নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অরিত্রী তোমাকে নিয়ে আজ লাখো মানুষের ভাবনা। কোটি কোটি চোখে জল। শত শত প্রশ্নের জবাব নেই যেন। কেনো কেনো কেনো শুধুই প্রশ্নগুলি ঘুরে ফিরে জাগছে মনে মনে। সুষ্ঠ সমাধান বা সদুত্তর জানা নেই কারো। আমিও ভেবেছি। ভেবে ভেবেও যেন জবাব পাইনি কেনো? কেনো মানুষ এমন করে পালিয়ে যায় কেউ কেউ এই জীবন থেকে, এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে? এটাই আমার প্রথম প্রশ্ন। একটু ধৈর্য্য ধরে যে কোনো ভুল বা প্রতিকূলতার সাথে যুঝতে শিখে গেলেই আর নেই কোনো ভয়। ভুল তো হতেই পারে। মানুষ মাত্রই ভুল তবে তার মানে এই নয় যে সেই ভুলের মাশুল গুনতে হবে ভেবেই জীবন থেকে পালিয়ে যেতে হবে। বরং অরিত্রীরা আরও একটু ভাবো। খুঁজে নাও সফলতার সঠিক চাবিকাঁঠিটিকে।
আমিও একটি স্কুলে জব করি। আমার স্কুল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এই স্কুলকে আমি দারুণ ভালোবাসি। আমার ধারণা আমাদের চাইতে বেশি কেউ স্টুডেন্টদেরকে এত কেয়ার করতে পারবেনা। আমাদের স্কুলেও মোবাইল আনা আলাউড না। শুধু ক্লাস ইলেভেন এবং টুয়েল্ভএর স্টুডেন্টরা মোবাইল আনতে পারে। তার আগে না। তবুও অনেকেই এনে ফেলে। এটাই স্বাভাবিক।
আমাদের পূর্বপুরুষ বা আমাদের পেছনের কথা যদি ভেবে দেখি তো দেখতে পাবো তখনও স্কুল পালানো অপরাধ ছিলো। সিগারেট খাওয়া বা পাঠ্য বহির্ভূত বই আনাও ছিলো মহা অপরাধের সামিল। এমন ধরনের নানা রুলস থাকার পরেও সেসব কিন্তু অনেকেই করতো। মার খেত, বকা খেতো। প্যারেন্টসদেরও অত্যাচার চলতো। রিতীমত অমানবিক ব্যাপার স্যাপার। যা চাইল্ড সাইকোলজীতে একেবারেই নিষিদ্ধ আজকাল।
গবেষনায় দেখা গেছে বাচ্চাদেরকে এমন অবান্তর অত্যাচারের কোনো মানেই নেই যা মোটেও ফলপ্রসু নয় বরং তাদেরকে বুঝিয়ে বলা ও বুঝাতে পারানো একটি রুলের সুফল বা কুফল সম্পর্কে বা নিয়ম মানতে শেখার অভ্যাসটাই আসল। এর দায়িত্ব প্রথমত পরিবার নামক বিদ্যালয়ের। তারপর স্কুল। কিন্তু প্রায়শই পরিবার সেখানে ব্যার্থ হয়, আজকাল তো কর্মজীবি মা বাবার কারনে এর আধিক্য আরও বেড়েছে। যাইহোক এই সব ক্ষেত্র প্রায়ই স্কুল তা শেখাতে পারে। এরপরও সমাজ থেকেও মানুষ অনেক কিছুই শেখে।
এই জন্য প্রয়োজন, প্যারেন্টস এবং টিচারস কো অপারেশন। একটা বাচ্চার ভালোর জন্য, তাকে কিছু শেখানোর জন্য দু'পক্ষের সহযোগীতার প্রয়োজন। মোবাইল না নেওয়া একটা রুল। তা পরিবার শেখাবে এবং বাচ্চা সেটা মানছে কিনা তা লক্ষ্যও রাখবেন। এরপর স্কুল তা পেলে তা বাজেয়াপ্তও করবে তবে বাচ্চা বা প্যারেন্টসকে অপমান বা অভিযোগের সূরে নয়। শুধুই বুঝাতে হবে এটা রুল আর কেনো রুল আর কেনো তা করা যাবেনা সেটাই। মেজাজ গরম করে বা অপমান করে নিজেদেরকে সুপিরিওর ভেবে নয়। এখানে আসল স্বার্থ বাচ্চাটার। বাবা মা এবং টিচার দুপক্ষের মনোবৃত্তিই হবে শিশুর উন্নয়ন! তার মানসিক ও শাররিক সুস্থ্য বিকাশ।
এখানে কিছু গড়বড় হয়ে যায় বলেই কিছু স্কুল ও টিচারদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
অরিত্রীর তোমার ঘটনায় আমার বার বার মনে হচ্ছিলো তুমি আর তোমার প্যারেন্টসের সাথে আসলে আমার কথা বলাই উচিৎ ছিলো তাহলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটত না। আমি জানি এই কথা শুনে আমাকে অনেকেই ওভার কনফিডেন্ট ভাববে। এও সত্যি আমার স্কুল আর আমার শিক্ষার বিষয় আমাকে এটাই শিখিয়েছে হাউ টু কনভিন্স আ চাইল্ড এন্ড প্যারেন্টস ইন পজিটিভ ওয়ে।
আমি আমার স্কুল এবং আমার প্যারেন্টসের কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণেই। তবে হ্যাঁ এই কো অপারেশনে যখন এক পক্ষের ঘাটতি থাকে তখনই ঘটে অনর্থ। আমি আমার অভিজ্ঞতাতে এমনও দেখেছি। হাজার বুঝিয়েও বুঝানো যায়না যখন কোনো প্যারেন্টসকে যে ঘাটতিটা আসলে কোথায় এবং আমাদের পরস্পরের প্রতি কি সহযোগীতা প্রয়োজন তখন সবই ভেস্তে যায়।
যাইহোক আমার স্কুলেও অনেক বাচ্চাই মোবাইল আনে। আমরা বাজেয়াপ্ত করি এবং প্যারেন্টকে অযথা ডাকিনা যদি না তারা একদম শিশু শ্রেনীর হয়। বড় বাচ্চারা নিজেরা বললেই শুধু প্যারেন্টস আসবে এবং তাদেরকে সেটা ফেরৎ দেওয়া হবে উইদাউট এনি ব্যাড বিহেব। সোজা কথা তাদেরকে এটা ফেস করতে হবে। সুন্দরভাবে , সুষ্ঠ কনভারসেশনের মাধ্যমে। এছাড়াও বেশিদিন হয়ে গেলে আমরা প্যারেন্টসকে জানাবো তাদের বাচ্চার মোবাইলটি ফেরৎ নিয়ে যেতে। টিচার আর প্যারেন্ট সমপর্যায়ের রেসপেক্টের অধিকারী। সুন্দর আলোচনা ও রুলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখানো আমাদের দুপক্ষেরই দায়িত্ব। তাই আমাদের বাচ্চারা বেড়ে উঠছে কমফোর্টেবল এনভায়রনমেন্টেই।
সমাজ, শিক্ষার স্থান এবং পরিবার সকলেরই দায়িত্ব আছে । গুরু দায়িত্ব আছে ....
করুণাধারা আপুর পোস্ট পড়ে কিছু চিন্তা মাথায় এলো।
আপুর পোস্টে জিজ্ঞাস্য ছিলো-
এই মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? সিস্টেম, শিক্ষক, নাকি ব্যাড প্যারেন্টিং!
আমার মতে কেউ দায়ী নয়... আবার দায়ী সবাই.....দায়ী আমাদের মানসিকতা, শিক্ষা, সমাজব্যবস্থা এবং আবেগ....
একটা বাচ্চাকে ভূতের ভয় না দেখালে সে জীবনেও ভূতের ভয় পাবেনা। কারণ সে জানবেই না ভূত বলে আসলেও কিছু আছে। যা নাই তাই দিয়ে ভয় দেখানো মানেই তার মনে ভয় পেতে শিখিয়ে দেওয়া। পরিবার থেকে সমাজ থেকে মানুষ শেখে ভূত আছে।
তেমনই রাগ করে বা কষ্ট পেলে আত্মহত্যা করতে হয় বা করা যায় এটাই সঠিক যারা ভাবে এবং জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার মত কাপুরুষতা শেখে... এখানে প্রথম দায়টা পরিবারের । যেসব পরিবারে এসব ইতিহাস আছে কেসহিস্ট্রী নিলে দেখা যাবে সেসব পরিবার বার বার বাচ্চাদের সাথে সেই সব আত্মহত্যা বা তার কারণগুলো নিয়ে গল্প করেছে। এবং তাকে পরোক্ষভাবে শিখিয়েছে কষ্ট পেলে আত্মহত্যা করে জীবন থেকে কাপুরুষের মত পালাতে হয়।
টিভি, সিনেমাও এখানে আবেগ নিয়ে খেলা করেছে। একটি শিশুকে শিখিয়েছে কষ্ট পেলে আত্মহত্যা করলে পরিবার কাঁদে, শিক্ষক অনুতপ্ত হয় হেন তেন আবেগী ফাঁদ। তাই শিক্ষা দেবার জন্যও অনেকেই এই পথ বেঁছে নেয়। তবে যে যেভাবেই নিক। কিছু মানুষের মাঝে আত্মহত্যার প্রবনতা বলে একটা বিষয় কাজ করে যা টিইন এইজে শুরু হয়। এটা এক রকম মানসিক বৈকল্য। তারা সব সময় সুযোগ খোঁজে আত্মহত্যা করে জীবন থেকে পালাতে। এরা এসকেপিং টেন্ডেন্সীর মানুষ। যাই হোক আত্মহত্যার কারণের জন্য তাই নিজেও সে দায়ী থাকে।
এসব দেখবার বা বুঝাবার দায়িত্ব প্রথমত পরিবারের। তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। পরিবার ও সমাজের যেমন রুল থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও আছে। নকল করা বা নকলের সরঞ্জাম বহন করা অপরাধ। মোবাইল সেটার মাঝে নকল থাকুক বা না থাকুক পরীক্ষার হলে নেওয়া যাবেনা হেতু সেই রুল ফলো করতে হবেই। এবং যে না করবে তা বাজেয়াপ্ত করার অধিকার শিক্ষকের আছে। তার জন্য সে দায়ী না। দায়ী সিস্টেম। হয় পরীক্ষা বন্ধ করে দাও, নয় মোবাইল নিয়ে যেতে দাও নয়তোবা শিক্ষককে দায়ী করা যাবে না।
এরপর তো আগেই বলেছি.....
এই বিষয়টা নিয়ে আমি স্থম্ভিত! কিভাবেই বা একটা বাচ্চা এতটুকু ঘটনায় আত্মহত্যা করে , কেনোই বা করে আমি খুঁজে পাই না। আমার জীবনেও আত্মহত্যার মত ঘটনা বার বার ঘটেছে। আমি ততবার রুখে দাঁড়িয়েছি। তবে হ্যাঁ আমি সদা ও সর্বদা নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমি যাই করেছি জিদ করে বা রাগ করে আমি নিয়ম খুব একটা ভাঙ্গিনি। আর তাই আমার ধারণা আমার মত একটি সফল ও
সুখী জীবন আমি পেয়েছি। আমিও আমার বাচ্চাদেরকে এটাই বলি। জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া নয়। লড়াই করাই আসল জীবন....
গোলাম রাব্বানী ভাইয়ার পোস্টও আমাকে ভাবিয়েছে। উনার পোস্টেও আমি কিছু উত্তর খুঁজেছি।
১)
শিক্ষিকার দিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ তোলার আগে প্রশ্ন করুন নিজের বিবেককে...
১. আত্মহত্যার জন্য কারণ হিসাবে এইটা কতটুকু যৌক্তিক?
উঃ ১%। সেটা শিক্ষিকার জন্য নয়। যেই রুল বা সিস্টেমের কারণে সে সেটা নিয়ে নিয়েছেন সেটার জন্য। তিনি রুল পালন করেছেন।
২. শিক্ষিকার কারণেই কি সে আত্মহত্যা করেছে? শিক্ষিকা কি অনৈতিক কিছু করেছেন? আত্মহত্যার প্ররোচনার মত কি আসলেই কিছু ছিল?
উঃ - না । না। না, তিনি রুল পালন করবেন এটা তার জবেরই একটা পার্ট।
৩. আপনার মতে শিক্ষিকা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আপনার কাছে যথার্থ মনে হতো। বা আপনি শিক্ষিকার জায়গায় হলে কি করতেন?
উঃ- মোবাইলটা দেখার পর, চুপচাপ দেখে এসে সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানো যে সে মোবাইল ক্যারি করছে। যদি সে দেখতো কোন প্রশ্নের নকল করছে সেইটা কোট করে রাখা ও পরীক্ষা যেহেতু স্কুলের আন্ডারে তাই সেই উত্তরের মার্ক কেটে রাখা। পরীক্ষা বন্ধ করা নয় এবং কোনো ভাবেই পরীক্ষার মাঝে তাকে জানিয়ে দিয়ে তার মানসিক অবস্থার অবনতি নয়। পরীক্ষার পর তাকে জানানো সে রুল মানেনি এবং নেক্সট ডে তে ফোন আর যেন না আনে। এটা ফার্স্ট ভারবাল নোটিস হতে পারতো। তারপর প্যারেন্টস কল এবং তাদের সহযোগীতা চাওয়া যেন এইভাবে বাচ্চা রুল না মানার ব্যাড প্রাকটিস করে।
৪. অরিত্রীর আত্মহত্যা কোন কারণে-
তার বাবা মাকে অপমান করা হয়েছিল সে কারণে? - জানিনা তবে হতে পারে
নাকি বাবা মার ভয়ে? জানিনা তবে হতে পারে
নাকি সে নিজে, "এই মুখ কিভাবে দেখাব" এর মতো ভাবনা থেকে? হতে পারে... আবেগী প্যারেন্টরা এভাবেই বলেন আমি হলে আত্মহত্যা করতাম, তুই কেমনে এটা করলি? অনেক বাংলা সিনেমাতেও এমন ডায়ালগ দেখা যায়।
৫. যদি অরিত্রী আত্মহত্যা না করতো, তবে কি এখন যারা এটাকে সমর্থন করছেন তখনও করতেন? বা যে ভাবে ভাবছেন, সেভাবেই ভাবতেন?
উঃ- হয়ত অনেকেই অনেক কিছু ভাবে আসলে না ভেবেই ভাবেন।
৬. অরিত্রীর আত্মহত্যা কোন ভাবে কি সমর্থন যোগ্য?
উঃ - না ।
৭. অরিত্রীর আত্মহত্যাকে সমর্থনের পরিণাম বা ভবিষ্যৎটা কি হতে পারে?
উঃ- ভীষন খারাপ
অন্যায় বা রুল ভাঙ্গার অধিকার পেতে শেখানো। ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে শেখানো। তবে সাথে টিচারদেরকেও আরও কিছু ভাবতে ও শিখতে হবে।
২)
অরিত্রীর আত্মহত্যায় আমার সহানুভূতি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন। তাদের জন্য বলে রাখা দরকার, কোন ভাবেই চাই না এভাবে কোন প্রাণ ঝরে যাক। তার মানে এটাও না যে, তার আত্মহত্যা অন্য একটি অন্যায় কাজকে সমর্থন করার অনুমতি দিয়েছে।
উঃ - ঠিক তাই। সহমত।
অরিত্রীর আত্মহত্যা যদি শুধুমাত্র এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে হয়ে থাকে, তবে আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি,
যদি মেয়েটার সাথে অন্তত একটা দিন তার মা বা অন্য কেউ পাশে থাকতেন, তবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটা হতো না।
কারণ মানুষ হয় দীর্ঘদিনের হতাশা, কষ্ট, যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে আত্মহত্যা করে;
উঃ- একদম সঠিক আমার মতেও। হুট করে কেউ জানেনা তাকে আত্মহত্যা করতে হবে।
নাহয় কোন আকস্মিক ঘটনার আকস্মিকতায় সাময়িক ভাবে কোন পথ খুঁজে পায় না, মানসিক ভাবে অতি আবেগপ্রবণ এবং হয়ে একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। আবেগ, মানসিক অস্থিরতা এবং অনেক বেশি জেদ কাজ করে, ঠিক সেই মুহূর্তে এরকম একটি দুর্ঘটনার জন্ম হয়।
সেই মুহূর্তটা কেটে গেলে, একটু শান্ত করতে পারলে আর এরকম আত্মহত্যা হয়না।
উঃ- হ্যাঁ সিজোফ্রেনিয়া রোগীদের মাঝেও এমন প্রবনতা থাকে। কি হবে ? কে কি বলবে? কেমনে সামলাবো? ভেবেই পায়না তারা। বাট ইচ এন্ড এভরী প্রবলেম হ্যাজ স্যলুশন.... শুধু ভেবে বের করতে হবে। আত্মহত্যা সেই পথ বন্ধ করে।
৩) একবার চিন্তা করে দেখেছেন কি-
১. এরকম একটা ঘটনা ঘটার পর অরিত্রীর পরিবারের এর কি উচিত ছিলনা, যে কারো এক জনের অরিত্রীর সঙ্গে থাকা? কেন থাকলো না?
উঃ- কেনো থাকলো না এটা চিন্তা করে মনে হয়েছে তারাও বিরক্ত হয়েছিলেন। ভেবেছেন যা ইচ্ছা তাই করুক বেয়াদপ মেয়ে। মানে তারা নিজেরাই মনে হয়েছে মেয়েটাকে অন্যায়কারী মনে করিয়েছেন। এমন মনে হবার কারন আমাদের দেশের মা বাবারা এমন ঘটনায় এমনই করে থাকেন অজ্ঞতার কারণে বা অধিক ভালোবাসার অধিকারে।
২. কেনো এরকম একটা ঘটনার পর, একা রুমে যেতে দিলেন তার বাবা মা?
উঃ- তারাও বিরক্ত ছিলেন মনে হয়েছে। তার কাছে থাকেন নি।
আপনার কি কোন ভাবে মনে হয় না, অরিত্রীর আত্মহত্যার প্রথম দায়ভার তার পরিবারের! (যদি অরিত্রীর ছাড়া অন্য কাউকে এর দায়ভার দিতেই চান কেবল সে ক্ষেত্রে)।
উঃ- প্রথমত মনে হয়। একমাত্র নয়।
৪)
১. অরিত্রী কি জানতো না, পরীক্ষার সময় মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ। অথবা ধরা পরলে তার পরিণাম সম্পর্কে?
উঃ- অবশ্যই জানতো। তবুও এ বয়সে জেনে বুঝে এমন কাজ সবাই বলতে গেলে আমরাও অনেকেই করেছি, ওরাও করবে।
২. অনেকেই বলছে মোবাইলে যা পাওয়া গেছে সেগুলা আসে নাই। তখন আসলে কিছু বলার থাকে না। তার মানে শুধু মাত্র সেগুলা আসলেই সম্পূর্ণ ব্যাপারটা সমর্থন যোগ্য হতো?
উঃ- কি পাওয়া গেছে না গেছে সেটা বড় ব্যপার নয়। ব্যাপার রুল ভাঙ্গতে শেখা। ভুল করা এবং একই সাথে বাচ্চারা এমন ভুল করলে কিভাবে শোধরাতে হবে তার পজিটিভ ওয়ে খুঁজে বের করা সেটা শিক্ষকের দায়িত্ব।
৩.অরিত্রীর বাবা মার সাথে শিক্ষিকার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তার বিচার স্বাভাবিক ভাবে যেটা হবার সেটা হবে। সেটার সাথে অরিত্রীর আত্মহত্যার ব্যাপারটা গুলিয়ে বিচার করাটা অনেক অযৌক্তিক বলেই মনে করি। বরখাস্ত করে তদন্ত করা পর্যন্ত ঠিক ছিল। এখানে আদালত, পুলিশ আসবে কেন? এখানে কি দুর্নীতি হয়েছে? এখানে কি অনৈতিক কিছু হয়েছে?
