| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিঃস মুসাফির
বিশাল এই পৃথিবীতে অতি ক্ষুদ্র একজন
লাভ মানে ক্ষতি।
কথাটা শুনে অনেকেই হয়তো চমকে উঠিবেন।কেউ কেউ হাসিতে থাকিবেন।কেউ হয়তো মনে করিবেন আমি ঠাট্টা করিতেছি। কেউ কেউ হয়তো তাচ্ছিল্যের সুরে বলিতে থাকিবেন,"পুরানা পাগলেরই ভাত নাই নতুন আবার পাগল কোথ্থেকে আসিল?"কিন্তু যে যাই কিছু বলিতে থাকেন না কেন আমি আমার কথার উপর অটল রহিয়াছি। কারন আমি লাভ নয় LOVE এর কথা বলিতেছি।চার অক্ষরে গঠিত এই শব্দটি বিশ্লেষন করিলে অনেকটা এরকম পাওয়া যায়।
L=Loss
O=Of
V=Valuable
E=Energy.
অর্থাৎ Loss of Valuable Energy.যাহাকে সহজ বাংলায় অনুবাদ করিলে হয়,"মুল্যবান শক্তির ক্ষতিসাধন"। আর ইহা বুঝিতে হইলে আমাদের চেনা জিনিসকে ভালো করিয়া চিনিয়া লইতে হইবে।মানে আমাদের মুল্যবান শক্তিগুলো চিহ্নিত করিয়া জানিতে হইবে।একজন মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হইলো তাহার চেতনা শক্তি অর্থাৎ ভালো-মন্দ বিবেচনা করার ক্ষমতা।ইহা ছাড়াও স্বাস্থ্য, সময়,যৌবন,মানসিক প্রশান্তি যে কতটা মুল্যবান ও দুর্লভ তাহা বলিবার উপেক্ষা রাখে না। এক ইংরেজ লেখক বলিয়াছিলেন, প্রেম জ্ঞানীকে বোকা করে, বোকাকে চালাক করিয়া তুলে। তবে প্রেম করিয়া অনেক জ্ঞানীই জ্ঞান শুন্য হইয়াছে, কিন্ত এরকম নজির খুজিয়া পাওয়া যায় না যে কোনো বোকা প্রেমের সুধা পান করিয়া মহাজ্ঞানী হইয়া গিয়াছে।এই প্রেমের কবলে পড়িয়া কত বালক যে কঙ্কালসার গিয়াছে তাহার ইতিবৃত্ত টানিয়া রচনার পরিধি বড় করিতে চাই না। এই বার সময়ের কথা ক্ষুদ্র পরিসরে বর্ণনা করা যাক। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল একদা প্রেমের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে এই রুপ বলেছিলেন যে,"প্রেম মানে অপরের বউকে পাহারা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না"রাত জাগিয়া অপরের গাছের ফল পাহারা দিল কি লাভ হইবে, ভোগ করিবার অধিকার তো তুমি পাইবে না। সুতরাং অহেতুক এই দায়িত্ববোধটা উলুবনে মুক্তা ছড়ানোরই অন্য এক নাম।
যৌবন জীবনের একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ সময় তাহা কে না জানে? যৌবনের এই সুর্যোদ্দীপ্ত সময়ে যাহার মনে অর্থ চিন্তা না আসে সে কিভাবে জীবনে উন্নতি করিবে।আর একটা মনে দুইটা বস্তু এক সাথে কিভাবে অবস্থান করিবে তাহা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে ধরিতে পারে না।অর্থাৎ প্রেম চিন্তা এবং অর্থ চিন্তা একই সাথে হৃদয় মাঝে বিরাজ করিতে পারে না। মানসিক প্রশান্তির কথা না হয় অদ্য নাহি বলিলাম। কি বলিতে হইবেই?
তাহা হইলে কি করা!
তাহলে শুনুন কিছুটা বলি। আনচান আর ছটফট শব্দদয়ের সাথে হয়তো ইতোপুর্বে আমাদের পরিচয় ঘটিয়াছে।যাহার সন্ধা-প্রভাত,দিবস -রজনী ব্যপিয়া এই দু অবস্থা হৃদয়ে বিরাজ করে, যাহার উৎকন্ঠার ভিতর দিয়ে জীবন যাপন তাহার আবার মানসিক শান্তি। ইহা যেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।আবার আকাশ-কুসুম কল্পনা বললেও পাপ হবে না।যাহার গভীর রাতের মধুর ঘুম হঠাৎ করে ভেঙ্গে যায় প্রিয়তমাকে হারানোর ভয়ে তাহার আবার স্বস্তি।সে তো স্বস্তির সংজ্ঞা লিখতে গেলেই ভুল করিয়া বসিবে।কারো কারো আবার ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়া যায় কিন্তু ঘুম তাহার বিছানা পর্যন্ত আসিতে পারে না।কি যেন একটু অভাব বোধ দেহ-মনের চারিপাশে আনাগুনা করিতে থাকে।
এই বার আমরা যদি একটু দেমাগ খাটাইয়া উপরের বিষয় গুলা চিন্তা করি তাহা হইলে নিজেরাই বুঝিতে পারিব।
এই লাভ শব্দটিকে নাকি বাংলাতে ভালোবাসা বলিয়া থাকে(আমি এই সম্পর্কে একটু কম জানি)।তাহলে দেখি এর বাংলায় বর্ধিত রুপ কি হয়:
ভা=ভালো মন্দ না বুঝিয়া
লো=লোক লজ্জার ভয় না করিয়া
বা=বাবার মার মুখে চুনকালি মাখিয়া
সা=সাগরে লািফয়ে পড়ার নাম ভালোবাসা।
লাফিয়ে পড়বেনই না কেনু? এই ক্ষেত্রে তো মরনের ভয় থাকে না।আর থাকিবে কিভাবে যেহেতু জীবন মরন সবই সপিয়া দিলাম তোরই নামে।(আহা)
বাসার ছাদে থেকে লাফ দিয়ে পড়িতে হৃদয় কাপিয়া উঠে, ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে নদীতে পড়িয়া বাবার কালের জীবনটা জলে দিতেও ইচ্ছে করে না। অথচ প্রেমে পড়িতে কোনো ভয় নাই।পড়ন্ত বস্তুর বেগের চেয়ে কয়েক গুন বেগে ইহাতে পড়িতে ইচ্ছা করে। আর তাহার একমাত্র কারন ইহাই যে আমাদের চেতনা শক্তি লোপ পেয়েছে।
তবে এতকাল ধরে যে ভালোবাসার বিজয়গান বলপেনের ঘুর্ণনের ফলে ফুটিয়া উঠেছিল আমি কি তাহার বিরোধিতা করছি? যদি তাহা বিরোধিতার যোগ্য হয় তাহা হইলে বিরোধিতা না হয় করিলাম। তবে এই পাপে আমাকে অনলে জ্বলিতে হইবে বলিয়া আমার মনে হয় না। তবে সব ভালোবাসা যে অসার আমি কিন্ত তাহা বলিতেছি না। সৃষ্টি সৃষ্টিকে ভালোবাসবে ইহাই স্বাভাবিক।তবে ইহা হতো হবে কলুষতা মুক্ত।সেই ভালোবাসা হবে নিঃস্বার্থ, নিতান্তই স্রষ্টার জন্য। তাহা হবে কামনা বাসনা ও আসক্তি মুক্ত।একদা এককালে আমি বলিয়া ছিলাম "ভালোবাসা আকাশের মতোই নীল যদি তাহাতে আসক্তি নামক কালোমেঘ না থাকে"
©somewhere in net ltd.