নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশিনী চলে গেলো। কিন্তু খোকাভাই ফিরলো না। এই আট আটটা দিন ঐ বিদেশিনী বউকে ঘিরে সারাবাড়ি জুড়ে ছিলো এক গমগমে ভাব। সারা বাড়িতেই বইছিলো উৎসবের হাওয়া। বাঁদরওয়ালাকে ডেকে বাঁদরনাচ দেখানো, জোনাকী বেঁদেনীর সাপের খেলা, ফুলমিয়ার বায়োস্কোপ যা আমাদের তেমন দেখার অনুমতী ছিলো না কিন্তু সবই ঐ বিদেশিনীকে চমক লাগাবার জন্য বাড়িতে অনুমোদন পেয়ে গেলো।
আমাদের ছোটবেলার এবং গ্রাম বাংলার বিশেষ ঐতিহ্য হাওয়াই মিঠা এবং শনপাপড়ি এসবও তাকে তাক লাগাবার জন্য বাড়ি্তে আনা হলো। হাওয়াই মিঠা খাবার পর ঐ কালো কুচকুচে বউটার জীব ম্যাজেন্টা কালার ধারণ করলো। তাকে দেখতে তখন ভয়ংকর লাগছিলো। ছোটচাচার ছেলে পিংকু পিচ্চিটা এমনই বিচ্ছু ছিলো যে আমার কানে কানে ফিসফিস বললো, দেখ নীরুআপু এক্কেবারে মা কালীর মত লাগছে। আমি ভয়ে কাঁটা হয়ে উঠলাম যদি বউটা শুনে ফেলে। যদিও সে বাংলা বুঝেনা তবুও ভয় পেয়ে ওকে ধমক দিয়ে উঠলাম, চুপ! এসব বলতে হয়? পিংকু বাঁদরটা কি আর ভয় পাবার পাত্র? আমার বকা খেয়েও তার কিছুই হলো না, সে ফিক ফিক হাসতেই লাগলো।
ঐ বিদেশিনীকে পান, পান্তাভাত থেকে শুরু করে মোরগ মুসাল্লাম, ইলিশ পাতুরী সবই খাওয়ানো হয়েছিলো। দেখিয়ে আনা হলো মাইকেল মধুসুধন দত্তের বাড়ি। ওকে উপহার দেওয়া হলো যশোরের বিখ্যাত শিল্প যশোর স্টিচের একটা শাড়ি এবং একটা বেডশিট। সেই শাড়ি পরিয়ে তার সাথে ছবিও তুললাম আমরা ক্যামেরাম্যান ডেকে। সেই ছবিটা বড় করে বাঁধাই করা আছে আমাদের যোশরের বাড়ির অন্দরের বারান্দায়। সব আয়োজন উৎসব শেষে ফিরে গেলো বিদেশিনী বউ আর তার হাসব্যান্ড। আবারও পুরো বাড়িতে এত লোকজনের মাঝেও শ্রান্তি নেমে এলো।
বড় চাচীমা শুধুই কাঁদেন। সেই নিশব্দ কান্নায় বুক ফেটে যায় আমার। খোকাভায়ের সাথে সাথে বড়চাচীর জন্যও খুব কান্না পায় আমার। বড়চাচীমা নিশব্দে হলেও কাঁদতে পারে কিন্তু আমার বুক ফেটে যায় তবুও সেই কান্না বুকে চেপে রাখতে হয়। আমার তো খোকাভাইয়ের জন্য কান্নার কোনো অধিকারই নেই। কেউ জানতে পেলে কেটে দু টুকরো করে ফেলবে। আর তাই আমার ভেতরে ভেতরে গুমরে কাঁদে। খুব কষ্ট হয় আমার তবুও কাউকেই বলতে পারিনা সেই কষ্টের কথা।
বাড়িতে যতক্ষন থাকি একটু টুক করে শব্দ হলেও চমকে উঠি। খোকাভাই কি ফিরে আসলো! যখন স্কুলে যাই সারাটা পথে আমার দুচোখ খোকাভাইকেই খুঁজে ফেরে। কিন্তু খোকাভাই কোথাও নেই। যেন ভোজবাঁজির মত উধাও হয়ে গেছে হঠাৎ এ শহর থেকে! সামনে আমার তখন এস এস সি পরীক্ষা। অথচ মন নেই আমার পড়ালেখায় এক ফোটাও। নিজেকেই মনে মনে দোষারোপ করি আমি। আমার মন বলে খোকাভায়ের প্রতি আমার এই কদিনের অবহেলা সইতে পারেনি আমার খোকাভাই। নিজেকেই প্রশ্ন করি, কেনো আমি এই কদিনের উৎসবের ডামাডোলে খোকাভাইকে ভুলে ঐ বিদেশিনীর দিকেই হা করে তাকিয়ে রইলাম। মোটেও তা উচিৎ হয়নি আমার।
তেরো দিন কেঁটে যাবার পর চাচীমা আর সইতে না পেরে দাদুর পায়ে গিয়ে পড়লেন। দাদুর কাছে থেকে তার প্রানের নিধিকে খুঁজে দেবার কথা এক প্রকার আদায় করেই ছাড়লেন চাচীমা তার এক বুক চোখের জলে। দাদু শহরের সকল প্রান্তেই খোঁজ পাঠালেন। পরদিন ভর দুপুরে সেদিন এক ছুটির দুপুর ছিলো। আমরা সবাই খেতে বসেছি। এমন সময় সেজোচাচা কোথা থেকে সাথে করে নিয়ে আসলেন খোকাভাইকে। বাড়িতে পা দিয়েই বড় চাচীমাকে ডাকলেন। আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়লাম সেখানে। উস্ক খুস্ক চুল, চোখের নীচে কালী, মলিন পোশাকের সেই খোকাভাইকে দেখে সবাই যেন সার্কাসের ক্লাউন দেখছিলো। আমার বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠলো। এ কদিনে কি হাল হয়েছে খোকাভায়ের! সেজোচাচা বড় চাচীমাকে ডেকে বললেন, ওকে কিছু খেতে দাও। না জানি কতদিন না খেয়ে আছে। বড়চাচীমা খোকাভাইকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মত কাঁদছিলেন।সেজোচাচী গিয়ে ধরে আনলো বড়চাচীমাকে আর ছোট চাচী খোকাভাইকে নিয়ে এলো আমাদের সাথে খেতে বসাবার জন্য।
জীবনে এই প্রথম খোকাভাই এই টেবিলে বাড়ির আর সব ছেলেমেয়েদের সাথে খেতে বসলো। আমি লম্বা টেবিলটার অন্য দিকে ছিলাম। ভয়ে ভয়ে সকলের চোখ ফাকি দিয়ে তাকাচ্ছিলাম ওর দিকে। কিন্তু খোকাভাই একটা বারের জন্যও আমার দিকে তাকালো না। মাথা নীচু করে বসে রইলো। ছোটচাচী ভাত বেড়ে দিলো খোকাভাইকে। হাত ধোবার জন্য সাবান আর জলের গামলাও নিয়ে আসলো। খোকাভাইকে খুব পরিশ্রান্ত লাগছিলো। এক কাপড়ে এতগুলো দিন। গোসলও করেনি মনে হয়। ছোটচাচী বললেন খাও, খোকাভাই বিনা প্রতিবাদে গোগ্রাসে খেতে শুরু করলেন। বড়চাচীমাকে দাদীমার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। কাজেই খাওয়াবার দায়িত্বে ছিলেন ছোটচাচী। সবাই খাওয়া ফেলে হা করে খোকাভাইকে দেখছিলো। পিংকু হঠাৎ বলে উঠলো, তুমি বাড়ি থেকে পালিয়েছিলে কেনো? সবাই হেসে উঠলো। ছোটচাচী পিংকুকে ধমক দিলো। চুপ, খাও এখন। সে সব দিনে আমরা সকল ভাইবোনেরা কারণে অকারনে হাসতাম। সে মানুষের দুঃখই হোক আর সুখের ঘটনাই হোক। ঠিক এ কারনেই হয়তো খোকাভায়ের ওমন দুঃসময়েও পিংকুর কথা শুনে সবাই হেসে উঠেছিলো শুধু আমি ছাড়া।
