![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধ গূঢ় ফলের ভেতরে এক বিন্দু চাঁদ, সারথীর মালতী সুঘ্রাণে মৃতমুখ ফুটে থাকে কেবল। ধোঁয়াশার সিঁড়ি ভাঙ্গিয়ে নেমে আসে অবসন্ন তৃষ্ণা। তির্যক ফুলের আহ্লাদ, অন্তিম গম্ভীর নাদের মত নিশ্চুপ নদী...
গির্জা প্রাঙ্গণে শুয়ে তুমি জলপতনের শব্দ শুনছো...
শস্প চূড়ায় পঙ্গপাল নৃত্য, নিহার বাসনা জন্ম নিচ্ছে বোধে। শৃঙ্গার গগণ হতে খসে যায় নরুণ, সম্বরণ অনুরুপ মৃৎ-- যুগধর্ম লিপিত করে। মুহঃ পতন জলের...
ছাতিম গাছের ডালে বাসা বাঁধো জ্বর? কুহকের চোখে লাল! বরেণ্য উত্তাপ, আমি যে অনুস্বর। মনে জল দরদী টান। ছুঁয়ে থাকি, রঙ্গ কাঁপনের হাত। ঘোরের ভেতরে এসে পড়ে প্রাচীন এক হলুদ...
শ্রুতিবিদ্যার নৈপুণ্যতা বিষয়ক জ্ঞান আমাদের ছিল না। ধী-সূচকের পাশে দাঁড় করিয়ে মৃদুল স্যার প্রশ্ন করল, কবি ও কবিতার যোগসূত্র কী? রক্ত আর লালা? সঙ্গম আর যুগ্মতার মধ্যে ফারাক কেমন?
নন্দীদৃষ্টিগুলো...
পেঁচা হল সব থেকে বিচ্ছিরি পাখি, পড়ন্ত বেলায় ডাহুকের কান্না তোমার মনোযোগ কেড়ে নিলে তুমি ভুলে যাও গোধূলী আর সন্ধ্যা মিশে যাচ্ছে একে অন্যের ভেতর। রাতযোগে মনে নোঙ্গর ফেলে অজস্র...
একটা শিশির ভেতর মানুষ কেন যেতে চায়? অতটা সৌন্দর্য নিয়ে না ফুটলেও নাম্বিয়া প্ল্যান্টের ওয়েলউইটচিয়া মিরাবিলিস সুগন্ধ নিতে শিশিবদ্ধ জীবন কাটাতে হয়! কবিরা আসলে কী সব লিখে, তার চেয়ে বেশী...
₪₪₪₪
প্রাংশূন্নত ময়ূখ-পুকুরে কারা আসে চক্ষু-স্নান সারাতে? এক নিবর্তনী বায়ুতে ওরা কতটুকু নিদ্রা সরায়! রাহিত্যের ঘর্ম-বিন্দু ফুটে উঠতেই বাজে তূর্ণশিঙ্গা। ঔদাস্য প্রভু আজও শজিনা-বৃক্ষের পথ ধরে চৌবাড়ী যায়, লাটিম-কৌশল তখনও ঘুরতে...
আমার দরদী কন্ঠ তুমি রাখিলে মনে, সেই ঢের। এই সুদূরে কেবল কুমড়ো ফুলের স্বাদটুকু লয়ে ফেলিয়া আসিলাম বাটীর রন্ধনশালা, তোমার বিছানো পাটি আর দুঃখ রুমাল! রাখিও সহি সালামতে। জরুল গাছের...
অনুকম্পনের অনুচ্ছেদে গহীন যাত্রার ধূলি, বক্ষদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পদছাপ। অরণ্য, ক্ষেত, মরা নদী পেরিয়ে চলে গেছে সম্মূখের পথ। পাতালে নিমজ্জিত তলসমূহ এবং যাত্রা সংক্রান্ত মহাকাল ঘুমে_ ছায়ার আদলে...
খুঁত
বিষাদের সুতোয় বোনা রাতে শুনি উটপাখির শ্বাস। উড়ন্ত-জীবনের পুস্তক লিখে চলেছে কেউ; বাকলে বয়সের দাগ নিয়ে গাছগুলো জানে।
জানে, নিখুঁত কোন কিছু নিশ্চয় খুঁতহীন হয়।
----
সন্ধান
প্রতিটা অহর্মুখ...
* খেলা
সারারাত কৃষ্ণকলা
সর্প নিশ্বাস জমা হচ্ছে তোমার নিঃশেষ বিন্দুতে
ছায়াসুন্দরে অগ্ন্যুৎপাত দৃশ্য, উলুবনে দৌড়ে বেড়াচ্ছে কেউ
সমূহঅস্থি এখন সময়ের ট্রামলাইন
কম্পনের বাঁকা খোপরে ঘুমিয়ে যাচ্ছ কেবল
সূর্যের গাড়ি এসে নিয়ে যাবে অবশিষ্ট যাত্রাপথ...
দিনান্ধ বাদুরের...
*সম্ভাব্য
আরশের বলয় ছাড়াতেই সবকিছু হলুদ
পাতার ফটকের নিকটে হয়ে থাকো অর্ধেক
বাইশ দূরত্বের পর শর্করা দেহজ
গোস্বার ঢেউ শেষে কে হয় মিছিরির দানা!
প্লাস্টিক অভিজ্ঞতা পুড়তেই আত্মবাজি খেলা
নিয়ন চাদর...
রঙের সাঁকো দোলাও বেরঙা বাতাস
কাজলনিদ্রার কোল, ডেকে গেলে ডাহুকের দল
সন্ধ্যা বাতির দিকে নেমে যায় পরিচিত গলি
নাম ধরে ডাকতেই স্মৃতিগুলো সিনেমা পোষ্টার
কূজনেরা বাসা বাঁধে, হৃদবৃক্ষ পাতার আবডালে
জেগে থাকো নীল আলোর দেশ,...
পুরনো অশ্বত্থ জড়িয়ে আছে স্বর্ণলতা
অবিকল আমি আর আমার শব
গাহন নৈপুণ্যতা হয়ে আছি পরস্পর
জ্বরমগ্নতায় মৃতচাঁদ, চূর্ণখবর হতে
শুনি মায়ের স্বর ক্ষীণ হয়ে আসছে
পবনে চুল, ইঞ্জিনগাড়ি চড়ে চলেছি কোথায়
মনে পড়ে, বেয়ারিং...
©somewhere in net ltd.