নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যয় ০১

অব্যয় ০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা। বিশ্ব প্রেক্ষিতে মুসলমান ও পশ্চিমাদের ব্যাপারে কিছু তিক্ত সত্যি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

নিউজিল্যান্ডে এতোবড় হত্যাকাণ্ড কেন সঙ্ঘটিত হল? কেন ব্রেণ্টন টেরাণ্ট এর মতো সন্ত্রাসী উন্মত্ত ক্রোধ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল মসজিদে প্রার্থনারত মুসলমানদের উপর? কেন এটা ঘটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটেনে হাতুড়িপেটার শিকার হল মুসলিমরা? এর কারণ যে নেই তা মোটেও নয়। গভীর একটা কারণ আছে। বর্তমান বিশ্বে অভিবাসন প্রক্রিয়ার কারণে বিশ্বের যেসকল দেশ অভিবাসীদের দেশ বলে পরিচিত সেসব দেশগুলোতে অন্যান্য অনেক দেশের মানুষের মতো মুসলিম দেশগুলো থেকেও মুসলিম অভিবাসীরা সেসব দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। কিন্তু অন্যান্য দেশগুলোর অভিবাসীরা যেভাবে ঐসব দেশে গিয়ে সেসব দেশের কালচার বা সংস্কৃতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন, মানিয়ে নিচ্ছেন বা আত্মস্থ করে নিচ্ছেন সেসব সংস্কৃতি মুসলিম দেশগুলো থেকে যাওয়া অভিবাসীরা সেটা করতে পারছেন না। এর কারণটা বোঝা এমন কঠিন কিছু নয়। মূলত ধর্মীয় কারণে বা ধর্মীয় বাধার কারণে বেশিরভাগ মুসলিমরা এসব দেশে গিয়ে তাদের দেশের সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারছেন না। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে বিদেশে গিয়ে তারা নিজেদের কালচারাল আইডেন্টিটির জন্য ইসলামিক সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরছেন।স্বাভাবিক চোখে বিষয়টা মোটেই কোনও দোষের পর্যায়ে পড়ে না। কিন্তু ব্যাপারটা শুধুমাত্র এর মধ্যেই যদি সীমিত থাকতো তাহলে কোনও সমস্যা থাকতো না। ব্যাপারটা এর মধ্যে সীমিত নেই। পশ্চিমা দেশগুলো মূলত কালচার বা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে লিবারেল। যে কেউ তাদের দেশে গিয়ে নিজের নিজের সংস্কৃতি লালন পালন করতে পারে। যেকারণে মুসলিমরা তাদের দেশে গিয়ে সহজেই নিজেদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য লালন পালন করতে পারছেন। এখন লিবারেল কালচার এবং লিবারেল ডেমোক্রেসির সুবাদে সেসব দেশে গিয়ে একশ্রেণীর মুসলিমদের খুব খায়েশ হয়েছে, জোশ চেপেছে যে সেসব দেশে তারা ইসলামের ঝাণ্ডা ওড়াবেন। ইসলামী শাসন, শরিয়া আইন সেখানে তারা বাস্তবায়ন করবেন। এর জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে রীতিমতো আন্দোলন পর্যন্ত করেছেন সেসব দেশে বসবাসরত মুসলিমরা। শুধু আন্দোলন করেই ক্ষান্ত হননি এসব মুসলিমরা। কোনও কোনও জায়গায় রীতিমতো দলবেঁধে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ‘শরিয়া পেট্রোল’ (ইসলামী শরিয়া অনুশাসন মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য নিয়োজিত বাহিনী) করা শুরু করেছেন। সেসব দেশের বুকে বসে সেসব দেশের নাগরিকদেরই তারা ইসলামী অনুশাসন জোর করে মানতে বাধ্য করছেন। হয়রানি করেছেন সেসব দেশের মানুশদের। এসব খবর আমরা আমাদের দেশের মূলধারার মিডিয়াগুলোতে পাইনা। যেকারনে আমরা এসব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নই যে কি ঘটে চলেছে সেখানে। ইউটিউবে গেলে এসবের ওপর অনেক খবর এবং ভিডিও পাবেন। পশ্চিমা দেশগুলোতে নানা কারণেই শ্বেতাঙ্গদের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে অশ্বেতাঙ্গদের(মূলত এশিয়ান এবং আফ্রিকান) জনসংখ্যা। এসব নিয়ে শ্বেতাঙ্গদের অনেকেই বেশ উদ্বিগ্ন। যার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে হোয়াইট সুপারমেশিস্টদের অর্থাৎ শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদিদের সংখ্যা। জনপ্রিয় হচ্ছে তাদের এজেণ্ডা। যে সন্ত্রাসীটা নিউজিল্যান্ডের ঐ মসজিদে এতোবড় প্রাণঘাতী হামলা চালাল সে হচ্ছে এই হোয়াইট সুপারমেশিস্ট অর্থাৎ শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী। ইতিমধ্যেই এসব কারণে ইউরোপে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান ঘটেছে যারা তীব্রভাবে অভিবাসনবিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন আরেক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গেছে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলাকারী ঐ সন্ত্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সমর্থক। সব মিলিয়ে যা দেখা যাচ্ছে তা হল সামনে আরও কঠিন দিন আসছে। এমনিতেই ঔপনিবেশিক আমলে এই শ্বেতাঙ্গরা এশিয়ায়, আফ্রিকায় আর লাতিন আমেরিকায় কি করেছে তা আমরা ভুলে যাইনি। এখন মুসলিমরা যদি সেই মধ্যযুগীয় ইসলামী শরিয়া বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালায় তাহলে কি এই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা বসে থাকবে আর চেয়ে চেয়ে দেখবে? পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারা যদি সেই পুরনো ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চায় তাহলে কার কি করার আছে? তাছাড়া বর্তমান পৃথিবীতে শুধু ইসলামী উগ্রবাদেরই উত্থান ঘটেনি। ঘটেছে একইসাথে হিন্দু মৌলবাদ, বৌদ্ধ মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে, এমনকি খ্রিষ্ট মৌলবাদীরাও নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। এখানে ইসলামী মৌলবাদের কথা বিশেষভাবে একারনেই বলা হল কেননা বর্তমান পৃথিবীতে ইসলামের অনুসারীরাই সবচেয়ে বেশী সমস্যার সূত্রপাত ঘটাচ্ছে। ইতিহাস এমন একটা ব্যাপার যেখানে অনেক ক্ষেত্রে উন্নতির চরম পর্যায়ের পর একটা অন্ধকার সময় আসে। এটা ইতিহাসে বার বারই ঘটেছে। আমাদের বর্তমান সভ্যতাটা এমন এখন আমরা সভ্যতার উন্নতির চরম পর্যায়ে আছি। জানিনা সামনে কি আবার একটা অন্ধকার সময় ঘনিয়ে আসছে কি না। তবে একটা জিনিষ পরিস্কার - “দূর গগনে ঘনাইয়া উঠিয়াছে নিকষ কালো মেঘ।” মাঝে মাঝে খুব ভয় হয়। বড্ড ভয় হয়।