খোকাভাই এরপর সারা দুপুর পড়ে পড়ে ঘুমালো। খোকাভাই চাচীমার ঘরে থাকায় একটা কথাও হলো না তার সাথে। এমনকি সন্ধ্যার পরেও ছাদের ঘরে ফিরলো না খোকাভাই। আমার মনটা খোকাভায়ের সাথে একটু কথা বলার জন্য আকুপাকু করছিলো। জানতে চাইছিলো, এতদিন কোথায় ছিলো খোকাভাই বা ঠিক কি কারণে সেদিন সে চলে গিয়েছিলো? রাতের খাবারের সময় খবর পেলাম খোকাভাই গোসল সেরে সন্ধ্যারাতেই রাতের খাবার সেরে ছাদের ঘরে গেছে। সবাই জানার জন্য উৎসুক ছিলো যে এতদিন কোথায় ছিলো খোকাভাই? কিন্তু সে সব কিছুই জানা যায়নি। সেজোচাচা কাউকেই কিছুই বলেননি বা কাউকেই জানাননি যে এতদিন কোথায় ছিলো খোকাভাই বা কোথা থেকে তাকে ধরে আনলেন তিনি।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গলো আমার। আমাদের বাসার পিছনের বাগান থেকে ঝি ঝি পোকার শব্দ আসছিলো। চারিদিকের শুনশান নীরবতার মাঝে সেই একটানা ঝি ঝি ডাকের মাঝে কি যেন এক ঘোর ছিলো। অনেকটাই সন্মোহনী বা ভূতগ্রস্ততা। আমি পা টিপে টিপে ঐ মধ্যরাত্রীতেও সিড়ি বেয়ে চলে গেলাম খোকাভয়ের ঘরে।খোকাভাই ঘরে ছিলো না। ছাদের কোনার দিকের ছোট পানির ট্যাংকটার উপর চুপচাপ বসে ছিলো। হাতে ছিলো জলন্ত সিগারেট। সিগারেটের আলোর ছোট্ট বিন্দুটা টানের সাথে সাথে জোরালো হয়ে উঠছিলো আবার কমে যাচ্ছিলো। কিন্তু সবচেয়ে অবাক হলাম এই প্রথম তাকে দেখলাম সিগারেট হাতে। এর আগে আমি খোকাভায়ের এমন কোনো অভ্যাস দেখিনি। আমি অতি সন্তর্পণে খোকাভায়ের পিছে গিয়ে আস্তে করে ডাকলাম, খোকাভাই?
খোকাভাই চমকালো না। তাকালো একটু। আবার মুখ ফিরিয়ে নিলো। কষ্টে আমার বুক ফেটে যাচ্ছিলো। বললাম, খোকাভাই কোথায় চলে গিয়েছিলে? খোকাভাই কোনো উত্তর দিলো না। আমি ওর পাশে বসে হাত ধরে ঝাঁকি দিলাম।আবারও বললাম, কোথায় চলে গিয়েছিলে তুমি? বলো আমাকে? খোকাভাই সিগারেট নীচে ফেলে পায়ের তলে পিষে ফেললো। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। আমার বুকের ভেতরটা ব্যাথায় মুচড়ে যাচ্ছিলো। আমি বুঝতে পারছিলাম খোকাভায়ের অনেক কষ্ট! কিন্তু ঠিক কিসের কষ্ট জানতাম না আমি। সেই কষ্টের পরিমান বা কারনটা আসলে কতখানি বুঝতেই পারছিলাম না আমি। আমি বললাম, বলবেনা? খোকাভাই বললো, বলবো। উঠে দাঁড়ালো খোকাভাই। তারপরও কিছু না বলেই রেলিং এর ধারে গিয়ে দুহাতে আলসে ধরে চুপ করে নীচে তাকিয়ে রইলো। আমি পানির ট্যাংকের উপর বসেই ছিলাম। হঠাৎ খোকাভাই আমার সামনে এসে আমার মুখটা দুহাতে ধরে হাউ মাউ কেঁদে উঠলো। বললো, আমাকে ছেড়ে কখনও যাবি না নীরু। বল বল কখনও যাবি না। আমি বোকার মত হা করে তাকিয়ে রইলাম এত বড় ছেলের এমন হাউ মাউ কান্না দেখে। সব সময় শুনেছি ছেলেদের কাঁদতে নেই। কাঁদে শুধু মেয়েরা। খোকাভাই আমার সকল ভাবনা ভুল করে দিলো।
ভোর হয়ে আসছিলো তখন। একটু পরেই আজান দেবে। হাউমাউ করে কাঁদছিলো খোকাভাই। হাঁটুগেড়ে আমার পায়ের কাছে বসে দুহাতে আমার দুই পা জড়িয়ে বসে রইলো অপ্রকৃতস্থের মত। ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো খোকাভাই, বারবার বলছিলো, তুই আমাকে কথা দে, কখনও আমাকে ছেড়ে যাবি না। কথা দে নীরু। খোকাভায়ের মত ওমন অতো বড় একটা ছেলে এমন করে কাঁদতে পারে বিশ্বাসই হচ্ছিলো না আমার। আমার কোলের উপর খোকাভায়ের মুখ। আমার জামা ভিজে যাচ্ছিলো তার চোখের জলে। আমি তখন তার এ হেন কান্ডে এতটাই অবাক ছিলাম যে আমার বোধ বুদ্ধি জ্ঞান সবই লোপ পেয়েছিলো। হঠাৎ উঠে দাঁড়ায় খোকাভাই। এক ঝটকায় টেনে তোলে আমাকে। ঐ আধো আলো ফোটা ভোরের আলোয় জ্বলজ্বল করছিলো খোকাভায়ের কান্নাভেজা দুই চোখের তারা। ভীষন ভয় লাগছিলো আমার। চোখ মুঁদে ফেললাম আমি। হঠাৎ উষ্ণ গভীর চুম্বনে বোধহীন আমি কাঁপতে থাকি ঘোরগ্রস্থা হরিনীর মত। এক ছুটে পালিয়ে আসি ওখান থেকে।
এরপর সারাদিনমান জড়িয়ে থাকে আমাকে সেই ঘোর, ভোরের আধো আলো ছায়া, তপ্ত নিশ্বাস আর সাথে সিগারেটের হৃদয়পোড়া গন্ধ।
আগের পর্ব
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: আমি জানি বন্ধু জানি তোমার আছে তো হাত খানি.......
হা হা পোড়া বেগুনভাইয়া এখনও ভর্তা হওনি!!!
জানি বন্ধু জানি
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক সাহস তো খোকা ভাইয়ের !
