নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেঘলা দিনের আকুলতা বাঁজিয়ে যেত পায়ে,
তমাল ছায়ে ছায়ে ......
আমাদের বাড়িতে এক বুনো গাব গাছ ছিলো। খোকাভায়ের জানালা দিয়ে দেখা যেত সেই ঘন পত্রপল্লবিত গাছের উপরের অংশটুকু। ঐ গাছটি ছিলো বাড়ির পেছনের ফলবাগানের অকারণ এক সৌন্দর্য্য বা বাড়তি অনাদরে অবহেলায় বেড়ে ওঠা এক বৃক্ষ। যদিও ঐ বৃক্ষের পাতা কান্ড ডাল নিতে আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝেই আসতো বীরেন কবিরাজ। ঐ গাছের ডাল পালা পাতা কান্ড নাকি বড়ই উপকারী এবং ঐ গাছটিও নাকি বড়ই দূর্লভ যা ঐ কবিরাজ দাদুর কাজে লাগে। এই বৃদ্ধ মানুষটিও কিন্তু আমার কাছে এক ম্যাজিশিয়ানের চমক ছিলো। কারণ ছোটবেলায় দাঁতের ব্যথায় মরে যাচ্ছিলাম আমি একবার। কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছিলো না। দাদীমা তখন ডাকলেন এই বীরেন কবিরাজকে। আর সে এসেই আশ্চর্য্য এক যাদুমন্ত্রে তার বাক্স হতে এক ছোট্ট শিশি বের করে তুলা দিয়ে কালচে লাল লাল কি যেন লাগিয়ে দিলো আমার দাঁতের গোড়ায়। তারপর চোখ বুজে বসে রইলেন। এই চোখ বুজে বসে থাকার কারণ ছিলো আমাকে নাকি দাঁতে দাঁতে চেপে বসে থাকতে হবে এই ১০ মিনিট মানে উনি যতক্ষন চোখ না খোলেন। নইলে নাকি আমার দাঁতের পোকাগুলো আমার মাথায় উঠে মগজ খেয়ে ফেলবে। কি সর্বনাশ! সেই ভয়ে উনি যতক্ষন চোখ বুজে ছিলেন আমিও ততক্ষন স্পিকটি নট হয়ে বসে রইলাম। তারপর উনি চোখ মেলতেই আমি মুখ হা করে দেখি ব্যথা নেই। উনিও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হে হে করে বললেন, দেখলে তো খুকি এটা আমার যাদুর বাক্সো। এর মধ্যে যাদু আছে।
সেই বুনো গাব বা তমাল গাছ বীরেন কবিরাজ দাদুর কাছে মহামূল্যবান ছিলো কিন্তু আমাদের বাড়িতে ছিলো অবহেলিত। কিছুটা অস্পৃশ্য বটে। কারণ ওর ফল নাকি বিষাক্ত তাই কারো সেই ফল খাওয়া তো দূরে কথা ছোট কারোই বাগানের নানা রকম ফল ফুল কুড়িয়ে রান্নাবাটি বা চুড়ুইভাতি এসব খেলাতেও সেই গাছের ফল বা পাতা ধরা ছিলো আমাদের জন্য নিষিদ্ধ। সেই অবহেলিত ও নিষিদ্ধ তমাল গাছের আলোছায়া এসে পড়তো এই বাড়িতে আরেক অবহেলিত ও অন্যান্য সকল ছেলেমেয়েদের কাছে আসা অকথিত নিষিদ্ধ ও অবহেলিত আমার খোকাভায়ের ঘরের মাঝে। আজ এতগুলো দিন পরে যখন সেই ঘরটার কথা ভাবি তখন আমার মনে পড়ে আমার নিসঙ্গ অবহেলিত খোকাভায়ের সাথে সাথে ঐ অবহেলিত বৃক্ষটির কথাও। দুই এর মাঝে আমি আজ এক যোগসূত্র খুঁজে পাই যেন।
এছাড়াও আরও একটি ঘটনায় এই তমালগাছটি আমার মনে গেঁথে আছে। সেদিন ছিলো বরিষন মুখরিত শ্রাবনের দিন। ঐ বাড়ির মেয়েদের জন্য সকল কিছুতেই না না করা একটি স্বভাব ছিলো। আমাদের অভিভাবকদের জ্বালায় আমাদের কিশোরী মনের অনেক অনেক সাধ আহলাদই অংকুরেই যেমন বিনষ্ট হত ঠিক তেমনই অতি আঁটুনিতে যা হয় তাই হত। শিশু কিশোর মনের চঞ্চলতা বা ছোট ছোট স্বাভাবিক আবেগ আনন্দগুলিতে বাঁধা না দিয়ে বড় হতে দেওয়াটা কতটা জরুরী সে আমাদের অভিভাবকেরা জানতেন না। তারা শুধুই জানতেন শাসন আর বারণ। তার মাঝে আমি আবার মেয়ে হিসাবে মহা শয়তানের লাঠি এ কথাটা আমার মা উঠতে বসতে মনে করিয়ে দিতেন। সে যাই হোক। বৃষ্টি নামলে সেই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আজকাল নৃত্য করে কত ছেলেমেয়েরাই টিকটক করে আর সেসব দিনে বৃষ্টি নামলে আমার মনের ময়ুরও সেই বৃষ্টিতে নৃত্য করতে ছুটে যেত ঐ বাদলধারার সাথে। কিন্তু হায় কপাল। একটু কি শান্তিতে নৃত্যের স্বাধীনতা আছে??? নেই নেই নেই। তবুও ঐ যে বলেছি মা থাকতেন ডালে ডালে আর আমি পাতায় পাতায়। তাই ছাঁদ বা সবার সামনে না হলেও চুপি চুপি লুকিয়ে বাড়ির পেছনের ঐ ফলবাগানে আমি ঠিকই চলে যেতাম বৃষ্টি নামলেই চঞ্চলা হরিনী বা ব্যকুল ময়ুরীর মত।
লিখতে গিয়ে আমার কত মানুষকেই না মনে পড়ে। প্রথমে মনে পড়লো মনিরা আপু এই লেখার কোথায় এসে হাসছেন আর এখন মনে পড়ছে সাড়ে চুয়াত্তরভাইয়াকে। নিশ্চয় ভাইয়া এখন আমাকে মনে মনে বাংলা সিনেমার নায়িকা ময়ুরীর সাথে মিলাবেন।
যাইহোক সেই বরিষন মুখরিত এক মেঘলা দুপুরে আমি সবার অলখে চলে গেলাম বাড়ির পিছনের ঐ ফল বাগানটিতে। এমনটা অবশ্য আমার ছেলেবেলা থেকে অনেকবারই করেছি আমি। মানে সোজা কথা ঐ বাড়ির শাসন বারণ আর সকলে যে যার মত মানলেও এবং আমাকে মেনে নিতে হলেও সামনে সামনে আসলে আমি মনে মনে কিছুতেই মানতাম না বরং যেটা বারণ করা হত সেটাই আমাকে করতেই হবে এই চেষ্টায় নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতাম। বর্ষায় ঐ বাগানে প্রায়ই সাপ দেখা যেত তবুও আমি ছিলাম আমার ছেলেবেলায় এক অসম সাহসী কন্যা। যদিও টিকটিকির ভয়ে মূর্ছা যাই আমি কিন্তু বেঁদেনীদের ঐ আশ্চর্য্য মন্ত্র শিখতে আমার বড় সাধ ছিলো যে মন্ত্রে সে খেলে তার সাপের খেলা। যে মন্ত্রে সে ঐ ফনা উদ্যত সাপকেও অনায়াসে বশীভূত করেছে। সেই কারণেই বুঝি কোনো সাপকেই আমার ঠিক ভয়ংকর মনে হত না। মনে হত আমিও পারি বা আমিও পারবো। প্রায়ই মনে মনে আমি ভাবতাম আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে বেঁদেনি জোনাকী রোজ সন্ধ্যায় সাপের ঝাঁপি মাথায় করে নিয়ে যায় তার কাছে শুনে নেবো ঐ মন্ত্রের কথা। এই বেঁদেনী আমাদের ওখানের সকল মেলাতেই মেলে বসতো তার সাপের ঝাঁপি। মাথায় নক্সা আঁকা চন্দ্রবোড়া সাপ, লিকলিকে সবুজ বাঁশ পাতালি সাপ বা লকলকে জিভের কালকেউটে এ সকল সাপের সৌন্দর্য্যেই বিমোহিত হতাম আমি।
