নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Poriborton chai

Shurjodoy

Shurjodoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিটিসেল আর্থিক সঙ্কটে

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯

ক্রমাগত গ্রাহক কমতে থাকায় বড় ধরনের সঙ্কটে পড়েছে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর সিটিসেল।



তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির সেবার নিলামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হওয়ার পরও ‘আর্থিক সমস্যার কারণে’ সিটিসেল বৃহস্পতিবার দুই কোটি ডলারের আর্নেস্ট মানি জমা দিতে পারেনি। ফলে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছে ১৯৮৯ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানটি।



সিটিসেলের এই আর্থিক সঙ্কটের কারণও বেশ স্পষ্ট। দেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা দশ কোটি ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও প্রতি মাসেই গ্রাহক হারাচ্ছে সিটিসেল।



বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, কেবল জুলাই মাসে সিটি সেলের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ লাখ ৮০ হাজার থেকে ১৩ লাখ ৬১ হাজারে নেমে এসেছে।



গত মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ। বছরের শুরুতে তাদের সেবা নিত ১৫ লাখের বেশি গ্রাহক। গত ৩ বছরে সিটিসেল ৫ লাখ ৯২ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে।



এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কৌশল বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।



সিটিসেল পরিচালকাকারী প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন “সিটিসেল এ মুহূর্তে ডেটা (ইন্টারনেট) ব্যবসায় দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে আর সিটিসেলের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতেও নতুন কৌশল নেওয়া হবে।”



বিটিআরসির হিসাবে গত জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫৬ লাখের বেশি, যাদের মেধ্যে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ব্যবহার করেন মোবাইল ইন্টারনেট।







সিটিসেল থ্রিজি নিলামে অংশ নিতে না পারলেও সিডিএমএ প্রযুক্তি দিয়ে ডেটা ব্যবসায় এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন মেহবুব চৌধুরী।



অবশ্য প্রযুক্তিগত কৌশলের অংশ হিসাবে গতবছর শেষ দিকে সিটিসেলকে জিএসএম প্রযুক্তিতে রূপান্তরের জন্য বিটিআরসির কাছে আবেদন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু সেজন্য একশ কোটির বেশি টাকা তাদের জমা দেয়ার কথা ছিল, যা তারা আর পরে দেয়নি।



এছাড়া টুজি লাইসেন্স নবায়নের জন্য সিটিসেলের যে অর্থ দেয়ার কথা, তার প্রায় ১০০ কোটি টাকা এখনো বাকি আছে বলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।



প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে কথা বলতে রাজি হননি সিটিসেলের সিইও।



তবে সিটিসেলের সবচেয়ে বড় অংশীদার সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল গত বছর এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত তাদের লোকসান হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার। তার আগের বছর তাদের লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার।



সিটিসেল, অর্থাৎ প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের ৪৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে সিংটেল এশিয়া প্যাসেফিক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হাতে। এছাড়া ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং প্যাসেফিক মোটর লিমিটেড ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক।



বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন ‘অ্যামটব’ এর জেনারেল সেক্রেটারি টিআইএম নুরুল কবির সিটিসেলের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চাননি।



বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বর্তমানে মোবাইল ফোন শুধুমাত্র কথা বলাতেই সীমিত নয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বহুমাত্রিক সেবা নিচ্ছে, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে।”



বেসরকারি অপারেটরগুলো থ্রিজি সেবা চালু করার পর গ্রাহক সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন নুরুল কবির।



চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়াত্ব মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকসহ ও চার বেসরকারি অপারেটরের মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা জুন মাসের তুলনায় বেড়েছে, কমেছে কেবল সিটিসেলের।



ওই সময় পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ, যা জুন মাসে চার কোটি ৪০ লাখ ছিল। বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি ৭৩ লাখ হয়েছে। রবির গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ২৯ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ।



এয়ারটেলের গ্রাহক ৭৮ লাখ থেকে ৭৯ লাখ এবং টেলিটকের ১৯ লাখ ১০ হাজার থেকে বেড়ে ১৯ লাখ ২০ হাজার হয়েছে।



কেবল সিটিসেলের ক্ষেত্রে এক মাসে গ্রাহক কমেছে প্রায় ১৯ হাজার; ১৩ লাখ ৮০ হাজার থেকে বমে হয়েছে ১৩ লাখ ৬১ হাজার



উৎসঃ বিডিনিউজ২৪

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩১

রাখালছেলে বলেছেন: আহা....ব্যাপারটা কষ্টদায়ক । কিন্তু বাস্তবতা হল তাদের সীমাবদ্ধতা অনেক বেশী । তাই ব্যবহার করতে ইচ্ছা করে না । সমবেদনা রইল তাদের জন্য ।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: এইডা একটা বুদাই কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে। নেটওয়ার্ক ঠিক না করে কোন কোম্পানী কোন দিনই ভাল ব্যবসা করতে পারবে না। হ্যান্ডসেটগুলো নিম্নমানের। কয়েক মিনিট কথা বললেই কান গরম হয়ে যায়। এসব সীমাবদ্ধতা না উতরাতে পারলে একদিন যাদুঘরে হান্দাই যাবে।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: সিটিসেল এক সময়ে খুব ভালো সার্ভিস দিত। তাদের ভয়েস কোয়ালিটি খুব ভাল, কিন্তু তারা সেটের ব্যাপারে তাদের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে না পারায় বাজারের অন্য মোবাইল অপারেটরদের সাথে প্রতিযোগীতায় পেরে উঠছে না। এখন ডাটা ট্রান্সফারের উপরে জোর দিলেও তারা ভয়েস কোয়ালিটির মান ঠিক রাখতে পারবে না। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে তাদের বিপর্যয় অবধারিত।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ২৫ পয়সা বন্ধ করার পর থেকেি সিটিসেল ডুবসে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.