তোমার তারচেয়ে বেশি থুক্কু নীরুর, আবার নিরার ভেবে বসো না কিন্তু।
এমন লেখা কিন্তু বারবার পড়তে ক্লান্তি আসে না
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমার সাহস সবচেয়ে বেশি!!!
না না নীরু হোক নীরা হোক আমার কি!!!
আমার কিছুই যায় আসে না তো!!
তারা তো নীরু ভীরু!!
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাঁদরনাচ, সাপের খেলা, বায়স্কোপ, হাওয়াই মিঠাই, শনপাপড়ি কত কিছুর কথা মনে পড়ে গেল আপনার এই অসাধারণ লেখা থেকে।
১৯৯৪ সালে আমরা কয়েকজন মধুসুদনের বাড়ি দেখতে গিয়েছিলাম।
আপনার সাথে সাথে খোকা ভাইয়ের জন্য আমারও বুক ফেটে কান্না পাচ্ছিল। ওনাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে আমি দরকার পড়লে বাটি চালান দিতাম। যাই হোক খোকা ভাই ফিরে এসেছে জেনে খুব ভালো লাগছে। নায়িকার কোলে চড়ে কান্নাকাটি করে নায়িকার জামা ভিজিয়ে ফেলেছে। নায়িকার এখন দায়িত্ব হল এই দুগ্ধপোষ্য শিশুকে পেলে পুষে বড় করা। নইলে আবার কোন দিন হাওয়া হয়ে যায় বলা তো যায় না।
আপনার গল্পের কাহিনী আমি যেন নিজের চোখের সামনে দেখতে পাড়ছি।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা চুয়াত্তর ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!! তোমার কমেন্ট পড়লে হাসতে হাসতে যেমন মরি লেখার সময়ও মনে হয় এই যে আসলো পাজী ভাইয়ু চুয়াত্তর!!!!!!!!!!!!
আমারও মনে পড়ে যায় হাওয়াই মিঠাই ছোট্ট ছোট্ট কাঁচের বাক্সে। এখন কি সব ক্যান্ডিফ্লস খস মস বাজে বাজে বাজে আর হলদিরামের শনপাপড়ি!!!!!!!!! ইয়াক ইয়াক ইয়াক!!
যাইহোক ঢুকি ভাইয়ু মাহা ভাইয়ু এদেরকেও মিস করি।
যাইহোক এখনই বাটি চালান দাও তো! তোমাকে খোকাভায়ের নাম ধাম পরিচয় আর মাথার চুল দিয়ে দেবো।
আর কি যে বলো আজকাল ১ বছরের বাচ্চাকেই কেউ বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাখতে পারে না আর খোকাভাই তো বুড়ো খোকা!
তারে তো যখন তখন হাওয়া উড়ায় নিয়ে যায়!
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরের চুম্বন নায়িকার পক্ষ থেকে না হলে কিন্তু পড়া বন্ধ করে দেব বলে দিলাম।
আপনার লেখাটা অনেক ভালো লাগছে।
দুজনে ছাদের উপর কুতকুত/এক্কা দোক্কা খেললেই তো পারে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ ইন্নিননিল্লাহ তওবাসতাগফিরুল্লা!!! তুমি না কত ধার্মিক!! নায়িকাকে পাপ করতে বলো কেনো!!!!!!!!!
হায় হায় হায় গেছি গেছি গেছি!!!!!!!!
নায়িকা ভালা মানুষ ......
সে এক্কেবারে ধোয়া তুলশী পাতা!!!!!!!!!!
তারে বিয়ে দিতে হবে নইলে বলাও যায় না তোমার কথা শুনে যদি আবার পাপের পথে পা বাড়ায়!!
বিয়ে দিয়ে দেই তাইলেই নো প্রবলেমো!! ওক্কে!!!!!!!!!!!!
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আসলে ধার্মিক না। ধর্ম নিয়ে লিখলেই কি ধার্মিক হয় নাকি। কত পাপ করছি আমিই জানি।
ঠিক আছে নায়িকা ধোয়া তুলসি পাতা হয়েই থাকুক তাহলে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৭
অপ্সরা বলেছেন: না জেনে পাপ করলে তো পাপ হয় না ভাইয়ু!!!
জেনে শুনে কি কি পাপ করেছো বলো!
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক সময় অনেক পাপ করেছি। এখনও কিছু পাপ করি। যেমন গীবত করা উচিত না। কিন্তু অনেক সময় করে ফেলি। মেয়েদের দিকে তাকানো উচিত না। কিন্তু অনেক সময় তাকিয়ে ফেলি। নামাজ অনেক সময় অলসতার কারণে বাদ পড়ে যায়। টাখনুর উপর প্যান্ট পড়া উচিত। কিন্তু মানছি না। খুজলে আরও পাওয়া যাবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০
অপ্সরা বলেছেন: গীবত করা আর শয়তানী করা মানুষগুলোর শয়তানী নিয়ে বলা এক জিনিস না। আমার মতে নো পাপ। কারণ সে সব না বললে কেমনে তারা নিজেকে শোধরাবে!!!
মেয়েদের দিকে না তাকায় কি তুমি চোখ বন করে হাঁটবে নাকি!!!!!!!! তাইলে তো সোজা পপাৎ ধরনীতল!!! কাজেই নো পাপ। দরকারে সামনে তাকাও আর তারা সামনে পড়ে যায় কাজেই কি আর করা?
নামাজ বাদ পড়ে যায়!!! ছি ছি অলসতা বড় খারাপ জিনিস। পরিহার করো!
টাখনুর উপর প্যান্ট! তাইলে তো অফিসের বস রেগে যেতে পারে। না না এই সব কোনো পাপই না .......
কাজেই নো চিন্তা......
এত চিন্তা করেছো যখন আল্লাহ নিশ্চয় মাফ করে দেবে।
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২
একলব্য২১ বলেছেন: পরে আসবো আপু। মোবাইল থেকে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ভাইয়ু!!! পরে এসো!!
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্যরি, এ সিরিজটা আমি পড়ি নি। একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসার করতে এলাম। উত্তর এড়িয়ে যেতে পারেন দিতে না চাইলে।
সিরিয়াস প্রশ না
এটা কি নতুন লেখা, নাকি আগে, মানে ২০০৯/১০/১১-এর দিকে কি পিডিএফ হিসাবে শেয়ার করেছিলেন?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: খোকাভাই সিরিজ কাব্য ছিলো।
এত ডিটেইলস লিখিনি।
সেই কাব্যরুপের নাট্যরুপ বলতে পারো হা হা
৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে বাটি চালান লাগবে ঢুকিচেপা এবং মাহা ভাইয়ের জন্য।
ওনারা দুজনেই অনেক মজার মানুষ ছিলেন। ঢুকিচেপা ভাই অনিয়মিত। আর মাহা ভাই অজ্ঞাত কারণে অনুপস্থিত।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৬
অপ্সরা বলেছেন: বাটি চালান দিয়াও তাহাদের বাটি খুঁজিয়া পাওয়া যাইবেক লাই।
ঢুকিভাইয়ুর বাটির হদিস আছে।
১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৪
কামাল৮০ বলেছেন: অভিজ্ঞতা ছাড়া অমন করে লেখা যায় না।একেবারে অভিজ্ঞতা ছাড়া কল্পনায় বেশি দুর যাওয়া যায় না।সে আপনি যতই বলুন নীরা হোক নীরু তাতে আমার কি!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
কেনো থ্যাংক ইউ আমি তোমাকে বলতে চাই লেখা শেষে।
ফিলিং লাইক শরৎচন্দ্র!!! হা হা হা
১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪২
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু, ইলিশের কাটা বেছে দেয়া হয়েছিল কি বিদেশিনীর ? নাইলে কিন্ত কাটা বাধে যাবে গলায়। বিদেশিনিরা কিন্ত মাছের কাটা বেছে খেতে পারে না।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
অপ্সরা বলেছেন: ওপস!! এই কথাটাই ভেঙ্গেচুরে লিখবো ভেবেছিলাম!
