নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্‌সরা

যেখানে ঘর বাঁধবো আমি, আসে আসুক বান, তুমি যদি ভাসাও মোরে, চাইনে পরিত্রাণ!!

অপ্‌সরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বুয়া মঞ্জুরা...

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫


অনেকদিন আগে একটা সিনেমা দেখেছিলাম সিনেমার নাম "তিন কন্যা"। এই তিন কন্যা সিনেমার মত আমারও মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে করে "তিন বুয়া" নামে কোনো গল্প বা সিনেমা। এছাড়াও আমার প্রায়ই মনে হয় আহা আমাদের সকলের প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ যদি আমাদের বাসার এই তিন বুয়ার দেখা পেতেন তবে কি মজাটাই না হত। যাইহোক আমার আজকের লেখাটি আমাদের এই তিন বুয়াদের এক বুয়া মঞ্জুরাকে নিয়ে। বাকী দুজনের নাম বলে রাখি। দিলজান আর সুফিয়া। সুফিয়া অবশ্য কমন নাম কিন্তু দিলজান আর মঞ্জুরা নাম শুনে আমি মুগ্ধ। গ্রামে এত সুন্দর সব নাম রাখা হয় জেনে আমি আসলেই বিস্মিত এবং পরম মুগ্ধ। ওহ দিলজানের বোন রুপজান । এই নামটাও খুবই সুন্দর এবং সেও আমাদের বাসার ছুটা বুয়া আর এই তিনজন পারমানেন্ট। যাইহোক মঞ্জুরার আশ্চর্য্য রকম সব কাহিনীগুলি দেখে আমি অবাক হই, বিস্মিত হই, মুগ্ধ হই এবং মাঝে মাঝে ক্ষুব্ধও হই, তবে বেশি ভাগ সময় কৌতুকে ফেটে পড়ি।

সুফিয়া সবচাইতে পুরান বুয়া এবং এ বাসার অন্যান্য সব বুয়া, দারোয়ান, ড্রাইভার, মালী, ক্লিনার সব্বারই লিডার। মানে সুফিয়ার পদবী টিম লিডার কাম মেইন কুক। সে একজন অতি বিচক্ষন বিচারক ও গুড ইনস্ট্রাক্টর। আর দিলজানের কাজ শুধুই ফুপির ফাই ফরমাস খাঁটা, তার সাথে থাকা, তার সকল যন্ত্রনা ( বকবক এবং বকবক এবং অবান্তর কথোপকথন )সহ্য করা, তার মিনিটে মিনিটে ভুলে যাওয়া ফোন, কানের দুল, চশমা, খবরের কাগজ, টিভির রিমোর্ট, এসির রিমোর্ট, ফ্যানের রিমোর্ট হাতের কাছে গুছিয়ে দেওয়া, রোজ সাড়ে চারটায় টিভিতে তার জি বাংলা ছেড়ে দেওয়া, তার ওষুধ খুলে দেওয়া, পানি তুলে দেওয়া, মাথার চুলে রং করে দেওয়া, নখ কেটে দেওয়া, রাতে ঘুমুবার পরেও তার ডাকে উঠে তার কাছে বসে থাকা, হাত, পা, মাথা ম্যাসাজ ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। আমার মতে এই বাসার সকল কাজের মানুষগুলোর মাঝে সবচাইতে কঠিন কাজটি সেই করে। এবং সারা দিনমান এবং রাতভর এসব সহ্য করার সকল ধৈর্য্যশক্তি আল্লাহ যে তাকে দিয়েছেন তাহা দেখেও আমি মুগ্ধ হই। যাইহোক এবারে আসি মঞ্জুরার কথায়। সে টিম লিডার কাম মেইন কুক সুফিয়ার এসিসট্যান্ট। কাটাকাটি, বাটাবাটি, শাক সব্জী, মাছ মাংস ধোয়া এবং হাড়ি পাতিল ধোয়া তার কাজ তবে রান্না করার অধিকার তার নাই। নট ইভেন এক কাপ চা। সে সবই করে থাকে মেইন কুক সুফিয়া বা মাঝে মধ্যে দিলজান। মঞ্জুরা এসেছে মাস তিনেক। সে আবার দেখতে চিকনচাকন হলে কি হবে বিশাল খাদ্যবিলাসী মানুষ। তো-

ঘটনা নং ১- মঞ্জুরা ও ঘন ডাল, পাতলা ডাল - একদিন মেইন কুক সুফিয়া বুয়া তার ভায়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন কালাচাঁদপুর। দিলজান ডাল রান্না করছে। মঞ্জুরা থালাবাসন ধুচ্ছেন। আমি কিচেনে ঢুকে দেখি দুজনের মহা ঝগড়া। দিলজান বলে-
দিলজান - ঐ তুই বেশি জানোস? খালা পাতলা ডাল ছাড়া খান না...... ব্লা ব্লা ব্লা....
মঞ্জুরা- ঐ তুই চুপ থাক। বেশি কতা কইবি না, কালা কায় না তো আমার কি লো? আমিও ঘন ডাল ছাড়া কাইতে হারি না ...... অং বং চং
দিলজান(পরম বিস্মিত হয়ে) - বাবা রে !!!! কতা কি লো বেডির! তুই কি গিতান হইছৎ? শুন গিতান যা খাবু তুইও তা খাবু.... ব্লা ব্লা ব্লা উপদেশ....
আমি- কি হয়েছে?
দিলজান- দেহেন আপা। আমি কই্তেছি খালা পাতলা ডাইল ছাড়া খায় না আর হে কইতেসে ডাইল ঘন কইরা রাঁনতে! চিন্তা করেন কত্ত বড় তত্ত বড় ...... ব্লা ব্লা ব্লা........
আমি- ওকে নো প্রবলেম। মঞ্জুরা তোমার যদি ঘন ডাল খেতে ইচ্ছা করে তুমি একশোবার খাবে কিন্তু নিজে রেঁধে নেবে। আমরা পাতলা ডালই খাবো (ভালোমানুষ আমি) কাজেই নো নিড টু ডু মাতবরী!!!!! ( আমি মনে মনে রেগে মেগে মাতবরী দেখে)
মঞ্জুরা থালা বাসন ধোঁয়া স্টপ করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনছিলো। তার মুখ ভয়াবহ রাগত, চোখ কুচকে এবং দাঁত কিড় মিড় করে সে বললো,
- দেহেন আপা আধা পট ডাইলে তিন বাটি হানি দিসে। এইডা কুনো ডাইল অইলো!!!!!!!
দিলজান- (রাগের চোটে নেচে কুঁদে উঠে)- এই রে লবাবের বেডি আইসেন। তিন বাটি হানি দিসি.... ঐ ঐ ঐ লবাবের বেডি বলি তোর বাড়িতে ..... আমি তাদের নাচ গান আর আচমকা রাগান্বিত ভাষা শুনে হাসতে হাসতে শেষ। আমার হাসি দেখে তাদের রাগ আরও বেড়ে গেলো। দিলজান ভাবলো এটা আমার আস্কারার হাসি আর মঞ্জুরা ভাবলো তাকে তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। যাইহোক আমি অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বললাম,
-হইসে থামো, মঞ্জুরা শোনো, দিলজান তিন বাটি পানি দিক আর চার বাটি দিক তোমাকে দেখতে হবে না। ওকে ওর মত রাঁধতে দাও। দিলজান তুমি পাতলা ডালই রাঁধো আমরা আজ দুপুরে মচমচে রুই মাছ ভাজা আর ডাল খাবো। আর মঞ্জুরা এত দুস্কের কিছু নাই। তুমি তোমার মত মনের সাধ মিটিয়ে ঘন ডাল রেঁধে খাও। আমি কিচেন থেকে বেরিয়ে এলাম।

এসে ফুপির সাথে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দিলজান হাতে ডালের ডাবুটা নিয়ে দেখি আমাদের দিকে ছুটে আসছেন। সেই ভয়াবহ ভঙ্গী দেখে চা খাওয়া রেখে আমি আৎকে উঠলাম।
দিলজান- দেহেন আপা, দেহেন আপা, কত্ত বড় সাহস বেডির!!!!!!! আপনে বইলা আসলেন না পাতলা ডাইল রাঁনতে, আপনি বাইরাইটে না বাইরাইতেই মঞ্জুরা থালা বাটি ধোয়া ছাইড়া বেসিন থেইকা একটা কড়ুই (কড়াই) তুলে নিয়ে এক কড়ুই পানি ডাইলের মধ্যে ঢেইলে দিসে!
এই কথা শুনে আমার চক্ষু ছানাবড়া! মুখ গোল্লা! আমার বাক রোধ! আমি অনেক কষ্টে বললাম - কে ....ন.....নো.....ও .....ও
দিলজান- কেনো আবার! কইসে, হাতলা ডাইল খাবি! খা তাইলে বালা মত হাতলা ডাইল। তিন বাটি হানি চাইর বাটি হানি না? হুধা চাইর বাটি কেন খা চাইর কড়ুই হানি!
আমি - কি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমার কি শুনে এইবার ফুপি আৎকে উঠলো! আমি ততক্ষনে দাঁড়িয়ে গেছি! এইবার আমার চোখ গোল্লা গোল্লা। মাথায় রাগের ভূত, মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে! আমি ধাপধুপ পা ফেলে কিচেনের দিকে ছুটলাম। আমাকে দেখ ফুপী চিল্লায়- থাম থাম যা হইসে হইসে তুই অনর্থ করিস না! দিলজান তুই কেনো বলতে গেলি আরেক পাগলীকে! আমি ঘুরে দাঁড়ালাম! আমি পাগলী! তাইলে আমি একাই পাগলী থাকবো এই বাড়িতে।
আমি- মঞ্জুরা কেনো পানি দিয়েছো! আমার রাগ দেখে সে ভেবেছে তাকে বুঝি ধরেই মারবো। সে কিচেন ছেড়ে তার নিজের রুমে। আমিও সেখানে গেলাম।
- বলো কেনো পানি দিয়েছো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! মঞ্জুরা তখন তার স্বভাব সিদ্ধ পাগলা ডায়ালগ বের করলো-
- হানি? হানি কিতা? হানি দিসি? আমি কি কইচ্ছি!!
- চুউপ! কি কইচ্চ মানে!!!!!!!!!!!কি কইচ্চো জানোনা না!!!!!! কেনো ডালের মধ্যে পানি দিলে!!!!! আবার বলেছো, হুধা চাইর বাটি কেন খা চাইর কড়ুই হানি খা!!!!!!!!!!!!!!
- কিতা কইন! আমি এই কতা কই নাই। ডাইল হিদ্ধ হইসে না তাই হানি দিয়া দিসি! নাইলে ডাইলে আমি হানি দিবো কেলা? দিলে দিবো লবন। মানে নুন...... বরিশালের একটা প্রচলিত কথন আছে- ও মনু ডাইলে লবন দিসো আর আমাদের মঞ্জুরাকে আমি কিনা বলি ডালে হানি দিসো!!!!

