![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্বাসবৃক্ষের মুহূর্ত খয়েরী বয়সবাকলে
স্পর্শনরম চিন্তানিমগ্নতায় রটে যাওয়া নদী
সাদাকালো-রঙিন সঙ্গম পুরনো ও পুরাণ
ছায়াজল জমে মদ হয়ে উঠি।
সেকেন্ডের খারাঝিলিকগুলো উদাসীকালকে
জোনাকীর'ই মিহি আলো ছিলো
পথ নির্দেশ দিতে গেলেই হাস্যবয়ান
কৃষ্ণ পার হয়ে চূড়ায় যাও, রক্ত...
বিগত কুসুম, স্কেচফুল পাঁজর থেকে
গন্ধ শুঁকতে যাওয়া বালিকাংশ
বারান্দায় ন্যানো রোদ এনভেলাপে ভরে যায়
বসন্তগুলো হৃদশুমারি করে ফিরে গেলে
সপ্ত আসমানী বাঈজীর অঙ্গভাঁজে সেঁটে যায় কয়লা জিহ্বাগুলো,
অনিরুদ্ধ বারুদ জাহাজের তীব্র হুইসেল ধ্বনির কম্পনে...
কালো দেয়াল ভেঙ্গে চক্রাকার অভেদ্য রাত
হ্যান্ডশেক সাঁকোর দুই পাশে ওয়াক্ত কাযা
কিনে নাও ময়ূর কোর্তা, আড়াই বছরের রাজপুত্তুর ঘোড়া
রঙ্গীন ঘুড়ি হয়ে মেইল বাক্সের খাম
জমছে ক্যালেন্ডার
পিতলের সৈনিক চেলে ভিক্টোরী মোমের আসন
ভায়োলেট সিগন্যাল...
অগ্নিউদ্যানের পরেই এক নষ্ট দ্রাঘিমা, কাঁপছে নিঃশব্দ ঘুঙুর। মখমলের বন হতে কুড়িয়ে পাওয়া জরিমুখ সোনার মন্দিরে সাজাই। জ্যোৎস্না ছেঁড়া ঝিল্লির নিচে কসমপাহাড়, প্রতিধ্বনিত শুশ্রষায় মৃত্তিকার পাখিবন্ধচোখ। নক্ষত্র মঞ্জুরি পথে উড়ুক্কু...
অনেক অনেক দিন সহ্য হয় না মানুষ
নীল ও অস্তরঙ অগ্রাহ্য করে
অগ্রাহ্য করে লোভাতুর উড়ন প্রাণ ও শূন্যযান
কেবল পাথরের দেয়ালে কান রেখে শোনা সমুদ্রের ঢেউ
আলাপচারিতায় লোক, সমাজ-শিক্ষা-অর্থ এবং
সবশেষে অজস্র ঝিঁঝিঁডাক
তার মধ্যে...
বাঘের চামড়ার মত চাদর পরে পাখিওয়ালা লোকটি মুক্তির পয়গম নিয়ে এলো। অন্য কোন মাধ্যমের অপেক্ষা নিষ্ফল। কল্পিত মাছেদের জলসায় স্নেহময়ী জলজ অগ্নি ভেবে মনে হলো শিশুর মুখে গুঁজে দেওয়া স্তন।
ভাঙ্গো...
কিসের উল্লাস শোনা যায় কান পাতলেই?
কারা ওরা ?
আনন্দ আশ্রমে ঝুলিয়ে রেখেছে যোনি খন্ড !
ঘামের
কামের
কিসের ঘূর্ণন সূত্র লিখছে তাঁরা?
নীলাভ বেদনার আসমানের দিকে
কোন শববাহি দল ছুটে চলেছে/
আগুনের ইশকুল, নৈবেদ্য নিঃশব্দ নদী
সব ফেলে...