কিছু ইউটিউব ভিডিওর লিঙ্ক দিচ্ছি। দেখে নিন কি করে চলেছেন আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা।





মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: যারা মানুষ মারে এর চেয়ে গর্হিত কাজ আর কি আছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

অব্যয় ০১ বলেছেন: না নেই।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আলোচনা সুন্দর। কিন্তু মুসলমান বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে? এটা একদম একটা ভুল তথ্য।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৬

অব্যয় ০১ বলেছেন: কি করে একদমই ভুল তথ্য হয় ভাই? বর্তমান বিশ্বে যেদিকেই আপনি তাকাবেন দেখবেন শুধুমাত্র এই একটি ধর্মের অনুসারীরাই শুধুমাত্র ধর্মের তাগিদে অন্য সংস্কৃতির মানুষের সাথে ভালভাবে বনিবনা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু এই একটি ধর্মের অনুসারীরাই বিশ্বব্যাপী তাদের ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার চিন্তায় ব্যাকুল। শুধু এই একটিমাত্র ধর্মের অনুসারীরাই সবচেয়ে বেশী অন্য ধর্মের মানুষের সাথে মূলত ধর্মীয় কারণেই সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, অন্য সংস্কৃতিকে অশ্রদ্ধা করছে এবং নিজেদের ভেতরে কঠিন সাম্প্রদায়িকতার বিষ লালন করে চলেছে। অসংখ্য উদাহরণ আছে এর। আমি এখানে মাত্র গুটিকয়েক নমুনা উপস্থাপন করেছি মাত্র। আপনি হয়তো পশ্চিমা দেশের দোষ দিতে গিয়ে খ্রিষ্টানদের দিকেই আঙ্গুল তাক করবেন। যদিও এটা সঠিক যে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসংখ্য সমস্যার মুলে কাজ করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, তারা কেউই খ্রিষ্ট ধর্মের দোহাই দিয়ে বা খ্রিষ্ট ধর্মের কারণে অশান্তি করে বেড়াচ্ছে না। তাদের কথা বলতে গেলে তো প্রথমেই বলতে হয় যে তারা আজকাল তাদের ধর্মকর্ম অতটা মানে না, বরং তাদের এক ব্যাপক অংশই তাদের ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু কি এশিয়ায় কি আফ্রিকায় কি ইউরোপে কি আমেরিকায় কি অস্ট্রেলিয়াতে সবখানেই তো দেখতে পাচ্ছি মুসলমানরাই সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে। আজ ইউরোপে সবচেয়ে বেশী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত মুসলমানরা। এই যে ব্রিটেন আজ ইউরো জোন থেকে বেরিয়ে যেতে চাচ্ছে তারও অন্যতম প্রধান কারণ মুসলমানরা। চীনে উইঘুর মুসলিমরা মূলত ধর্মের তাগিদেই আলাদা হয়ে যেতে চাচ্ছে বলে চীন তাদের ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। সমস্ত মুসলিম দেশগুলোতে আজ সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীরা মুসলমানদের হাতে হয়রানি এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সুতরাং কেন বলব না যে মুসলমানরা সবচেয়ে বেশী সমস্যা তৈরি করছে। ওহ, দাঁড়ান, ইয়েমেনে কোন ধর্মের মানুষেরা জানি আক্রমণ করেছে, কারা সেখানে দুর্ভিক্ষের সঞ্চার করেছে সেটা বলতে পারবেন কি? বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া আর ফিলিপিন্সের কথা না হয় নাই তুললাম।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে লিখতে হলে আগে জানতে হবে সে সম্পর্কের বিধি নিষেধ সম্পর্কে।যেমন একটি দেশে বাস করতে হলে সে দেশের বিধি নিষেধ মানতে হবে তেমনি ইসলাম ধর্মের বিধি নিষেধ আছে সেগুলো মানা প্রতিটি মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য।
একজন মুসলিম কখনও অন্যদেশে বিশেষ করে পশ্চিমাদের মতো অর্ধ-উলঙ্গ ভাবে চলতে পারে না কারন এতে করে পশু আর মানুষের মধ্যে কোন তফাৎ থাকে না।ব্যাপার গুলো বুঝতে হবে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

