![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে চরে উঠে যাওয়া লঞ্চ দীপরাজ এখনো কীর্তনখোলার চরেই আটকা পড়ে আছে। লঞ্চটির ইঞ্জিন পানিতে ডুবে যাওয়ায় কীর্তনখোলায় তেল ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অগ্রণী নামে বিআইডব্লিউটিএর একটি ইঞ্জিনচালিত নৌ-যান উদ্ধারকাজে পাঠানো হলেও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে লঞ্চটির উদ্ধার কাজ এখনো শুরু হয়নি।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় এমভি দীপরাজ। পথে রাত ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কীর্তনখোলার চর আবতানী (বেলতলা) চরে আটকা পড়ে।
পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ লঞ্চটি চর থেকে নামানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ঘণ্টাখানেক পরে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়।
শনিবার সকালে লঞ্চে থাকা বাকি অন্তত দুই শতাধিক যাত্রী নেমে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন।
শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত চর থেকে নদীতে নামানো যায়নি দীপরাজকে।
রিয়াজ নামের লঞ্চের এক কর্মচারী জানান, এতে পেছন থেকে লঞ্চটির ডেকে ও তলায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে লঞ্চের ইঞ্চিন রুমে থাকা তেল নদীর পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে, সকাল ৭টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ অগ্রণী নামে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান উদ্ধারকাজে পাঠালেও লঞ্চটি উদ্ধারে এখনো কাজ শুরু হয়নি। কখন শুরু হতে পারে তাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের জানান, সকাল ৮টার মধ্যে লঞ্চে থাকা বাকি দুইশ’ যাত্রী নিরাপদে তাদের গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন। এরপর সেখান থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য শুক্রবার রাত থেকে মোতায়েনরত পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে আনা হয়েছে।
বর্তমানে লঞ্চটি মালিক ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
বরিশাল নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল বাসার জানান, লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে উদ্ধারকারী সংস্থা ও প্রকৌশল বিভাগের আলাপ-আলোচনা চলছে। তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছালে উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
দীপরাজ লঞ্চের বরিশাল অফিসের ব্যবস্থাপক নিয়াজ মোর্শেদ অভিযোগ করেন, লঞ্চের মাস্টার মো. আক্তারুজ্জামানের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাস্টার প্রায়ই অন্য লঞ্চের সঙ্গে আগে যাওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে তাকে বকাঝকা করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাস্টার ইচ্ছে করেই লঞ্চটি তীরে উঠিয়ে দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে লঞ্চের মাস্টারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারকারী যান অগ্রণীর চালক মোকছেদ আহম্মেদ জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে যে কোনো সময় দীপরাজের উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে
আরটিএনএন।
©somewhere in net ltd.