো স্কুলের পাঠদান অনুমতি দিবে জেলা শিক্ষা অফিসার দুই বসরের জন্য , দুই বসর পর একাডেমিক স্বীক্রিতি , শাখা / বিষয় খোলার অনুমতি দেবে শিক্ষা বোর্ড । এসবই হবে পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী । সরকার যতদিন ১০০ ভাগ এম পি ও দিতে পারবে না বা দিবে না । ততদিন পাঠদান সময়ের জন্য শিক্ষক / কর্মচারীদের মাসিক এম পি ও কমপক্ষে ৩০ পারসেন্ট , একাডেমিক হয়ার পর মাসিক এম পি ও ৫০ পারসেন্ট হয়া উচিত ।নুতন নুতন স্কুল সৃষ্টিতে সমাজ কম / বেশী আলোকিতই হতে থাকে এতে সমাজের লাভই বেশী । কারন আমাদের শিক্ষিত তরুন সমাজ যদি বেকার জীবন ঘুচাতে কর্মসংস্থান এর লক্ষে গ্রামে গ্রামে স্কুল করে পাঠদান দিতে থাকেন বা ব্রত হন । তাহলে অন্ততপক্ষে যুবসমাজ বখে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষ্যা পাবে এবং সমাজ অবক্ষয় থেকে রক্ষ্যা পাবে । আমাদের আগামি প্রজন্ম হতে পারে শিক্ষার আলোয় আলোকিত । সুতারাং যতো বেশী স্কুল ততো বেশী ভালো মানুষ হওয়ার পথ ও মত । তাই প্রবাদে বলে একজন মূর্খ মানুষ শত্রুর হওয়ার চেয়ে একজন শিক্ষিত মানুষ শত্রু হওয়া অনেক ভালো ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.