অব্যয় ০১ বলেছেন: আপনাদের সমস্যাটা কি জানেন? আপনারা সবকিছুকেই খুব জেনারালাইজ করেন। এই যেমন মন্তব্যে পশ্চিমাদের অর্ধ-উলঙ্গভাবে চলাফেরার কথাটা বললেন। পশ্চিমারা খালি কি অর্ধ - উলঙ্গভাবেই চলাফেরা করে? এমন ধারনা আপনাকে কে দিয়েছে? এটা ঠিক যে অর্ধ-উলঙ্গতা তাদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। কিন্তু তারা তো সবসময় সেভাবে চলাফেরা করেন না। তারা যেমন অর্ধ উলঙ্গভাবে চলাফেরা করতে পারে তেমনি অনেক শালীনভাবেও চলাফেরা করে থাকেন। কিন্তু সেগুলো আমাদের চোখে পড়ে না। কারণ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। আর তাছাড়া ইসলামী শরিয়া মোতাবেক না চললেই কেন সেটা অর্ধ-উলঙ্গভাবে চলাফেরা করা হয়ে যাবে? শালীনতা বজায় রেখে চলার হাজারো রকমের সংস্কৃতি যে পশ্চিমা বিশ্বে আছে সেটা কি আপনি জানেন? সেগুলো যদি চোখে না পড়ে তাহলে তো এটা তাদের সমস্যা নয়। সমস্যাটা আমার এবং আপনার, আমাদের মুসলমানদের। এগুলো যেমন বুঝতে হবে, তেমন এটাও বুঝতে হবে যে ইসলামী শরিয়া মতে না চললেই সেটা অশালীন হয়ে যায় না। শালীনতা বজায় রেখে চলার হাজারটা উপায় আছে। এখন দৃষ্টিভঙ্গি যদি ধর্মান্ধদের মতো হয় তাহলে তো বিপদ। এবং এই ধর্মান্ধ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমগ্র বিশ্বে মুসলমানরা সমস্যার ক্ষেত্র তৈরি করছে, ক্লেশ বাঁধাচ্ছে অন্যদের সাথে, বনবনা হচ্ছেনা অন্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সাথে। বিশ্বে যদি মুসলমানরা শান্তিতে চলতে চায় তাহলে এই ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, সবার সাথে, সব সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে চলা শিখতে হবে। নচেৎ সবখানেই তারা সমস্যা তৈরি করবে এবং অশান্তির সূত্রপাত ঘটিয়েই চলবে। এর কোনও শেষ থাকবে না।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধর্মান্ধ বলছেন কেন?
আচ্ছা বলুন তো আরব দেশগুলোর রেপের পরিমান পশ্চিমাদের থেকে বেশী না কম?
আপনি দৃষ্টিভংগির কথা বলছেন!
ভাই,বিড়ালের সামনে শুটকি রেখে যদি বলেন ওহে বিড়াল তুমি উহার দিকে তাকিয়ো না তাহলে কি হবে জানেন?বিড়াল ভুলে যাবে আপনি তার মালিক।সুতরাং প্রতিটি বিষয়ের নির্দিষ্ট কিছু রুলস আছে।আপনি যদি নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করেন তাহলে আল্লাহর কথা আপনাকে মানতেই হবে।আর যদি তাকে না মানেন তাতেও আল্লাহর কিছু যায় আসে না তবে এর ফলাফল স্বরূপ কঠিন আজাবের ব্যাবস্থা আগে থেকেই তৈরি করে রাখা হয়েছে।কারন আল্লাহ আপনার মধ্যে বিবেক দিয়েছে,আমি জানি এটা আল্লাহ নিষেধ করেছেন,নবী নিষেধ করেছেন তাহলে আমরা সে কাজটা করবোই বা কেন?

একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৫

অব্যয় ০১ বলেছেন: ধর্মান্ধতাকে ধর্মান্ধতা না বলে অন্য কি নামে অভিহিত করা যায় সেটা আমার জানা নেই।
যাকগে, এইবারে ভালো একটা জায়গায় কথা নিয়ে আসছেন আপনি।
আরব দেশগুলাতে রেপের পরিমাণ "কম" না? আপনি কি জানেন আরব দেশগুলোর আসল অবস্থা? খোলাসা করেই বলি, আরব দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ধর্ষণপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি, সেটি কি আপনি জানেন? প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে? এটা এভাবেই যে আরব দেশগুলোতে নারীরা তাদের নারী অধিকার নিয়ে বিশ্বের অন্য অঞ্চলের নারীদের তুলনায় কম সচেতন। আরব অঞ্চলের পরিবারগুলো পারিবারিক সুনামহানির ভয়ে ধর্ষণের ঘটনাগুলো চেপে যান এবং পরিবারের মেয়েদের এসব ঘটনা চেপে রাখতে বাধ্য করেন। ব্যাপারটা এমনই যে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালেও প্রভাবশালী পরিবারগুলোর চাপে সেগুলো পুলিশ ষ্টেশনে রেকর্ডেড হয়না। যেকারনে পরিসঙ্খ্যানে আসে যে আরব দেশগুলোতে ধর্ষণের হার সবচেয়ে কম। কিন্তু বাস্তবটা সম্পূর্ণ বিপরীত। এইজন্যই বলি যে পরিসঙ্খ্যান দিয়ে দুনিয়ার সমস্ত কিছুর বিচার করা যায়না। এই যে ব্যাপারগুলো আরব দেশের পরিবারগুলোতে নিয়মিত হয়ে থাকে এগুলো মূলত জানা গেছে আরব দেশগুলো থেকে বেরিয়ে আসা নারীদের কাছ থেকে, যারা এইসব পরিবারের সদস্যদের এইসব যৌন অত্যাচার থেকে বাঁচতে জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।
আর ধর্ম নিয়ে এতোই যদি সিরিয়াস হয়ে থাকেন তাহলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কখনই ধর্মান্ধতা বা সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে না। অথচ পৃথিবীতে সবার সাথে মিলেমিশে সুন্দরভাবে থাকতে হলে এই ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে আসা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। কারণ কি দেশে কি বিদেশে সবখানেই দেখেছি এই ধর্মই সমাজে অশান্তি এবং বিভেদ সৃষ্টির জন্য বিশালভাবে দায়ী।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই যে ব্যাপারগুলো আরব দেশের পরিবারগুলোতে নিয়মিত হয়ে থাকে এগুলো মূলত জানা গেছে আরব দেশগুলো থেকে বেরিয়ে আসা নারীদের কাছ থেকে, যারা এইসব পরিবারের সদস্যদের এইসব যৌন অত্যাচার থেকে বাঁচতে জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।
আচ্ছা ,
আরব দেশের কথা বাদ দেন।
ধরুন বাংলাদেশে এক পরিবারে স্ত্রী তার স্বামীর হাতে নির্যাতিত তার অর্থ কি আপনার বাবার হাতেও কি আপনার মা নির্যাতিত?
উত্তর হ্যা কিংবা না হতে পারে।সুতরাং একজনের কথায় কান দিয়ে পুরো দেশকে বিচার করা বোকামী ছাড়া অন্য কিছু নয়।আপনার কাছে কি প্রমান যে তারা সত্য বলছে?আচ্ছা ধরুন একটা মেয়ে ঠিক করলো একটা ছেলে ফাসাবে আর মেয়েটা একটা মিথ্যা কেস দিয়ে ছেলেটাকে ফাসিয়ে দিলো আর আপনিও মেয়েটার বানানো কথায় অন্ধের মতো বিশ্বাস করলেন আর একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছেলেটার বিরুদ্ধে।আরে ভাই এটা তো অন্যায়।

ভাই পর্দা যদি ম্যাটার না হয় তাহলে ইসলাম কেন বলতো পর্দা করার জন্য?আচ্ছা একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছে আর আমি আপনি তাকে এড়িয়ে গেলাম কিন্তু বাকীচোখগুলো কি এড়িয়ে যাবে?আজ আমার সামনে দশজন বখাটে মিলে কয়েকটা মেয়েকে উত্যক্ত করেছে আর সবাই বেপর্দা।আচ্ছা যদি সে মেয়েটা নিজেকে ঢেকে চলতো তখন কি তারা করতো?উত্তর হবে ৮ জন করতো না কিন্তু বাকী দুইজন হয় তো করতো তাহলে দেখুন পর্দা-বেপর্দার প্রকৃত চিত্র। কথায় আছে, জোর যার মূল্যক তার ।ক্ষমতায় গেলে ব্যাক্তি নিজের নীতিকে ভুলে যায় জড়িয়ে পড়ে নানান অপকর্মে।এজন্য ক্ষমতার বড়াই যারা করে তারা জালেম।আর এই জালেম শাষকদের বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান পরিষ্কার।

আপনি ইসলামকে পালন করেন কি না জানি না অথবা আপনি মুসলিম কি না জানি না তবে আপনি জানেন না যে,
ইসলাম কখনও সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন দেয় না।আর আমি আপনাকে আগেই বলেছি কোন ব্যাপারে কথা বলার পূর্বে আগে সম্পূর্ণরুপে জানতে হবে বুঝতে হবে সেখানে কি বলা হয়েছে!!!