উঃ- ভাবতে হবে। যদিও মোবাইল আনা রুল না হলে, টিচার তা নিয়ে নিতে পারে যারা আরও পজিটিভলি এখনও ভাবতে শেখেননি।
৪. অরিত্রীর বাবা মা এর জায়গায় নিজেদের ভাবছেন, বসাতে বলছেন। কিন্তু কেউ কি শিক্ষিকার জায়গায় নিজেদের বসিয়েছেন।
উঃ- হ্যাঁ আমি নিজে একজন শিক্ষক। শুধু পড়ালেখারই নই নানা রকম এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজেরও।
৫. শিক্ষকদের আচরণ নিয়ে শুধু কথা বললে হবে না, এখানে অভিভাবক, শিক্ষার্থী সবার আচরণ নিয়েই কথা বলা উচিত। আমরা এখন প্রত্যেকেই প্রত্যেককে অনেক বড় মনে করি। আর বিপত্তি সেখানেই। বাবা মা হিসাবেই কতজন আছেন, এখনকার বাচ্চাদের উপরে নিয়ন্ত্রনে সক্ষম?
উঃ- খুব কম! তাই আগের দিনের তরিকায় আর চলবে না । নতুন নতুন কনভিন্সিং অস্ত্র বাবামাকেও খুঁজে বের করতে হবে। সবচেয়ে বড় অস্ত্র পজিটিভ ফ্যামিলী ডিসকাশন।
টিচারের সাথেও ওয়ান টু ওয়ান ডিসকাশন হতে পারে। যেখানে টিচারকে সহানুভূতিশীল হতে হবে। সমস্যার সমাধানের পথ বাতলাতে হবে। দরকারে সুন্দর প্রমিজ করাতে হবে।
৬. সমস্যার মূল নিয়ে ভাবিনা। শুধু স্রোতে গা ভাসিয়েই চলেছি। এর কারণেই আমাদের নতুন কোন ইস্যু আসলে পুরাতন গুলো সহজেই হারিয়ে যায়।
উঃ- হুম
৭. শিক্ষিকাদের আমরা শিক্ষিত মানুষেরাই এত নোংরা ভাষায় গালি দিচ্ছি, এত বাজে কথা বলছি যা মুখে নেবার মতন না। আবার নিজেদের শিক্ষিত দাবি করছি। আসলে যে দেশে এরকম ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষিকার হাতে হাতকরা পরে, সে দেশে আমাদের মতো গালিবাজ জন্ম নেবে সেটাই স্বাভাবিক।
উঃ- ভাবনার বিষয় কিন্তু ভাবছি না
৮. সব থেকে যে বিষয়টা দুঃখজনক এবং হতাশার সেটা হল, আমরা শিক্ষকদের শাসন এবং দায়িত্ব কর্তব্য পালনের অধিকার হনন করছি, সেই সাথে শিক্ষার্থীদের আহ্লাদের সাথে অন্যায় করার অনুমতি দেবার পাশাপাশি অভয়ও দিচ্ছি!!
উঃ - হুম
৯. একটা ঘটনাকে আবেগ দিয়ে ভাবছেন তাতে আমার কোন সমস্যা নাই,
কিন্তু তাই বলে বিবেকটাকে ঘুমিয়ে রাখবেন!!!
উঃ- না কাম্য নয়।
১০. যারা শিক্ষিকার ফাঁসি চাচ্ছেন, তাদের কাছে আমার শেষ প্রশ্ন-
আপনার সন্তান অপরাধ করলে, আপনি যখন শাসন করবেন,
তখন যদি সে আত্মহত্যা করে, তখন আপনি তার দায়ভার নিয়ে জেলে যেতে প্রস্তুত আছেন তো?
উঃ- এমনটা অনেক হয়েছে। মায়ের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা। বাবা সাইকেল দেয়নি, বড়ভাই মোবাইল দেয়নি তাই আত্মহত্যা তার জন্য কোনো মা বাবা বড়ভাই জেইলে যায়নি বলেই এতদিন শুনেছি ....
পোস্টটা করুণাধারা আপু এবং গোলাম রাব্বানী ভাইয়ার পোস্টের কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়েই লিখতে বসা। যদিও ব্যাপারটা নিয়ে ভেবে কূল কিনারা না পাবার পরেও কিছু ভাবা।
যাইহোক ভালো থাকুক অরিত্রী ঐ না ফেরার দেশে। যে প্রশ্নের উত্তর সে খুঁজে পায়নি, যে সমস্যার সমাধান তার জানা ছিলো না, যে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই এর সাধ্য ছিলো না তার সেসব সামনে নিয়ে হলেও লড়াই করে বেঁচে থাকতে শিখুক আরও শত অরিত্রীরা এ সমাজের বুকে। আমরাও টিচারস এবং প্যারেন্টসরা আরও একটু কেয়ারফুলী হ্যান্ডেল করি এই কোমলমতী শিশুগুলিকে.... আমরাও ভাবি...আর একটু বেশি.... সুন্দর নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার দায়িত্ব তো আমাদেরই কাঁধে .....
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ আর কেউ অরিত্রীর মত ভুল না করুক।
নিয়মের মাঝে বড় হতে হলে সেটা মানতে হবে। সেটা শিখুক। পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায়।
টিচার ও প্যারেন্টসকেও সমঝোতা ও হৃদ্যতামূলক রেসপেক্ট বজায় রাখতে হবে একে অন্যের প্রতি তাদের বাচ্চার কথা ভেবে।
এখানে কেউ কারো শত্রু নয়....
দুজনেই একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়বার ব্রত নিয়েছেন।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভিকারুন্নেসার ভর্তিটা মোটামুটি ঘুষের ব্যাপার; ফলে, ওখানে ভালো কেহ থাকার কথা নয়, অসুস্হ পরিবেশ
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩
অপ্সরা বলেছেন: জানিনা সেখানে কি হয়। ঘুষের কথা জানিনা আমি। তবে ভর্তিযুদ্ধে সামিল হতে হয় বাচ্চাদেরকে এটা জানি।
আর সকল প্রতিষ্ঠানেই কিছু রুলস থাকবে এবং আছেও।
আমাদের বাচ্চাদেরকে সেটা মানতে শেখাতে হবে ছোট থেকেই।
মা বাবার সহযোগীতাও প্রয়োজন।
তবে সকলকে সকলের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখতে হবে।
একটি শিশুরও অধিকার আছে পূর্ণবয়স্কের সন্মান পাবার।
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: দেরীতে হলেও অরিত্রীকে পোস্ট দিয়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ।
দোশ থেকে সব অশুভ দূর হয়ে যাক।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
অপ্সরা বলেছেন: বিজনভাইয়া
আজ সকালে ঘুম ভাঙ্গতে ভাবছিলাম তোমার কমেন্টটা নিয়ে। দেরীতে পোস্ট দেবার কথাটা নিয়ে। আমি কিছু দেখলে বা শুনলেই লাফ দিয়ে কিছু বলে ফেলি না বা করি না। আমি যত ফানই করি না কেনো সদা ও সর্বদা চেষ্টা করি যেটা বলছি তার বলার পর আসলেই কিছু ভুল হয়ে যাবে কিনা এটা ভাবতে । ভুল আমি করিনা তা নয় আমিও করি তবে চেষ্টা করি না করার।
ভাইয়া অরিত্রীর ঘটনা বেদনাদায়ক। কিন্তু আত্মহত্যা কি এই দেশে এই প্রথম? পরীক্ষায় ফেইল করে, বাবা মায়ের উপরে অভিমান করে, প্রেমে ব্যার্থ হয়ে , চাকুরী না পেয়ে মানুষ কি আত্মহত্যা করছে না ! পরীক্ষায় ফেইল করে একটা বাচ্চা কেনো আত্মহত্যা করে? অপমান লজ্জা আত্নীয় স্বজন, সমাজ , পরিবার, শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব কিছুর উপরেই ভয়, সংশয়, অনিশি্চিৎ ভবিষ্যতের ভয়েই। এখানেও সেটাই ঘটেছে। আমরা সমাজ, পরিবার, শিক্ষক সকলেই ভয় দেখিয়েই রেখেছিলাম তাকে। সাথে নিয়ম না মানার দুঃসাহসিকতার জন্য সে নিজেও দায়ী। দায়ী তার ইমম্যাচিউরিটি যা সমাজ , পরিবার ও শিকষ্ক আর একটু সহিষ্ণু হলে তাকে শিখাতে পারতো। বাঁচাতেও পারতো।
কিন্তু এখানে এক দল শুধুই শিক্ষকের দোষ দিচ্ছেন। হয়তো ভিখারুননেসার শিক্ষকদের আচরণ আর দশটা স্কুলের মতন নয় বিশেষ করে আমার স্কুলের মতন তো নয়ই তা বুঝতেই পারছি। তাই বলে এই ঘটনার জন্য শুধু তারাই দোষী নয় আমার মতে।
এমন স্কুল বা টিচারের জেনে ভর্তি করানোর দায়িত্ব সেখানেও পরিবারেরই।
তাই আমি দেরীতে পোস্ট দিয়েছি। আমি ভেবেছি এমন ভেবে বুঝে নিজের কাছে কি মনে হয়েছে সেটাই লিখেছি। হুট করে যা মনে আসে তা লিখে দিতে আমি রাজী নই।
৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমাদের বোধোদয় হোক...
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭
অপ্সরা বলেছেন: বোধোদয় দিয়ে হবে না।
ভাবতে হবে সমাধান।
এবং এটা সম্ভব।
একটু সুচিন্তার মাঝেই...
৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন, সাধুবাদ!
এর আগে করুণাধারার একটি পোস্টে আপনার মন্তব্য পড়ে ভাবছিলাম আপনাকে অনুরোধ জানাবো এর উপরে একটা পোস্ট লিখতে। তার আগেই আপনি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন, খুশী হলাম।
পোস্টের উপর বিশদ আলোচনায় পরে আসছি।
পোস্টে পঞ্চম প্লাস!!!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখে আমি আসলেও স্থম্ভিত ছিলাম। পরীক্ষায় খারাপ করে আত্মহত্যা, প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আত্মহত্যা। এসব প্রায়ই দেখা যায়। একটি পরিবার পারে একটি শিশুকে এসব থেকে দূরে রাখা শেখাতে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। ভুল করে ফেললে তা শোধরাবার মত সাহস রাখতে।
নিয়মের প্রতি অবশ্য শ্রদ্ধাশীল না হলে কখনই ভালো ফল লাভ সম্ভব না। আর জুজুবুড়ির মত জীবনের কাছে হেরে যাওয়া, পালিয়ে যাওয়া, আত্মহত্যা করা এসব তো পরিবার আর সমাজই শেখায়.....
শিক্ষকের দায়িত্ব অনেক তবে সাথে থাকা চাই প্যারেন্টস কো অপারেশন....
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
একটা সুস্থ দেহ অসুস্থ মন নিয়ে মরে পড়ে রয়েছে। ব্যাপারটা ভাবতেই কলিজা কেঁপে উঠে। এই অসুস্থ মন গড়ে তোলার পেঁছনে দায় কার? কোন পক্ষই এই দায় এড়াতে পারে না। না পরিবার, না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, না সমাজ। এই বয়সের ছেলে মেয়েদের দরকার এক্সট্রা কেয়ার। কারণ এই সময় কৈশর থেকে যৌবনে পাঁ দেয়ার মধ্যবর্তী সময়। এই সময়ে তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে চায় বেশি। শরীরের সাথে মনের ব্যালেন্স করতে হিমশিম খায়। এরা বেশি আবেগী, রাগী, জেদী, অভিমানী এসবের সংমিশ্রণে এক ধরণের অস্বস্থি সময় পার করে। তাই এদের তখন দরকার হয় আলাদা যত্ন। পরিবারের পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এদের দৈনন্দিন জীবনের সময় বেশি পার হয়। তাই পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংমিশ্রণে এমন একটি সার্কেল তৈরি করা উচিত যে সার্কেলে তারা নিজেদের কমফোর্ট ফিল করে এবং নিজের সম্পর্কে একটা সুন্দর ধারণা তৈরী হয়। নিজের সম্পর্কে নিজের মধ্যে এ সুন্দর ধারণাই তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমরা চাই না কোন অরিত্রী আর ঝরে পড়ুক অবেলায়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: একদম তাই
বাবা মা এবং পরিবারের যেমনই দায়িত্ব আছে তেমনি স্কুলে প্রয়োজন সঠিক টিচার্স ট্রেইনিং। বছরে এটলিস্ট ১০ থেকে ১২টা ট্রেইনিং করানো হয় আমাদের স্কুলে ইন হাউজ ট্রেইনিং। এছাড়াও ডিসা, ব্রিটিশ কাউন্সেল ও নানা রকম প্রতিষ্ঠানের আন্ডারেও কোর্স করানো হয়। এসবে শেখানো হয় ডিফারেন্ট এইজ গ্রুপে ডিফারেন্ট টাইপস চিল্ড্রেন হ্যান্ডেলিং।
বাচ্চা স্কুলে বুলি হলে সেটাও সে সঠিক কোথায় কোনখানে ডিসকাস করবে বা কিভাবে সেই পরিস্থিতি সামলাবে তা যেমনি শিখানো হয় তেমনি পাশাপাশি যে বুলি করে তাকেও শেখানো হয় কিভাবে তা সে সামলাবে। কখনই বকাঝকাই ফার্স্ট একশন না বা বাবামাকেই জানানো না। আমরা বুলি যে হয় তার থেকেও যে বুলি করে তাকে আগে শিখাতে চেষ্টা করি, জানতে চাই এই আচরণের কারণটা কি?
সঠিক টিচার্স ট্রেইনিং টিচারকে শিখাবে টিচিং কত আনন্দময়। কিভাবে কত রকম নেগাটিভ আচরণকে সঠিক পথে পরিচালিত করা যায় বা একজন দূর্বল স্টুডেন্ট কিভাবে বিজয়ী হয়ে উঠতে পারে একদিন।
কিছুদিন আগে ক্লাস সিক্সের এক স্টুডেন্ট তার সহপাঠিনীর প্রতি এমনই দূর্বল হয়ে পড়লো যে তাকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। মেয়েটা যতই বিরক্ত হয় ছেলেটা ততই তাকে ভালোবাসা প্রদর্শনে জ্বালিয়ে মারে। সেকশন বদলানো হলো তবুও টিফিন ব্রেকে সেই ছেলে তার ক্লাসের সামনে হাজির। সে কিছুতেই বুঝতে পারছিলো না সে যাকে এত পছন্দ করে। সে কেনো তাকেও করবেনা। সে ক্রেইজী হয়ে উঠছিলো। হতাশ এবং আক্রমনাত্বক। সেই ছেলেকে বুঝানো হলো এবং একটা সময় সে বুঝলোও
মানুষ একজনকে পছন্দ করা মানেই এই নয় যে তাকেও তার পছন্দ হতেই হবে। এটা এক একজন মানুষের ব্যাক্তি স্বাধীনতা, নিজস্ব পছন্দের ব্যপার। তার যেমন রাইট আছে পছন্দ করার ঐ মেয়েরও তেমনই রাইট আছে তাকে অপছন্দ করার। কিন্তু এই নিয়ে জোর করাটা বোকামী। তার আত্মসন্মান এতে বিঘ্নিত হয় যেমনই তেমনই আরেকজনের উপর জোর খাটানো হয় যা অন্যায় এবং ভবিষ্যতে কারো জন্যই ভালো ফল বহন করে না।
আমি আমার স্কুলকে ভালোবাসি । এখানে আমার নিজেরও অনেক শেখার আছে। এখানে খুব দু একজন গোঁয়ার প্যারেন্টস ছাড়া স্টুডেন্ট, টিচার ও প্যারেন্টসরা মিলে আমরা ভালো আছি।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৬
রাফা বলেছেন: পোষ্ট না পড়েই বলছি।আমাদের সমাজ থেকে পারিবারিক মূল্যবোধ একেবার বিলিনের পথে।আমরা জিবনে সাফল্য পাওয়ার জন্য নীতি নৈতিকতার বিষর্জন দিতে কুন্ঠাবোধ করিনা।একজন ,আরেকজনের সাথে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করছি।এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকেও ঠেলে দিচ্ছি একই পথে।ভাবছি সবাইকে সব কিছু পারতেই হবে।
এর ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ,মানসিক সমস্যা,মাদকের প্রতি আসক্তি,অন্যায়-অনাচার ।কেউ হারতে রাজি নই।যা হওয়ার তাই হোচ্ছে এর বিপরীতে।ভিতটাই নড়বরে করে ফেলেছি পারিবারিকভাবে।শেকড় থেকে ছিন্ন কোন কিছু শক্তভাবে দাড়াতে পারেনা।শক্ত করে আকড়ে ধরে থাকতে হয় আদি-অকৃত্তিম মূল্যবোধ‘কে।
ধন্যবাদ,শা.আপা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
অপ্সরা বলেছেন: শুধু একা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব না একটি শিশুর সর্বাঙ্গীন কল্যান তাই চাই টিচার্স প্যারেন্টস যৌথ উদ্যোগ।
প্রতি পরীক্ষার আগেই এসেম্বলী কিংবা ছোট্ট ৫ মিনিটের মিটিং ডেকে রুলস রেগুলেশন কি আনা যাবে কি যাবেনা বলে দেওয়া যায়। নিয়মের প্রতি কঠোরতা নয় শ্রদ্ধাশীল হতে শেখানো বাবা মা ও শিক্ষক ও সমাজের দায়িত্ব। মানুষ জেনে শুনেও অনেক কিছু ভুলে যেতে পারে। বার বার রিমাইন্ডার দিয়েই সেটা আরও শক্ত করা যায়। আর বাচ্চারা তো এডভেনচারপ্রিয়! তারা চাইবে রুল ভাঙ্গতে তাই কড়াকড়ি নয় রুল মানার সুফল ও কুফল বুঝানোটাই আসল....
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বিচার বিশ্লেষন ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার চিন্তা ভাবনাকে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০
অপ্সরা বলেছেন: এটা আমার একার চিন্তা ভাবনা না। আমার শিক্ষার বিষয় ও আমার কর্মক্ষত্রের অভিজ্ঞতারও বিষয়গুলি। অনেকেই শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও টিচারের ব্যাড বিহেবিয়ারের দোষ দিচ্ছেন। তারা এটা ভাবছেন না একটা মেয়ে এই একটা কারণেই আত্মহত্যা করবে না।
১। প্রথমত যদি সে সঠিকভাবে গাইডেড হত যে পরীক্ষার হলে কোনোভাবেই মোবাইল আলাউড না। ( প্যারেন্ট এবং টিচার হতে)
২। ভুল বা দোষ করে ফেলা মানেই জীবন থেকে পালিয়ে হার স্বীকার করে নেওয়া না। বরং সেটার মোকাবেলা করা এবং পরবর্তীতে এমন ভুল যেন না হয় তা নিজের কাছে নিজের সংশোধন করা।
৩। নিজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস এবং এমন অনেক আরও অসংখ্য .....
আত্মহত্যার কারণ হতে পারে-
১। অপমানবোধ ( নকল করুন না করুক টিচার হয়তো বলেছেন) ( নিজস্ব)
২। রুল ভাঙ্গার ভয় ( নিজের কাছেই নিজের জবাব না পাওয়া)
৩। বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের কাছে জবাবদিহিতার সংশয় ( পারিবারিক ও সমাজ)
৪। বাবা মায়ের তিরষ্কার ও মারধোরের ভয় ( নিজস্ব, পরিবার ও সমাজ)
৫। অনিশ্চিৎ ভবিষ্যৎ টিসি দিলে কি হবে ( নিজস্ব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবার)
৬। ইমম্যাচিউরিটি- কি করবে ভেবে না পাওয়া .......এমন অসংখ্য ......
