নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Poriborton chai

Shurjodoy

Shurjodoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াইম্যাক্সের লক্ষ্য পূরণ হয়নি

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

দেশে যে উদ্যমে ওয়াইম্যাক্স সেবা শুরু হয়েছিলো তা অর্জিত হয়নি।পূরণ হয়নি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। ওয়াইম্যাক্স সেবা গ্রহণ থেকে ক্রমে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।

দেশে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেটসেবা শুরু হয় ২০০৯ সালে। পারফমেন্সের দিক থেকে শুরুতে এটি ছিলো আশা জাগানিয়া। ২০১২ সাল পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জনের পথেই ছিলো সেবাদানকারী কোম্পানিগুলো।

প্রথম বছর বেঁধে দেয়া টার্গেট ছিল ১৫ হাজার, দ্বিতীয় বছর ৩৫ হাজার, তৃতীয় বছর ৮০ হাজার, চতুর্থ বছর দুই লাখ ও পঞ্চম বছর পাঁচ লাখ গ্রাহক অর্জন।


কিন্তু সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াইম্যাক্স গ্রাহকের সংখ্যা ২ লাখ ৫৮ হাজার। যদিও ১৬ মাস আগে এই সংখ্যা ছিল প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর জুন মাসে ওয়াইম্যাক্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৪ হাজার।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) তথ্যমতে গত এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৪৬ হাজার গ্রাহক এই সেবা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

দেশে বর্তমানে তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন, কিউবি ও ওলো ওয়াইম্যাক্স সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম লাইসেন্স পায় বাংলালায়ন ও কিউবি। ২০০৮ সালে নিলামের মাধ্যমে ২১৫ কোটি টাকায় ওয়াইম্যাক্স সেবা দেয়ার লাইসেন্স নেয় এ দু’টি প্রতিষ্ঠান।

লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও গ্রাহকসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিবছরের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেবাদান শুরুর পর এরই মধ্যে চতুর্থ বছর পার করেছে বাংলালায়ন ও কিউবি। চতুর্থ বছরের রোল আউট শর্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটির জন্য নির্ধারিত অঞ্চলের ৬৫ শতাংশ এলাকা নেটওয়ার্কের আওতায় আনার বাধ্যবাধকতা ছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত নেটওয়ার্ক দুর্বলতা ও ইন্টারনেটে গ্রাহক সেবার মান বাড়ানোর ব্যর্থতার কারণে ওয়াইম্যাক্সগুলো পিছিয়ে পড়ছে। এছাড়া চার সেলফোন অপারেটরের থ্রিজি সেবা চালু হওয়ায় তারবিহীন দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি হওয়ায় ওয়াইম্যাক্স সংযোগ বন্ধ করছেন অনেকেই।

আগামী কয়েক বছরে এ সেবার সার্বিক অবস্থা কি দাঁড়ায় তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, ইন্টারনেট সেবার ধরনে পরিবর্তন ঘটায় ব্যবসায়িকভাবে তারা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। তবে এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন। গ্রাহকদের অনাগ্রহের কারণে ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিরা বেশ কিছু গ্রাহকসেবা বুথ বন্ধ করে দিয়েছে। অথবা সঙ্কুচিত করেছে।

২০০৯ সালে ঘটা করেই বাংলাদেশে শুরু হয় ওয়াইম্যাক্স সেবার পথচলা। বিটিআরসি জানিয়েছে, সেবা শুরুর পর থেকে ২০১২ পর্যন্ত লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী গ্রাহক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলেও গত বছর থেকে নিম্নগামী হতে থাকে এ ধারা।

লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী চতুর্থ বছর শেষে দুই প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম দুই লাখ করে গ্রাহক হওয়ার কথা থাকলেও তাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। অপর প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের দেয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াইম্যাক্স গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে গ্রাহক ছিল ২ লাখ ৬২ হাজার, আগস্টে ২ লাখ ৭১ হাজার, জুলাইয়ে ২ লাখ ৭৬ হাজার, জুনে ২ লাখ ৮০ হাজার, মে মাসে ২ লাখ ৯১ হাজার, এপ্রিলে ২ লাখ ৯৬ হাজার, মার্চে ৩ লাখ ১ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে আবার কিছুটা কমে ২ লাখ ৯৯ হাজার হয়। জানুয়ারিতেও তা ছিল ৩ লাখ ১২ হাজার।

২০১৩ সালের জুন মাসে ওয়াইম্যাক্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকসংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই সময় গ্রাহক ছিল ৫ লাখ ৪ হাজার। একই বছর জানুয়ারিতে ছিল ৪ লাখ ৬৭ হাজার।

২০১২ সালের জুলাই মাসে ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার এবং একই বছর ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক ছিল ৩ লাখ ২৩ হাজার।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: তথ্যগুলো জেনে ভাল লাগলো।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ওয়াইম্যাক্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা এমন সব এলাকায় সীমিত রেখেছেন, যেখানে তার চেয়েও সস্তা ব্রডব্যান্ড ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় - একারণে এলাকাভিত্তিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাপটে তারা মার খাচ্ছেন।

যদি তারা ইন্টারনেট সেবা দানের জন্য ঢাকার আশেপাশের এলাকা যেমন সাভার, ধামরাই, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, ডেমরা, ভুলতা এসব জায়গা বেছে নিতেন, তবে কাভারেজ দিতে পারতেন বেশি আবার অনেক গ্রাহকও পেয়ে যেতেন এমনিতেই।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

নীল আতঙ্ক বলেছেন: ভালো লাগলো।
কথা গুলো সত্যি ।
++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.