ঘটনা নং ২- মঞ্জুরা যখন কুহু আপা রন্ধন স্পেশালিস্ট - এ ঘটনাটাও সুফিয়া বুয়ার অনুপস্তিতিতেই ঘটেছিলো। সুফিয়া বুয়া থাকাকালীন সময়ে মঞ্জুরা কিছুটা কন্ট্রোলে থাকে। কিন্তু যখনই সুফিয়া বুয়া বাড়ির বাইরে যায় তখনই সে যেন কেমন দুঃসাহসী হয়ে ওঠে। তো সেবার সুফিয়াবুয়া গ্রামে গেলো ৩ দিনের জন্য বিশেষ প্রয়োজনে। যাবার আগে সে গরুর মাংস ভূনা, মুরগীর রোস্ট, এমনকি মুরগী কষিয়ে এবং সব্জী নিরামিষ বানিয়েও ডীপ ফ্রিজে রেখে গেলো। যেন আর কোনো রন্ধন বিশারদের কেরামতীতে আমাদের না পড়তে হয় তাই।

তো আমি সেদিন স্কুলে গেছি। বাসায় ফুপী একা। যাবার আগে বলে গেছি আজ ঐ কষানো মুরগীর মাংসটা আলু দিয়ে ঝোল বানাবে, আর ঢেড়স ভাজি আর ডাল বানাবে। কাজটা পড়লো দিলজানের ঘাড়ে। দিলজান মোটামুটি কিছু বুঝিয়ে দিলে বুঝে এবং সেভাবেই কাজ করে। তো সে বললো, আচ্ছা কোনো চিন্তা কইরেন না আমি ঠিক ঠাক করে রাখবো সব কিছুই।

যথারীতি দুপুরে বাসায় ফিরেছি। দেখলাম ডাইনিং টেবিলের উপরে সুন্দর করে ম্যাট পেতে প্লেট সাজানো, ঝকঝকে তকতকে গ্লাসে করে পানি ঢেলে রাখা, হটপটে জুঁইফুলের মত গরম ভাত, আরেক হটপটে গরম ডাল (পাতলা ডাল ওরফে মঞ্জুরার ভাষার হাতলা ডাইল), কচকচে সবুজ ঢেড়স ভাঁজি এবং মন কাঁড়া রঙের মুরগীর ঝোল। নিজের অজান্তেই মুখ ফুটে বেরিয়ে এলো- বাহ!

ফুপী বলললেন, তাড়াতাড়ি গোসল সেরে খেতে আয়। আমিও তাই তাড়াতাড়ি গোসল সেরে খেতে বসলাম। আজীবন আমি মাংসাশী প্রাণী তাই ফুঁপী ঢেড়স ভাঁজি ডাল দিয়ে শুরু করলেও আমি ডাইরেক্ট মন কাঁড়া রঙ্গের মুরগীর ঝোলে চামচ ডুবিয়ে দিলাম। এক টুকরা রানের মাংস, দু টুকরা আলো আর এক চামচ ঝোল দিয়ে ভাত মেখে মুখে দিতেই মন কাড়া রঙ্গের মুরগীর ঝোলের সাথে মন যে কোথায় উড়ে গেলো! কে জানে! খাওয়া থামিয়ে, চোখ কুচকে বুঝবার চেষ্টা করলাম ঘটনাটা কি! জীবনে মুরগীর ফ্রাই খেয়েছি, রোস্ট খেয়েছি, দোঁপেয়াজা খেয়েছি, মুরগ মুসাল্লাম খেয়েছি, কোরমা খেয়েছি, চিকেন চিলি, অনিয়ন, গারলিক, ক্যাপসিকাম। একে একে সকল স্বাদের মুরগীর স্বাদ মনে করবার ট্রাই করলাম। কিন্তু কোনোটার সাথেই মিলাতে পারলাম না। সে এক অদ্ভুৎ স্বাদ। কড়া ঝালের মুরগীর পাশাপাশি চরম মিষ্টি স্বাদে এক বিদিকিচ্ছিরি গা গুলানো ভাবের সৃষ্টি করেছে। ওয়াক করে বমিই এসে যাচ্ছিলো। ফুপী আমার অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে বললেন, কি হয়েছে! কি হয়েছে আমাকে বল? আমার তখন ঐ বিচ্ছিরি স্বাদে বমি এসে গেছে, চোখে পানি। কোনো মতে থু থু করে মুখ থেকে সব ফেলে দিয়ে আমি দিলজানকে ডাকলাম।
আমি- দিলজান, তোমার মুরগী রান্না খুব খুব ভালো হয়েছে। ( হাসি হাসি মুখে)
দিলজান- থ্যাংক ইউ আপা। (কাঁচুমাচু খুশি খুশি মুখে)
আমি- কি করে করলে এমন ? কি কি দিয়েছো বলোতো? ( অবাক হয়ে)
দিলজান- (গর্ব সহকারে) ভালো কইরে প্যাজ কইষষে নিয়ে, ত্যাল দিয়ে, নুন দিয়ে, তারপর হলি তুমার আঁদা বাডা, রঁসুন বাডা, জিরে বাডা, ধুনা..
আমি- গরম মসলা?
দিলজান- হ হ গরম মসলা দিসি। তারপর তুমার মরিচের গুড়ি, হলুদ, লবন তামাম মমমমমমমমম দিসি।
আমি- ব্যাস! আর কিছুই দাওনি! কিন্তু তোমার ঝোলটা এত সুন্দর গাঢ় থকথকে হলো কি করে? খুবই সুন্দর হয়েছে আর কি দিয়েছো বলো তো?
দিলজান- আর কিছু তো দেইনি আফা। ওহ হো মুনে পড়িছে। ঐ যে ডীপৎ রাখা সাদা সাদা, কোটা ভরি রাখা সাদা সাদা দুধের লাগান উডাও দিসি।
আমি- সেডা কি? ও তাই বলো, এই জন্যই তো এত মজার হয়েছে। আনোতো দেখি তোমার সেই কোটা....
দিলজান এক দৌড়ে সেই কোটা নিয়ে এলো। যা দেখে আমি হাসবো কি কাঁদবো ভেবে না পেয়ে শেষে তীব্র সুরে এক চিল চিৎকার দিলাম। মাথা ঘুরেও পড়ে যেতাম হয়তো কিন্তু তার আগে হঠাৎ মাথায় এক প্রশ্ন এলো দেখি তো জিগাসা করে এই কোটার মধ্যে সে কি ভেবেছে? মানে কি ভেবে সে এই কোটার সাদা সাদা জিনিসটা তার মুরগীতে এ্যাড করলো?
আমার চিল চিৎকারে ভীমরি খেয়ে দিলজান হতচকিত হয়ে গেছিলো। আমি জানতে চাইতেই ডাইরেক্ট উত্তর না দিয়ে, কোনো কৃতিত্বের আশা না করেই নিজের সাফাই গাওয়া শুরু করলো। বললো,
- ও আপা আমার কুনো দুষ নাই। আমি যখন ঝাল, প্যাজ ত্যাল দিয়ে মসল্লা কষাচ্ছিলাম মঞ্জুরা ডীপৎ থেইকা এই কোটা বাইর কইরা আইনা আমার মুরগীর কড়ুইতে ঢেইলে দিসে। বলছে, এইয়া দিয়া রান। আপাও এই জিনিস দিয়ে রানছিলো। বড় স্বোয়াদ হইসিলো। তুইও রাঁন..... ব্লা ব্লা ব্লা ....... আমি বিরশি সিক্কা ওজনের এক ধমক দিয়ে বললাম,
- চুঊুউুপ! মঞ্জুরা দিসিলো!!!!!!!!! তুইও রান !!!!!!!!!!!!!! না!!!!!!!!!!! জানো এটা কি! তুমি কি দিয়ে মুরগী রেঁধেছো?
দিলজান- না আপা কি? কি এডা?
আমি- এটা কুমিল্লা থেকে আনা রসমালাই। অসম্ভব মিষ্টি বলে ফুপী খায়নি। ডীপে রেখে দিয়েছিলো। আর তুমি কিনা তাই দিয়ে মুরগী রেঁধেছো!!!!!!!!!!! রসমালাই মুরগী!!!!!!!!!!! কুহু জারদৌসী হইসো না!!!!!!!!! রসমালাই মুরগী, কাঁচাগোল্লা ইলিশ, লালমোহনের চিংড়িমালাই, ছানার জীলাপীর কাঁচকি এইসবও রাঁধবে কয়দিন পরে তাই না!!!!!!!!!!!!!
দিলজান- ও আপা, রাগ কইরেন না, হুনেন, আমার কুনো দুষ নাই। সব দুষ মঞ্জুরার। উ আমারে বুলিছে এই জিনিস দিয়ে রাঁধলি পরে রান্না বেশি স্বয়াদ হবু..... ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
আমি - চু উ উ উ উ উ উ উ ঊ প ........ কোথায় মঞ্জুরা!!! কোথায় সে রন্ধন বিশারদ .........

মঞ্জুরা যথারীতি তার ঘরের কোনায় লুকিয়েছে। আমি ঘরে ঢুকতেই শুরু করে দিলো-
- আমি! আমি কি কইচ্চি! কিতা দিছি আমি! কিতা দিসি হ্যাঁ! আমি ইতা কিছু দিসি না! আমি দিমু কেলা হ্যাঁ? আমি রাইন্চি? আমি .... আমি ..... আমি অং বং চং ..........

( কিছুদিন আগে সে আমাকে টকদই দিয়ে মুরগীর রোস্ট মাখিয়ে রাখতে দেখেছিলো। তার সাবস্টিটিউট হিসাবে রসমালাই দিয়েও / রসমালাইকে টকদই ভেবে রসমালাই মুরগী রাঁধা যাবে তার এক্সপেরিমেন্টাল মাইন্ড ধরেই নিয়েছে। এটা আমার ধারণা কিন্তু কোনোভাবেই তার মুখ দিয়ে এই ধারণার সত্যতা আমি স্বীকার করাতে পারিনি। যতই বলি, কেনো দিয়েছিলে বলো? সে বলে - কিতা কি কইচ্চি, আমি কি কইচ্চি, আমি ইতা দিসি না,আমি দিমু কেলা..... আমি রাইন্চি..... আমারে হাগলা কুত্তায় কামড়াইসে.... আমি দিসি না হেয়ই দিসে..... অং বং চং ......... )
ওহ আওর মঞ্জুরা......