তো সাপখোপের ভয় আমার ছিলো না যত তার থেকেও বেশি ভয় বা বিরক্তি ছিলো আমাদের বাড়ির ঐ শাসন বারণে। সেদিনও ঐ ঝুম বৃষ্টিতে যখন আমি চুপি চুপি ঐ বাগানে ঐ বিষাক্ত বুনো গাবগাছের তলাতেই বুনো ফল কুড়াচ্ছিলাম তখন দেখি জানালায় দাঁড়িয়ে খোকাভাই। আমি হাত ইশারায় ডাকলাম তাকে। বললাম, নেমে আসো লুকিয়ে। কিন্তু খোকাভাই কিছুতেই আসলোই না। এমন রাগ লাগলো আমার আমি একটা ইয়া বড় ইটের টুকরো ছুড়ে মারলাম ওর জানালায়। ঐ ঝুম বৃষ্টির নিস্তব্ধ দুপুরে ঐ বিকট আওয়াজে সকলের বুঝি সুখনিদ্রা ছুটে গেলো। সবাই হই চই করে বেরিয়ে এলো কিন্তু আমি তো তার আগেই পগার পার। সকলে মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো অপরাধী না পেয়ে চিন্তায় পড়ে গেলো। এত বড় সাহস কার যে দিন দুপুরে এ বাড়ির পাঁচিল যা মনে আসলে আমার চীনের প্রাচীরই মনে হয় সেই পাঁচিল গলে কোন দুঃসাহসী জানালায় ঢিল মারে! হা হা এসব কথা ভাবলে আমার এখন বড় হাসি পায়। আজও মাঝে মাঝেই বৃষ্টিস্নাত দুপুরে বা কোনো অবসরে মনে পড়ে যায় আমার সেই মেঘলা দিনের আকুলতা বা এক বুক শূন্যতার হাহাকার।
আমি যখন আজ আমার সেই কৈশোর ও তারপরের দিনগুলোতে তাকাই তখন মনে হয় সেসব যেন এক চলচ্চিত্র। কবে কখনও দেখা হয়েছিলো সেই সব দৃশ্য এবং মনে গেঁথে গেলো সেই বালিকাবেলা ও সেই চঞ্চল কৈশোরের চলমান দৃশ্যগুলি। খোকাভাই আমার অনেক অনেক কৌতুহলের মধ্যে হয়ে উঠেছিলো কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু। খোকাভাইকে আবিষ্কার করে চলতাম আমি। একের পর এক বিস্ময় ছিলো সে আমার। খোকাভাই ও বাড়ির আর সবার থেকেই আলাদা ছিলো আর তাই বুঝি সে আমার মনের বিশ্ব জয় করে ফেলেছিলো কোনো এক অবাক করা ক্ষমতায়।
এর মাঝে হাজির হলো আরেক বিস্ময়! হঠাৎ একদিন প্রায় মধ্যরাত ১০টা পার হয়েছে তখন বোধ হয় এমন সময় হঠাৎ আমাদের বাড়িতে এলেন আমার ছোটচাচীর ছোটভাই। সাথে তার চাইতেও লম্বা ও কালো কুচকুচে এক কোকড়া চুলের মহিলা। সবাই বলছিলো এ ছি ছি এমন কালো নিগ্রো বউ! সবাই তাকে আপ্যায়ন ভুলে হা করে তাকিয়েই রইলো আর হা বন্ধ করেই তার সামনেই বলছিলো ছি ছি এমন ভূতে কালো মানুষ হয়! আর তাকে কিনা রাসেলের বউ দেখতে হবে! সবার এমন সব আচরণে ঐ কালো কুচকুচে এক মাথা কোকড়া চুলের মহিলাটা তার সাদা ঝকঝকে দাত বের করে হাসছিলো। তাই দেখে সবার মধ্যে হাসির রোল উঠলো কারণ তারা ধরেই নিলো যে বউটা কিছুই বাংলা বুঝে না।
সেদিন রাতে সবারই ঘুমাতে অনেক রাত হলো কারণ ঐ কালো বউ এর অদ্ভুত চেহারা নিয়ে সকলের বিস্ময় হাসাহাসি ঠাট্টা তামাশার অন্ত রইলো না। ছোটচাচীর এই ভাই নাকি আফ্রিকা গিয়ে এই কালো ভূত বিয়ে করে এনেছেন। যাইহোক যে যাই বলুক আমার সেই রমনীর ঐ সাদা দাঁতের ঝকঝকে হাসি বড়ই ভালো লেগে গেলো। আমি তখনও শুধু বাংলাদেশের সুন্দর মেয়ে খুঁজে খুঁজে বিয়ে করিয়ে দেওয়া বউ ছাড়া ওমন হতচ্ছাড়া চেহারার কালো কুচকুচে কোকড়া চুলের ভুতুড়ে বউ দেখিনি। তবে জীবনের পরিক্রমায় আজ বুঝেছি বউটা দেখতে কতই না মায়াবী ছিলো কিন্তু তখন ওর গায়ের রং আর ঐ অদ্ভুত দর্শন কোকড়া চুল আমার কাছে বড়ই বিদঘুটে আর সকলের কথা শুনে সেটাই সিদ্ধ হয়ে গেলো।
খুব ভোরে উঠে আমি দেখি বাড়ির সকলেই প্রায় ঐ ছোটচাচীর ভাই আর তার বউ এর সকলের নাস্তা দুপুরের খাবার এসব নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ও কাজের লোকজন তাকে ঘিরে ধরেছে। আর বউটা একটা ছোট মোড়ার উপর ও বিশাল দর্শন শরীর নিয়ে বসে আছেন। বউটা একটা হাঁটুর উপরে ঝুল পর্যন্ত কামিজ টাইপ জামা পরে ছিলো। সেটাও আমদেরর কাছে আরেক অবাক বিস্ময় ছিলো কারণ অতো বড় তাও আবার দশাসই কোনো মহিলাকে আমরা কখনই ওমনটা পরতে দেখিনি। আমি দূরে দাঁড়িয়ে অবাক নয়নেই তাকে দেখছিলাম। ছোট ছোট বাচ্চাগুলো তাদের জানা আধো আধো ভাঙ্গাচোরা ইংলিশে জিগাসা করছিলো হ্যোয়াট ইজ ইওর নেম? হাও ওল্ড আর ইউ এইসব হা হা হা। সেই কথা মনে পড়লে আমার এত্ত হাসি পায়। আজকালকার বাচ্চাগুলো পেট থেকে পড়েই ফ্লুয়েন্ট ইংলিশ বলে। কার্টুন আর ইউটিউবের বদৌলতে আজকাল বাচ্চাগুলো বাংলার চাইতে ইংলিশই ভালো জানে। তবে সেসব দিনে বাচ্চাদের ইংলিশের দৌড় ছিলো ঐ হ্যোয়াট ইজ ইওর নেম? হাও ওল্ড আর ইউ ? আর হ্যোয়াট ক্লাস ডু ইউ স্টাডি ইন। এই ধরে বেঁধে শিখানো দু,তিন চার লাইনের ইংলিশ দিয়ে বাচ্চাদের পোষাচ্ছিলো না তারা তার হাত ছুয়ে দেখছিলো, পা ছুঁয়ে দিচ্ছিলো। এমনকি তার ওমন কালো কালো পায়ে সাদা ধবধবে নেইল পলিশ খুঁচে তুলে দিচ্ছিলো। তবুও মহিলাটা এতটুকুও বিরক্ত না হয়ে সবাইকেই হাসিমুখে সামলে নিচ্ছিলো।
আমাদের বিশাল চৌদ্দগুষ্ঠির আয়তনের ডাইনিং টেবিলটার এক পাশে ছিলো বিশাল লম্বা এক বেঞ্চ। আরেকদিকে সারি চেয়ার পাতা। মোট ২০ জন বসা যেত ঐ বিশাল ডাইনিং এ। ঈদ পার্বনে সব ছেলে মেয়ে ও মেয়েদের জামাই নাতি পুতি আত্মীয় স্বজন মেহমান মিলে প্রায় সকলেই বসতেন ঐ টেবিলে। সামনের চেয়ারে দাদু। আর দাদুর চেয়ারটা ছিলো সিংহাসন স্টাইলেই হাতল লাগানো আর বাকীগুকি হাতলবিহীন। ঐ ২০ চেয়ারের ১০ চেয়ার খালি থাকলেও কখনও বাড়ির বউরা বসতেন না একসাথে খেতে। তারা সকলেই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন পিছে। যখন যা দরকার হবে তা তো দেবেন বটেই তবে ছেলেরা নিজেরা কেউ কোনো ভাত তরকারী উঠাতেন না, সেসব উঠিয়ে দেওয়া ছিলো বাড়ির বউদের কাজ। ঐ কালো বিদেশী বউটাকে বসানো হলো দাদুর কাছের চেয়ারটিতে আর আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম দাদু তার সাথে অনর্গল ইংরেজীতে কথা বলছেন।