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

অব্যয় ০১ বলেছেন: শুনুন ভাই, আরব দেশের নারীদের কি অবস্থা সেটা কেবলমাত্র একজন দুজন নারীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে বেরিয়ে আসেনি। যারা এসব আসল ব্যাপারগুলো তুলে ধরেছেন তাদের সংখ্যা অনেক। আর তাছাড়া শুধুমাত্র আরব দেশের নারীরাই এসব ঘটনা তুলে ধরেছেন ব্যাপারটা কিন্তু তাও নয়। অনেক আরব পুরুষ যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং নিজেদের সম্পর্কে সচেতন তাদের মাধ্যমেও এসব ব্যাপারের সত্যতা সম্পর্কে জানা গেছে। কেন আমাদের দেশের যেসব নারীকর্মী সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে কাজ করতে গিয়েছিল তাদের কাছ থেকেও জানা গেছে এসব ব্যাপার। অনেক বাংলাদেশী নারী যারা ওসব দেশে কাজ করতে গিয়েছিলো তারাই জানিয়েছে আরব পুরুষদের এইসব যৌন ব্যভিচারের কথা। কারণ তাদের অনেকেই এসব ব্যভিচারের শিকার হয়েছে। এটাই বাস্তবতা।
আর পর্দা করার কথা বলছেন তো? আপনি কি জানেন না পর্দা করার পরও আমাদের মতো দেশের নারীরা অহরহ লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে। বাইরের দেশগুলোতে (মূলত যেগুলো অমুসলিম) তো নারীরা নিয়মিতই “বেপর্দা” হয়ে চলাচল করছে। কই এই “বেপর্দা” হওয়ার কারণে তো তারা ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে না, যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে হচ্ছে। এর কারণ কি? এর কারণ আমরা সভ্য হতে শিখিনি বা পারিনি। বিশেষত মেয়েদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই খারাপ। ইউরোপ এর দেশগুলোতে নিশ্চিন্তে যেকোনো মেয়ে রাতে বিরাতে রাস্তাঘাটে চলাচল করে বেড়াতে পারে। কোনও সমস্যা হয়না। কিন্তু আমাদের দেশে হয়। আমরা নিজেদের যতোটা সভ্য বলে দাবি করি আমরা ততোটা সভ্য নই।
আর কি বললেন? ‘ইসলাম সাম্প্রদায়িকতা সমর্থন করে না’!! ইসলাম অন্য আর দশটা ধর্মের মতোই সাম্প্রদায়িক। ইসলামে স্পষ্ট করেই অমুসলিমদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে। কোরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে “তোমরা ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে না (সুরা মায়িদাঃ আয়াত ৫১)” । এটাই তো ইসলামী সাম্প্রদায়িকতার একটি নিদর্শন। আর তাছাড়া যেকোনো ধর্মের কথাই বলুন না কেন সব ধর্মই একে অন্যের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। ধর্ম সব সময়ই সমাজে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করে এসেছে। ভুরি ভুরি উদাহরণ দেয়া যাবে এর। এজন্যই বলি যে আমাদের যদি বিশ্বের সবার সাথে ভালভাবে মিলেমিশে চলতে হয় তবে ধর্মান্ধতা থেকে বেরোতে হবে।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪৪

নতুন বলেছেন: ভাই আরব দেশে ধষ`নের প্রমানে ৪ জন পুরুষ যারা ঘটনা দেখেছে সেই রকমের চাক্ষুস সাক্ষী লাগে, সেটা না থাকলে যেই নারী বলেছে তিনি ধষনের স্বীকার তাকে যেনার অপরাধে সাজা দেবার ঘটনা এই সব ধমান্ধরা স্বীকার করবেনা।

সেই দেশে ধষনের পরে নারীকে সাজা দেয় সেখানে কয়জন নারী ধষনের পরে পুলিষের কাছে যাবে????

মুসলিমরা দুনিয়াতে শরীয়া আইন প্রতিষ।টা করতে চায়.... অন্য ধমের মানুষ এখন আর ধমীয় শাসন ব্যবস্হা চায় না। এই জন্যই অনেকেই মুসলিমদের ঐ দলটারর জন্য সব মসলিমকেই কট্টরপন্হার মনে করে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

অব্যয় ০১ বলেছেন: সেটাই তো কথা।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কোরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে “তোমরা ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে না (সুরা মায়িদাঃ আয়াত ৫১)” । এটাই তো ইসলামী সাম্প্রদায়িকতার একটি নিদর্শন। আর তাছাড়া যেকোনো ধর্মের কথাই বলুন না কেন সব ধর্মই একে অন্যের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। ধর্ম সব সময়ই সমাজে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করে এসেছে। ভুরি ভুরি উদাহরণ দেয়া যাবে এর। এজন্যই বলি যে আমাদের যদি বিশ্বের সবার সাথে ভালভাবে মিলেমিশে চলতে হয় তবে ধর্মান্ধতা থেকে বেরোতে হবে।

