![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিতে খরা চলছে। সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই দাতারা প্রতিশ্রুতি কমিয়ে দিয়েছে। দেশের অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উন্নয়নসহযোগী বা দাতাগোষ্ঠী সহায়তা দেয়ার পরিমাণ কমে আসছে। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ কমে গেছে।
গত বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের চেয়ে চলতি বছর একই সময়ে প্রতিশ্রুতি কমেছে ৫৪ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার ডলার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটা অনিশ্চয়তা ও গোমট অবস্থা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকার কারণে দাতারা নতুন করে কোনো অঙ্গীকার করতে চাচ্ছেন না। তারা এও বলছেন, প্রতিশ্রুতির চেয়ে ছাড় বেশি হওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে মাত্র ৮৯ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ১৪৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
আর জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩২ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
সূত্র বলছে, কাঙ্খিত পর্যায়ে প্রতিশ্রুতি না এলেও অর্থছাড়ের পরিমাণ কিছুটা হলেও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থছাড় করেছে ৯০ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
এই বৃদ্ধির পরিমাণ হলো এক কোটি ৪৭ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দাতাদের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৫৩ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ হয়েছিল ৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
চলতি অর্থবছরে যে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে, তার মধ্যে আসল ৪৫ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং সুদ সাত কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরে পরিশোধকৃত অর্থের মধ্যে আসল ছিল ৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং সুদ সাত কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
ইআরডির তথ্যানুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে ঋণ ও সহায়তা মিলে দাতাদের প্রতিশ্রুতি ছিল ৫৮৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এর বিপরীতে তারা ছাড় করেছিল মাত্র ২৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, গত কয়েক বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল আছে, তারই ফল হচ্ছে এই বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। কমিটমেন্ট তো অনেক থাকে। কিন্তু ছাড় কত বেশি হলো সেটাই আমাদের দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থ ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই তাদের অর্থ ছাড়ও বেড়েছে। বতর্মানে পাইপলাইনে আছে ১৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আমরা বছরে পেয়ে থাকি আড়াই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার ব্যাপারটাই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দাতারা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটা অনিশ্চয়তা ও গোমট অবস্থা, বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে দাতারা নতুন করে কোনো অঙ্গীকার করতে চাচ্ছে না।
অর্থ ছাড় ও প্রতিশ্রুতি দেয়ার ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিটাকে দাতারা বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
খেলাঘর বলেছেন:
আপনি চিন্তিত?