![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি দুঃখজনক সংবাদ। অনেকের কাছে হাস্যকর লাগতে পারে। তবে ব্যাপারটি যেহেতু নস্টালজিক সেহেতু খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক।
এখন তো ভিএলসি বা কেএমপি প্লেয়ারের প্রাচুর্যতার যুগ। তবে যারা এক যুগ বা তারও অধিক সময় ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করে আসছেন তারা অবশ্য এখনো উইনঅ্যাম্প কে ভুলেনি। একটা সময় ছিলো যখন কম্পিউটারে নতুন করে এক্সপি সেটাপ দেয়ার পর উইনঅ্যাম্প, জেট প্লেয়ার আর হিরো ডিভিডি প্লেয়ার সবার আগে সেটাপ দেয়া লাগতো। এমনকি কোনো ডিস্ক প্লে করার শেষ উপায় ছিলো ঐ হিরো ডিভিডি প্লেয়ার। অনেক স্ক্র্যাচ খাওয়া ডিস্ক অনায়াসেই চলতো হিরো ডিভিডি প্লেয়ারে। যারা ঐসময়ে এ মিডিয়াপ্লেয়ারগুলো ব্যবহার করেছেন তারা এখনও নষ্টালজিক যান এগুলোর কথা মনে পড়লে।
বর্তমানে একসময়ের এই জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার উইনঅ্যাম্পের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। অন্যান্য মিডিয়া প্লেয়ারের কাছে জনপ্রিয়তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এটি। সম্প্রতি উইনঅ্যাম্প মিডিয়া প্লেয়ারটিকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছে এর কর্তৃপক্ষ। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উইনঅ্যাম্প। এওএল কর্তৃপক্ষ উইনঅ্যাম্প ডটকম সাইট ও এর সঙ্গে থাকা সব ধরনের ওয়েব সেবা বন্ধ করে দেবে। এর ফলে উইনঅ্যাম্প মিডিয়া প্লেয়ারটি আর ডাউনলোড করার সুযোগ থাকবে না। ২১ নভেম্বর উইনঅ্যাম্প মিডিয়া প্লেয়ারটির সর্বশেষ সংস্করণ উইনঅ্যাম্প ৫.৬৬ উন্মুক্ত করা হয়েছে। উইনঅ্যাম্পেন ওয়েবসাইটে এই মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহারকারীদের ১৫ বছর ধরে সমর্থন করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। নব্বইয়ের দশকে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে মিডিয়া প্লেয়ার হিসেবে সবচেয়ে সামদৃত ছিল উইনঅ্যাম্প। ফ্রিওয়্যার হিসেবে ১৯৯৭ সালে জাস্টিন ফ্রাঙ্কেল ও দিমিট্রি বলদেরেভ এটি তৈরি করেছিলেন। এটি একসময় পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করতেন। এর নির্মাতা ফ্রাঙ্কেল নালসফট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে এই মিডিয়া প্লেয়ারটির উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যান। ১৯৯৯ সালে নালসফট কিনে নেয় এওএল। এমপিথ্রি ফাইল শেয়ারিং বেড়ে যাওয়ায় উইনঅ্যাম্পেরও ব্যবহার বাড়তে থাকে। এমপিথ্রি, এমআইডিআই, এমওডি, এমপিজিই-১, এএসি, এমপি৪এ, ডব্লিউএভি, ডব্লিউএমএ প্রভৃতি ফাইল সমর্থন করে এটি। একসময় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার হিসেবে এটি পরিচিতি পেয়েছিলো।
ছোটবেলার স্যুভিনিয়ার হিসেবে উইনঅ্যাম্প প্লেয়ারটি সবসময়েই পিসিতে থাকে কিন্তু ব্যবহার করা হয়না। কিছু জিনিস এমনই হয়, যতই পুরাতন হয় ততই নস্টালজিয়া বেশি কাজ করে। যাই হোক, থ্যাংক্স এ্য লট টু উইনঅ্যাম্প ফর বিয়িং দেয়ার ইন মাই চাইল্ডগুড অ্যান্ড মেইকিং ইট মেমরেবল্। ইউ উইল অলওয়েইজ বি ইন মাই হার্ড ড্রাইভ। বিদায় বন্ধু।
উইনঅ্যাম্পের বন্ধ করার ঘোষণাটি পড়তে যেতে পারেন এ লিংকটিতেঃ
→ http://www.winamp.com/media-player/en
উইনঅ্যাম্প তৈরীর পেছনের কথা জানুন এর নির্মাতার কাছ থেকেঃ
→ http://bit.ly/1ehgWru
( মুভি অ্যান্ড সিরিজ অ্যাডিক্টেড গ্রুপ থেকে সংগ্রহ)
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৯
নভেল বলেছেন: আমি লাস্ট ১ বছরের কাছাকাছি উইনাম্প ইউস করি নাই, আজ থেকে আবার শুরু করলাম
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৪
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: পুরান কথা মনে করায়্যা দিলেন। আসলে অডিও গান চলে গেছে মোবাইলে।পিসিতে মুভি আর গেম ছারা অডিও গান কমই শোনা হয়। এক সময় গান শোনার জন্য খুব ব্যবহার করতাম উইন্যাম্প।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
নভেল বলেছেন: আমিও
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১০
মশিকুর বলেছেন:
অনেকদিন হোল উইনঅ্যাম্প ব্যবহার করা হয় না
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
ভিটামিন সি বলেছেন: আমি আমার উইন৮ চালিত পিসিতেও অডিও এর জন্য উইনএম্প ব্যবহার করি আর ভিডিও এর জন্য ভিএলসি। পূর্বে ব্যবহার করতাম হিরো৩০০০ আর পাওয়্যার ডিভিডি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৬
ইলুসন বলেছেন: আমি তো এখনো অডিও গান শুনি উইনাম্পে।