ঘটনা নং ৩- মঞ্জুরা ও পানির গ্লাস -মঞ্জুরাকে পানি খাবার জন্য কাঁচের গ্লাস দেওয়া হয়েছে। মেলামাইনের প্লেট, মেলামাইনের বাটি আর স্টিলের চামচ। তবুও মঞ্জুরার সেসব কিছুই পছন্দ হয় না। সে সোজা গামলা কিংবা তার ভাষায় কড়ুইতেই ভাত মাখিয়ে খেতে বসে যায়। সেমাই কিংবা ফিরনী দিলেও সে চামচের ধার ধারেনা সোজা আঙ্গুল বা বাঁকা আঙ্গুলেই সেসব উঠিয়ে খাওয়া শুরু করে। এ জিনিসটা আমার যত না অপছন্দ তার থেকেও বেশি অপছন্দ ফুপীর। তাই সে এই সব কাজ করে বার বার ধরা খেয়ে তিরষ্কৃত হয়। সবচেয়ে আশ্চর্য্য হয়েছি আমি সেদিন কিচেনে ঢুকে দেখি সে আধা কেজি ওজনের "রস" দোকানের মিষ্টির ফেলে দেওয়া পুরান বাটি কুড়িয়ে নিয়ে ধুয়ে মুছে ঝকঝকে করে তাদের র‌্যাকে সাজিয়ে রেখেছে। আমি সেটা নিয়ে বললাম এটা কি? এখানে কেনো? এখুনি ফেলো। আমি ছুড়েই ফেলতে গেলাম। ওমনি তার শত্রু দিলজান কর কর করে বলে উঠলো-
- আপা, ফালাইয়েন না, ফালাইয়েন না এইডা আমরার মঞ্জুরার পানির গ্লাস! আমার তো চক্ষু চড়কগাছ! বলে কি মিষ্টির বাটি গ্লাস হলো কেমনে! দিলজান বলে চলে-
- হ আপনাদের দেওয়া গ্লাস উনার পছন্দ হয় না। বলে দূর ও যা, আমি হেইয়া গ্লাসে খাইতাম না। আমি বললাম-
- মঞ্জুরা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! মঞ্জুরা ভীষন বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো-
- কিতা হইসে ! কি কইচ্চি হ্যাঁ! এত বক্করা কিয়ের? হেইয়া গ্লাস ছুডো আর হেইয়া বাডি বড়। আমার হেইয়া বাডিত হানি কাইতে বালা লাগে....ছুডো মুকোর গ্লাসত হানি কাইতে বালা লাগে না... হেইডা আমার দুষ? দুষ তো গেলাসের, আমার না....
আমি থমকালাম। বুঝলাম যুক্তি আছে। ছোট মুখের গ্লাস তার পছন্দ না তার পছন্দ বড় মুখের গ্লাস। বুঝলাম তার বড় মুখের গ্লাস লাগবে। তাকে আমি আলমারী হতে বের করে দিলাম আধা লিটার ওজনের বড় মুখের একটি পানি খাবার মাগ। নাও মঞ্জুরা ইজ হ্যাপী! :)

ঘটনা নং ৪- মঞ্জুরা ও আমাদের বাসার বেড়া
- মঞ্জুরার বড় বদভ্যাস। সে কথায় কথায় নতুন কালার করা ওয়ালে হাত দিয়ে কথা বলে। ঘর মুছতে মুছতে সে এক হাতে দেওয়াল ধরবে আরেক হাতে মুছবে। দরজা খুলতে গিয়েও সে এক হাতে ওয়াল ধরবে আরেক হাতে খুলবে। তাকে ডাকলেও সে ওয়ালে হাত দিয়ে এসে দাঁড়াবে।
তো আমার আবার অপরিসীম ধৈর্য্য। আমি তাকে বলি শুনো মঞ্জুরা তুমি দেওয়ালে হাত দেবে না। ঘর মুছার সময়, সোফার উপরে হাত রেখে অন্য হাতে ঘর মুছা বা দেওয়ালে এক হাতের ভর রেখে আরেক হাতে মুছার দরকার নেই। তুমি দেখো এই যে আমি মুছছি আমাকে কি দেওয়ালে এক হাত রেখে মুছতে হচ্ছে??? না এই দেখো এইভাবে মুছা যায় সেই ভাবে মুছা যায়।
সে বলে
-কিতা কন? আমি কিতা করি! আমি কিয়ে আত দেই! আমি আত দেই না। কুনোকানেই আত দেই না। আত দেবো কেলা? আমি তো মুছিই । এমনেই মুছি? দেওয়াল কিতা!
আমি- এতক্ষনে!! দেওয়াল কিতা মানে? তাইলে এইটা কি? ( আমি দেওয়াল ধরে দেখালাম!) সে বলে,
- ইডা দেওয়াল?
আমি- তো ইডা কি?
- ইডা তো বেরা! মোরা কই বেরা!!!!! বেরা দিয়াই তো ঘর বান্ধে। আপনারা বড়লোক ঘর বানছেন ইডা দিয়া....... শুরু হলো মঞ্জুরার পাগলা সাজার লেকচার....অং বং চং

ঘটনা নং ৫- মঞ্জুরা ও থালা প্লেট বাটি ঘটি- মঞ্জুরাকে যদি বলি, যাওতো একটা প্লেট নিয়ে আসো তো। সে নিয়ে আসে পাতিল।
আমি- পাতিল এনেছো কেনো? আরে বাবা ভাত খাবার প্লেট।
মঞ্জুরা- কিতা? পিলেট কিতা? হাই নাতো....কই পিলেট? কই রাইখছেন??
আমি রাগে গজ গজ করে ধাপধুপ উঠে গিয়ে কিচেন থেকে প্লেট হাতে নিয়ে বললাম
- এইটা কি
মঞ্জুরা- ও ইডা পিলট? ইডা তো থালা। কইবেন থালা বাডি.... পিলট কিতা। এইডা পিলট নি..... অং বং চং.....


ঘটনা নং ৬- মঞ্জুরা ও রুপচর্চা বিদ্বেষ- কেনো যেন তার তাবৎ দুনিয়ার মানুষের উপরে ক্ষোভ এবং বিদ্বেষ। সেই ১৭ বছর বয়সে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ না হয়েও একই বাড়িতে সতীনের সাথে বসবাসের অবহেলিত জীবন। সেই থেকেই নাকি সে ভালোমত চুল আঁচড়ায়না, তেল দেয় না, কোনো রকম ক্রিম, ট্রিম কিছুই না। যদি বলি,
- মঞ্জুরা তোমাকে তো সুন্দর করে পরিপাটি করে থাকতে হবে। এই আমার মত। দেখো কত মানুষ আসে। তোমাকে এমন দেখলে কি ভাববে?
মঞ্জুরা- কেডা কি ভাববো? কেডা কি ভাববো হ্যাঁ? কেডা কি ভাবলে তাতে আমার কিতা? আমি তাগো কাই না পরি! আমার অত আউস নাই। এত রং আমার মনে নাই। যেই বান্দরের মনে রং উডছে, হেই বান্দর সাজুক। আমি কেলা?
-বলে কি শয়তানটা? বান্দররা সাজে!!!!!!!! তার মানে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! .........মঞ্জুরার বাচ্চা মঞ্জুরা!!!!!!!!!!! X((

ঘটনা নং ৭ - মঞ্জুরা যখন ডক্টর স্পেশালিস্ট - ঈদের পরের দিন। আমি ডেস্কটপে বসে ফেসবুকে। মঞ্জুরা আমার নেইলপলিশ তুলে দিচ্ছিলো রিমুভার দিয়ে। আমার কলিগের ৫/৬ বছরের ফুটফুটে মেয়ে তার ঈদ ড্রেসের ছবি দিয়েছে। তার ড্রেসটা এমন যে কোনো হাতা নেই সোজা গলা থেকে একটা সাদা লেস লেস কাপড় পেঁচিয়ে নেমেছে। তারপর বুকের উপর সাদা লেসের প্লেট বসানো আর তার নীচ দিয়ে লাল নেটের ফ্রিল। মেয়েটা আঁকা বাঁকা হয়ে পোজ দিয়ে আছে। হঠাৎ শুনি মঞ্জুরা বলছে,
-আহহারে আবুডা দুক্কু পাইসে। গলার লগে হ্যাচ লাগাইয়া বাইন্ধা থুইসে।
আমার কানে হঠাৎ সে কথা গেলো। এমনিতে তার আবোল তাবোল কথায় আমি তেমন কান দেইনা। তবে হঠাৎ এই কথাটা শুনে ভালো করে শুনতে ও বুঝতে চাইলাম। ভাবলাম বলছেটা কি শুনি তো ভালো করে...
আমি- কি হয়েছে? কি বলো মঞ্জুরা?
মঞ্জুরা- বলি আবুডা দুক্কু পাইসে।
আমি আৎকে উঠলাম। কি করে? কি করে দুক্কু পাইসে!
মঞ্জুরা- দেহেন গলার লগে হ্যাচ লাগাইয়া আত বাইন্ধা থুইসে।
আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম,
- কেনো?
সে পরম বিজ্ঞের মত বললো,
- আত ভাইঙ্গা ফালাইসে.... ইসচিরে, আবুডা দুক্কু পাইসে......