যাইহোক বিকালে আমরা তাকে নিয়ে সারা শহর পরিভ্রমনে বের হলাম। তখন আমাদের শহরের রিক্সাগুলো যে কি সুন্দর ছিলো! একেকটা রিক্সা ছিলো একেক শিল্পকর্ম। আর তাতে লাগানো থাকতো ঝুনঝুনি। রিক্সা চললে ঝুনঝুন টুনটুন আওয়াজ উঠতো। আর লাল নীল ঝালর আর বিভিন্ন লতাপাতার নক্সায় সে সব চটকদার রিক্সা দেখে বিমোহিত তখন সেই কালো মেম। আমরা তাকে সারা শহর ঘুরালাম। আর সেই বৈদেশী কন্যার বদৌলতে আমাদের মনিহার সিনেমায় সিনেমা দেখার সুযোগ হলো।
সে ছিলো আমাদের এক অন্যরকম উৎসবের দিন। রাতে ফিরে ঐ বৈদেশী মেম আমার ন'চাচার কন্যা রুনির লম্বা সিল্কি চুল দেখে খুব মুগ্ধ হলো! সে তাকে বললো তার চুলে সে সুন্দর এক হেয়ার স্টাইল করে দিতে চায়। সবাই আমরা উৎসুক নেত্রে চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম কি অপরিসীম ধৈর্য্যে ও মমতায় সেই কাল মেম রুনির চুলে বেঁধে দিচ্ছিলো ছোট ছোট চিকন চিকন বিনুনী আর সেই সব বিনুনীগুলির কিছু কিছু বিনুনী নিয়ে মাথার উপর গোলাকার ফুলের মত বেঁধে দিলো সে তারপর। সেই ফুলটার মাঝখানটায় সে আটকে দিলো একটা অদ্ভুত সবুজ জ্বলজ্বলে পাথরের ফুল। সেই ফুল আমার মনের দর্পনে আজও জ্বাজল্যমান। আর সেই অদ্ভুৎ দর্শন হেয়ার স্টাইল আমার মোটেও ভালো লাগেনি বটে তবে আমার স্মৃতিপটে আঁকা রয়েছে এক অনন্য মহিমায়।
এই বিদেশীনীকে নিয়ে আমি এমনই মেতে ছিলাম যে কয়েকদিন আমি খোকাভাই থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছিলাম। আর এরই মাঝে হঠাৎ একদিন শুনলাম খোকাভাই নাকি দুদিন বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যার কিছু পরে আমরা সবাই দাদীমার ঘরে বসেছিলাম। হঠাৎ বড়চাচী এসে দাদীমাকে জানালেন তার উদ্বিঘ্নতার কথা। তখনকার দিনে মোবাইল ফোনের প্রচলন এত ছিলো না এবং চাচীমার তো সেটা থাকার কথাই ছিলো না। চাচীমা নিশব্দে কাঁদছিলেন। আমার বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠলো, চোখের পাতায় তখন ব্যথার কাঁপন। সবাই মুখ গম্ভীর করে বসেছিলো। এই দুঃখের দিনেও চাচীমাকে কেউ সান্তনা দিচ্ছিলো না। আমার নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছিলো কারণ আমি জানতাম খোকাভাই আমার উপরে রাগ করেই এমনটা করেছে। এই বাড়িতে তার আর কেউ ছিলো না আর তাই আমার ব্যস্ততা বা তাকে ভুলে অন্য কিছু নিয়ে মেতে থাকাটাই তাকে অবহেলিত করে তুলেছিলো।
চলবে ...
আগের পর্ব
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা এটা তো যশোরের গল্পই লিখছি ভাইয়ু!!!
প্রথম পোস্টে বলে দিয়েছি কিন্তু।
তোমার মেজ ফুপু আর খালা যশোরের কোথায় থাকতেন? নাম বলো দেখি সে জায়গার.....
না ঐ কালো মেমের সাথে সেই প্রথম আর সেই শেষ।
খোকাভায়ের টুইস্ট এখন শুধুই শুরু......
আরও কয়েকদিন প্রেমে ফালায় রাখবো নাকি এখুনি ছ্যাকা খাওয়াবো বলো বলো বলো!!
হা হা হা
ওহ হ্যাঁ এত রাতে দিলাম। কারণ আমার জীবনে বড়ই ব্যস্ততা।
বাসায় ফিরেছি চারটায়। তারপর আমাদের বাসার উপরে আর্থিং এর পাশেই একটা টাওয়ার লাগানো আছে সেখানে বাজ পড়লো!
সেই টাওয়ার তার পাশের একটা সার্চ লাইট সব একদম ছিন্ন ভিন্ন। তারপর ছাদের ঘরের টিভি সাথে সিসি ক্যামেরা আরও অনেকগুলা সিলিং লাইটস একদম পুড়ে শেষ। লাইটের প্লাসটিক হোল্ডার টুকরা উড়ে এসে স্যুইমিং পুলে পড়ে ছিলো।
এবং দশতলার ঘরে টিভি চলছিলো ওয়াফাই সাথে কম্পুটার ডেস্কটপ অন ছিলো সেগুলাও পুড়ে শেষ।
এত সব শেষে ভয় টয় জয় করে আমি লিখতে বসলাম।
তাই রাত হলো। কি করবো বলো? অকপটে ভাইয়াকে বলেছি আজকেই লিখবোই লিখবো তাই।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুধু জানালার কাঁচ ?
আমি একজনের মাথা ফাটায়ে দিছিলাম, তবে অবশ্যই তোমার আমার উদ্দেশ্য এক ছিল না
আমাদের শৈশব আসলেই বাড়াবাড়ি রকমের কঠোর শাসনের ছিল , তবে তোমার মত তমাল বৃক্ষের নীচে না হলে ও আমরা সমবয়সী বন্ধুরা এসো গান শিখির সাথে " যাদুর পেন্সিল আহা যাদুর পেন্সিল " গান আর লায়লা হাসানের সাথে " আইলো দেয়া ঈশানে, সকালে কি বিকেলে " গানের সাথে নাচ শিখতাম । বিটিভি তে কত সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান ই না ছিল তখন।
এই দাঁতের পোকা তোলা জিনিসটার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার আছে - এক বাইদানি কে কেউ একজন ধরে নিয়ে আসছে সে দাঁতের পোকা তুলবে প্রতিবেশী এক চাচির। সবাই জমা হয়ে গেলো খবরে, মজার ব্যাপার হচ্ছে সে একটা কাঁচের ছোট্ট বটেল থেকে তুলা বের করে মন্ত্র পড়ে ফু দিয়ে চাচির মাড়ির দাঁতের উপর ধরলেন। তোমার মত কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখতে বলে তুলা বের করে নিয়ে আসলেন। এবং সত্যি যে দাঁতে পোকা ছিল প্রমাণ স্বরূপ সবার হাতে হাতে তুলা নিয়ে পরীক্ষা করতে বললেন। আজব বিষয় হচ্ছে সেখানে একদম গিন্দি গিন্দি সাদা পোকা আমিও দেখেছিলাম।
হিহিহি হ্যোয়াট ইজ ইওর নেম? হাও ওল্ড আর ইউ ? আর হ্যোয়াট ক্লাস ডু ইউ স্টাডি ইন।
হাও ওল্ড আর উ বিশাল পণ্ডিত ছিলাম ইংরেজি তে আসলেই
কৈশোরের প্রেম আসলে প্রেম ফ্রেম কিছু না নিষিদ্ধ আকর্ষণ। তাছাড়া তেমন ইন্টারেস্টিং বিষয়ের ও অভাব ছিল বুদ হবার। এই যে প্রমাণ দেখ যেই নতুন কালো মেম বউ আসলো তুমি ব্যস্ত হয়ে গেলে। পরিণত প্রেমে কি সেটা সম্ভব !!!
