নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেইদিনের পর থেকে আমার যে কি হলো! আমি আর সেই আগের আমি রইলাম না। হয়ে উঠলাম পুরোই আরেক আমি। আমার দুপদাপ চলাফেরা, হাউ মাউ চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করা বলতে গেলে প্রায় নাই হয়ে গেলো। ঐ রকম ডানপিটে টাইপ আচরণ কমে এসে আমি হয়ে উঠলাম এক অন্য আমি। কিছুটা শান্ত সুবোধ এবং আনমোনা। আসলে আমি তো সারাক্ষণ এক বাড়ি মানুষের মাঝে বসে বা পড়ার টেবিলে একাকী বসে শুধু সেই ভোরের বেলাটাকেই তখন ভাবছি। আয়নার বার বার নিজের চেহারা দেখি আর লাল হয়ে উঠি। নিজেকেই প্রশ্ন করি, নীরু তুই এত সুন্দর কেনো! হা হা (কেউ কিন্তু হাসবা না এখানে এই কথা পড়ে) যাইহোক বাড়ির সকলে খেয়াল না করলেও মা কিন্তু ঠিকই খেয়াল করলেন। সেটা আমিও খেয়াল করলাম। মা আমার দিকে কেমন সন্দেহের চোখে তাকায় মাঝে মাঝেই। আমি অন্য দিকে চোখ সরিয়ে চলে যাই। একদিম দুপুরে মা বললেন, তোর কি হয়েছে রে! আমি বললাম কি হবে আবার! কিছুই হয়নি। মুখটা একদমই করুন ভালোমানুষ বানিয়ে বললাম যদিও তবুও মায়ের কি আর সন্দেহ যাবে! মা তক্কে তক্কে রইলেন। আমিও পাতায় পাতায় মানে আরও সাবধানী হয়ে রইলাম।
তবুও ধরা পড়লাম। মানে একদিন বিকেলে, সেদিন স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান। আমরা সবাই শাড়ি পরেছিলাম। তো আমার তো কোনো শাড়ী ছিলো না। সবই মা আর চাচীদের শাড়ি। আবার সব চাচীদের সব শাড়িগুলিই বেশিভাগ এক রকম ছিলো। ঈদ পার্বন ছাড়াও এমনিতে এক চাচীর আত্মীয় স্বজনও কোনো উপহার আনলে ও বাড়ির সব চাচীদের জন্যই আনতে হত। সেটাই ছিলো ও বাড়ির নিয়ম। কাজেই এতগুলো চাচী থাকা সত্বেও শাড়ির অতগুলো বৈচিত্র ছিলো না। তবুও ছোটচাচীর বাপের বাড়ি থেকে বিয়ের সময় পাওয়া এক লাল টুকটুক জরিপাড় শাড়ি আমার খুব পছন্দের ছিলো। তাই সেটাই আমাকে পরিয়ে দিলো চাচীআম্মা। সাথে কপালে টিপ আর লাল লিপস্টিক। বিয়ের আগে যদিও ও বাড়ির কোনো মেয়ের লিপস্টিক লাগাবার অনুমতী ছিলো না তবুও সেদিন ঐ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনুমতী দেওয়া হলো। মানে ছোটচাচীই জোর করে রাজী করালেন মাকে। তো সেই শাড়ি পরে লাল টুকটুক লিপস্টিক আর টিপ সাথে ছোট চাচীর গহনার বাক্স হতে সরু মালা আর বালা এবং ছোট্ট পিচ্চি একটা অপরূপ ঝুমকা এসব পরিয়ে দিলো চাচী নিজেই।
সেই সাজ সেজে আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই লজ্জায় শেষ আমি। আর চাচীমা বললেন, একদম একটা ছোট্ট নতুন বউ এর মত লাগছে তোকে। এত সুন্দর হয়েছিস তুই! আমি লজ্জায় লাল হয়ে বললাম। ধ্যাৎ কই সুন্দর! কি বলো তুমি! কিন্তু মনে মনে আড়চোখে চেয়ে আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেকেই নিজে বললাম। নীরু তুই যে এত সুন্দর!!! হা হা আর তারপর এই সাজ কি খোকাভাইকে না দেখিয়ে চলে যাওয়া যায়! সে কি সম্ভব হত কারো জন্য! কখনই না। কিন্তু কি করে যাবো! তখন বিকেল বেলা। চাচী আমাকে সাজিয়ে দিচ্ছিলেন আর মা খাঁটে বসে বসে দেখছিলেন।এত লিপস্টিক দিও না এত কাজল না, শুধুই না আর না করেই যাচ্ছিলেন তবুও ছোটচাচী তেমন মায়ের কথা গ্রাহ্য করছিলেন না। যাইহোক সাজ শেষ হলো। একটু পরেই বের হয়ে যেতে হবে। আমি তাড়াতাড়ি বললাম, হায় হায় আমার লাল রং স্যান্ডেল তো ছাঁদে রোদে দিয়েছিলাম। এখুনি নিয়ে আসি বলেই দৌড় দিলাম ছাদের ঘরে।
খোকাভাই তার ঘরের মধ্যে জানালার সামনে চেয়ারে বসে আলসেতে পা তুলে কি যেন একটা মোটা বই পড়ছিলো। আমি চুপি চুপি গিয়ে আস্তে করে পিছে দাঁড়িয়ে দুই হাতে তার চোখ চেপে ধরলাম । খোকাভাই কিছুই বললো না, কারণ সে তো জানেই এইভাবে তার চোখ ধরার লোক এই বাড়িতে শুধু একজনই আছে। ঘুরেই জড়িয়ে ধরলো আমাকে। আমি পড়তে পড়তে ছেড়ে দিলাম চোখ। আর খোকাভাই মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। আজকাল জি সিরিয়াল স্টার জলসায় এইভাবেই ক্যামেরা থমকে গিয়ে এক ঘন্টা ধরে একেকজনের চেহারায় ক্যামেরা আটকে থাকে। আর সাথে ঢিং ঢং ঢিং ঢং করে মিউজিকের দামামা বাজে। আমাদের সেসব দিনে কোনো সিরিয়াল ছিলোনা বটে তবে সেই মুহুর্তে খোকাভায়ের চোখও জি সিরিয়ালের ক্যামেরা হয়ে আটকে রইলো আমার চোখে। কতক্ষন মনে নেই আমার বা সময় গুনিনিও আমি বা দেখিনিও সেই দৃশ্যপট কয় মিনিট কয় ঘন্টা বা কয় সেকেন্ড ছিলো।