ঘটনা নং ৮- মঞ্জুরা যখন শিক্ষক - বলতে গেলে মঞ্জুরার সারাটা জীবনই কেটেছে অবহেলায় গঞ্জনায়। জীবন তাকে শুধু শিক্ষাই দিয়ে গেছে । কঠিন শিক্ষা। তবে এই কঠিন শিক্ষাগুলো তাকে জীবন ও জগতের প্রতি রুঢ় ও বিমুখ করে তুলেছে। সে সুযোগ পেলেই মনে হয় পৃথিবীটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিত। তাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদেরকে তিল তিল করে মারতো। তার থেকে শোনা তার জীবনের নানা ঘটনায় আমি সেটা বুঝি। ওর ভেতরের ক্ষোভটাকে।
প্রতি বৃহস্পতিবার সে আমার চুলে তেল দিয়ে দেয়। আমার নেইল পলিশ রিমুভার দিয়ে উঠিয়ে দেয় তখন সে নানা রকম গল্প করে। তার কথায় বুঝতে পারি এই দুনিয়ায় তার একমাত্র ভালোবাসা বা ভালোলাগার ধন তার একমাত্র মেয়ের মেয়ে মানে তার দু বছরের নাতনী। তো একদিন কথায় কথায় বলে ফেললো,
- আমার নাতনী যা সোন্দর কইরে কথা বলে জানেন আফা? ছুড মুখটা দিয়া যেমনে বলে আত্তিতি। খুবই সোন্দর লাগে।
আমি তো সকল নেগাটিভিটির মধ্যে তার এই পজিটিভ কথা শুনে অবাক! আমি বললাম,
- তাই?
সে আরও আগ্রহের সাথে শুরু করলো,
- হ্যাঁ । আমি তাকে কি হিখাইছি জানেন? বলেই তার কি হাসি হি হি হি হি করে হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছিলো। আমি খুবই কৌতুহলী হয়ে উঠলাম,
-কি শিখিয়েছো? বলো না? সে পরম কৌতুকে বললো,
- হিকাইছি, তার দাদীরে দেখলে, চাচীরে দেখলে বলতে- ঐ খাইচ্চুন্নী, খাইচ্চুন্নী..... কিয়ের লাইগা আইসস? কাইজ্জা করতে আইসস?কাইজ্জা করতে আইসস খাইচ্চুন্নী! বলেই তার সে কি হাসি!!!!!!!!
আমি তো অবাক! আমার চক্ষু চড়কগাছ তার কথা শুনে। পরে অনেক ভেবে বুঝেছিলাম তার এই সব নেগাটিভ এটিচুড বা বিহেভিয়ারের কারনগুলো আসলেই কি।

ঘটনা নং ৯- মঞ্জুরা যখন আমার মায়ের পেটের বইন- এত শয়তানী করার পরেও আর মঞ্জুরার এই আজগুবী ক্যারেকটার আর অতি আশ্চর্য্য সকল কান্ডকীর্তী দেখার পরেও মঞ্জুরার প্রতি আমার কোনো রাগ হয় না। বরং আশ্চর্য্য এই ক্যারেকটার আমাদের বাসায় আছে বলেই আমার আনন্দময় জীবনটা আরও মজার মনে হয়। তো আমি ওর জন্য কিনে আনলাম ম্যাজেন্টা কালারের সুতী জামদানী। লোকে বলে আমার পছন্দ দারুন ভালো আর মঞ্জুরা বলনে না !! সে তো কোন ছার! কাজেই শাড়ির সাথে ম্যাচিং কাঁচের চুড়ি,সিটি গোল্ডের বালা, মালা আর দুল আর জুতা আনা হলো তার জন্য। সে সেসব দেখে স্তম্ভিত! জীবনে ভালোবেসে তাকে কেউ কখনও কিছু দেয়নি। অনেক বছর আগে তার বিয়ের দিনে তাকে নাকি তার হ্যাসব্যান্ড দিয়েছিলো তার ভাষায় কাতাম শাড়ি। সে সুখস্মৃতি সে প্রায়ই রোমন্থন করে। তারপরই শুরু হয় তার বেঈমান স্বামীকে নিয়ে অকথ্য গালাগাল। সেই প্রথম জীবনের একখানা কাতান শাড়ি পরবার সৌভাগ্য বেশি দিন টেকেনি তার। বাকী জীবনটা ছেড়া নেতাকানি পরেই কেটেছে। তো সে এই শাড়ী দেখে আর এত কিছু দেখে বিস্মিত হয়ে গেলো। আনন্দে তার চোখে দেখা দিলো আনন্দাশ্রু। সকল শয়তানী ভুলে মঞ্জুরা আমার হাত জড়িয়ে ধরলো।
- আপা আপনে আমার মায়ের পেটের বইন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি আপনের কতা মনে রাখুম।

ঘটনা নং ১০ - মঞ্জুরা ও ছবি তোলা -এই ঘটনার পর মঞ্জুরা খুব ভালো। হাসিখুশি থাকে। সবসময় যার মাথায় দুরাভিসন্ধি খেলা করে সেই মঞ্জুরা যেন হঠাৎ চেইঞ্জ। কম কথা বলে। ভালো ব্যবহার সবার সাথে। মঞ্জুরার এসব কর্মকান্ডে এবং সেদিনের কথায় আপ্লুত হয়ে রইলাম কিছুদিন। ঈদের দিন বললাম,
-মঞ্জুরা, তুমি শাড়িটা পরো। মালা চুড়ি সব পরে সুন্দর করে চুল আঁচড়ে সুন্দর করে সাজো। তোমাকে একটা ছবি তুলে দেই।
শুনেই মঞ্জুরা আৎকে উঠলো,
- ছবি!!!! কুনো কুত্তার বাচ্চাই আমার ছবি তুলতে হারবো না .......আমার মনে অত অং নাই, আমার এত আউস নাই। হাইজ্জা গুইজ্জা নাং ধরতে যামু? এত শখ নাই্কা। যে কুত্তার বাচ্চা হক হইসে হেই কুত্তার বাচ্চাই তুলুক.....


হায়রে মঞ্জুরা!!!!!!!

এই কারণেই মঞ্জুরার কোনো ছবি দিতে পারলাম না। শুধু কিচেনের ছবিই দিলাম! :(

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রথম,,,,,, হাহা হাহাহা =p~

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: :P

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা মজার গল্প। আমিও পাতলা ডাল পছন্দ করি। তবে পুঁই শাক দিয়ে ঘন ডাল খেয়ে দেখো দারুণ মজা। আচ্ছা তুমি যে এতো সব রানার ছবি দও- সবই কি সুফিয়া দা মেইন কুকের রান্না?

এতো গুলা হেল্পিং হ্যান্ড তোমার, তোমার তো তাহলে কোন কাজই করা লাগে না। ঈশ একটা হেল্পিং হ্যান্ড যদি পাইতাম!! মাঝে মাঝে হাসবেন্ডকে কাজে লাগাই, সে বড্ড ফাঁকিবাজ, কিছু রান্না করলে লবণ ঠিক মত দেয় না। তার রান্না আমি খেতে পারি না। তার যেদিন রান্না করার টাইম আসে, সে চান্স পেলেই বাইরে থেকে খাবার আনাবে, না হলে লোভ দেখাবে , বাইরে খেতে যাওয়ার। সব কাজ আমাকে একলাকেই সামাল দিতে হয়। আমি একাধারে সেফ, কিচেন পটার, ক্লিনার, মালী সব। :(

গতবারে যখন বাড়ি গিয়েছিলাম, আমার মায়ের হেল্পিং হ্যান্ড আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো- তোমার বাড়ির রান্না কে করে? ঘরের যাবতীয় কাজ কে করে? যখন বললাম আমি নিজেই- সে তো মাথায় হাত। তাদের ধারনা আমি কিছুই পারি না।

তোমার এত্তগুলো বুয়ার কিচির মিচির ভালোই লাগলো। তোমার রান্নাঘরও চমৎকার।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!!!!!

আমিই রান্না করি বটে-

তবে মঞ্জুরা মসলা বাঁটে, দিলজান কাটে, সুফিয়া নাড়ে আর আমি সুফিয়াকে ইউটিউব দেখিয়ে দেই.... :P

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @যে কুত্তার বাচ্চা হক হইসে হেই কুত্তার বাচ্চাই তুলুক.....
:P
মন্জুরা বিবি কি বাঘের বাচ্চা নাকি??:P



শ্যামা দত্ত, শামা হক
ভাবছো তুমি একাই রক?
আমি হনু শেয়াল ভায়া
সব আঙুরই লাগে টক...:(



পুনশ্চঃ
টোকাই মানুষ পড়তে পারে না...:(
এতবড় লেখা তুমিই পড়ো হে???X(

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: উফ শুধু কাগজ টোকালেই চলবে???

রাজীব নূর ভাইয়ার মত রাস্তায় পড়া ডায়েরী থেকে মানে রাস্তায় টোকানো কাগজ থেকেও তো কিছু টুকিয়ে লিখতে পারো.....

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

অন্তরন্তর বলেছেন: প্রথমে তোমাকে সাজা দেবার দরকার এতগুলো বুয়া রাখার জন্য। তাইতো বলি আমরা কেন বুয়া পাইনা বাসায়।
তোমার বুয়া কাহিনি বেশ মজার। অনেক হাসলাম। মঞ্জুরা মেডাম তাহলে এক পিসই আছে। তুমি ভাল থাক তোমার এই সঙ্গী সাথীদের নিয়ে। শুভ কামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আসলেই অনেকেই বলে একে রেখেছো কেনো? তাঁড়িয়ে দিতে পারো না??

আমি বলি - বলো কি !!!!! তাহলে এই মজার ক্যারেকটার আমি কোথায় পাবো গল্প লেখার!!!!!!

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আমাদের তিনকন্যার গল্প ভাইয়া। :P

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

বর্ণা বলেছেন: হা হা হা

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: আপুনি :P

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার বাড়িতে এতগুলি বুয়া? আমিতো ভাবছি নবাব বাড়ি টাড়ি হবে। যাক, এবার বলবো ওদের সামলানোর জন্য একজন এম বি একে রাখুন, উনি ওদের ম্যানেজ করবেন। খুব বড় হওয়ায় অস্বীকার করবো না যে সব পড়েছি। এনিওয়ে বেশ মজা পেলাম।

শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

অপ্‌সরা বলেছেন: সব পড়া লাগবেনা ভাইয়া তবে আমি তাদের কান্ডগুলি চির স্মরণীয় করে রাখতে অনেকগুলি লিখে রাখলাম।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: নাহ্, গল্পগুলো আসলেই সলিড। জীবনের গল্পগুলো বোধহয় এমনই হয়। ট্রাজেডি তে ভরা... :(


মুন্জুরার আসল নাম কি মুন্জুআরা??
ওর স্বামীটা এখটা খচ্চর, সালাকে ধরে ঠ্যাঙানো দরকার!!X(



পুনশ্চঃ
এই বয়সেও নখ এতো পালিশ করো কেন??X(
রান্না ঘরের যা হাল...:( মেকানিক কি বেশী ঘুষ খায় নাকি? :P
(তোমার পতি উত্তর দেকলে মন্তব্য করতে ইচ্চে করে না..X()

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

অপ্‌সরা বলেছেন: আহালে পুচ্চি বেবিতা!!!!!!!!!!

প্রতি উত্তর দেখে রাগে গা জ্বলে যায় আবার অন্যদেরকে উপদেশ দেন আমার মন্তব্য পড়ে শিখতে!!!!!


কারণ কি!!!!!!!!!

মঞ্জুরা এসেছে আমার ধারণা মঞ্জরী থেকে.....
আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে......