ভুলে গেলাম! ধ্য ৎ..........
যাইহোক শোনো কোনো বিদেশী কাঁটা না খেতে পারলেও এই আফ্রিকান মহিলা তো মনে হয় কাঁচা ইলিশও কাঁটা শুদ্ধ খেয়ে ফেলতে পারতো কড়মড়!!!
প্রথমদিন তাকে চাঁদপুরের ইলিশ কোন দেশী স্টাইলে যেন গবেষনা করে চাচীমারা রাঁধলেন দাদীমার নির্দেশে..... সেই ইলিশ মসলা মাখিয়ে সাথে সস টস দিয়ে অনেক বড় হাড়িতে অনেকখানি পানি দিয়ে মুখ বন করে আটা গুলে অনেকখন জ্বাল দিয়ে রাঁধা হয়। সেই রান্নার নাম কাঁটা গলানো ইলিশ। রান্নার পর তুমি যখন চামচ করে খেয়ে খাবে মনে হবে যেন সেটা ইলিশ মাছের হালুয়া। মানে কাঁটার নাম গন্ধ নেই।
সেই মাছ খাওয়ানো হলো। তখন পিংকুকে কাঁটা বেছে দিচ্ছিলো ভাজা মাছের ছোট চাচীমা তাই দেখে বউটা খেতে চাইলো। সবাই বললো অনেক কাাঁটা। বউটা তখন কাঁটা গলানো মাছ রেখে ভাজা কুড়মুড়ে মাছ করমড়িয়ে খেতে লাগলো। পিংকু কি সাধে বলতো কালী মা।
১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
বায়োস্কোপ দেখার অনুমতি ছিলোনা কেনো?
শনপাপড়ি খুব মজাদার একটা খাবার ।
ভাষা না বুঝলেও তাকে নিয়ে কেউ টিজিং করলে বোঝা যাওয়ার কথা ।
লুক নিয়ে কিছু না বলা বেটার । পিংকু ছোট তাই না বুঝে বলেছে ।
বাড়িতে যতক্ষন থাকি একটু টুক করে শব্দ হলেও চমকে উঠি। খোকাভাই কি ফিরে আসলো!
যখন স্কুলে যাই সারাটা পথে আমার দুচোখ খোকাভাইকেই খুঁজে ফেরে।
হুম এই অনুভূতিটা ভালো লেগেছে । হারানো প্রিয়জনকে মানুষ এভাবেই খোঁজে ।
খোকাভাই কাজটা ঠিক করেনি । মাকে এভাবে কষ্ট দেয়া ঠিক না ।
সে সব দিনে আমরা সকল ভাইবোনেরা কারণে অকারনে হাসতাম। সে মানুষের দুঃখই হোক আর সুখের ঘটনাই হোক।
আমার কাজিন একবার মৃতব্যক্তি ভিজিট করতে গিয়ে হেসে দিয়েছে ।
হিন্দু বৃদ্ধ মহিলা ন্যাড়া মাথা থেকে চুল উঠেছে ।
সেই অবস্থায় মারা যাবার পর যে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিলো, সেই মাথার খাড়া চুল কাপড়ের ভিতর দিয়ে বার হয়ে আসছিলো। এটা দেখে ওখানেই হাসি ।
এক বাসায় দাওয়াতে গিয়েছি আপু ।
অল্প জায়গায় নামাজ পড়তে গিয়ে সবার ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে । একজন আরেকজনের ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছে ।
এটা দেখে আমার এমন হাসি, অনেক কষ্ট করেও আমি হাসি কন্ট্রোল করতে পারিনি ।
তারপর নামাজ শেষে ওরা আমাকে প্রায় মারতে আসে ।
খোকাভাইয়ের কান্নাটা বেশী হয়ে গেছে ।
লাস্ট পর্ব পর্যন্ত এমন কঠিন প্রেম দেখা যায়নি যে কয়দিন দেখেনি বলে এভাবে কাঁদবে ।
গল্পের শেষে আদরটা ভালো লেগেছে ।
গুড জব আপু ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭
অপ্সরা বলেছেন: বায়োস্কোপ টায়োস্কোপ সিনেমা টিনেমা পিকনিক ঝিকঝিক যাই করতে যাবে তারা তাতেই নিষেধের বেড়িকাঁঠ ছিলো নীরুদের।
কিছুই না অকারণ বাড়াবাড়ি প্যরানে্টিং তাও আবার বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। দেখছোনা একটার পর একটা বিঁধিনিষধের বেড়া টপকিয়ে ঠিকই অবাধ্য ছিলো অনেকেই। এইসব করে কাউকেই কখনও আটকানো যায় না।
হ্যাঁ ঐ বউটা অনেক বুদ্ধিমতী একজন মানুষ এবং অনেক বেশি ভালো মানুষ ছিলো। সেও হয়ত ঠিকই বুঝেছিলো পিংকুর ফিক ফিক হাসি দেখে। সবচেয়ে বড় কথা সে অনেক বাংলাই আসলে বুঝতো বাংলাভাষাভাষী হাজব্যান্ড হবার কারণে।
হুম এমনই হয় মানুষ যখন কারো আশায় দিন গোনে এবং বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না......
দিবস রজনী আমি যে কার আশায় আশায় থাকি
তাই চমকিত মন চকিত শ্রবন তৃষিত ব্যকুল আঁখি.....
গানটা শোনো আপুনি
হা হা হা হা হা আপুনি তোমার কাজিনরা তো মনে হয় নীরুপমাদের আত্মীয়!!!!!!!!!! হা হা হা এমন দৃশ্য তো আমি দেখতে পাচ্ছি এবং এখুনি হাসতে হাসতে মরছি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
নামাজ পড়তে গিয়েও মারামারি!!!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা হা
একবার নাকি মসজিদে একজন সিজদা দিয়েছে আর পকেট থেকে ওয়ালেট পড়ে গেছে আর এক ছেলে পাশ থেকে সেটা তুলে দৌড়!!!
