![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চীনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট (এআইআই) ব্যাংকে আরো পাঁচটি দেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে। সব মিলিয়ে নবগঠিত এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিয়ে দাঁড়াল ২৬-এ। এর আগে গত বছর ২৪ অক্টোবর চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বাংলাদেশসহ ২১টি দেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছিল। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এআইআই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল চীন সরকার। কোনো দেশ যদি এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে চায়, তাকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমঝোতা স্মারকে সই করার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল চীন। সেই প্রস্তাবের আলোকে নতুন করে পাঁচটি দেশ যুক্ত হয়েছে। দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, সৌদি আরব, নিউজিল্যান্ড ও তাজিকিস্তান। চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে শেষ পর্যন্ত জাপান এই ব্যাংকে যোগ দেয়নি। এখন থেকে কোনো দেশ আর এআইআই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে পারবে না। সেই সুযোগ আর নেই। এখন শুধু সদস্য দেশ হতে পারবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলে ভেটিং ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
এদিকে চীনের 'বিশ্বব্যাংক' খ্যাত এই ব্যাংকটি কিভাবে পরিচালিত হবে সে জন্য একটি খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের এক কপি সব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশের কাছে পাঠানো হয়েছে। সে খসড়া গঠনতন্ত্রের ওপর মতামত নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে দুই দিনব্যাপী বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানে সব দেশ থেকে একজন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান। ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, নবগঠিত এই ব্যাংকটি পরিচালনার জন্য যে গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, তার ওপর মতামত নিতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে গত নভেম্বরে চীনের কুনমিংয়ে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি হবে দ্বিতীয় বৈঠক। আর তৃতীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে পাকিস্তনে। সব দেশের মতামত নিয়েই গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি। আজ শুক্রবার দুই দিনব্যাপী ওই বৈঠক শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এআইআই ব্যাংকে আরো পাঁচ দেশ
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, এআইআইবি নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর চীনের সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে সরকার, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও পর্যালোচনার জন্য সাত সদস্যের একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রধান করা হয়েছে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামানকে। কমিটিতে অর্থ বিভাগ, ইডকল, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিও রয়েছেন। এআইআই ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ কী পরিমাণ শেয়ার নিতে পারে, সে বিষয়ে কাজ করছে এই কমিটি। এ ছাড়া এআইআই ব্যাংক পরিচালনার জন্য কিভাবে ফান্ড সংগ্রহ করা হবে তা পর্যালোচনা করছে কমিটি। একই সঙ্গে এআইআই বাংকের গঠনতন্ত্রের বিষয়েও এই কমিটি তাদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরছে। এই কমিটি যেসব মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেছে, ১৫ ও ১৬ জানুয়ারির বৈঠকে সেসব বিষয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হবে।
চীন সরকার বলছে, নতুন এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য হলো, সদস্য দেশগুলোর চাহিদার আলোকে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত যোগাযোগ বাড়ানো। এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং অংশীদার বাড়ানো। এ অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নে আলাদা একটি ট্রাস্ট ফান্ড থাকবে বলেও জানিয়েছে চীন। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে গঠনতন্ত্র তৈরির কাজ শেষ করে ডিসেম্বরেই ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সে হিসাবে ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ এই ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে সরকার।
-kalerkantho
©somewhere in net ltd.