সত্যি আমাদের বংগ দেশীয় বঁধু ' র যে একটা চিত্র সমাজে আঁকা আছে ভীষণ টাইপড। আমার তো মোটামুটি বড় বেলায় ও টেনশন হত - আমি তো কোনও মতেই বউ এর ক্যাটাগরিতে পর্বও না । না চিকন , না ছোট খাট না ফর্সা। কী বিপদ বল তো !
কিছুকিছু বিষয়ে আমাদের সমাজ সবসময় ই ভীষণ ক্রুর আবার ঘটা করে গান গাওয়া হয় " পাপ কে ঘৃণা কর, পাপী কে নয় "
যাইহোক দেখি তুমি কিভাবে খোকা ভাই কে ম্যানেজ কর, অভিমান ভাঙ্গে কিনা ......
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: আমিও যাদুর পেন্সিল শিখেছি ফেরদৌসি খালামনি থেকেই। আর সেটা আমার বাচ্চাদেরকেও শিখিয়েছিও আমার জীবনে!!
দাঁতের পোকা ফেলা বেঁদেনীর কথাও আমার মনে পড়েছিলো সকাল বেলা যখন লিখছিলাম কিন্তু সন্ধ্যায় এসে ভুলে গেছিলাম। এখন মনে পড়লো। তবে আমি নিজে চোখে এই পোকা দেখিনি। শুনেছি শুধু।
হা হা সত্যিই সেই সব দিনে ইংলিশ ছিলো কিছু মুখস্ত বিদ্যা আর আজকালকার দিনে ইংলিশ উর্দু সবই পানির মত সহজ যেন।
হা হা তোমার বউ ক্যাটাগরী শুনে সত্যি হাসতে হাসতে মরেছি!!!!!!!!!!! হা হা হা
আরে খোকাভয়ের অভিমান ভাঙ্গাবো নাকি ছ্যাক খাওয়াবো কোনটা করবো বলো???
দেখলে না শেরজা ভাইয়াকে জিগাসা করলাম....... হা হা হা
যেটা বলবে সেটাই করে ফেলবো
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০২
কামাল৮০ বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক ছেলের খোকা ভাইয়ের মতো ছেলে বেলা ছিলো।তাদের একটা কাজিন থাকতো।তবে খোকা ভাইটা একটু ভিতু টাইপের।
আমার মনে হয় লবঙ্গের তেল ছিলো।যেটা দাঁত ব্যাথায় মহা উপকারী।বশিকরন মন্ত্র শিখতে বেদিনীদের পিছে অনেক কে ঘুরতে দেখিছ।
গল্প ভালো লাগছে ।আছি শেষ পর্যন্ত।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া আজকের পর্বটা লিখে তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তোমার তো কোনো পোস্ট নেই। কোথায় বলবো?
যাইহোক তুমি বলেছো তোমার প্রথম নিকের জবাইকরণে আমি নাকি ছিলাম। যদিও আমার সেটা মনে নেই। কিন্তু এই যে এখন এই কথাটা বললে তাতে বুঝলাম তুমি বড়ই ওপেন মাইন্ডেড এবং এক্সসেপটেবল।
যাইহোক কাজিনগুলো এখনও আছে তবে এখন তারা পাজিং মানে শয়তানের লাঠি হয়েছেন একেকজনা।
আমাদের খোকাভায়েরা বোকা ছিলো ভীতু ছিলো তবুও ভালো ছিলো।
জানিনা কিসের তেল ছিলো কিন্তু কালচে রং দেখে এখন মনে হচ্ছে তাই হবে। আর বশীকরণ মন্ত্র শিখতে আমার তাদের পিছে না ঘুরতে পারা হলেও আমি এখন অনেক রকম বশীকরণ মন্ত্র জানি।
থ্যাংক ইউ এরপর দিন ডেকে আনতে পারি সেই ব্যবস্থা কলো।
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৪
রাইসুল সাগর বলেছেন: শুধু এই আমারেই কারো পড়েনা মনে,
যখন তখন হাজির হতাম
রম্য, ছড়া, গানে।
হা হা, ভালো লাগলো লিখা এবং লিখার ধরনটা। শুভকামনা নিরন্তর।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!
তোমাকে তো না মনে পড়ার কোনো কারনই নেই।
তবে তুমি তো আর আসোই না।
এখন থেকে রোজ আসবে ওকে???
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জেলাস, জেলাস আমি।
আর কত পর্ব?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫০
অপ্সরা বলেছেন: জেলাস কেনো!!!!!!!!!!!
পুচকেদের জেলাস হয়ে কোনোই লাভ নেই।
আরও কত পর্ব জানিনা।
যত পর্বে যায় আর কি.......
তবে ২০ এর কম না মনে হয়।
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: গল্প নাকি স্মৃতি চারন লাফিয়ে লাফিয়ে বেশ এখান থেকে ওখানে টুইস্ট।
কবিরজী হয় তো ভালোই একটা চিকিৎসা ছিল গ্রাম বাংলার, চর্চটা হারিয়ে যাচ্ছে।
তমাল তলে কত কাহিনী।
আমার দেখা হয়ে গেল বেশির ভাগ পোষ্টই হারিয়ে যায় দেখার আগে
চলুক
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!
আই লাভ ইউ সো মাচ!!!!!!!!!!!
এন্ড আই লাইক ইউ টু মাচ!!
কারণ তুমিও এক আনন্দময় জীবনের মানুষ!
কবিরাজী এখনও আছে কিন্তু সুফিয়া কিছু হলেই বলে এই ডাগদরে কাম হইতো না। আমগো গেরাইমা ডাগদর লাগতো। কবিরাজী চিকিৎসা লাগত।
এইটা হইসে মাইট্যা জন্ডিস। চুখ হলুদ হয় না তার বদলে এই হয় সেই হয় কত কি আর কি।
সুফিয়ার ভাষ্যে এই মাইট্যা জন্ডিস হলে আর কোনো ওষুধে কাজ হইতো না তার লাগবে নাকি জন্ডিসে মালা।
বলে কি !!!
সেই মালা নাকি গলায় পরায় দেবে উনার বিশ্ব ডাগদর আর মালা শুকাবে আর সেই মাইট্যা জন্ডিস বালা হবে।
বুঝো এবার.....
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখা বরাবরের মতোই চমৎকার হয়েছে।
লেখার মাঝে তমাল গাছ, সাপ গ্রামের প্রকৃতি উঠে এসেছে।
ভালো লাগলো।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!
কিন্তু কসম আমি তোমার কথা ভাবছিলাম তুমি কোথায় আবার ভুল ধরো।
এই তমাল গাছ কিন্তু খুব একটা দেখা যায়না। খুবই রেয়ার হয়ে পড়েছে মনে হয় এখন আরও।
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তমাল আছে এখন শুধু বইয়ের পাতায়।
ঢাকায় কয়টা তমাল গাছ আছে তা গুনে ফেলা যাবে। সেই গোনার সাথে আমার ছাদের একটা ধরে নিতে হবে।
গ্রামে ঝোপে-জঙ্গলে একদুইটা আছে হয়তো তমাল এখনো।
পুরনো হিন্দু মন্দির গুলির কয়েকটিতে আছে তমাল গাছ।
এইটুকুই।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৬
অপ্সরা বলেছেন: হুম তাই তো তাই তো!!!
হিজল তমাল শাল পিয়াল একে অন্যের সাথে কড়িয়ে থাকা নাম।
পিয়াল গাছ নিশ্চয় অনেকেই চিনবে না..............
৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পিয়াল গাছ আপনি চিনেন? দেখেছেন?
ঢাকায় কোথায় আছে এই গাছ? আমি এখন পর্যন্ত পিয়াল গাছ দেখেছি বলে মনে পরে না।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: চিনবো না কেনো!!
সেই কবে থেকেই চিনি।
ঐ মালতিলতা দোলে.......
দোলে পিয়ালতরুর কোলে.......
এমন কত গানে গানেই না দেখেছি। এই দেখা দিয়েও কত তরু চিনে ফেললাম!
তবে সত্যি ভাইয়া আমার মনে হয় আমি এই গাছ দেখেছি।
ঢাকার কোথাও নেই। বাংলাদেশের কোথাও নেই মনে হয় ।
গুগলে ছবি দেখে নাও।
১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৯
পোড়া বেগুন বলেছেন:
হরিণটা এখনো ধরতেই পারলেন না!