হা হা হা হা চোরও নামাজ পড়ে কিন্তু নামাজ ছেড়ে তার মন ওয়ালেটে!!!!!!!!!!!!! হা হা হা নামাজ পড়ে ভালোমানুষ ঐ লোকের কি অবস্থা চিন্তা করো। আল্লাহর নাম করতে গিয়ে চোরের কাছে বোকা। আল্লাহ চুয়াত্তর ভাইয়া যেন এই কমেন্ট না দেখে।
খোকাভাই তো আস্ত এক বোকা ভাই হয়ে নীরুকেই বোকা বানিয়ে দিলো।
কদিন না দেখার জন্য আসলে কাঁদেনি। কেনো কেঁদেছে সেটা সেই বয়সে নীরু না বুঝলেই এই বয়সে নিশ্চয় বুঝে।
আচ্ছা সাইকোলজিক্যালী ব্যখ্যা করি-
একজন হঠাৎ এতিম হয়ে যাওয়া ছেলে যখন কোথাও কোনো আশ্রয় না পেয়ে নিজের অধিকার পাবার যোগ্য স্থানে এসেও অনধিকারের মত আশ্রয় পায়। তখন সেই পরাশ্রয়ী মানুষটার জীবন হয় বাগানের পরগাছার মত। অনাদরে অবহলোয় যা পরিনত বয়সের মানুষ মানতে পারলেও ঐ বয়সের ছেলেমেয়ের জন্য ক্ষতিকর। চাচীমা মেনে নিতে পারলেও খোকাভাই পারেনি। সে জানতো বুঝতো অধিকার থাকা সত্বেও ঐ বাড়িতে সে সকলের কাছে উপেক্ষিত ছিলো। যা ভালোবাসা বা মূল্য পেয়েছিলো সেটা নীরুর কাছেই আর সেই নীরুই যখন বেশ কদিন তাকে ভুলে থাকলো নতুন আনন্দ ঐ বিদেশিনী বউটাকে পেয়ে। তখন খোকাভায়ের বড় বেশি মূল্যহীন মানুষ মনে হয়েছিলো নিজেকে।
পৃথিবীতে একমাত্র মা ছাড়া কেউ আপন ছিলো না তার। ঐ বয়সের প্রতিটা মানুষ থাকে ভালোবাসার কাঙ্গাল। আর খোকাভায়ের দিন তখন কাটছিলো ভালোবাসাহীন। মাকেও কাছে পাচ্ছিলোনা সে। কেউ ছিলোনা তার আশে পাশে। যে ছিলো তার এতটুকু অবহেলা সহ্য করতে পারেনি সে।
১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু এক টানে পড়া যায় এমন গল্প। আর বায়োস্কোপ শনপাপড়ি ঘি চমচমও ছিল যা ভাঙা গ্লাস দিয়ে কেনা যেত। আহা সেই দিনগুলো। বান্দরে উকুন আনতো এসব দেখছিলা? বান্দর নাচ সাপ খেলা আর বাইদ্দানিরা হুক্কাই জুক্কাই দাঁতে পোক্কাই বলে আসতো বাড়িতে বাড়িতে। ব্যাঙের বিয়ে হত
কত স্মৃতিময় দিনগুলো খোকা ভাইয়ের জন্য স্মৃতি রোমন্থণ করা গেল
খুব সুন্দর আপু
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
অপ্সরা বলেছেন: আপুনি আমি জানি এই গল্প কে কে মন দিয়ে পড়বে তাই তোমাকে আর মনিরা আপুকে জানাই প্রতি পর্বের পরে।
ঘি চমচম ভাঙ্গা কিছু দিয়ে কিনবার কোনো রাইট ছিলো না নীরুদের।
বান্দরের উঁকুন আনাও দেখেনি তারা।
ব্যাঙের বিয়েও না।
তবে বেঁদে সাপের খেলা বাদর নাচ শন পাপড়ি হাওয়াই মিঠা জানে নীরু।
১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনার এই গল্পটায় গ্রামের ছোট ছোট অনেক বিষয় উঠে আসছে, যা এখন কার ছেলেমেয়েদের কাছে প্রায় অপরিচিত।
গল্প মনে হয় এই আগামী পর্বে পূর্ণতার পথে প্রথম পদক্ষেপ নিবে!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া।
এই অতীত আমাদের শহরের বিশেষ করে ঢাকার ছেলেমেয়রা জানবে না কোনোদিন হয়ত।
জানিনা ঢাকা শহরে সেই শন পাপড়ি আর পাওয়া যায় কিনা বা সেই কাঁচের বাক্সে অদ্ভুৎ স্বপ্নীল হাওয়াই মিঠা্য।
১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশেষে হল হল প্রেম হল।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
অপ্সরা বলেছেন: আগেই হয়ে হয়ে যাচ্ছিলো তো!!!!!!!!!
১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: ~ এরপর সারাদিনমান জড়িয়ে থাকে আমাকে সেই ঘোর, ভোরের আধো আলো ছায়া, তপ্ত নিশ্বাস আর সাথে সিগারেটের হৃদয়পোড়া গন্ধ।
খোকা ভাই কথা রাখননি নাকি সেই হরিনী ফাঁকি দিয়েছিল অবশেষে?? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে পরের পর্বগুলোতে।
বুঝতে পারছি আপনার হাত থেকে নিস্তার নেই!!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা নো নিস্তার ভাইয়ামনি!!!!!!!! কত কষ্ট করে সময় বের করি লেখার জন্য।
জীবন ঝামেলাময়...... ব্যস্ততাময়!!!!!!!!
১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চোর, বাটপার মক্কার মসজিদুল হারামেও আছে। কাবার চারপাশে তওয়াফ করার ছলে কিছু বোরকা পড়া চোর মহিলা চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত থাকে। এরা হাত ব্যাগ থেকে চুরি করার চেষ্টা করে। এরা সাধারণত আশে পাশের গরীব আরব দেশগুলি থেকে আসে। তবে আমি অনেক আগের ঘটনা বলছি। এখন হয়তো এইভাবে চুরি করে না।
আমি যখন ২০১৭ তে হজ্জে যাই তখন একদিন মসজিদুল হারামের ভিতরে এক ব্যক্তি পাশাপাশি হাটতে হাটতে আমাকে বলে যে সে ইংল্যান্ড থাকে। সেখানেই বহু বছর বাস করছে। তার টাকার ব্যাগ হারিয়ে গেছে। আমি যদি তাকে কিছু টাকা দেই তাহলে সে দেশে গিয়েই আমাকে ফেরত দিয়ে দিবে। আসলে এগুলি এক ধরণের প্রতারনার পদ্ধতি। অনেকের সাথেই হয়। আমি অবশ্য ফাঁদে পা দেইনি। দুই এক বছর আগে আমার এক বন্ধু এবং তার স্ত্রী সহ কয়েকজনের সাথে এই রকম ঘটনা ঘটেছিল।
মদিনাতে এক আরবি দম্পতি গাড়িতে বসে একদিন সন্ধ্যায় আমাকে কাছে ডাকল। মহিলার কোলে ৫/৬ মাসের একটা শিশু। তার স্বামী গাড়ি চালাচ্ছে। লোকটি আমাকে বলল যে তার টাকা শেষ। তার গাড়ির তেলের টাকা দিলে বিশেষ উপকার হবে। আমাকে দূর থেকে দেখছিল একজন বাঙ্গালী দোকানদার। সে আমাকে হাতের ইশারায় সতর্ক করলো। আমি অবশ্য এমনিতেই বুঝেছিলাম। এরা অনেক সময় গাড়িতে উঠতে বলে পড়ে ছিনতাই করে মরুভূমির মধ্যে নামিয়ে দেয়।
ঢাকার অনেক বড় বড় মসজিদে লেখা থাকে জুতা চোর হতে সতর্ক থাকুন।
অনেক আগে বনানী মসজিদে নামাজ পড়ার পড়ে আমার জুতা চুরি হয়ে যায়। পরে ইমাম সাহেব আমাকে একটা স্যান্ডেল দেয়। সেটা পড়ে বনানী বাজারে গিয়ে সেখান থেকে একটা জুতা কিনি। মসজিদে এসে ইমাম সাহেবের দেয়া স্যান্ডেল ফেরত দেই।
যারা এগুলি করে এদের কোন ধর্ম নাই আসলে।
এই ব্যাপারগুলি কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল। উপরে এক জায়গায় আমাকে স্মরণ করেছেন তাই না বলে পারলাম না। আপনার পোস্টের ক্ষতি করে থাকলে মুছে দিতে পারেন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: না ভাইয়া মসজিদে জুতা চুরি তো অনেক নরমাল একটা ব্যপার। কিন্তু কোন সাহসে যে তারা মসজিদের মধ্যে চুরি করতে ঢুকে। জানে কি ভয় নেই সেটাই ভাবি!!!