নীচে ফিরেই দৌড় লাগালাম স্কুলের উদ্দেশ্যে। তার আগেই ধরে ফেললেন মা। দেখি দেখি, তোকে না চাচী ওমন গাঢ় করে লিপস্টিক লাগিয়ে দিলো! লিপস্টিক কই গেলো! আমার হাত চেপে ধরে রইলেন মা। চোখ থেকে তার আগুন ঝরছে। আমার বুকের ভেতরে তখন হাতুড়ির বাড়ি। কি উত্তর দেবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সেজচাচা বাইক নিয়ে বাইরের গেট থেকে হর্ণ দিচ্ছিলেন। নীরু মা তাড়াতাড়ি আয়, আমার দেরী হয়ে যাবে তো বার লাইব্রেরীতে মিটিং আছে। চাচা বিরক্ত হয়ে উঠলেন, নীরু কতক্ষন লাগাবি! চল তাড়াতাড়ি। সেই কথা শুনে মায়ের হাত শিথিল হয়ে এলো। হিস হিস করে রাগে বললেন, এখন যা, কিন্তু ফিরে আসার পর বুঝাবো তোকে কত ধানে কত চাল! ভয়ে কাঁটা হয়ে উঠলাম আমি। কি জবাব দেবো! কি বলবো! কি করবো! কি হবে আমার! কি হবে খোকাভায়ের! এসব নানান প্রশ্ন মাথায় নিয়ে সেজোচাচর বাইকের পিছনে গিয়ে উঠলাম।
পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে আমার মন খারাপ হয়ে রইলো। দুশ্চিন্তা আর ভয়ে কোনো কিছুতেই মন বসছিলো না আমার। পপলী আপু যখন গান গাইছিলেন যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই, কেনো মনে রাখো তারে! সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছিলো আর আমি! মাথায় শুধুই মায়ের শাসানী। বাড়ি ফিরলে গুনাবেন কত ধানে কত নাকি চাল! অনুষ্ঠান শেষ হতে সন্ধ্যা পেরিয়ে প্রায় রাত হয়ে গেলো। আমি বিধাতার কাছে মনে প্রাণে প্রার্থনা করছিলাম, খোদা যে কোনো মূল্যে মায়ের হাত থেকে আমাকে বাঁচাও। খোদা আমার ডাক ঠিকই শুনেছিলেন। এমনই ভাবে যে সেই ডাক না শোনাই আমার জন্য আসলে মঙ্গল ছিলো সেদিন।
অনুষ্ঠান শেষে সেজোচাচাই আমাকে নিতে এসেছিলেন। আমার ওমন গোমড়া মুখ দেখে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, কিরে এত দিনের স্কুল ছেড়ে যাচ্ছিস তাই মন খারাপ বুঝি! আমি কিছু বললাম না। সেজোচাচার বাইকের পিছে গিয়ে উঠলাম। আমাদের ঐ মফস্বল শহরের রাস্তাগুলি তখন এত আলো ঝলমলে ছিলো না। ল্যাম্পপোস্টের মিটমিটে আলো আর মানুষ-জনের বাড়ি ঘরের আলোগুলিই ছিলো রাতের পথিক বা যানবাহনের চলাচলের একমাত্র দিশারী। যদিও সেজোচাচার বাইকের আলোয় পথঘাট পরিষ্কারই দেখাচ্ছিলো। তবুও সে দিনটির কথা মনে হলে আমার কেনো যেন অন্ধকার এক নিশুথী রাতের কথাই মনে হয়। হয়ত আমার সেদিনের ভীতিটাই আমার ফেলে আসা অতীত স্মৃতিচারণের অপ্রত্যাশিত ভীতিকর পরিস্থিতিটুকু বুঝাতেই ওমন দৃশ্যের জন্ম দেয় আমার মনে।
যাইহোক সেজোচাচার বাইকে করে ছুটে যাবার মাঝে কিছু মন্থর গতীর সময়টুকুতে উঁকি দিচ্ছিলো কারো কারো বাড়ির জানালার পর্দা ফুড়ে নানা রকম দৃশ্য। আজ যখন সে সব মনে পড়ে তখন ভাবি সেই দৃশ্যগুলিতে এত মায়া ছিলো কেনো! সত্যিই সে কথা আজও ভেবে পাই না আমি। কই আজকের এই পৃথিবীতে ওমন মায়াগুলি তো আর চোখে পড়ে না। সবাই বড় বেশি যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে। বদলে গেছে মানুষ, পাড়া, শহর আর গ্রাম। সত্যিই আজও ভেবে পাইনা আমি। প্রায় প্রতি বাড়িতে সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে ছেলেমেয়েরা পড়তে বসেছে। কেউ কেউ চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করে পড়ছে। কেউ কেউ চুপচাপ মনে মনে। তবে চুপচাপ মনে মনে পড়ার চাইতে সেই চেঁচিয়ে পড়ার শব্দই বুঝি সেদিনের বাবা মায়ের প্রাণে শান্তির বানী শুনিয়ে যেত। সেই তীব্র চিৎকারে পাড়া পড়শীর শান্তি হরণ করা কর্মকান্ডটিই যেন ছিলো বাবা মাসহ পাড়াপড়শীরও সকলেরই শান্তির কারণ এবং সেটাই যেন খুব স্বাভাবিক। এত শত শব্দ দুষন, প্রাইভেসী, দরজা জানালা বন্ধ এসি রুম ছিলো না তখন একেবারেই।
খোলা জানালার পর্দার ফাঁকে ফাঁকে তখন কোনো কোনো বাড়িতে বাড়ির কর্তা বা বৃদ্ধ ব্যক্তিটি টিভি খুলে বসেছে। সাথে বাড়ির দু একজন মহিলাও আছেন কিন্তু প্রায় কোনোবাড়িতেই সেই সন্ধ্যা রাত্রীরে কোনো ছেলেমেয়েদের বোধ হয় টিভি দেখার অনুমতী ছিলো না। স্কুল কলেজ এমনকি ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরাও মনে হয় সে সময় কেউ ৯টা বা ১০টার আগে টিভি দেখার অনুমতী পেত না। সেজোচাচার সাথে ঐ সন্ধ্যা পেরুনো রাতটিতে আমার মনে পড়ে আমাদের পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় যে সব ছোট ছোট চা সিঙ্গাড়ার দোকান ছিলো। সেসব দোকানে অফিস ফেরৎ লোকজনের জটলাগুলি। ঐ সব পান চা সিগারেটের দোকানে রেডিও চলতো অবিরাম আর সেসব ঘিরে বসে থাকতো কর্মফেরৎ কিছু মানুষ। সেজোচাচার সাথে বাইকে করে ফেরার সেই রাতটি আমার জীবনের ভীষন রকম স্মৃতিকাতর এক রাত। যে রাতটিকে বড় বেশি মনে পড়ে আমার প্রায়ই।