কি ভাবে রোধ করা যায় -
পরিবারকে সচেতন হতে হবে
সঠিক টিচার্স ট্রেইনিং ও কাউন্সেলিং
সমাজ ব্যাবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক চ্যানেলগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সুফল কুফল নিয়ে কাজ করতে হবে এবং আরও অসংখ্য
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৭
সোহানী বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন। অনেক কিছুই সামনে এনেছো তুমি। তবে পুরো ঘটনাটা কিন্তু আমাদের এ অস্থির সমাজের এক টুকরো চিত্র। আমরা দিন দিন অসিহিষ্নু হয়ে যাচ্ছি, অস্থির হয়ে যাচ্ছি। তাই অল্পতেই ধৈর্য্য হারা হচ্ছি।
যে কারনগুলো বিশ্লেষন করেছো এ চমৎকার মেয়েটি চলে যাবার পিছনে সেটা অবশ্যই যৈাক্তিক। আবার শিক্ষার মান বজায় রেখে কঠিন এডমিনিস্ট্রেশান সেটা ও ঠিক। আবার টিনএজ মানসিকতা বোঝার ব্যার্থতার পিছনের দায়ভার পরিবার, স্কুল, সমাজ, আমি তুমি, প্রতিবেশী সবাই দায়ী।
হাঁ, এটাও ঠিক পরোক্ষোভাবে আমরাই আত্মহত্যার পিছনে ঠেলে দেই এ সমাজকে বা ওদরেকে। আমরা সত্যিই ওদেরকে বিশ্বাস করাতে সমর্থ যে আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়া যায়। তাই আবারো বলি একটির সাথে আরেকটি জড়িত। একটি বিশাল অস্থিরতা। এর অংশ পরিবার থেকে শুরু করে সবাই।
তাহলে কি করা উচিত আমাদের! একদল মেয়েটির পক্ষ নিয়ে শিক্ষকদের ধুচ্ছে। আরেকদল মেয়েটিতে দায়ী করে পরিবারকে ধুচ্ছে। এখন কথা হলো এ ধোয়াধুয়ির মাঝে আসলে কি হবে??? হাঁ, আমার মতে আমরা আরাে উচ্ছন্নে যাবো। সমাজের এ অস্থিরতাকে যদি রুখতে না পারি তাহলে এ তরুন সমাজ দিন দিন ক্ষয়ে যাবে।
আর হাঁ, তোমার মতো আমিও বলি, সবার প্রথমে পরিবার তারপর অন্য কিছু। আর আমরা পরিবার এখনো জানি না কখন বকা দিতে হবে কখন আদর করতে হবে। তাই সমস্যা আরো জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।
আর লিখতে ইচ্ছে করছে না, যদি সময় পাই আবার আসবো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭
অপ্সরা বলেছেন:
হ্যাঁ এই ধৈর্য্য হারানোর বিষয়টি আসছে সমাজের অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা থেকে যার শুরু প্রথমে পরিবার। বাচ্চাকে শান্তিপূর্ণ মানসিকতা দিতে হবে। তাকে জিততেই হবে না বলে জিতে যাবার মজাটা উপভোগ করতে দিতে হবে। এমনকি পাশের বন্ধুটি জিতলেও তাকে সে হিংসা না করে এপ্রিশিয়েট করতে শিখাতে হবে। তাহলেই এই হেরে যাবার গ্লানিতে কখনও সে দ্বিধা দ্বন্দে ভুগবে না ....
শিক্ষার মান বজাতে কঠিন এডমিনিস্ট্রেশান অবশ্য জরুরী। কিন্তু কঠিন কথা বলতে হবে সহজে। মুখ গোমড়া করে বেত্রাঘাতের দিন শেষ। এখন প্রয়োজন সহযোগী মনোভাব । সহযোগীতার হাত বাড়াতে হবে শিশু ও প্যারেন্টস উভয়ের দিকে। কেনো সে সেটা করবে না তা বুঝাতে হবে। প্রথমেই অপরাধের কঠিন ডিসিশন না। স্টেপে স্টেপে শিক্ষার পথ থাকলে ভুল সংশোধনের সুযোগ পায় শিশুরা। অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দেবার অধিকার আর নেই।
সমাজটাই আবেগী। আবগের ব্যবসা চলে তাই নাটক সিনেমা ম্যুভি বানাবার সময় আমরাও খেয়াল রাখিনা এতে সমাজের কি ক্ষতিটা হচ্ছে। তবে এখানেও দায়িত্ব পরিবারের ও শিক্ষকের কিছু আছে। আমরা বাচ্চাদের কান বন্ধ রেখে, চোখ বেঁধে বড় করতে পারবোনা। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝ দিয়েই যেতে হবে তাকে। তাই নাটক সিনেমাই যে জীবনটা তা বুঝানোর দায়িত্ব আমাদের।
ধুয়াধুয়ি দিয়ে কিছু হবে না আপু। অনেকেই জীবনে কে কবে কোন টিচারের দ্বারা অপমানিত হয়েছিলো সেসব নিয়ে এতদিনের রাগ ঝাড়ছে। একটু ভেবে দেখলে দেখা যাবে এমন টিচার ছিলো আছে এবং থাকবেও। এরাও মানসিকভাবে অসুস্থ্য কিছু ক্ষুদ্র গোষ্ঠির মানুষ। সব টিচারই এমন না। আমি খুবই পড়ুয়া এবং বেশ ভালো রেজাল্টের ছিলাম কিন্তু অংক মুখস্থ করা ছাড়া আমার গতী ছিলো না। ভীষন ভয় পেতাম এবং এই ভয় ছিলো বলেই আর পারতাম না বলেই হয়তো অংকের টিচার নিয়ে আমার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। তবে আমি পালিয়ে যাই না চ্যালেনজ নেই। তুমি হয়তো তা দেখেছোও আমাকে। তাই আমি সেই অংকেই খুব বেশি ভালো করে দেখিয়ে দিয়েছিলাম তাকে। যা অনেকেই পারেনা। দুঃখে মরমে মরে যায়। পালায় জীবন থেকে। রাগ করে, অভিমান করে চোখের জলে ভেসে। এই পৃথিবীতে সবচাইতে কম দাম চোখের জলের। তার কোনো মূল্যই নেই আসলে। আর মরে গিয়ে কাউকে দুঃখ দেওয়া যায় না। কেউ মনে রাখেনা।
শুধুই হেরে যাওয়া....
হেরে যাওয়া মানুষেরা বেঁচে থেকেও হেরে যায়। সেটাই লড়াই করতে হবে।
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই পৃথিবীতে সবচাইতে কম দাম চোখের জলের - তাই নাকি?
অশ্রুর বিচিত্র রসায়ন
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হুম
তাই তো......
আসলেই তাই ভাইয়া....
তাই নো চোখের জল
অনলি লড়াই .....
কাঁদতে কাঁদতে হলেও লড়াই .....
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
বিজন রয় বলেছেন: .....................
এই পোস্টিও স্টিকি করা হোক।
এই পোস্টিও স্টিকি করা হোক।
এই পোস্টিও স্টিকি করা হোক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: শুধু স্টিকি হোক বলে লাভ নেই ভাইয়া।
স্টিকি হবার কারণ বলে তুমি কি মনে করো তা পুরো পোস্ট পড়ে তারপরে বলো .....
অন্তত তিনটা কারণ তুমি কি মনে করো ভেবে বলো .....
১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন। বিজনদার সঙ্গে আমিও একমত, এই পোস্টটিকে স্টিকি করা হোক । আমার কাছে এক কথায় পূর্ণাঙ্গ বিচার-বিশ্লেষণের পোস্ট লাগলো।গত কয়েক দিনের অরিত্রিকে নিয়ে যে সমস্ত প্রশ্ন গুলো এসেছিলো , সবগুলোর সমাধান যেন এই পোস্টে পেয়ে গেলাম। পোস্টে++++++++
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
অপ্সরা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
আসলেই হঠাৎ এমন ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ে আমি হতভম্ভ হয়ে গেলাম। তাই ভাবছিলাম কই আমাদের স্কুলে তো এমন হয় না। বা আমার আশে পাশের সেসব স্কুলেও যেসব স্কুলগুলি আসলেও সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবে। কেউ কেউ বলছিলো আরে বাংলা মিডিয়াম তো এমনই। আমরাও মার খেয়ে অপমান সয়ে বড় হয়েছি তারা সইতে পারছে না এই আর কি।
তবে এই কথা তো এই যুগে এসে বললে চলবে না ভাইয়া। তাই যদি হত তাহলে তো আমরা আজ আদিম সমাজের মতই ছাল বাকলের চামড়া পড়তাম আর কাঁচা মাংস খেতাম। কিছু কিছু ইংলিশ মিরিয়াম স্কুল এ যে ট্রেইনিংগুলি আছে তা কিছু ব্রাকের স্কুলেও শেখানো হয় বলে আমি জানি। তবে তারপরেও কিছু স্কুলে এখনও সেই আদিযুগীও স্টাইল কেনো?
যাইহোক আমি উপরেও মনে হয় বলেছি আরও কিছু পোস্টে যে এই একই অপরাধ আমাদের স্কুলেও হয়। ক্লাস এবং পরীক্ষার হলে মোবাইল আনা। কিন্তু সেটা বাচ্চাটা জানেই না যতখন পরীক্ষা চলে। টিচার দেখে রাখেন সেই প্রশ্নের উত্তর মার্ক কেটে দেইয়া হয় শুধু। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাকে কিছুই বলা হয় না। পরে নাম্বার কাটার কারণ জানানো হয় ও সুস্থ্য আলোচনার মাধ্যমে প্যারেন্টস ও বাচ্চাকে বুঝানো হয়। প্যারেন্টস ও টিচার দুজনই সন্মানজনক অবস্থান বজায় রাখেন ...বাচ্চার স্বার্থে.....
১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
একটি অনাকাঙ্খিত চলতি ঘটনা নিয়ে, ব্লগের কিছু লেখার সূত্র ধরে আপনার বিশ্লেষণ ও তার সাথে আপনার মতামত স্বভাবতই প্রশংসার দাবী রাখে।
সমস্ত ঘটনাটি থেকে যে প্রশ্ন উঠে এসেছে তা, দায়িত্ব সংক্রান্ত। আপনার মতে, আমরা সবাই দায়ী। এটা একটা নিছক জেনারালাইজেশন করা। যেমন করছেন সবাই-ই।
সোসাল মিডিয়াতে যা এসেছে এবং আসছে তাকে মনে হয় “আর্গুমেন্ট” হিসেবেই ধরে নেয়া যায়। যেমন আপনার এই বিশ্লেষণাত্বক এবং যথাযথ লেখাটিও ““আর্গুমেন্ট” বা “ অবজার্ভেশান” বলা সঙ্গত। অথচ বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ঘটনার উপরে তাদের অনেকটা “কনক্লুসিভ” রায় দিয়ে ফেলেছেন। এতে মূল কার্যকরন থেকে আমাদের দৃষ্টি সরে যায় অন্যত্র। কিন্তু বিচারের ক্ষেত্রে “রায়” হবে একটিই মাত্র। এবং এই রায়টি মনে হয় হওয়া উচিৎ - এমন সব ঘটনার জন্যে দায়ী আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিই।
রাফা বলেছেন, সমাজ থেকে পারিবারিক মূল্যবোধ একেবার বিলিন হয়ে গেছে বলেই আমরা জীবনে সাফল্য পাওয়ার জন্য নীতি নৈতিকতার বিষর্জন দিতে কুন্ঠাবোধ করছিনা।একজন ,আরেকজনের সাথে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে চলছি আর ভবিষ্যত প্রজন্মকেও ঠেলে দিচ্ছি সেই পাল্লারই প্রতিযোগিতায়।কেউই হারতে রাজি নই এমন পাল্লায়।
এই পাল্লাপাল্লির জন্যেই সোহানী বলতে বাধ্য হয়েছেন, পুরো ঘটনাটা আমাদের এ অস্থির সমাজের এক টুকরো চিত্র। আমরা দিন দিন অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছি, অস্থির হয়ে যাচ্ছি। তাই অল্পতেই ধৈর্য্য হারা হচ্ছি।
কারো কথাই ফেলে দেয়ার মতো নয়।
এই অসহিষ্ণুতার আছড় অনেক আগে থেকেই পড়েছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর।কারন শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউই শিক্ষাদানকে একটি সুস্থ্য ধারায় মানুষ গড়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে না নিয়ে , কেরানীর চাকুরীর মতো আর দশটা চাকুরী পেশা হিসেবেই দেখেন এবং নিয়েছেন। যেন আলু-পটল বিক্রি শেষে মাসকাবারী পকেটে কিছু পয়সা নিয়ে ঘরে ফেরা!
আসলে কি তাই হওয়া উচিৎ ? শিক্ষকের কাজ শুধু বই পড়িয়ে প্রশ্নোত্তর মুখস্থ করিয়ে দেয়া নয়, তাদের কাজ হলো” শিক্ষা” দেয়া। (শিক্ষা কাকে বলে তা নিশ্চয়ই বোধসম্পন্ন কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা)
আপনার কথা মতো এই শিক্ষার শুরুটা হবে ঘর থেকে এবং তা পরিশুদ্ধ হবে শিক্ষালয়ে। যে কারনে আপনি সঙ্গতভাতেই জোরের সাথে বলেছেন, “ প্যারেন্টস টিচার পার্টনারশীপ”এর কথা।এটার অবশ্যই দরকার আছে তবে আমার মনে হয় তারও আগে শিক্ষকদের উচিৎ "চাইল্ড সাইকোলোজী", " টিচার'স বিহেভ্যিয়র', “টিচার স্টুডেন্ট’স রিলেশনশীপ” ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান থাকা।
আমার তো সন্দেহ হয় আমাদের শিক্ষকেরা "চাইল্ড সাইকোলোজী" বিষয়ে পড়েছেন কিনা কিম্বা আদৌ তারা এমন বিষয়টি জানেন কিনা ! " টিচার'স বিহেভ্যিয়র' ব্যাপারটিও তারা কোনওদিন শুনেছেন কিনা!
আপনি বলেছেন - স্কুলে প্রয়োজন সঠিক টিচার্স ট্রেইনিং।
অবশ্যই।
আমি জানিনে আমাদের “টিচার্স ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট”য়ে এসব শেখানো হয় কিনা। হলেও তা মনে হয় শুধু ট্রেইনিংয়ে পাশ করতেই শিক্ষকেরা এটা পড়েন কিন্তু প্রয়োগ করেননা কখনও।
আপনি এও বলেছেন, ……………… শেখানো হয় ডিফারেন্ট এইজ গ্রুপে ডিফারেন্ট টাইপস চিল্ড্রেন হ্যান্ডেলিং।
আমি এর সাথে যোগ করে বলি, বিভিন্ন এজ গ্রুপের জন্যে শ্রেনীকক্ষ কিভাবে সাজাতে হয় শেখানো হয় তাও।
অথচ আমাদের শিক্ষকবৃন্দ এর ধারে কাছ দিয়েও হাটেন না বরং পাঠ্যবই পড়িয়েই মনে করেন তাদের দায়িত্ব শেষ। অধিকিন্তু ভেবে বসেই আছেন, স্কুল একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষন দেয়ার মতো কোনও প্রতিষ্ঠান যেখানে স্কুলের নিয়ম-কানুন ঠিক রাখতে সামান্য ভুলের জন্যে একজন ছাত্রছাত্রীকে ব্যাকপ্যাক সহ রাইফেল কাঁধে নিয়ে মাঠে রোদ্দুরের ভেতরে দশ চক্কর মারার মতো শাস্তি দিতে পারা যাবার অধিকার তারা রাখেন ।
শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের শেখাবেন আদরে ভালোবাসায়, তাদের ত্রুটিগুনো শুধরে দিতে চেষ্টা করবেন মোলায়েম ভাষায় ও ব্যবহারে।এসব কথাই আপনি বলেছেন এই লেখায়।
মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে তাই সুক্ষ দাগে এক লাইনে এমন সব ঘটনার পেছনের মূল রোগটিকে ডায়গনোসিস করে যাই—“সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থা।"
এখন চিকিৎসা আপনাদের হাতে.........................
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া
হ্যাঁ আমার মতে আমরা সবাই কিছু না কিছুভাবে দায়ী। এবং আমাদের সকলেরই সংশোধন বা উন্নয়ন প্রয়োজন। নইলে সেই আদিযুগেই থেকে যেতে হবে। পন্ডিৎমশায়ের বেঁতের বাড়ি খেয়ে পিঠ ফাটিয়ে ফেল্লেও কিছু বলা যাবে না। হাড্ডি চাইবে প্যারেন্টস মাস না।
সোসাল মিডিয়াতে যা এসেছে এবং আসছে তাকে মনে হয় “আর্গুমেন্ট” হিসেবেই ধরে নেয়া যায়। যেমন আপনার এই বিশ্লেষণাত্বক এবং যথাযথ লেখাটিও ““আর্গুমেন্ট” বা “ অবজার্ভেশান” বলা সঙ্গত। অথচ বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ঘটনার উপরে তাদের অনেকটা “কনক্লুসিভ” রায় দিয়ে ফেলেছেন। এতে মূল কার্যকরন থেকে আমাদের দৃষ্টি সরে যায় অন্যত্র। কিন্তু বিচারের ক্ষেত্রে “রায়” হবে একটিই মাত্র। এবং এই রায়টি মনে হয় হওয়া উচিৎ - এমন সব ঘটনার জন্যে দায়ী আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিই।
বিচার হতে পারে ভিখারুননেসা স্কুলের প্রিন্সিপালের বা টিচারদের তবে কিসের ভিত্তিতে?
তাদের নীতিমালায় ফোন নেওয়া যাবেনা এটা সঠিক তবে ফোন নেবার পরে হয়তো সেই নীতিমালায় আছে সাথে সাথে টিসি। যেখানে সন্মত হয়েই প্যারেন্টস ভুল করেছেন। তবে এই নীতিমালার নির্ধারক কে? কে সেই নীতিমালা অনুমোদন করলো?
তার কি বিচার জরুরী নয়?
তার বিরুদ্ধে সবার আগে রায় হোক।
এরপর প্রিন্সিপাল-
তার নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষিকা ফোন নিয়েছেন তার কোনো দোষ নেই। এখানে প্রিন্সিপালের দোষ এই নির্দেশের এবং নীতিমালার এবং যথার্থ টিচার ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা তিনি করেননি।
ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট, চাইল্ড সাইকোলজী এবং প্যারেন্টস সাইকোলজী সবই এর ভেতরে পড়ে।
তারপর অভিভাবককের দায়-
কেনো তিনি জেনেশুনে এমন স্কুলে ভর্তি করবেন???
রায় তবে সকলের বিরুদ্ধে হবে নয় কি?
নইলে গোড়ায় গলদ যেখানে সেখানেই রায় হোক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
অপ্সরা বলেছেন:
রাফা বলেছেন, সমাজ থেকে পারিবারিক মূল্যবোধ একেবার বিলিন হয়ে গেছে বলেই আমরা জীবনে সাফল্য পাওয়ার জন্য নীতি নৈতিকতার বিষর্জন দিতে কুন্ঠাবোধ করছিনা।একজন ,আরেকজনের সাথে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে চলছি আর ভবিষ্যত প্রজন্মকেও ঠেলে দিচ্ছি সেই পাল্লারই প্রতিযোগিতায়।কেউই হারতে রাজি নই এমন পাল্লায়।
এই পাল্লাপাল্লির জন্যেই সোহানী বলতে বাধ্য হয়েছেন, পুরো ঘটনাটা আমাদের এ অস্থির সমাজের এক টুকরো চিত্র। আমরা দিন দিন অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছি, অস্থির হয়ে যাচ্ছি। তাই অল্পতেই ধৈর্য্য হারা হচ্ছি।
হ্যাঁ কারো কথাই ফেলে দেয়ার মতো নয়।
হ্যাঁ এই অসহিষ্ণুতার আছড় অনেক আগে থেকেই পড়েছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর।কারন শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউই শিক্ষাদানকে একটি সুস্থ্য ধারায় মানুষ গড়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে না নিয়ে , কেরানীর চাকুরীর মতো আর দশটা চাকুরী পেশা হিসেবেই দেখেন এবং নিয়েছেন। যেন আলু-পটল বিক্রি শেষে মাসকাবারী পকেটে কিছু পয়সা নিয়ে ঘরে ফেরা!
শিক্ষাদানের সুস্থ্য ধারা বা মানুষ গড়ার চ্যালেঞ্জ হিসাবে ব্রত নিয়েও যারা শুরু করে শিক্ষকতা তারা অনেকেই তা ধারণ বা বহন করতে পারেনা বলে আমার মনে হয়। তার কারণ তাদের করণীয় বিশেষ করে পজিটিভ টিচিং বা ক্রিয়েটিভ লার্নিং সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা , ট্রেইনিং না থাকা , ট্রেইনিং থাকলেও রিসোর্সের অভাব থাকা এসবই একটা সময় তাদেরকে সুন্দর শিক্ষাদানে বিমুখ করে তোলে। আর প্রতিকূলতা তো রয়েছেই। আমি জানিনা গুটিকয়েক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ছাড়া কারা কোন স্কুলে একটা ক্লাসের পরে রিফলেক্সন জার্নাল লেখে....
অথচ এটা কতটা জরুরী একজন শিক্ষককে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাবার জন্য...