১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ব্লগে স্ট্যাটাস দেওনের ব্যবস্থা থাকলে লিখতাম
অপ্সরা জেগে আছে কেন?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২
অপ্সরা বলেছেন: আজকে বৃহস্পতিবার!!!!!!!!!!!!
তাই ঘুম চলে গেলো!!!
অন্যদিন ১১ বাঁজতেই ঘুমে পড়ে যাই আজকাল!!!!!!!!!!
লকডাউনে ক্লাস ছিলো ৬ টা থেকে ৮টা সকালে ওঠার তাড়া ছিলো না তাই তখন ২/৩/৪টাতেও ঘুমিয়েছি!
১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তি এবং শৈশবের এই ধরণের বিচিত্র অভিজ্ঞতা আপনার লেখালেখিকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করছে। লেখকদের বিচিত্র অভিজ্ঞতা থাকলে তারা অনেক কিছু সহজে বর্ণনা করতে পারে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আমি ঠিক করেছি আমার সকল সিরিজ নিয়ে আমি একটা লেখা লিখবো।
মানে সব কটি লেখার পিছনের ইতিহাস!
সেসব পড়ে আমাকে আবার মারতে এসো না।
দুই দুইবার দুই সিরিজ লিখে মানুষের হাত থেকে গণপিটুনি খাওয়া থেকে বেঁচেছি।
১। বসন্তদিন যা আমি আর প্রতিফলন লিখেছিলাম। লোকজন তো অতীব সত্য ভেবে আর একটু হলে আমাদের দুস্কে দুস্কিত হয়ে বিয়ে পড়ায় দেয় কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে। একটা আপু তো নিজে এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে গিয়েছিলেন আমাদের দুঃখে। এরপর একদিন প্রকাশ করে দিলাম আমিই সেই বরুণা। তখন সে সবার কি রাগ। পারলে আমাকে কেটে দু টুকরো করে। তারা ধরেই নিয়েছিলো আমাদের প্রেমটা সত্যি একদম জলের মত টলটলে হা হা । স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি এই স্বপ্নভঙ্গের ঘটনাটা।
২। আরেকবার স্পর্শিয়া নিক থেকে দ্বিতীয় জীবন নামে একটি এসিড ভিক্টিম মেয়ের আত্মকথা লিখতে গিয়ে। হা হা হা বলে দিলাম যখন পারলে লোকজন ধরে আমাকেই এসিড মেরে ঐ ভিক্টিম বানায়।
দিনের পর দিন এমন ঘোল খেতে খেতে এখন সকলে অতি শোকে পাথর হয়ে গেছে। আর আমার দুঃখে দুঃখিত হয় না শুধুই মজা করে। আহারে সত্যিকারের দুঃখও কেউ বুঝে না আর এমনই কলিকাল।
২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৬
অঙ্গনা বলেছেন: নীরুপমার দেশে বেড়াতে আইসা আপনার আমার লেখায় করা মন্তব্যটার মর্ম বুঝলাম।
তবে আমি তো যা সামনে দেখি সেইটা লিখলাম। আর এই লেখায় বুঝা যায় কতকিছু মনে রাখতে হয় ডিটেইলে।
মনে এই যে মনে করেন মা কালি বলা হাসাহাসি এতদিন পর কি মনে থাকে ?
খোকা ভাই নামটা যদি খোকা না হইত মনে হয় একটু পিনিক আসত গল্পে
নামে গণ্ডগোল করে দিছে যে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: অনেক দিন আগে রিকিমনি নামে আমার ব্লগ জীবনে দেখা সেরা ইন্টিলিজেন্ট ও জ্ঞানী মেয়ে ছিলো। তার কথার স্টাইলটা তোমার মত যদিও তোমার মত এক হাতে তব বাঁশের বাঁশরী আরেক হাতে রণতূর্য ছিলো না তার। কিন্তু কথার স্টাইলটা এমন ছিলো।
তোমাকে দেখে তাকে মনে পড়ছে। তুমি যা দেখো সেইটা লিখেছো এবং খুবই সুন্দর করে ভাব প্রকাশ করেছো । সো আই লাইক ইউ এন্ড ইওর রাইটিং!
খোকাভাই নামটারও তো ইতিহাস আছে অঙ্গনামনি!! বলবো সবই ঠিক করেছি। এইবারের মত গল্পটা শেষ করি তারপর সব বলে দেবো!
২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি আপনার জীবনের ঘটনা তা কিন্তু আমি বলিনি। কিন্তু এই ধরণের পরিবেশ আপনি হয়তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দেখেছেন। সেগুলিকেই জোগাড় করে এক জায়গায় হয়তো আনছেন গল্পের প্রয়োজনে। সাথে কিছু কল্পনার আশ্রয় নিচ্ছেন। যারা গল্প লেখে তারা অনেক কিছু স্রেফ কল্পনা করে আবার অনেক কিছু তার বিচিত্র অভিজ্ঞতা থেকে সংগ্রহ করে গল্পের উপযোগী করে প্রকাশ করে। সত্যতা থাকাটা জরুরী না।
আপনার এই গল্প কার গল্প সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নাই। গল্প বলাটা কেমন হচ্ছে সেটাই বড় কথা। আপনি কখনই ভাববেন না যে আমি ভাবছি এটা আপনার জীবনের ঘটনার সমাহার। এই গল্প হয়তো সত্য আর কল্পনার সংমিশ্রণ। কল্পনা করেই তো বড় বড় সাহিত্যিকরা কত কিছু লিখে ফেলেছেন। আমি এটাকে একটা সাহিত্যকর্ম হিসাবে দেখার চেষ্টা করছি। লেখক যদি এটাকে রহস্য হিসাবে রাখতে চায় সেই ক্ষেত্রে পাঠকের কি বলার থাকতে পারে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: পা দুইটা দাও। সালাম করি ভাইয়ু!!!!!!!!!!
একদম সত্য কথা মানে আমার মনের কথাই বলছো!!!
নিজেকে কি আর সাধে আমার আজকাল মহিলা শরৎচন্দ্র লাগছে!
হা হা হা হা
২২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৭
অঙ্গনা বলেছেন: ঐ সময় তাইলে আমি নিক খুলি নাই কেন
জানলাম না কেন আফসুস হইতাছে। আপনার লগে যেমন জমে গেছে আপনের মত
আপনের দেখা সেরা জিনিয়াসের সাথে তাইলে সেই মাপের জমত।
ফর শিউর আই সুয়ার এমুন প্যারা দিতাম উনারে সাথে নিয়া।
হাঃ হাঃ হাঃ
পুরা গল্প শুনতে শুনতে ভালো লাগতে ও পারে।
শুনব আপনার খোকা ভাই নামের হিস্টোরি।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০১
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!!
সেরা জিনিয়াস!!!
হা হা হা অনেক হাসলাম কিন্তু!!!
তুমিও সেই সেরা জিনিয়াসদের একজন ছিলে তাই না!!
মানে তোমার পূরব জনমের কেউ!