আপনি গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত তাই আলোর এই পারে কি হচ্ছে সেটা জানছেন না।আজকে এই ইহুদিরা কি করছে জানেন কিছু,গাজায় মুসলমানদের ধরে ধরে হত্যা করছে,সিরিয়ান্দের গত্যা করছে,ইরাককে ধ্বংস করে দিয়েছে আমেরিকা,ইহুদিরা। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে কোরআনে যা বলেছে আজ আমরা পাই টু পাই তা প্রমান পাচ্ছি।আর আপনার মত পাবলিকরা চোখে দেখবেও না কারন আপনারা চোখ থাকিতেও অন্ধ।

পর্দা সম্পর্কে আপনাকে আর কিছু বলবো না।কারন আপনি এক ঘেয়েমিতে বাস করছেন।

আপনি নিশ্চিত জানেন না,আমেরিকা পর্ণ গ্রাফিতে বিশ্বাস করে।আরে ভায়া,আপনি আপনার স্ত্রীকে ভোগ করলে আর অন্য দশটা মেয়ের দিকে তাকাবেন কেন?আমেরিকা তো শুধু নিজের স্ত্রীকে ভোগ করে না,নিজের পরিবারে মেয়েদেরো ভোগ করে।আপনি জানেন কি?কিচ্ছুই জানেন না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

অব্যয় ০১ বলেছেন: হ্যাঁ, ইহুদীরা ফিলিস্তিনে কি করছে, আমেরিকা ইরাকে কি করেছে, আফগানিস্তানে কি করেছে এগুলো আমি ভালোভাবেই জানি, আপনার চেয়ে খারাপ জানিনা। কিন্তু কথা তো এইখানেই। ইজরায়েল আর আমেরিকার এই আগ্রাসন যেটাই হয়ে থাকুক না কেন কোনটাই তারা কিন্তু ধর্মের নামে বা ধর্মের স্বার্থে করছে না। প্রথম পয়েন্টটা এখানেই। তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তাদের দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে। খ্রিষ্ট ধর্মের স্বার্থে নয়। এখন আপনি যদি ধর্মান্ধ হয়ে থাকেন তাহলে এইসব বিষয়গুলো খুব স্বাভাবিকভাবে ধর্মের চোখেই বিচার করবেন। তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু বলুন তো মার্কিন আর ইজরায়েল এর এই সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপে ইসলামের অনুসারী ঐ মধ্যপ্রাচ্যের কতোখানি বিরোধিতা করেছে? মধ্যপ্রাচ্যের ঐ ইসলামী দেশগুলোর ভেতরে যদি একতাবধ্যতা থাকতো তাহলে ইজরায়েল এর মতো বিষফোঁড়া মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নিতে পারতো কি? পারতো আমেরিকা ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে সব তছনছ করতে? যেভাবে এইসব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দরকার ছিল মুসলিমরা সেটা করতে পারছে না, কিন্তু তারাই আবার দুনিয়াব্যাপি মধ্যযুগীয় ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আবার মধ্যযুগের অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চায় দুনিয়াটাকে । আর আপনি সেই অন্ধকারে যারা নিয়ে যেতে চায় তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন, নাহলে বারে বারে ইসলামের কথা পাড়তেন না। অন্ধকারে নিমজ্জিত তাহলে কে? আমি না আপনি?
“আমেরিকা পর্ণ গ্রাফিতে বিশ্বাস করে”, “আমেরিকা তো শুধু নিজের স্ত্রীকে ভোগ করে না,নিজের পরিবারে মেয়েদেরো ভোগ করে" আপনি জানেন কি এহেন ধারনাটাই তো আরেক হাস্যকর রকমের ভুল। ভাইরে, পর্ণগ্রাফি কোনও ধর্ম নয় যে ওতে বিশ্বাস করতে হবে।এর সাথে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোনও সম্পর্ক নেই। পর্ণগ্রাফি ওদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে বলেই ওরা সেগুলো করে বেড়ায়। আপনি যে কথাগুলো বলছেন বা অভিযোগগুলো করছেন সেগুলো শুধু আমেরিকাতেই নয় আমাদের দেশেও এসব ঘটনা ঘটার রেকর্ড আছে, তাই বলে কি আমরা সবাই ওরকম? “আমেরিকা তো শুধু নিজের স্ত্রীকে ভোগ করে না,নিজের পরিবারে মেয়েদেরো ভোগ করে” এসব ব্যাপার আমেরিকাতে যেমন ঘটে থাকে তেমন সৌদি আরবের ধনী পরিবারগুলোতেও ঘটে থাকে, সেটি কি আপনি জানেন? কিন্তু সৌদির কথা আপনি বলবেন না। কারণ আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পক্ষপাতদুষ্ট। এই যে নির্দিষ্ট একটি অভিযোগ করলেন এটা সারা দুনিয়াতে বহু দেশেই ঘটে কিন্তু তাই বলে সেদেশের সবাই ওরকম হয়ে যায়না। এসব ব্যাপার আমি আপনার চেয়ে ভালোভাবেই জানি, আপনি জানেন না। এসব জেনারালাইজেশন কেন কতোটা খারাপ বুঝতে পারছেন কি? কারণ এগুলো আমাদের অন্যদের প্রতি ভুল ধারণা করতে শেখায়, যেটা আপনি আপনার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন।
বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি জানেন এই খোদ আমেরিকাতেই প্রচুর মানুষ আছে যারা এই পর্ণগ্রাফির বিরোধী। জানেন না, কারণ আপনারা সব কিছুকেই খুব জেনারালাইজ করেন। আমেরিকাতে পর্ণগ্রাফি চলে সুতরাং সব আমেরিকান খারাপ, আমেরিকানরা ইরাকে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়েছে সুতরাং সব আমেরিকান খারাপ, এইসব জেনারালাইজেশনই হচ্ছে আমাদের চিন্তার লেভেল। আপনাকে আর দোষ দিয়ে কি করবো? আপনার কি মনে আছে বুশ যখন সাদ্দামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তখন এই আমেরিকাতেই হাজার হাজার লোক “তেলের জন্য যুদ্ধ নয়”, “স্টপ ইরাক এগ্রেসন” এসব প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করেছে?