আরে এই শিরোনামটাই তো ভালো হতো!!!!!!!!

যাইহোক আমি সেটা জানিনা কই থেকে তার নাম এলো।

আর মেকানিক ঘুষ খাবে কেনো!!!

সে কি জব করতেই যাবে নাকি!!!!!!
বিজিনেস করতে পারে না!!!!!!!!!

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কাজের লোকদের কিছু কান্ড কীর্তি হাসির খোরাক জোগায়। মঙ্গুরা কাহন পড়ে বেশ মজা পেলাম।
মানুষ একজন পায়না, আর তুমি তিন জনের সার্ভিস নিচ্ছ!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া তিন জন পার্মানেন্ট। আর একজন ছুটা। আশপাশ ঝাড়ু দেয় আর সিড়ি। আর ছেলে বুয়াদের কথা আরেকদিন বলবো! :P

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি একটু ঢোক গিল্লা লই


---

বুয়াকাহিনি তো ফানে গানে নাচে করুণ কৌতুকে ভরপুর

ইয়ে, তিনকন্যা আমিও দেখছিলাম। ববিতা আপুরা তিনবোন একলগে একছবিতে

মজার পোস্ট

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আসলেই মজার ভাইয়া।

মঞ্জুরা মহা সুখে আছে এখন আসলেই। কারণ সে বুঝে গেছে সে তার নিশ্চিৎ পাগলামীর ঠিকানা পেয়ে গেছে। তাকে আর কেউ এইসব শয়তানী পাগলামীর জন্য তাড়িয়ে দেবেনা কোথাও......

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বুয়ারাও মানুষ। তাদের সাথে মানবিক আচরণ অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে, বাসায় নিজেদের চেয়ে বুয়া/ওয়ার্কিং স্টাফের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে একটু সতর্ক থাকতে হবে। মাঝে মাঝেই অনেক ভয়ংকর ঘটনার কথা শোনা যায়। বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে, বুয়াদের আত্মীয়স্বজন কেউ এলে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে; তারা কখন আসে কখন যায় এটা মনিটর করতে হবে। --- বেশি লিখলাম না, আতঙ্কিত হবারও কিছু নেই। এদের সাথে আচরণ ভালো করলে তারা বরং নিজেরাই আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং আপনার বন্ধুর মতো হয়ে উঠবে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: না আমার মনে হয় তারা আমাদেকে নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও বাঁচাবে।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ''ফের অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি''

''আপুগণ সাবধাণ''

'বুয়া নেবে','বুয়া নেবে'
রোজ করে ফেরি সে;
পথে সে করিতে ফেরি
করিবেনা দেরি সে।

মোটা বুয়া,বেঁটে বুয়া
আছে বুয়া লম্বা;
যা যা চাই তা-ই পাবে
স্টকে নেই কম বা।

ধোয়া-পালা,ঝাড়ু-মোছা
কুটা-বাছা,রান্না;
অল ক্যাটাগরি পাবে
যে যেটাই চান না।

অকে বাবা ঝেড়ে কাশি
রাখিবোনা ঝাপসা;
বুয়া সাপ্লাই-ই হলো
আপুনির ব্যবসা।

বুয়া-'বিজ' আপাতত
ধ্যান-ব্রত-ঠেকা তার;
মোটামুটি ঢাকা সিটি
কন্ট্রোলে একা তার।

ফোন ফেবু টুইটারে
অর্ডারলি ডেলিভারি;
জমিয়েছে মনোপলি
নেই আহা জুড়ি তারি।

বুয়া সাপ্লাইর ফাঁকে
আছে আরো ধান্দা;
পুলিশেরে মাসোহারা
দেয়া চাই বান্ধা।

দেবেই না কেন কও
বুয়াদের যত ক্রাইম;
সবি ঘটে তার প্লানে
ছকে আঁটা অলটাইম।

জুয়েলারি,ফোন-ক্যাশ
যা যা যায় খুঁয়াগো;
নিজ হাতে হাই স্কিলে
ট্রেইন করে বুয়াগো।

কার ঘরে কি কি মাল
আছে সব তথ্য;
ডাকুরাতো তারি কাছে
ডাটা পায় যত্ত।

কবে কোথা হবে ক্রাইম
আগে থেকে ধার্য্য;
এভাবেই গড়ে আপু
ক্রাইম সাম্রাজ্য।

সাদাসিধে কাভারে সে
মহা লেডি মাফিয়া;
সাথে আছে দিলজান
মঞ্জুরা সুফিয়া।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!

মোটা বুয়া,বেঁটে বুয়া
আছে বুয়া লম্বা;
যা যা চাই তা-ই পাবে
স্টকে নেই কম বা।


বুঝিলে কেমনে তুমি
কথা অতি খাঁটি
৬ ফুটি সুফিয়া আর
মঞ্জুরা বাটি.....

দিলজান মোটু সোটু
রুপজান বোকা
বলে দিলি সব কথা
ওরে গাধা খোকা!

চিরটি জনম জানি
ঘরের শত্রু বিভীষন
কাজের ছেলেটি হয়ে
এই ছিলো তোর মিশন!!!

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১১

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: ভালো লেগেছে

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া! :)

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

নীলসায়র বলেছেন: বাকীগুলানের কাহিনী কবে পাব?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২২

অপ্‌সরা বলেছেন: বাকীগুলান কিতা? কার কথা কইতেসেন? মঞ্জুরার বাকী ইতিহাসগুলান? নাকি অন্যদের গল্পগুলান? কিতা কউন? বুজিনাতো? :P

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মজাদার গল্পে দারুণ রসিকতা, ভালো না লেগে কিআর পারে।

এত্তগুলা বুয়া!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আর তাদের কীর্তি কাহিনী! :P

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হায়! হায়!
তুমি তো মন্তব্য খরায় ভুগছো!!!!
(এজনই বলি ভালোমত প্রতি উত্তর করো..):P


@ প্রতি উত্তর দেখে রাগে গা জ্বলে যায় আবার অন্যদেরকে উপদেশদেন আমার মন্তব্য পড়ে শিখতে!!!
অসপরাকে আমি চিনি না। তার কথা বলতে যাব কোন দুষ্কে!!!!!!!
তবে, শ্যামা সঙ্গীত আমার পছন্দ....
মম চিত্তে, নিতি নিত্যে
কে যে নাচে তা তা থৈ থৈ....;)



ঠিক করেছি আপুদের পোস্ট তিনটার বেশী মন্তব্য করবো না। (গণনায় ভুল হলে, তার জন্য নিজু দায়ী নয়...:P)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

অপ্‌সরা বলেছেন: আবারও সেই মন্তব্য!!!!!!!!

আবারও সেই খরা এবং অতিবৃষ্টি কিংবা বন্যা!!!!!


হায়রে বুইড়া অবার্চীন!

এখনও ব্লগের খেইলের কিছুই বুঝো নাই দেখছি!!!!!!

ব্লগ হইলো খরস্রোতা নদীর মত!!!!!!!

এই স্রোতধারা - জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো .....

এই স্রোত ধারার মানে বুঝিতে হইবেক। গতীধারা বুঝিতে হইবেক.....

ব্লগে লেখা, ভালো লেখা মন্দ লেখা, আর মন্তব্য , মন্তব্য খরার দিকে চক্ষু দিয়া রাখিলে আর নিজের লেখাও যেমন হইবেক না তেমনি অন্যের .........

যাক এত কথায় কাজ নাহি ......

বড় হও, যতই পন্ডিৎ সাজো এই ব্লগ ভূবনে তুমি তক্কেত/ আইক্কিম শিশু......

(অসপরাকে আমি চিনি না। তার কথা বলতে যাব কোন দুষ্কে!!!!!!!) দেখো অপ্সরা আমি হইলাম শ্যামার বড় বইন অথচ তুমি দুদিনের শিশু আমাকেই চেনোনা তবে অন্যরা একদিনের শিশু চিনিবেক কেমনে!!!! :( বড়দের/ বুড়াদের দাম কমে ... :(

আর শ্যামাকে দেখে বেশি নেচো না
পা ভেঙ্গে শেষে কান্নাকাটি কললে কিন্তু আমাল কোনো দোষ নাই.... :(

কি করির ছড়াখানা মনে রাখিও বেবি....


উড়িতেছে ঢেঙাঢেঙ
ইদানিং 'পাপ্র'টা
বুঝিবে সে হাড়েহাড়ে
ডাইনীর খিপ্রতা।


হা হা হা হা :P




১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

নীলপরি বলেছেন: পুরোটাই পড়েছি ।দারুণ:)
শুধু দই আর রসমালাইয়ের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক! সেটাই ভাবছি :|

শুভকামনা :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!

আমিও স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা কেউ এমন ভুল করতে পারে।

কিন্তু আমাদের মঞ্জুরা মোটেও ভুল করে করেনি। সে দিলজানকে ধরা খাওয়াতে চেয়েছিলো। যেন তার রান্না নষ্ট হয়ে যায় আর আমাদের কাছে বকা খায় সে। তাই দিলজান যখন মসলা কষাচ্ছিলো সে ইচ্ছা করেই ফ্রিজ থেকে রসমালাই নিয়ে গিয়ে ঢেলে দিয়েছে মসলার ভেতরে।

ইচ্ছা করেই সে সেসব করে।

কারণ তাবৎ পৃথিবীর উপর তার এক অকারণ ক্ষোভ.....

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
বুয়াদের জয় হোক।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হাহা আসলেই জয় হৌক!!!!!!!!!!

সেদিন ফেসবুকে দেখলাম মারজুক রাসেল লিখেছে ঢাকা শহর চালায় বুয়ারা! হা হা হা সত্য কথন!

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: বুয়া কাহিনী দারুণ!

মন্জুরার কান্ড কারখানা সহ্য কর কি করে!!!! সুফিয়া আর দিলজান দিন রাত মন্জুরার নামে নালিশ করে না? করারই তো কথা! তোমার এত কর্মকাণ্ডের মাঝখানে এগুলো সামলাও কি করে তাই ভাবছি।

যেই বান্দরের মনে রং উঠছে সেই বান্দর সাজুক!!
যেই কুত্তার বাচ্চার হক অইছে, সেই কুত্তার বাচ্চা ছবি তুলুক!!