যাইহোক আর যেই হোক শুধু প্যারা ঝ্যারাই দিয়ে টাইম ওয়েস্ট করো না। সেসব সাইড বিজনেস। আসল বিজনেস মনের আনন্দে লেখা।
২৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
এক খোকাকে দিয়ে আরেক খুকিকে চুমু খাওয়াবেন সেজন্যে এতো কাহিনী বানানোর কি দরকার ছিলো!!!!!
বিদেশী বৌকে টেনে আনলেন, নিরুকে সেই বৌয়ের পেছনে ব্যস্ত রাখলেন, খোকাভাইকে কয়েকদিনের জন্যে রাস্তায় বনবাসে পাঠালেন এতো কিছু করতে হলো!
এতো কিছু না করে ঝপ্পাৎ করে খোকাভাইকে এনে কপ্পাৎ করে নিরুকে চুমু খাইয়ে দিতেন। একলাইনে কর্ম সাবার করতেন। এতো বিশাল করে গল্প লিখতে হতোনা। কী-বোর্ড টিপতে গিয়ে বেহুদা আঙুলগুলিকে কষ্ট দিলেন , কতোগুলি সময় নষ্ট করলেন। সেই সময়টাতে পার্লারে গিয়ে সাজুগুজু করে আসতে পারতেন।
তবে বলতেই হয়, যৌথ পরিবারের সময়ের পারিপার্শিকতাকে সুন্দর করে তুলে এনেছেন। তেমনি যৌথ পরিবারের সদস্যদের পারস্পারিক সম্পর্কটা্ও প্রায় নিখুত করে এঁকেছেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমি কি বানাইসি নাকি!!!!!!!!!!! নীরু তো বললো!!!!!!!!!! তার কাহানী!!!!!!!!!!!
বিদেশী বউ আসলে আমি কি করবো?? আর নীরু ভুলে গেলে আমার কি দোষ বলো!!!
ঝপ্পাৎ কপ্পাৎ করলে কি গল্প হয় নাকি!!!!! তাইলে তো এক লাইনেই গল্প শেষ!
না না পার্লারে সাজুগুজু করতে তো সময় লাগে কি বোর্ডে সময় লাগে না আমার আঙ্গুল রকেটের গতীতে চলে!!
আজও সন্দেহ আছে!!!!!!!!!!!
২৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অক্পটে বলেছেন: ১৩দিন কোথায় ছিল খোকাভা্ই? সিগারেট খাওয়া শিখল কি এই ১৩ দিনেই!!
খুব অল্প সময়েই পড়ে ফেললাম। ভালো লাগল।
৭ম অবশ্য লিখছেন, অপপেক্ষায় রইলাম।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: ১৩ দিন কোথায় ছিলো সে কথা তো বলছে না শয়তানটা! কি করবো বলো?
৭ম লিখেছি কিন্তু ফিনিশিং দেওয়া হয়নি
২৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১২
একলব্য২১ বলেছেন: তুমি পর্ব-৬ দিয়েছ তা আমি দেখেছি, তার জানান দিয়েছিলাম উপরের একটা কমেন্টে। কিন্তু পড়িনি, পড়ার মত অবস্থায়ও ছিলাম না আর এরমধ্যে সামুতেও ঢুকিনি। ভয়ঙ্কর মন খারাপ ছিল গত ৮ দিন যাবত। গত এক সপ্তাহ যাবত ক্ষুদের শরীর খারাপ জানার পর সমস্ত আনন্দ খুশি থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলেছিলাম। যেদিন ক্ষুদের ১০২ ডিগ্রী জ্বর হল সেদিনই ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। ডাক্তার বলেছিল জ্বর দুদিনের মধ্যে না কমলে ডেঙ্গু স্টেট করাতে। দুদিন অপেক্ষা না করে সেদিনই ডেঙ্গু স্টেট করানো হয়েছিল। পরের দিন পপুলার ডাইয়োগনেস্টিক সেন্টার থেকে রিপোর্ট জানা গেল ওর ডেঙ্গু হয়েছে। সাথে সাথে আজগর আলি হাসপাতালে কনসালট্যান্ট দেখানো হয়েছে। বাড়িতে থেকেই প্রতিদিন ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে complete blood count (CBC) করিয়ে Pletilet কত আছে বের করা হত। সব ঠিকই চলছিল। হঠাৎই একদিন রাতের দিকে শরীর খারাপ হয়ে যায় আর ওকে সাথে সাথে hospitalized করাতে হয়। এই সংবাদ জানার পর আমার অবস্থা কি হতে পারে তা তুমি অনুমান করতে পারো নিশ্চয়ই। ক্ষুদে বাড়ি ফিরেছে সুস্থ আছে। এবার আমি নিশ্চিন্ত হয়ে সামুতে ঢুকলাম। এবার আমি তোমার লেখা পড়বো। আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবো।
স্রস্টা তুমি মহান।
ক্ষুদের উপর আমার এই গভীর ভালবাসা আমৃত্যু পর্যন্ত থাকবে তো। পোড় খাওয়া পোংটা লোকেরা বলে সব ভালবাসারই নাকি একটা expiry date থাকে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: থাকবে হয়ত।
তবে জীবনের প্রয়োজনে ক্ষুদেই হয়ত বদলে যাবে! কে জানে ! নয়ত বদলাবে না।
কিন্তু এবারের ডেঙ্গু আসলেও ভয়াবহ!
আমার ক্লাসের একটা বাচ্চা মারা গেলো!
আমি এত্তই শকড ছিলাম।
ক্ষুদে ভালো থাকুক। অনেক অনেক ভালোবাসা আর দোয়া তার জন্য।
২৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৭
অঙ্গনা বলেছেন: এহহে এইসব বইল্লা তো সবার মনে সন্দেহ ইন করাইলেন।
ডোন্ট নো সবাই আমারে কার না কার প্রেতাত্মা ভাইব্বা বসছে। আমার পূর্ব জন্মের কাউরে তার লাইফ টাইমে কেউ জিনিয়াস ডাঃকে নাই। আগেই কিন্তু ক্লিয়ার কইরা দিলাম
নো নো আমি এইখানে লেইখা ইঞ্জয় করতাছি। প্যারাঝ্যারা কাউন্ট ও করি না
বাট হুদাই প্রব্লেম আমারে ইরিটেড করে। নিউ এপিসোড কবে ?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: নিউ এপিসোড অর্ধেক লিখেছি। ইনশাল্লাহ কাল বা পরশু!
কিন্তু তুমি তো সবার মনেই প্রশ্ন ধরিয়ে দিয়েছো! তুমি কে তুমি কে তুমি কে!!!!!!!!
২৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০০
অঙ্গনা বলেছেন: এনিহাও আমারে সবাই মনে রাখতাছে ব্যাপারটা নট ব্যাড ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৩
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!!!!!!!!!!!
এক্কেবারে উড়ে এসে জুড়ে বসা যাকে বলে। তোমার হয়েছে সেই দশা!!! হা হা হা
নতুন লেখা লেখোনি????
২৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১০
অঙ্গনা বলেছেন: বসছি তো লেখতেই।
শেষ হয় নাই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ওকে লিখে ফেলো তালাতালি!!
২৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৫৫
ককচক বলেছেন: খোকাভাইরে ঘরছাড়া বাড়িছাড়া কইরা, আউলাবাউলা কইরা শেষপর্যন্ত বিড়ি টানাইয়া প্রপোজ করাইয়া ছাড়লেন। এখন এই বিভিন্ন অধ্যায় ঘুরাইয়া বিশাল একটা ছ্যাকা খাওয়ানোর অপেক্ষা। আহা বেচারা!
