নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Poriborton chai

Shurjodoy

Shurjodoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধ নিয়ে উদ্বিগ্ন অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রী

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৯

তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীনের তিনটি হাইড্রোপাওয়ার বাঁধ প্রকল্প নিয়ে শঙ্কিত ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম তুকি। তুকি বলেন, “চীনের ওই তিনটি বাঁধ ভাটি অঞ্চলের এলাকার স্বার্থে আঘাত হানবে।”



চীনের কাছে এ ইস্যুটি তুলে ধরার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “চীনের কাছে এ ইস্যুটি তুলে ধরার জন্য আমরা নয়াদিল্লির কাছে খুব শিগগিরই যাব।”



তিনি বলেন, “এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় কিন্তু আমরা নিশ্চিত নয় বাঁধগুলো কত বড়..।”



দুই হাজার ৯০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র তিব্বতে সাঙপু নামে পরিচিত। বঙ্গোপসাগরে পতিত হওয়ার আগে এশিয়ার দীর্ঘতম নদীটি তিব্বতে এক হাজার ৬২৫ কিলোমিটার, ভারতে ৯১৮ কিলোমিটার ও বাংলাদেশে ৩৬৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বয়ে গেছে।



চীন খরাপীড়িত প্রদেশে পানির প্রবাহ সরিয়ে নিতে ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চীন।



চীনের এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সরকারগুলো।



ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি লিখেছেন, ব্রহ্মপুত্রে তিন বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার।



তুকি বলেন, “যদি চীন বাঁধ নির্মাণ করে তাহলে আমরা কিছুই করতে পারব না। আমাদের উদ্বেগ হচ্ছে যে ভাটি অঞ্চলের জনগনের জীবন যেন বাঁধের কারণে আক্রান্ত না হয়।”



১৩০ কোটি জনগণের পানির চাহিদা মেটাতে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গত মাসে দাগু, চিয়াচা, জেইশু তিন বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে চীন।



চীনের সরকার জানিয়েছে, হাইড্রোপাওয়ার বাঁধ বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা বা ভাটির অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানগত পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।



বিশেষজ্ঞরা জানান, যদি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় তাহলে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয নেমে আসবে।



ভারতের আসাম ও অরুণাচল প্রদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হচ্ছে কৃষি। কৃষিবিজ্ঞানীদের মতে, এ দুই রাজ্যের ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের ৮০ শতাংশ জীবন নির্বাহ করে কৃষিকাজ করে।



ভারত ও চীনের মধ্যে পানি ভাগাভাগি নিয়ে কোনো চুক্তি নেই। তবে দেশ দুটির একটি কার্যকরী কমিটি রয়েছে যেটি নদীতে পানির প্রবাহের পরিমাণসহ তথ্য বিনিময় করে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

সুখোই-৩৫ বলেছেন: মর মর, আমরা তো এমনিতেই এখন মরা, কোন পানি পাই না, এবার তোরাও মর।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: valo hoiche,

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২

বলশেভিক বলেছেন: দোয়া করি চীন যাতে আরো বাধ দিয়ে ভাড়তীর কুকুরদের অবস্থা টাইট করে দেয়।কেননা ভাড়তমাতা এমনিতেও আমাদের পানি না দিয়ে মারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.