সেদিন মনে হয় অমাবশ্যা ছিলো। ছোট গলিটিতে ছিলো ঘুরঘু্ট্টি অন্ধকার। হিরু স্যুইপার মদ খেয়ে গান গাইতে গাইতে বাড়ি ফিরছিলো। চাচার বাইকের সামনে এসে প্রায় পড়ে পড়ে। চাচা বাধ্য হয়ে কড়া ব্রেক কষলেন এবং হিরুকে জোরসে এক ধমক লাগালেন। সেই ধমকে হিরু গান থামালো বটে তবে তার মুখ ছুটে গেলো, ছালা, তুমি কে হে ছালা! কোন নবাব সিরাজ আইছো হে! আমারে ধমকাও! তোমার টেংরি ভাঙ্গবো ছালা। যদিও মাতাল মানুষ আমার অনেক ভয় লাগে। কিন্তু মাতাল হয়ে নির্দ্বিধায় ওমন করে সেজোচাচাকে ছালা ছালা বস্তা বস্তা বলা দেখে আমি হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ি আর একটু হলে আরকি। আর টেংরি কি জিনিস! আজও তার উত্তর জানিনা আমি। তবে আমার কাছে মনে হয় টেংরি মাঝে ঘাড় টাড় কিছু একটা হবে।
দূর থেকে কি রকম এক আজব গন্ধ আসছিলো। গন্ধটা পরিচিত তো নাই বটে কেমন যেন নাড়িভূড়ি উলটে আসা গন্ধ! আমার ভয় লাগছিলো। ভূত প্রেতের গন্ধ নাকি মনে মনে নিজেকেই প্রশ্ন করছিলাম। শেষে চাচাকে জিগাসা করতেই চাচা বললেন এটা নাকি শুয়োর পোড়ানো গন্ধ! সেই কথা শুনে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ! শুয়োর কথাটা উচ্চারণ করাই নিষিদ্ধ ছিলো আমাদের বাড়িতে সেখানে সেই কথাটা উচ্চারণের সাথে সাথে চাচা বলছেন কারা আবার সেসব পোড়াচ্ছেও! আমি অবাক বিস্ময়্ব জানতে চাইলাম, কে পোড়াচ্ছে চাচা? চাচা বললেন কে আবার। হবে হিরু বদমাশটার বাড়ির লোকজন। কিছুদূরেই তো মেথর পট্টি। আজ ওদের কোনো ফিস্ট টিস্ট হবে। উৎসবের দিনে ওরা শুয়োর পোড়ায় আবার মদও গেলে বদমাশগুলা। এমন করে চাচা বলছিলেন যেন অনেক বড় অপরাধী ওরা। কিন্তু আসলে তো তা নয়। এই মদ খাওয়া, এই শুয়োর পুড়িয়ে বারবিকিউ বানিয়ে উৎসবে খাওয়া এসবই তো ওদের উৎসবে বৈধ ছিলো।
একটা জিনিস এইখানে না লিখে পারছি না। সেদিন রাতে ঐ বিদঘুটে গন্ধের সাথে শুয়োর পোড়ানো বারবিকিউ এর সেই আনইউজ্যুয়াল ঘটনাটা আমার মনে গেঁথে রইলো। অনেক পরে আমাদের বাড়িতে পূজার বখশিষ চাইতে আসা লছমী ঝাড়ুদারনীকে আমি জিগাসা করেছিলাম ঐ বারবিকিউ সম্পর্কে। তার কাছেই শুনেছিলাম তারা নাকি লম্বা একটা বাঁশের সাথে শুয়োরটার চার হাত পা বেঁধে আস্ত ঝুলিয়ে দেয় আরও দুইটা বাঁশের সাথে আলনার মত করে বা যেমন করে কাঁপড় মেলি আমরা তারে। তারপর তেল মসলা মাখিয়ে নীচে গনগনে আগুন জ্বালিয়ে পোড়ানো হয় সেই মাংস। তারপর সবাই মিলে চাকু দিয়ে কেটে কুটে খায়। লাছমীরা পেছন দিয়ে আঁচল টেনে এনে সামনে আঁচল ঘুরিয়ে এক অন্য স্টাইলে ঘাঘরীর মত করে শাড়ি পরতো। ওর হাঁতে কালো করে পুড়িয়ে হিন্দীতে ওর নাম লেখা ছিলো। আমি কৌতুহলে জিগাসা করেছিলাম কি লেখা সেখানে? সে বলেছিলো লাছমী লেখসি আপামনি। ইন্ডিয়া থিকে লাছমী লিখখে আনসি। সুই পুড়াই পুড়াই শরীলে লেখা দেয় দিদিমনি! সোনামনি... লছমী মাঝে মাঝে লুকিয়ে ইন্ডিয়া থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করতে আসতো আমাদের বাসার কাজের মেয়েদের কাছে।লছমী পায়ের আঙ্গুলে অনেকগুলো রুপোর অঙ্গুঠি পরত। কানে অনেকগুলো দুল ঝুলঝুল করতো ওর। লছমী এক অন্যরকম যাদুকরী ছিলো আমার চোখে। খুব নিকৃষ্ঠ কাজ করে ও নিকৃষ্ঠ গোত্র ও বংশের হয়েও ও ছিলো এক যাদুকরী মানবী যে বাস করতো আমার অজানা অচেনা এক অন্য রকম রাজ্যে। ভীষন সুখে। যেই সুখের জীবনে ছিলো না এত বিধি নিষেধ বাধ্য বাধকতা বা ছিলো না কোনো মিথ্যে অহং।
যাইহোক সেই রাত্রীতে বাড়ির কাছাকাছি আসতেই চমকালাম আমরা। মানে আমি আর সেজোচাচা। আমাদের বাসার পুরানো কাজের মানুষ রুস্তম ছুটে আসছে আমাদের দিকে। ভাইসাব ভাইসাব শেগগিরি ডাগদর আনেন। মেজোভাইর জান যাতিছে। মেজভাইর মানে আমার বাবা! বহুদূর থেকে বুঝি ভেসে এলো কথাটা কানে! কি বলছে এসব রুস্তম! আজ সকালেও তো গরম ভাত, আর ডিম আলু ডালের ভর্তা দিয়ে এক ডাবু ঘি পাতে নিয়ে ভাত খেয়ে বেরুলো বাবা। আর সন্ধ্যার মাঝে কি হলো তার!! সেজোচাচা চিৎকার করে বাইক থামিয়ে দৌড়ে ঢুকলো বাড়ির ভেতরে। আমি কিছুক্ষন স্থানুবৎ দাঁড়িয়ে হঠাৎ সম্বিত ফিরে দৌড়ে ঢুকলাম।
বাবার ঘরে বাড়ির সকলে ভেঙ্গে পড়েছে। সকলের কোলাহলে ঠিক বুঝা দায় ছিলো কি হয়েছে সেখানে। আমার বুকের ভেতরে ভীষন এক ভীতির সঞ্চার হলো। কিন্তু কিছু বুঝা তো দূরের কথা ও ভীড় ঠেলে ভেতরে উঁকি দিয়েও দেখতে পারছিলাম না ঠিক কি হয়েছে সেখানে। সেই একান্নবর্তী পরিবারের সকল মানুষজনের হই হট্টগোল ভেদ করে হই হই করে পাড়ার ডক্টর নিয়ে হাজির হলেন ন'চাচা। ডক্টর আর চাচার আগমনে সকলে সরে গিয়ে পথ করে দিলো আর সেই সুযোগে আমিও ভেতরে ঢুকবার সুযোগ পেলাম। বাবা বিছানায় শুয়ে আছে। চোখ দুটি বোজা মা চাচী দাদী চাচারা সব তাকে ঘিরে। ডক্টর গিয়ে পাশে বসলো! আমি দূরে ঐ লোকজনের মাঝে দাঁড়িয়ে রইলাম। কাছে গেলাম না। ভীষন কষ্ট হচ্ছিলো আমার। মাথায় ঘুরছিলো তখন একটাই কথা, বাবা কি তবে মারা গিয়েছেন!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা রুনা লায়লার একটা হারানো দিনের গান মনে পড়লো ভাইয়ু!!!!