স্টুডেন্ট লাইফে প্রেমে পড়লে পড়ালেখার বারোটা বেজে যায়। বইয়ের পাতা উল্টালে তার ছবি দেখা যায়, পড়ালেখা আর হয়ে উঠেনা। স্টুডেন্ট লাইফের প্রেমের মতন ভয়ানক আত্মঘাতী প্রেম আর কোনো বসয়ে সম্ভবত হয়না!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১১
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা তো কোন লাইফে প্রেমে পড়ে আর মানুষ!
বুড়াকালে তখন তো মানুষ হাসে!
কি জ্বালা.......
এই জন্যই কবি লিখেছেন- প্রেমের নাম বেদনা ......
৩০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩
রানার ব্লগ বলেছেন: মনের হরিণ মনেই রাখুন বাহিরে বেড়িয়ে এলে গুঁত বা কামড় দিতে পারে ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
অপ্সরা বলেছেন: হরিণ কামড়ায় নাকি!!!
তুমিও কি অন্যান্য সব পাগল দেখে নিজেও পাগল হয়ে গেলে নাকি!!!!!!!!
৩১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
ককচক বলেছেন: বুড়াকালে বা স্কুল লাইফ শেষে প্রেম হলেও সেই প্রেমে আবেগ খুব সামান্য থাকে, ফলে স্কুললাইফের প্রেমের মতো এতো রোমাঞ্চ থাকেনা।
প্রেমের নাম বেদনা, এটা সত্যকথা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০
অপ্সরা বলেছেন: স্কুল লাইফের প্রেম বুড়াকালের প্রেম মরণের আগের প্রেম সব প্রেমই এক। আসলে কোথাও কোনো কম বেশি নেই।
৩২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৯
ককচক বলেছেন: হতে পারে, তয় আমার মনে হয় বয়স বাড়ার সাথে সাতগে আস্তে আস্তে আবেগ অনুভূতি কইমা যায়
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: কতবার প্রেমে পড়েছিলে?
স্কুললাইফে আবেগ বেশি ছিলো বুঝলাম আর তারপর কি হলো?
৩৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেই বিদেশিনী ছোটচাচীকে নিয়ে মাতামাতিটা যেমন নিখুঁতভাবে বর্ণিত হয়েছে, খোকাভাই এর ফিরে আসার পরের আখ্যানটুকুও তেমনি চমৎকারভাবে বিবৃত হয়েছে। আর খোকাভাই এর মা, অভাগিনী বড়চাচীর দুর্ভাগ্য আর নিগ্রহের বর্ণনাটা অসাধারণ, অতুলনীয় হয়েছে। অত্যন্ত সংবেদনশীল একটা মন নিয়ে পর্যবেক্ষণ না করলে বড়চাচীর দুরবস্থাটা এমন বিশ্বাসযোগ্য এবং হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ধরা সম্ভব হতো না।
জানি, এটা শুধু একটা গল্পই তো মাত্র। রংচং তো কিছু থাকবেই। কিন্তু এটাও জানি, গল্প হলেও এটা একটা সত্যাশ্রয়ী গল্প। আপনার কলমের নিপুণ ছোঁয়ায় সব বর্ণনাই অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য এবং সত্য হয়েই প্রতিভাত হয়েছে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৫
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া........
সব গল্পই আসলে জীবনের আর সব জীবনই আসলে গল্পের।
কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা নিজেই ভুলে যাই ভাইয়ামনি!!!
৩৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও ২০০৮ কিংবা ২০০৯ সালে মধুসুদনের বাড়ি দেখতে গিয়েছিলাম। কচুরীপানায় ঢেকে যাওয়া কপোতাক্ষ নদের দুরবস্থা দেখে খারাপ লেগেছিল।
মন্তব্যের ঘরে মিরোরডডল এর পর্যবেক্ষণগুলো ভালো হয়েছে। আপনার 'সাইকোলজিক্যালী ব্যাখ্যা'টাও ভালো হয়েছে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৬
অপ্সরা বলেছেন: এটা অবশ্য কপোতাক্ষ ছিলো না।
এটা ছিলো ভৈরব!! মরা ভৈরব.......
মিররডলসহ আরও যে কত কত মনযোগী পাঠক আছে??
আমি ভেবে অবাক হই!!!
৩৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আসলে আমি কপোতাক্ষ নদের উল্লেখ করেছি সাড়ে চুয়াত্তর এর ৩ নং মন্তব্যের ৩ নং লাইন প্রসংগে। রেফারেন্স উল্লেখ করা উচিত ছিল, ভুলে গিয়েছিলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪
অপ্সরা বলেছেন: তাই বলো ভাইয়া......
নো প্রবলেম...... কপোতাক্ষে নায়িকাকে ঘুরায় আনতে পারলে আরও ভালো হত.......
৩৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫২
মুদ্দাকির বলেছেন: আহা সুগন্ধের সাথে স্মৃতি বা সুখ-স্মৃতির সাথে গন্ধ ব্যাপারটা না থাকলে কি আর হয়?? ঝিঁঝিঁর ডাক মিস করি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!!!!!!!!!!
ঠিক ঠিক ঠিক
৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপু আমাদের সময় হাওয়াই মিঠাই একটা কাচের চারকোনা বাক্সের ভেতর নিয়ে ঘন্টি বাজিয়ে বিক্রি করতো ।
তুমি মনে হয় সেই হাওয়াই মিঠের কথাই বলেছো । নতুন বউকে ঘিরে যতটুকু আয়োজন তার চেয়েও ভালো লেগেছে খোকা ভাইয়ের এই অনাকাঙ্ক্ষিত আগমনে । পরের পর্বে যাচ্ছি দেখি কখন সেই ঘোর কাটলো কারণ জীবনের প্রথম চুম্বন বলে কথা ...
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হুম সেই হাওয়াই মিঠার কথাই বলেছি আপুনি!!
৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিদেশিনীর বিদায় বেলায় স্মৃতিপটে চুলের বিনুনি তৈরি,তাকে গ্রামীণ বাংলার চিরাচরিত খাবারের সঙ্গে পরিচিত করানোর মাধ্যমে স্বার্থক অতিথি আপ্যায়ন ফুটে উঠেছে।
অবশেষে ১৩ দিন পর খোকা ভাইয়ের ফিরে আসায় পাঠক হিসেবে শান্তি পেলাম। তবে মধ্ রাতে কিশোরীর আগমন যে ভাবে তুলে ধরেছেন সেটা বাস্তবে কতোটা সম্ভব একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। যাইহোক তার অন্তর্ধান রহস্যের সুলুক সন্ধানের অপেক্ষায় রইলাম....
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: সেই বিদেশিনী এসবই করেছিলো। একেবারেই চুলের বিনুনী দিয়ে নিউ হেয়ার স্টাইল।
হা হা মধ্য রাত মধ্য দুপুর সেই সময়গুলো ছিলো কিশোরীর সকল ষড়যন্ত্রের মোক্ষম সময়।
৩৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: খোকা মিঞাকে পেত্নীর আছর করেছে....পাগল হওয়া ছাড়া আর গতি নেই মনে কয়...
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬
অপ্সরা বলেছেন: পাগলই তো হলো!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আমারে জিগান কেন?
আপনার মনের হরিণের খবর আপনিই জানেন না;
আমি জানবো কী করে?