আহা! কি দারুণ মঞ্জুরা বাণী
আর তুমি কি অসীম ধৈর্যধারিনী!!!!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা আপুনি তার বাণী সকল দেখে প্রথমে আমি চমকায় উঠি। তার পর হাসতে হাসতে মরে যাই।

কাল রাতে আমি তাদেরকে ডেকে পড়ে শুনালাম আমার এই লেখাটা।
সুফিয়া তো হাসতে হাসতে শেষ। দিলজান মহা খুশি তার শত্তুরের বর্ণনা শুনে।

আর মঞ্জুরা!

আবার পাগল সাজলো! আমি ! আমি কিতা কইচ্চি! ও দোষ হয় আমার আর হবাই সাদু.......

আমারে নিয়া টিটকারী করণ না? আমারে লইয়া মস্করা!!!!!! বুজি বুজি আমি হগলই বুজি :P

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আপু শুনো কাল রাতে আমি এই লেখা পাবলিশ করার পরার একটা বিয়ে বাড়ি চলে যাই। রাওয়া ক্লাবে ছিলো সেই বিয়ে।

তারপর বিয়ে বাড়িতে কৌটায় করে পান দেয় না? কাগজের প্যাকেট।
সেই প্যাকেট এনে আমি আমার বেড রুমে ডেকে সুফিয়াকে দিয়েছি কারণ সে খুব পান খায়।
তারপর একটু পরে দেখি মঞ্জুরার কান্না কাটি....

তার ভাষ্য-

- আমি আফার বিউটি পারলর থেইকা পাখির বাসা বানায় আনা আউলা ঝাউলা চুল রাইত দুক্কুরে ত্যাল দিয়া কত যত্ন কইরা সোজা বানাই, এক রাশ কাপড় চোপড় তাও কইরা দেই, জুতা মুজা গুছাই দেই, হাজন গোজনের যুগাল তাও কইরা রাখি আর!!!!!!!!!!!!

পিরিতের হময় সুফিয়া না!!!!!!!! সোনার কানের ফুল বানাইয়া আইনা তায়ারে রুমৎ ডাইকা লইয়া চুপে চুপে দিলো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! থাকতাম না আর এই হয়তানের বাড়িৎ!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: সে পানের কৌটাকে সোনার দুলের প্যাকেট ভেবেছে।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: ওহো, বলতে ভুলে গেছি তুমি দারুন কিচেন বিলাসিনী। তোমারi রান্নাঘরটা চমৎকার।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১১

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!!!! তবে এই কিচেনে হাড়ি কড়ুই, নেতাকানি, পাটা , মাটা ঝাটা এবং মঞ্জুরারাণীদের প্রবেশং নিষধং উহা শুধুই আমার জন্য! :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আষমারও আরেকটা কথা আপুনি!!!!!!

আমি শুধু কিচেন বিলাসী নহি!!!!!!!
আমি আমি শুদ্ধু আমার আশপাশ বিলাসী!!!!!!
এই যে আমার ডাইনিং.....

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমার সুফিয়া বুয়া কে চিনতাম ;)
তবে মঞ্জুরা রকস =p~ =p~

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

অপ্‌সরা বলেছেন: সত্যি!!!!!!!!!

তার বাড়ি ময়মনসিংহ!

হেত্রকোনা.....

তবে সি ইজ জেন্টেল!!!!!! :)

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

অপ্‌সরা বলেছেন:






করুনাধারা আপু, মনিরা আপু আমি কেমন পরিপাটি দেখছো!!!!!! :P

২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তাই তো !!! তাই তো !!!
অনেক সুন্দর !! পরপাটি !:#P

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

অপ্‌সরা বলেছেন: হাহা আপুনি.... :P

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের ঘর চালাতে সাড়ে ৩ জন বুয়ার দরকার? এটা কি পরিবার, নাকি কারখানা?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা

এটা পরিবার।

সবাই মিলেই পরিবার ...... :)

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হা হা হা...

মঞ্জুরা নামটা প্রথম শুনলাম। সুফিয়া বেগম না থাকলে ওরা খবর করে ছাড়তো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩২

অপ্‌সরা বলেছেন: একদম সত্য কথা।

তবে সব কিছুর পরেও দে অল লাভ আস আ লট....

এটা বুঝি.....

নিজের বাড়ি মনে করে শুধু ডালে পানি ঢেলে দেয় .....

হা হা হা হা

তবে নো প্রবলেম.....

ঐ পানি ঢালা ডাল গরম করে ঘন করে ওদেরকেই পরে খেতে হয় মানে আক্কেল সেলামী..... :P

আর রাত বারোটা বাজুক আর তেরোটা আমাদের কি আবারও নান্না করতেই হবে । জানেই তারা কারণ এত্ত বাঁদরামী করে আমরা সেসব দেখবো আবার কিছু বলবোও না আল্লাদ নাকি!!!!!!!!!!! :-P

২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: হা হা হা মজার গল্প।
কিন্ত রান্না ঘর আর ডাইনিং দেখে মনে হচ্ছে,
মাঝে মাঝে অনেক দাওয়াত চলে, শুধু আমরা বঞ্চিত ..................... :)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
হা হা হা দশভূজার দাওয়াত কি দশমী তে আসে ???

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: দশমী, সশমী,বশমী যে কোনো সময়ই আসে।

হা হা হা

তুমিও চলে আসো আমার ফেইরী ল্যান্ডে.....

২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৬

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: রসমালাই মুরগি ! জটিলতো !!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

তোমাকে মেরে ফেলবো!!!!!!!!!!

কেটে ফেলবো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

কিছুদিন আগে তোমাকে উৎসর্গ করে পোস্ট লিখেছিলাম। তুমি তো দেখলে না।


এখন সেই পোস্ট এডিট করে আরও ছবি লাগাতে গিয়ে নিজেই মুছে ফেলেছি ভুল করে......

কাঁদতে কাঁদতে মরে যাচ্ছি সেই দুঃখে ......

মডু ভাইয়াদের বলতে তারা বকা দিসে!!!!!!!!!!! :((

তবে বলেছে সমাধান করিবেক ..... :)


২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মঞ্জুরা তো আপনাকে কয়েকটা গালিই দিয়ে দিল। তবে আপনার বর্ণনা ভালো হয়েছে। বিশেষ করে ওর ভাষাগুলো ওর মত করেই লেখায়। কিন্তু নেত্রকোনার লোকজন ‘খ’ এর উচ্চারণ ‘ক’ করলেও ‘কেলা’ শব্দটা ঢাকাইয়া কুট্টিরাই ইউজ করে বলে জানতাম।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: কিন্তু সে কেলা বলে!!!!!!!
আমিও জানিনা কেনো???

আমি অবশ্য তুমি চাইলে রেকর্ড করে শুনাতে পারি ..... হা হা হা

আর সব ভাষা আমি আসলে লিখতে পারিনি..... সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাইসি.....

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

চাঙ্কু বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে, লেখা ভাল হইছে। পেলাচ (ফাঁকিবাজি কমেন্ট ;)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: বুঝেছি কম্প্রিহেনশন প্রবলেম।


পড়িয়া কিছু না বুঝিয়া এ হেন কমেন্টো!!!!!! :)

৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৩

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: আপু সেই পোস্টতো আমি দেখি নাই :( :(
সেই পোস্ট কি আর ফিরে পাওয়া যাবে না ? :( :(

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া কি যে সুন্দর করে গোলাপ বানিয়েছিলাম!!!!!!!! :((

তুমি দেখলে অবাক হতে!!!!!!!!!! :(( :((


পাওয়া যাবে আশ্বাসিত হয়েছি।


কিন্তু জানিনা কবে !!!!!!

৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:

আপা ঈদ মোবারক!!! ;)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: ঈদ মুবারাকের পোস্ট ভুল করে এডিট করতে গিয়ে মুছে ফেলেছি ভাইয়া!!!!!!!!!!!!! :((

৩২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:

এত বড় পোস্ট আমার পক্ষে পড়া সম্ভব নয়। :P

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: ছি ছি

ছি ছি ছি কুঁড়েমী ছাড়ো!!!!!!!!

৩৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৫

চাঙ্কু বলেছেন: এইডা চুলম্প্রিহেনশন! তোমার লেখা পড়ে দুই দিনে আমার দেড়টা চুলে পড়ে গেছে।
আর তুমি হইলা গিয়ে মাস্টার যাদের কথা-বার্তা বুঝলেও শাস্তি না বুঝলেও শাস্তি পাওয়া লাগে :P

কালকে ২ ঘণ্টার এক চরম বোরিং মিটিং ছিল। এমুন সময় দেখলাম তুমি পোষ্টাইছ। ল্যাপিতে কাম করার ভান করে তোমার পুরা পোষ্ট পড়ে শেষ করিয়ালাইছি! তবে মাঝখানে বুয়াদের কাহানী পড়ে এমুন হাসি দিছি যে সবাই আমার দিকে তাকানো শুরু করছে...এন্ড দ্যান... দ্যাট অকওয়ার্ড মোমেন্ট! সবার দোষ তোমার! X( X(

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা আজ কি করেছে জানো?

এই একটু আগে -
আজ সারাদিন দিলজানের কানে ব্যাথা। সে সারাদিন বিছানায় শুয়ে চ্যা ভ্যা করে যাচ্ছে। তাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে সে ঘুমাচ্ছে। এমন সময় কিচেন মুছার মব ও অন্যান্য কাপড় থাকা সত্বেও নাকি মঞ্জুরা তার ছাদে শুকাতে দেওয়া পেটিকোট এনে কিচেনের ফ্লোর মুছেছে।

সে ঘুম থেকে উঠে নাকি কান্না জুড়েছে......
মঞ্জুরাকে জিগাসা করলাম , কেনো এমন করেছো সে বলে -

কি কইচ্চি আমি কি কইচ্চি! ঠিক আছে কাইল হক্কালে কইচ্চা দেবো মইচ্চা দেবো অং বং চং ......

৩৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৬

করুণাধারা বলেছেন: দারুন পরিপাটি আর সুন্দর ডাইনিং রুম আর ড্রইং রুম! টেবিলের উপর ওটা কি terrarium রাখা? কি করে এমন সতেজতা বজায় রাখলে!! আমি তো ঘরের ভিতর বাঁচিয়ে রাখতেই পারি না!

পানের কাগজের বাক্স কে সোনার দুলের বাক্স বলে ভাবল!!!

মন্জুরার চিন্তার অভিনবত্বে আমি থ! মনে হয় তোমার প্রশ্রয় পেয়েই ও এমন অভিনব সব কোন্দল বাঁধাতে পারে! আমি তো এগুলো সহ্যই করতে পারি না, তাই আমার ঘরে বুয়াও থাকে না।  :( 

দেখো, দুদিন পর দিলজান আর সুফিয়া নালিশ নিয়ে আসবে, ওদের নিয়ে গল্প লেখো নি কেন, তাই! তখন ওদের কাহিনীও দিও- আমরা একটু বিনোদিত হই।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: আপুনি সব কিছু ঠিক ঠাক রাখতে হবে এই তাদের নিয়ম। কাজ কম করুন ডালে পানি ঢালুক। একজনের পেটিকোট দিয়ে আরেকজন বারান্দা মুছুক ছাদ মুছুক নো প্রবলেমো!