গান নয় জীবন কাহিনী সূর নয় ব্যথার রাগিনী
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা ঠিক পোস্ট আসিতেছে- আপনি কেন আসলেন
~ কালকে পড়ব। হাতে আছে ১০ মিনিট।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯
অপ্সরা বলেছেন: আহা আমার তো ঘুমে পড়ে যাই যাই অবস্থা! ঠিক ১২টায় ঘুমাবো তবুও!
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পর্ব খুব ভালো লেগেছে।
ইন্ডিয়ান শাড়ি আমার মা কিনত যখন আমরা যশোর ছিলাম। দরাটানার মোড়ে একটা ফালুদার দোকান ছিল। ওখানেই জীবনে প্রথম ফালুদা খেয়েছি।
নীরু হল খোকা ভাইয়ের দুঃখ ভোলার জায়গা।
খুলনাতে আমার এক খালু মাঝে মাঝে তাদের ঘরের মধ্যেই মাতলামি করতেন। ওনাকে দেখেই প্রথম মাতাল কাকে বলে বুঝেছি।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২১
অপ্সরা বলেছেন: সেই দোকানে কি কোন আইসক্রিম পাওয়া যেত? বরফের খ্যাচ খ্যাচ করা বাজে সেই কোন আইসক্রিমের মজা কি করে ভুলি?
আর মাতাল দেখলেই আমার এমনই ভুই লাগে!!!
যদিও হিরু মাতাল খুবই ফানি ছিলো।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৬
কামাল৮০ বলেছেন: কিশোরী থেকে যুবতীতে পদার্পণ।প্রথম শিহরণের কথা কেউ কোন দিন ভুলে না।আমাদের ছোট বেলায় ঠোঁটে চুমোখাওয়ার বিষয়টার অত প্রচলন ছিল না।
যশোরের সব রাস্তাই ৬০ দশক থেকে চিনি।২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বছরে তিন চার বার যাওয়া হতো।খুবই পরিচ্ছন্ন একটা সুন্দর শহর ছিল যশোর।যশোরের চিরুনি ও মমিননগরের কাপড়ের কথা কোন দিন ভুলবো না।
বাবার বিষয়টা ঝুলিয়ে রেখে,একটা চিন্তার মাঝে রাখলেন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩২
অপ্সরা বলেছেন: আমাদের ছোটবেলায় বুঝি খুব প্রচলন ছিলো!!!
এটা ছিলো নীরুর গল্প এবং একান্নবর্তী পরিবারের গল্প! চাচাত মামাত ফুফাতো ভাইবোনদের মধ্যে থাকলে তোমার গল্প লেখা হত ভাইয়া!
যশোরের সব রাস্তা আমি চিনি না। কিন্তু ২০১০ পর্যন্ত তুমি এত সেখানে যেতে কেনো!! হায় হায় তোমার বাড়িও কি নীরুদের বাড়ির একই যশোরে নাকি!!!
মমিনগড়ের কাপড় কি? এটা শুনিনিতো।
তবে বিখ্যাত যশোরস্টিচ আর ব্লাক মার্কেটিয়ার বলা হত ইন্ডিয়া থেকে চুরি করে শাড়ি ফেসপাউডার তারপর কেওকার্পিন তেল আর কান্তা সেন্ট। হা হা কত কিছু মনে পড়ে যায় নীরুর গল্পে আমার......
বাবার বিষয় ঝুলিয়ে রাখিনি তো..... নেক্সট পর্বেই দিয়ে দেবো.....
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আইসক্রিম ছিল মনে হয়। এই ধরণের দোকানই ছিল। আবার অনেক আগে ১৯৭৮ সালে এই দড়াটানা মোড় থেকে আমাদের স্কুল বাস ঘুরে আবার স্কুলের দিকে যেত। বাস ঘুরানোর সময় আমার কাছে মনে হত বাসের কোণা দোকানগুলিতে লেগে যাবে। আমি ১৯৭৮ সালে ১ বছর এবং ১৯৮৭- ১৯৯০ সাল পর্যন্ত যশোরে ছিলাম। আমি অবশ্য সব সময় থাকতাম না।
খোকা ভাইয়ের চরিত্রটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। নীরুরটাও।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: ক্যাডেট ছিলে সেটা জেনেছি একটা কমেন্ট থেকে কিন্তু বাবা নিশ্চয় চাকুরীর সুবাদে সেখানে ছিলেন তাইনা??
খোকাভায়ের চরিত্রটা কি কিছুটা শুভ্রের মতন নাকি একদমই আলাদা মনে হচ্ছে?
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মা চাকরীর সুবাদে যশোর ছিলেন। আমার বাবা প্রায় ১৩ বছর বিদেশে ছিলেন যখন আমরা কিশোর ছিলাম। বছরে একবার আসতেন। আমার মায়ের চাকরীর কারণে আমি ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ছয়টা স্কুলে পড়েছি বিভিন্ন জেলায়।
না না, খোকা ভাইয়ের চরিত্রটা অনেক ভালো মনে হচ্ছে। অবশ্য বিপথে যায় কি না কে জানে। আলিমুল গায়েব আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
অন্য একটা ব্লগে একবার এই ধরণের একটা ছেলের সত্যিকারের জীবন কাহিনী পড়েছিলাম অনেকগুলি পর্বে। তবে কিছু ব্যতিক্রম ছিল ঘটনায়। কিন্তু মূল বিষয় ছিল ছেলেটা চরম অবহেলা আর অর্থনৈতিক কষ্টের মধ্যে তার শৈশব কাটিয়েছে। মা ছাড়া তার কোন আপন কেউ ছিল না। নিজের আপন ভাইগুলি আর ভাবিরা তাকে চরম অবহেলা আর কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু ভালো ছাত্র হওয়ার কারণে পরবর্তীতে সে বড় ডাক্তার হয়। ঐ পর্বগুলি যদি আমি আবার কোথাও পাই তাহলে বারবার পড়ার ইচ্ছা আছে।
লেখা ভালো লেগেছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০১
অপ্সরা বলেছেন: তাই বলো। এমন কিছু একটা মন্তব্য তুমি করেছিলে একখানে ।
পারিবারিক বিপর্যয়, ভেঙ্গে পড়া ফ্যামিলী, অবহেলা অনাদর কত মানুষের জীবনকে যে শেষ করে দেয়। শুধু এই দেশের এই সামাজিক বিধি ব্যবস্থাই না এমন নজির বাংলাদেশের বাইরেও আছে।
একমাত্র দৃঢ় মনোবল ছাড়া কোনো ছেলে মেয়ের পক্ষেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
থ্যাংক ইউ লেখা ভালো লাগার জন্য।
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো হয়েছে, চমৎকার এগুচ্ছে। চলুক।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!
৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৫
কামাল৮০ বলেছেন: ৬০ এর দশকে যারা যশোরে বাস করেছে চিরুনি ও মমিন নগরের কাপপড়ের কথা সবাই জানে।বিডি হলের পাশে ছিল মমিন নগরের কাপড়ের দোকান।আজকে বনগাঁর যে চিরুনি কারখানা,এর সবগুলিই এক সময় যশোরে ছিলো।যশোর বৃটিশদের প্রথম জেলা শহর।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
অপ্সরা বলেছেন: এত কিছু জানতাম না ভাইয়া।
থ্যাংক ইউ সো মাচ!
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৬
ককচক বলেছেন: নিরু শাস্তি পেতে পেতে বোধহয় বে্ঁচে গেলো। নাকি নিরুর বাবার এই অবস্থার দায় নিরুর উপর যাবে! অর্থাৎ নিরুর মা কি নিরুর বাবারে নিরু সম্পর্কে কিছু বলেছে। পর্বটা অনেক প্রশ্ন রেখে শেষ হলো। অনেকটা ভারতীয় সিরিয়ালের পর্ব যেমন শেষ হয়! কিএকটা অবস্থা, নিরুর স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতে পর্ব শেষ। পাঠক আশা করেছিলো, নিরু মা'কে কিভাবে ফেস সেই গল্পটা শুনবে। কিন্তু নিয়ে আসলেন নতুন টুইস্ট!
যাকগে, নেক্সট কাহিনী কবে বলবেন?!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
অপ্সরা বলেছেন: আরও অনেক বড় শাস্তি ওয়েট করছে নীরুর জন্য।
নেক্সট কাহিনী ৩/৪ দিনের মধ্যে।
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:০২
কামাল৮০ বলেছেন: ৬০ এর দশকে যারা যশোরে বাস করেছে চিরুনি ও মমিন নগরের কাপপড়ের কথা সবাই জানে।বিডি হলের পাশে ছিল মমিন নগরের কাপড়ের দোকান।আজকে বনগাঁর যে চিরুনি কারখানা,এর সবগুলিই এক সময় যশোরে ছিলো।যশোর বৃটিশদের প্রথম জেলা শহর।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ফর অল দিস ইনফরমেশন!!
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার। প্রতি পর্বেই চমক! +
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু খুব সুন্দর আগাচ্ছে
দেখা যাক নিরু শাস্তি থেকে বেঁচে যায় কিনা
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
অপ্সরা বলেছেন: শাস্তির কি শেষ আছে!!!
১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
একলব্য২১ বলেছেন: দারুণ লেখার একটা পর্ব পড়লাম। চাচার সাথে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরা অবধি রাস্তার যে যে বর্ণনা তুমি দিয়েছ এক কথায় তা লা জবাব! ব্রিলিয়ান্ট!
যাক অনেক নাটকীয়ভাবে গল্পে বাবার এন্ট্রি হল।
টেংরি শব্দের অর্থ সম্ভবত পা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ !!!
পথযাত্রার অংশটুকুতে আমি নিজেই হারিয়ে গেছিলাম!!
১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: শুয়রের বারবিকিউ বেশ মজাদার । খেয়ে দেখতে পারো ।
বিঃ দ্রঃ হরিণ কামড়ায় !
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮
অপ্সরা বলেছেন: ইয়াক থু থু থু তুমি খাও!!!!!!!!!
এত মজাদার জানলে কেমনে!!!!!!!!
১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
একলব্য২১ বলেছেন: প্রচ্ছদ থেকে হরিণ গায়েব। এই প্রচ্ছদের মানে কি।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯
অপ্সরা বলেছেন: হরিণ আছে!
চক্ষু মেলিয়া দেখো হে বালক!!!
১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি বিধাতার কাছে মনে প্রাণে প্রার্থনা করছিলাম, খোদা যে কোনো মূল্যে মায়ের হাত থেকে আমাকে বাঁচাও। খোদা আমার ডাক ঠিকই শুনেছিলেন। এমনই ভাবে যে সেই ডাক না শোনাই আমার জন্য আসলে মঙ্গল ছিলো সেদিন।!
দেখি কি হয় ...
চাচার সাথে মোটর সাইকেল ভ্রমনটুকু একটা স্বপ্ন ভ্রমন হয়ে রইলো।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ আপুনি!!
১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০
একলব্য২১ বলেছেন: আরে হা হরিণ আছে তো। প্রচ্ছদ এঁকেছে কে।
নীরুর জীবন তখন খোকাভাইকে নিয়ে আবর্তিত হচ্ছিল। নীরুর সামনে এসএসসি পরীক্ষা। পড়ালেখা নিয়ে কোন চিন্তা ছিল না। খালি প্রেম আর প্রেম। হা হা হা......
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১২
অপ্সরা বলেছেন: আমি না। এই লেখার সকল ছবিই নেট থেকে নেওয়া শুধু একটা ছবি ছাড়া। যেটা জাহিদ অনিকের ছবি ছিলো। হা হা
হা হা সবাই কি তোমার মত যে সারাক্ষন পড়ালেখা নিয়ে থাকবে!!!!!!!! হা হা হা
১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩
অঙ্গনা বলেছেন: উ নো এই চেঞ্জের সময়টা অসাম। এই যে নিজের মনে হাসি। মিরর দেখা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা হা এই লাইন পড়ে মিররমনি কত হাসবে তাই ভাবছিলাম। হা হা তুমিও হাসছো নাকি!!!
১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫
অঙ্গনা বলেছেন: পাশের জন হাসলে আমি ও হাসছি
তিন জন মিলে একটা লোল দেই চলেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৭
অপ্সরা বলেছেন: তুমি কে !! তুমি কে!! তুমি কে!!!!