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩
অপ্সরা বলেছেন:
হ্যাঁ অধিকাংশ স্কুলেই আজও “টিচার্স ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট”য়ে এসব শিখে আসা ও পাশ করে আসা শিক্ষকেরা এটা পড়েন কিন্তু প্রয়োগ করেননা নিশ্চয়ই নইলে এসব ঘটতো না। তবে স্কলাসটিকা, আইএসডি এর মত স্কুলগুলোতে যদি প্রয়োগ ঘটানো যায় তবে এখানে নয় কেনো?
শুধু প্রয়োজন প্রপার মনিটরিং, শিক্ষকের সদিচ্ছা ও সেই সদিচ্ছাকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা।
আমি আমার আনন্দময় টিচিং এ যখন যা প্রয়োজন তাই পেয়েছি। আমার প্রিন্সিপ্যাল থেকে আমি যত সহযোগীতা ও সাজেশন পেয়েছি এই স্কুল জীবনের আনন্দময় পরিভ্রমনে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ.....
ভাইয়া এই মূল রোগটিকে ডায়গনোসিস করেছো—“সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থা।" এই চিকিৎসা কিছু স্কুল জানে হয়তো বা কিন্তু এই বিশাল পরিমাপের না জানা স্কুলগুলোকে কে শেখাবে???
এ উত্তর আমি খুঁজে পাইনি। মনে হয়েছে আলীশান বাড়িতে বসে দরিদ্র বসতির দুঃখে বুক ভাসাচ্ছি। তাদের চিকিৎসা জানা নেই।
শুধুই বড় বড় বুলি ছাড়া .....
১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
হাবিব বলেছেন:
অপ্সরা ও সায়মা একই প্রোফাইল.......
চিনতে কষ্ট হয়
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
অপ্সরা বলেছেন: কষ্ট কেনো?
চিনে নিতে হয়!
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
মোঃমোজাম হক বলেছেন: এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত।
১.টিচার ঐ ফোনটা সিজ করে কি অন্যায় করেছে?
২.প্রিন্সিপালও নিয়ম অনুযায়ি মোবাইল বহনের জন্য টিসির কথা বলে কি অন্যায় করেছে?
৩।মোবাইল বহনসহ অন্যান্য রুলস দেখে কখনও কি গার্ডিয়ানরা প্রতিবাদ করেছিল?
৪।এই কালাকানুন কি ক্লাস শিক্ষক বা প্রিন্সিপ্যাল বানিয়েছেছিল?
৫।এই রকম এ-ক্লাস স্কুল কি নকলের সুযোগ থাকবে?
মানতেই হবে স্কুলের রুলস অরিত্রি অমান্য করেছিল। যারা বলছে অরিত্রকে সতর্ক না করেই শাস্তি দিয়েছে, তাদেরকে বলবো সে নিজেওতো কাঊকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আত্মহনন করেছে!
অতি আবেগে মেয়েটি আত্মহত্যা করে থাকলে ঐ টিচার বা প্রিন্সপাল কেন দায়ী হবে? দায়ী হতে পারে যারা ঐ কালাকানুন তৈরী করেছে অথবা যে স্কুলের আইন ভেংগেছে।
আমার ৩জন আত্মীয় সেই স্কুলে পড়ছে,তারা কখনো ফোন নিয়ে স্কুলে যায়না। এই অবস্থায় তাদের মা-বাবারাও শিক্ষিকাদের পক্ষেই দাড়িয়েছে।
আসুন শিক্ষার মানঊন্নয়নে আমরা একটি অতি আবেগী মেয়ের পক্ষে না থেকে মানুষ গড়ার কারিগড়দের পক্ষেই থাকি। নাহলে কোন শিক্ষকই আর নকল ধরার সাহস করবেনা।
অনতিবিলম্বে শিক্ষিকার মুক্তি দাবী করছি।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
অপ্সরা বলেছেন: আমার উত্তর-
১.টিচার ঐ ফোনটা সিজ করে কি অন্যায় করেছে?
উঃ- না। সেটা স্কুলের নিয়ম ও নীতিমালার অন্তর্ভূক্ত। তার উপরে নির্দেশও আছে অবশ্যই।
২.প্রিন্সিপালও নিয়ম অনুযায়ি মোবাইল বহনের জন্য টিসির কথা বলে কি অন্যায় করেছে?
উঃ না করেননি তবে প্যারেন্টস সাইকোলজীও বুঝে কথা বলা অবশ্য জরুরী ছিলো তার মত শিক্ষাগুরুর কাছে এটাই কাম্য। ভেবে দেখো ভাইয়া তোমার বাবি যদি নিয়ম ভেঙ্গে কিছু করে তুমি সেটা জানার পরে তোমার কেমন লাগবে? তাই তোমাকে টিচারের জানাতে হবে সহযোগীমূলক মনোভাবের সাথে যেন সে তোমার বন্ধু তোমরা দুজনে মিলেই পারো বাচ্চাটাকে রুল শেখাতে।
৩।মোবাইল বহনসহ অন্যান্য রুলস দেখে কখনও কি গার্ডিয়ানরা প্রতিবাদ করেছিল?
উঃ- নিশ্চয়ই না বরং কিছু ভিকিদেরকে বলতে শুনেছি। বাব্বাহ আমাদের স্কুলের নিয়মনীতি চুল না বেঁধে আসলে হেন, কার্ডিগাননা পরলে তেন কত্ত গর্ব করে বলতে। প্যারেন্টও চেয়েছিলো নিশ্চয়ই তার মেয়ে নিয়ম নীতির মাঝেই বড় হোক। অথচ স্বার্থে লাগতেই সব উলটে গেলো। এখানে প্যারেন্টও সেই একই ভুলের স্বীকার যা আরও শত বছর ধরে তারা অন্তরে ধারণ করে আসছে।
৪।এই কালাকানুন কি ক্লাস শিক্ষক বা প্রিন্সিপ্যাল বানিয়েছেছিল?
উঃ- আমি জানিনা যে বানিয়েছে এবং অনুমোদন দিয়েছে তাকে ধরা হোক ... কারণ দর্শাতে বলা হোক। যদিও একজন পরীক্ষার্থী হলে মোবাইল আনবে না আমি এই নীতির পক্ষে এবং একই সাথে সেটা বুঝিয়ে বলা ও করে ফেললে সুষ্ঠ আলোচনা সাপেক্ষে শিক্ষাদানের পক্ষে।
৫।এই রকম এ-ক্লাস স্কুল কি নকলের সুযোগ থাকবে?
উঃ- না কোনোভাবেই সুযোগ থাকবে না এবং পরীক্ষা হলে প্রবেশের আগেই চেকিং প্রয়োজন ছিলো।
১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
যদিও আমি শুধুমাত্র অরিত্রীর ঘটনাটির পেছনের মূল কারনটি তুলে ধরে এখানে মন্তব্য করেছি , ঐ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার সংক্রান্ত কিছুই বলিনি তবুও প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
মন্তব্যে যা বলেছেন তেমন করে বিচার আমাদের চাইতেই হবে, একে অন্যকে দোষারোপ করতেই হবে দিনের পর দিন, যদি এমনই “সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থা" বহাল থাকে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন নিশ্চয়ই কোনও সংবিধান নয় যে তার এক লাইনও সংশোধন করা যাবেনা। খোদ সংবিধানেরও তো সংশোধনী এনে গ্রহন করা হয়। একটা স্কুলে তা পারা যাবেনা ?
স্কুলের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-অভিভাবক-গভর্নিং বডি সবাই কি রোবট ?
দাঁড়িপাল্লায় মেপেই যদি বিচার করা যেত তবে আদালতগুলোতে কম্প্যূটারে বাদী-বিবাদীর স্বাক্ষ্য যোগবিয়োগ করলেই হতো। হাযার হাযার টাকা বেতন দিয়ে বিচারক রেখে, আদালতের নির্বাহী খরচ বাড়িয়ে যাবার দরকার পড়তো না। একমাত্র মানুষই হলো শেষ যন্ত্র যার বুদ্ধি, বিবেচনা বোধ আছে, আছে পরিস্থিতি অবলোকন করে ব্যবস্থা নেবার, আছে প্রয়োজনীয় ক্ষমা করার মহৎ গুন। পাশাপাশি আছে সমাজের স্বার্থে কঠিন হওয়ার মতোও নৈতিকতা।
আমাদের সকলেরই আলাদা আলাদা ভাবে সংশোধিত হবার বা নৈতিক উন্নতি ঘটানোর প্রয়োজন নেই। সিষ্টেমের মধ্যে ফেলে দিন, সবাই আপছে আপ সোজা হয়ে যাবে। যেমন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন কি ক'দিনের জন্যে হলেও সব্বাইকে সোজা করে দেয়নি? তাদের নিয়ন্ত্রনের ঐ ধারা যদি এখনও বজায় থাকতো তবে সড়কে বিশৃঙ্খলা কি খুব একটা দেখা যেত?
তাই শিক্ষাক্ষেত্রে এমন সব অনভিপ্রেত ঘটনার রাশ টেনে ধরতেই মূল রোগ- "সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থা"র অবসান ঘটাতেই হবে এবং তা যতো তাড়াতাড়ি হয় ততোই মঙ্গল। আর সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থা সংশোধন করলে পরে সঠিক শিক্ষা প্রদানের যে অনুঘটক, ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট, চাইল্ড সাইকোলজী এবং প্যারেন্টস সাইকোলজী ইত্যাদি ইত্যাদি সবই চলে আসবে। তখন এই সিষ্টেমের ছাঁচে পড়ে ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-অভিভাবক সবাই একযোগে সোজা হয়ে যাবেন।
ভালো থাকুন। একজন আদর্শ শিক্ষিকার জন্যে রইলো শুভেচ্ছা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
অপ্সরা বলেছেন: আমি আদর্শ শিক্ষিকা কিনা জানিনা ভাইয়া তবে আমার স্কুল আর স্কুলের নিয়ম কানুন আর সহযোগীতামূলক মনোবৃত্তি দেখে আমার স্কুলকে আমার আদর্শ স্কুল মনে হয় ভাইয়া। আর আমি তাই এই কৃতজ্ঞতা বার বার স্বীকারও করে থাকি।
আর আমার জবটাকেও আমি দারুণ এনজয় করি তবে খুব মন খারাপ হয় যখন শুনি এই ঘটনার কারণে সেটা হয়েছে সেটার কারণে এটা তখন ভেবে দেখি আসলে এটা এইভাবে হলে তো ঘটনাটা ঘটতো না হয়তো। আমি খুব কনফিডেন্টলি মনে করি একটা চরম অবাধ্য বাচ্চাকেও নেগেটিভিটি ছাড়াই পজিটিভ আচরনের মাঝে তাকেও পজিটিভ করে তোলা যায়। ভাইয়া আমি নিজেই চাইল্ড সাইকোলজীতে পড়ালেখা করেছি তবুও কাজ করতে গিয়ে নিজেই তার থেকে তাদের সাইকোলজী নিয়ে বেশি এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে আমার। আমার প্রিন্সিপালের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। প্রথমজন ছিলেন একজন ব্রিটিশ তারপর আমেরিকান তাই হয়তো আমাদের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে অনেকখানি অন্যরকম এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটির মাঝেও বাচ্চারা শিখতে পারছে।
আমিও ভুল করেছি কিন্তু আমি যেহেতু যাই করি মন দিয়েই করি তাই ভুল শুধরাতেও কার্পন্য করিনি।
যাইহোক ভাইয়া
অরিত্রীর ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার সংক্রান্ত কিছু বলোনি তবুও প্রতিমন্তব্যে আমি সেটা ভেবেই উত্তর দিয়েছি।
আর অবশ্যই মান্ধাতার আমলের সকল নীতি মেনে না নিয়ে নীতি সংশোধিত হবে সাথে আচরন এবং বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পরিচালনা।
"সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থা" নিয়ে কাওসার ভাইয়ার একটা আর্টিকেল আছে। আমাদেরকেও ভাবতে ও লিখতে হবে মনে হচ্ছে এবং পৌছে দিতে হবে প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে।
আমি একা কি সেটা আর পারবো।
সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন ....
১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আসলে যুক্তিতর্কে অনেককিছুই আসতে পারে। যে কোন একপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করা অন্যায় হবে। দোষটা প্রথমত অরিত্রিরই ছিল। তার নিশ্চয়ই জানা ছিল পরীক্ষার হলে সেলফোন অ্যালাউড না। তাহলে সে কেন ফোন নিয়ে হলে প্রবেশ করল? একটি প্রতিষ্ঠানে ডিসিপ্লিনের কড়াকড়ি না থাকলে সেই প্রতিষ্ঠান টিকে থাকবে না। আর এমন কড়াকড়ি আছে বলেই কিন্তু আমরা আমাদের সন্তানদের এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার জন্য রীতিমত যুদ্ধ করি। তাহলে প্রতিষ্ঠানের ডিসিপ্লিন ভঙ্গের জন্য অরিত্রিকে শাস্তি দেয়া নিশ্চয়ই স্কুল কর্তৃপক্ষের জন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। আর আত্মহত্যার মূল কারণটাও কিন্তু সুস্পষ্ট নয়; যেমন আপনার বিশ্লেষণে তা উঠে এসেছে। তাই বলব একতরফাভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর খড়্গহস্ত হওয়া মোটেই সমীচিন হবে না।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়িকে কোনমতেই সমর্থন করা যায় না। তাদের বিহেভ দেখে মনে হয় তাঁরা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, কোন সামরিক প্রতিষ্ঠান চালান। তারপরও বলব- স্কুল কর্তৃপক্ষকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেয়া হয়েছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: ঠিক বলেছো ভাইয়া।
আহমেদ জী এস ভাইয়ার মন্তব্য দেখো -
গোড়ায় গলদ খুঁজে বের করতে হবে -
সবাইকেই ভাবতে হবে ও পৌছে দিতে হবে ভাবনাগুলো তাহাদের কানে ...
১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সাবলীল ভাষায় যুক্তি উত্থাপন। মন্দ লাগে নি। তারপরও না বলে পারছি না। শিক্ষা ক্ষেত্র না বলে এখন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে ব্যবসা ক্ষেত্র বলাটা সঙ্গত মনে করি।
এখানে যে শিশুটি আত্নহত্যা করলো..তার আত্নহত্যা শুধু সহজ যুক্তিতে তোলে ধরো না। বাবা-মা , শিক্ষক ছাপিখ্য় আত্নহত্যা ব্যাপারটি মুখ্য হয়ে ওঠলো।
নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাবান করে গড়ে তোলা শুধু অভিভাবক নয় ; শিক্ষকদের ঘাড়েও বর্তায়।
একজন শিশু আবেগপ্রবণ হওয়টা স্বাভাবিক। তুমি শিক্ষক বলে স্বজাতির পক্ষ নিও না।
শিক্ষকদের মধ্যে অনেকে অনেক প্রিয়। আবার অনেকে অনেক অপ্রিয়ও আছেন কিন্তু!!
এখন ভাবা উচিৎ আমাদের পরবর্তী করণীয় কি? বা আমরা কি করতে পারি।
আমরা সবাই শিক্ষক নই ... কিন্তু তুমি আমি আমরা সবাই ছাত্র।
মনিপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রয়াত শেখ সবদার আলী , মারকুটে শিক্ষক, আমার কিন্তু সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষকদের একজন।
আমি ওই মারকুটে স্কুলের মার না খাওয়া একজন ছাত্র। আমার উপর বেত উঠতো না। পড়া না পারলেও। অনেক বন্ধু ঈর্ষা ্করতো!! আবার একবার মারতে গেলে সব ছাত্র প্রতিবাদ ও করে উঠেছে। সেটা অবশ্য আমার এক সহপাঠী অপ্রিয় ক্যাপ্টন কে ঝারি দেয়ার জন্য যে সে যদি আর একদিনও ক্যাপ্টেন থাকে তো আমার নাম সায়েম না। আমার নাম বদল হয়নি যে স্যার আমার ্্্্ঔদ্ধত্যে একবার মারতে চেয়েছিলেন সেই আমার নাম বদল বন্ধ করে ক্যাপ্টেনই বদল করে দিলেন। শায়মা , আমি সায়েমই থাকলাম।
অরিত্রীর ব্যাপারটি নিয়ে শিক্ষক হিসেবে পোস্ট দিয়েছো। সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো।
অবশ্য তোমার পোস্ট ভালো না লেগে উপায় নেই...
তবু বলি অরিত্রীরা যেনো ভালো থাকে.েআর দোষী ব্যক্তি যেন সাজা পায়..সেটা যেই হোক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
অপ্সরা বলেছেন:
শিক্ষক বলে স্বজাতির পক্ষ নেইনি বরং বুঝতে পারছি কিছু কিছু তোমার থেকেও হয়তো বেশিই। যেমন-
এমন পরিস্থিতি হতেই পারে। ইংলিশ মিডিয়াম, বাংলা মিডিয়াম, অভিজাত বা যে কোনো রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। বাচ্চারা মোবাইল আনবে, তারা তখন কি রকম যুক্তি দেখাবে সে পরিস্থিতিতে কি করণীয় সবই দিব্য চোখেই দেখা যায় যখন পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে এবং এই ক্ষেত্রে কি করা উচিৎ ছিলো। কি আগে থেকেই করা সঠিক বলে আমি মনে করি সেসব আমার স্কুলের সাথে এবং আমাদের কিছু নীতিমালা, ট্রেইনিং, কাউন্সেলিং এর সাথে এখানের শিক্ষক এবং স্টুডেন্টদের কি পার্থক্য সেটা মনে হয় ভালোই বুঝতে পারছি।
একই সাথে পরিবার ও সমাজের সচেতনতার বিষয়গুলি যা যা মাথায় এসেছে সেটাই লিখেছি। অবশ্যই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবসা ক্ষেত্রও বটে নইলে অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন থাকতো। তবে এই ব্যবসাক্ষেত্রের উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষকতা একটি মহান ব্রত এবং শিক্ষকের হাতে অনেক দায়িত্ব সেই দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুষ্ঠ ও সুন্দর মানসিকতার সাথে বেড়ে উঠবার জন্য আসলেই কি সহযোগীতা প্রয়োজন তা নিজেদেরকেই উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে। সাথে প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকেও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উপযুক্ত কার্য্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
(এখানে যে শিশুটি আত্নহত্যা করলো..তার আত্নহত্যা শুধু সহজ যুক্তিতে তোলে ধরো না। বাবা-মা , শিক্ষক ছাপিখ্য় আত্নহত্যা ব্যাপারটি মুখ্য হয়ে ওঠলো।)
তার আত্মহত্যা সহজ যুক্তিতে তুলে ধরা বলতে কি বুঝাতে চেয়েছো বুঝলাম না। আমার মনে হয় আমি যথেষ্ঠ সহজ যুক্তিই দেখিয়েছি। আত্মহত্যা কোনো সাবজেক্ট নয়। সাবজেক্ট এর কারণ ও প্রতিকার আমার পোস্টে। তাই মুখ্য হয়ে উঠেছে তুমি ভুল বুঝেছো।
যাইহোক-
(নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাবান করে গড়ে তোলা শুধু অভিভাবক নয় ; শিক্ষকদের ঘাড়েও বর্তায়।
একজন শিশু আবেগপ্রবণ হওয়টা স্বাভাবিক। তুমি শিক্ষক বলে স্বজাতির পক্ষ নিও না। )
বলেছো, যা সেটাই বলছি শুধু বাবামা বা শুধু শিক্ষক নয় । দুই এর সহযোগীতা প্রয়োজন। একটি শিশুর আবেগপ্রবন মানসিকতার দিকে খেয়াল রেখেই তাই উভয়ের মিথষ্ক্রিয়ামূলক কর্মকান্ড প্রয়োজন।
আবারও বলছি স্বজাতির পক্ষ নিয়ে নয় আমার পক্ষ একটি শিশুর সুষ্ঠ মানসিকতা বিকাশ ও সুন্দর শিক্ষা নিয়ে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: শিক্ষকদের মধ্যে অনেকে অনেক প্রিয়। আবার অনেকে অনেক অপ্রিয়ও আছেন কিন্তু!!
হ্যাঁ শুধু শিক্ষক নয় এইও দুনিয়ায় সদা ও সর্বদা নানা রকম প্রিয় অপ্রিয় নিয়েই আমাদের চলতে হয়।এই লড়াই এর মাঝেই আজও বেঁচে থাকে মানুষ। আদিযুগ থেকেই এমনটাই হে আসছে। তবুও উন্নতি বা সংস্কার প্রয়োজন।
এখন ভাবা উচিৎ আমাদের পরবর্তী করণীয় কি? বা আমরা কি করতে পারি। আমরা সবাই শিক্ষক নই ... কিন্তু তুমি আমি আমরা সবাই ছাত্র।
আমি শিক্ষকও তাই দুদিকেই ভেবেছি....
মনিপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রয়াত শেখ সবদার আলী , মারকুটে শিক্ষক, আমার কিন্তু সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষকদের একজন।
আমি ওই মারকুটে স্কুলের মার না খাওয়া একজন ছাত্র। আমার উপর বেত উঠতো না। পড়া না পারলেও। অনেক বন্ধু ঈর্ষা ্করতো!! আবার একবার মারতে গেলে সব ছাত্র প্রতিবাদ ও করে উঠেছে। সেটা অবশ্য আমার এক সহপাঠী অপ্রিয় ক্যাপ্টন কে ঝারি দেয়ার জন্য যে সে যদি আর একদিনও ক্যাপ্টেন থাকে তো আমার নাম সায়েম না। আমার নাম বদল হয়নি যে স্যার আমার ্্্্ঔদ্ধত্যে একবার মারতে চেয়েছিলেন সেই আমার নাম বদল বন্ধ করে ক্যাপ্টেনই বদল করে দিলেন। শায়মা , আমি সায়েমই থাকলাম।
বাপরে! যাক মার খাওনি তাহলে! মজার গল্প। তবে নাম বদল করলে আবার আত্মহত্যা করতে নাকি? বুঝলাম না
অরিত্রীর ব্যাপারটি নিয়ে শিক্ষক হিসেবে পোস্ট দিয়েছো। সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো।
অবশ্য তোমার পোস্ট ভালো না লেগে উপায় নেই...
তবু বলি অরিত্রীরা যেনো ভালো থাকে.েআর দোষী ব্যক্তি যেন সাজা পায়..সেটা যেই হোক।
দোষী ব্যক্তি সাজা পাক আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হোক .....
১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
নীল আকাশ বলেছেন: আপু, বেশ দেরি করে আসলাম। আগে ব্লগে সবার একই ধরনের বিভিন্ন থীম নিয়ে লেখা গুলি পড়লাম। এবার আমি কিছু কথা বলতে চাই-
১। কোন স্কুলে পড়লে কেন ছেলেমেয়েরা সেই স্কুলের নিয়ম মানবে না? এটা তো গুরতর অপরাধ। আমরা নিয়ম মেনে বড় হয়নি? এদের মানতে অসুবিধা কি? মানতে ইচ্ছে না করলে অন্য স্কুলে চলে যাক? শুধু শুধু অন্য বাচ্চাদের ডির্স্টাব করার দরকার কি? সব বাচ্চারা মানলে আর কোন নির্দিস্ট বাচ্চা না মানলে সেই বাচ্চার সমস্যা, স্কুলের না ।
২। জাপানে শিশুদের প্রথম তিন বছর স্কুলে আচার ব্যবহার শিখানো হয় আর তারপর থেকে লেখাপড়া। আর আমরা পারলে কে.জি ক্লাসেই মাস্টার্স শেষ করে দিতে চাই! এতে আউটপুট প্রোডাক্ট কি হচ্ছে সেটা তো নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি, আপনিও পাচ্ছেন।
৩। নকল করলে/নিয়ম না মানলে টিচাররা পানিশমেন্ট দিতে পারবে না? বাহ, স্বাধীন দেশ, স্বাধীন নাগরিক। পরীক্ষায় গার্ড দেয়া বাদ/বন্ধ দিয়ে দিন। আরও ভালো হবে।
৪। গ্রাজুয়েশনে পড়ার আগে (নিদেন পক্ষে ইন্টার) ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল দেয়ার কি দরকার? মোবাইল হাতে পেলে এরা কি করে এটা বাবা মা বুঝে না? স্ট্যাটাস মেনইনটেইন করে ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল দেয় আর এই কোমল মতো বাচ্চারা কিছুদিন পরেই আজেবাজে জিনিস দেখা শুরু করে, ফেসবুকে সারাদিন স্ট্যাটাস আর আপডেট দেয়, রাতভর গার্ল/বয়ফ্রেন্ডের সাথে কি আলাপ করে সবাই জানে। আমার মতে দেশে সকল সামাজিক অধ:পতন শুরুই হয়েছে এই মোবাইল আসার পর থেকে। এত টুক বাচ্চার মোবাইল কি দরকার? এর বাপ মা কে ধরে আগে পানিসমেন্ট দেয়া দরকার কেন এত ছোট বাচ্চাকে মোবাইল দিল।
৫। আমার মনে হয় কিংবা ক্ষীন ধারনা স্কুলের টিচারদের গালির কারনে এই মেয়ে সুইসাইড করে নি। বাবা মা টিসির হুমকি পেয়ে বাসায় যেয়ে মেয়েকে কঠিন শাষন করেছে ।এত দিন পুতু করত, হঠাৎ করে এই শাষন মেয়ে সহ্য করতে পারে নি। আপনার কথা মতো তো এই মেয়ে জানতই মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে টিসি দিয়ে দেয়া হবে। করুনাধারা আপু তো বলেই দিয়েছেন প্রথম দিন ক্লাসেই এটা বলে দিত। জানা জিনিস খুব বেশি মনে এত বড় ইমপ্যাক্ট ফেলে না। যে কোন সাইকোলজিস্ট কে জিগ্গেস করুন।
আপনার লেখাটা দারুন হয়েছে। আমরা না বুঝে শুধু তিল কে তাল বানাই। যে স্কুলের নামে একগাদা গালি দিচ্ছি এই সামনের মাসে ভর্তি করার জন্য সেখানে লাইন লেগে যাবে। আমরা কি বাবা মা হিসেবে ১০০% দায়িত্ব পালন করি, না কিন্তু অন্যের কাছ থেকে ১১০% দাবী করি। নিউজ পেপার, মিডিয়া আর ফেসবুক হচ্ছে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর আসল হাতিয়ার। এরাই উডোর পিন্ডি বুডোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে।
মেয়ে মারা গেছে, অবশ্যই কেন জানা দরকার, তবে এর বাবা মা কে নিয়েও ভাল করে জিগ্গাসা করা দরকার আসলে সেদিন বাসায় কি ঘটেছিল। অনর্থক হাউকা্উ করে কোন লাভ নেই.......
ধন্যবাদ আর শুভ কামন রইল!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
অপ্সরা বলেছেন:
১। কোন স্কুলে পড়লে কেন ছেলেমেয়েরা সেই স্কুলের নিয়ম মানবে না? এটা তো গুরতর অপরাধ। আমরা নিয়ম মেনে বড় হয়নি? এদের মানতে অসুবিধা কি? মানতে ইচ্ছে না করলে অন্য স্কুলে চলে যাক? শুধু শুধু অন্য বাচ্চাদের ডির্স্টাব করার দরকার কি? সব বাচ্চারা মানলে আর কোন নির্দিস্ট বাচ্চা না মানলে সেই বাচ্চার সমস্যা, স্কুলের না ।
উঃ আমি যে প্রতিষ্ঠানে থাকবো তার নিয়ম আমাকে মানতেই হবে। এটাই নিয়ম। তবুও শিশুরা বা বালক বালিকারা সেটা মানে না এটাও স্বাভাবিক! আমি তুমিও এসবের মাঝেই বড় হয়েছি। কখনও মেনে কখনও না মেনে। শাস্তি পেয়ে বা ফাঁকি দিয়ে। আমাদের সময়েও এমন অভিমান অপমান ঘটেছে তাই বলে সবাই তা মেনেছে তাও নয়। সোজা কথা এটা এ বয়সেরই নিয়ম । নিয়ম না মানার খেলা খেলা। এতে অনেকেই ধরা পড়ে যায়।
২। জাপানে শিশুদের প্রথম তিন বছর স্কুলে আচার ব্যবহার শিখানো হয় আর তারপর থেকে লেখাপড়া। আর আমরা পারলে কে.জি ক্লাসেই মাস্টার্স শেষ করে দিতে চাই! এতে আউটপুট প্রোডাক্ট কি হচ্ছে সেটা তো নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি, আপনিও পাচ্ছেন।
উঃ- খুবই ভালো। তবে শৈশব কৈশোর কি এত বাঁধায় আসলেই বাঁধা যায়! আহা জীবনের আনন্দ কি শৈশবেই এত নিয়ম কানুনে আটকে যাবে! যেতে পারে? তবে হ্যাঁ শিশুদের মত করে কেজি ক্লাস পর্যন্ত কাটুক। তাদের জন্য শিথিল থাকুক নিয়ম কানুনগুলো। ধীরে না হয় বয়সের সাথে সাথে নিয়ম কানুনের শৃঙ্খল বাঁধা যাবে।
৩। নকল করলে/নিয়ম না মানলে টিচাররা পানিশমেন্ট দিতে পারবে না? বাহ, স্বাধীন দেশ, স্বাধীন নাগরিক। পরীক্ষায় গার্ড দেয়া বাদ/বন্ধ দিয়ে দিন। আরও ভালো হবে।
উঃ- হ্যাঁ পারবে অবশ্যই পারবে। তবে সময় এসেছে নতুন করে ভাবনার নতুন ভাবে শিশু মানসিকতার সহায়ক হ্যান্ডেলিং শেখার।
৪। গ্রাজুয়েশনে পড়ার আগে (নিদেন পক্ষে ইন্টার) ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল দেয়ার কি দরকার? মোবাইল হাতে পেলে এরা কি করে এটা বাবা মা বুঝে না? স্ট্যাটাস মেনইনটেইন করে ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল দেয় আর এই কোমল মতো বাচ্চারা কিছুদিন পরেই আজেবাজে জিনিস দেখা শুরু করে, ফেসবুকে সারাদিন স্ট্যাটাস আর আপডেট দেয়, রাতভর গার্ল/বয়ফ্রেন্ডের সাথে কি আলাপ করে সবাই জানে। আমার মতে দেশে সকল সামাজিক অধ:পতন শুরুই হয়েছে এই মোবাইল আসার পর থেকে। এত টুক বাচ্চার মোবাইল কি দরকার? এর বাপ মা কে ধরে আগে পানিসমেন্ট দেয়া দরকার কেন এত ছোট বাচ্চাকে মোবাইল দিল।
উঃ- আমিও কলেজের আগে বাচ্চাদের হাতে মোবাইলের পক্ষপাতি না। পারলে সরকার থেকে নিয়ম করে দিতাম।
৫। আমার মনে হয় কিংবা ক্ষীন ধারনা স্কুলের টিচারদের গালির কারনে এই মেয়ে সুইসাইড করে নি। বাবা মা টিসির হুমকি পেয়ে বাসায় যেয়ে মেয়েকে কঠিন শাষন করেছে ।এত দিন পুতু করত, হঠাৎ করে এই শাষন মেয়ে সহ্য করতে পারে নি। আপনার কথা মতো তো এই মেয়ে জানতই মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে টিসি দিয়ে দেয়া হবে। করুনাধারা আপু তো বলেই দিয়েছেন প্রথম দিন ক্লাসেই এটা বলে দিত। জানা জিনিস খুব বেশি মনে এত বড় ইমপ্যাক্ট ফেলে না। যে কোন সাইকোলজিস্ট কে জিগ্গেস করুন।
উঃ- এটাই স্বাভাবিক! আমরা বাঙ্গালী প্যারেন্টসরা এটাই করে থাকি। শিক্ষকেরাও নীতিমালা করে নাকে তেল দিয়ে বসে থাকলে চলবে না । সেই নীতি পালনের সুষ্ঠ প্রক্রিয়াও শেখাতে হবে। অনেক বাচ্চাই এডিকটেড হতে পারে মোবাইলে। তাকে সেই এডিকশন থেকে ফেরাতে হবে। সেটাই তার শিক্ষকতা হওয়া উচিৎ।
আপনার লেখাটা দারুন হয়েছে। আমরা না বুঝে শুধু তিল কে তাল বানাই। যে স্কুলের নামে একগাদা গালি দিচ্ছি এই সামনের মাসে ভর্তি করার জন্য সেখানে লাইন লেগে যাবে। আমরা কি বাবা মা হিসেবে ১০০% দায়িত্ব পালন করি, না কিন্তু অন্যের কাছ থেকে ১১০% দাবী করি। নিউজ পেপার, মিডিয়া আর ফেসবুক হচ্ছে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর আসল হাতিয়ার। এরাই উডোর পিন্ডি বুডোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে।
উঃ- হ্যাঁ তাই হবে। তাই আহমেদ জি এস ভাইয়া বলেছেন সার্টিফিকেট সর্বস্য শিক্ষাব্যবস্থার কথা।
মেয়ে মারা গেছে, অবশ্যই কেন জানা দরকার, তবে এর বাবা মা কে নিয়েও ভাল করে জিগ্গাসা করা দরকার আসলে সেদিন বাসায় কি ঘটেছিল। অনর্থক হাউকা্উ করে কোন লাভ নেই.......
উঃ- আসল ঘটনা জানার পরে আমাদের এই সমাজ সংস্কারের কাজে উন্নয়ন আনতে হবে।
একদিনে কি সেটা হবে?
২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮
কামভাখত কামরূখ বলেছেন: লেখকের লিখা নিয়ে আমার কিছু মন্তব্য আছে প্রথমত আমরা যারা লিখালিখি করি তাদের বাহ্যিক থেকে অন্তদৃষ্টিটার প্রখরতা বেশী থাকা উচিৎ তবে এটাও জনে জনে বিভিন্ন। এক এক লিখার প্রেক্ষাপট এক এক রকম সর্বশেষে একটা বিষয় থাকা উচিৎ যা সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখবে। এখানে শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে এটা নুতুন কিছু না অনেকই লিখছে কিন্তু গভনিংবডী বা পরিচালনা পরিষদ এর হাতের ইশারায় যে ইদানীং কালের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষকরা হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে, সেটা আসেনি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে এই মাফিয়াগং থেকে মাসোয়ারা নিয়ে তাদের হয়ে কাজ করছে তা আসেনি। কোন নিদিষ্ট প্রেক্ষাপটে থেকে সার্বিকভাবে সবাই যে একী পুঁজিবাদী চেতনা ঢুকিয়ে বড় শিক্ষা খাতকে নামিয়ে দিচ্ছে এইসব মুনাফালোভী চক্রে কিছু শিক্ষক যে জড়িত এই চিত্র থাকা চাই। তবে এসব জ্ঞান বিতরণ আমার উদ্দেশ্য নাহ এই ছাত্রীর আত্নহত্যা পরে আমজনতা একজন মাতৃ্তূল্য প্রধান শিক্ষিকাকে যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছে এই ক্ষতের চিহ্ন খুঁজতে যেয়ে আমার যেই অনুধাবন সেটা তুলে ধরেছি এবং আমি মনে করি গঠনতান্ন্ত্রিক সমালোচনা লেখকের লিখার স্বাধীনতায় কোন বাঁধা দিবে না। লিখিকা চাইলে আমার ব্লগে এই নিয়ে একটা লিখা আছে ঘুরে আসতে পারেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
অপ্সরা বলেছেন: লেখকের লিখা নিয়ে আমার কিছু মন্তব্য আছে প্রথমত আমরা যারা লিখালিখি করি তাদের বাহ্যিক থেকে অন্তদৃষ্টিটার প্রখরতা বেশী থাকা উচিৎ তবে এটাও জনে জনে বিভিন্ন। এক এক লিখার প্রেক্ষাপট এক এক রকম সর্বশেষে একটা বিষয় থাকা উচিৎ যা সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখবে।
ঠিক তাই বড় বড় বুলি দিয়ে কিচ্ছু হবে না । মাঝে মাঝে আমার মনে হয় এই যে গ্রামে গঞ্জে এত বিদ্যালয়। এদের লেসন প্ল্যান বা শিশুদের সাথে সঠিক ব্যবহার নেই বললেই চলে। সঠিক মানসিক বিকাশ কি হয়? নাকি আজও আদিম পদ্ধতিতে পিঠের ছাল তোলাকেই বৈধতা দেওয়া হয়?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়,মাফিয়াগং, মাসোয়ারা এসব নিয়ে আমার ধারণা নেই তবে ক্লাসরুম এবং শিশুর মনস্তত্ব বিষয়ক কিছু জ্ঞান আছে। সেটুকু নিয়েই ভাবছি।
তোমার ব্লগটাও অবশ্যই পড়বো ভাইয়া।
২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩
বিজন রয় বলেছেন: এখানে এত এত লোক এত কথা বলছে যে আমি কেবল মুগ্ধ হয়ে পড়ছি।
সবাই যদি বলে তো শুনবে কে??
গত এক সপ্তাহ যাবত এই অরিত্রীকে নিয়েই গবেষণা করছি, সেটার আমার শেষ পোস্টা দেখলেই বুঝতে পারবেন। তাই শুধু তিনটা কেন, অনেক কথাই বলা যেতে পারে।
কারণ আর দিন বলবো।
দেরী করে এই পোস্ট দিয়েছেন সেজন্য আমাকে উত্তর করেছেন, তার কোন দরকার ছিল না।
ব্লগে অন্য অনেকের চেয়ে আমি আপনাকে ভাল ভাবে জানি।
এই পোস্টিও স্টিকি করা হোক।
এই পোস্টিও স্টিকি করা হোক।
এই পোস্টিও স্টিকি করা হোক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮
অপ্সরা বলেছেন: শুধু শুনলে কি চলবে ভাইয়া?
শুনে শুনে কি বুঝলে আর নেক্সট পদক্ষেপ কি হওয়া উচিৎ সেটাও ভাবতে হবে। নইলে অরিত্রীও চাপা পড়ে যাবে নতুন কোনো ইস্যুর হুজুগে।
আমাকে জানো সে উপরে উপরে ভেতরে ভেতরে জানোনা ......
যাইহোক ভাইয়া স্টিকি অস্টিকি বড় কথা না। আলোচনা সমালোচনাও বড় কথা না আমার দুঃখ সব স্কুলেই কেনো বাচ্চাদের সুকোমল শিশুমনের কথা বোঝা হচ্ছে না। তা অবশ্য অনেকটাই অনুমেয়। তবুও প্রতিকার কি?
২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: আসল ঘটনা জানার পরে আমাদের এই সমাজ সংস্কারের কাজে উন্নয়ন আনতে হবে। একদিনে কি সেটা হবে?
আপু, বিশ্বাস করুন কিছুই হবে না। অল্প কয়েকদিন পড়েই আমরা সবাই এটা ভূলে যাব। কয়েকদিন পরেই নিউজ পেপার, মিডিয়া আর ফেসবুক অন্য কোন নিউজ ভাইরাল করে সেটা নিয়ে মাতামাতি করবে। পেপারের কাটতি বাড়াবে। আর এই মৃত্যু নিউজ আমাদের ব্লগের এই সব পোষ্টের নীচে চাপা পড়ে যাবে.........
আমার এই কথা আমি ভূল বলেছি কিনা সেটার সাক্ষী হয়ে থাকবে......
আমরা হুজুগে মাতাল জাতী। এই রকম মাতামাতি আগেও অনেক হয়েছে। পরেও অনেক হবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না........
ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
অপ্সরা বলেছেন: না কখনই না। একদিনে হবে না তবে কতদিনে!
হুম জানি আমি জানি
আর তাই হতাশ হয়েই হয়ত বেঁচে থাকতে হবে শেষ দিনটি পর্যন্ত!
২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: একজন অরিত্রী চলে গেল; আমাদের লেখালেখি করার, টক শো করার আরেকটা টপিক দিয়ে গেল। কিন্তু যারা সেসব অপমান ব্যর্থতা কিংবা নিজের অপরাধ জেনে বুঝে স্বীকার করেও চলে গেল না, বেঁচে রইলো---------- তাদেরকে নিয়েই আমাদের কথা বলা উচিত। তারাই আমাদের শক্তি। যে আত্মহত্যা করে ফেলল, তাকে বাচানো গেল না, এ দায় আমাদেরই। এ দায় আমরা কেউই এড়াতে পারি না।
একজন একজন করে আত্মহত্যা করবে আর আমরা শোক প্রকাশ করব! এ ছাড়া আর কিছু নেই আমাদের করবার
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ আর কোনো অরিত্রী যেন আত্মহত্যার এমন সব উপকরণ না পায় সেটাই ভাবতে হবে সকলকেই!