কিন্তু ঘরে ঢুকেই আমি সবার আগে চক্কর! সারা বাড়ি পান থেকে চুন খসেছে কিনা! :P

আমারও মনে হয় সে ইচ্ছা করেই এমন করে।

অনেকেই আমার কলিগেরা জিগাসা করে এইটারে বের করে দেন না কেনো!!!!!!

কিন্তু তারা আমাকে জানে,

এই মজার ক্যারেকটার আমি আর কোথায় পাবো বলো!!!!!

দিলজান আর সুফিয়াকে নিয়ে লিখবো ভাবছি .....

কিন্তু ওদেরকে পড়ে শুনিয়েছি আপুনি!!!!! :P

৩৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনি রুচিবাগীশ! আপনার বুয়াকে নিয়ে লেখাটা খুব ভাল লাগল! মজাদার আয়োজন! ড্রয়িংরুম খুব সুন্দর, কিচেন পরিপাটি, লেখা ঝকঝকে! নিকের মর্যাদা রেখেই চলেছেন আপুনি!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়ু!!!!!!!!!!!

আসলে ইউ লাভ মি সো মাচ তাই এমন মনে হয়!!!!!!! .....

আমি এইসব স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই লিখেছি মানে তাদের মজাদার কান্ড কারখানা ..... :P

৩৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মঞ্জুরা বুয়া কি এই লেখাটার কথা জানে? আমি কিছুটা কৌতুহলি বটে। তবে এটা যেহেতু ছবি নয় তাই মাইন্ড নাও করতে পারে। ওর জিবন নিয়ে রিতিমত একটি ড্রামা তৈরি করা যাবে যা দেখছি!
আমার মনে হয় সে রিয়েলিটিকে জাজ করতে শিখেনি, এ কারনে ভুলভাবে নিজেকে রিএক্ট করছে। নিজের ভেতরের ইচ্ছেকে ক্রমাগত অপুর্ন দেখতে দেখতে সেগুলোর ওপর আকর্ষন হারিয়ে ফেলেছে খুব বেশি। তবে পুরোটা নয়।
আফটার অল মানুষ হিসেবে এরা খারাপ হয় না, তবে বোকা হয়। আর সাবধান, মাঝে মধ্যে এইগুলো বিপদে রুপ নিতে পারে!!( ;) সাবধান আসলে মুলত অন্য পাঠকদের উদ্যেশে, যদি ডিল করতে হয়। I know you are good at handling people )

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা জানে মঞ্জুরা জানে আমি তাকে নিয়ে গল্প লিখেছি। এবং ওদের সবাইকে পড়েও শুনিয়েছি।

বাকী দুজন বুঝেছে এবং অনেক হেসেছে কিন্তু মঞ্জুরা পাগলা ভাব ধরেছে......

- কিতা? কিতা লিখছুইন?? বুজি নাতো.... অং বং চং .....

না সে কিছুই করবেনা.....

বরং ওর জীবন দিন দিন সুন্দর হয়ে উঠছে। ওর বিনোদনের অভাব ছিলো তাই শয়তানীটাই তার বিনোদন ছিলো!

ধীরে ধীরে এসব কেটে যাচ্ছে ......

সে বোকা না তেমন আসলে.......ক্ষতিকারক মনোবৃত্তি নাই মনে হয়। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত তার দৌড়ও ডালে পানি বা রসমালাই মুরগী রাঁধতে অন্যকে প্ররোচিত করা পর্যন্তই! হাহা হা :)

৩৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: রান্নাঘরে প্রদীপ জ্বেলে কি হ'বে তোমার
যদি কেউ না থাকে খাওয়ার?

তোমার পরিপাটি রান্নাঘর আর সুন্দর ডাইনিং রুম কিন্তু, অতিথীর চেয়ে বুয়ার সংখ্যা বেশি মনে হ'ল। দাওয়াত দাওনা কেন সামুর মাম্মু-মাম্মীদের?

আর, সুফিয়া বুয়ার কথা পড়ে ভাবসিলাম রোবট সোফিয়ারে তুমি কি কিনন্যা নিয়া বাসায় কামে লাগাইছ না কি?

ভাল লাগল তোমার বুয়া চরিত।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা হা আমি হাসতে হাসতে মারা গেছি ভাইয়া!!!!!!!


ভালো বলেছো রোবোট সোফিয়া!!!!!!!!!


আর রান্না করে দাওয়াৎ দেই না কে বললো!!!!!!!!

তোমার আজকেই দাওয়াৎ আমার বাসায়!!!!!

রান্নাঘরে প্রদীপ জ্বালানো দরকার নেই চুলা জ্বালালেই চলিবেক!!!!!!

আমি জ্বালবো না মোর রান্নাঘরে
প্রদীপ আনি ...... :P

৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: রসমালাই মুরগী!!!!!!!!!!! কুহু জারদৌসী হইসো না!!!!!!!!! রসমালাই মুরগী, কাঁচাগোল্লা ইলিশ, লালমোহনের চিংড়িমালাই, ছানার জীলাপীর কাঁচকি
--- হা হা হা হা উনাকে নিয়ে এবার টিভি শো'তে চলে যাও


তোমার ঘর বাড়ির সাথে অনেকেই পরিচিত হয়ে উঠছে--- ইহা ভালো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ টিভিতে নিতে চাই আর সে বলুক- আমার অত আউস নাই। এত রং আমার মনে নাই। যেই বান্দরের মনে রং উডছে, হেই বান্দর টিভিতে যাক। আমি কেলা!!

আমার ঘর বাড়ি চিনলে কি হবে! এমনিতেই তো দাওয়াৎ!!!!!!

৩৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: মঞ্জুরা- কেডা কি ভাববো? কেডা কি ভাববো হ্যাঁ? কেডা কি ভাবলে তাতে আমার কিতা? আমি তাগো কাই না পরি! আমার অত আউস নাই। এত রং আমার মনে নাই। যেই বান্দরের মনে রং উডছে, হেই বান্দর সাজুক। আমি কেলা? হা হা হা হা মঞ্জুরা রক্স !!!!!!!!!!!!!!!!!!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: বান্দর নাকি সাজে~!!

শয়তানটা বললে কি!!!!!!!!!!!

৪০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

হঠাৎ করেই এ বুয়া- টুয়া নিয়ে গবেষণা শুরু করে কেন সায়মা আপু? :P

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: বুয়াদের নিয়ে গবেষনা না, এটা তাদের অমর কিছু কান্ড কীর্তির স্মৃতি ধরে রাখবার নিমিত্তে লিখিত হইয়াছে। :)

৪১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২

জাহিদ অনিক বলেছেন: হ্যাঁ টিভিতে নিতে চাই আর সে বলুক- আমার অত আউস নাই। এত রং আমার মনে নাই। যেই বান্দরের মনে রং উডছে, হেই বান্দর টিভিতে যাক। আমি কেলা!! হা হা হা হা বাই দ্যা ওয়ে তুমি টিভিতে গেছো কয়বার ? মিছা কথা কইবা না !!!!

দাওয়াত ? ঠিক আছে, নেক্সট যেদিন রান্নাবান্না হবে না আমার বাসায়, চলে আসব।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

অপ্‌সরা বলেছেন: :|

আমি কি মঞ্জুরা নিকি?

আমারে টিভিতে নেবে কেনো???


নেক্সট দিন আবার কি!!!!!! আমাদের বাসায় তো রোজই রান্না হয়!!!!!!!! তুমি কি ভেবেছো আমরা বছরে একদিন খাই!!!!!!!

৪২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা ,





এমন একটি সুরস ভরা লেখার মেজাজের সাথে মিলিয়ে যেমন মন্তব্য করা উচিৎ এবারে তা করছিনে ।

মঞ্জুরাকে নিয়ে যতো হাসির কথাই লিখুন না কেন , আপনি হয়তো নিজেও হয়তো জানেন না মঞ্জুরাদের জীবনে লুকিয়ে থাকা সবচেয়ে গভীরতম সত্যটিই বলে গেছেন এখানে ----- " জীবন তাকে শুধু শিক্ষাই দিয়ে গেছে । কঠিন শিক্ষা । ...... জগতের প্রতি রূঢ় ও বিমুখ করে তুলেছে ....."
এখানে এসে কেমন যেনো আনমনা হয়ে গেলুম । আপনার রসবোধের পাশাপাশি আপনার জীবনবোধের পরিমাপটুকু হয়ে গেলো মনে হয়।
রসে ভরা অথচ করুন এই লেখাটিতে ভালো লাগা ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি জানি ভাইয়া।
এই জন্যই যখন সবাই বলে এত কিছু সহ্য করে আমি তাকে এখনও রেখেছি কেনো তার কোনো আসল উত্তর না দিয়ে আমি নকল করে বলি, এমন মজার ক্যারেকটার আমি কোথায় পাবো?? আসলে আমি জানি এই জীবনে কোনোদিন তাকে কেউ ভালোবাসেনি। কেউ তার সাথে ভালো করে কথা বলেনি বাল্যবিবাহের আগ পর্যন্ত তার জীবন কেমন ছিলো, কতটা আদরে ছিলো আমি জানিনা তবে ভুল বিবাহের অকাল পরিনতিতে সে মানষিক ভাবে যে বিপর্যস্ততার শিকার হয়েছে তা কখনও কেউ ফিরেও দেখেনি।

ভাগ্যক্রমে আমাদের বাসায় সে এসে পড়েছে। তার শত অত্যাচার আমার কাছে মজারই লাগে যেন টম এ্যান্ড জেরীর মজার কার্টুন।
তবে অনেক না হলেও কিছুটা ভালোবাসা বা না বলা ভালোবাসাও যে মানুষকে অমানুষ টাইপ কর্মকান্ড থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে মঞ্জুরা আমার সেই পরীক্ষার গিনিপিগই হয়তো। তার এত রকম শয়তানী টাইপ কাজগুলো করে আজকাল সে অনুতপ্ত হচ্ছে। আমি যে তার এই সব কাজগুলি নিয়ে লিখেছি আমি তাদেরকে পড়েও শুনিয়েছি। সেই নিয়ে তার কি রাগ! এবং কিছুটা লজ্জাও হয়তো। হা হা হা তবে এই কথা সত্যি সে আমাকে মনে হয় ভালোবাসতে শুরু করেছে। তার সকল শয়তানী বদমাইসি বা নেগেটিভ কার্যক্রম তার সার্কেলে হলেও আমার সাথে আমাদের সাথে কখনও সে কিন্তু এমন কিছু করেনি যা বিশ্বাসঘাতকতা বা অনৈতিক হয়।

একটু না হয় ডালে পানিই দিয়েছে সেই পানিওয়ালা ডাল তো আর আমরা খাইনি। আবার রেঁধেছে তারাই তার বদলে ঘন করে তারাই খেয়েছে মাঝে থেকে আমি একটা মজার গল্প পেলাম। আর রসমালাই মুরগি!!!!!!! তারাও খেতে পারেনি হা হা হা .... তাতে কি? লিও আছে না???