২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩০
সোনালি কাবিন বলেছেন: পড়ে প্রশান্তি হলো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৮
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
মুদ্দাকির বলেছেন: সালার প্রেমের মধ্যে টেকনিক্যাল ঝামেলা, ম্যাটেড লিপস্টিক গুলো, যেগুলো অনেক উম আম উম উম আম ...... এর পরেও ঠিক থাকে সেগুলো ব্যাবহার করলেইতো নীরু আর ধরা পড়ত না। আজব।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা ভাইয়ু তখন কি ম্যট ছিলো!!!
আর নীরুর তো কোনো লিপস্টিকই ছিলো না শুধু লিপগ্লস ছিলো।
২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
অক্পটে বলেছেন: এবারের পর্বটা টান টান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে শেষ হল। আমি তো অন্যকিছু ভেবে রেখেছিলাম! খোকাভাই লিপষ্টিক খেয়ে ফেলার অপরাধে তাকে নিয়ে বাসায় হুলস্থুল কিছু হয়ে গেছে এবং মীরার জন্য অপেক্ষায় আছে তার মা। মানে আজ খবর আছে!
কিন্তু পর্বটা শেষ হয়েছে সেড নিউজে। মীরা আর খোকাভাইয়ে কপালে কী আছে আল্লাহ মালুম!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১
অপ্সরা বলেছেন: ঐ ভাইয়ু!!!!!!!!!!! মীরা আপুর তো বিয়ে হয়ে গেছে। এটা নীরা ছিলো।
হা হা না নীরার মা আর তাকে মাইর দেবে কি তার আগেই তো ওমন ঘটনা ঘটে গেলো।
নীরার প্রার্থনা কাজে লেগে গেলো। যদিও একটু নেগেটিভলি!
২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কি বলব ?
বলার ভাষা নাই!!!!!!!!!!!
শুধু বলব - চমতকার।
গ্রামীন পল্লীর যে সন্ধ্যাকালীন বর্ণনা তা এক কথায় অপূর্ব।তার জন্য +++++++++++
আর বাচচা/কৈশোর প্রেম?
আহা প্রেম !!!!!!!!!! আশৈশবের প্রেম !!!!!!!!! বড় মধুর প্রেম !!!!!!!!!!!!
একটু সুযোগ পাইলে কোন এক যাদুর বলে লিপষ্টিক হাপিস করে দেয়া প্রেম।
খোকা ভাই তখন নামেই খোকা ছিল আসলে কখন যে বড় হয়ে গিয়েছিল তাই সে জানতে পারেনি আর তাইতো সে যাদু বিদ্যাও জেনে (লিপষ্টিক হাপিসের ) গিয়েছিল। এখন আমার একটা বিষয় জানবার মুনচায় - হবে কি খোকা ভাই + নীরা'র বাসর?
নাকি কৈশোর প্রেম অকালেই ঝড়ে যাবে?
আর শেষটায় প্রেমের মজা কিছুটা ফিকে হয়ে গেল নীরার বাবার অসুস্থতার খবরে। দয়াময় নীরার বাবাকে সুস্থ করে দাও সাথে সাথে ভাই + নীরা'র ভালবাসাকে সফল করে দাও।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৪
অপ্সরা বলেছেন: তোমার দোয়ায় নীরার বাবা সুস্থ্য হয়ে গেলো ভাইয়া!
হা হা
২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু এই সিরিজের বেস্ট পর্ব এটা ।
নীরু খোকার প্রেমের গল্পের চেয়েও অনেক বেশি ভালো লেগেছে সেই সময়ের বর্ণনা ।
যত পড়ছি মনে হয় যদি এটা একটা মুভি হতো, অবশ্যই খুব ভালো একজন ডিরেক্টর হতে হবে যে এভাবে সময়টাকে মুভিতে তুলে আনতে পারবে ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: চলো তুমি আমি আমিই ম্যুভি বানায় ফেলি।
আমরাই আমাদের ডাইরেক্টর না হলে কে আর হবে বলো!
যাইহোক শুনো এই রাস্তার বর্ননা আরও ছিলো তবে কি করে গল্পে আনবো বুঝতে পারলাম না।
আসলে দুই দিনের দেখা ঘটনা একখানে করেছি। যদিও যশোরের রোডের কথা বলেছি কিন্তু আসলে ঘরবাড়ির পর্দা ওড়া এবং সন্ধ্যার দৃশ্যের সাথে সাথে মেথর পট্টির ঘটনাটা ঘটেনি।
সে আরেক দিনের দেখা।
মানুষের সকলের জীবনই আসলে এক একটা সিনেমা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কত শত দৃশ্য দেখছি আমরা।
অনেক বছরের একটা অপূর্ণ দৈর্ঘ চলচ্চিত্র!
অপূর্ণ বললাম কারণ মানুষ তার জীবনের কত শত সাধ আহ্লাদ অপূর্ন রেখেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।
তাই মানুষের জীবনের চলচ্চিত্র কখনও পূর্ণ দৈর্ঘ হয় না।
একটা কথা বলি মিররমনি। আমি ভেবেছিলাম তুমি আমার উপর রাগ করেছো। রাগ করার কারণ হিসাবে দুইটা কারণ ভেবে রেখেছিলাম এবং যদি তুমি ভুল বুঝেছো ভেবে থাকো তার জন্য ভুল করছো ভেবেও ছিলাম। যদিও জীবনের বিশেষ করে ব্লগীয় জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে খুব বেশি বিস্মিত হইনি। এমনই হয়। নিজের এই সুন্দর জীবনে কত প্রিয় মানুষ দূরে সরে গেলো আর এত আমাদের ব্লগীয় ভূবন!
তবুও একটুএকটু কষ্ট পাই যাদেরকে অনেক ভালো লাগে যাদের জন্য লিখি তারা ভুল বুঝলে।
জানো আমি আজ ভাবছিলাম মানুষ আমি তবু কেনো আমাদের পাখির মত মন!
থাক অনেক কিছু বলার ছিলো কিন্তু বলা হলো না...... সবাই কান পেতে চোখ পেতে থাকবে দেখবে আবার পন্ডিতি করে নিজেদের মত করে ভুলও বুঝবে তাই বললাম না।
২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
মানুষের সকলের জীবনই আসলে এক একটা সিনেমা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কত শত দৃশ্য দেখছি আমরা।
অনেক বছরের একটা অপূর্ণ দৈর্ঘ চলচ্চিত্র!
অপূর্ণ বললাম কারণ মানুষ তার জীবনের কত শত সাধ আহ্লাদ অপূর্ন রেখেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।
তাই মানুষের জীবনের চলচ্চিত্র কখনও পূর্ণ দৈর্ঘ হয় না।
কথাগুলো চমৎকার এবং ধ্রুব সত্যি ।
আমারও এমন মনে হয়, প্রতিটা মানুষের জীবন একেকটা উপন্যাস বা সিনেমার মতো ।
সেখানে কতো চরিত্র, কতো ঘটনা !