২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অরিত্রী আত্মহন ঘটনা বাংলাদেশে শিক্ষা পদ্ধতি এবং
শিক্ষার্থির সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্কের কিছু দূর্বল দিক চিহ্নিত করে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
অপ্সরা বলেছেন: একদম সঠিক কথা ভাইয়া।
এককথায় এটাই মুলল তত্ব তবে এর প্রতিকার ভাবতে হবে ও কার্য্যকর করতে হবে।
২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
বুড়ো লোকেরাই তো দেখি প্রেমে লুতুপুতু! আর ওরাতো বাচ্চা। স্টুডেন্টদের এই অবস্থাগুলো হ্যান্ডেল করা বিব্রতকর এবং কমপ্লিকেটেড। টিটাচারদের হতে হয় ডেডিকেটেড। তাদেরকে মানতে হবে নাথিং ইজ ইম্পসিবল। স্টুডেন্টদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরও মানুষ করার দায়িত্ব নিতে হবে টিচারদেরকে। এসব ভেবেই টিচিং প্রফেশনে আসা উচিত।
বর্তমান পৃথিবীতে প্রেম বেড়ে গেছে! টাইম টু লিভ!!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫
অপ্সরা বলেছেন: টাইম টু লিভ!
এটা কি বললে ভাইয়া!
প্রেম বাড়লে তুমি পালাবে!
কেনো!
যাইহোক কথা সত্যি, টিচারের দায়িত্ব সবকিছুই একই সুতোয় বেঁধে মালা গাঁথা!
একটি সুন্দর মালা ! যেন একটা ফুলও না ঝরে পড়ে মালা থেকে কবিভাইয়া!
২৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: অরিত্রীর ঘটনাটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আপনি সবগুলো ব্যাপার ডিটেইলসে আলোচনা করেছেন। ভালো লেগেছে৷
আসলেই কারো দোষ নেই আবার সবারই দোষ। বর্তমান সময়টা খুব অস্থির। যে যেদিক পারছে ছুটছে। কারো কোনদিকে তাকানোর সময় নেই৷ আর এতে করে সবচেয়ে বেশি ডিপ্রাইভড হচ্ছে আমাদের বাচ্চারা৷ ভালো প্যারেন্টিং পায়না, কাউন্সেলিং পায়না। ওরাও বুঝে উঠতে পারেনা কি করবে। সব বাবা-মা এবং শিক্ষকদের আরো অনেক বেশি সচেতন হওয়া দরকার।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০
অপ্সরা বলেছেন: ঠিক তাই আপুনি। এ ক্ষেত্রে টিচারদের এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা যেমন রয়েছে তেমনি তাদেরকে গুরুত্ব দিতেও হবে। তার বদলে গুরুত্বহীন করে দিলে চলবে না।
২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
রাকু হাসান বলেছেন:
কমেন্ট ও পোস্ট দেখে বেহুশ হেয়ে গেলাম । বিশ্লেষণে মুগ্ধ হয়েছি । অরিত্রি নিয়ে সেরা পোস্ট পড়লাম ।িউঠতি ছেলে মেয়েদের আবেগের লাঘাম টেনে পরিবারকেই ধরতে হবে । আবেগী সিদ্ধান্ত দূরীকরণে পরিবার ,শিক্ষক এক কাতারে দাড়িয়ে একই উদ্দেশ্যে কাজ করার বিকল্প নেই । আর কোনো অরিত্রি কে যেন আমরা না হারাই । শিক্ষকদের আরও মানবিক হতে হয় । হলে অরিত্রি কে হয়তো হারাতাম না । তোমার মতো টিচার হাজারো হোক । শুভকামনা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
অপ্সরা বলেছেন: আর কোনো অরিত্রীকে হারাতে চাইনা।
আমাদের মত টিচারেরা বা আমাদের মত গুটিকয় স্কুলের টিচারদের মত এই দেশের সকল স্কুল হোক।
২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৪
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: যারা নকল করেছে বলে মেয়েটার আত্নহত্যা করা ঠিক আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন (এমন মানুষও আছে অনেক! না দেখতে বিশ্বাসই করতাম না। বাঘা বাঘা ফেবু সেলেব্রেটি ও আছেন!) তারা ভুল রাস্তায় চিন্তা করছেন। যারা আত্নহত্যার ব্যপারটাকে গ্লোরিফাই করে শিক্ষকদের গায়ের চামড়া খেড়ে নেয়ার পালে হাওয়া দিচ্ছেন তারাও ভীষন রকম ভুল করছেন! এরকম ৭০% শিক্ষিতের হারের দেশে এরকম ডাইভার্সলি মিসগাইডেড থিংকিং কেউ আশা করেনা, কিন্ত আমরা স্যাডলি এমন একটা সময়েই আছি।
এই ঘটনায় আসলে কাউকে যদি এককভাবে দোষী করতে যাওয়া হয় তা হবে মস্তবড় ভুল! পারিবারিক পরিমন্ডলের উদাসীনতা, সামাজিক ভাবে বুলিড হওয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি রাফলি হ্যান্ডেল করা সব কিছুই দায়ী। আমি সরকারী স্কুলে পড়ালেখা করে এসেছি। দেখেছি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক দিক নিয়ে কতটুকু ভাবিত। হয়ত আমাদের অনেক সময় সুযোগ থাকলেও পরিবেশের কারণে তারা আমাদের আরেকজন অভিভাবক হয়ে উঠতে পারেন না। অরিত্রী ক্যানো আত্নহত্যা করেছে এই প্রশ্নের জবাব কোন লজিকে আসলে দেয়া যায়না। তবে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের যেভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। তারা নির্বাচনের সামনে একধরণের স্কেপগোট হচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।
অরিত্রী চলে গেছে, তার রাস্তায় যাতে অন কেউ না যায়! এজন্যে আমরা তাদের কথা শুনবো। তাদের বুঝিয়ে বলব। ভুল অবশ্যই ভুল। খারাপ পন্থা অবলম্বন করাও সঠিক পথ নয়। তবে সেটা বোঝানোর জন্যে আমরা যদি মানসিকভাবে তাদের দূর্বল করে জীবনবোধটুকু নিংড়ে নেই, তবে সামনের দিন গুলোতে সেই অরিত্র-অরিত্রীরা যেদিকে যাবে তার দায়ভার আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারবোনা।
চমৎকার একটা বিশ্লেষণ আপু। টু দি পয়েন্ট আলোচনা। প্রিয়তে নিলাম! শুভরাত!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
অপ্সরা বলেছেন: না যারা নকল করেছে বলে মেয়েটার আত্নহত্যা করা ঠিক আছে বলে মনে করছেন তারা কিছুতেই ঠিক নেই তবে হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে বহু বহু দিন ধরে আবেগপ্রবন এবং কিছু ভুলবুঝে চলা আমাদের এই সমাজে। নকল করেছিস? ছি ছি করে মুখ দেখাবি! তার আগে মরণ হলো না কেনো? এমন সিনেমার ডায়ালগ অনেক পরিবারেই আমরা শুনেছি। । এই সব প্যারেন্ট- টিচার এবং চিল্ড্রেন সবাইকেই বুঝাতে হবে। নকল করা নিন্দনীয় বটে তবুও একটা ভুল করে ফেলা মানেই জীবন থেমে যাওয়া না। ভুল বাচ্চারাই করে। এমনকি খবর নিলে দেখা যাবে তাদেরই বাবা মা টিচারেরাও একই কাজ ছোটবেলায় করেছিলো হয়তো কাজেই এই জিনিসটা বুঝাতে হবে নকল করেছে বলেই জীবন থেমে যাইনি বা থামানো যাবে না।
শিক্ষকরা এই আত্মহত্যায় দায়ী সেটা ভাবারও কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না কারণ শ্রেনীশিক্ষক তার নীতিমালা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছে। কোনো বাচ্চা পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে আসলে নকল করুক বা না করুক তা নেবার অধিকার তার আছে।
শুধু এই ঘটনাতে শিক্ষকেরা দায়ী কোনোভাবেই হত না যদি বাবামায়ের সাথে সহযোগীতামূলক আচরণ করা হত বাচ্চাটার এই আচরণ কিভাবে সংশোধন করা যায় সেই সুস্থ্য আলোচনার মাধ্যমে।
হ্যাঁ এই ঘটনায় আসলে কাউকে এককভাবে দোষী করতে যায় না। পারিবারিক পরিমন্ডলের উদাসীনতা এবং ব্যার্থতা আছে তবে এমনটা কিন্তু অতীতেও ছিলো আমার নানু বলতেন তার ৭ ছেলেমেয়ে কোনদিক থেকে বড় হলো কি পড়লো কিছুই নাকি জানতেনও না। তারা নিজেরাই পড়ালেখা করেছে বড় হয়েছে। তখনও অপরাধ ছিলো, বুলিং ছিলো, শিক্ষকেরা পিটিয়ে ছাল তুলতেন এবং তখনও পরীক্ষায় ফেইল করে আত্মহত্যা ঘটেছে তবে সেই যুগে মানুষ আজ আর নেই। সভ্যতার উন্নয়নে আমরা জেনেছি আরও কিভাবে এসব থেকে দূরে থাকা যায় বাচ্চাদেরকে ভালো রাখা যায়। যা উন্নত দেশগুলোতে দেখেছিও। তাই গুটিকয় স্কুলে কমফো্রট যোনে বাচ্চারা কিছুটা থাকলেও অধিকাংশ স্কুলে সেই আদিম যুগের নিয়মগুলিই রয়ে গেছে। সরকারী স্কুলগুলো তারই উদাহরন।
শিক্ষকদের নাজেহাল করে কোনোই লাভ নেই যতদিন তারা নিজেরাই জানবেনা তারা দোষটা করেছেন আসলেই কোথায়! তারা ভাববেন আরে গুরুর মাইর খেয়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বড় হলো আর আমরা এতটুকু বললে দোষ কি! তাই প্রয়োজন সঠিক ট্রেইনিং।।
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া। ব্যপারটা নিয়ে এতখানি ভাবনার জন্য ও সুচিন্তিত মতামতের জন্য। এই ভাবনাগুলোই হয়তো নতুন আলোর দিশা দেখাবে একদিন। সমাজ বদল তো একদিনে হয় না । তিলে তিলেই হয়।
২৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
আপনার বিশ্লেষনধর্মী পোস্ট এবং মন্তব্যের জবাবে মতামতমূলক উত্তরগুলো খুবই মূল্যবান। মন্তব্যগুলোতেও বেশ তথ্য ও তত্ত্ব সন্নিবেশিত হয়েছে, যা পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে। পোস্ট এবং মন্তব্যে উঠে আসা বিষয়গুলোর আলোকে 'টিচার'স বিহেভিয়ার' তথা 'শিক্ষকের আচরন' এর উপরে যথাযথ প্রশিক্ষন অনুশীলনের ব্যবস্থা একান্তভাবে থাকা উচিত।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
অপ্সরা বলেছেন: আমি নিজে আজ বেশ কয়েকবছর টিচিং প্রফেশনে আছি। যদিও আমার টিচিং এনভায়রনমেন্টটা আমার ছোটবেলার নিজের স্কুলের মতন নয়। বরং অনেকাংশেই অবাক করা ছিলো আমার কাছে। স্কুলে যখন ঢুকেছিলাম প্রথমেই আমাদের ইনডাকশন ম্যানেজার আমাকে জানিয়েছিলো কিছু রুলস যেখানে বলা ছিলো কখনও কোনোভাবে ফিজিক্যাল পানিশমেন্ট তো দূরের কথা কোনো বাচ্চাকে কখনও ব্যাডবয়ও বলা যাবে না! আমি তো অবাক তাইলে কি করে বাচ্চাকে ভুল করলে শিখাবো! সত্যিই আমি ভেবে অবাক হয়েছিলাম আরও হয়েছিলাম দেখে কি করে তারা বাচ্চাদের চরম বেয়াদপী বলে আমরা যেটা মনে করি সেটাকেও চাইল্ড নরমাল বিহেব ভাবছে। এবং আমাদের পজিটিভ বিহেবের কারণেই নাকি বাচ্চা শিখে যাবে একদিন। ওর সাথে নেগেটিভ হলেই সেও নেগেটিভ এটিটিউড শিখবে।
একদিন সকালবেলা একটা নার্সারীর বাচ্চা সে স্কুলে ঢুকবে না। সে আরও ঘুমাতে চায় বাসায় তাই তার মেজাজ খারাপ। মা তাকে জোর করে দিয়ে গেছে। বাচ্চাটাকে আয়া কোলে করে আনলো জোর করেই একটু মায়ের থেকে । সে ক্লাসে ঢুকে ঠাস করে আয়ার গালে চড় কষে দিলো। আমি হা করে তাকিয়েছিলাম! মনে মনে তখন হাজারও প্রশ্ন আমার! মাই গড! কি বেয়াদপরে বাবা! কত্ত বড় সাহস! ওর মাকেও নিশ্চয় কাজের বুয়াদেরকে মারতেই দেখে সে! এই ছেলে কি বাসাতেও কাজের লোকজনকে চড় চাপড় দেয় নাকি!!! এসব ভাবছি যখন আমাদের কো অরডিনেটর বললেন, ওহ নো বেবি। সে স্যরি! স্যরি বলতে হয় বাবা!
আমি মনে মনে ভাবছিলাম! আরে কিসের স্যরি! কিন্তু সে আমার বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে বললো, হি ইজ নট ইন গুড ম্যুড! তারপর আয়াকে স্যরি বললো নিজেই। ক্ষমা চাইলো তাকে এই খারাপ সিচুয়েশনে পড়তে হলো বলে। আয়ার দেখলাম বিকার নেই সে এর পরেও বাচ্চাটাকে আদর করছে। সেদিনই ভেবেছিলাম এই স্কুলটা বুঝি উলটো রাজার দেশের।
একদিন একজনের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে ভাবছিলাম কি করা যায় একে নিয়ে, মারা যাবেনা, বকা যাবেন, কিচ্ছু বলা যাবেনা তাহলে এই বাচ্চা শিখবে কেমনে? সে হঠাৎ একদিন টান দিয়ে আমার ওড়না নিয়ে ফ্লোরে ফেলে পা দিয়ে ঘর মুছছিলো! এমনিতেই আমার ওসিডি তার মাঝে আমার ওড়না দিয়ে পা দিয়ে ঘর মুছা!!!!!!! মাই গড! আমি তো আর একটু হলে হার্ট এটাক!
তখন আমার কো টিচার বললেন তুমি একটু রিলাক্স করো, টিচারস রুমে যাও আমি দেখছি। আমাদের স্কুলের নিয়ম কোনো বাচ্চার বেয়াদপী একান্তই সহ্য না হলে তৎক্ষনাৎ আরেকজনের কাছে হ্যান্ডওভার করতে হবে তবুও তাকে কিছুই বলা যাবে না। টিচারকেও কন্ট্রোল হতে হবে নিজেকে এবং বাচ্চার রাগ কমে গেলে তাকে অন্য উপায়ে ডিসকাশনের মাঝে, গল্প দিয়ে ম্যুভি দিয়ে হলেও বুঝাতে হবে তার দোষ কি। সেটা হল আসলে তার কোনটা করা উচিৎ সেটাই। দোষ না ধরিয়ে করণীয় কাজটাই শেখানো হয় তাকে।
৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ! অভিভাবক এবং শিক্ষক যদি একজন শিক্ষার্থীর কল্যাণের জন্য একযোগে কাজ করেন, তবে তার ফল ভালো হবেই, কোন সন্দেহ নেই। বিল্ডিং প্যারেন্টস টিচার পার্টনারশিপ খুবই দরকার, কিন্তু তার আগে প্যারেন্ট চাইল্ড রিলেশনশিপ ঠিক আছে কিনা সেটাও দেখা দরকার।
যে কোন শিশুর শেখার শুরু কিন্তু হয় বাড়ি থেকে; নিয়মানুবর্তিতা, বড়দের শ্রদ্ধা করা এই জিনিসগুলো বাচ্চারা প্রথমে পরিবার থেকে শেখে, তারপরে তারা স্কুলে যায়, এই জিনিসগুলো চর্চা করে, সাথে সাথে শেখে কিভাবে সকলের সাথে মিলেমিশে থাকতে হয়, শেখে শেয়ারিং, কেয়ারিং, দেশ প্রেম ইত্যাদি। ভিকারুন্নেসায় প্যারেন্ট টিচার রিলেশনশিপ খারাপ না তো!! ক্লাসের ৭০-৮০ জন ছাত্রীর অভিভাবকের সাথে যতদূর ভালোভাবে সন্তান সম্পর্কে আলোচনা করা যায়, ভিকারুন্নেসার শিক্ষকরা তা করেন । ভিকারুন্নেসা স্কুলে নিয়মিত প্যারেন্টস ডে আয়োজন করা হয়- যে অভিভাবকেরা তাদের মেয়েদের ভালোভাবে গড়ে তুলতে চান তারা সেই সব প্যারেন্টস ডেতে শিক্ষকের সাথে গিয়ে মেয়ের খবরাখবর নেন, সমস্যা নিয়ে শিক্ষকের সাথে আলোচনা করেন। আমিও নিয়মিত যেতাম এবং শিক্ষকদের সব সময় সহযোগী মনোভাবসম্পন্ন দেখেছি। অনেক স্কুলে পরীক্ষার রেজাল্ট অনুযায়ী ছাত্রীদের রোল নাম্বার হয়, যাতে রোল অনুযায়ী ভালো ছাত্রী খারাপ ছাত্রী চেনা যায়। এই স্কুলে অন্য স্কুলের মত এভাবে রোল নাম্বার হয়না, বরং আলফাবেটিক্যালি নামের আদ্যক্ষর দিয়ে রোল নাম্বার হয়। ছাত্রীদের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী দোলনচাঁপা, কৃষ্ণচূড়া, অপরাজিতা এমন নামের বিভিন্ন হাউসে ভাগ করা হয়, সেই সব হাউসে তারা নানা রকম কার্যক্রম করে পড়াশোনার বাইরে। সেগুলো দেখেন তাদের শিক্ষিকা। আমার মনে আছে, আমার মেয়ে একবার ক্রিকেটে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার খেলায় বাংলাদেশকে সাপোর্ট না করে সাপোর্ট করেছিল অস্ট্রেলিয়াকে, কারণ অস্ট্রেলিয়া তখন ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর বাংলাদেশ নতুন। এটা জানতে পেরে তার শিক্ষিকা অনেকক্ষণ ধরে তাকে বুঝিয়ে ছিলেন, নিজের যা আছে সেটা নিয়ে গর্বিত হতে হয়, নিজের দেশকে সাপোর্ট করতে, ভালবাসতে হয়। নিশ্চয়ই তিনি ভালোভাবে বুঝিয়ে ছিলেন, কারণ আমার মেয়ে পুরোপুরি এরপর বাংলাদেশের সাপোর্টার হয়ে গিয়েছিল....... এমন অনেক জিনিস আছে যা ঘরে শেখাতে পারিনি, স্কুলে শিখেছে। সে বিপুলসংখ্যক ছাত্রী নিয়েও শিক্ষিকারা যেভাবে শিক্ষা দেন, তা প্রশংসাজনক। তাই যদি বল ভিকারুন্নেসা স্কুল, এবং শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে, আমি সবসময় সর্বোচ্চ নাম্বার দেব।
আমার পোস্টে বলেছি, আরেকবার বলি, ভর্তির সময় এবং প্রতি বছরের শুরুতে দেয়া ছাপানো নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, মোবাইল আনা যাবে না, নকল করা যাবেনা, প্রথমবারে ওয়ার্নিং, দ্বিতীয়বার করলে বহিষ্কার। অরিত্রিকে যখন বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে, তার অর্থ তাকে এর আগে ওয়ার্নিং দেয়া হয়েছে, সেটা অমান্য করে সে দ্বিতীয়বার একই কাজ করেছে। তুমি বলছ, এক্ষেত্রে শিক্ষকের উচিত ছিল পরীক্ষা কালীন সময়ে মোবাইল নিয়ে নেয়া, এবং পরে তার সাথে এই নিয়ে কথা বলে বুঝিয়ে বলা যে সে অনুচিত কাজ করেছে। একবার তাকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে, তবু সে পুনরাবৃত্তি করেছে। কেউ যদি বারবার আইন ভাঙ্গে, তাহলে কতবার ক্ষমা করার পর সে শুধরে যাবে বলে তোমার মনে হয়? একজন ছাত্র যদি বারবার নিয়মবহির্ভূত- নিষিদ্ধ কাজ করতে থাকে, আর তাকে বারবার সুযোগ দেয়া হয়, অন্য ছাত্ররা কী বার্তা পাবে বলে মনে হয়? আমার ধারণা, তারা এই বার্তা পাবে যে, নিয়ম ভাঙলেও কোন অসুবিধা নেই, ভাঙতে থাকো। এটার ফলে একটা স্কুলের ডিসিপ্লিন কি ঠিক থাকবে?