মর্মপালক, গদ্য পতন ও পবন বন্ধুত্বের পূর্বোত্তর
স্থানচূতির কথা স্মারকে বাঁধাই।
কম্পমান অধিকতর যুক্তকেশরগুচ্ছ,
খসে পড়া মুহূর্তের অপূর্ব দৃশ্য নিমিলিত চোখে ফুটিয়ে রাখছে কোন ধ্যান-নিমগ্ন মহাপুরুষ!
বৈরাগ্যতার ছোঁয়া পেয়ে ক্রূর হয় দিব্য-অনল; বশ্য দর্পণে...
দাহবিতান পাঠ করে চলেছে গম্ভীর গায়েবী কন্ঠ, সেই সুরে একে একে খসে পড়ছে ঋদ্ধ তারা।
দিবান্ধ ঐশ্বরী চোখ অত্যোজ্জলতা কুড়োয় অন্ধকারে। এক ফাঁকে মূর্খ-গুণানুবাদের কাছে নত হয়ে পড়ছে দীপশিখা।
তরুণ প্রমোদসমূহ ক্রমে...
দেবতা সাক্ষাৎ শেষে এগিয়ে আসছে কতিপয় স্বর, এতো শ্রুতিমধুর! গলে গলে পড়ছে মূর্ছনা। সেই অকস্মাদ্বাসনায় বিকল হয়ে যাচ্ছে ভয়ানক দাবাগ্নি। কারো হাত হতে হঠাৎ খসে পড়তেই রক্ত করবী, ভূমিতল অসহ্য...
অসংখ্য তারাবাতি জ্বলে উঠে উদোম শরীরে
ছুঁতে চাইলেই নিভে যায়
শিসের বাতাসে তুমি যখন শিখতে চাইছো টিজ
গান ভাল লাগছে অশ্লীল...
বরং মৈথুনে জমে যাচ্ছে আগ্রহ বেশ।
দেখছ, মাগীবাজগুলো ব্যাটা হয়ে উঠছে ক্রমশ
রিংগনের মহাসুরে উন্মোচিত...
ছায়ানাশী গান বাঁধছে যারা, তুমি তার তুচ্ছ শ্রোতা।
শুভ্র সূচনার সাথে ভরাট কন্ঠে মাখালে ভাঙ্গা চাঁদ।
নদী বন্ধ চোখ পরাণ-অন্ধ
গোধূলীর বান্ধবপাখি দরদেরা চলে গেছে ।
শঙ্খনাদের দিকে ভেসে যেতেই সুর-শূলন ব্যাধি গ্রাস
হৃদপটে অলঙ্কৃত...
বয়ষ্ক বট-বৃক্ষের নিচে লোকটা কি করতো?
ভিক্ষে করতো? ধ্যান করতো নাকি নিজেকে উলঙ্গ করতো?
লোকটা কি বৃক্ষকে গৃহ ভাবতো/ নিজেকে পাখী?
তারপরে কি হলো ?
এসব কুরঙ্গ আর ধ্যানের পরিচ্ছদ ফেলে-
দেহটাকে ভার মুক্ত করলো,...
* ডার্ক ক্যাপশন
বৃত্তের ভিতর ভাঁজ করছি মঙ্গলচাঁদ। যেসকল দানায় গুনেছি স্ট্রিট লাইটের ঝকঝকে দাঁত ওসব বুদ্ধের মালার পুতি ছিলো, বহুপরে জেনেছি। বংশকূপে আজও খুঁজে চলেছি ২০৬ টি হাড়গোড়! এক সর্পমস্তকী...
গাছেরা আলিঙ্গনের সুখ বোঝে লতাদের কাছে। যতসব পাখিরা সঙ্গমের মধু খায় ফুলেদের যোনীদ্বার থেকে। একটা চুমুর হাওয়া এলে উলঙ্গ হয় সদ্য যুবতী।
পাহাড়ের দুগ্ধ তৃষ্ণা মেটায় ঝর্ণা, সমূদ্রের নাভীতে সুঘ্রাণ এলে...
©somewhere in net ltd.