![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কেন যানি নানা প্রশ্ন উঠছে । আসলে কি কি সমস্যা হচ্ছে মাঠে । যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে বর্তমান অবস্থা ভালো এবং নিরেপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে । তাহলে আমরা কেউ কেউ অনেক কথা তুলছি কেনও ? নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা কাদের ? তারা নিচ্চয় ভোটার । সেই ভোটার কি কোথায়ও নানা অসুবিধার কথা কি উপস্থাপন করছে বা করেছে ? তা যদি না করে তাহলে আমরা কারা কথা তুলছি ভোটের আগেই । আমরা দেখেছি নির্বাচন পুলিশ দিয়েও নিরপেক্ষ হয় এমনকি গুটিকয়েক আনসার দিয়েও হতে পারে । আবার সেনা মোতায়েন করেও কখনো কখনো হয়না । তাছাড়া সেনা বাহিনী কি সরকারের একটি অংশ নয় ? তারা মোতায়েন হলেই নির্বাচন নিরেপেক্ষ হবে তার নিচ্চয়তা কি ? তাহলে যারা বলছে সেনা মোতায়েন চাই নির্বাচনে । তাহলে তারা বলুক সেনা মোতায়েন করে নির্বাচন করলে ভবিষ্যতে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনও কথাই উঠবে না বা তুলবো না । সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে পুনঃ বিবেচনা করতে পারে বলে মনে হয় । অন্যদিকে বি এন পি নেত্রী সম্প্রতি বলেছেন যে , বর্তমান সরকারকে ভোটের মাধ্যমেই মোকাবেলা করা হবে বা বুঝিয়ে দেওয়া হবে । এবং তাদের অনেক নেতাই বলেছেন যে ৮০ ভাগ জিতবেন । আগে বলেছিলেন যে আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে পতন করা হবে । আন্দোলন যখন ফেল হয়েছে তখন ভোট ভোট খেলায় নেমে একটা ক্যাচাল বাঁধাতে চাচ্ছে বলে মনে হয় । বি এন পির এক নেতা বলেছেন খালি মাঠে বল খেলতে দেবে না কিন্তু যারা ভালো খেলোয়াড় তারা কি খালি মাঠে খেলতে চায় । তারা সবসময়ই প্রতিদন্তিতার খেলা খেলতে চায় ।আর খালি মাঠ এর সুযোগ সবসময় আসে না । তা আসে খেলায় রং বা ভুল করলে । অন্নদিকে বি এন পির সাথী জামাত এর এখন দুর্দিন । তাই তাদের রক্ষা করতে বি এন পি খুব একটা ভুমিকা বা সহযোগিতা করতে বা দেখাতে পারেনি। তাই জামাতের ভোট সব বি এন পির বাক্সে যাবে বলে মনে হয় না । এই অবস্থায় বি এন পির এতো ভোট কিভাবে আসতে পারে তা ভাববার বিষয় নিচ্চয় ? সুতারাং ভোট যতো নিরপেক্ষই হউক না কেন তারা হারলেই বলবে ভোট নিরপেক্ষ হয়নি ।তাই আমার মনে হয় বি এন পি যেহেতু বিশ্বাসী তারা ৮০ ভাগ ভোট পাবেন সেক্ষেত্রে তাদের বর্তমান অবস্থাতেই বিনা ক্যাচালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত । কারন সরকার যদি প্রভাব বিস্তার করে তাদের পক্ষে ভোট নিতেও চায় । সে ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ থেকে নামিয়ে ৪০ ভাগের বেশী তো হতে পারে না । তাহলেও তো একটা অবস্থানে আসলো বি এন পি । এটাও কি মন্দের চেয়ে ভালো নয় কি বি এন পির জন্য ? আবার বি এন পি যদি এবার ভোট বর্জন করে তাহলে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতিই বেশী হবে বলে মনে হয় । কারন ইতিপূর্বেও ভোট বর্জন করায় জনগণের এবং দলের কর্মীদের মধ্যে রয়েছে একটা উতকণটা এবং তাদের রাজনীতিতেও তেমন লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না ।তাই সত্যি সত্যি যদি বি এন পি এবার এই ভোট বর্জন করে । তাহলে আগামিতে তারা কখনো ভোটে দাঁড়ালে জনগণ আর বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না। এমনকি প্রাত্থি পাওয়াও দুস্কর হতে পারে ।সুতারাং ভোট ভোট খেলায় নেমে ঘোমটা দিয়ে বি এন পির লাভ হবে বলে মনে হয় না । সেহেতু যে কোনও অবস্থাতেই ভোটে থেকে যাওয়াই ভালো হতে পারে । অন্যদিকে আওয়ামীলীগও বলছে বা আশা করছে তারা ৯০ ভাগই ভোট পাবে । এ চাওয়াও তো অমূলক নয় কারন তারা দেশে অনেক উন্নয়ন করেছে / করছে/ হচ্ছে বড় বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন যেমন পদ্মা সেতু । বড় বড় প্রকল্প গ্রহন করতে সাহস লাগে কিংবা দেশ দরদী হতে হয় , লাগে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ও শক্তিশালী সরকারি কাঠামো ও মনোবল । সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করেছে / করছে এবং সন্ত্রাস নির্মূল করেছে বা করার চেষ্টা করছে । তাছাড়া দেশের মানুষ কম দরে চাল / ডাল খাচ্ছে । দিচ্ছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ । বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে । কৃষক পাচ্ছে ন্যায্যমূল্য তার উৎপাদিত ফসলের। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনের সার / কীটনাশক সহ কৃষি সরমজাদি হাতের নাগালে যখন /তখন পাচ্ছে / পাওয়া যাচ্ছে । মানুষের আয় বাড়ছে বা আয় বাড়ানোর চেষ্টা চলছে দিনে দিনে । আমরা মাঠে /ঘাঁটে / পথ প্রান্তরে পাচ্ছি তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা কম দরে অতিসহজেই। এমনকি গ্রামের বেশীর ভাগ কাচা রাস্তাই পাকা করেছে তারা । গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে করেছে কমউনিটি ক্লিনিক , চলছে গ্রামের মানুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে একটি খামার একটি বাড়ী প্রকল্পের কাজ । বাড়ছে বিভিন্ন ভাতা , যেমন , মুক্তিযোদ্ধা ভাতা , বয়স্ক ভাতা ,বিধবা ভাতা , প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সরকারী কর্মকর্তা / কর্মচারীদের বেতন /ভাতাদি । হয়েছে গ্রামে গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। সেখানে জনগণ পাচ্ছে দেশ / বিদেশের সাথে কথপথন সুবিধা সহ অন লাইন কার্যক্রম সুবিধা। যাতে দেশের গ্রামগুলি হয়ে গেছে উপশহরে । পাশাপাশি সরকার পরিচালনায় দক্ষতার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে হচ্ছে সুনামও এবং স্বীকৃতি । এইসবকিছু তুলনা যদি করা যায় বা করা হয় তাহলে বি এন পির শাসন আমল এবং আওয়ামীলীগের শাসন সরকারের আমলের ভালো / মন্দ অতি সহজেই মূল্যায়ন করা যায় । দেশের ভোটারগণ কি কিছুই বুঝে না / নাকি বুঝতে পারে না । এসব কাজের জন্য তো আওয়ামীলীগ সরকার ৯০ ভাগ ভোট পাওয়ার দাবীদার বা আশা করতেই পারে । সেখানে সরকারের তো ভোট কারচুপি করার কোনও প্রওজন পড়ে বলে মনে হয় না । তারপরও আওয়ামীলীগের রয়েছে অনেক ঝুঁকি ভোটে জিততে বলে মনে করি । কারন দেশের সব মানুষই উন্নয়ন বুঝে না । তারা নিজেরটা বুঝে । তাছাড়া ক্ষমতার দলে রয়েছে পাওয়া না পাওয়া নিয়ে অভিমান । রয়েছে কম / বেশী মূল্যায়নের কথা কর্মীদের মধ্যে । ক্ষমতায় থাকার জন্য বেড়েছে দূরত্ব নেতা / কর্মীদের সাথে । কখনো ন্যায় শাসন করতে গিয়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়েছে তাতেও রয়েছে অসন্তোষ অনেকের । শেষ কথা ভোটের কারচুপিতে বা ভোটের প্রভাব বলতে যা হতে দেখা সাধারণত তা হোলও । ভোটের সময় যে যে কেন্দ্রে বা এলাকায় যাদের ভোটার সংখা বা সমর্থন বেশী থাকে সেখানে ঐ প্রাত্থির সমর্থন বা হৈ চৈও বেশী দেখা যায় । যে জন্য ঐ এলাকার দুর্বল প্রাত্থি নানা অভিযোগ আনতে চায় বা অভিযোগ আনার নানান সুযোগ খোঁজে । আর একটি হতে দেখা যায় বা হয়ে থাকে কোনও কোনও এলাকায় বা কেন্দ্রে । তাহলো কোনও সময় এলাকার একজন বা দুইজন ভোটার আসতে পারেনি কেন্দ্রে কোনও কারনে । তখন তার বা তাদের ভোটটি অন্যজন দিতে চায় বা দিয়ে দেয় । তা অবশ্য সকল দলের সমর্থনেই হয়ে থাকে । কারন তারা নিচ্চিত জানে ভোটারটি কোন দলের পারা খাওয়া । তবে এর সংখা বেশী নয় , ২০/ ৫০ জন হতে পারে এবং তবে এই সুযোগ সকল দলের এজেন্টরাই নিয়ে থাকে আপোষ / মীমাংসা করে ।আর ভোট ডাকাতি বলে যে অভিযোগ রয়েছে বাজারে । ভোট ডাকাতি বলতে বুঝায় , ভোট কেন্দ্রের বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া কিংবা ভোট কেন্দ্রে ঢুঁকে ব্যালট পেপারে ছিল মেরে বাক্সে ভরা ।এই মিডিয়ার যুগে কি তা সম্ভব ? তাছাড়া ভোটে রয়েছে একাধিক প্রাত্থি তারা কি সেটা হতে দিতে চাইবে ? আবার এধরনের ঘটনা যদি কোথায়ও ঘটে বা ঘটতে থাকে , সেখানে তো ভোট বাতিল হয়ে যায় কিংবা ভোট কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায় । সেখানে আবার পুনঃ ভোট হয় অন্যদিনে । সুতারাং কোনও প্রাত্থিই চাবে না , আবার তাদের কেন্দ্রে পুন ভোট হউক । আমরা যে যাই বলি , আমার মনে হয় আমাদের দেশে এক বিজ্ঞ চক্র আছে যারা রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে ভোটের সময় কি যেনও এক খেলা খেলতে চায় । তারা সব দলেরই বনে যায় সুযোগ বুঝে । আবার সুযোগ পেলেই তারা কি যেন এক খেলা খেলতে চায় অন্যদলের হয়ে । সারা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিতে চলছে নানা ভাবে নানা সংঘাত । সেই তুলনায় আমাদের দেশ অনেক ভালো আছে বা আছি । সুতারাং আমাদের সকলেরই কাম্য হওয়া উচিত দেশকে ভালো রাখার পন্থা খোঁজার বা চলার । তাই আসুন শুধু শুধু নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ না করে যার যার অবস্থান থেকে কিছু কম / বেশী ছাড় দিয়ে ভোট করে যাই ।
©somewhere in net ltd.