![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তীব্র প্রতিবাদ আর সমালোচনার মুখে নতুন বছর থেকে প্রথম দিন থেকে বাতিল হলো ‘সুপার ট্যাক্স’। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলাঁদের এ কর ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের অর্থনীতিকে টেনে তোলা।
গত মার্চে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হন ম্যানুয়েল ভেলজ। অক্টোবরে লন্ডন সফরের সময় তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ নিয়ম আর থাকবে না।
ওলাঁদের আরোপিত সুপার ট্যাক্স অনুসারে, ১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি (১ দশমিক ২২ লাখ ডলার) আয় করলে, আয়ের ওপর ৭৫ শতাংশ কর দিতে হবে। ২০১২ সালে এ নিয়ম চালু করা হয়েছিল।
মধ্যবিত্তদের জন্য ন্যায্য নীতি এবং দেশের অর্থনীতিতে বিত্তশালীদের অবদান বাড়াতে এ নীতি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দেশটির ধণিক গোষ্ঠীর কাছে এটি ছিল জোর করে চাপিয়ে দেওয়া এক ব্যবস্থা।
এ কর আরোপের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা এটিকে ব্যবসাবিরোধী আইন বলে উল্লেখ করেন। অনেকে বলেন, এ নিয়মের মাধ্যমে সরকার নিজ পায়ে কুড়াল মারলো। বিনিয়োগকারীরা ও ধনী ব্যক্তিরা ফ্রান্স ছেড়ে যেতে পারেন বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর ফ্রান্সের শীর্ষ ধনী, এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বার্নাড আরনল্ট বেলজিয়ামের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। অভিনেতা জিরার্দ ডেপারডিউ নেন রাশিয়ার নাগরিকত্ব। এ ছাড়া উচ্চ আয় করা ফ্রেঞ্চ ফুটবলাররা দেন ধর্মঘটের হুমকি।
পাশাপাশি সংখ্যাগরিষ্ঠ করদাতারা এ নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানান। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও এ নীতিকে বাতিল করে দেয়। কিন্তু ওলাঁদের সরকার সুপার ট্যাক্সে অনঢ় ছিল। সূত্র: গার্ডিয়ান।
©somewhere in net ltd.