নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারণ একটি ছেলে সব সময় বই পড়তে ভালোবসি তাথে ব্লগ ও আমার সব থেকে পছন্দের ব্লগ হচ্ছে সামহোয়্যারইন ব্লগ।\n

নুরনবী হোসেন

নুরনবী হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেবুর খোসা যে কতটা উপকারী এটা অনেকের অজানা!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

লেবুর খোসা যে কতটা উপকারী এটা অনেকের অজানা। লেবু খেলে যতটা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়,তার থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় লেবুর খোসা খেলে। বেশ কিছু গবেষণার পর এ কথা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, লেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। সেই সঙ্গে আরো রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম,যা আমাদের শরীরের জন্য বহু উপকারী । চলুন জেনে নেই লেবুর খোসার উপকারিতা

১। রোগ প্রতিরোধের উন্নতি ঘটে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লেবুতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি,শরীরে প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
২। কিডনি স্টোনের মতো রোগ দূরে থাকে: গবেষণায় এমনটা দেখা গেছে নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে সাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। তাই এ ধরনের রোগের খপ্পরে পরতে না চাইলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেতে ভুলবেন না যেন।
৩। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: লেবুর খোসায় উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন কিছু পরির্বতন আসে যে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে আলসার এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাও কমে যায়।
৪। ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে পালায়: লেবুর খোসায় উপস্থিত সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এখানেই শেষ নয়,লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৫। মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬। সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটে: লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে এমন কিছু রদবদল হতে শুরু করে যে সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোনায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। ফলে ছোট-বড় সব ধরনের রোগই দূরে পালায়।
৭। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: পেকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝড়িয়ে ফেলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।
৮। হার্টের ক্ষমতা বাড়ে: লেবুর খোসায় উপস্থিত পলিফেনল নামে একটি উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো যাদের পরিবারে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা প্রতিদিনের ডায়েটে লেবুর খোসাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৯। লিভারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে লিভারের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না।
১০। হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে: প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: লেবুর খোসা খেতে ভালোই লাগে আমার।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

নুরনবী হোসেন বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

হাবিব বলেছেন: ভালো লাগলো.....রেফারেন্স দিলে ভালো হতো

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

নুরনবী হোসেন বলেছেন: স্যার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ,
পরবর্তীতে এই ভুল আর হবে না।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেবুর খোসা আমার প্রিয় :)
এখন দেখি এ বিশাল গুনে ভরপুর :)

+++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

নুরনবী হোসেন বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এ ব্যাপারে জানি।

আমার কাছে খেতেও ভালো লাগে :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

নুরনবী হোসেন বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

হাসান রাজু বলেছেন: আমি তো এমনি এমনি খাই।
বিক্রেতা বলে, এইটা নেন রস হইব। আমি বলি, রস কম হলেও চলবে কিন্তু খোসা সুন্দর হওয়া চাই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

নুরনবী হোসেন বলেছেন: এই পোষ্টটি যে আপনি এতো মোনোযোগ সহকারে পড়েছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে কি লেবুর খোসা খাওয়া উচিত হবে?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

নুরনবী হোসেন বলেছেন: অবশ্যই কমবে।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

ফেনা বলেছেন: খুব ভাল একটা পোষ্ট।
শুভকামনা।

আপনার এই লেখাটি জানাও ডট কম এ দিবার অনুমতি চাইছি। জানাবেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

নুরনবী হোসেন বলেছেন: এটাতো একটা ভালো পদক্ষেপ অনুমোতি নেওয়ার কি আছে।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আরবদের বেশ কিছু খাবারের মধ্যে আস্ত লেবু দিয়ে দেয়। পুরাটা সিদ্ধ হয়ে যায়। আবার সেইটা নিয়ে কাড়াকাড়ি করেও খায়! অনেককেই দেখেছি লেবুর খোসা খেতে; প্রথমে আমি মনে করতাম এটা তিতা কিছু; পরে দেখি খুবই মজার। মাঝে একদিন সবুজ আপেল কুচি করে কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়েছিলাম, মধ্যে দিয়েছিলাম লেবুর খোসা! অস্থির টেষ্ট!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

নুরনবী হোসেন বলেছেন: এই পোষ্টটি যে আপনি এতো মোনযেগ দিয়ে পড়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

বিজন অধিকারী বলেছেন: চেষ্টা করবো এখন থেকে লেবুর খোসা থেকে দেখলাম এর অনেক উপকারীতা আছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

নুরনবী হোসেন বলেছেন: অধিকারী আপনার মতো কবি হতে পারলে ভাল লাগতো

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ চমৎকার তথ্য ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

নুরনবী হোসেন বলেছেন: বোন মনিরা ‍সুলতানা আমার জন্য দোয়া করবেন এমন পোষ্ট যেন আরো উপহার দিতে পারি।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: লেবুর খোসা খুব তিতা হয়। আমি খেতে পারি না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

নুরনবী হোসেন বলেছেন: তিতা হলেও আর একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই আপনার মত এত বড় একজন কবি যে আমার পোষ্টটিতে মন্তব্য কারেছেন তার জন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: বিরিয়ানি খাবার সময় সাধারণত লেবুর খোসাও খাই। এখনতো দেখি ডেইলি বিরিয়ানি খাইতে হবে :P

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

নুরনবী হোসেন বলেছেন: তাহলেতো আপনার অনেক উপকারয়ি করলাম পোষ্টটি করে।

ধন্যবাদ পোষ্টটি সম্পর্ন পড়ার জন্য

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

নজসু বলেছেন:



সত্যি জানা ছিলো না।
ধন্যবাদ জানবেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

নুরনবী হোসেন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল লাগল উপকারী কথা ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

নুরনবী হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.