![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধবিদ্ধস্থ সৈনিকের কথা ভাবতে ভাবতে পুস্তকী-শয়নে ঢলে পড়ছো
শিয়রে জ্বলে থাকা মোমবাতি গলে সৃষ্টি করছে নতুন শিল্প ।
বারুদের গন্ধ ছুঁতে চাইছো, প্রকম্পিত রণবাদ্যে মুখ তুলছে ঘর্ম-বিন্দু, স্রোতস্বরে কাটা ধমনী।কাৎ হয়ে পড়ে...
মলিনসারথীর পাশে শুয়ে দ্যাখ ঋতুমতি গোলাপীমেঘ। পান করে রজঃবতী জংলি অন্ধকার, ছায়াচূড় মৃত্তিকার বুকে দোলাও নারীচাঁদ। সন্ধ্যার ঠোঁট চুষে চুষে কবে চলে গ্যাছো সেই ভাঙ্গন বেলাঘরে! ধ্রুবরঙের তন্দ্রাসুর, দারুচিনিঘ্রান পেরিয়ে...
ঘ্রাণ ও নন্দিত স্পর্শের কাছে গিয়ে তুমি মূক
আর এক নরম সুর জন্মের গুল্ম আলিঙ্গন
দাউলিয়া শেষে পৃথিবী-মাতৃত্বের কোলে শুয়ে থাকো
ধনহীনতন্দ্রায় আবৃত হও, অচল শিরা ফাঁদ অবধি
সমস্ত জিজ্ঞাসা নিয়ে উড়ে যায় ফিঙ্গা...
আমাদের যার যার নিজস্ব সুর্যও একদিন অস্ত যাবে। বরাবরের মতই বাড়ি এবং সম্মূখে উঠোন ও পশ্চাতে পুষ্করিনী থাকবে। বৈধ কিংবা অবৈধ বালক-বালিকারা কানামাছি খেলবে, ফড়িং নৃত্য শিখবে। অন্দর হয়ে কতক...
গূঢ় ছড়ির পাশে গম্ভীর এস্রাজ
বেজে উঠে সমস্ত উপন্যাসিক দাহ
অন্ধকুম্ভের অপরপ্রান্ত হতে জেগে উঠে সুরপ্রাচীনরাশি
আর যারা গায়কী, স্বরূপের দিকে ক্ষণিক হাস্যহ্রাস
বাঁশু চলচ্চিত্রে যে নারীর পক্ষীভাষায় চিলের ভাব
কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে লোকের...
গায়েবী তীর এসে বক্ষে বিঁধে যায়
কেয়ামতী সূরজতলে গলে যাই বাল-আদমী
উঠোনের কোণে তেঁতুল গাছের ডালে
পা দুলাতে দেখি
আমার ভবিষৎ ভূত-কে।
----------------------------------------
অপূর্ব এক ধাক্কা এসে চোখে লাগে
আরামের সুখ ছলাৎ করে উঠে চেহারায়
আর ক্ষুদ্র বাদামী...
কবিতা লিখতে এসে শুনালাম
মদ খাও
গাঁজা খাও
সঙ্গমে লিপ্ত হও অহরহ
মূলত একটা কবিতা লিখতে গিয়ে মদ্য ধূপিত হয়ে
বউকে খানকী ডাকতে ভালো লেগেছে
গাঁজা খেয়ে বন্ধুর বোনকে "খাসা মাল" আর-
সঙ্গম করতে করতে চিৎকার করলাম...
বেদে ঘরে জন্মসাধ মিটবার পর, দীর্ঘকৃষ্ণকেশী কান্তা শ্যামাঙ্গীর ভেতরে ডুব দিয়েছিলাম আমি একবার। সাঁতার বিদ্যার কলা-কৌশল সমূহ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম পুলক নিমজ্জনের পশ্চাতে।
সেই থেকে আমাদের কথাকাহিনি এখন সর্প ধর্মগ্রন্থ
কামনা বিধৌত...
গহীন অরণ্যে শিকার সন্ধানে জংলাচ্ছাদিত পুষ্করিণীর ধারে শ্বেতবক দেখে তাক করলাম বন্দুক। এক বন্ধ চোখ নিশানা ভুল করে সম্মূখে নিয়ে এলো লাল শাড়িতে ভেজা স্নানরতা রমনী। মুহূর্তের জন্য বেমালুম স্মরণচূত,...
এইসব কলের রাত পেরিয়ে যেতে যেতে মনে হয় চাঁদ যেন ম্যালেরিয়া রোগী। বাষ্প বাগান হতে কেউ দৌড়ে আসে; সৌন্দর্য ঘূর্ণির ভেতরে অবশের খবর পাই।
দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে কুড়োতে থাকি একটি দুটি আধভাঙ্গা...
মেধাবী দৌড় সেগুন কাষ্ঠের স্বর্গতোরণ
তার চেয়ে অধিক উড়ে পবিত্র মাগরিব পাখি
রুগ্ন গোলাপী তিলের নকশায় ঈশ্বর সুঁই
ফুঁড়ে যায় চূর্ণকথা, ব্যর্থ শালিক শখ
মাংসল সরোবরে কি আশ্চর্য মদ্যপ আঙ্গুল
জল গৃহে ডুব দিলে সাতারু...
দুঃখের খাঁজে লিপিবদ্ধ হও
ধ্রুপদী নক্ষত্রের খনিতে নেমে
যেতে চাইলেও
যাও, পাপড়ির ত্বকে রঙমিস্ত্রী হতে চেয়ে
নিমেষ চমক রোধে নোনাবাড়ির দোর অবধি…
বলো, মাঘমাসি মন-
পেছনপর্ব টিয়ে রঙের কথা।
এখনো মূদ্রা নাচের সময়
ঘূর্ণন যাদুতে আবছা মুখছবি !
সুষম...
নেশার ভঙ্গিমায় আসন গ্রহন করো
তোমাকে আঁকতে বসবেন ঈশ্বর
মুহূর্ত ঘূর্ণির কত'ক বলয়ের প্রার্থনা
মদ মদ প্রেম হয়ে যাবে।
তুমি ও ঈশ্বর তখন আলাদা কেউ নও।
©somewhere in net ltd.