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২২

নতুন বলেছেন: আপনি নিশ্চিত জানেন না,আমেরিকা পর্ণ গ্রাফিতে বিশ্বাস করে।আরে ভায়া,আপনি আপনার স্ত্রীকে ভোগ করলে আর অন্য দশটা মেয়ের দিকে তাকাবেন কেন?আমেরিকা তো শুধু নিজের স্ত্রীকে ভোগ করে না,নিজের পরিবারে মেয়েদেরো ভোগ করে।আপনি জানেন কি?কিচ্ছুই জানেন না।

ভাই আপনি যদি বাংলা ছবি দেখে বাংলাদেশের মানুষের সম্পকে ধারনা নেন সেটা কেমন হবে????? একটু চিন্তা করেন... আমেরিকার মানুষ চিন্তা করছে মইরী,কাবিলা,দিপজলের মতনই বাংলাদেশের সবাই...

আপনি তো দেখছি পণ` আর হলিউডের ছবি দেখে আমেরিকা সম্পকে ধারনা নিয়ে বসে আছেন.... =p~ =p~ =p~

কাজের অভিঙ্গতায় দুনিয়ার সকল জাতী,বণ`,ধম` সবার দেখা পাচ্ছি প্রতিদিন....তাই উপরের এই রকমের কথাগুলি বললে হাসি পায়...

বিবাহহবিভুত সম্পক` বাংলাদেশেও হয়.... ভালো মন্দ সব দেশেই আছে... পশ্চিমারা অন্তত্ব আমাদের মতন মুখে ধামিক কিন্তু কাজে ভন্ডামী করেনা। আর ওদের ছেলেমেয়েদেরও তারা মরালিটি শেখায়...আদব কায়দা সেখায়...

শুধুই বড় হুজুর বলছে সেটা সুখে ওয়াজ করবেন না... দুনিয়ার বাস্তবতা নিজে দেখলে উপরের কমেন্ট করতে পারবেন না।

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৫৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কিন্তু কথা তো এইখানেই। ইজরায়েল আর আমেরিকার এই আগ্রাসন যেটাই হয়ে থাকুক না কেন কোনটাই তারা কিন্তু ধর্মের নামে বা ধর্মের স্বার্থে করছে না। প্রথম পয়েন্টটা এখানেই। তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তাদের দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে। খ্রিষ্ট ধর্মের স্বার্থে নয়। এখন আপনি যদি ধর্মান্ধ হয়ে থাকেন তাহলে এইসব বিষয়গুলো খুব স্বাভাবিকভাবে ধর্মের চোখেই বিচার করবেন।

আমি ব্যক্তির কাছে গিয়ে সাহায্য চাইতে পারি।ভাই আমি আমার স্বার্থের জন্য তার পকেট মেরে কিংবা ছিনতাই করে চলতে পারবো না।কারন এতে ব্যক্তির স্বার্থক্ষুন্ন হয়।সুতরাং কেয়ামতে ময়দানে আল্লাহর মুখোমুখি হওয়ার কোন ইচ্ছে নাই আমার।আর এই ব্যাপারটা আমাকে কোন মানবতার বই শিখায় নি কিংবা কোন মানুষ বরং আমার ধর্মই এ বিষয়ে আমাকে শিক্ষা দিয়েছে।

কিন্তু বলুন তো মার্কিন আর ইজরায়েল এর এই সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপে ইসলামের অনুসারী ঐ মধ্যপ্রাচ্যের কতোখানি বিরোধিতা করেছে? মধ্যপ্রাচ্যের ঐ ইসলামী দেশগুলোর ভেতরে যদি একতাবধ্যতা থাকতো তাহলে ইজরায়েল এর মতো বিষফোঁড়া মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নিতে পারতো কি? পারতো আমেরিকা ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে সব তছনছ করতে? যেভাবে এইসব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দরকার ছিল মুসলিমরা সেটা করতে পারছে না, কিন্তু তারাই আবার দুনিয়াব্যাপি মধ্যযুগীয় ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আবার মধ্যযুগের অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চায় দুনিয়াটাকে । আর আপনি সেই অন্ধকারে যারা নিয়ে যেতে চায় তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন, নাহলে বারে বারে ইসলামের কথা পাড়তেন না। অন্ধকারে নিমজ্জিত তাহলে কে? আমি না আপনি?


