নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারণ একটি ছেলে সব সময় বই পড়তে ভালোবসি তাথে ব্লগ ও আমার সব থেকে পছন্দের ব্লগ হচ্ছে সামহোয়্যারইন ব্লগ।\n

নুরনবী হোসেন

নুরনবী হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লবুর পরিচয়

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৮

পুষ্টি মূল্য: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।

ভেষজ গুণ: লেবুর রস মধু বা আদা বা লবণ এর সাথে মিশিয়ে পান করলে ঠাণ্ডা ও সর্দি কাশি উপশম হয়।

উপযুক্ত জমি ও মাটি: হালকা দোআঁশ ও নিকাশ সম্পন্ন মধ্যম অম্লীয় মাটিতে লেবু ভাল হয়।

জাত পরিচিতি:

বারি লেবু-১ (এলাচী লেবু): উচ্চ ফলনশীল লেবু বারি লেবু-১। ঘ্রাণ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। গাছ আকারে বড়। পাতা বড় ও প্রশস্ত। পরিচর্যা পেলে গাছ বছরে দু’বার ফল দেয়। জুলাই-আগস্ট মাসে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। পূর্ণবয়স্ক গাছ ১৫০ টি পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। আকারে বড়, ডিম্বাকৃতি এবং প্রতিটি ফলের গড় ওজন ১৯৫ থেকে ২৬০ গ্রাম। বৃহত্তর সিলেট এবং আরও অনেক এলাকায় এলাচী লেবুর খোসা খাওয়া হয়।

বারি লেবু-২: বারি লেবু-২ উচ্চ ফলনশীল জাত। মধ্যম আকৃতির ও ঝোপের মতো গাছ। সারা বছর প্রচুর ফল দেয়। ফল গোলাকার, মধ্যম ওজনের। ত্বক মসৃণ এবং বীজের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এই লেবু সারা দেশেই চাষাবাদের উপযোগী।

বারি লেবু-৩: একটি দেরীতে হওয়া (নাবি) জাত বারি লেবু-৩। গাছ ও পাতা ছোট আকৃতির। ফল গোলাকার ও ছোট। ত্বক খুবই মসৃণ, খোসা পাতলা এবং বীজের সংখ্যাও কম ১৮-২২টি। রসের পরিমাণ খুব বেশি (৩৭.৭%)। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। সার ও পানির ব্যবস্থা করলে বছরে দু’বার ফল পাওয়া যায়। সারা দেশেই চাষাবাদের জন্য উপযোগী।

চারা রোপণ: গুটি কলম ও কাটিং তৈরি করে মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য আশ্বিন মাসে ২.৫ মিটার দূরে দূরে রোপণ করা হয়। মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য আশ্বিন মাস চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত।

সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গাছে টিএসপি সার ৪০০ গ্রাম, এমওপি সার ৪০০ গ্রাম, ইউরিয়া সার ৫০০ গ্রাম ও গোবর ১৫ কেজি প্রয়োগ করতে হয়। সার তিনভাগে যার প্রথম কিস্তি মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য কার্তিক মাসে, ২য় কিস্তি মধ্য মাঘ থেকে মধ্য ফাল্গুন মাসে এবং ৩য় কিস্তি মধ্য জৈষ্ঠ্য থেকে মধ্য আষাঢ় মাসে প্রয়োগ করতে হয়।

অঙ্গ ছাঁটাই: প্রতি বছর মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য কার্তিক মাসে গাছের অবাঞ্ছিত শাখা ছাঁটাই করতে হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: খরা মৌসুমে ২-৩ বার সেচ দেয়া দরকার। পানি যাতে না জমে থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

পোকা মাকড় ব্যবস্থাপনা

পোকার নাম: লেবুর প্রজাপতি পোকা

ক্ষতির নমুনা: এ পোকার কীড়া পাতার কিনারা থেকে খেতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলে।

ব্যবস্থাপনা: ডিম ও কীড়াযুক্ত পাতা সংগ্রহ করে মাটির নীচে পুঁতে বা পুড়িয়ে ফেলতে হয়। আক্রমণ বেশি হলে ডাইমেক্রন ১০০ ইসি ১ মি.লি অথবা সেভিন ৮৫ এসপি ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর সেপ্র করতে হয়।

পোকার নাম: লেবুর লাল ক্ষুদ্র মাকড়

ক্ষতির নমুনা: মাইট লেবু গাছের পাতা ও ফলের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। ফলে পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং ফলের গায়ে সাদা আবরণ দেখা যায়। পাতার নীচের দিকে লক্ষ্য করলে ক্ষুদ্র মাইট চলাচল করতে দেখা যায়।

ব্যবস্থাপনা: মাকড় সহ আক্রান্ত পাতা তুলে ধ্বংস করা। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি ইথিয়ন ৪৬.৫ তরল বা নিউরণ ৫০০ তরল মিশিয়ে লেবুর পাতা ভিজিয়ে সেপ্র করা।

ফসল তোলা: ফল পূর্নতা প্রাপ্তি হলে সবুজ থাকা অবস্থায় সংগ্রহ করতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

ঢাকার লোক বলেছেন: শিরোনামে লেবু বানান ঠিক করে দিবেন প্লিজ !

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

নুরনবী হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: জায়গা জমিতো নাই। চাষবাস করবো কেমন করে?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

নুরনবী হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য..।
আপনি না পারলে অপর কে সহযোগিতা করুন তাদের কে উৎসাহিত করুন।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

হাবিব বলেছেন: আরেকটু যত্ন নিয়ে লিখলে আরো সুন্দর হতো

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

নুরনবী হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, পরবর্তীতে আর আর একটু যত্ন সহকারে লেখার চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.