কিসের মায়াবিনী আপনি ?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: হরিণ বুঝে গেছে আমি মায়াবিনী আর তাই মায়ার বাঁধন কেটে কই যে পালিয়েছে!!!!!!!!!!
খুঁজেই পাচ্ছিনা........
তবে তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই।
১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৯
পোড়া বেগুন বলেছেন:
পিয়াল বা চিরঞ্জী হচ্ছে বনাঞ্চলে জন্মানো একটি ঔষধি উদ্ভিদ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: আমার মনে হয় আমি এই গাছ দেখেছি কিন্তু এই গাছ এখন বাংলাদেশে নাই বললেই চলে।
১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫২
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আমি হলে এতদিন হরিণটাকে ধরে, চামড়া ছিলে দেয়ালে লটকাইয়া রাখতাম,
সাথে শিং দুটোও! আমারেতো চিনেনা; আমি পোড় খাওয়া মানুষ!
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: নীরার দাদুর মত। সেও এই কাজ করেছিলো হরিণ শিকারের মমি। মানে হরিনের মাথা।
তবে আমার হরিণ সোনার হরিন.......
ওযে চমকে বেড়ায় দৃষ্টি এড়ায়
যায় না তারে বাঁধা
সে যে নাগাল পেলে পালায় ঠেলে লাগায় চোখে ধাধা
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
যৌথ পরিবারের এটাই হয়তো আনন্দ সবাই একসাথে থেকে বিভিন্ন বিষয়গুলো এই যেমন কবিরাজের দাওয়া , নতুন বিদেশী বউ দর্শন সবাই একসাথে মিলেমিশে উপভোগ করা । এই লেখায় গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ পেলাম যেটা হল প্যারেন্টসের শাসনের বিষয়টি।
ভালো লাগলো তোমার প্রত্যেকটি পর্বই পড়তে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: হা সেটাই আনন্দও যেমন কোন্দলও তেমনই হয়। সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা আর হাসি কান্না নিয়ে হয় সেই সব দিন রাত্রী।
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: যথারীতি গল্প ভালো লেগেছে। বায়োগ্রাফিক লেখা আমাকে সব সময় আকর্ষণ করে....নিজেও যা কিছু লিখি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তাতেও বায়োগ্রাফিক বিষয় থাকে.... +
যশোর আমার স্মৃতির শহর। আমি যখন ঝিনেদা ক্যাডেট কলেজের ছাত্র তখন ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিলো। আমি বাস জার্নি পছন্দ করতাম না। কলেজ থেকে আমাদের যশোর পৌঁছে দেওয়ার পর ক্যাডেটদের নিজ নিজ দায়িত্বে যার যার গন্তব্যে যেতে হতো। যশোরে বেশীরভাগ অবিভাবক উপস্থিত থাকতেন। যশোর এম এম কলেজের প্রফেসর শামসের আলী আমার খালু। ছুটিতে কলেজে যেতে আসতে ওনার বাড়িতে একরাত থেকে আসতাম।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: বাহ! তাহলে তো যশোরের গল্পের ছবি তুমি তোমার চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছো ভাইয়া।
১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অসাধারণ লেখা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আজকেও গুরু গম্ভীর ভাইয়ু!!!
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫২
একলব্য২১ বলেছেন: এই সিরিজের এখন পর্যন্ত প্রতিটি পর্বের সূচনা প্যারা আমার কাছে অসম্ভব ভাল লেগেছে। আজকে পর্বেও তার ব্যত্যয় হয়নি।
অনেক বড় বড় লেখক নাকি প্রায় সকলেই এই কায়দায় বইয়ের প্রত্যেক পর্ব শুরু করেন। তুমিও তাই করো দেখি। মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পরে পড়বো।
আচ্ছা তোমার লেখার কায়দাটা কেমন। লিখতে বস আর এক বসাতেই এক একটা পর্ব শেষ কর। নাকি খসড়া লিখে রাখো আর পরে সময় নিয়ে গুছিয়ে ফিনিসিং দাও।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা সূচনা পর্বের মন্তব্যের জন্য জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস।
বড় বড় লেখকদের বই আর লেখকের কথা পড়ে পড়েই তো এই স্টাইল ধরেছি।
আমার লেখার কায়দা বা যে কোনো কাজের কায়দা শুনলে তোমার চোখ কপালে উঠবে। হা হা
যেমন ধরো আমি একটা গানের অনুষ্ঠানে যাবো।
১- আমি কোন গান গাইবো সেটা সিলেক্ট করা
২- সেটা নিয়ে রোজ রোজ মরি আর বাঁচি ১ ঘন্টা প্রাকটিস
৩- সেটা আমি কেমনে উপস্থাপন করবো তা আয়নায় দাঁড়িয়ে প্রাকটিস করা
৪- সেটার জন্য সাজুগুজু- জামা কাপড় জ্যুয়েলারী লিপিত্তিক কাজল হা হা
৫- জুতা এবং ব্যাগ
৬- তার জন্য ঠিক ঠাক খানা পিনা করা প্রিপারেশন টাইমে
৭- আর ঠিক ঠাক ঘুম আর বিশ্রাম
এমন বেশ কয়েক ধাঁপ নিয়ে আমি যে কোন কাজে নামি।
লেখা আমি কখনই এক বসায় লিখলেও তা প্রকাশ করি না। বার বার পড়ি এবং তা এডিট করি। প্রতি পর্ব লেখার আগে পর্ব ১ থেকে পড়ে আসি এবং লাস্ট পর্ব বেশি ভালো করে পড়ি এবং শেষ প্যারা এবং শেষ লাইন সেখান থেকেই ভাবি। হা হা হা
মাঝে মাঝে গাড়িতে বসে বা স্কুলে বসে বা এক গাদা মানুষের মাঝে বসে মনে হয় এটা লিখতে হবে সেটা লিখতে হবে ভেবে তাড়াতাড়ি ফোনে লিখে রাখি ......
হা হা হা
না লেখা পর্যন্ত অশান্তি। লিখে ফেললেই শান্তি!!!!!!!!!!
১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কল্কেতে টান দিয়ে পরে বিস্তারিত মনের ভাব প্রকাশ করবো।
শুধু বলি দাঁত ঠিক মত না মাজলে দাঁতে পোকা হয়। মণিহার সিনেমা হলে আমি সিনেমা দেখেছি বহু আগে। ঐ সময় নাকি বেনাপোল হয়ে ভারত থেকে মানুষ আসত মণিহারে সিনেমা দেখার জন্য। আমার স্মৃতিতে যশোর একটা স্বপ্নরাজ্য। আমার প্রিয় শহর। অনেক ঘুরেছি এই শহরে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আজ কখন কল্কিতে টান দেবে???
সন্ধ্যায় নাকি রাতে?
নীরা দাঁত মাজতো তবুও কি হয়েছিলো আমি জানিনা। আর এই আমি দাদার জনমেও কোনোদিন ডেন্টিসের কাছে যাইনি তবুও আমার দন্তে নো প্রবলেমো!!!!!!!!
আমিও শুনেছি মনিহার নাকি বিশ্ব বিখ্যাত সিনেমা হল ছিলো।
আর তোমরা সবাই দেখছি যশোর চেনো!!!!!!!!! ভালো করেই চেনো!!!!!!!
১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
অঙ্গনা বলেছেন: কষ্ট লাগে এমন শান্তিময় পরিবেশ আর জয়েন ফ্যামেলি পাইনাই। একটা পর্ব আগে পড়ছিলাম ভাবছি এখন থেকে নিয়মিত পড়বো।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: অঙ্গনা আপুনি এটা তো ৫ম পর্ব। এর আগে আরও ৪টা আছে।
১৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
অঙ্গনা বলেছেন: আমি সেইটা লিখছি আপু
আগের কোন এক পর্ব ব্লগে লেখা শুরু করার আগে পড়ছিলাম। আবার আজকে এইটা এখন থেকে বাকি সব পড়ব। মানে আগে পর্ব পড়ার সময় এত পর্ব হবে বুঝি নাই যে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ওকে ওকে। নো প্রবলেম আপুনি!
২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু তোমার এই সিরিজের বর্ণনাগুলো চমৎকার ।
পড়ার সাথে সাথে ওখানে নিয়ে যায় ।
এই সিরিজ নিয়ে খুব ভালো নাটক হতে পারে ।
অবশ্যই ভালো ডিরেক্টরের কাজ হলে ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২০
অপ্সরা বলেছেন: চলো তুমি আর আমি যৌথ প্রযোজনায় যৌথ ডিরেক্টর হয়ে যাই।
২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
তাহলে অভিনয় কলাকুশলী কারা ?