ভিকারুন্নেসায় টিসি দেবার ব্যাপারটা, আমি আমার পোস্টে বলেছি, যতটা না ডিসিপ্লিন রক্ষার্থে তার চাইতে বেশি অর্থনৈতিক কারণে। তোমার স্কুলে কখনোই কোন ছাত্রকে টিসি দেয়া হয় না- এর কারণও পুরোপুরি কিন্তু ডিসিপ্লিন রক্ষার্থে নয়, সেই অর্থনীতিই কারন। ভিকারুন্নেসায় সহজে টিসি দেয়া হয়, কারণ এখানে সর্বোচ্চ বেতন একহাজার টাকা (ছোট ক্লাস গুলোতে আরো কম)। তাই যখন একজন ছাত্রকে টিসি দেয়া হয়, তখন দশ/পনের লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডোনেশন দিয়ে আরেকজন ছাত্র ভর্তি হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। তোমার স্কুলে বেতন এত বেশি, এই বেতন দিয়ে পড়াবার মত সামর্থ্য কতজনের আছে? তোমার স্কুলে, একজনকে টিসি দেয়া হলে তার জায়গায় আরেকজনকে পাওয়া এত সহজ নয়, তাই সহজে টিসি দেয়া হয় না....... ভিকারুন্নেসা স্কুলে টিসির নামে যেটা চলছে সেটাকে বলে বাণিজ্য, অন্য নাম ডোনেশন।
এই যে ডোনেশনের সিস্টেম, এটা করেন স্কুলের গভর্নিং বডি; তারাই এর সুফল ভোগী। বর্তমান একজন মন্ত্রী, তিনি তখন ঐ এলাকার এমপি ছিলেন, তিনি গভর্নিং বডিতে ঢোকার জন্য এতটাই উদগ্রীব হয়ে ছিলেন যে পত্রিকায় সেই খবর এসেছিল! তাহলে টিসি মানে ডোনেশন পাওয়া। এই ওপেন সিক্রেট সিস্টেম টি দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানে না? তারা কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নি নিলে হয়তো অরিত্রিকে এভাবে প্রাণ দিতে হতো না।
নানাভাবে বিশ্লেষণ চলবেই..... তবে এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন আর কোন অরিত্রি সৃষ্টি হয়!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
অপ্সরা বলেছেন:
ঠিক তাই আপুনি....
অরিত্রীর ঘটনা নিয়ে আমি ভেবেছি। কই এমন তো কবে থেকেই চলে আসছে তবুও কেনো সবাই জেনে বুঝেও আজ অরিত্রীর জন্য দুঃখ করছে? অভিভাবক এবং শিক্ষক যদি একজন শিক্ষার্থীর কল্যাণের জন্য একযোগে কাজ করার কথা, বিল্ডিং প্যারেন্টস টিচার পার্টনারশিপ খুবই দরকার তবে প্যারেন্ট চাইল্ড রিলেশনশিপ ঠিক আছে কিনা সেটাও প্রশ্নের। আগের মায়েরা এখনকার মায়েদের চাইতে উদাসীন মনে হলেও তাদের সময় ছিলো বাচ্চাদের চোখে চোখে না রাখলেও তাদের মত এত পড়ালেখা না জানলেও তাদের দুঃখের সময়ে সমব্যথী হবার যা এখনকার মায়েদের হয়তবা কমে গেছে।
ভিকারুন্নেসায় প্যারেন্ট টিচার রিলেশনশিপ ভালো।
ক্লাসের ৭০-৮০ জন ছাত্রীর অভিভাবকের সাথে যতদূর ভালোভাবে সন্তান সম্পর্কে আলোচনা করা যায়,
ভিকারুন্নেসার শিক্ষকরা তা করেন ।
ভিকারুন্নেসা স্কুলে নিয়মিত প্যারেন্টস ডে আয়োজন করা হয়- যে অভিভাবকেরা তাদের মেয়েদের ভালোভাবে গড়ে তুলতে চান তারা সেই সব প্যারেন্টস ডেতে শিক্ষকের সাথে গিয়ে মেয়ের খবরাখবর নেন, সমস্যা নিয়ে শিক্ষকের সাথে আলোচনা করেন।
এই স্কুলে অন্য স্কুলের মত এভাবে রোল নাম্বার হয়না, বরং আলফাবেটিক্যালি নামের আদ্যক্ষর দিয়ে রোল নাম্বার হয়।
ছাত্রীদের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী দোলনচাঁপা, কৃষ্ণচূড়া, অপরাজিতা এমন নামের বিভিন্ন হাউসে ভাগ করা হয়,
সেই সব হাউসে তারা নানা রকম কার্যক্রম করে পড়াশোনার বাইরে। সেগুলো দেখেন তাদের শিক্ষিকা।
এসব খুবই ভালো লাগলো জেনে আপুনি।সত্যি এমনটা তো অনেকেই জানেন যারা সেখানে পড়ছে অথচ যারা পড়ছে তারাও সোজা দোষ দইয়ে দিচ্ছে এখানকার টিচারদের। আমি যতটুকু শুনেছি কড়াকড়ি স্কুল বটে তবে ভালো কিছু না থাকলে তো আর এত নাম হত না।
যাইহোক তোমার মেয়ের ক্রিকেটের মাঝেও বাংলাদেশ প্রেম জাগানো বা নিজের দেশের জন্য ভালোবাসা শেখানো এসবের মাঝে টিচারদের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো আপুনি। সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
ভর্তির সময় এবং প্রতি বছরের শুরুতে দেয়া ছাপানো নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, মোবাইল আনা যাবে না,
নকল করা যাবেনা,
প্রথমবারে ওয়ার্নিং,
দ্বিতীয়বার করলে বহিষ্কার।
অরিত্রিকে যখন বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে,
তার অর্থ তাকে এর আগে ওয়ার্নিং দেয়া হয়েছে,
সেটা অমান্য করে সে দ্বিতীয়বার একই কাজ করেছে।
সেটাই হবে হয়তো। নইলে হুট করে টিসির কথা বলার কথা না। হ্যাঁ আমি বলেছি আমি হলে এটা করতাম কারণ আমার স্কুলে এমনটাই নিয়ম আছে। তাই বলে সেটাও সেখানে থাকতে হবে সেটা বলিনি আপুনি। তবে আমার স্কুলের এই নিয়মটা ভালো কাজ করে বাচ্চাদের জন্য তাই বলেছি। তবে বার বার করলে অবশ্যই বোঝা যাবে সেই বাচ্চা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না তখন আঙ্গুলটা হয়ত একটু বাঁকাতেই হয়েছে। আমরা তো না জেনেই বলি এত কথা!
কিন্তু আপুনি এটা কি বললে!!! ভিকারুন্নেসায় টিসি দেবার ব্যাপারটা, আমি আমার পোস্টে বলেছি, যতটা না ডিসিপ্লিন রক্ষার্থে তার চাইতে বেশি অর্থনৈতিক কারণে। তোমার স্কুলে কখনোই কোন ছাত্রকে টিসি দেয়া হয় না- এর কারণও পুরোপুরি কিন্তু ডিসিপ্লিন রক্ষার্থে নয়, সেই অর্থনীতিই কারন। ভিকারুন্নেসায় সহজে টিসি দেয়া হয়, কারণ এখানে সর্বোচ্চ বেতন একহাজার টাকা (ছোট ক্লাস গুলোতে আরো কম)। তাই যখন একজন ছাত্রকে টিসি দেয়া হয়, তখন দশ/পনের লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডোনেশন দিয়ে আরেকজন ছাত্র ভর্তি হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। তোমার স্কুলে বেতন এত বেশি, এই বেতন দিয়ে পড়াবার মত সামর্থ্য কতজনের আছে? তোমার স্কুলে, একজনকে টিসি দেয়া হলে তার জায়গায় আরেকজনকে পাওয়া এত সহজ নয়, তাই সহজে টিসি দেয়া হয় না....... ভিকারুন্নেসা স্কুলে টিসির নামে যেটা চলছে সেটাকে বলে বাণিজ্য, অন্য নাম ডোনেশন।
এটা শুনে আমি সত্যি অবাক! এমনটা স্বপ্নেও ভাবিনি। আসলেও জানার আছে অনেক কিছু! এমনটা সেখানে হয় আমি বিশ্বাস করতেও পারছিনা আপুনি! সত্যিই তো তাহলে এটা শিক্ষা নামের বানিজ্য যার কাছে হয়তো বাঁধা পড়ে আছে অসহায় টিচারেরাও!
(এই যে ডোনেশনের সিস্টেম, এটা করেন স্কুলের গভর্নিং বডি; তারাই এর সুফল ভোগী। বর্তমান একজন মন্ত্রী, তিনি তখন ঐ এলাকার এমপি ছিলেন, তিনি গভর্নিং বডিতে ঢোকার জন্য এতটাই উদগ্রীব হয়ে ছিলেন যে পত্রিকায় সেই খবর এসেছিল! তাহলে টিসি মানে ডোনেশন পাওয়া। এই ওপেন সিক্রেট সিস্টেম টি দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানে না? তারা কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নি নিলে হয়তো অরিত্রিকে এভাবে প্রাণ দিতে হতো না। )
জানিনা আপুনি! এই সিস্টেমের সাথে পরিচয় নেই আমার। যদি তাই হয় হাজারো টিচার্স ট্রেইনিং এ কোনোই লাভ হবে না ।
৩১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
তবে বিষয়টা ভাইস ভার্সা ।
স্কুল বিষয়টা বেশি বাড়াবাড়ি করেছে । ওর্য়ানিং দেয়া যেতো । আবার বাবা মায়ের ভুল হচ্ছে মোবাইল দিয়েছে কিন্তু সেটা মনিটরিং করা । সে এটা কোথায় নিচ্ছে কার সাথে কথা বলছে সব কিছু ।
ছাত্রীর অপরাধ হচ্ছে পরীক্ষার হলে মোবাইল নেয়া । আমি এটাকে বড় অপরাধ বলব । সেটা কেন নেবে । আমি মাস্টার্স পরীক্ষা দেই মোবাইল ব্যাগে রেখে সেটা দূরে রাখতে হয় । তাই আমি এই বিষয়টা অপরাধ বলেই মানব ।
স্কুল বাবা মাকে অপমান করে ভুল করেছে । তারা আলোচনা করতে পারত । সমাধান করতে পারত ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২
অপ্সরা বলেছেন: তাই হবে। বাড়াবাড়ি কিংবা জানেই না কি করণীয় ছিলো আবার করুনাধারা আপুর মতন যদি টিসি দেওয়াটা তাদের একটা গোপন খেলা হয়ে থাকে তবে আর কি বলার আছে। হাজার চেঁচালেও কিছুই হবে না।
পরীক্ষার হল কেনো ক্লাসরুমেও আমি মোবাইল আনার পক্ষপাতি না।
হ্যাঁ স্কুল বা টিচার বা বাবা মা সমপর্যায়ের সন্মানের পাত্র। তাদের উচিৎ ছিলো বাচ্চা যেন শিখে বা কিসে তার ভালো হয় এটা আগে ভাবা।
৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১১
অয়ি বলেছেন: আপনার লেখায় অনেকগুলো বিষয় উঠে আসছে। সবার এগিয়ে আসা জরুরী।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ আপুনি। আসলে আমি যেমনটা ভাবছি আমার স্কুলের নীতি আর পরিবেশ এখান থেকে আলাদা। তবে আমি মনে করি আমার যা জানামতে ঠিক মনে হয়েছে সেটাও কিছুটা কাজে লাগতে পারে এসব স্কুলে।
৩৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৪
ফেইরি টেলার বলেছেন: খুবই ম্যচিউরড লেখা, সবগুলো দিক সুন্দরভাবে বিন্যস্ত করেছেন অপ্সরা। আরেকটি ব্যপার নিয়ে আলোচনার অবকাশ রয়েছে বলে আমি মনে করি, সেটি হচ্ছে প্যারান্টস- টিচার রিলেশন। টিচারদের বিরুদ্ধে প্যারেন্টসদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ক্রমেই প্রবল হচ্ছে । এদিকটিও নিরসন হওয়া দরকার ।
ধন্যবাদ ++++++++
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই ভাইয়া। প্যারেন্টস টিচার হবে দুজন দুজনের সহযোগী বন্ধু। তাদের কাজ একটাই স্বার্থও একটাই সেটা বাচ্চার স্বার্থ! তার সার্বিক উন্নয়ন। ভাইয়া আমি বেশ কয়েক বছর যাবৎ বাচ্চাদের সাথেই আছি। আমার স্কুল আমাকে নানা রকম ট্রেইনিং এর সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমার স্কুলে প্যারেন্টস টিচার সম্পর্ক এতটাই ভালো যে অনেক দূর্বল বাচ্চারাও এই সহায়তাগুলি পেয়ে তাদের সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে।
তবে ভিখারুননেসার মতন অনেক স্কুলই আছে হয়ত যেখানে এই ভুল বুঝাবুঝিগুলি ঘটে থাকে ।
৩৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০
ফেইরি টেলার বলেছেন: আপনি স্কুলে পড়ান শুনে খুব ভালো লাগছে । আপনাদের মত ফ্রেন্ডলি টিচাররাই এ সমস্যার সমাধান করতে পারে । সমস্যাটা আমি মনে করি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় । আজকে যারা ক্ষমতার জোরে নিয়োগ পাচ্ছেন, কালকে তারা স্কুলকে সরাজ্ঞান করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। ( কম বিদ্যান + দাপুটে ) = ভয়ংকর ব্যপার ! ( বিদ্যান+দাপুটে ) = দেবতা
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩০
অপ্সরা বলেছেন: আমি দেখেছি বকাঝকার চাইতেও টিচারের ধৈর্য্য ধারণ করে যত অবাধ্য বাচ্চাই হোক যে কোনো কিছুই শেখানো সম্ভব যা হাজার বকাঝকা করে, শাস্তি দিয়ে সম্ভব না।
টিচারের ধৈর্য্য হারানো চলবে না আর মা বাবার আশা হারানো চলবে না। উন্নতি অবশ্য সম্ভাবী।
৩৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
গরল বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত, তদন্ত ও বরখাস্ত পর্যন্ত ঠিক ছিল, মামলা-গ্রেফতার অত্যান্ত বাড়াবাড়ি। ব্লগার ঢাবিয়ানের পোষ্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম সেটা এখানেও বলতে চাই। " বাংলাদেশের পুলিশ আসলে প্রতিবন্ধী টাইপের, জামাত-শিবিরের সহিংস আন্দলোন যেভাবে প্রতিরোধ করে, শিক্ষার্থী, নার্স বা প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনও সেভাবেই প্রতিহত করার চেষ্টা করে। একটা আলোচিত ধর্ষন-খুনের ঘটনা যেভাবে নেয়, এই ঘটনাকেও তারা ঠিক সেভাবেই নিয়েছে বলেই তরিঘড়ী এই গ্রেফতার।" হ্য়ত ঐ এলাকার পুলিশের বা সরকারের কোন অথর্ব কর্মকর্তার বাচ্চা ভর্তি হতে পারে নাই বিধায় একটা আক্রোশ থেকেও এরকম হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছুই না।
স্কুল কতৃপক্ষ যে বাড়াবাড়ি করেছে তাতে ভূল নেই, হয়ত অন্যভাবেও মোকাবিলা করতে পরত যেটা আপনি বলেছেনও। কিন্তু আমি সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা দেখি বাবা-মায়ের, তারা যদি বন্ধুসুলভ হত তাহলেই কেবল এই ঘটনা এড়ানো যেত। বাবা-ময়ের সাথে বাচ্চাদের সম্পর্ক একটা খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিশুদের মানসিক এমনকি শারীরিক বিকাষের জন্যও। বিকেএসপিতে ক্রীড়াবীজ্ঞান পড়েছিলাম কিছুদিন, সেই জ্ঞান থেকে জানি যে মানসিক চাপের সময় যে হরমনগুলো নি:স্বরিত হয় সেগুলো পুরো শারীরিক মেটাবলিজমের জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যার ফলে কর্মস্পৃহা দিন দিন কমতে থাকে। এ বিষয়ে কিছু লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু অরিত্রিকে নিয়ে এত বেশী লেখা হয়েছে যে আর কিছু লেখার আগ্রহ নেই। যেহেতু স্কুলে বা রাষ্ট্রের উপর আমাদের হাত নেই তাই বাসার পরিবেষটা যেন অন্তত শিশুবান্ধব রাখতে পারি সেই চেষ্টাটাই করা উচিৎ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনি কষ্ট করে অনেকের প্রশ্নের যথার্ত উত্তর দিয়েছেন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
অপ্সরা বলেছেন:
তদন্ত বরখাস্ত এসব হুট করে করার বিষয় না বলে আমি মনে করি ভাইয়া। মামলা গ্রেফতার তো চরম বাড়াবাড়ি। মেয়েটা কেনো আত্মহত্যা করলো, তা তার পরিবার স্কুলকে ব্লেম করলে সেটাই কারণ তাও আমি মানতে রাজী নই। কারণ আমাদের সমাজে আমরা দেখেছি এমন ঘটনায় মানুষ পরিবার থেকেই বেশি ব্লেমড হয়। মানে সোজা ভাষায় নির্যাতিত। হোকনা মৌখিক নয়তো শাররিক। মা বলে তোরে এইজন্য মোবাইল দিয়েছিলাম! তুই তো আমার মুখে চূনকালী দিলি। একই ভাবে শিক্ষকেরঅ ভাব দেখান এমন অন্যায় হয়ে গেলো যা যেন খুনের সামিল। অথচা ইনারাই হয়ত এই বয়সে আরও বেশি চূনকালী কাদা মাটি নিজেরাই মুখে মেখেছিলেন। তাই তদন্ত এখানে এক ঘন্টার ব্যাপার না। বরখাস্তও যেমনি হুট করে করা যাবে না ঠিক তেমনি টিসিও এখ কথায় দেওয়া যাবেনা। কাজেই সবখানেই গলদ আছে। সংস্কার প্রয়োজন। নীতিমালার এবং আমাদের সমাজের মানসিক নীতিমালারও।
আজ এক প্যারেন্টস এসেছিলো। তার বাচ্চাকে কিছুতেই লেখাতে পারেন না। তারা ফেড আপ। ৪ বছরের বাচ্চা লিখছে না দেখে পিএইচডি করা প্যারেন্ট হতাশায় মরে যাচ্ছেন। কাল রাতে নাকি ৪৫ মিনিটস চেষ্টা করেও বাবা তাকে এ লেখাতে পারেননি। আমি বললাম দেখেন কোনো কিছু শেখার সময় মেন্টাল পিস অবশ্য জরুরী। আপনি যখন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৪৫ মিনিটস ধরে ওকে বকা ঝকা জোর করে লিখাতে চেয়েছিলেন সেই ৪৫ মিনিটস শুধু জলেই গেলো তাই নয় এর পরের বেশ কয়েক বছরের জন্য আপনি কিন্তু বাচ্চার কনফিডেন্স কমিয়ে দিলেন। ওর নার্ভাসনেস বাড়ানোর জন্যও হয়ত এই জোর জবরদস্তি লেখাটা কাজ করবে। তার থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় যদি ওহ আমাকে তো এই কাজটা করতে হবে বলে উঠে যেতেন এবং পরে আবার লিখাতেন ওর ম্যুড বুঝে তবে বেশি কাজ হত। কারণ সে বুঝতো না আপনি আসলে ফেড আপ নিজের কাজের কথা বলেছেন। আবার ক্রমাগত বকাঝকা ওর মনের উপর যে চাপ সৃষ্টি করলো তখন তার থেকে সে কিছুটা সময় রিলিফ পেয়ে কাজ করার উদ্যম ফিরে পেত। বাবা শেষে বুঝলেন উনি কি ভুল করেছেন । এইভাবে শুধু শিক্ষকেরা নয় বাবা মাও বাচ্চার উপর নেগেটিভ আচরণ ফেলেন। যার কারণে অনেক বাচ্চাই সহ্য করতে পারেনা এবং এমন ঘটনা ঘটায়।