যাইহোক ভাইয়া,

রবি ঠাকুর লিখেছে না?
আমি রুপে তোমায় ভোলাবো না
ভালোবাসায় ভোলাবো......

দেখি মঞ্জুরাকেও ভোলানো যায় কিনা ......

নইলে না হয় অন্য কোনো গান গাবো...

তারে ভোলানো গেলো না কিছুতেই
প্রেম দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে ......


হা হা হা হা অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া। অনেক ভালো থেকো....

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন:

ভাইয়া এটা আমাদের সুফিয়া। তার ছবি তোলা গেছে কিন্তু মঞ্জুরার ছবি তোলা যায়নি।

তার ছবি তোলার চেষ্টা চলিতেছে! :)

৪৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





আপনার মত ক্রিয়েটিভ মঞ্জুরা !! যে কোন কিছুতে সে ডিফারেন্ট কিছু করতে চায় !!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা

আসলেই !!!!!!!

রতনে রতন চেনে ....
তাই তো আই লাভ মঞ্জুরা ......

৪৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)

কিচেনের ছবির দিকে তাকিয়ে বারবার ভাবছিলাম মঞ্জুরা এখানেই ব্যস্ত থাকেন।

চমৎকার লাগলো মঞ্জুরার ডায়ালগগুলো। অপ্সরা আপু চাইলে একজন গৃহভৃত্যকেও নায়িকা বানিয়ে ছাড়তে পারেন! :)

আপু আপনি কিন্তু জীনের বৌ জ্বীদির গল্পটা শেষ করলেন না। :(

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা না মঞ্জুরা এই যে দেখছো ঝকঝকে তকতে মেঝে। এটার ক্লিনিং এই আসলে সদা ব্যস্ত থাকে। সে পাগল হোক ছাগল হোক একটা কুটো পড়তে দেয় না কোথাও কোনো খানে। অবসরে সে থালাবাটি মাজে আর মানুষের রান্নার সর্বনাশ করে! :)

৪৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

অপ্‌সরা বলেছেন:


এই আমাদের সুফিয়া হৃদিমনি! :)

৪৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওয়াও,
এই ছবিটাতে উনি যেই পোজ দিছে, এটা নিশ্চয়ই আপনিই উনাকে শিখিয়ে দিয়েছেন। যে ভাবভঙ্গী উনি দিলেন তাতে তো মনে হচ্ছে এই ঘোরদোরের তিনি বেগম সাহেবা!
=p~
আসলে কিন্তু উনি অনেক স্মার্ট। মানে ছবিতে খুব স্মার্ট লাগছে।

আর উপরে যে পিক দিয়েছেন, এটা দেখে তো মনে হচ্ছে মঞ্জুরা খুবই খুঁতখুঁতে মহিলা! ফ্লোরটারে একদম নিখুঁত করে ছেড়েছে। :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ঠিক ঠিক কেমনে বুঝলে!!!!! সে হাত দুইটা কোলের উপর রেখে নামাজের ভঙ্গিতে বসেছিলো। আমি বললাম তুমি তো নামাজ পড়ছো না ছবি তুলছো কাজেই হাত দুইটা এক সাথে রাখো! আর শাড়িটা দেখো। আমি কিনেছি। ঠিক এমন এবং এর চাইতেও আরও সুন্দর গোলাপ ফুল কালারটা মঞ্জুরার জন্য।

সুফিয়া কোনো লেখাপড়া জানে না কিন্তু যেমনি জেন্টেল তেমনি বুদ্ধিমান তাকে ইউটিউব দেখিয়ে দিলেও সে পিজ্জা থেকে শুরু করে রাইস বল, ফ্রায়েড রাইস সবই বানিয়ে ফেলে।

আর মঞ্জুরা আসলেই খুতখুতা। ভীষন ঝকঝকে.....

৪৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বেশি মানুষজন, রান্না ঘর রণাঙ্গন (স্বামী রামকৃষ্ণের "যত মত, তত পথ" অবলম্বনে) !
আপনার বুয়া মঞ্জুরারা ও অন্যদের গল্প শুনে মনে হলো তাদের মালেকানেরতো হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ওপর একটা এমবিএ থাকার কথা ।আপনিতো সেটা কখনো বলেননি !

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: সব কিছু বলবো নাকি ভাইয়া!!!!!!!!!

তো তুমি কই থেকে এলে পথ ভুলে!!!!!!

আমড়া গাছের কাছে ...... :P

৪৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩

চাঙ্কু বলেছেন: এখন বুয়া রাখার সামর্থ্য নাই তবে বুয়াদের সার্ভিসের তুলনায় আমরা আসলে তাদেরকে তেমন কিছুই দিতে পারি না। কলেজে থাকতে এক বুয়া আমাদের জন্য সকাল ১১টার সময়ও গরম গরম পরোটা বানাতো। অনেক মানা করেছি কিন্তু খালি বলত মামা, পরোটা বানাতে বেশী কষ্ট লাগে নাতো। এই বুয়াগুলো আমাদের লাইফ এত সহজ করে দিছে! তোমার পোষ্ট আমাদের বাসায় কাজ করা অসাধারন সব বুয়াদের কথা মনে করিয়ে দিল। তুমি কষ্ট করে তোমার তিন বুয়াকে আমার হয়ে একটা ধন্যবাদ দিও। তারা না হলে তুমি এই পোষ্টও দিতে না আর আমারও আমাদের বাসায় কাজ করা বুয়ায়দের কথা মনে আসত না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ তারা আসলেও আমাদের জীবনের অনেক কৃতিত্বের অংশিদার....

তারা নিজেরাও জানেনা কি করে তারা কত মমতায় জড়িয়ে রাখে আমাদেরকে......

৪৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আচ্ছা ভাই, তোমাদের এ যৌত পরিবার কোন দেশের চাইতে বৃহৎ নাকি?

বাংলাদেশ পরিচালনা করছে দু'জন, তোমাদের লাগে তিনজন!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

অপ্‌সরা বলেছেন: ঐ ভাইয়া!

বাংলাদেশ দুজন পরিচালনা করে তারা কি দেশের কাজের লোক নাকি!!!!!!


এহ রে কোটি কোটি দিয়েও একটা কাজের কাজ হয় না আর আসছো দুজনের কথা বলতে!!!!! |-)

৫০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

হাহাহাহা ....।

দারুন লাগল ঘটনা গুলো । বিশেষ করে মুরগীর রান্নাটা ভাল হয়েছে । ভাবছি আমিও ট্রাই করে দেখব ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: করো করো ! ট্রাই করো রসমালাই মুরগী।

৫১| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:




তাইতো, নামগুলো খুব সুন্দর । আনকমন ।

রিমোট হাতের কাছে গুছিয়ে দেয়ার জন্যও কাজের লোক লাগে ??? এতো অলস ??? B:-)

১ পড়লাম , বাকিটা পরে এসে পড়বো ।
রম্য সুপার ডুপার ফান আপু :)






২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ নামগুলো দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম।


এই রম্য জীবন থেকে নেওয়া হা হা

৫২| ১১ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:




আপু, দিলজান মঞ্জুরা এরা জিনিস একেকটা । খুবই মজার ।
রসমালাই মুরগী এও শোনা বাকি ছিলো B:-)
আপু তুমি এখন থেকে বলবে থালা বাডি, তাহলেইতো আর প্রবলেম হয়না ।
যেই বান্দরের মনে রং উডছে, হেই বান্দর সাজুক।
সেই বান্দরটা যে কে আর নাই বলি হা হা হা...... :)

তবে আপু তুমি পারো, এতো লোকজন নিয়ে ।
আমি হলে কখনোই না । লোনার মানুষ, আইসোলেশনে থাকতেই পছন্দ ।
নিজের কাজ নিজে করাতেই আনন্দ , তাই এতো লোকবল নিয়ে থাকা ইম্পসিবল মনে হয় আমার কাছে ।

ওয়েল ডান আপু !


২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!!!

আসলেই এরাও আমাদের আনন্দ! হা হা

৫৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ আপনার বাসায় না এলেও আপনার লেখায় মজার বর্ণনার কোন ঘাটতি পড়ে নাই।
এ পোস্টের 'লাইক' তালিকায় আমার নামটি দেখে ভেবেছিলাম আমি এখানে মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু স্ক্রল ডাউন করে আমার কোন মন্তব্য খুঁজে পেলাম না। হয়তো কোন কারণে মিস হয়ে গিয়েছিল।
তিনজনের মধ্যে দিলজান নামটা ব্যতিক্রমী, এবং সুন্দর!
আপনার লিভিং এবং ডাইনিং স্পেস খুবই সুন্দর আর পরিপাটি।
'চিল চিৎকার' কথাটা মনে হয় আপনার অন্য একটা পোস্টে আমি এর আগেও পড়েছিলাম। সেখানেও কথাটা ভালো লেগেছিল, এখানেও।
গুলশান কিবরীয়া, অন্তরন্তর, মনিরা সুলতানা, গেম চেঞ্জার, শকুন দৃিষ্ট, আহমেদ জী এস, মলাসইলমুইনা, চাঙ্কু (৪৮) প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। আপনার ৪২ নং প্রতিমন্তব্যটি ভালো লেগেছে।

২২ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আমাদের বুয়া কাহিনী লিখলে বিশাল রম্য হবে ভাইয়া। :)

দিলজান নামটা আসলেই সুন্দর!!! :)
সে দেখতেও সুন্দর ছিলো!



মঞ্জুরা এখন তার মেয়ের কাছে আছে। এখনও ফোন দেয় দিয়ে কি সব আবোল তাবল বলে বুঝা যায় না শুধু বুঝি সে এখনও আমাকে মনে রেখেছে। ভালোবাসা মানুষ কখনই ভুলে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.