খুব সুন্দর কথা বলেছেন।আপনি বলতে পারবেন ইসরাইল গাজাবাসীদের যেভাবে হত্যা করছে এতে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো কতটুকু সোচ্চার?পারবেন না।তারপর অন্য কথা, ইসলাম মানুষকে মানবিক হতে শিখায়,আর সেই মানবতার খাতিরে মুসলিমরা স্থান দিয়েছে ইহুদীদের।আর তাঁরাই এখন মুসলিমদের হত্যা করছে।আর এই যে প্রক্রিয়াটা সব আমেরিকার কারসাজি।আর ভাই আপনাকে একজন ব্যাক্তি যদি মৃত্যুর হুমকি দেয় ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দেয় তখন আপনাকে নীরব হয়ে দেখতে হবে সবকিছু।আজ মুসলিম দেশগুলো একতাবদ্ধ নয়।দেশগুলো আজ যে যে যার যার স্বার্থ নিয়ে পড়ে আছে কারন এটাই।চারদিকে চলছে ফেতনা ফাসাদ।এসব কারা করছে, ইহুদীরা।আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইহুদীদের সম্পর্কে যা যা বলেছেন তা এখন আমাদের কাছে স্পষ্ট।না হলে মানুষ বলতো কোরআন ভুল।সুতরাং পবিত্র কোরআন যে আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব এতে কোন সন্দেহ নেই।
ভাই ইসলামি শাসনকে এতো ভয় করছেন কেন?ইসলাম তো শান্তির ধর্ম যা মানবতার কথা বলে।কখনও ইসলামকে নিরীক্ষণ করেছেন আপনি? করেন নি।আপনি যে কান কথা বিশ্বাসী এটা আমার কাছে স্পষ্ট হলো।

পর্ণগ্রাফি ওদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে বলেই ওরা সেগুলো করে বেড়ায়। আপনি যে কথাগুলো বলছেন বা অভিযোগগুলো করছেন সেগুলো শুধু আমেরিকাতেই নয় আমাদের দেশেও এসব ঘটনা ঘটার রেকর্ড আছে, তাই বলে কি আমরা সবাই ওরকম? “আমেরিকা তো শুধু নিজের স্ত্রীকে ভোগ করে না,নিজের পরিবারে মেয়েদেরো ভোগ করে” এসব ব্যাপার আমেরিকাতে যেমন ঘটে থাকে তেমন সৌদি আরবের ধনী পরিবারগুলোতেও ঘটে থাকে, সেটি কি আপনি জানেন? কিন্তু সৌদির কথা আপনি বলবেন না। কারণ আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পক্ষপাতদুষ্ট। এ
পর্ণসংস্কৃতিতে যারা বিশ্বাস করে তারা খুবই বিকৃত রুচির।আর সেজন্য পর্নসংস্কৃতির বলেই ওরা একে অন্যের দিকে আমাদের মতো করে তাকায় না।কারন চাহিদা সব ঘরেই মিটছে।আর আমাদের দেশে পর্ণসংস্কৃতি বলতে কোন সংস্কৃতি নেই।আমি নিরপেক্ষভাবেই কথা বলছি এ নিয়ে আপনি শংকিত হবেন না।আর পর্ণসংস্কৃতি আমেরিকাতে ঘটে থাকে তাই বলে সৌদি আরবের ধনী পরিবারগুলোতেও ঘটে ত্থাকে এই আপনার যুক্তি!

এসব ব্যাপার আমি আপনার চেয়ে ভালোভাবেই জানি, আপনি জানেন না।

ভাই আমি নিজের কাছে নিজেকে খুব ছোট করে দেখি।আমি মনে করি আমি খুব ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানব।কিন্তু সত্যটা আমার অজানা নয়।

বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি জানেন এই খোদ আমেরিকাতেই প্রচুর মানুষ আছে যারা এই পর্ণগ্রাফির বিরোধী। জানেন না, কারণ আপনারা সব কিছুকেই খুব জেনারালাইজ করেন। আমেরিকাতে পর্ণগ্রাফি চলে সুতরাং সব আমেরিকান খারাপ, আমেরিকানরা ইরাকে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়েছে সুতরাং সব আমেরিকান খারাপ, এইসব জেনারালাইজেশনই হচ্ছে আমাদের চিন্তার লেভেল। আপনাকে আর দোষ দিয়ে কি করবো? আপনার কি মনে আছে বুশ যখন সাদ্দামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তখন এই আমেরিকাতেই হাজার হাজার লোক “তেলের জন্য যুদ্ধ নয়”, “স্টপ ইরাক এগ্রেসন” এসব প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করেছে?

যে কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে প্ল্যাকার্ড সবদেশেই চলে।সব দেশেই ভালোমন্দ আছে।কিন্তু আমেরিকা-ইহুদীদের ক্ষমতার দাপট সব দেশের থেকেই বেশী।আর তা তারা দেখিয়েও ছাড়ে। সাদ্দামকে আমেরিকাই ব্যাবহার করেছিলো তারপর সে যখন আমারিকার
নীতির বিরুদ্ধে চলে যায় তখন আমেরিকাই তাকে হত্যা করে।এই ব্যাপারটা আমেরিকানরা জানেন ভালো করেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.