আমিতো পর্দার আড়ালের মানুষ, দূরে থেকে না হয় যৌথ প্রযোজনা করলাম ।
ডিরেক্টর কে ? ধুলো ?
তারতো আবার অনেক আত্মঅহংকার, রাজি হবে না ।
অলনেটিভ অন্য কাউকে দেখে রেখো ।
তুমি নিজেই ডিরেকশন দিও ।
তুমি বেটার নীরু রোল করো।
এখন বলো খোকাভাই কে হবে ?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা হা সত্যি এইবার হাসলাম।
শুনো আমি এই সিরিজ লেখার আগে ২০১০ এ খোকাভাই কাব্য সিরিজ লিখেছিলাম।
তখন আমি আমার এক আবৃতি পার্টনারের সাথে কিছু অনুষ্ঠানে সেসব আবৃতি করেছিলাম।
তো ২/৩ বার সে আমার সাথে পারফর্ম করার পর বলে- প্লিজ আপনি অন্য কিছু লেখেন। আমাকে আর ছ্যাকা খাওয়াইয়েন না। প্লিজ প্লিজ প্লিজ! রোজ রোজ ছ্যাকা খাইতে আমার ভালো লাগেনা। আমি বললাম চুপ! আমি যা বলবো তাই করতে হবে তোরে ছ্যাকা খাওয়াই লাগবে। সবাই হাসতে হাসতে শেষ। পরে আমি তার কথামত তার জন্য লিখেছিলাম আরেক কবিতা।
দাঁড়াও একটু খুঁজে তোমাকে দেবো। অরিত্র আর নিলান্তিকার কথা। হা হা
আমি নিরু হতে পারি তবে এই বুড়ি নীরু কেমনে ছুড়ি নীরুর অভিনয় করবে!!!
আর খোকাভাই নিশ্চয় পায়ে ধরলেই কেউ এত বড় সাহসই করবে না হা হা হা হা
২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
টাইপো ছিলো ।
****অলটারনেটিভ***
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
অপ্সরা বলেছেন: বুঝেছি তো!!!!!!! দাঁড়াও সেই কবিতা আনছি!!!!!!!
২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯
একলব্য২১ বলেছেন: আমার একটা কৌতূহল ছিল তুমি কিভাবে লিখ সেটা জানার।
আমাদের বাড়ীতে এক সময় অনেক ম্যাগাজিন রাখা হতো। তার মধ্যে দেশ,সানন্দা আর sports worldও ছিল। দেশের এক পুরানো সংখ্যায় সত্যজিৎ রায়ের একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। ওখানে উনি লিখেছিলেন ছোট গল্প উনি লিখতেন একদিনেই আর ফেলুদা লিখতে সময় নিতেন ১৫/১৬ দিন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
অপ্সরা বলেছেন: বাপরে!!!!!!!!!!
কোথায় সত্যজিৎ!!!!!!!!!! আর কোথায় অপরাজিৎ!!!!!!!!!!!!
আমার তো লেখালিখি ছাড়াও খেয়ে দেয়ে অনেক কাজ আছে.......
আই মিন অকাজ!!!!!!!!!!!!
২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ বাহ বাহ!
বরাবরের মতোই মুগ্ধ পাঠ!
আর বর্ণনাতো একেবারে সেধিয়ে ঢুকিয়ে দেয় গল্পের ভেতর!
যেন নিজেই বুঝি তারই অংশ।
আহা, কালো কন্যার প্রেমে পড়েছিলাম একবার। অবশ্যই এক পাক্ষিক! কমনওয়েলথ চীফের আইটি সাপোর্ট সুবাদে আন্তরিকতা, আর ঈদে বেড়াতে আসা তার গ্রুপেই ছিল ঐ কালো মানিক।
আহা! কি টানা টানা চোখ! কি উন্মাদনা হৃদয় জুড়ে! মেয়েদের স্বভাবজাত বুঝে ফেলার অনুভবে মুচকি মুচকি হাসি!
মনে পড়ে গেলো তোমার কালো কন্যার বয়ানে
চলুক সিরিজ বহতা নদীর মতো...........।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আগেই বলেছি এই সিরিজের সাথে সাথে সবার অতীত বের হচছে!!!!!
২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বড্ড পিছিয়ে পড়েছি। কিছুতেই সময় বার করতে পারছি না...
দেখি কবে সময় করতে পারি। আপাতত উপস্থিতি জানান দেই
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১১
অপ্সরা বলেছেন: আমারও একই অবস্থা ভাইয়া। সময়ের সাথে ছুটি......
২৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪১
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপনার প্রাঞ্জল বর্ণনাশৈলী আটপৌরে বিষয়কেও ছড়িয়ে দিয়েছেন পাঠকের কাছে ভিন্নমাত্রায়।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৫
অপ্সরা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
কিন্তু তোমার ছেলের খবর কি?
২৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:০৫
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
কিন্তু তোমার ছেলের খবর কি?
আপু, আলহামদুলিল্লাহ শারীরিকভাবে ভালো আছে, তবে ওকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না, কারণ কতৃপক্ষ এটাকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে নিয়েছে, আর আমি পরিবার-পরিজনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব সেখানে পাঠানোর কোন প্রয়োজন নেই,।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২০
অপ্সরা বলেছেন: সেফটি একটা স্কুলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে সেফটি নেই সেখানে কি করে পাঠাবেন অভিভাবকেরা তাদের সন্তানকে!
যাইহোক ভাইয়া তারপরও এটা সমাধান না। থেমে গেলে চলবে না। কোনোকিছু শুরু করলে শেষ না দেখে থেমে যাওয়াটাও কিন্তু ঠিক না।
যাইহোক বাচ্চাকে অন্য স্কুলে দাও কিন্তু এই ইস্যু নিয়েও নীরব হয়ে যেও না।
আজ তোমার বাচ্চার হয়েছে তাদের গাফিলতির কারনে ভয়ংকর দূর্ঘটনার সম্ভাবনায় আরও লাখো শিশুরা রয়েছে।
২৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৬
শার্দূল ২২ বলেছেন: ৩৫০ মাইলের এর ড্রাইভ। ৪ ঘন্টা ড্রাইভে হাফিয়ে গেলাম, পাশে থাকা বন্ধুকে বসিয়ে ভাবছিলাম একটা ঘুম দেবো। এমন সময় মাথায় আসলো সামুতে ঢুকে দেখি খোকা ভাই এর কি অবস্থা, বেচারা নিরুর মত বাঁচালের যন্ত্রণায় কতটা অতিষ্ঠ্য। পড়তে পড়তে সব গুলো পর্বই পড়লাম, যদিও এমন লেখা গুলোতে বিশেষ মন্তব্যের কিছু থাকেনা। শুধু পড়ে নিজেকের তার মধ্যে হারিয়ে ফেলা ছাড়া। আর তুমিতো জানোই আমাকে, যে আমার মন্তব্য কি নিয়ে হয় আর কেমন হয়। আমি কোন কালেই রোমান্টিক ছিলামনা, আজও না।
তোমার লেখা পড়ে আমি নিজেও চোখ বন্ধ করে কয়েকটা চরিত্র বানিয়ে কল্পনায় টানছিলাম। কিনতু বেশিদুর যেতে পারিনা, ঘুরে ফিরে একটাই দৃশ্য আসে মাথায়। সেই তুমি কিভাবে এতো গুলো চরিত্র আর দৃশ্যপট আঁকতে পারো মাথায় আসেনা। তোমার কল্পনা শক্তি প্রখর।
লেখার চর্চাটা মন্দ না, এমন কিছুতে লেগে থাকলে নিজেকে একা লাগেনা কখনো, মনে হয় অনেক গুলো মানুষের ভিড়েই বেঁচে থাকা যায়।
শুভ কামনা।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৪
অপ্সরা বলেছেন: তুমি রোমান্টিক ছিলা না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বেচারা বাঁচাল নীরুর জ্বালায় যেমন খোকাভায়ের প্রাণ ওষ্ঠাগত ছিলো তেমনই তোমার রোমান্টিকতার জ্বালায় ক জনের প্রাণ গেছে কে জানে!!!!!!!!!!
হা হা হা ভাবো ভাবো আরও ভাবো তুমি আমার এক রুপ দেখেছো আরও কত রুপে কত রঙ্গে কত ঢঙ্গে দেখো দেখো.....