জীবনগল্প গুলো সব সময়ই সুন্দর আর ভালোলাগার হয় ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ নিজের জীবনই এত সুন্দর এক হাসি কান্না আনন্দ বেদনার সিনেমা তাহলে আর সকল মানুষের জীবনগুলি কত শত সিনেমা চিন্তা করে দেখো!
২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
একটা কথা বলি মিররমনি। আমি ভেবেছিলাম তুমি আমার উপর রাগ করেছো। রাগ করার কারণ হিসাবে দুইটা কারণ ভেবে রেখেছিলাম এবং যদি তুমি ভুল বুঝেছো ভেবে থাকো তার জন্য ভুল করছো ভেবেও ছিলাম। যদিও জীবনের বিশেষ করে ব্লগীয় জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে খুব বেশি বিস্মিত হইনি। এমনই হয়। নিজের এই সুন্দর জীবনে কত প্রিয় মানুষ দূরে সরে গেলো আর এত আমাদের ব্লগীয় ভূবন!
আমি রাগ করবো কেনো ?
What happened?
আমি কি এর মাঝে কিছু মিস করে গেছি, আই মিন কোন ঘটনা ?
তাইতো মনে হচ্ছে এখন ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬
অপ্সরা বলেছেন: না মিস করোনি আমিই করেছি তাই ভেবেছিলাম।
২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
তবুও একটুএকটু কষ্ট পাই যাদেরকে অনেক ভালো লাগে যাদের জন্য লিখি তারা ভুল বুঝলে।
ভালো লাগার কেউ ভুল বুঝলে সত্যি কষ্ট হয়, ট্রু ।
কিন্তু আমিতো কোন ভুল টুল বুঝিনি ।
জানো আমি আজ ভাবছিলাম মানুষ আমি তবু কেনো আমাদের পাখির মত মন!
আরে এটাতো আমার কথা, আমি নিজেও বলি, আমার পরিচিতজনেরাও আমাকে তাই বলে
থাক অনেক কিছু বলার ছিলো কিন্তু বলা হলো না...... সবাই কান পেতে চোখ পেতে থাকবে দেখবে আবার পন্ডিতি করে নিজেদের মত করে ভুলও বুঝবে তাই বললাম না।
হা হা হা… আচ্ছা ঠিক আছে বলতে হবে না ।
But the fact is, nothing happened from my end.
That’s why I can’t even understand what you’re talking about.
All good apu, now smile
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭
অপ্সরা বলেছেন: গুড গুড গুড!!
তোমাকে যে একদিন মেইল আইড দিতে বলেছিলাম দিয়েছিলে কিনা জানিনা তবে একজন মেইল করেছিলো চেনা সূর ...... ভেবেছিলাম তুমি ......
২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
আয়নার সামনে সাজুগুজু করার সময় নিজেকে নিয়ে যে কথাগুলো, ওই বয়সে এমনটাই হয় ।
আর কিশোরী তরুণী মেয়েদের একটা নিজস্ব সৌন্দর্য থাকে ।
তারা যা করে যেভাবে থাকে ওটাই সুন্দর লাগে ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহাহাহা সব কিশোরীই মনে হয় আয়নার সাথে কথা বলে তাইনা!!
তুমিও বলতে!!!
২৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আসলে সময় করতে পারিনা ।
যেটুকু পাই, সামুতে কাটিয়ে যাই ।
চেনা সুর
অচেনা সুমধুর …
নাহ আপু আমি আয়নায় কথা বলিনি কিন্তু নাটকে দেখেছি, গল্পে পড়েছি ।
লছমীর কথা পড়ে আমার এক ঘটনা মনে পড়েছে ।
ছোটবেলায় দেখেছি এক ভদ্রমহিলা মাঝে মাঝে বাসায় আসতো সাহায্য নিতে ।
মধ্যবয়সী বা তারও কিছু বেশি । দীর্ঘাঙ্গিনী, দুধে আলতা গায়ের রং, অপুরুপা রূপসী কিন্তু ভয়ংকর !
জটাধারী চুল কোমর ছাড়িয়ে গেছে। এতো লম্বা জটাচুল কখনও দেখিনি ।
চোখে মোটা করে কাজল, গলায় অনেকগুলো রুদ্রাক্ষের মালা, দুহাত ভরা আংটি আর অনেকগুলো বালা টাইপ কিছু ।
সে এক সন্ন্যাসিনী বা বৈষ্ণবী টাইপ । সাথে থাকতো ঝোলা আর হাতে লাঠি ।
এতো সুন্দর কিন্তু যাদুময় চাহনি । দেখলেই ভয় লাগলো ।
তাকে দেখতাম আড়ালে লুকিয়ে, যদি সামনে দেখা হয়ে যেতো সে এমনভাবে স্মিত হেসে তাকাতো মনে হয় ভেতর পড়ে ফেলবে।
বেশ কয়েকবছর তাকে এভাবে আসতে দেখেছি । কোন টাইম ফ্রেম নেই হঠাৎ হঠাৎ চলে আসতো । একসময় আসা বন্ধ হয়ে গেলো ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫
অপ্সরা বলেছেন: ওহ ওরা মনে হয় সন্যাসিনী ছিলো। ওমন আমিও দেখেছি মোটা লোহার বালা হাতে থাকে। জটাচুল চূড়ো করে বেঁধেও রাখে। অনেক আশ্চর্য্য সুন্দর তারা।
৩০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৩
একলব্য২১ বলেছেন: মিরোরডল,
"চিলেকোঠার প্রেম" আর "সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে"। এই দুটি গল্পের মধ্যে কোনটা তোমার কাছে বেশী thrilling মনে হচ্ছে। যদিও ইট ইজ টু আর্লি টু সে। তারপরও
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৬
অপ্সরা বলেছেন: নিশ্চয় চিলেকোঠার প্রেমই হবে......
কারন কি বলো তো!!!
৩১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ট্রু, ইট ইজ টু আর্লি টু কমেন্ট ।
দুটো গল্পে দুইরকম ভালোলাগা ।
আপুর লেখা ওটাই প্রথম রোম্যান্টিক সিরিজ পড়েছি, তাই অন্যরকম ভালোলাগা ছিলো এবং ওখানে মুখ্য ওরা দুজন ছিলো ।
কিন্তু এটাতে এদের দুজনের প্রেম এখনও প্রপার প্রেম মনে হচ্ছে না , কেমন যেন কি যেন ইঙ্কমপ্লিট । প্রেমের বিষয়টা আমি এখনও ইনভল্ভড হতে পারছি না কিন্তু অন্যান্য অনেক চরিত্র এবং সেই সময়ের বর্ণনা খুব সুন্দর করে হচ্ছে, পড়তে ভালো লাগে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!!