(ব্লগার ঢাবিয়ানের পোষ্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম সেটা এখানেও বলতে চাই। " বাংলাদেশের পুলিশ আসলে প্রতিবন্ধী টাইপের, জামাত-শিবিরের সহিংস আন্দলোন যেভাবে প্রতিরোধ করে, শিক্ষার্থী, নার্স বা প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনও সেভাবেই প্রতিহত করার চেষ্টা করে। একটা আলোচিত ধর্ষন-খুনের ঘটনা যেভাবে নেয়, এই ঘটনাকেও তারা ঠিক সেভাবেই নিয়েছে বলেই তরিঘড়ী এই গ্রেফতার।" হ্য়ত ঐ এলাকার পুলিশের বা সরকারের কোন অথর্ব কর্মকর্তার বাচ্চা ভর্তি হতে পারে নাই বিধায় একটা আক্রোশ থেকেও এরকম হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছুই না। )
হতে পারে তবে এখানে পুলিশের থেকেও হয়তো সাধারণ মানুষেরাই বেশি রিয়্যাকশন দেখিয়েছেন।
(স্কুল কতৃপক্ষ যে বাড়াবাড়ি করেছে তাতে ভূল নেই, হয়ত অন্যভাবেও মোকাবিলা করতে পরত যেটা আপনি বলেছেনও। কিন্তু আমি সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা দেখি বাবা-মায়ের, তারা যদি বন্ধুসুলভ হত তাহলেই কেবল এই ঘটনা এড়ানো যেত। বাবা-ময়ের সাথে বাচ্চাদের সম্পর্ক একটা খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিশুদের মানসিক এমনকি শারীরিক বিকাষের জন্যও।)
আমিও এ কথাটাই বলেছি উপরে। আসলে ব্যস্ত জীবনের মা বাবার চাইতে মনে হয় সেই আগের দিনের অল্প শিক্ষিত মায়েরাই বুঝি বাচ্চাদের জন্য ভালো বন্ধু ছিলেন। তারা ছেলেমেয়েদের মন বুঝতেন। মানসিক সাহায্য দিতেন। সময় ছিলো বাচ্চাদের জন্য তাদের। তাই বলে আমি বলছি না এ যুগের মায়েরাও ঘরে বসে থাকবেন। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি কর্মব্যস্ত বাবামায়েরা নিজেরাই ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফেরেন যখন আর ধৈর্য্য থাকেনা বাচ্চাদেরকে দেবার।
(বিকেএসপিতে ক্রীড়াবীজ্ঞান পড়েছিলাম কিছুদিন, সেই জ্ঞান থেকে জানি যে মানসিক চাপের সময় যে হরমনগুলো নি:স্বরিত হয় সেগুলো পুরো শারীরিক মেটাবলিজমের জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যার ফলে কর্মস্পৃহা দিন দিন কমতে থাকে। )
একদম ঠিক তাই। এ শাররিক হরমন সমস্যাগুলি বা এ বয়স সম্পর্কে অনেকেই আমরা জানিনা বলেই অনেক অন্যায় করে ফেলি তাদের সাথে নিজেদের অজান্তেই।
(এ বিষয়ে কিছু লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু অরিত্রিকে নিয়ে এত বেশী লেখা হয়েছে যে আর কিছু লেখার আগ্রহ নেই। যেহেতু স্কুলে বা রাষ্ট্রের উপর আমাদের হাত নেই তাই বাসার পরিবেষটা যেন অন্তত শিশুবান্ধব রাখতে পারি সেই চেষ্টাটাই করা উচিৎ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনি কষ্ট করে অনেকের প্রশ্নের যথার্ত উত্তর দিয়েছেন।)
আমি কষ্ট করে উত্তর দিয়েছি তা না ভাইয়া আসলেই আমি দেখছিলাম সবাই এ ওর দোষ দিচ্ছে। বিশেষ করে অনেকেই ছোটবেলায় টিচারের উপরে তাদের আক্রোশ মিটাচ্ছেন। সবাই চিল্লাচ্ছে টিচাররা জানেনা কি করে বাচ্চাদের মানসিক কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে হয়। অথচ শুধু টিচার কেনো বাবা মা আত্মীয় স্বজন আমরাই কি জানি? আসলেই জানিনা। তবে এই কথা সত্যি জীবনের অনেকগুলো বছর পার করে এসে আমি নিজে যখন খুব ভালো একটি স্কুলে জব করতে শুরু করেছি তখনই বুঝেছি পজিটিভ আচরণ আসলেই শিশুদেরকে কত্তখানি এগিয়ে নিয়ে যায়।
আমি প্রায়ই বাচ্চাদেরকে নিয়ে সকালে বলি জানো তোমরা সবাই কত্ত ভালো! তোমরা সবাই টিচারের কথা শোনো, ইনস্টরাকশন ফলো করো তাই সবাই খুব তাড়াতাড়ি সব শিখে যাচ্ছো। আসলে বড়রা যেটা ভালো বলেন বাবা মা আর টিচারেরা সেটা শুনলে সেভাবে কাজ করলেই দেখবে জীবনে কত ঝামেলা কম।
আমি জানি এটা কঠিন কাজ কিন্তু ওদেরকে বলে দেই জীবনে চলার মন্ত্রনাগুলি। আমার নিজের গল্প বলি। আমার ভালো লাগা, মন্দ লাগা বা ভুলগুলোও। আমি আমার জবকে খুব খুব এনজয় করি ভালোবাসি। আমার বাচ্চারা যখন কোনো কিছুতে ভালো করে মনে হয় ওদের বাবা মায়ের চাইতেও বেশি খুশি হই আমি। কিছুদিন পর পরই ওদের ভালো কাজগুলোর প্রশংসা ওদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে উদ্দীপিত করে। আমি এটা বুঝে গেছি ।
view this linkতোমার জন্য আমার বেবিদের নাচ ভাইয়া
৩৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত বিশ্লেষণধর্মী চমৎকার আলোচনা।
বাচ্চাদের মানুষ করা, সঠিকভাবে পরিচালিত করা আসলে একটা টিমওয়ার্ক। সমাজ-পরিবার-স্কুল সবার সম্মিলিত অবদান দরকার। একটাতে ঘাটতি হলেই সর্বনাশ হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এখানে সবাইকে ফ্লেক্সিবল হতে হবে। স্কুল যদি সামরিক প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠানের মতো হয়, তাহলে তো হবে না।
বাচ্চারা ভুল করেই শিখবে। এখানে তাদের বোঝাতে হবে। আইনের কঠিন প্রয়োগ এখানে সঠিক উপায় না। আর এখানেই ভিখারুন্নেছার শিক্ষকদের ঘাটতি। কারন, শিক্ষার চেয়ে ভর্তি বানিজ্য এখানে মুখ্য।
সেজন্যেই শিক্ষকদের বিচার হওয়া দরকার যেন একটা উদাহরন হয়ে থাকে যে, কিভাবে বাচ্চাদেরকে হ্যান্ডেল করা দরকার। আর অন্ততঃ নামী-দামী স্কুলের শিক্ষকদের চাইল্ড সাইকোলজীর উপর ট্রেনিং দেয়া উচিত। যদিও সব শিক্ষকদেরই এটা দরকার, তবে আমাদের দেশের বাস্তবতায় তা স্বল্পসময়ে সম্ভব নাও হতে পারে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
অপ্সরা বলেছেন:
ঠিক বলেছো ভাইয়া। এটা আসলেই টিম ওয়ার্ক। সমাজ-পরিবার-স্কুল সবার সম্মিলিত অবদানের বদলে আমরা কখন যে একে অন্যের শত্রু হয়ে পড়ি সেটাই ভাবনার বিষয়।
বাচ্চারা ভুল করেই শিখবে। আমরাও করেছি যারা আজ ভুলের প্রতি কঠোরতা দেখাচ্ছে তারাও ভুল করেছে। তাদের ভুলগুলো এইভাবে কাঠিন্যের সাথে প্রতিহত করা হলে অনেকেই হয়ত আজকের সে হতে পারতোনা।
ভিখারুন্নেছার শিক্ষকদের শিক্ষার চেয়ে ভর্তি বানিজ্য ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি তেমন জানিনা। আমার স্কুলে এসব নেই।
শিক্ষকদের বিচার হওয়া দরকার হয়তো তবে কিভাবে বাচ্চাদেরকে হ্যান্ডেল করতে হবে তা শেখানোর যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি শিক্ষকদের উচিৎ নিজেদেরও সেল্ফ ইমপ্রুভমেন্ট করা। বিশাল আকারে এই পরিবর্তন বা অজ্ঞতা ঘুচাতে সময় লাগবে আরও অনেক।
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
৩৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছুর সমাধান সম্ভব নয় , আমাদের মানসিকতার পরিবর্তনটা এখন অনেক বেশি জরুরি ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
অপ্সরা বলেছেন: সম্ভব!
অবশ্যই সম্ভব।
তবে সময় প্রয়োজন।
৩৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অরিত্রি একটা নাড়া দিয়ে গেছে পুরো দেশে। সমস্যাটা ওই ম্যাম এর না। সমস্যাটা আসলে মনুষ্যত্ববোধ কমে যাবার। জনগন এ কারনে আঙুল তুলতেই পারে স্টাফের বিরুদ্ধে। কিন্তু যারা আঙুল তুলছে আজ আরেকদিন একই অবস্থানে তাদের বেশিরভাগই একইভাবে নিম্ন অবস্থানের মানুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে। তাই বলতেই হচ্ছে - ইহা সহজে নিরাময়যোগ্য নহে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
অপ্সরা বলেছেন: সহজে কিছুই নিরাময়যোগ্য নয় ! তাই বলে নিরাময় হবেই না এমন কথাও নেই। তাই ভাবতে হবে এবং যথাযোগ্য পদক্ষেপগুলিও এক এক করে নিতে হবে ! এমন ঘটনাগুলিকাম্য নয় কোনোভাবেই।
৩৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
কালীদাস বলেছেন: অরিত্রীর ঘটনায় যতটা শকড হয়েছিলাম, তারচেয়ে বেশি হয়েছিলাম বিরক্ত। একটা লাইফ সমগ্র ইউনিভার্সের চেয়ে মূল্যবান তবুও এই কথা বলছি। সত্যি বলতে কি এ রিলেটেড পোস্টে মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিল না। আমি আপনার সবগুলো পয়েন্ট ধরে কমেন্ট না করে আমার নিজের মত কমেন্ট করছি নিচে
টিচার যিনি গার্ডে ছিলেন তিনি নিজের দ্বায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করেছেন। তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে আসল ক্রিমিনালদের সেভ করার জন্য। নামি স্কুলগুলোর পুরান নোংরামি এমন লেভেলে গেছে যে এদের গভর্নিং বডির প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া একশন নেয়া উচিত ছিল, লিগালি। এটা টিচারদের প্রতি সারা দেশের মানুষের বাজে বিহেভের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই না। যারা খারাপ কথাগুলো বলেছে, কেউ পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করেনি। কে আসতে চাইবে এরপর টিচিংএ?
এবার আসা যাক আসল ক্রিমিনাল কারা সে প্রসংগে। এক নাম্বারে বলব যারা স্কুলে শাসন বন্ধ করেছে কোন রকম কনসিক্যোয়েন্স বা এরকম ট্রান্জিশনাল পিরিয়ডের বাচ্চাদের মেন্টালিটি কিভাবে গ্রো করবে অল্টারনেটিভলি সেটা চিন্তা না করে। এজন্যই আমি বিরক্ত হয়েছি। আমি জানোয়ারের মত বেতানির পক্ষপাতি কোনকালেই ছিলাম না কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে বাচ্চারা আদব কায়দা, সোশাইটিতে কিভাবে চলতে হবে সেটা স্কুলে যখন শাসন ছিল তখন বিকৃতভাবে হলেও শিখত। এখন সেটা কোথায়? বাচ্চাদের শাসন কোনভাবেই করা যাবে না খুবই ভাল কথা, আদব কায়দা শেখানোর বা কোনভাবে ডিটেনশনে পাঠাতে হবে সেটার অল্টারনেটিভ গাইডলাইন না দিয়ে কাদের কাছে পড়তে পাঠানো হচ্ছে বাচ্চাদের? এই গাইডলাইনটা বাসা থেকেও এখন আর আসছে না স্কুলে বেতিয়ে ভুলভাবে যেটা শেখানো হত, সেটাও থাকছে না। গার্জিয়ানদের ব্রেইন পুরাই ওয়াশড এখন এপ্লাসের লোভে। তো এই অবস্হায় হঠাৎ খারাপ বিহেভের শিকার হলে ভিকটিম যে কোন সাডেন ডেস্ট্রাক্টিভ ডিসিশন নেবেই, কারণ সে এতে অভ্যস্ত না। এই বয়সটা এমনিতেই খুব বিপদজনক হঠকারি সিদ্ধান্তের জন্য, ইমোশনের লেভেল হায়েস্ট থাকে সবারই। সেখানে এখানে ভিকটিমের সামনে তার বাবামাকে অপমান করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর এরকম অদ্ভুত এক্সপেরিমেন্ট একুশ শতকে যারা চালিয়েছে প্রত্যেকে এখানে দায়ি।
সেকেন্ড ক্রিমিনাল হল প্রিন্সিপাল এবং ভাইস! দুইটাকেই প্রকাশ্যে জুতাপেটা করে জেলে পাঠানো উচিত ছিল। অনেক স্কুল এন্ড কলেজেই দেখেছি চিন্হিত বা$#গুলো কিভাবে জানি থাকে এই পজিশনে। আপনি যতবড় পাওয়ারফুলই হন না কেন রিয়াল লাইফে, এই খা@*%র বা&গুলোর কাছে আপনি কিছুই না। এগুলোর আসল চেহারা খুলে দিতে পারে এরকম লোক অনেক। এমফিল করার জন্য যখন এগুলা করিডরে খুঁজে, শায়মা আপা বিশ্বাস করবেন না চেহারাগুলো দেখলে হাসি আটকাতে পারবেন না, মনে হবে কোরবানির খাসি ছুরি দেখে ফেলেছে। এই কপটতা, এই অভদ্র আচরণ করতে পারে খালি গার্জিয়ানদের সাথেই। গভর্নিং বডির মিটিংএ যখন বসে, তখনও এদের চেহারা পাছায় নারকেল আটকানো গরুর মতই থাকে এগুলোর। এদের কাছে কি শিখবে অন্যরা??
অরিত্রী ভুল করেছিল, রুলস ব্রেক করেছিল; শাস্তি তার পাওনা ছিল। উপরের দুই প্যারার শুয়রগুলোর জন্য সে সুইসাইড করে আমাদের চোখ সাময়িকভাবে খুলে দিয়ে গিয়েছিল। আমি শিওর হুজুগে জাতি এরই মধ্যে ভিকারুন্নেসার অনেক গার্জিয়ানও অরিত্রীর কথা ভুলে গেছে
অরিত্রীর বাবামাকে আমি সম্পূর্ণ দোষ দিতে পারছি না তাকে একা ছাড়ার জন্য। ওয়েল, এই ব্যাপারে জানায় ভুল থাকতে পারে কিন্তু পেপারে যতটুকু পড়েছি: সে সহসাই রুম থেকে বের হয়ে দৌড়ে চলে যায়, তাকে ধরার সুযোগ ছিল না বা এরকম একটা কাজ সে করতে পারে সেটাও গার্জিয়ানদের মাথায় ছিল না। আবার এসে যায় প্রচলিত সিসটেমে বাচ্চাদের সাইকোলজি না বুঝার ব্যর্থতার কথা।
একজন টিচারকে যখন কেউ অপমান করে, আমার খুব জ্বলে শায়মা আপা। এই প্রিন্সিপাল আর তা ভাইসকে করলে জ্বলবে না। সিমিলারলি, নিপুণ কথন নামের যে পোজার রামছাগল কারও কমেন্টের রিপ্লাই দেয় না ব্লগে, এর ব্লগে কেউ গালি দিয়ে আসলেও জ্বলবে না।
যথারীতি গোড়ার সমস্যার সমাধান না খুঁজে অনেক স্টেপ আশা করি অলরেডি জাতি পরামর্শ দিয়েছে। পলিটিকাল সাফল্য দেখানোর জন্য যেদিন থেকে শিক্ষা ব্যাবস্হা নিয়ে খেলা শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই এই পতনের শুরু। সামনে আরও খারাপ দিন আসবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
অপ্সরা বলেছেন: অরিত্রীর ঘটনায় আমিও শকড হয়েছিলাম, যদিও এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে বিরক্ত হয়েছিলাম কিছু আতেলের আতলামী দেখে। তোমার মতনই আর কি। এই ঘটনায় যে যা নিজেদের ছোটবেলায় টিচারের অত্যাচারের সন্মুখীন হয়েছিলো সেসব স্মৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলো যা কোনো সমাধান বা প্রচেষ্টার পথ নয়।
১। টিচার যিনি গার্ডে ছিলেন তিনি নিজের দ্বায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করেছেন। ( আমি বা তুমি হলেও সেটাই করতাম তাই নয় কি? )
(তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে আসল ক্রিমিনালদের সেভ করার জন্য। নামি স্কুলগুলোর পুরান নোংরামি এমন লেভেলে গেছে যে এদের গভর্নিং বডির প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া একশন নেয়া উচিত ছিল, লিগালি। এটা টিচারদের প্রতি সারা দেশের মানুষের বাজে বিহেভের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই না। যারা খারাপ কথাগুলো বলেছে, কেউ পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করেনি। কে আসতে চাইবে এরপর টিচিংএ? )
এই স্কুল সম্পর্কে বা ডোনেশন পলিটিক্স সম্পর্কে আমার কোনোই ধারণা ছিলো না আসলে। আমি যে স্কুলে জব করি বা করেছি তাতে এসব একেবারেই চলে না। তাই ধারনাই নেই এই দিকটাতে।
এই কথা সত্যি এক কালে স্কুলে যখন শাসন ছিল তখন শিশুরা বিকৃতভাবে হলেও কিছু শিখত। এখন সেটা কোথায়? একদমই নেই। বাড়িতেও কিছু বলা যায় না, স্কুলেও না । অপরিনত মস্তিস্কে যতই উলটা পাল্টা কাজ করুকনা কেনো তারা জেনে গেছে শাসন করার রাইট কারো নেই।
এই কারণে কিছু রুলস বাড়িতে এবং স্কুলে অবশ্যই থাকা উচিৎ - ডিটেনশন সাসপেনশনের মত বাড়িতেও অপরাধ করলে সুবিধা বন্ধ করতে হবে। ফিজিকাল পানিশমেন্ট বন্ধ রাখলেও কিছু ঘাড় তেড়া বাচ্চাদেরকে তো শেখানোর দায়িত্ব বড়দেরই।
হ্যাঁ ওভার এক্সপেকটেশনের কারণে বাচ্চারা হতাশ হয়ে পড়ে। ব্রেইন ওয়াশড গার্জিয়ানরা সময় দিতে পারেনা কিন্তু প্রেসার দিতে পারে।
ভাইয়া সুখী মানুষের পোস্টে তোমার কমেন্ট দেখে হাসছিলাম এখন হাসছি প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপাল প্রসঙ্গে তোমার এই রেগে যাওয়া দেখে।
হ্যাঁ অরিত্রী ভুল করেছিলো একবার না বারবারই কারণ সে এই বয়সে জানেনা এই আত্মহত্যায় ক্ষতি শুধু তারই হলো। হুজুগে জাতি এর আগেও অনেক অরিত্রী দেখেছে কেঁদেছে দুদিন তারপর আবার মেতেছে অন্য হুজুগে।
অরিত্রীর বাবামাকে দোষ দেওয়া যাবেনা বটে কারণ আমরাও ছোট খাটো দোষ থেকে পরীক্ষায় কম নাম্বারের জন্য বাবা মায়ের তিরষ্কার খেয়েই বড় হয়েছি। এটা এতই সাধারণ ডালভাত আমাদের কাছে যে কোনো এক অরিত্রীর ইমোশনে তা আঘাত হানবে তা আমরা ভাবতেই পারি না।
আর শিক্ষা নিয়ে, ধর্ম নিয়ে পলিটিক্স এসবের শেষ কবে!
বড় জানতে ইচ্ছে করে......
৪০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৭
এস এ মেহেদী বলেছেন: কোথায় যে হারালেন!
২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
অপ্সরা বলেছেন: হারায়নি ভাইয়া।
এখন আমি শায়মা নিকে লিখি......
একই প্রোপিক আর তাই তুমি চিনতে পারোনা।
নিশ্চয় অনেক ভালো আছো ভাইয়ামনি!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ভালো থাকুক অরিত্রী