দেখার শেষ নেই, জানার শেষ নেই....... জীবনের কিছুই আসলে কখনই শেষ হয় না...... হা হা হা
অনেক মানুষের ভীড়ে বাঁচার কি দরকার।
ভেতরের অনেকগুলো মানুষ নিয়েই বাঁচি.......
এমনি এমনি কি কবি লিখেছেন???
তোমার ঘরে বসৎ করে কয়জনা মন জানোনা !!!!!!!! হা হা হা
২৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক আগে একটা কবিতায় হরিণ বলি দিয়েছিলেন। হরিণের সাথে আপনার একটা আলাদা যোগাযোগ আছে বোঝা যাচ্ছে। হরিণ ভালোবাসেন আবার বলিও দেন। ঐ কবিতাটা অসাধারণ হয়েছিল। আমি দুই চার লাইন প্রশংসাও করেছিলাম কবিতাটার।
ময়ূরী সুন্দর। তাই অনেক মেয়েই কল্পনায় ময়ূরী হতে চাইতে পারে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন যে ময়ূরীকে আকৃষ্ট করতে ময়ুর পেখম মেলে। ময়ূরী পেখম মেলে না।
জানালা বরাবর না মেরে খোকা ভাইয়ের মাথা বরাবর ইট মারলে নায়িকার রাগ কমে যেত তাড়াতাড়ি। তবে আস্ত ইট না মেরে আধলা ইট মারা উচিত ছিল।
রাত দশটা কিভাবে মধ্যরাত হয়?
ইংরেজিতে বলেন তো ‘আমি তোমাকে খাওয়াবো’। উত্তর আমার মন মত হলে চকলেট খাওয়াবো গল্পের নায়িকাকে আর অভাগা, চির দুখী, অভিমানি খোকা ভাইকে।
আমি তো ভেবেছিলাম এই ঘটনা ব্রিটিশ আমলের। আপনি আবার মোবাইল ফোন কোথা থেকে আনলেন। বড় মুশকিলে ফেলে দিলেন দেখছি।
আপনি খোকা ভাইকে দুই দিনের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন এই কারণে তো ওনার খুশি হওয়ার কথা। রাগ করবে কেন বুঝতে পাড়ছি না। আমার মনে হয় খোকা ভাই ভয় পেয়েছিল। উনি ভেবেছিলেন যে পরের ইটের নিশানা ভুল হবে না। একেবারে মাথায় গিয়ে লাগবে। তাই পালিয়ে বেঁচেছেন।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া বাসায় গেস্ট এসেছে। তার সাথে আবার এখন খেতে বসতে হয়েছে। চুপি চুপি এই কমেন্ট পড়ে ফিক করে হেসে ফেলেছি। তাই একজন আমার দিকে কটোমটো তাকিয়ে আছে। এই মুহূর্তে উনি উনার মায়ের অসুখের কথা বলছিলেন।
তোমার জন্য আমার এই হাল হলো। খবর আছে।
দাঁড়াও বেটা খেয়ে উঠুক আসছি আমি তারপর জবাব নিয়ে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: হরিনের কোন কবিতাটা যেন মনে পড়ছে না যদিও তবুও আমি জানি আই লাইক সোনার হরিণ!
কোথা পাই কোথা পাই তাই তো রুপা তামা লোহা লক্কড়ের হরিণ হলে ধরে বলি...... হা হা হা
জীবনেও একখানা পাখা মেলা ময়ুর দেখলাম না। সব কাক কাক কা কা কা হা হা হা
নায়িকা কি এত শক্তিশালী যে আস্ত ইট মারতে পারবে সেও আধলাই মেরেছিলো তবে মিসফায়ার হয়ে গেলো কারণ ওতো বড় ইটের টুকরা তাক করা কি এতই সহজ!!!!
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: শুনো নীরুদের ছোটবেলায় রাত ১১টা মানে মধ্য রাত আর রাত ১০টা মানে মধ্যরাত ছিলো। আর ভোরের সুরুজ ওঠার সাথে সাথে ওঠার নিয়ম ছিলো। কাজেই সেটা তাদের সময় তাদের ভাষে মধ্যরাতই।
আই উইল ফিডা ইউ মানে ফিডা মানে পিটা মানে মাইর খাওয়াবো।
এই উত্তড় নিশ্চয় মনের মত হবে না আর তাই চকলেট বেঁচে গেলো।
হা হা সে ব্রিটিশ আমল তো বটেই আজ থেকে ২২/২৪/২৬ বছর আগের ঘটনা ধরে নাও। সেই সময় তো মনে হয় দু একটা মোবাইল এসেছে।
আপনি খোকা ভাইকে দুই দিনের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন এই কারণে তো ওনার খুশি হওয়ার কথা। রাগ করবে কেন বুঝতে পাড়ছি না। আমার মনে হয় খোকা ভাই ভয় পেয়েছিল। উনি ভেবেছিলেন যে পরের ইটের নিশানা ভুল হবে না। একেবারে মাথায় গিয়ে লাগবে। তাই পালিয়ে বেঁচেছেন।
ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!! এত্ত শয়তান হয়েছো কেমনে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমি তখনও হাসতে গিয়ে মরেছিলাম আর একটু হলে আবারও হাসতে হাসতে মরলাম!!!!!!!!
স্কুলে কি তুমি বাঁদর ছিলে!!!!!!!!!!! একদম সত্যি বলো তো!!!!!!!!!!!
৩০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০২
অক্পটে বলেছেন: ভালোই হলো টানা দুদিন মহা ব্যস্ততার শেষে এসে রেডি পেলাম ৫ম পর্ব। খোকা ভাইয়ের কি অবস্থা কেমন রেখেছেন তা খুব জানতে ইচ্ছে করছিল। এরই মধ্যে খোকাভাই দু'দিন ধরে কোথায় গেল, চিন্তার বিষয়!
এবারের পর্বটা দারুণ সাবলীল হয়েছে। গল্প গুলো পড়ার একটা বিশেষ মজার দিক হলো নিজের জীবনের গল্প গুলোর সাথে কদাচিৎ এত বিশি মেলবন্ধন থাকে যে অবাক হয়ে থাকতে হয়।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা এসব আসলে আমাদের সবার জীবনেরই গল্প!
একটু অন্য রুপে একটু অন্য ঢঙ্গে। কিন্তু তারপরও এসব নিয়েই আমাদের দিনরাত্রী ছিলো।
তোমার জন্য বসে ছিলাম।
ভাবছিলাম আসছো না কেনো?
এবার ককচকভাইয়ার জন্য ওয়েট করি।
৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
খোকা ভাইয়ের ঘুড্ডির গোত্তা খেয়ে তালগাছের মাথায় পড়ার মতো পর্ব - ৪ পড়ে এখানে এসে গোত্তা খেলুম!
দেখি, কোন সে বনের হরিণ যে এদিক সেদিক ধায়!
গাবগাছের পেত্নী (কাজল কালো বউ) থেকে কবরেজ হয়ে বাইদানীর সর্প নিয়ে মনিরা সুলতানা আর সাড়ে চুয়াত্তর কে একটু ঠোক্কর দিয়ে গেলেন!
আপনার, থুক্কু "নীরা"র যা স্বভাব তাতে খোকা ভাইয়ের হারিয়ে যা্ওয়া নিয়ে একটা "নিরুদ্দেশ" ঘোষনা পত্রিকায় ছাপিয়ে বসে কিনা কে জানে! নইলে ব্লগে "সাহায্য পোস্ট" লিখলেও অবাক হবো না!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: কি বলো ভাইয়া তুমি আবার গোত্তা খাও!!!!!!!!! এও বিশ্বাস করতে হবে!!!
হা হা সত্যিই মনিরা আপু কোথায় হেসেছে সেই জানে আর চুয়াত্তর ভাইয়াকে ঠোক্কর দেওয়া!!!!!!!!!! এত সহজ নাকি!!!!!!!!
ভাইয়া হইলো নীলকন্ঠ!
না না নীরা কি এত বোকা পত্রিকায় ছাপিয়ে নিজের ঘাড়ে দোষ টেনে আনবে!!!!!!!! তার থেকে জাহান্নামে গেলেও নো প্রবলেম। বড়জোর একটু কবিতা লিখবে আর কি।
৩২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তোমাকে খাওয়াবো - এটার ইংরেজি হল 'I shall eat you'। আপনার উত্তর মন মত হয়নি। তাই চকলেট মিস।
মেয়েটি নীচে দাড়িয়ে আছে - এটার ইংরেজি হল - Mis under standing।
এবার বলেন ঘরজামাইয়ের ইংরেজি কি?