সেটা ছিলো নির্ভিক প্রেম বিচ্ছেদ বিরহ আনন্দ!
আর এইটা !!!
এত ভয়ে ভয়ে কি সবাইকে লুকিয়ে প্রেম করা এতই সহজ!!!
আর নিরুপমার উড়ু উড়ু মন তার সব কিছুই ভালো লাগে। বাড়ির বাগানের বুনো গাব গাছও লাগে আবার বাবলা ফুলে ছেয়ে থাকা গাছও লাগে আবার লোকজনের বাড়ির ভেতরে কি হচ্ছে তার হাড়ির খবরও ভালো লাগে আবার বিদেশীনি বউটাকেও ভালো লাগে। আর খোকাভাই তো তার একার সম্পত্তি মানে খেলার পুতুল আর কি মানে জ্যান্ত পুতুল!!!
৩২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৭
একলব্য২১ বলেছেন: আমি কদিন যাবতই চিন্তা করছিলাম কোন গল্পটা বেশী রোমাঞ্চকর।
"চিলেকোঠার প্রেম" ছিল আপু লেখার আমার প্রথম পড়া। প্লাস তখন ছিল লকডাউন। ঘরবন্ধি। রাতের দিকে লেখাগুলো পড়তাম। সেই লেখা আমার মনে বিশেষ impact পড়েছিল। তবে এই সিরিজের লেখাও আমার কাছে বেশ ভাল লাগছে। যদিও দুজনের মধ্যে প্রেম এখনও সেইভাবে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু লেখার মুনশিয়ানায় আমি মুগ্ধ।
ক্ষুদে এখন ভাল আছে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা তোমাদের দুজনের জন্য এই লেখা কাজেই আর কেউ না পড়লেও দুঃখ নেই!
ইটস অনলি ফর ইউ টু!
৩৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু ঠিক বলেছে, চিলেকোঠা এগিয়ে আছে ।
হ্যাঁ তখন সময়টাও অন্যরকম ছিলো ।
গুড টু নো ক্ষুদে ভালো আছে ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!
বাট এই গল্পের আসল শুরু ১১ নং পর্ব থেকে!!! তখন শুধু ......... হি হি হি
৩৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: অসামান্য লেখনী। স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে সেজচাচার বাইকে করে ঘরে ফেরার বর্ননাটা অপূর্ব হয়েছে। নীরুর মনের গভীরে যে ভালবাসা আর উপরিতলে মায়ের শাসনের ভয়, বিষাদ ও শঙ্কা, সেই মানসিক অবস্হায় সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে মফস্বলের বাড়ির জানালার পর্দা ফুড়ে উঠে আসা দৃশ্যপট গুলোর যে বর্ণনা তুমি দিয়েছ তা এক কথায় অসাধারণ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: অনেককককককককককককককককককককককক ভালোবাসা তোমাকে আর তোমাদেরকে!!!!!!!!!!!
৩৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
অঙ্গনা বলেছেন: লেখক বলেছেন: তুমি কে !! তুমি কে!! তুমি কে!!!!
নিজেরে আপাতত কাউয়া লাগতাছে। মাথা গুজে আছি আর ফিল করতাছি কেউ আমারে দেখতাছে না ।
আপনে আর আমারে কনফিউজড কইরেন না।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯
অপ্সরা বলেছেন: যেই হও উই লাভ ইউ!!!!!!!!!
৩৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:০১
একলব্য২১ বলেছেন: অষ্টম পর্ব কি রেডি।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ তবে শুধু একটু নৌকাভ্রমন এড করতে চাইছিলাম।
আরও আজ মনে পড়ে গেলো হারমোনিয়ামের ঘটনাটা ...... সেটাও এড করবো ভাবছি।
তবে আমার টাইম এতও কমে গেছে জীবনে।
লকডাউনই গল্প লেখার উত্তম টাইম ছিলো!
৩৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
রাইসুল সাগর বলেছেন: আপনার গল্পের গাঁথুনি অনেক সুন্দর, পড়তে ভালো লাগে, সাবলীলতার জন্য। গল্পগুলোতে অসম্ভব ভালো লাগা রেখে গেলাম। শুভকামনা জানবেন নিরন্তর।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৫
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ভালোবাসা ভাইয়া!
৩৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভীষণ রকমের একটা সাসপেন্স রেখে গল্পটা শেষ করলেন!
অমাবশ্যার রাতে সেজোচাচার বাইকের পেছনে বসে দেখা মফস্বলের রাস্তার বর্ণনাটা চমৎকার হয়েছে। সেই সাথে বাড়ি বাড়ি পড়তে বসা শিশু কিশোরদের তারস্বরে চিৎকার করে পাঠচর্চার মাধমে অভিভাবকদেরকে আশ্বস্ত করার অনুশীলনগুলোর কথা পড়ে আমার মনে পড়ে গেল, আমরা ভাইবনেরাও একই কাজ করতাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২২
অপ্সরা বলেছেন: এই সব কিন্তু নীরুর চোখে দেখা..... এমনই তো ছিলো তাইনা? সবার জীবনেই এমন দেখা আছে....
৩৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
খুবই আনন্দ পেলাম নীরুর জীবনে প্রথম শাড়ি পড়া আর খোকা ভাইকে না দেখালে কি চলে ? পুরোটা অনুষ্ঠান জুড়ে নীরুর মন খারাপ ছিল মাকে কি জবাব দিবে ? রুদ্ধশ্বাস কাহিনী পড়লাম মনে হল এ যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার বাবা ও মেয়ের ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা
থ্যাংক ইউ পড়ার জন্য!!
৪০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: টেংরি মানে হাঁটুর নিচের অংশকে বলে। ঠোঁটের লিপস্টিক নিরুদ্দেশ হওয়া নিয়ে মায়ের পানিশমেন্ট ঝুলিয়ে রাখা বা মায়ের হাতের কটা ধানে কটা চালের ধাতানি এ যাত্রায় রেহাই হল বাবা অসুস্থতার কারণে....
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা টেংরি মানে আমি ভাবতাম ঘাড়।
আর মায়ের হাতের ধাতানি ...... হা হা মা হাতে না মারলেও নাকি ভাতে মারতেন এই কথাটাই বলতেন।
৪১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: চললুম পরের পর্বে মা কীভাবে নীরুকে দাবড়ানি দেয়। নাকি বাবার কোনো দুর্ঘটনা তাঁকে নতুন কোনো বিপদের মুখে ধাবিত করে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯
অপ্সরা বলেছেন: কোনোটাই দিতে পারেনি মা এবং বাবা হি হি হি
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৫
আরোগ্য বলেছেন: এটা কি প্রেম কাহিনী নাকি জীবন কাহিনী?
আমি নেশাগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে এ পাড়ায় এত অবধি পদচারণ করিনি।
এখন মাদক সেবনের সময় নাই। পরে কথা হবে।