ময়ূরপুচ্ছ মানুষ এই রকম হয়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: বাহ ময়ুরপুচ্ছ মানুষ দেখে তো আমি মুগ্ধ!
ভাইয়া ঘরজামাই এর ইংলিশ সাড়ে চুয়াত্তর
৩৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫০
করুণাধারা বলেছেন: নিরু চরিত্র বিশ্লেষণ করতে পারছি, নিরু হরিণীর মতো চঞ্চল, আহ্লাদী, অসহায়ের সহায়... কিন্তু খোকার মনের ভেতর কী চলছে সেটা না জেনে ঠিক শান্তি পাচ্ছি না। তারপর আবার এখন কোথায় উধাও হয়ে গেল!! কবে আসবে!!
পড়তে পড়তে মনে হলো, যশোর আমিও অল্প অল্প চিনি। আমার ছোটবেলায় আমরা থাকতাম কারবালায় একটা পোড়ো বাড়িতে, ওটাকে বলতো রাজবাড়ি। নিরু কি স্কুল পালিয়ে সেই বাড়িতে যেত...
আমার নানী শ্বাশুড়ির বাড়ি ঘোপে।
তাই ভাবছিলাম, নিরুর বাড়ির ঠিকানা পেলে একবার দেখে আসতাম...
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: খোকার মনের ভেতর কি হচ্ছে সে খোকাই জানে। নীরুর জানার কি দরকার!!
সে তো আপনার মাঝে আপনি হারা
আপন সৌরভে সারা যেন আপনার মন আপনার প্রাণ আপনারে সঁপিয়াছে .......
সবাই দেখি যশোর চেনে!!!!!!!!
আল্লাহ জানে নীরু কই যেত। নীরুকে শুনে নেবো।
নীরুর বাড়ির ঠিকানা দিয়ে দেবো। চলে যেও আর নিজেই দেখে এসো।
৩৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পরেছিলাম তো সেই রাতেই। মন্তব্য করতেই দেরী হয়ে গেল।
আহা খোকা নিরুর প্রেম কাহিনী খুবই ভালো লাগছে আপু।
মিরডডল মনিরাপু সাড়ে চুয়াত্তর গল্পে ঢুকে গেলেন। দেখি বাকি গল্পে আর কত প্রিয় ব্লগার থাকে। শুভকামনা আপু
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪০
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ আপুনি!!!!!!!!!!!
৩৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৭
ককচক বলেছেন: প্রিয় মানুষের সামান্য অবহেলা খুব পীড়িত করে। সুন্দর দুনিয়াটা নিমিষেই দোজখ হয়ে যায়।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!!!!!
কোথায় ছিলে তুমি!!
৫ দিলাম ৬ দিলাম তবুও তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নাই......
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১২
অপ্সরা বলেছেন: এখনও ৬ পড়োনি কেনো!!!!!!!!!!
৩৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩
ককচক বলেছেন: ৫ পড়েছি, ৬ ও পড়বো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২১
অপ্সরা বলেছেন: কবে পব্বা!!!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩
অপ্সরা বলেছেন: ৬ না পড়লে কিন্তুক ৭ পাবলিশ কব্বো না!!!!!
৩৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই পর্বটাও ভাল লাগলো পড়তে। কালো মেমের গল্পটা জেনে খুবই আনন্দ পেলাম। আমরা যে জাতি হিসেবে কতবড় রেসিস্ট এটা কল্পনাও করা যায় না! তবে তোমাদের বাসার ছোটরা তাকে ভালোবেসেছিলো জেনে ভাল লাগলো।
সেই ২০ জন বসার ডায়নিং টেবিলটার কথা কল্পনা করে মনে হল সে বেচারার ইতিহাসটাও চমৎপ্রদ হবে সন্দেহ নেই।
আর তুমি জানালা বরাবর আস্ত একটা ঠিল ছুড়লে? তুমিতো দেখি সাংঘাতিক মারমুখী কিশোরী ছিলে!!!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আপুনি!!!!!!!!!!
এখন আমি ভালো হয়ে গেছি তো!!!!!!!!!!
বাট এটা কি আমি!!! এটা তো নীরা!
যাইহোক আমি ৬ নং পর্ব দিয়েছি তো!!!!!!!!!! পড়ো শিঘ্রী!!!!!!!!!!
৩৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বীরেন কবিরাজ এর বিস্ময়কর যাদুতে আপনি যেমন দাঁতের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, আমিও তেমনি আমার গ্রামের এক ফকির কবিরাজের চিকিৎসায় আ্রর্থ্রাইটিস এর অসহ্য যন্ত্রণা থেকে একবার মুক্তি পেয়েছিলাম। তিনি আমার বাবা ও দাদীরও চিকিৎসা করতেন।
খোকা ভাই এর সাথে সেই অবহেলিত গাব গাছের তুলনাটা চমৎকার হয়েছে।
বিষধর সেই সাপগুলোর সৌন্দর্যেও আপনি 'বিমোহিত' হয়েছিলেন? কি সাংঘাতিক কথা!!
এ পর্বের শেষটা একই সাথে বিষাদ এবং কৌতুহল উদ্রেক করে যাবে পাঠকের মনে।
পোস্টে প্লাস। + +
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া।
খোকাভাই সেই অবহেলিত বুনো গাব গাছের মতই অবহেলিত বা নিসঙ্গ ছিলো।
বিষধর সাপগুলো তো আসলেই সুনদোর!!!!
শুধু ভয়ংকর।
৩৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:০৪
ককচক বলেছেন: পব্বো রে ভাই, পব্বো। আজই পব্বো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: পরছো তো মনে হয়!!!!!!!
যাই চেক করে দেখি আরেকবার......
৪০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
মুদ্দাকির বলেছেন: বীরেন কবিরাজের দাঁতের চিকিৎসা ফ্যাসিনেটিং!!
আপনি এত রাগলেন যে পাথর ছুঁড়ে মারলেন? আমার একটা প্রশ্ন, প্রিয়জনকে নির্দিধায়, নিশ্চিন্তে ব্রুটাল আক্রমন করতে পারা কি মেয়েদের জেনেরিক স্বভাব? এই ধরনের কিছু করার আগে তারা কি সম্ভাবনা গুলো ভেবে নেয়?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা
না ভাবে না
তবে একটা জিনিস ভাবে....... যা থাকে কপালে আজ তোর একদিন কি আমার দুইদিন .....
৪১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার এক সহপাঠী একবার মাস্টার মহাশয় পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ায় লিখেছিল,ছাই আপনার মাথায় উট মারবো।মাস্টার মহাশয় সেই দেখা পাঁচটি সেকশনেই পড়ে শুনিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে সেইদিন সে স্কুলে আসে নি। কিন্তু বিকেলে খেলার মাঠে বন্ধুদের কাছ থেকে অপকর্ম শুনে সেই যে স্কুলে আসা বন্ধ করে। তারপর আর এই স্কুলে আসেনি।পরে টিসি নিয়ে অন্যস্কুলে ভর্তি হয়। যাইহোক খোকা ভাই দুদিন বাসায় ফেরেনি। খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। দেখি খোকা ভাইয়ের কপালে কি আছে।
আফ্রিকার মেম সাহেবের ঘটনাটা বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা না খোকা ভাই অন্য কোথাও গিয়েছিলো।
অভিমানে অকারনেই......
থ্যাংক ইউ ভাইয়া সব গুলো পর্ব এত মন দিয়ে পড়ার জন্য।
৪২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১
আখেনাটেন বলেছেন: খোকা মিঞার রাগ আছে তাহলে.......
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১২
অপ্সরা বলেছেন: না না রাগ না তার বেশি দুঃখ আছে.....
ভাইয়া এতদিন পর কই থেকে এসে ঝটাপর সব পড়ে ফেলছো!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: এত রাতে পোষ্ট দেন ক্যান?
মনিহার তো যশোহরে- আপনি যশোহরে ছিলেন? আমি ওখানে একেবারে প্রথম দিকে সিনেমা দেখেছিলাম। আমার খালা আর মেজ ফুপু থাকতেন ওখানে। মণিহারের সারা বাংলাদেশে তখন কি নাম ডাক!
ওই কালো মেমের পরের কোন গল্প আছে?
খোকাভাইকে নিয়ে শেষে ভালই ট্যুইষ্ট রাখলেন!